বিশ্ব
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৫৭ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭ কোটি ৭০ লাখের বেশি।
বৈশ্বিক ডাটা অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭ কোটি ৭০ লাখ ২৩ হাজার ১০৫ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬৪ লাখ সাত হাজার ২০৯ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ২৪ লাখ ৯৪ হাজার ১৮ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৫২ হাজার ৯৩৫ জন।
আরও পড়ুন: একদিনে বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ১ হাজার ২৩৮
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ৪৫১ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ১১০ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে ৬২১ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ২৭৫ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ দুই হাজার ৯৪৪ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ১১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬৩ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি
এ সময় শনাক্তের হার ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ১৩২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭২ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
মিয়ানমারে রাজনৈতিক বন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড়
জান্তা সরকার চারজন রাজনৈতিক বন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় মঙ্গলবার মিয়ানমারে তীব্র প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারও এর নিন্দা জানাচ্ছে। সেইসঙ্গে আশংকা করা হচ্ছে, সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিকে যে সহিংসতা ও অস্থিরতা ঘিরে রেখেছে তা অবসানের প্রাথমিক প্রচেষ্টা বিফলে যাবে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত নেত্রী অং সাং সুচির কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার পর থেকে মিয়ানমারের সামরিক সরকারে বিরুদ্ধে হাজার হাজার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। কিন্ত সোমবারের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বিগত এক দশকে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয় ফরমানে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত নোয়েলিন হেজারের সঙ্গে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফু্দ্দিন আব্দুল্লাহ কুয়ালামপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা মনে করি, এটি মানবতা বিরোধী অপরাধ।’
তিনি বলেন, চলতি সপ্তাহে কম্বোডিয়ায় শুরু হতে যাওয়া অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) ভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এই মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরের ওপর আলোকপাত করা হবে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে ৪ গণতন্ত্রপন্থীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
মিয়ানমার প্রভাবশালী গ্রুপ আশিয়ানের সদস্য। যে গ্রুপ গত বছর সকল পক্ষের সঙ্গে সংলাপে মিয়ানমারের ব্যাপারে পাঁচটি বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে। এগুলো হলো- মানবিক সহায়তার ব্যবস্থা করা, দ্রুত সহিংসতা বন্ধ এবং একজন বিশেষ দূতকে সকল পক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করানো।
এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের কথা উল্লেখ করে সাইফু্দ্দিন আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা দেখছি, এই পাঁচটি বিষয়কে সামনে রেখে যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জান্তা সরকার সেগুলোর সঙ্গে তামাশা করছে।’
হেজার বলেন, ‘জাতিসংঘ এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকে একজন ব্যক্তির বেঁচে থাকার অধিকার, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তাকে ক্ষুন্ন করেছে।’
ব্যাংককে মিয়ানমারের দূতাবাসের সামনে প্রবল বর্ষণের মধ্যে শত শত গণতন্ত্রপন্থী পতাকা উড়িয়ে শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার বিষয়ক আসিয়ানের বিশেষ দূতকে সু চির সঙ্গে দেখা করার আহ্বান
জনাকীর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে এক তরুণ একটি নীল মাইকে চিৎকার করে বলছে, জান্তা তার নৃশংস ক্ষমতা ব্যবহার করছে, বিক্ষোভকারীদের অনেকে অং সান সুচি ও মৃত্যুদণ্ড দেয়া চারজনের ছবি প্রদর্শন করছেন।’
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ফিয়ো জেয়া থো(৪১) সুচির দলের সাবেক একজন আইন প্রণেতা, কিয়ে মিন ইউ(৫৩)প্রবীণ গণতন্ত্রীপন্থী কর্মী যিনি কো জিমি নামে বেশ পরিচিত। তাদেরকে অভিযুক্ত করতে ও মৃত্যুদণ্ড দিতে সামরিক আদালত সব চেষ্টাই করেছে, এমনকি আপিলের কোনো সুযোগও রাখেনি।
মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে রায় কার্যকর করা হয়েছে, যা তাদের পরিবারের সদস্যদেরকেও বিস্মিত করেছে।
ফিয়ো জেয়া থো-এর মা কিন উইন মে সংবাদ সংস্থা এপিকে বলেন, তিনি শুক্রবার তার সন্তানের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেছেন এবং তিনি পড়ার জন্য চশমা, বই ও খরচের জন্য কিছু টাকা দিতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি খুবই মর্মাহত হই যখন দণ্ড কার্যকরের খবর শুনতে পেয়েছিলাম, আমি মনে করেছিলাম আরও কিছু সময় পাবো।’
কিন উইন বলেন, তিনি আশা করছেন তার সন্তান ও অন্যদের মৃত্যুকে বীরত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের জন্য গর্বিত, তারা দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।’
এই চার রাজনৈতিক নেতার দণ্ড কার্যকর তাৎক্ষণিকভাবে সারাবিশ্বে ভবিষ্যৎ মৃত্যুদণ্ড বন্ধের দাবি ওঠে এবং রাজনৈতিকভাবে বড় পরিসরে এর নিন্দা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানো প্রয়োজন: জাতিসংঘ
মেক্সিকোয় মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৬
পশ্চিম মেক্সিকোর জালিস্কো রাজ্যের একটি মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে বন্দুকধারীদের হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে।
রবিবার জরুরি কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হুডি পরিহিত বন্দুকধারীরা ভবনে ঢুকে গুলি চালায়।
জালিস্কো রাজ্যটি দেশের অন্যতম সহিংসপ্রবণ এলাকা এবং জালিস্কো নিউ জেনারেশন কার্টেলের একটি ঘাঁটি।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোতে বাস উল্টে নিহত ৯, আহত ৪০
মেক্সিকোতে পর্যটকবাহী নৌকায় হাঙরের ধাক্কা, আহত ৬
ভারতে বিষাক্ত মদ পানে ২৮ জনের মৃত্যু, ৬০ জন অসুস্থ
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ ও বোটাদ জেলায় বিষাক্ত মদ পান করে অন্তত ২৮ জন মারা গেছেন এবং ৬০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
দেশটির জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা মুকেশ পারমার বলেছেন, গুজরাটের আহমেদাবাদ ও বোটাদ জেলায় ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই স্থানে মদের উৎপাদন, বিক্রয় এবং সেবন নিষিদ্ধ। মদে কী ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
গুজরাট রাজ্যের পুলিশ প্রধান আশিস গুপ্তা বলেছেন, বিষাক্ত অ্যালকোহল বিক্রির সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের আটক করা হয়েছে।
ভারতে প্রায়ই অবৈধভাবে তৈরি বিষাক্ত মদপানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সস্তা মদের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য অবৈধভাবে এগুলোতে কীটনাশকের মতো রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো হয়।
অবৈধ মদও ভারতজুড়ে একটি বিশাল লাভজনক শিল্পে পরিণত হয়েছে। মাদকবিক্রেতারা এসব মদের জন্য কোনো কর দেয়না এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে তারা সস্তায় এসব মদ বিক্রি করে থাকে।
২০২০ সালে ভারতের উত্তরাঞ্চলের পাঞ্জাব রাজ্যে বিষাক্ত মদ পান করে কমপক্ষে ১২০ জন মারা যায়।
আরও পড়ুন: ভারতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৩
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত
বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত ৫৭ কোটি ৬১ লাখ ছাড়াল
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭ কোটি ৬১ লাখ ছাড়িয়েছে।
বৈশ্বিক ডাটা অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭ কোটি ৬১ লাখ ৯২ হাজার ২৬৬ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬৪ লাখ ৫ হাজার ১৬৩ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ২৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯২৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৫২ হাজার ৪৬৭ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ৪৫১ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ১১০ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে ৫৪৮ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ২৭১ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ দুই হাজার ৩২৩ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ছয় হাজার ৯৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ২৭৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৪০ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
পড়ুন: করোনার টিকা নিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং
করোনায় মৃতদের ৭০ শতাংশই টিকা নেয়নি: স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক
মিয়ানমারে ৪ গণতন্ত্রপন্থীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
মিয়ানমারের জান্তা সরকার ক্ষমতা দখলের পর সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) একজন এমপি ও তিনজন গণতন্ত্রকামীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
সোমবার মিয়ানমার সরকার জানিয়েছে, প্রায় ৫০ বছরের মধ্যে প্রথমবার তারা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মিরর ডেইলি সংবাদপত্রে ফাঁসি কার্যকর করার কথা জানিয়েছে।
সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য আইন অনুসারে’ এই চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তবে কখন ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে তা বলা হয়নি।
সামরিক সরকার এই প্রতিবেদনের তথ্য নিশ্চিত করে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি জারি করেছে।
তবে ওই বন্দীদের যে কারাগারে রাখা হয়েছিল সেখানকার কারা বিভাগ এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানো প্রয়োজন: জাতিসংঘ
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পরে মিয়ানমারের বাইরে গঠিত বেসামরিক সরকার তথা জাতীয় ঐক্য সরকারের মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী অং মিয়ো মিন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তিনি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেন, ‘তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হচ্ছে জনগণকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য।’
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন ফিও জেয়া থাও ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির দলের একজন এমপি; যিনি মং কিয়াও নামেও পরিচিত। গত জানুয়ারিতে একটি সামরিক আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে।
তার স্ত্রী থাজিন ন্যুন্ট অং এপিকে বলেন, তাকে জানানো হয়নি যে তার স্বামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি এখনও বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি।’
সন্ত্রাসবিরোধী আইন লঙ্ঘনের জন্য ৫৩ বছর বয়সী গণতন্ত্র কর্মী কিয়াও মিন ইউকেও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে, যিনি কো জিমি নামে বেশি পরিচিত।
গত অক্টোবরে ইয়াঙ্গুনে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে তিনি রাজনৈতিক সক্রিয়তার জন্য দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, কিয়াও মিন ইউকে মাইন হামলাসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং শহুরে গেরিলা আক্রমণ চালানোর জন্য ‘মুনলাইট অপারেশন’ নামে একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে জান্তা অভ্যুত্থানের বছরপূর্তিতে আটক অর্ধশতাধিক
অন্য দুই মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত হ্লা মায়ো অং ও অং থুরা জাওকে ২০২১ সালের মার্চ মাসে একজন নারীকে (সামরিক বাহিনীর গুপ্তচর) নির্যাতন ও হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ভারপ্রাপ্ত এশিয়া ডিরেক্টর ইলেইন পিয়ারসন বলেছেন, চারজনের বিরুদ্ধে পরিচালিত আইনি প্রক্রিয়া ছিল ‘ঘোরতর অন্যায় ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সামরিক বিচার।’
মৃত্যুদণ্ডের ঘোষণার পর তিনি বলেন, ‘জান্তার লক্ষ্য অভ্যুত্থান বিরোধী প্রতিবাদ আন্দোলনকে শান্ত করা।’
মানবাধিকার বিষয়ে জাতিসংঘ-নিযুক্ত একজন স্বাধীন বিশেষজ্ঞ থমাস অ্যান্ড্রুস মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সিদ্ধান্তের নিন্দা করেন এবং একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার আহ্বান জানান।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মিয়ানমারের দেশপ্রেমিক ও মুক্তিকামী মানুষের ফাঁসির খবরে আমি ক্ষুব্ধ ও বিধ্বস্ত।’
দেশটিতে ২০১৪ সালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীদের সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত করা হয়। তবে এরপরও কয়েক ডজন অভিযুকক্তের মৃত্যুদণ্ডের ঘোষণা দেয়া হয়।’
হত্যা ও গ্রেপ্তারের বিষয়ে অনুসন্ধান করা দ্য অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস নামের একটি বেসরকারি সংস্থা শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানায়, সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে দুই হাজার ১১৪জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এসময়ে আরও ১১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণহত্যা ও জ্বালাও-পোড়াও নীতিতে ফিরে যাচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত
ভারতের উত্তর প্রদেশে দুটি বাসের সংঘর্ষে আটজন নিহত এবং ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। সোমবার দেশটির রাজধানী থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে রাজ্যের বারাবাঙ্কি জেলার নারায়ণপুর গ্রামের কাছে পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়েতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে দুটি বাসই পূর্ব ভারতের বিহার রাজ্য থেকে দিল্লি যাচ্ছিল। তখনই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
পুলিশ আরও জানায়, ‘হঠাৎ একটি বাস হাই-স্পিডে এসে করিডোরের মাঝখানে এসে থামে, পেছন থেকে এসে দ্বিতীয় বাসটি এটিকে ধাক্কা দেয়।’
আরও পড়ুন: ভারতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৩
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনায় বাসের আট যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান, আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে শোক প্রকাশ করেছেন এবং মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানায়,‘দুর্ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
ভারতে প্রতি চার মিনিটে একটি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে। অর্থাৎ দেশটিতে প্রতি বছর এক লাখেরও বেশি মানুষ সড়কে প্রাণ হারায়। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে সাধারণত ভাঙা রাস্তাঘাট, চালকদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো এবং ট্রাফিক আইন না মেনে চলাকে দায়ী করা হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত সরকার ট্র্যাফিক আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে না পারায় দুর্ঘটনার হার কমছে না। এর ফলে প্রতি বছর এক লাখেরও বেশি মানুষ সড়কে প্রাণ হারায়।
আরও পড়ুন: ভারতে বাস খাদে পড়ে নিহত ২৬
ভারতে বাস খাদে পড়ে নিহত ১৬
বাহামাস উপকূলে অভিবাসী বহনকারী নৌকা ডুবে ১৭ জনের মৃত্যু
আটলান্টিক মগহাসাগরের বাহামাস উপকূলের কাছে হাইতিয়ান অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
রবিবার ভোরে বাহামাসের রাজধানী নিউ প্রভিডেন্স থেকে প্রায় সাত মাইল দূরে নৌকাটি ডুবে যায়। হাইতি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মায়ামি যাওয়ার সময় নৌকাটি ডুবে যায় বলে জানা যায়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাহামিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করে এবং ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করে।
বাহামাসের প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ ব্রেভ ডেভিস এক বিবৃতিতে বলেছেন, একটি টুইন-ইঞ্জিন স্পিড বোট হাইতি থেকে রাত ১টার দিকে প্রায় ৬০ জন লোককে নিয়ে মিয়ামির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
ডেভিস বলেন, নিহতদের মধ্যে ১৫ জন নারী, একজন পুরুষ ও একজন শিশু রয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে নৌকাডুবিতে ১৯ নারীর মৃত্যু
তিনি বলেন, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সন্দেহভাজন মানব পাচারকারীদের ধরতে একটি ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়েছে।
ডেভিস বলেন, ‘এই ট্র্যাজেডিতে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি আমি, আমার সরকার এবং বাহামার জনগণের সমবেদনা প্রকাশ করছি।’
হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি জানান, তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করছেন।
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনাটি পুরো জাতিকে ব্যথিত করেছে। আমাদের ভাই- বোন ও আমাদের সন্তানরা আমাদের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য, আমি আবারও জাতীয় পুনর্মিলনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
গত জুলাইয়ে হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যার পর দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়। ফলে দেশটির অর্থনীতিতে পতন ঘটেছে।
একটি জোট সরকার গঠনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, এবং সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রচেষ্টা স্থবির হয়ে পড়েছে। সংঘাতময় পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে এবং উন্নত ও নিরাপদ জীবনের সন্ধানে ইতোমধ্যে দেশটির ১১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ দেশ ছেড়েছে।
আরও পড়ুন: পুয়ের্তো রিকো উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ১১, উদ্ধার ৩১
মেক্সিকোতে পর্যটকবাহী নৌকায় হাঙরের ধাক্কা, আহত ৬
এই বছর ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে অভিবাসীদের বহনকারী বেশ কয়েকটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গত মে মাসে নৌকা ডুবে ১১ জনের মৃত্যু হয় এবং পুয়ের্তো রিকো থেকে ৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
ভারতের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু’র শপথ গ্রহণ
ভারতের সর্বকনিষ্ঠ এবং প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন সদ্য নির্বাচিত দ্রৌপদী মুর্মু। সোমবার দেশটির সংসদের সেন্ট্রাল হলে একটি মনোমুগ্ধকর ও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মুকে শপথ পাঠ করান।
মুর্মু তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, ‘একটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আসা এবং একজন আদিবাসী হওয়ার পরেও আমি এই পদে অধিষ্ঠিত হতে পেরে; সত্যিই সম্মানিত বোধ করছি। এটি প্রমাণ করে যে একজন দরিদ্রও ভারতের রাষ্ট্রপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারে। এটিই আমাদের গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।’
ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার মন্ত্রীরা এবং আইনপ্রণেতারা সংসদে শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এর আগে ৬৪ বছর বয়সী এই রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার মুর্মু রাষ্ট্রপতি পদে জয়ী হওয়া সর্বকনিষ্ঠ এবং প্রথম আদিবাসী রাজনীতিবিদ হয়ে ইতিহাস রচনা করেছেন।
ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সাবেক গভর্নর ও সাবেক স্কুলশিক্ষক দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করেন। মুর্মুর প্রধান বিরোধী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা।
সোমবার ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির ভোটাধিকার প্রয়োগে যোগ্য চার হাজার ৫০০ জনের বেশি আইনপ্রণেতাদের মধ্যে ৯৫ শতাংশেরও বেশি আইনপ্রণেতা ভোট দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
ভারতে রাষ্ট্রপতি সরাসরি জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত নয়। দেশটির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলগুলোর বিধায়ক, লোকসভা ও রাজ্যসভার নির্বাচিত সাংসদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হয়। কিন্তু এই নির্বাচনের ক্ষেত্রে সকল বিধায়ক ও নির্বাচিত সংসদদের ভোটের মূল্য ভিন্ন ভিন্ন হয়
বাংলাদেশের মতো ভারতীয় রাষ্ট্রপতি হলেন আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রপ্রধান যিনি নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করেন না।
কে এই মুর্মু?
দ্রৌপদী মুর্মু ১৯৫৮ সালের ২৯ জুন স্বাধীন ভারতে জন্মগ্রহণ করেন। মুর্মু ১৯৭৯ সালে তিনি স্নাতক শেষ করেন এবং স্কুল শিক্ষক হওয়ার আগে একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।
তিনি পরবর্তীকালে পূর্ব ভারতীয় রাজ্য ওডিশার রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি প্রথমে স্থানীয় নাগরিক সংস্থার কাউন্সিলর এবং তারপর একজন বিধায়ক নির্বাচিত হন।
দুই মেয়াদের বিধায়ক ২০০০ সালে ওডিশা সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন এবং প্রায় ১৫ বছর পরে মুর্মু প্রতিবেশি পূর্ব রাজ্য ঝাড়খণ্ডের প্রথম নারী রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নেন।
ব্যক্তিগত জীবনে মুর্মু তার স্বামী ও দুই ছেলেকে হারিয়েছেন। তার স্বামী হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান এবং তার দুই ছেলের মধ্যে একজনকে ২০০৯ সালে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার একটি মেয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে
ভারতের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন প্রথম আদিবাসী নারী রাজনীতিবিদ
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৫৭ কোটি ৫১ লাখেরও বেশি
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭ কোটি ৫৭ লাখের বেশিও।
বৈশ্বিক ডাটা অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭ কোটি ৫১ লাখ ৫৪ হাজার ২২৫ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬৪ লাখ তিন হাজার ১৬১ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ২১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৯২ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৫১ হাজার ৯৯৬ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬৩ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫৫ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ৩৩ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে ৪৩০ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ২৬৬ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ এক হাজার ৭৭৫ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ছয় হাজার ১০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: একদিনে বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ১ হাজার ২৩৮
এ সময় শনাক্তের হার সাত দশমিক চার শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ২৭০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৩৫ হাজার ৯৬৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৭১ শতাংশ।