বিশ্ব
মধ্যপ্রদেশে প্রেমে বিচ্ছেদ থেকে ভবনে আগুন, নিহত ৭
ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের স্বর্ণবাগ কলোনিতে শনিবার ভোররাতে একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে সাতজন নিহত হয়েছেন। রবিবার মধ্যপ্রদেশ পুলিশের বরাত দিয়ে ভোপাল থেকে হিন্দুস্তান টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
ইন্দোরের পুলিশ কমিশনার এইচ এন মিশ্র বলেছেন, ‘শনিবার ভোররাতে স্বর্ণবাগ কলোনির একটি ভবনে আগুন লাগে। এতে কয়েকজন জীবন্ত পুড়ে এবং কয়েকজন শ্বাসরোধে মারা যান। এটি একটি জনবহুল ভবন ছিল।’
নিহতরা হলেন-ঈশ্বর সিং সিসোদিয়া (৪৫), নীতু সিসোদিয়া (৪৫), আশিস (৩০), গৌরব (৩৮) ও আকাঙ্ক্ষা (২৫)। এছাড়া নিহতদের মধ্যে ৪০ থেকে ৪৫ বছর বয়সী দুজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানায়, শুভম দীক্ষিত ওরফে সঞ্জয় নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভবনটিতে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। ২৮ বছর বয়সী শুভমের ওই ভবনের এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা যায়। ওই নারী তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে অন্যজনকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তারপরও তাকে ফিরে পেতে চেয়েছিল শুভম।
আরও পড়ুন: কমলাপুর রেলস্টেশনে কনটেইনারে আগুন
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, শনিবার গভীর রাতে লোহামান্ডি থেকে শুভমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পালানোর চেষ্টা করলে তিনি পা ও হাতে আঘাত পান।
বিজয় নগর থানার ইনচার্জ তেহজিব কাজী বলেন, পুলিশ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং পরে তাকে গ্রেপ্তার করে। রবিবার তাকে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ঝাঁসির বাসিন্দা শুভম স্বর্ণবাগ কলোনির ওই ভবনে মায়ের সঙ্গে থাকা এক নারীকে নিয়ে বিপর্যস্ত ছিলেন। ওই নারী অন্যজনকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
তিনি পুলিশকে জানান, তারা একটি সম্পর্কে ছিল। এমনকি তাকে ১০ হাজার টাকা ধার দিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি অন্য কারো সঙ্গে বাগদান করেছেন।
তেহজিব কাজী বলেন, ‘শুক্রবার গভীর রাতে তিনি ওই নারীকে টাকার জন্য ডাকেন। (ভবনের কাছে) আলাপ দ্রুতই একটি তিক্ত বাগ বিতণ্ডায় পরিণত হয়। তিনি তাকে হুমকি দেন। পরে তিনি ভবনের পার্কিং এলাকায় এসে একটি বাইক থেকে পেট্রোল বের করে ওই নারীর স্কুটিতে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।’
আরও পড়ুন: সিলেটে হকার্স মার্কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণে
তদন্তের সময় কমপক্ষে ১০০ সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করেছে পুলিশ। একটি ভিডিও ক্লিপে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে ভবনে ঢুকতে দেখেছে এবং পরে স্কুটিতে আগুন লাগিয়ে ভবন থেকে বেরিয়ে আসতে দেখেছে।
শনিবার দড়ি দিয়ে নিরাপদে ভবন থেকে বেরিয়ে আসেন ওই নারী ও তার মা। পুলিশ জানিয়েছে, তারা ওই নারীর জবানবন্দি নথিভুক্ত করবেন।
ইউক্রেনীয় স্কুলে রাশিয়ার বোমা হামলায় বহু নিহতের আশঙ্কা
ইউক্রেনের একটি স্কুলে রাশিয়ার বোমা হামলায় বহু ইউক্রেনীয় নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
স্কুলটিতে প্রায় ৯০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন।
লুহানস্ক প্রদেশের গভর্নর সের্হি হাইদাই বলেছেন, বিলোহোরিভকা গ্রামের স্কুলে শনিবারের বোমা হামলার পর আগুন ধরে যায়। জরুরি কর্মীরা দুটি লাশ খুঁজে পেয়েছেন এবং ৩০ জনকে উদ্ধার করেছেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের ইস্পাত কারখানা থেকে আরও ৫০ নাগরিক সরিয়ে নেয়া হলো
টেলিগ্রাম ম্যাসেজিং অ্যাপে তিনি লেখেন, ‘সম্ভবত, ধ্বংসস্তূপের নিচে থাকা ৬০ জনের সবাই এখন মৃত।’
এছাড়া নিকটবর্তী শহর প্রিভিলিয়ায় রাশিয়ার গোলার আঘাতে ১১ ও ১৪ বছর বয়সী দুজন ছেলে নিহত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
লুহানস্ক প্রদেশটি ডনবাস নামে পরিচিত পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পের কেন্দ্রস্থল তৈরি করা দুটি এলাকার মধ্যে একটি। ইউক্রেনের রাজধানী দখল করতে ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে রাশিয়া তার আক্রমণ ডনবাসে কেন্দ্রীভূত করেছে। এই এলাকায় মস্কো সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ২০১৪ সাল থেকে লড়াই করছে এবং কিছু অঞ্চল দখলও করেছে।
আরও পড়ুন: মারিউপোলে ইস্পাত কারখানায় অবরুদ্ধ সেনাদের আত্মসমর্পণে অস্বীকৃতি
নারীরা বোরকা না পরলে জেল হতে পারে পুরুষদের!
আফগানিস্তানের নারীদের জনসমক্ষে আপাদমস্তক ঢাকা পোশাক পরার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর এ আদেশ লঙ্ঘন হলে পুরুষ অভিভাবকদের শাস্তির বিধান রেখে আদেশ জারি করেছে দেশটির তালেবান সরকার।
শনিবার সরকার কর্তৃক জারিকৃত এক আদেশে বলা হয় নারীরা শুধুমাত্র প্রয়োজন হলেই বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন।
আদেশে আরও বলা হয়, নারীদের ড্রেস কোড লঙ্ঘনের দায়ে তাদের পুরুষ আত্মীয়দের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এর প্রেক্ষিতে সমন জারি হওয়া থেকে শুরু করে আদালত পেরিয়ে জেলেও যেতে হতে পারে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ঘরের বাইরে নারীদের বোরকা পরার নির্দেশ
যদিও দেশটিতে তালেবান নেতৃত্বের জারি করা দমনমূলক আদেশের সবগুলোই বাস্তবায়িত হয়নি। উদাহরণস্বরূপ গত মাসে তালেবান নারীদের একা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলেও বিরোধিতার মুখে নীরব থেকেছে তালেবান প্রশাসন।
রবিবার রাজধানী কাবুলের রাস্তায় অনেক নারীকে আগের মতোই বড় শাল পরতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাতজন নিহত
রেকর্ড ভেঙে ২৬তম বার এভারেস্ট চূড়ায় কামি রিতা
২৬তম বারের মতো বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট চূড়ায় আরোহণ করেছেন অভিজ্ঞ শেরপা গাইড কামি রিতা। এর মাধ্যমে সবচেয়ে বেশিবার এভারেস্ট চূড়ায় আরোহণে নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙেছেন এই নেপালি শেরপা।
রবিবার অভিযাত্রী দলটির সংগঠকেরা এ তথ্য জানিয়েছে।
পর্বতারোহীদের একটি দলকে নেতৃত্ব দিতে কামি রিতা শনিবার সন্ধ্যায় আট হাজার ৮৪৯ মিটার (২৯ হাজার ৩২ ফুট) চূড়ায় পৌঁছেছেন। তিনি রুট বরাবর দড়ি স্থির করেছেন, যাতে অন্যান্য পর্বতারোহী ও গাইড এই মাসের শেষের দিকে পাহাড়ের চূড়ায় যেতে পারে।
আরও পড়ুন: কিউবায় পাঁচ তারকা হোটেলে বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ২৭, অনুসন্ধান অব্যাহত
কাঠমান্ডুভিত্তিক সেভেন সামিট ট্রেকসের মিংমা শেরপা বলেন, রিতা এবং অন্য ১০ শেরপা গাইড কোনো সমস্যা ছাড়াই চূড়ায় পৌঁছেছেন এবং নিরাপদে শিবিরে ফিরে এসেছেন।
৫২ বছর বয়সী রিতা ১৯৯৪ সালে প্রথম এভারেস্টে চড়েছিলেন এবং তারপর থেকে তিনি প্রায় প্রতি বছরই পর্বত আরোহণ করে যাচ্ছেন।
তার বাবাও একজন শেরপা গাইড ছিলেন। এভারেস্টে ছাড়াও তিনি বিশ্বের আরও কয়েকটি সর্বোচ্চ শৃঙ্গ যেমন কে-২,চো-ওয়ু, মানাসলু ও লোটসেও আরোহণ করেছেন।
উল্লেখ্য, মে মাস এভারেস্টে ওঠার জন্য সেরা সময়, কেননা এসময় এখানকার আবহাওয়া সবচেয়ে ভালো থাকে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ঘরের বাইরে নারীদের বোরকা পরার নির্দেশ
কিউবায় পাঁচ তারকা হোটেলে বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ২৭, অনুসন্ধান অব্যাহত
কিউবার রাজধানী হাভানার হোটেল সারাটোগা বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। শনিবার পর্যন্ত ২৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার প্রাকৃতিক গ্যাস লিক হওয়ায় ৯৬ রুমের হোটেলটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। পুরাতন হাভানার ১৯ শতকে তৈরি এই স্থাপনাটিতে বিস্ফোরণের সময় কোনও অতিথি ছিল না। মহামারির দুই বছর হোটেলটি বন্ধ ছিল, এরপর মঙ্গলবার ফের চালু হওয়ার পরও হোটেলটির সংস্কার কাজ চলছিল।
শনিবার সন্ধ্যায় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিচালিত হাসপাতালের প্রধান ডা. জুলিও গুয়েরা ইজকুয়ের্দো ৮১ জন আহতসহ ২৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। নিহতদের মধ্যে চার শিশু ও এক গর্ভবতী নারীর কথাও জানান তিনি।
স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো সানচেজ এক টুইটে জানান, নিহতদের মধ্যে একজন স্প্যানিশ পর্যটক রয়েছেন এবং অন্য একজন স্প্যানিশ গুরুতর আহত হয়েছেন।
কিউবান কর্তৃপক্ষও পর্যটকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং তার সঙ্গী আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে।
কিউবান পর্যটন মন্ত্রী ডালিলা গঞ্জালেজ বলেছেন, একজন কিউবান-আমেরিকান পর্যটকও আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাতজন নিহত
হোটেলটির মালিক গ্রুপো দে তুরিসমো গাভিওটা এসএ-এর প্রতিনিধিরা শনিবার একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন,৫১ জন কর্মী সেসময় হোটেলের ভিতরে ছিলেন; পাশাপাশি দু'জন লোক সংস্কারে কাজ করছেন। এদের মধ্যে ১১ জন নিহত, ১৩ জন নিখোঁজ এবং ছয়জন হাসপাতালে ভর্তি।
পর্যটন মন্ত্রী গঞ্জালেজ বলেছেন, বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে এখনও তদন্ত চলছে। তবে একটি বড় ক্রেন দিয়ে শনিবার ভোরে হোটেলের ধ্বংসস্তূপ থেকে একটি পোড়া গ্যাস ট্যাঙ্কার তোলা হয়েছে।
যদিও কোনও পর্যটক আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি, তবে বিস্ফোরণটি দেশটির পর্যটন শিল্পের জন্য আরেকটি ধাক্কা।
কারণ করোনাভাইরাস মহামারির ফলে কিউবার পর্যটনশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তারও আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত কঠোর নিষেধাজ্ঞা বাইডেন প্রশাসন বহাল রাখায় দেশটির পর্যটনশিল্পকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে দ্বীপদেশটিতে মার্কিন পর্যটকদের ভ্রমণ সীমিত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত কিউবানদের পক্ষ থেকে কিউবায় নিজেদের পরিবারের কাছে রেমিট্যান্স পাঠানোয় সীমাবদ্ধতা ছিল।
এই বছরের শুরুর দিকে পর্যটনশিল্প কিছুটা পুনরুজ্জীবিত হতে শুরু করে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রুশ দর্শনার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর শনিবার এক সফরে হাভানায় পৌঁছেছেন। রবিবার সকালে তিনি দিয়াজ ক্যানেলের সঙ্গে দেখা করার এবং রবিবার রাতে মেক্সিকোতে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কিউবায় পাঁচ তারকা হোটেলে বিস্ফোরণে নিহত ২২, আহত ৭৪
ইউক্রেনের ইস্পাত কারখানা থেকে আরও ৫০ নাগরিক সরিয়ে নেয়া হলো
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৫১ কোটি ৭০ লাখ ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী চলমান করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫১ কোটি ৭০ লাখ ছাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫১ কোটি ৭০ লাখ ৫৮ হাজার ৯৭১ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬২ লাখ ৫০ হাজার ৫২৪ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা আট কোটি ১৮ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪৪ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৯ লাখ ৯৭ হাজার ৫০৩ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৩০ লাখ ৯৮ হাজার ৭৪৩ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ২৪ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় শনাক্ত ১০, মৃত্যু নেই
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শনিবার পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যায়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১০ জন। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৭ জন এবং মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৭৭৬ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ৬৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ।
দেশে মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২১৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ২৬৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ১৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা শনাক্ত আরও ১৯
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৫১ কোটি ৫৫ লাখ ছাড়াল
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাতজন নিহত
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ একই পরিবারের সাতজন নিহত হয়েছে। শনিবার উত্তর ভারতীয় রাজ্য উত্তর প্রদেশে একটি ব্যস্ত এক্সপ্রেসওয়েতে একটি ব্যক্তিগত গাড়ির অন্য একটি গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, এক শিশুসহ নিহত সকলেই একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। পথে রাজ্যের মথুরা শহরে যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, দুর্ঘটনায় গাড়ির সব যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় অন্য গাড়ির দুই যাত্রী আহত হন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় টুইট করে জানিয়েছে, নরেন্দ্র মোদি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতের মধ্যপ্রদেশে ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৭
এক পুলিশ অফিসার বলেছেন, এ দুর্ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি চার মিনিটে একটি ঘটছে। এই দুর্ঘটনাগুলির জন্য প্রায়ই ভাঙা রাস্তা, বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং ট্রাফিক আইনের প্রতি অমনোযোগকে দায়ী করা হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত সরকারের প্রয়োগ করা কঠোর ট্র্যাফিক আইনও দুর্ঘটনার লাগাম টানতে ব্যর্থ হয়েছে। দেশটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর এক লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণ যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০
আফগানিস্তানে ঘরের বাইরে নারীদের বোরকা পরার নির্দেশ
আফগানিস্তানে ঘরের বাইরে নারীদের সম্পূর্ণ শরীর ঢাকা বোরকা পরার নির্দেশ দিয়েছে তালেবান সরকার।
এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে ক্ষমতায় থাকার সময়ও নারীদের ওপর একই ধরনের নির্দেশ জারি করেছিল তালেবান।
তালেবানের ভাইস অ্যান্ড ভার্চু মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী খালিদ হানাফি বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের বোনেরা মর্যাদা ও নিরাপত্তার সঙ্গে বাঁচুক।’
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে মসজিদে বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩
ভাইস অ্যান্ড ভার্চু মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা শির মোহাম্মদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘সকল সম্মানিত আফগান নারীদের হিজাব পরা আবশ্যক এবং সব চেয়ে ভালো হিজাব হলো চাদরি (মাথা থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত বোরকা)। এটি আমাদের ঐতিহ্যের অংশ ও মর্যাদাপূর্ণ।’
আদেশে আরও বলা হয়েছে, যদি নারীদের বাইরে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ না থাকে তবে তাদের ঘরে থাকাই ভালো।
হানাফি বলেন, ‘ইসলামি নীতি ও আদর্শ আমাদের কাছে অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: ‘আফগানিস্তান যুদ্ধের অবশিষ্ট অস্ত্রের বিস্ফোরণে ৪ শিশু নিহত’
ভারতের মধ্যপ্রদেশে ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৭
ভারতের মধ্যপ্রদেশে শনিবার ভোরে একটি আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাতজন মারা গেছে এবং পাঁচজন আহত হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজ্যের রাজধানী ভোপাল থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে ইন্দোর শহরের স্বর্ণবাগ কলোনির ভবনের বেসমেন্টে ভোর ৪টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রলে আনে।
ঊর্ধ্বতন এক ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনের সব বাসিন্দারা ঘুমিয়ে ছিলেন। দমকলকর্মীরা ভবন থেকে সাতটি দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এছাড়া নয়জনকে জীবিত উদ্ধার করে পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
আগুন লাগার ঘটনায় ভবনের মালিক আনসার প্যাটেলকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ভবনে কোনো অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থাপন না করার জন্য অবহেলার কারণে মৃত্যুর জন্য মামলা করা হয়েছে।’
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এ দুর্ঘটনায় টুইটারে শোক জানিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী টুইট পোস্টে বলেন, ‘মৃতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা পরিবারগুলোর সদস্যরা যেন এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারেন এবং আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।’
আগুন লাগার ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার কর্মকর্তারা।
প্রাথমিক তদন্ত বেসমেন্টে একটি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পড়ুন: কিউবায় পাঁচ তারকা হোটেলে বিস্ফোরণে নিহত ২২, আহত ৭৪
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৫১ কোটি ৬৬ লাখ ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী চলমান করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫১ কোটি ৬৬ লাখ ছাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫১ কোটি ৬৬ লাখ ৪৮ হাজার ৯০৪ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬২ লাখ ৪৯ হাজার ৫২৪ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা আট কোটি ১৮ লাখ ৩১ হাজার ৮৫৪ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৯ লাখ ৯৭ হাজার ৩১৮ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় একদিনে ১ হাজার ৬৯৫ মৃত্যু
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৩০ লাখ ৯৪ হাজার ৯৩৮ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৪ হাজার দুই জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যায়নি। এসময় নতুন শনাক্ত হয়েছে আরও ১৯ জন। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৭ জন এবং মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৭৬৬ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৪৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ।
দেশে মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যু এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৫৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৪৬ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ১৫ শতাংশ।
কোভিড আরোগ্য সূচকে বিশ্বে বাংলাদেশ ৫ম
করোনা থেকে আরোগ্য লাভের সূচকে আট ধাপ এগিয়ে বিশ্বব্যাপী ১২১টি দেশের মধ্যে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা শনাক্ত ৩০
বৃহস্পতিবার (৫ মে) প্রকাশিত নিকেই কোভিড-১৯ আরোগ্য সূচকের সর্বশেষ সংস্করণে ৮০ স্কোর নিয়ে কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কম্বোডিয়া এবং রুয়ান্ডার পরেই বাংলাদেশ রয়েছে।
তালিকার অন্যান্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে, নেপাল ৬ষ্ঠ, পাকিস্তান ২৩তম, শ্রীলঙ্কা ৩১তম এবং ভারত ৭০তম রয়েছে।