বিশ্ব
পৃথিবী অপরিবর্তনীয় জলবায়ু বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার সতর্ক করেছেন যে পৃথিবী অপরিবর্তনীয় ‘জলবায়ু বিপর্যয়ের’ দিকে যাচ্ছে।
তিনি মিশরে আসন্ন জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে নিঃসরণ কমাতে, জলবায়ু অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে নবায়নযোগ্য শক্তিতে তাদের স্থানান্তর ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সহায়তা করে বিশ্বকে পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের ২৭তম বার্ষিক সম্মেলন (কপ-২৭) আমাদের গ্রহের জন্য জলবায়ু বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রয়োজনীয় আস্থা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জায়গা হতে হবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করবে জাতিসংঘ ও এডিবি: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, মিশরের শহর শারম আল-শেখে ৬ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া কপ-২৭ এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল হল নির্গমন দ্রুত কমাতে সুস্পষ্ট রাজনৈতিক ইচ্ছা থাকা।
গুতেরেস বলেন, ‘এর জন্য উন্নত দেশ ও উদীয়মান অর্থনীতির মধ্যে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি প্রয়োজন। আর যদি সেই চুক্তি না হয়, আমরা ধ্বংস হয়ে যাব।’
চুক্তিতে মহাসচিব বলেছেন যে ধনী দেশগুলোকে বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর সহায়তার সঙ্গে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করতে হবে। যাতে উদীয়মান অর্থনীতিগুলো তাদের নবায়নযোগ্য শক্তিতে স্থানান্তর গতিশীল করতে সহায়তা করে।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েক সপ্তাহের প্রতিবেদনে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির একটি পরিষ্কার ও সতর্কমূলক চিত্র দেখা গেছে, যেখানে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন রেকর্ড মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেখানে বিজ্ঞানীদের ভাষ্য মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ শতাংশ কমানো প্রয়োজন।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ২০১৫ সালে গৃহীত যুগান্তকারী প্যারিস চুক্তিতে বলা হয়েছিল যে এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ প্রাক-শিল্প সময়ের তুলনায় বৈশ্বিক তাপমাত্রা সর্বাধিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে এবং তা যতটা সম্ভব এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি হবে।
গুতেরেস বলেছেন যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন এখন ১০ শতাংশ বৃদ্ধির পথে এবং শতাব্দীর শেষ নাগাদ বর্তমান নীতির অধীনে তাপমাত্রা দুই দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে।
তিনি সতর্ক করেন, ‘এবং এর অর্থ এই দাঁড়ায় যে আমাদের গ্রহ এমন এক অবস্থায় যাচ্ছে যেখানে জলবায়ু বিপর্যয়কে অপরিবর্তনীয় করে তুলবে এবং চিরতরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঘটাবে।’
আরও পড়ুন: আধুনিক সন্ত্রাসবাদ দমনে জাতিসংঘকে ৫ লাখ ডলার দেবে ভারত
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৬৩ কোটি ৬৮ লাখ ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩ কোটি ৬৮ লাখ অতিক্রম করেছে।
সর্বশেষ বৈশ্বিক পরিসংখ্যান অনুসারে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩ কোটি ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫৮ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৬৬ লাখ এক হাজার ৭৩৪ জনে পৌঁছেছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার ৯১ জন এবং মোট মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮১জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে শুক্রবার পর্যন্ত মোট শনাক্ত চার কোটি ৪৬ লাখ ৫৭ হাজার ১৪৯ জন এবং একই সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩০ হাজার ৪৬১ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এসময়ে নতুন করে ১৪০ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৪২৫ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৫ হাজার ৬৫৭ জনে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ৫১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্ত হার ৩ দশমিক ১০ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩১৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৮১ হাজার ৬৭৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৬৩ কোটি ৬২ লাখ ছাড়াল
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬৩ কোটি ৬০ লাখের কাছাকাছি
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬৩ কোটি ৫৩ লাখের কাছাকাছি
ইমরান খানের ওপর হামলার নিন্দা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ 'কঠোর ভাষায়' পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের ওপর গুলি চালানোর নিন্দা করেছেন।
তিনি এ হামলার বিষয়ে অবিলম্বে প্রতিবেদন চেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ তার ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে দেয়া এক পোস্টে বলেছেন, ‘আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঘটনার বিষয়ে অবিলম্বে একটি প্রতিবেদনের জন্য নির্দেশ দিয়েছি।’
এছাড়াও তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং অন্যান্য আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
পাকিস্তানে সরকারবিরোধী সমাবেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গুলিবিদ্ধ
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সরকারবিরোধী সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দেশটির পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশের ওয়াজিরাবাদ জেলায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
দলের একজন সিনিয়র নেতা ও পুলিশ জানিয়েছে, ইমরান খানকে বহনকারী একটি কনটেইনার ট্রাকে একজন বন্দুকধারী গুলি চালায়, এতে তিনি সামান্য আহত হন এবং এসময় তার কযেকজন সমর্থকও আহত হন।’
দলের কর্মকর্তা আসাদ উমর বলেছেন, খানের পায়ে আঘাত লেগেছে, তবে তিনি গুরুতর কোনও আঘাত পাননি।
সরকারকে আগাম নির্বাচন আয়োজনে বাধ্য করার লক্ষ্যে দেশজুড়ে লংমার্চ পালনের অংশ হিসেবে বুধবার ওয়াজিরাবাদে সমাবেশ করছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সমাবেশ শেষে খান রাজধানী ইসলামাবাদের দিকে ট্রাক ও গাড়ির একটি বড় বহর নিয়ে যাত্রা করেন। সেখানেই অজ্ঞাত বন্দুকধারীর হামলার মুখে পড়েন তিনি।
খানকে পরে পায়ে ব্যান্ডেজ দিয়ে দেখা যায়।
আহত হওয়ার পরে তাকে তার কন্টেইনার ট্রাক থেকে অন্য গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে তার সামান্য আহত হওয়ার খবর ঘোষণা করা হয়।
ঘোষণা অনুযায়ী, তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফের কিছু সমর্থকও আহত হয়েছেন।
গত এপ্রিলে দেশটির পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই ইমরান খান অভিযোগ করেছেন যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ষড়যন্ত্র করেছে।
যদিও তার এই দাবি নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ও ওয়াশিংটন উভয়ই অস্বীকার করেছে।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৬৩ কোটি ৬২ লাখ ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩ কোটি ৬২ লাখ অতিক্রম করেছে।
সর্বশেষ বৈশ্বিক পরিসংখ্যান অনুসারে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩ কোটি ৬২ লাখ ৭১ হাজার ৫৯ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৬৫ লাখ ৯৭ হাজার ৩৭৯ জনে পৌঁছেছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ৯৪ লাখ ৯৫ হাজার ৯৩২ জন এবং মোট মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৯৬ হাজার ৭০০জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে বুধবার পর্যন্ত মোট শনাক্ত চার কোটি ৪৬ লাখ ৫৫ হাজার ৮২৮ জন এবং একই সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩০ হাজার ৪৫২ জনে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬৩ কোটি ৬০ লাখের কাছাকাছি
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬৩ কোটি ৫৩ লাখের কাছাকাছি
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬৩ কোটি ৫০ লাখ ছাড়াল
‘ঈশ্বরের ইচ্ছা’, গুজরাটে ব্রিজ ধসে ১৩৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় এক অভিযুক্তের মন্তব্য
ভারতের গুজরাটে মোরবি ব্রিজ ধসে ১৩৫ জন নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তি এই দুর্ঘটনাকে ‘ঈশ্বরের ইচ্ছা’ বলে জানিয়েছেন। বুধবার মোরবি সেতু রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ওরেভা কোম্পানির ব্যবস্থাপক দীপক পারেখ দেশটির আদালতে কথা বলার সময় এ মন্তব্য করেন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, রবিবার ব্রিজটি ভেঙে পড়ার পর গ্রেপ্তার হওয়া নয়জনের মধ্যে তিনি একজন।
তিনি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম জে খানকে জানিয়েছেন, ‘... ভগবান কি ইচ্ছা (ঈশ্বরের ইচ্ছা), তাই এমন একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে।’
মোরবি পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট পিএ জালা আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন, মোরবি সেতুর তারে ‘মরিচা পড়ে গেছে’ এবং সংস্কারের সময় এটি বদলানো হয়নি।’
আরও পড়ুন: গুজরাটে ঝুলন্ত সেতু দুর্ঘটনায় গ্রেপ্তার ৯
এনডিটিভির প্রতিবেদনে পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করা হয়েছে, গত ২৬শে অক্টোবর কোনো অফিসিয়াল পর্যালোচনা বা মান নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই মোরবি সেতুটি যান চলাচলের জন্য আবার খুলে দেয়া হয়।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘দেড়শ বছরের পুরনো সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের অংশ হিসেবে শুধুমাত্র প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন করা হয়েছিল। সেতুটি একটি তারের উপর ছিল এবং তারে কোন তেল বা গ্রীসিং করা হয়নি। যেখান থেকে তারটি ভেঙ্গে গেছে, সেখানকার তারে মরিচা ধরেছে। তারটি মেরামত করা হলে, ঘটনাটি ঘটত না।’
একজন প্রসিকিউটরের মতে, গুজরাটের ধসে পড়া মোরবি ব্রিজ মেরামতকারী ঠিকাদাররা পাবলিক অবকাঠামো মেরামত কাজে অযোগ্য ছিল। প্রসিকিউটরের মতে, ‘তা সত্ত্বেও এই ঠিকাদারদের ২০০৭ সালে এবং তারপর ২০২২ সালে সেতু মেরামতের কাজ দেয়া হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: 'ফিটনেস সার্টিফিকেট' ছাড়াই খুলে দেয়া হয় মোরবি সেতু!
গুজরাটে সেতু ভেঙে নিহত বেড়ে ১৪১
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬৩ কোটি ৬০ লাখের কাছাকাছি
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩ কোটি ৬০ লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে।
বিশ্বব্যাপী করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩ কোটি ৫৯ লাখ ৭৯ হাজার ১১৩ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া, এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫ লাখ ৯৫ হাজার ৬৫৭ জনে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ৯৪ লাখ ৯৫৯ জন এবং মোট মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৯৫ হাজার ৬৪৬ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে বুধবার সকাল পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে চার কোটি ৪৬ লাখ ৫৪ হাজার ৬৩৮ জন এবং একই সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৯ হাজার ৭৭ জনে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬৩ কোটি ৫০ লাখ ছাড়াল
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে নতুন করে ৯৪ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৪২৪ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৪ জনে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্ত হার ৩ দশমিক ০৬ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৭৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৮১ হাজার ১০২জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ১, শনাক্ত ৯৪
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬৩ কোটি ৫৩ লাখের কাছাকাছি
১০ মার্কিন নাগরিক ৪ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা ইরানের
মানবাধিকার লঙ্ঘন, ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং সহিংসতা ও দাঙ্গা উসকে দেয়ার জন্য ১০ মার্কিন ব্যক্তি এবং চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইরান। সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি এই ‘অঞ্চলে বিপজ্জনকক ও সন্ত্রাসবাদী পদক্ষেপ’ মোকাবিলা করতে ইরানের আইনগত কর্তৃপক্ষের দ্বারা এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরমাণু আলোচনায় গ্যারান্টি বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা মার্কিন ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টকম) কমান্ডার মাইকেল কুরিলা, সেন্টকমের ডেপুটি কমান্ডার গ্রেগরি গিলোট, মার্কিন উপ-সচিব অব দ্য ট্রেজারি ওয়ালি অ্যাডেইমো ও অন্যান্যরা।
এছাড়া নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ইউনাইটেড অ্যাগেইনস্ট নিউক্লিয়ার ইরান, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, নবম বিমান বাহিনী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গার্ড।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের ভিসা পেতে এবং ইরানে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ করবে এবং ইরানের অভ্যন্তরে তাদের সম্পদ এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো জব্দ করা হবে।
আরও পড়ুন: হিজাব ইস্যু: মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
ইরানে বিক্ষোভ: সমর্থন জানাতে চুল কাটলেন অস্কার বিজয়ীরা
গুজরাটে ঝুলন্ত সেতু দুর্ঘটনায় গ্রেপ্তার ৯
ভারতের গুজরাট রাজ্যে ঝুলন্ত সেতু দুর্ঘটনার তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ সোমবার ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিছুদিন আগে মেরামত করা ১৪৩ বছর বয়সী সেতুটির ছিঁড়ে পড়ার ঘটনা দেশটির সবচেয়ে খারাপ দুর্ঘটনাগুলোর একটি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় শতাধিক মানুষ নদীর পানিতে ডুবে যায় এবং এখন পর্যন্ত ১৩৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
মৃতদের পরিবারের শোক দেখে ১৮০০-এর দশকের শেষের দিকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার সময় নির্মিত পথচারীদের জন্য এই ঝুলন্ত সেতু কেন ছিঁড়ে পড়ল এবং এর জন্য দায়ী কে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মাত্র চার দিন আগেই সেতুটি খুলে দেয়া হয়।
ইন্সপেক্টর জেনারেল অশোক যাদব বলেন যে পুলিশ একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে এবং গ্রেপ্তারদের মধ্যে ব্রিজ অপারেটর ওরেভা গ্রুপের ম্যানেজার ও এর কর্মকর্তারাও রয়েছে।
যাদব বলেন, ‘আমরা দোষীদের রেহাই দেব না, কাউকে ছাড় দেব না।’
আরও পড়ুন: গুজরাটে সেতু ভেঙে নিহত বেড়ে ১৪১
গুজরাট কর্তৃপক্ষ ওরেভার বিরুদ্ধে সন্দেহজনক অপরাধমূলক হত্যা, অপরাধমূলক হত্যার চেষ্টা এবং অন্যান্য লঙ্ঘনের জন্য একটি মামলা দায়ের করেছেন।
সেতুটি অতীতে বেশ কয়েকবার মেরামত করা হয়েছে এবং বছরের পর বছর ধরে এর অনেকগুলো মূল অংশ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
এটি প্রায় সাত মাস পরে ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষের প্রথম দিনে আবার চালু করা হয় এবং যা শত শত দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
মোরবি কর্মকর্তা সন্দীপ সিংহ জালা বলেন, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সংবাদপত্র অনুসারে কোম্পানিটি প্রথমে ফিটনেস সার্টিফিকেট না নিয়েই সেতুটি আবার খুলে দেয়। এটি স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি, তবে কর্মকর্তারা বলেছেন যে তারা তদন্ত করছেন।
আরও পড়ুন: গুজরাটে সেতু ভেঙে ৯১ জনের মৃত্যু
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শত শত মানুষের ভারে সেতুটি ধসে পড়েছে।
সেতুটি মাঝখানে বিভক্ত হয়ে হাঁটার পথটি নিচে ঝুলছিল এবং এর তারগুলো ছিঁড়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত ১৩৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে এবং অনেককে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গুজরাটের তথ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা জিগার খুন্ট বলেছেন, অন্তত ১৭৭ জনকে নদী থেকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুজরাটে সাততলা ভবন থেকে লিফট ছিঁড়ে পড়ে নিহত ৮
মার্কিন সতর্কতা সত্ত্বেও ওপেকের সিদ্ধান্তে তেল উৎপাদন কমাবে সৌদি ও আবুধাবি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্তকতাকে আমলে না নিয়ে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত তেল উৎপাদন কমানোর জন্য ওপেক এবং তার মিত্রদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে। এর আগে মার্কিন দূত বিশ্বের সামনে ‘অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা’ সম্পর্কে সতর্ক করেছিল।
সোমবার আবুধাবি আন্তর্জাতিক পেট্রোলিয়াম প্রদর্শনী ও সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরবকে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোকে সমর্থন করতে দেখা যায়।
সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রী যুবরাজ আবদুল আজিজ বিন সালমান ইভেন্টের সংক্ষিপ্ত মন্তব্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে আসন্ন জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষ সম্মেলন মিশর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: সৌদির বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ২৪ নারী গৃহকর্মী উদ্ধার
যুবরাজ করতালি দিয়ে বললেন, ‘আমরা আমাদের ছাড়া অন্য কারও ওপর নির্ভরশীল নই।’
আমিরাতের জ্বালানি মন্ত্রী সুহেল আল-মাজরুই সেই কথারই প্রতিধ্বনি করেছেন।
আল-মাজরুই বলেছেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারে যে ওপেক ও ওপেক+ এর সহকর্মীরা বিশ্বকে প্রয়োজনীয় সেবা দিতে আগ্রহী। ‘তবে আমরা বিশ্বের একমাত্র তেল উৎপাদনকারী নই।’
ওপেক ও রাশিয়ার নেতৃত্বে অন্যান্য দেশগুলোর একটি ছোট কনফেডারেশন অক্টোবরের শুরু থেকে নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত দিনে ২ মিলিয়ন ব্যারেল তেলের উৎপাদন কমাতে সম্মত হয়েছিল।
সৌদি আরবের নেতৃত্বে ওপেক জোর দিয়ে বলেছে যে বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগতা থেকেই তাদের সিদ্ধান্ত এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিশ্লেষকরা পশ্চিমের মুদ্রাস্ফীতি এবং পরবর্তী সুদের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে খাদ্য ও তেলের সরবরাহ প্রভাবিত হওয়ার কারণে মন্দার আশঙ্কা করছেন।
রাষ্ট্রয়াত্ত্ব আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতান আহমেদ আল জাবের জোর দিয়ে বলেছেন যে ‘বৈশ্বিক অর্থনীতি ঝুঁকির মুখে রয়েছে’।
আমেরিকান রাজনীতিবিদরা ইতোমধ্যে পেট্রলের দাম বাড়ানোর সম্ভাব্য সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নৌপরিবহন খাতে সৌদি বিনিয়োগের আশ্বাস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গডড়ে এক গ্যালন গ্যাসোলিনের দাম এখন তিন দশমিক ৭৬ ডলার- যদিও তা জুন মাসে গ্যালনপ্রতি রেকর্ড পাঁচ ডলার থেকে কম। বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেল সোমবার ব্যারেল প্রতি ৯৫ ডলারে উঠেছিল।
জ্বালানি বিষয়ক মার্কিন দূত আমোস হোচস্টেইন বলেছেন, ‘আমি মনে করি দিনের শেষে, আমরা বিশ্বব্যাপী একটি অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হচ্ছি’।
হচস্টেইন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইভেন্টের পরে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করেন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জুলাই মাসে সৌদি আরব সফর করেছিলেন এবং একটি বৈঠকের আগে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
সম্প্রতি সৌদি আরবকে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘তারা যা করেছে, ইতোমধ্যে তার প্রভাব পড়ছে।’
সৌদি আরব পাল্টা জবাব দিয়ে প্রকাশ্যে দাবি করেছে যে বাইডেন প্রশাসন ওপেক-এর তেল উৎপাদন কমাতে এক মাস সময় বাড়াতে চেয়েছে।
২০১৮ সালের সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাশোগির জঘন্য হত্যাকাণ্ডের পর থেকে রিয়াদ এবং ওয়াশিংটনের মধ্যকার সম্পর্কে দূরত্ব এসেছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিশ্বাস করে যে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিব: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী