বিশ্ব
শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে ২১ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
শ্রীলঙ্কায় গত ৪৮ ঘণ্টায় বন্যা ও ভূমিধসে পাঁচ হাজারের বেশি পরিবারের ২১ হাজার ৮৮৮ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসময় দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ডিএমসি জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে দেশটির ১১১টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এছাড়া নিরাপত্তার জন্য ২৬৪ জনকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে- হাম্বানটোটা, গলে, ত্রিনকোমালি, কিলিনোচ্চি, গাম্পাহা, কলম্বো, পুট্টালাম ও ক্যান্ডি।
ডিএমসি আরও জানিয়েছে, আগামী দিনগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: হংকংয়ে রেকর্ড ৪৯.৯ মিলিয়ন ডলারে গোলাপী হীরা বিক্রি
জাপানের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়লো উ. কোরিয়া
থাইল্যান্ডে দিবাযত্ন কেন্দ্রে হামলা, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬
যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী হলেন জেরেমি হান্ট
যুক্তরাজ্যের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব জেরেমি হান্টকে দেশটির অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শুক্রবার ডাউনিং স্ট্রিট এক বিবৃতিতে তথ্যটি জানিয়েছে।
৫৫ বছর বয়সী হান্ট কোয়াসি কোয়ার্টেংকয়ের স্থলাভিষিক্ত হন। কোয়াসিকে তার মিনি-বাজেটকে অর্থনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য দায়ী করার পর বরখাস্ত করা হয়।
টুইটারে কোয়াসি তার অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সরে আসার বিষয়ে বলেন, ‘আপনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাকে আপনার চ্যান্সেলর (অর্থমন্ত্রী) পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বলেছেন। তা আমি মেনে নিয়েছি।’
কোয়াসির ডাউনিং স্ট্রিটের অফিসে ছিলেন মাত্র ৩৮ দিন। সময়ের হিসাবে চ্যান্সেলর পদে সবচেয়ে কম সময় দায়িত্ব পালন করা অর্থমন্ত্রী তিনি।
গত মাসে তার পেশ করা মিনি-বাজেটে বিতর্কিত ঋণ-তহবিলযুক্ত ট্যাক্স কাটছাঁট এর উল্লেখ রয়েছে। যেখানে দেখানো হয় যে ব্রিটিশ পাউন্ড ইউএস ডলারের বিপরীতে ৩৭ বছরে সবচেয়ে নিচে নেমে গেছে। এজন্য তাকে অর্থনৈতিক অস্থিরতার জন্য দায়ী করা হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং বরখাস্ত
প্রচণ্ড চাপের মধ্যে কোয়ার্টেং সর্বোচ্চ উপার্জনকারীদের জন্য ৪৫ শতাংশ আয়কর হার বাতিল করার পরিকল্পনায় এই মাসের শুরুতে একটি ইউটার্ন নিয়েছিল।
তিনি তার পদত্যাগপত্রে বলেন, ‘যেমনটি আমি গত সপ্তাহগুলোতে অনেকবার বলেছি, ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং বিদ্যুতের দামের মতো সমস্যাগুলোকে মোকাবিলা করার জন্য ‘স্থিতাবস্থা অনুসরণ’ করার আর কোনও ‘বিকল্প ছিল না’। অনেক দিন ধরেই এই দেশটি নিম্ন প্রবৃদ্ধির হার ও উচ্চ করের কারণে আটকে আছে। যদি এই দেশকে সফল করতে হয় তবে তা পরিবর্তন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের নতুন রাজাকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
যুক্তরাজ্যে শিশুদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন, টিকটককে গুনতে হতে পারে বড় জরিমানা
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬২ কোটি ৯৩ লাখ ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬২ কোটি ৯৩ লাখ ছাড়িয়েছে।
বৈশ্বিক ডাটা অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬২ কোটি ৯৩ লাখ ৯৫ হাজার ৯৬৭ জন এবং মারা গেছেন ৬৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮৪৪ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ৮৮ লাখ ১৪ হাজার তিন জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৯০ হাজার ২৮৯ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৪৬ লাখ ২৩ হাজার ৯৯৭ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৮ হাজার ৮৫৭ জনে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬২ কোটি ৮৯ লাখ ছাড়াল
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে চারজন মারা গেছেন। এসময়ে নতুন করে ৩৪৬ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩৯৩ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৭ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ৮৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্ত হার ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৬৮৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৭৩ হাজার ৭২ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ১১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও ৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৪৬
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬২ কোটি ৮৩ লাখ ছাড়িয়েছে
তুরস্কে কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে নিহত ২৫
তুরস্কের উত্তরাঞ্চলের একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আরও কয়েক ডজন মানুষ খনিতে আটকা পড়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে কৃষ্ণ সাগরের উপকূলীয় প্রদেশ বারতিনের আমাসরা শহরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টিটিকে আমাসরা মুসেসি মুদুরলুগু খনিতে এ বিস্ফোরণ ঘটে।
স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় খনিতে আটকা পড়া মানুষদের খনি থেকে বাইরে আনতে উদ্ধারকর্মীরা রাতভর অভিযান চালিয়েছে।
জ্বালানি মন্ত্রী ফাতিহ ডনমেজ বলেন,প্রাথমিকভাবে জানা যায় যে বিস্ফোরণটি সম্ভবত ফায়ারড্যাম্পের কারণে হয়েছে। ফায়ারড্যাম্প হচ্ছে কয়লা খনিতে থাকা দাহ্য গ্যাস।
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু সাংবাদিকদের বলেন, বিস্ফোরণের সময় খনিতে ১১০ জন শ্রমিক ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় কয়লা খনি বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৫২
মন্ত্রী জানান, বিস্ফোরণের পর অধিকাংশ শ্রমিককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তিনি এখনও আটকা পড়াদের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলেননি। তবে বলেছেন, ৪৯ জনের মধ্যে কয়েকজনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক অবস্থার সম্মুখীন হয়েছি যে অনুশোচনা হচ্ছে। জনগণকে জানাতেও দুঃখ হচ্ছে।’
বার্টিনের গভর্নরের কার্যালয় জানায়, বিস্ফোরণে ২৫ জন নিহত হয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেটিন কোকা জানান, অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে আটজন নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন।
তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, পার্শ্ববর্তী প্রদেশগুলোসহ বেশ কয়েকটি উদ্ধারকারী দলকে ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: তুরস্কে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৫
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ঘোষণা করেন যে তিনি দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর দিয়ারবাকিরে পূর্বনির্ধারিত সফর বাতিল করছেন এবং উদ্ধার অভিযান সমন্বয়ের জন্য আমাসরা যাচ্ছেন।
তিনি বলেন,ঘটনার তদন্তে তিনজন প্রসিকিউটরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এরদোয়ান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের আশা প্রাণহানি যেন আর না বাড়ে এবং আমাদের খনি শ্রমিকরা যেন রক্ষা পায়। আমরা সে লক্ষ্যেই সকল প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’
বেসরকারি সংবাদ সংস্থা ডিএইচএ জানিয়েছে, আটকে পড়া স্বজন, বন্ধু ও সহকর্মীদের খবর নিতে অসংখ্য মানুষ খনিতে ছুটে এসেছেন।
২০১৪ সালে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর খনি বিপর্যয়ে পশ্চিম তুরস্কের সোমা শহরে একটি কয়লা খনিতে আগুনে ৩০১ জন মারা যান।
আরও পড়ুন: তুরস্কে রাশিয়া ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক
ডেঙ্গু: তাকেদার টিকার অনুমোদনের সুপারিশ ইএমএ’র
ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) শুক্রবার জাপানি ফার্মাসিউটিক্যাল তাকেদা’র তৈরি ডেঙ্গু টিকার অনুমোদনের সুপারিশ করেছে। যা ভয়াবহ এ রোগের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী কয়েক লাখ মানুষের জন্য লড়াইয়ে নতুন কার্যকর হাতিয়ার হতে পারে।
শুক্রবার ইইউ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইএমএ এক বিবৃতিতে বলেছে, চার ধরনের ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে চার বছর বা তার বেশি বয়সের যে কেউ এই টিকা নিতে পারে। বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ৩৯০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ভাইরাল এই রোগে আক্রান্ত হয়। এরমধ্যে কমপক্ষে ২৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়, যার বেশিরভাগই শিশু।
ইএমএ জানায়, ‘বর্তমান টিকার সুবিধা ও নিরাপত্তা ১৯টি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে মূল্যায়ন করা হয়েছে, যা ১৫ মাস থেকে ৬০ বছর বয়সী ২৭ হাজারেরও বেশি লোককে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।’
গবেষণায় দেখা গেছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া থেকে বিরত রাখতে তাকেদা’র টিকা প্রায় ৮৪ শতাংশ কার্যকরী এবং টিকা দেয়ার চার বছর পর পর্যন্ত সংক্রমণ রোধে প্রায় ৬১ শতাংশ কার্যকর থাকে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: ৩১০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
ল্যাটিন আমেরিকার ১২০টি এবং এশিয়ার অনেক দেশে গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ ডেঙ্গু। এ রোগের কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। যদিও প্রায় ৮০ শতাংশ রোগীর সংক্রমণ মৃদু। অধিকাংশ রোগীর জানানো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা ও পেশী ব্যথা।
মশার মাধ্যমে ছড়ানো এ রোগ গুরুতর হলে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত, অঙ্গহানি এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
২০১৭ সালে সানোফি পাস্তুরের ডেঙ্গু ভ্যাকসিন ‘ডেঙ্গুভ্যাক্সিয়া’ ফিলিপাইনে জনস্বাস্থ্য সঙ্কট শুরু করার পরে তাকেদা ভ্যাকসিনের সুপারিশ করা হয়। ডেঙ্গুভ্যাক্সিয়া টিকা এমন লোকেদের দেহে গুরুতর রোগের ঝুঁকি বাড়ায়, যারা আগে ডেঙ্গুতে সংক্রমিত হয়নি। এমনকি এর ফলে ১০০টিরও বেশি শিশুর মৃত্যু হয়।
সমালোচকরা অভিযোগ করেছেন, সানোফি ভ্যাকসিনটি ফিলিপাইনজুড়ে প্রায় আট লাখ অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুর ওপর প্রয়োগ করা হয়েছিল। অনেক বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাকে ‘অযথা তাড়াহুড়ো করে’ ভ্যাকসিনটি সুপারিশ করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
প্রসিকিউটররা বলেছিলেন যে এর ফলেই এই মৃত্যু ঘটে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগে একবার সানোফি পাস্তুর ভ্যাকসিনটি নিরাপদ বলে উপসংহারে পৌঁছেছিল। কিন্তু পরে বলেছে যে পরীক্ষা করে শুধুমাত্র আগে যে শিশুদের ডেঙ্গু হয়েছিল, শুধুমাত্র সেসব শিশুকেই এই টিকা দেয়া উচিত।
ইএমএ বলেছে, তাকেদা ভ্যাকসিনের অনুমোদনের অর্থ হল ‘বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের ওপর সৃষ্ট হুমকি মোকাবিলার করা’।
সংস্থাটি আরও জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলোর আস্থা থাকা উচিত যে ভ্যাকসিনটি নিরাপদ ও কার্যকর।
ম্যালেরিয়ার পরে, উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে ফিরে আসা ইউরোপীয় ভ্রমণকারীদের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি।
ইন্দোনেশিয়া তাকেদা ভ্যাকসিনের লাইসেন্স দেয়া প্রথম দেশ। সেপ্টেম্বর মাসে দেশটি তাকেদা ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে চলতি বছরে একদিনে সর্বোচ্চ ৮ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গু সবচেয়ে বেশি কক্সবাজারে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
মন্দার ‘খুব কাছাকাছি’ বিশ্ব অর্থনীতি: বিশ্বব্যাংক প্রধান
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেছেন, মন্দার ‘খুব কাছাকাছি’ রয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। কেননা বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, সুদের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা উন্নয়নশীল বিশ্বকে জর্জরিত করছে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির জন্য আমরা ২০২৩ সালের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৩ শতাংশ থেকে ১ দশমিক ৯ শতাংশে নামিয়ে এনেছি, এটি ভয়াবহভাবে বিশ্ব মন্দার কাছাকাছি।’
বৃহস্পতিবার আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক বৈঠকের সময় এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যালপাস এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংককে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান নসরুল হামিদের
তিনি উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ঋণ বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে বলেন, ‘মানুষ যে সব সমস্যাগুলো প্রকাশ করেছে যেমন- মুদ্রাস্ফীতি সমস্যা, সুদের হার বৃদ্ধি এবং উন্নয়নশীল বিশ্বে মূলধন প্রবাহের পরিমাণ হ্রাস দরিদ্র দেশগুলোকে চাপে ফেলেছে।
ম্যালপাস বলেন, ‘নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে একটি বিশ্ব মন্দা ঘটতে পারে।’
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বিশ্বব্যাংক সতর্ক করেছিল যে সারা বিশ্বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো একযোগে মুদ্রাস্ফীতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে সুদের হার বাড়িয়েছে, এর ফলে বিশ্ব ২০২৩ সালে বৈশ্বিক মন্দার দিকে অগ্রসর হতে পারে। বিশ্বব্যাংক এ সময়ে প্রবৃদ্ধি শুধুমাত্র ০.৫ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সিনহুয়ার করা এক প্রশ্নের জবাবে ম্যালপাস বলেছেন, বিশ্বে প্রতি বছর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ১ শতাংশ ধরা হয়েছে। ‘সুতরাং যদি বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির তুলনায় অনেক ধীর গতিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়, তার মানে মানুষ পিছিয়ে পড়ছে।’
বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে ম্যালপাস বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি ১৯৯০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য-হ্রাস প্রচেষ্টায় সবচেয়ে বড় আঘাত হেনেছে। এই মহামারি ২০২০ সালে প্রায় ৭০ মিলিয়ন মানুষকে চরম দারিদ্রের দিকে ঠেলে দিয়েছে এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ এ পরিস্থিতি আরও খারাপ করার ঝুঁকিতে ফেলেছে।
যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং বরখাস্ত
যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেংকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউকে প্রধানমন্ত্রী ট্রাস শুক্রবার মিনি-বাজেটের কিছু অংশে ইউ-টার্ন ঘোষণা করবেন এমন জল্পনা-কল্পনার মধ্যে খবরটি আসে।
এর মানে হলো যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর পদে সবচেয়ে কম সময়ের রেকর্ডে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসলো কোয়ার্টেং এর নাম।
১৯৭০ সালে চাকরি নেয়ার ৩০ দিন পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সবচেয়ে কম সময়ের চ্যান্সেলর বা অর্থমন্ত্রী ইয়ান ম্যাক্লিওড।
২০১৯ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের চারজন চ্যান্সেলর হয়েছেন। যার মধ্যে নাদিম জাহাভি যিনি বরিস জনসনের অধীনে একটি স্বল্পস্থায়ী রদবদলের সময় ৬৩ দিনের জন্য তৃতীয় সংক্ষিপ্ততম মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং সাজিদ জাভিদ যিনি ২০৪ দিন দায়িত্ব পালন করেছিলেন। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর চতুর্থ সংক্ষিপ্ততম মেয়াদ ছিল।
কোয়াসি কোয়ার্টেং- যিনি যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর হিসাবে তার চাকরির বাইরে রয়েছেন – কেবলমাত্র তিনি নিশ্চিত করেছেন যে তিনি ছেড়ে দেয়ার পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস তাকে বরখাস্ত করেছেন।
তিনি খবরটি নিশ্চিত করে একটি চিঠি টুইট করেছেন, বলেছেন যে তাকে ‘একপাশে দাঁড়াতে বলা হয়েছে’।
অর্থনৈতিক স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের এ পরিকল্পনার জন্য শুভকামনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে সহকর্মী এবং বন্ধু ছিলাম।’
তিনি নেপথ্যে থেকে ট্রাসের প্রতি তার সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ২৩ সেপ্টেম্বর তার মিনি-বাজেটের পরে বাজারের অস্থিরতা স্বীকার করেছেন কোয়ার্টেং।
তিনি লিখেছেন যে তার পরিকল্পনা প্রকাশের পর ‘অর্থনৈতিক পরিবেশ দ্রুত পরিবর্তিত হয়েছে’ যার মধ্যে রয়েছে ৪৫ বিলিয়ন ইউরো ট্যাক্স কর্তন করে সরকারি ঋণে অর্থায়ন করা।
কোয়ার্টেং বলেছেন, ‘আমরা যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি তা অবিশ্বাস্যভাবে কঠিন জেনেই কাজটি নিয়েছিলাম।’
তিনি যে পদক্ষেপগুলো ঘোষণা করেছিলেন সেগুলোর পক্ষ নিয়ে তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং বিদ্যুতের দামের মতো সমস্যাগুলোকে মোকাবিলা করার জন্য ‘স্থিতাবস্থা অনুসরণ’ করার আর কোনও ‘বিকল্প ছিল না’।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বৃহস্পতিবার
যুক্তরাজ্যে শিশুদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন, টিকটককে গুনতে হতে পারে বড় জরিমানা
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬২ কোটি ৮৯ লাখ ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬২ কোটি ৮৯ লাখ ছাড়িয়েছে।
বৈশ্বিক ডাটা অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬২ কোটি ৮৯ লাখ এক হাজার ৪৯৫ জন এবং মারা গেছেন ৬৫ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৯ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ৮৭ লাখ ৭৯ হাজার ৯৪৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৮৯ হাজার ৯১৬ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ছাড়াল
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৪৬ লাখ ২১ হাজার ৩১৯ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৮ হাজার ৮৪৭ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছেন। এসময়ে নতুন করে ৪৪৫ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩৮৯ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩১ হাজার ৪৫১ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬২ কোটি ৬৬ লাখ ছাড়াল
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ৯৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্ত হার আট দশমিক ৯২ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬৫ লাখ ৫৫ হাজার ছাড়াল
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৬৮৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৭২ হাজার ৩৮৬ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৯ শতাংশ।
নর্থ ক্যারোলিনায় গুলিতে নিহত ৫, সন্দেহভাজন আটক
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের একজন মেয়র জানিয়েছেন, একটি আবাসিক এলাকায় বন্দুকধারীর গুলিতে একজন পুলিশ অফিসারসহ কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
রালেয় এর মেয়র মেরি-অ্যান বাল্ডউইন সাংবাদিকদের বলেছেন, বিকাল ৫টার দিকে নিউজ রিভার গ্রিনওয়েতে একাধিক লোককে গুলি করা হয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে এলাকার একটি বাসভবনে ‘ঘিরে’ রাখা হয়েছে।
নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরজ্যের গভর্নর কুপার সন্ধ্যা ৭টার কিছু আগে এক টুইটে বলেন, ‘রাজ্য এবং স্থানীয় কর্মকর্তারা মাঠে রয়েছেন এবং বন্দুকধারীকে থামাতে এবং মানুষকে নিরাপদ রাখতে কাজ করছেন।’
এর আগে ওয়েকমেড হাসপাতালের মুখপাত্র দেব লাঘেরি বলেছেন, গুলিতে আহত কমপক্ষে চারজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, তবে তাৎক্ষণিকভাবে অন্য কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
পুলিশ এলাকার বেশ কয়েকটি রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে এবং আইন প্রয়োগকারীর সংস্থার অনেক যানবাহন রাস্তায় এবং দোতলা বাড়ির ড্রাইভওয়েতে পার্ক করতে দেখা গেছে। আশেপাশের এলাকাটি নিউজ রিভার গ্রিনওয়ে টেইল এর সীমানা এবং রালেয়’স ডাউনটাউন থেকে প্রায় ৯ মাইল (১৪ কিলোমিটার) দূরে।
রালেয় পুলিশ বিভাগ টুইটারের মাধ্যমে এক বিবৃতিতে এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ির ভিতরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
হিজাব নিষিদ্ধে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিভক্ত রায়
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার কর্ণাটক রাজ্যে শ্রেণিকক্ষে হিজাব নিষিদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে একগুচ্ছ পিটিশনে বিভক্ত রায় দিয়েছেন
হিজাব হল মুসলিম নারীদের মাথার স্কার্ফ। মুসলমানরা ভারতে একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।
দক্ষিণ ভারতের রাজ্য সরকার এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্কুল, কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ করে। রাজ্যের হাইকোর্ট কর্তৃক আদেশটি বহাল করা হয়।
আরও পড়ুন: হিজাব ইস্যু: ইরানিদের ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ
বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও সুধাংশু ধুলিয়ার শীর্ষ আদালতের একটি বেঞ্চ বৃহস্পতিবার সকালে বিভক্ত রায়টি দিয়েছে। যা বৃহত্তর এক বেঞ্চকর্তৃক আবেদনগুলোর শুনানির পথ প্রশস্ত করেছে।
বিচারপতি গুপ্তা হিজাব নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে আবেদন খারিজ করে দিলেও বিচারপতি ধুলিয়া এক্ষেত্রে অনুমতি দেন।
বিচারপতি ধুলিয়া বলেন, ‘এটি শেষ পর্যন্ত পছন্দের বিষয় ছাড়া ভিন্ন কিছু নয়। আমার মনে সবকিছুর ঊর্ধ্বে মেয়েশিশুদের শিক্ষা। আমি আমার বিচারকের (ভাই সম্বোধন করে) বক্তব্যে শ্রদ্ধার সঙ্গে একমত নই।’
শীর্ষ আদালত ২২ সেপ্টেম্বর হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে অস্বীকার করে কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনের ওপর তার আদেশ সংরক্ষণ করে।
কর্ণাটকের উডুপি জেলায় একটি সরকারি কলেজ ছয়জন কিশোর ছাত্রকে শ্রেণিকক্ষে হিজাব পরতে বাধা দেয়ার প্রেক্ষাপটে এই ইস্যুটি শুরু হয়৷
এই পদক্ষেপটি রাজ্যে ব্যাপক বিক্ষোভের জন্ম দেয়। যা রাজ্য সরকারকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘ধর্মীয় পোশাক’ পড়ার ওপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে প্ররোচিত করে।
আরও পড়ুন: পুলিশের ইউনিফর্মে হিজাব যুক্ত করল নিউজিল্যান্ড
কর্ণাটকে হিজাব বিতর্ক: বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের অভিমত আদালতের