%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় কাজ করছে অপো
গ্রাহকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিরত কাজ করে যাচ্ছে অপো। অপো মনে করে, গ্রাহকের গোপনীয় তথ্য সুরক্ষার গুরুত্ব সর্বাগ্রে। আর সেভাবেই অপোর সব ডিভাইস ডিজাইন করা হয়ে থাকে।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অপো জানায়, তারা ব্যবহারকারীর ডাটা নিরাপদ রাখতে অনবরতভাবে নিরাপত্তা পদ্ধতি আপগ্রেড করে যাচ্ছেন। উদাহরণস্বরূপ অপোর সর্বশেষ বাজারে আসা এ১৬ ফোনের অ্যাপ লকে অ্যাপ হাইডিং অপশন সাব-ফিচার হিসেবে রাখা হয়নি। এটি এখন অ্যাপ লকের সাথে একই সেটিং পেইজে বিদ্যমান। তাই এখন থেকে কেউ আর ব্যবহারকারীর তথ্য অপব্যবহার করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: উন্নত ফাইভ-জি অভিজ্ঞতা দিতে একসাথে কাজ করবে অপো-এরিকসন
তাছাড়া, কমপ্লায়েন্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে অপো সবসময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডাটা সুরক্ষা সম্পর্কিত ‘জেনারেল ডাটা প্রোটেকশন রেগুলেশন’ বিধি মানতে বাধ্য। তাইতো অপো কোন অবস্থাতেই সম্মতি ছাড়া কারো ডাটা জমা রাখে না। ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ রাখতে অপোর ‘এনক্রিপশন ও ডাটা অ্যাকসেস রেসট্রিকশন’ এর মতো অপশন রয়েছে।
আরও পড়ুন: অপোর ‘গেজ দ্য স্টোরি’: অসমাপ্ত গল্প শেষ করতে পারলে পুরস্কার
এছাড়া, ডাটা সুরক্ষায় অপোর রয়েছে নিজস্ব অ্যান্ড্রয়েড কাস্টমাইজড্ অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) কালারওএস সিস্টেম অপটিমাইজার এবং ভাইরাস ও ম্যালওয়ার থেকে রক্ষা সুরক্ষা দিতে অপো ফোনের রয়েছে অ্যাভাস্ট পাওয়ার্ড অ্যান্টিভাইরাস। ফলে অযাচিত বাইরের আক্রমণ থেকে ফোন থাকে নিরাপদে। অপো ভক্তদের ব্যক্তিগত তথ্যের সর্বোচ্চ নির্ভরতা দিতে বিশ্বব্যাপী অপো ডাটা সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট খুলেছে ও একজন ডাটা প্রটেকশন অফিসার নিয়োগ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: অপো এ১৬ এর নতুন সংস্করণ এখন বাজারে
ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০৩০ প্রতিবেদন প্রকাশ হুয়াওয়ে’র
আগামী দশকের প্রবণতাগুলো সম্পর্কে জানতে ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০৩০ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হুয়াওয়ে। শিল্পখাতের অংশীদারদের অংশগ্রহণে চীনের শেনজেনে ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০৩০ ফোরামে হুয়াওয়ের আইসিটি প্রোডাক্টস অ্যান্ড সল্যুশনের নির্বাহী পরিচালক ও প্রেসিডেন্ট ডেভিড ওয়্যাং প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন।
পরবর্তী দশকের ইনটেলিজেন্ট বিশ্ব ও শিল্পখাত সংশ্লিষ্ট পূর্বাভাস জানাতে হুয়াওয়ে এ প্রতিবেদন তৈরির জন্য প্রথমবারের মতো কোয়ান্টেটিভ ও কোয়ালিটেটিভ মেথড ব্যবহার করেছে।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে ‘প্রাইম মিনিস্টার অ্যাওয়ার্ড’ পেলো হুয়াওয়ে
গত তিন বছরে হুয়াওয়ে এক হাজারেরও বেশি একাডেমিক, ক্রেতা ও শিল্পখাতের অংশীদারদের সাথে বিস্তৃত পরিসরে কাজ করেছে। এরই অংশ হিসেবে দুই হাজারেরও বেশি কর্মশালা আয়োজন করেছে এবং জাতিসংঘ, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলোর তথ্য ও পদ্ধতি ব্যবহার করেছে।
এছাড়াও এ প্রতিবেদন তৈরির জন্য হুয়াওয়ে নেচার ও আইইইই এর মতো বৈজ্ঞানিক জার্নাল থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়েছে এবং শিল্পখাত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও কনসাল্টিং ফার্মসহ হুয়াওয়ের নিজস্ব ও বাইরের বিশেষজ্ঞদের থেকে পরামর্শ নিয়েছে। এমন সামগ্রিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে হুয়াওয়ে ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০৩০ প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে, যা পরবর্তী দশকের আইসিটি প্রযুক্তি ও এর ব্যবহারিক প্রবণতাগুলো সম্পর্কে অগ্রিম বার্তা দিবে বিশ্বাস সংশ্লিষ্টদের।
প্রতিবেদনে ম্যাক্রো স্তরে অনুসন্ধানের জন্য আটটি ক্রস-ডিসিপ্লিনারি ও ক্রস-ডোমেন নির্দেশনা প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে আইসিটি প্রযুক্তি কীভাবে মানুষের উন্নয়নের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে এবং এটি কীভাবে প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে নতুন সম্ভাবনা বয়ে আনতে পারে সে বিষয়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে শিল্প পর্যায়ে কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক, কম্পিউটিং, ডিজিটাল পাওয়ার ও ইনটেলিজেন্ট অটোমেটিভ সল্যুশন এ দিকগুলো নিয়ে আলোচনা ও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তফা জব্বার
এ বিষয়ে হুয়াওয়ের আইসিটি প্রোডাক্টস অ্যান্ড সলিউশনের নির্বাহী পরিচালক ও প্রেসিডেন্ট ডেভিড ওয়্যাং বলেন, ‘৩০ বছর আগে আমরা যোগাযোগের মাধ্যমে জীবনকে সমৃদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ১০ বছর আগে একটি উন্নত ও সংযুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতে আমরা বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তকে কানেক্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বর্তমানে আমাদের লক্ষ্য হলো একটি সম্পূর্ণ সংযুক্ত ইনটেলিজেন্ট বিশ্বের জন্য প্রতিটি ব্যক্তি, ঘর ও প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনা। আমরা দৃঢ় বিশ্বাস, খুব দ্রুতই আমরা একটি ইনটেলিজেন্ট বিশ্বে বাস করবো।’
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ফিউচারিস্ট স্টিভেন জনসন, ওয়ার্ল্ড ইলেকট্রিক ভেহিকেল অ্যাসোসিয়েশনের ফাউন্ডিং ও রোটেটিং চেয়ারম্যান চেন কিংকুয়ান, রোল্যান্ড বার্গ গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির কো-প্রসিডেন্ট ডেনিস ডেপক্স ও চায়না একাডেমি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির (সিএআইসিটি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়্যাং ঝিকিনসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০৩০ ফোরামের মাধ্যমে হুয়াওয়ে প্রথমবারের মত পরবর্তী দশক সম্পর্কে তাদের অত্যাধুনিক গবেষণা ও সম্ভাবনার বিষয়গুলো তুলে ধরেছে।
আরও পড়ুন: ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি ও ট্রিপল ক্যামেরার বাজেট ফোন এ১৬
উন্নত ফাইভ-জি অভিজ্ঞতা দিতে একসাথে কাজ করবে অপো-এরিকসন
বিশ্বব্যাপী পঞ্চম বা ফাইভ-জি প্রযুক্তির উন্নয়নে একসাথে কাজ করবে অপো ও সুইডিশ বহুজাতিক নেটওয়ার্কিং এবং কমিউনিকেশন কোম্পানি এরিকসন। ফাইভ-জি এর উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় অপো কমিউনিকেশন ল্যাব উন্নয়নে কাজ করবে স্টকহোম ভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্ট এরিকসন।
অপোর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: অপোর ‘গেজ দ্য স্টোরি’: অসমাপ্ত গল্প শেষ করতে পারলে পুরস্কার
এতে বলা হয়, নতুন আপগ্রেড কমিউনিকেশন ল্যাবের মাধ্যমে অপো এখন পরিপূর্ণভাবে ফাইভ-জির আরএফ ফ্রন্ট-অ্যান্ড, সফটওয়্যার আপডেট, রিজিওনাল টিউনিং ও টেস্টিংয়ের মতো গবেষণা ও উন্নয়নের (আরঅ্যান্ডডি) বিষয়গুলো অনুধাবন করতে পারছে। ফলে আগামীতে সর্বশেষ ফাইভ-জি প্রযুক্তি সম্বলিত অপো ফোন বাজারে পাওয়া যাবে।
অপো কমিউনিকেশন ল্যাবে তিনটি প্রধান মডিউল ব্যবহার করা হয়েছে: রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ল্যাব, প্রটোকল ল্যাব ও নেটওয়ার্ক সিমালটেশন ল্যাব। এর মধ্যে নেটওয়ার্ক সিমালটেশন ল্যাব নিয়ে কাজ করছে অপো ও এরিকসন এবং প্রটোকল ল্যাব নিয়ে কাজ করছে অপো ও শীর্ষস্থানীয় টেস্টিং প্রযুক্তি সরবরাহদাতা কিসাইট।
আরও পড়ুন: অপো এ১৬ এর নতুন সংস্করণ এখন বাজারে
অপোর প্রোডাক্ট স্ট্র্যাটেজি প্লানিং ও অপারেশন সেন্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জেনারেল ম্যানেজার ক্রিস শু জানান, অপোর ফাইভ-জি ভেঞ্চারে কমিউনিকেশন ল্যাব নতুন মাইলফলক এবং এটি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর সাথে অপোর সম্পর্ককে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে। ফাইভ-জির দ্রুত সম্প্রসারণময় এই সময়ে আমরা এরিকসন ও কিসাইটের সাথে যুক্ত হতে পেরে আনন্দিত। এতে করে বিশ্ববাজারে অপোর ফাইভ-জি ইকোসিস্টেম সম্প্রসারণ ও নিজেদের ঝালাই করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বল্প বাজেটে অলরাউন্ডার ফোন এ১৬ আনছে অপো
গনি এরিকসনের কর্মকর্তা ম্যাগনাস ইওরব্রিং বলেন, ‘এরিকসন ও অপোর মধ্যে সবসময় সুসম্পর্ক বিদ্যমান। আমরা বিশ্বাস করি, অপোর কমিউনিকেশন ল্যাব বিশ্বব্যাপী ফাইভ-জির বাণিজ্যিককরণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতে ফাইভ-জির নতুন নতুন বিষয় নিয়ে অপোর সাথে কাজ করার জন্য আমরা মুখিয়ে আছি।’
ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তফা জব্বার
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশে রাষ্ট্রায়ত্ব মোবাইল অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
ফাইভ-জি প্রযুক্তির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ‘ফাইভ জি: ইকোসিস্টেম ইন বাংলাদেশ এন্ড আপকামিং টেকনোলজিস’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে মন্ত্রী এ কথা জানান।
টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) ওয়েবিনারটি আয়োজন করে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালুর প্রক্রিয়া সরকারের একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা। ডিসেম্বরের মধ্যেই টেলিটকের মাধ্যমে ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু হবে। পরবর্তীতে তা বিস্তৃত হবে। ২০২২ সালের মধ্যে অন্য অপারেটরদেরও ফাইভ-জি নিয়ে আসতে দেখবো।’
জনগণের সম্পৃক্ততা না থাকলে প্রযুক্তির সফলতা পাওয়া যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই প্রযুক্তি সম্পর্কে জনগণকে উদ্বুদ্ধ ও সম্পৃক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি হবে ফাইভ-জি। আমরা এরই মধ্যে হুয়াওয়ে ও রবি’র মাধ্যমে ফাইভ-জি টেস্ট করেছি, যা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। এর মাধ্যমেই আমরা বোঝাতে পেরেছি ফাইভ-জি প্রযুক্তি নিয়ে আমরা একচুলও পিছিয়ে থাকব না।’
আরও পড়ুন: বিনা ও বিনা’র বিজ্ঞানীর আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ‘এ বছরের মধ্যেই ঢাকা শহরে ফাইভ-জি চালুর বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। এ লক্ষ্যে রাষ্ট্রায়ত্ব মোবাইল অপারেটর টেলিটক প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে। ব্রডব্যান্ড নীতিমালা তৈরির কাজ চলমান আছে। এর আগেই আমরা সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসবো এবং তাদের মতামত নেয়া হবে।’
বিটিআরসি’র কমিশনার ও ফাইভ-জি গাইডলাইন কমিটির প্রধান এ কে এম শহিদুজ্জামান বলেন, ‘ফাইভ-জি ইস্যুতে বিটিআরসি এরই মধ্যে অপারেটর, টেলিকম খাত সংশ্লিষ্ট এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে। মোবাইল অপারেটরগুলোর জন্য একটি কমন গাইডলাইন তৈরিতে কাজ চলছে, যা ফাইভ-জি বিস্তারে ভূমিকা রাখবে। বিটিআরসি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনুকরণে তুলনামূলক কম দামে তরঙ্গ বরাদ্দে কাজ করছে এবং এ বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত বিদ্যমান অপারেটরগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত করা হবে।’
রবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অ্যাক্টিং সিইও) এম রিয়াজ রশিদ বলেন, ‘ফাইভ-জি থেকে চলেছে পরবর্তী টেলিকম সেবার মান নির্ধারক। এক্ষেত্রে শুধু বিটিআরসি কিংবা অপারেটরগুলো এককভাবে সুফল বয়ে আনতে পারবে না। সকলের সমন্বিত চেষ্টার প্রয়োজন আছে। কারণ ফাইভ-জির সুফল পেতে প্রযুক্তি, স্পেকট্রামের পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, ‘টিআরএনবি’র এ আয়োজন খুবই উৎসাহদায়ক এবং সময়োপযোগী। টেলিকম শিল্প সংশ্লিষ্ট সকলে মিলে ফাইভ-জি ইকোসিস্টেম উন্নয়নে কাজ করছি। ফাইভ-জির সুফল পেতে প্রযুক্তি, ডিভাইস, ফাইবার, টাওয়ার অবকাঠামো ও স্পেকট্রাম একে অপরের পরিপূরক। ফাইভ-জি নিশ্চিতে কতটা সুলভে স্পেকট্রাম বরাদ্দ করা সম্ভব হবে, সে বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।’
এমটবের চেয়ারম্যান ও বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী এরিক কর্মকর্তা (সিইও) এরিক অস বলেন, ‘টিআরএনবি ফাইভ-জি প্রযুক্তি বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান। ফাইভ-জি প্রযুক্তিকে প্রয়োগের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা প্রয়োজন। তাই, ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে স্পেকট্রাম নীতি সঠিকভাবে পর্যালোচনা করতে হবে।’
টেলিটকের এমডি মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ফাইভ-জি চালু করতে চেষ্টা করছি। দেশে ফাইভ-জি নিশ্চিতের জন্য আমাদের ডিভাইস ও হ্যান্ডসেটের সক্ষমতা এবং উচ্চমানের ফাইবার প্রয়োজন। এছাড়াও, ফোর জি’র তুলনায় ফাইভ জি’র স্পেকট্রাম সক্ষমতার হার বেশি। যেখানেই ফাইভ-জি সংযোগের প্রয়োজন হবে, আমরা সেখানে পৌঁছে যাব এবং স্মুথ নেটওয়ার্ক স্থাপন করব।’
পড়ুন: অপোর ‘গেজ দ্য স্টোরি’: অসমাপ্ত গল্প শেষ করতে পারলে পুরস্কার
ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি ও ট্রিপল ক্যামেরার বাজেট ফোন এ১৬
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিওও তাও গুয়াংয়াও বলেন, ‘ফোর জি জীবন বদলে দিয়েছে, ফাইভ-জি সমাজ বদলে দিবে। ফোর জি ও এর আগের নেটওয়ার্কগুলো যা করতে পারেনি, ফাইভ-জি সেগুলো করার ক্ষমতা রাখে। তাছাড়া, সার্ভিস অভিজ্ঞতা উন্নত করতে এবং শিল্পের ডিজিটাল ও ইন্টেলিজেন্ট রূপান্তরের জন্য ফাইভ জি অপরিহার্য।’
এলএম এরিকসন (বাংলাদেশ)-এর কান্ট্রি ম্যানেজার আবদুস সালাম বলেন, ‘ফাইভ-জি’র জন্য মূলত ১৮’শ থেকে ২১’শ ফ্রিকোয়েন্সি প্রয়োজন। আমাদের ডাইন্যামিক স্পেকট্রাম শেয়ারিং’র জন্য যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আমরা বিআরটিসি’র লাইসেন্সের জন্য অপেক্ষা করছি এবং ফাইভ-জি সংযোগের জন্য প্রয়োজনীয় সকল নেটওয়ার্ক ও প্রযুক্তি বাস্তবায়নে উন্মুখ হয়ে রয়েছি।’
কী-নোট স্পিকার ও টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে বলেন, ‘২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিটি অ্যাপ্লিকেশন ফাইভ-জি’র (ওয়্যারলেস রোবট, গাড়ি, পরিবহন ও স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং) উপর নির্ভরশীল থাকবে। ২০২৫ সালের মধ্যে আমাদের জীবনযাত্রা ফাইভি-জি কেন্দ্রিক হয়ে উঠবে। তাই, ব্যবহারকারীদের সেরা অভিজ্ঞতা দিতে ও সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশের আইসিটি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।’
বিনা ও বিনা’র বিজ্ঞানীর আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ
মিউটেশন ব্রিডিংয়ে অসামান্য অবদান রাখার জন্য আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) ‘অসাধারণ সফলতা পুরস্কার’ (আউটস্ট্যান্ডিং অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড) ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)। এছাড়া, প্ল্যান্ট মিউটেশন ব্রিডিং ও রিলেটেড বায়োটেকনোলজিতে অসামান্য অবদানের জন্য বিনা’র উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামছুন্নাহার বেগম ‘উইমেন ইন প্ল্যান্ট মিউটেশন ব্রিডিং অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) আইএইএ এর প্রধান কার্যালয় অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় সংস্থাটির মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসি অস্ট্রিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আব্দুল মুহিতের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার দেন।
আরও পড়ুন: আইএইএ অ্যাওয়ার্ড পেল বিনা ও বিজ্ঞানী শামসুন নাহারউল্লেখ্য, আইএইএ থেকে ৬-৭ বছর পর পর সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে মিউটেশন ব্রিডিং-এ অসাধারণ অবদান রাখার জন্য তিনটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হয়।
তিনটি ক্যাটাগরি হলো: ১. আউটস্যান্ডিং অ্যাচিভমেন্ট (ব্যক্তিগত/প্রতিষ্ঠানিক) ২. নারী বিজ্ঞানীদের মিউটেশন ব্রিডিং এ অনন্য অবদান ‘উইমেন ইন প্ল্যান্ট মিউটেশন ব্রিডিং ও ৩. তরুণ বিজ্ঞানী পুরস্কার । এ বছর আইএনইএন এর ১৭৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে প্রথম ক্যাটাগরিতে ১১ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান, ২য় ক্যাটাগরিতে ১০ জন নারী বিজ্ঞানী ও ৩য় ক্যাটাগরিতে সাতজন তরুণ বিজ্ঞানী পুরস্কার পেয়েছেন।এর আগে ২০১৪ সালে বিনা’র বর্তমান মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম মিউটেশন ব্রিডিং এ আইএইএ'র অসাধারণ সফলতা পুরস্কার পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: চেঞ্জমেকার অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশি তরুণী ফাইজামহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল বলেন, বিনা’র বিজ্ঞানীরা পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে মিউটেশন ব্রিডিং, কনভেনশনাল ব্রিডিং ও অন্যান্য উন্নত কলাকৌশল প্রয়োগ করে এখন পর্যন্ত ১৮ টি বিভিন্ন ফসলের ৮৩ টি মিউট্যান্ট জাতসহ সর্বমোট ১১৭ টি উচ্চ ফলনশীল ও উন্নত গুণাগুণ সম্পন্ন জাত উদ্ভাবন করেছে। এসমস্ত অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিনা ও বিনা’র বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সময়ে দেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে পুরস্কৃত হয়েছেন।
অপোর ‘গেজ দ্য স্টোরি’: অসমাপ্ত গল্প শেষ করতে পারলে পুরস্কার
‘গল্পটি আন্দাজ করুন’ বা ‘গেজ দ্য স্টোরি’ নামে নতুন ক্যাম্পেইন নিয়ে এসেছে অপো। এর মধ্যে অপো অফিসিয়াল পেজে এ সম্পর্কিত ভিডিও ও ডিজিটাল ব্যানার সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ক্যাম্পেইনটি ২০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে, চলবে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
মঙ্গলবার অপোর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেখানে কোন একটি গল্পের অর্ধেক শেয়ার করে বাকিটা ভক্তদের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়। যিনি কাল্পনিক ক্ষমতার দ্বারা সঠিক গল্পটি অনুমান করে সমাপ্ত করতে পারবেন তার জন্য পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে অপো। বিজয়ী পাবেন অপোর প্রিমিয়াম ওয়্যারলেস হেডফোন এনকো ডব্লিউ১১।
আরও পড়ুন: অপো এ১৬ এর নতুন সংস্করণ এখন বাজারে
ক্যাম্পেইনে অংশ নিতে চাইলে অপো বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ভিজিট করুন (লিংক: https://www.facebook.com/OPPOBangladesh/videos/4320611098020118/)
আর কমেন্ট বক্সে হ্যাশট্যাগঅপোট্রাস্টওয়ার্দি লিখে গল্পটি শেষ করুন। তারপর সেই লিংকটি নিজস্ব ফেসবুক টাইমলাইনে শেয়ার করার অনুরোধ রইল। অপোর ফেসবুক পেজে চূড়ান্ত বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: স্বল্প বাজেটে অলরাউন্ডার ফোন এ১৬ আনছে অপো
অপো জানায়, গল্পগুলোতে মূলত গ্রাহক সেবার জন্য বিভিন্ন সময় অপো গৃহীত নানা কার্যকরী পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। অপো সবসময় গ্রাহক আস্থা অর্জনে সর্বোচ্চ বিক্রয়োত্তর সেবা দেয়ার চেষ্টা করে থাকেন। গ্রাহকের গোপনীয়তা রক্ষায় শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে থাকেন।
ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি ও ট্রিপল ক্যামেরার বাজেট ফোন এ১৬
সম্প্রতি বাজারে এসেছে অলরাউন্ডার ফোন অপো এ১৬। স্বল্প বাজাটের ফোনটি বাজারে আসার পর গ্রাহকরা লুফে নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে মোবাইল কোম্পানিটি।
বুধবার অপোর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশাল ব্যাটারি, ট্রিপল ক্যামেরা, অসাধারণ ডিজাইন, দুর্দান্ত পারফরমেন্স, বড় স্টোরেজ সর্বোপরি ভালো পারফরমেন্সের কারণে বাজারে শক্ত অবস্থান করে নিয়েছে এ১৬।
আরও পড়ুন: অপো এ১৬ এর নতুন সংস্করণ এখন বাজারে
অল্প বাজেটের ফোনটিতে রাখা হয়েছে ট্রিপল ক্যামেরা। ফটোগ্রাফি করার জন্য ফোনটির রিয়্যার ক্যামেরা রাখা হয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেলের। বাকি দুটি ক্যামেরা ২ মেগাপিক্সেল ও প্রতিটির ফোকাল লেন্স ২.৪ করে। রয়েছে এলইডি ফ্লাশ, এইচডিআর, প্যানোরামার মতো দারুণ কিছু ক্যামেরা ফিচার। সেলফি প্রিয়দের জন্য রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা সেলফি ক্যামেরা। সামনে ও পেছনের উভয় ক্যামেরাই স্মার্ট বিউটিফিকেশন ফিচার সমর্থন করে।
আছে ম্যাক্রো লেন্সের মতো দারুণ ফিচার যা দিয়ে আরও সূক্ষ্মভাবে ছবি তোলার সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ ক্যামেরার লেন্সকে একটি ফুলের গায়ে লাগিয়ে ছবি উঠাতে পারেন। যদি ক্যামেরায় ম্যাক্রো মোড না থাকে তাহলে সেটা সম্ভব না।
আরও পড়ুন: অপো এ১৬ এর নতুন সংস্করণ এখন বাজারে
ফোনটির আরেকটি ফিচার হচ্ছে এর ৫০০০ এমএইচ এর বিশাল ব্যাটারি। একবার চার্জেই সারাদিন ইন্টারনেট ব্রাউজ, গেম খেলা, ছবি তোলা, ভিডিও দেখা, কথা বলা সবই করা যাবে। আছে নাইট চার্জ মোড যার মাধ্যমে রাতে নিশ্চিন্তে ফোন চার্জ দিয়ে রাখা যাবে। ওভারচার্জিং বা ফোন গরম হওয়ার কোন ভয় নেই।
আরও পড়ুন: আন্ডার ডিসপ্লে ক্যামেরাসহ প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনছে অপো
হালকা-পাতলা গড়নের ফোনটির দুটি ভার্সন রয়েছে। একটি ৩ জিবি র্যাম ও ৩২ জিবি রম। অন্যটির ৪ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি রম। এ১৬ (৩জিবি) ভার্সনের দাম ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৯৯০ টাকা ও এ১৬ (৪জিবি) ভার্সনের ফোনটির দাম ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৯৯০ টাকা। স্লিক ডিজাইনের এ১৬ ফোনের আরেকটি বিশেষত্ব সাইড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর যা দেখতে খুবই আকর্ষণীয়।
দারাজের ৭ম বর্ষপূর্তি সেলে বিক্রির শীর্ষে ‘রিয়েলমি’
সম্প্রতি দারাজের সপ্তম বর্ষপূর্তি সেলে সর্বাধিক বিক্রিত ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে রিয়েলমি। এই ক্যাম্পেইনে রেকর্ড সংখ্যক রিয়েলমি ফোন বিক্রি হয় যা একে সর্বাধিক বিক্রিত ব্র্যান্ডে পরিণত করেছে।
আরও পড়ুন: বাজারে এলো রিয়েলমির প্রথম ল্যাপটপ ‘রিয়েলমি বুক স্লিম’
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রিয়েলমি জানায়, এই ক্যাম্পেইন চলাকালীন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ও অনুরাগীদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু ফোনে আকর্ষণীয় অফার দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সি২১ (৩/৩২), সি২১ (৪/৬৪), সি২০এ, সি২৫ এস (৪/৬৪), সি২৫ এস (৪/১২৮), রিয়েলমি ৮ প্রো ও নারজো ৩০ রয়েছে। এছাড়া রিয়েলমি ফ্যানরা সাত শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে ফোন কেনার সুযোগ পেয়েছেন। পাশাপাশি প্রি-পেমেন্টে আরও ১০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: রিয়েলমি জিটি সিরিজের দুটি চমৎকার স্মার্টফোন বাজারে
দারাজের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাব্বির হোসেন বলেন, ‘আমাদের সেলাররা ও সহযোগীরা আমাদের প্রিয় অংশীদার যাদের সাথে আমরা বাজারে শীর্ষস্থানীয় হওয়ার আনন্দ সবসময়ই ভাগাভাগি করে নেই। রিয়েলমির মতো ব্র্যান্ডের নতুন পরিচিতির কোন প্রয়োজন নেই এবং গতবারের মত এবারও রিয়েলমি দারাজের সপ্তম বর্ষপূর্তি ক্যাম্পেইনে ‘টপ সেলিং’ ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে।’
আরও পড়ুন: রিয়েলমি নিয়ে এল দ্রুত ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং সল্যুশন 'ম্যাগডার্ট’
ইন্টারনেট ছাড়াই ‘উপায়’ অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন রবি গ্রাহকরা
কোন ইন্টারনেট চার্জ ছাড়াই মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘উপায়’ ব্যবহার করে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছে রবি।
এছাড়া, রবি ও এয়ারটেল গ্রাহকরা উপায়ে নিবন্ধন করে ১ জিবি ইন্টারনেট বোনাস ও ৪৫০ টাকাপর্যন্ত নগদ পুরস্কার উপভোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন: বিদেশগামী কর্মীদের সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন শুরু
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান উপায়ের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর অ্যান্ড সিইও সাইদুল এইচ খন্দকার ও রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: প্রবাসীদের সেবায় ‘আমি প্রবাসী’অ্যাপের উদ্বোধন
রবি'র চিফ কমার্শিয়ার অফিসার শিহাব আহমেদ বলেন, ‘দেশব্যাপী ডিজিটাল জীবনযাত্রার রুপান্তরে উচ্চ গতির মোবাইল ডাটা নেটওয়ার্ক স্থাপন থেকে শুরু করে বিভিন্ন উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবা নিয়ে আসার ক্ষেত্রে রবি অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। আশা করি, আমাদের গ্রাহকেরা আরও বেশি করে উপায়ের সেবা নেয়ার মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নেবেন।’
আরও পড়ুন: সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে ভ্যাকসিন কার্যক্রম আরও একধাপ এগিয়ে গেল: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অপো এ১৬ এর নতুন সংস্করণ এখন বাজারে
গ্লোবাল স্মার্ট ডিভাইস ব্র্যান্ড অপো বাজারে নিয়ে এসেছে এ সিরিজের সর্বশেষ অলরাউন্ডার স্মার্টফোন এ১৬। ফোনটি বাজারে আসার পর থেকে অপো ভক্তদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আরও বড় স্টোরেজ ৪জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি রম সমৃদ্ধ এ১৬ এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এসেছে শীর্ষস্থানীয় ডিভাইস নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে সারাদেশে অপোর সব আউটলেট ও অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নতুন সংস্করণের ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে। দেশে স্মার্ট ডিজাইনের ফোনটির দাম ধরা হয়েছে ১৪,৯৯০ টাকা।
এ১৬ এর সবচেয়ে শক্তিশালী দিকগুলো হচ্ছে এর স্লিক ডিজাইন, বড় ব্যাটারি এবং ট্রিপল ক্যামেরার সেট আপ। প্রিমিয়াম সুবিধা দিতে স্বল্প বাজেটের ফোনটিতে রাখা হয়েছে সাইড মাউনটেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, ম্যাক্রা লেন্সসহ নানা সুবিধা।
আরও পড়ুন: স্বল্প বাজেটে অলরাউন্ডার ফোন এ১৬ আনছে অপো
আন্ডার ডিসপ্লে ক্যামেরাসহ প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনছে অপো
স্মার্টফোনের দাম কমালো অপো
এই ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে শক্তিশালী মিডিয়াটেক হেলিও জি৩৫ অক্টা-কোর প্রসেসর। এর ৬০ মেগাহার্টজ স্ক্রিন রিফ্রেশ রেট, ১২০ মেগাহার্টজ টাচ স্যাম্পলিং রেট প্রতিটি স্ক্রলিং এর সময় দিবে ভিন্ন এক অনুভূতি। ভালো পারফরমেন্স নিশ্চিতের জন্য ফোনটিতে রয়েছে পাঁচটি তাপমাত্রা সেন্সর। পারফরমেন্সের সাথে ৬.৫ ইঞ্চির ওয়াটার ড্রপ ডিসপ্লের ডিজাইনও নান্দনিক। ফোনটির ৮.৪ মিলিমিটার পুরুত্ব ব্যবহারকারীকে দিবে স্লিম ও আরামদায়ক অনুভূতি।
ফোনটির রয়েছে ৫০০০ এমএএইচ বড় ব্যাটারি। এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার হলো ট্রিপল ক্যামেরা। ফটোগ্রাফি করার জন্য ফোনটির রিয়্যার ক্যামেরা ১৩ মেগাপিক্সেলের। বাকি দুটি ক্যামেরা ২ মেগাপিক্সেল করে। সেলফি প্রিয়দের জন্য রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা। সামনে ও পেছনের উভয় ক্যামেরাই স্মার্ট বিউটিফিকেশন ফিচার সমর্থন করে। এতে আছে আছে ম্যাক্রো লেন্সের মতো দারুণ ফিচার যা দিয়ে আরো সূক্ষ্মভাবে ছবি তোলার ক্ষেত্রে নিজের সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ।