%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
ডিএনসিসির অ্যাপে মিলবে দাফন ও পুরোনো কবরের তথ্য
কোটির উপরে জনসংখ্যার এই ঢাকায় আবাসন একটি বড় সমস্যা। অট্টালিকার প্রতিযোগিতায় একটুকরো ফাঁকা জায়গা মেলা ভার। নগরবাসী যেখানে একটু দম ফেলে হাটাহাটি করবেন বা একটু জিরিয়ে নেবেন, সেরকম খোলা জায়গার পরিমাণও দিন দিন কমছে। সেখানে জীবনের শেষ যাত্রায় স্থায়ী সাড়ে ৩ হাত জায়গা পাওয়া অসম্ভব।
তবে রাজধানীর দু’টি সিটি করপোরেশন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কবর সংরক্ষণের সুযোগ রেখেছে। কিন্তু অর্থের বিবেচনায় অধিকাংশ সাধারণ মানুষ সে সুযোগ নিতে পারবেন না। প্রশ্ন জাগতেই পারে- তাহলে এত সংখ্যক মৃত্যু-দাফন তথা কবর ব্যবস্থাপনায় সিটি করপোরেশন কী ব্যবস্থা নিয়ে থাকে?
নির্দিষ্ট সময় পর পুরোনো কবরেই নতুন করব দেওয়া হয়। আরেকটি প্রশ্ন জাগতে পারে- পুরোনো কবরেই যদি নতুন কবর দেওয়া হয়, তাহলে স্বজনরা কাছের মানুষের কবর খুঁজে পান কীভাবে? অথবা যাদের কবর দেওয়ার প্রয়োজন হয় তাদের সিটি করপোরেশন সেবা কীভাবে দেয়?
এর সমাধান মিলবে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) সহযোগিতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) 'কবর ব্যবস্থাপনা সিস্টেমে'।
যে মাধ্যমে সেবা নেওয়া যাবে
ডিএনসিসি আপাতত ৬টি কবরস্থানকে এই সিস্টেমের আওতায় এনেছে। সেগুলো হলো- বনানী, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী, রায়ের বাজার, উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর, উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর এবং উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টর। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের মুঠোফোন অ্যাপ্লিকেশনে (অ্যাপ) খুব সহজেই জানা যাবে কোথায় কবরের স্থান ফাঁকা আছে, পূর্বের কবর কোথায় অবস্থিত, করা যাবে নতুন কবরের জন্য নিবন্ধন। এছাড়া এ সংক্রান্ত নানা তথ্য রয়েছে অ্যাপটিতে। পর্যায়ক্রমে অ্যাপটির মাধ্যমেই পাওয়া যাবে দাফনের সনদ।
ইসরো চন্দ্রযান-৩: ভারতের চন্দ্র বিজয়ে নারী বিজ্ঞানীদের সাফল্য
শুধুমাত্র কায়িক শ্রমে গড়া অবকাঠামোতে নয়; নারীদের মস্তিষ্ক প্রসূত সভ্যতা বিকাশেরও সাক্ষী হয়ে আছে চির পরিবর্তনশীল মহাকাল। বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে তাদের অবদান যেমন ভেদ করেছে সুগভীর পাতাল, তেমনি ছাড়িয়ে গেছে আকাশের মেঘের স্তর। মহাকাশের শূন্যতাকে প্রথম নারীর অস্তিত্বে সমৃদ্ধ করেছিলেন ভ্যালেন্তিনা তেরেস্কোভা। তার পথ ধরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মহাকাশ গবেষণায় নারীদের সম্পৃক্ততা বেড়েছে দ্রুতগতিতে। এমনকি এই সাফল্যের আলোর মশাল জ্বলে উঠেছে ভারতীয় উপমহাদেশেও। গত ২৩ আগস্ট ভারতের চন্দ্র বিজয়ে নারী বিজ্ঞানীদের সাফল্য যেন তারই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। চলুন, জেনে নেই সেই যুগান্তকারী অভিযানের ঘটনা। সেইসঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক ভারতের চন্দ্রযান-৩ মিশনের নেপথ্যে থাকা নারী মহাকাশ বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের সঙ্গে।
চন্দ্রযান-৩ উপাখ্যান
নাসার ভারতীয় সংস্করণ ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন; সংক্ষেপে আইএসআরও বা ইসরো। চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করে সেখানকার প্রকৃতি পর্যালোচনার উদ্দেশ্য নিয়ে এরা শুরু করেছিলো চন্দ্রযান নামের প্রজেক্টটি। পর পর দুটি অভিযান ব্যর্থ হওয়ার পর চন্দ্রযান-৩ গত ২৩ আগস্ট নিরাপদে অবতরণ করতে সক্ষম হয় চন্দ্রপৃষ্ঠে।
যাত্রা শুরু হয়েছিলো ১৪ জুলাই; সর্বজনীন সমন্বিত সময় বা কোঅর্ডিনেটেড ইউনিভার্সাল টাইম (ইউটিসি) অনুযায়ী সময় ৯ টা ৫ মিনিট। রকেটের উৎক্ষেপণ হয় ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে।টানা কয়েকবার চেষ্টার পর ৫ আগস্ট চাঁদের কক্ষপথে ঢুকতে সক্ষম হয় মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩।
পুরো মহাকাশযানটি মূলত ল্যান্ডার, রোভার ও প্রোপালশান মডিউল- এই তিন ভাগে বিভক্ত। ল্যান্ডারের কাজ হলো যানটিকে নিরাপদে অবতরণ করানো। এর নাম দেওয়া হয়েছে বিক্রম। অবতরণের জন্য এর নিবেদিত চারটি পায়ে রয়েছে চারটি শক্তিশালী ইঞ্জিন। অন্যদিকে, রোভার হচ্ছে ছয় চাকার একটি গাড়ি, যার উদ্দেশ্য পুরো যানটিকে নিয়ে নির্বিঘ্নে চন্দ্রপৃষ্ঠে ঘুরে বেড়ানো। এই অংশের নাম হচ্ছে প্রজ্ঞা।আর এই বিক্রম ও প্রজ্ঞাকে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব হচ্ছে প্রোপালশান মডিউলের। ১৭ আগস্ট এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে বিক্রম ও প্রজ্ঞা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় প্রোপালশান মডিউল।
২৩ আগস্ট কক্ষপথের একদম শেষ বিন্দুর কাছাকাছি আসার সঙ্গে সঙ্গে একসাথে গর্জে উঠে বিক্রমের চারটি ইঞ্জিন। এরপর ঠিক সাড়ে ১১ মিনিট পর বিক্রম নেমে আসে চাঁদের ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭.২ কিলোমিটার উচ্চতায়। এ অবস্থায় প্রায় ১০ সেকেন্ড ভেসে থেকে এটি ভূপৃষ্ঠের সঙ্গে উল্লম্ব দিকে ঘুরে যায়। কিছুক্ষণ পর নেমে যায় আরও প্রায় ১৫০ মিটার। এই উচ্চতায় থেকেই বিশ্ববাসীর স্তম্ভিত দৃষ্টির সামনে প্রায় ৩০ সেকেন্ড ঘুরে বেড়ায় বিক্রম ও প্রজ্ঞা। অতঃপর ইউটিসি সময় ঠিক ১২ টা ৩২ মিনিটে চাঁদের মাটি স্পর্শ করে ভারতের চন্দ্রযান-৩।
আরও পড়ুন: চাঁদে ভারতের চন্দ্রযানের সফল অবতরণ উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদিকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
চন্দ্রযান-৩-এর অভিযানের নেপথ্যে থাকা নারী বিজ্ঞানীরা
ইসরো চন্দ্রযান-৩ কে পরিচালনায় সরাসরি কাজ করেছেন প্রায় ৫৪ জন নারী প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানী। তাদের মধ্যে থেকে যাদের নাম ওতপ্রোতভাবে এই চন্দ্রাভিযানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তারা হলেন:
ঋতু কাড়িধাল শ্রীভাস্তাভ
৪৮ বছর বয়সী ঋতু কাড়িধাল ভারতবাসীর কাছে পরিচিত ‘রকেট উইমেন’ হিসেবে। ইসরোর সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা ১৯৯৭ সাল থেকে। সেই থেকে তিনি মার্স অরবিটার মিশন (এমওএম) বা মম ও চন্দ্রযান প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছেন। তিনি মম মিশনের ডেপুটি অপারেশন্স ডিরেক্টরও ছিলেন।
মুথাইয়া বনিতা
এই ৫৯ বছর বয়সী ইলেকট্রনিক্স সিস্টেম প্রকৌশলী নেতৃত্ব দিয়েছেন ইসরোর বিভিন্ন উপগ্রহের প্রকল্পগুলোতে। তিনি ইসরোর চন্দ্রযান-২-এর প্রকল্প পরিচালক ছিলেন।
ইসরোর সঙ্গে তার শুরুটা ছিল শুধুমাত্র হার্ডওয়্যার নিরীক্ষণ কাজের মধ্য দিয়ে। পরবর্তীতে তিনি ইসরো স্যাটেলাইট সেন্টারের ডিজিটাল সিস্টেম গ্রুপে টেলিমেট্রি এবং টেলিকমান্ড বিভাগের পরিচালক পদে অধীষ্ঠিত হন। ২০১৩-এর সফল মঙ্গলযান মিশনেও যুক্ত ছিলেন তিনি।
তিনিই ছিলেন ইসরোতে আন্তঃগ্রহ মিশনে নেতৃত্ব দেওয়া প্রথম নারী। চন্দ্রযান-২ মিশনের সহযোগী পরিচালক থেকে তাকে প্রকল্প পরিচালক পদে উন্নীত করা হয়েছিলো। এর মাধ্যমে তিনি ইসরোর প্রথম নারী প্রকল্প পরিচালক হওয়ার সম্মান অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: অগমেন্টেড রিয়েলিটি প্রযুক্তির ‘ভিশন প্রো’ হেডসেট নিয়ে এলো অ্যাপল
বনিতা ২০০৬ সালে অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার সেরা নারী বিজ্ঞানীর পুরস্কার পেয়েছিলেন।
মিশন মঙ্গল ছিল ইসরোর অন্যতম সেরা সাফল্য। এর মাধ্যমে ভারত চতুর্থ দেশ হিসেবে মঙ্গল গ্রহে অবতরণের মর্যাদা লাভ করে।
সেই ধারাবাহিকতায় ঋতু কাড়িধাল মিশন ডিরেক্টর হিসেবে চন্দ্রযান-২-এর মিশনের তত্ত্বাবধান করেন।
কাড়িধাল ২০০৭ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি এ.পি.জে. আব্দুল কালামের কাছ থেকে ইসরোর তরুণ বিজ্ঞানীর পুরস্কার পান।
কল্পনা কালাহাস্তি
ইসরোর সঙ্গে ৪৩ বছর বয়সী এই মহাকাশ প্রকৌশলীর যাত্রা শুরু হয় ২০০৩ সাল থেকে। তার দায়িত্ব ছিল স্যাটেলাইটের অবস্থান সুনির্দিষ্ট করার জন্য প্রপালশান সিস্টেম তৈরি করা। এছাড়াও তার বিশেষত্ব ছিল পৃথিবীর পরিষ্কার ছবি তোলার জন্য উন্নত ইমেজিং সরঞ্জামের নকশা প্রণয়নে। তিনি ধীরে ধীরে মম এবং চন্দ্রযান-২-এর মত যুগান্তকারী প্রকল্পগুলোর অংশ হয়ে ওঠেন।
২০১৯ সালে তাকে চন্দ্রযান-৩ মিশনের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তিনি বিক্রমের সিস্টেমের নকশা তৈরি ও এর কর্মকাণ্ড সুস্পষ্ট করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন হ্যাকিং প্রতিরোধে করণীয়
হোয়াটসঅ্যাপে এইচডি ছবি যেভাবে পাঠাবেন
কোনো অনুষ্ঠান থেকে ঘরে ফিরেছেন। হোয়াটসঅ্যাপের নোটিফিকেশন বেজে উঠল। কাজে ব্যস্ত থাকায় হয়তো দেখা হলো না। একটু পর ফোন দিয়ে তাড়াতাড়ি অনুষ্ঠানের ছবিগুলো পাঠাতে বলল বন্ধু। শর্ত জুড়ে দিল, ছবির মান খারাপ হওয়া যাবে না।
এই পরিস্থিতিতে যে কাজ করা হয়- ছবিগুলো গুগল ড্রাইভে আপলোড করে লিংক শেয়ার অথবা হোয়াটসঅ্যাপের অ্যাটাচমেন্ট আইকন থেকে ডকুমেন্ট হিসেবে ছবিগুলো পাঠানো। উভয় প্রক্রিয়াই বেশ ঝামেলার।
এই ঝামেলার অবসান করা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপে এখন উচ্চ মানের বা এইচডি ছবি পাঠানো যায়।
আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট হিস্ট্রি আরও নিরাপদে স্থানান্তর যেভাবে করবেন
যেভাবে পাঠাবেন এইচডি ছবি
হোয়াটসঅ্যাপের কন্টাক্ট থেকে যাকে ছবি পাঠাবেন তা নির্বাচন করুন। অ্যাটাচমেন্ট আইকন থেকে গ্যালারিতে প্রবেশ করুন। আপনার পছন্দের ছবিগুলো নির্বাচন করে ডান পাশে নিচের দিকের টিক চিহ্ন চাপুন।
বাম পাশে উপরের দিকে এইচডি লিখা আইকন পাওয়া যাবে। এই আইকনটি শুধুমাত্র উচ্চ মানের ছবির ক্ষেত্রেই দেখা যাবে। আইকনটি চাপলেই ‘ফটো কোয়ালিটি’ দেখাবে। যেখানে ‘স্ট্যান্ডার্ড’ ও ‘এইচডি’ দুই ধরনের অপশন পাওয়া যাবে। এইচডি নির্বাচন করলেই হয়ে যাবে, উচ্চ মানে ছবি পাঠানোর জন্য প্রস্তুত।
ভারত-বাংলাদেশ স্টার্টআপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের কার্যক্রম ও সুযোগ বৃদ্ধির প্রত্যয়
“স্টাটআপ বাংলাদেশ সামিট ২০২৩”- এ ভারত-বাংলাদেশ স্টাটআপ ব্রিজ অনলাইন পোর্টালের উদ্বোধন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে ভারত থেকে আসা ১২টি স্টার্টআপ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক।
শনিবার (২৯ জুলাই) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের রবি হলে মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ-ভারত স্টাটআপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম এবং ভার্চুয়াল পোর্টাল “ব্রিজ” এর কার্যক্রম ও সুযোগ আরও এগিয়ে নিতে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন উভয় দেশের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে কাজ করতে চাই: পলক
বৈঠকে দুই দেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যে দক্ষতা উন্নয়ন, জ্ঞান, ধারণা ও অভিজ্ঞতা এবং পারস্পরিক তথ্য বিনিময়ে “ব্রিজ” পোর্টালকে আরও কার্যকর করার উপর জোর দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে ভারতের প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের সিইও সাহিল জাগনানি, ইনোভেশন লার্নিং সল্যুশনসের প্রধান নির্বাহী (সিইও) তারাঞ্জিত সিং, ট্রিস্টল ল্যাব এর মার্কেটিং লিড শিভানি ত্রিবেদী, জীবিকা হেলথ কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা জিগনেস প্যাটেল, নেক্স স্কিল ৩৬০ প্রতিষ্ঠাতা সুরাজ মিয়ার, জাস্ট ইলেকট্রিক এর সিএমও অনিরুধ বাপট, গোহেম্প অ্যাগ্রোভেঞ্চার্স সহ-প্রতিষ্ঠাতা গৌরব দীক্ষিত, অ্যাটম অ্যালোয় ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের সিটিও বিনোদ মেনন এবং রিভ্যাম্প মোটর এর হেড অব পার্টনারশিপ রিধি মহাজন তাদের উদ্ভাবনগুলো উপস্থাপন করেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ভারতীয় সম্ভাবনাময় স্টার্টআপ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানাবেন বলে নিশ্চিত করেন তাদের।
তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের সমগোত্রীয় স্টার্টআপগুলোর মধ্যে সেতুবন্ধনে উদ্যোগ গ্রহণের প্রতিশ্রুতিও দেন।
অপরদিকে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। আমাদের স্টার্টআপ কমিউনিটির যৌথ প্রচেষ্টায় দুই দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা একটি দারুণ উদ্যোগ। স্টার্টআপ সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে পাওয়া আমাদের জন্য বোনাস। আমাদের নতুন ধারণা অনুযায়ী আমরা উভয় দেশ একসঙ্গে সম্ভাবনা দুয়ার খুলে একসঙ্গে এগিয়ে যাবো।’
মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- আইসিটি সচিব মো. সামসুল আরেফিন, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ, ভারতের ডিপিআইআইটি’র পরিচালক সুমিত কুমার জারাঙ্গাল ও স্টার্টআপ ইন্ডিয়ার ম্যানেজার প্রাভলিন কুমার প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন শতাধিক গ্লোবাল ভিসি/বিনিয়োগকারী, জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বক্তা এবং ৬ শতাধিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান।
দুই দিনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৪০টি সেশন। উদ্বোধনের পর প্রথম দিনই হয়েছে ১৯টি সেশন। দ্বিতীয় দিনে সমাপনী বাদে হবে ২১টি সেশন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট দেশ হবে: পলক
ঈদুল আযহা উপলক্ষে ৫দিন সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর বন্ধ থাকবে
দেশের প্রথম এআই সংবাদ উপস্থাপক 'অপরাজিতা'
বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সংবাদ উপস্থাপক 'অপরাজিতা' বুধবার রাতে চ্যানেল ২৪-এ আত্মপ্রকাশ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।
যেহেতু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) গত বেশ কয়েক মাস ধরে চ্যাটজিপিটি ও মিডজার্নির মতো উন্নত এআই মাধ্যমগুলোর সঙ্গে অনেক সেক্টরে উল্লেখযোগ্য মনোযোগ আকর্ষণ করছে, তাই এটি কয়েকটি দেশে সংবাদ শিল্পকেও দখল করছে।
সম্প্রতি, ওড়িশা টেলিভিশন লিমিটেড (ওটিভি) নামে ভারতের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ৯ জুলাই 'লিসা' নামে এআই সংবাদপাঠককে সামনে নিয়ে এসেছে, যা ভারতের প্রথম আঞ্চলিক এআই সংবাদ উপস্থাপক।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
এর পরেই ভারতের পাওয়ার টিভি নামে কন্নড়ের একটি চ্যানেল, যা সম্প্রতি নিজস্ব এআই উপস্থাপক ‘সৌন্দর্য’ শুরু করে একই রকম যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে।
যদিও চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া ২০১৮ সালে বিশ্বের প্রথম এআই সংবাদ উপস্থাপক শুরু করেছিল, তবে ভারত এই বছরের এপ্রিলে দেশের আজতক নিউজ চ্যানেল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম এআই সংবাদ উপস্থাপক হিসেবে তাদের প্রথম এআই নিউজ উপস্থাপক 'সানা' চালু করেছিল।
এছাড়া চীন, তাইওয়ান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও কুয়েতসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশ তাদের নিউজরুমের অংশ হিসেবে এআই নিউজ উপস্থাপকদের প্রদর্শন করেছে।
আরও পড়ুন: মেটার থ্রেডস'র বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুমকি টুইটারের: রিপোর্ট
এই ডিজিটাল জগতে প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল চ্যানেল ২৪-এর সংবাদ উপস্থাপক ফারাবি হাফিজ সন্ধ্যা ৭টার বুলেটিনে 'অপরাজিতা' সামনে নিয়ে আসেন, যা একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে।
নেভিব্লু শার্টের ওপর ঘি রঙের ব্লেজার পরে 'অপরাজিতা' প্রথমে তার সহ-উপস্থাপকদের অভিবাদন জানায় এবং তারপরে তার প্রতিবেদন উপস্থাপনের আগে দর্শকদের স্বাগত জানায়। তিনি রাত ১১টায় টিভি চ্যানেলে আধা ঘণ্টা ব্যাপী প্রযুক্তিবিষয়ক একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেন।
দলে 'অপরাজিতা'র অন্তর্ভুক্তি প্রসঙ্গে চ্যানেল ২৪-এর জ্যেষ্ঠ বার্তা সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম তুহিন বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অনেক ইতিবাচক সুবিধা নিয়ে এসেছে। আমরা প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চাই। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি এআই প্রযুক্তি আমাদের দেশের ইতিহাসে একটি পরিবর্তন আনবে।’
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন হ্যাকিং প্রতিরোধে করণীয়
মোবাইল ফোন হ্যাকিং প্রতিরোধে করণীয়
পকেট বা ব্যাগে, আমরা প্রতিনিয়ত সঙ্গে নিয়ে ঘুরছি স্মার্টফোন। হাতের মুঠোয় পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থাটা যেন এক জালের মতো হয়ে গেছে। এর ভালো দিক হচ্ছে যোগাযোগের সহজলভ্যতা। এই ভালোটাই আবার মন্দে পরিণত হয় যখন আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সেই জালের ভেতর ছড়িয়ে পড়ে। এই বিড়ম্বনারই আরেক নাম মোবাইল ফোন হ্যাকিং।
সাইবার অপরাধীরা স্মার্টফোনে থাকা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে। অতঃপর সেগুলো কাজে লাগিয়ে বিড়ম্বনা তৈরি, আর্থিক সমস্যা, এমনকি অসম্মানজনক ক্ষতি সাধন করা হয়ে থাকে। তাই ডিজিটাল নিরাপত্তা রক্ষায় নতুন স্মার্টফোনটিতে আগে ভাগেই প্রতিরক্ষামূলক বেষ্টনী স্থাপন করা জরুরি।
চলুন, মোবাইল ফোন হ্যাকিং প্রতিরোধে করণীয়গুলোর পাশাপাশি জেনে নেওয়া যাক কোনো কোনো অবস্থায় মোবাইল ফোন হ্যাক হতে পারে।
মোবাইল ফোন হ্যাক হওয়ার কারণ
ম্যালওয়্যার আক্রমণ
ক্ষতিকারক সফটওয়্যার বা ম্যালওয়্যার মোবাইল ফোনের নিরাপত্তার জন্য একটি মারাত্মক হুমকি। এগুলো সক্রামক রোগের মতো ব্যবহারকারীর অজান্তেই তার ফোনে প্রবেশ করে মোবাইল অ্যাপলিকেশন বা অ্যাপের মাধ্যমে। ডাউনলোড করার সময় ব্যবহারকারী ঘুণাক্ষরেও টের পান না যে এটা আসলে একটা ম্যালওয়্যার। একবার ইনস্টল হয়ে গেলেই ম্যালওয়্যার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার ক্ষমতা অর্জন করে। এ সময় ম্যালওয়ার নির্মাতা ফোন ব্যবহারকারীর যাবতীয় ক্রিয়াকলাপ দেখতে পারে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নিতে পারে।
আরও পড়ুন: দৈনন্দিন প্রযুক্তির কাজকে সহজ করবে ৫ 'লাইফ হ্যাক'
ফিশিং লিঙ্ক
ফিশিং আক্রমণগুলো সাধারণত প্রতারণামূলক ইমেল, এসএমএস বা ফোন কলের মাধ্যমে ঘটে। হ্যাকাররা বৈধ সত্তার বেশে বিভিন্ন সেবা প্রদানের কথা বলে বা প্রলোভন দেখিয়ে ফোন ব্যবহারকারীদের লগইন আইডি, পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের বিশদ বিবরণের মতো সংবেদনশীল তথ্য নিয়ে নেয়। অতঃপর এগুলো দিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীকে জিম্মি করে হ্যাকাররা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে।
অরক্ষিত ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক
পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক, বিশেষ করে যেগুলোর যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই, এ জায়গাগুলো হ্যাকারদের জন্য স্বর্গক্ষেত্র। ব্যবহারকারীরা যখন এই নেটওয়ার্কগুলোর মাধ্যমে তাদের ব্যক্তিগত কোনো ছবি, ভিডিও বা অন্য কোনো তথ্য প্রেরণ করে তখন মাঝপথেই সেগুলো আটকাতে পারে সাইবার অপরাধীরা। তারপর তথ্যগুলোর গন্তব্য বদলে নিজেদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে নিয়ে আসে। এছাড়া জাল নেটওয়ার্ক সেট আপ করে বা প্যাকেট স্নিফিং টুল ব্যবহার করে হ্যাকাররা পাসওয়ার্ড এবং আর্থিক তথ্যসহ বিভিন্ন সংবেদনশীল তথ্য দেখে নিতে পারে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাজ্য হিসেবে মন্টানায় ব্যক্তিগত ডিভাইসে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে টিকটক
স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জনের ধারাবাহিকতায় স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল সংযুক্তির পথ বেয়েই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়ক নির্মাণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা সামনের দিনগুলোতে আরও সুদৃঢ় করতে হবে।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর আওতাধীন অধিদপ্তর, দপ্তর ও সংস্থা সমূহের মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিজয় কি-বোর্ড ব্যবহারকারীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়: মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রূপান্তরের অগ্রযাত্রা আরও বেগবান করতে দক্ষ মানব সম্পদের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, মানুষ কাজ না করলে কর্ম সম্পাদন হবে না।
তিনি বলেন, সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পশ্চাদপদ দেশে থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা। আমরা প্রযুক্তির মহাসড়ক তৈরি করি। সে দিক থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মানুষের প্রয়োজনে. মানুষের কল্যাণে প্রযুক্তি ব্যবহার করবো। মানুষকে বাদ দিয়ে প্রযুক্তি নয়।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আলোচিত একটি বিষয়। মানুষের ঘাটতির কারণে ইউরোপ প্রযুক্তিকে মানুষের বিকল্প ভেবেছিলো কিন্তু মানুষের বিকল্প কোন প্রযুক্তি হতে পারে না। জাপান মানুষ ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে সোস্যাইটি ফাইভ পয়েন্ট জিরো বা পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের ধারণা নিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ঠিক তেমনি পঞ্চম শিল্প বিপ্লব বা স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে প্রযুক্তি ও মানুষের মিশেলে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম।
এ সংগ্রাম এগিয়ে নিতে আমাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
মিন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন গতিশীল নেতৃত্বে গত সাড়ে ১৪ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির বাস্তবায়নের পথবেয়ে বাংলাদেশের অভাবনীয় রূপান্তর হয়েছে।
ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল সময়ে বাংলাদেশে ডিজিটাল রূপান্তরের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আগে ১৯৭৩ সালে আইটিইউ ও ইউপিইউ এর সদস্য পদ অর্জন এবং ১৯৭৫ এর ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূকেন্দ্র চালুর মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়েও স্মার্ট বাংলাদেশের বীজ বপন করেন।
তিনি বলেন, মন্ত্রী কর্মসম্পাদন চুক্তির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান সমূহের অর্পিত দায়িত্ব বিগত দিনগুলোর মতো আগামী দিন গুলোতেও সফল হবেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিটিআরসি‘র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সিইও ড. শাহজাহান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনস্থ অধিদপ্তর এবং সংস্থাসমূহের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অধিদপ্তর ও সংস্থা প্রধানগণ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর উপস্থিতিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: প্রচলিত গণমাধ্যমের বিদ্যমান ধারা ভবিষ্যতে সম্পূর্ণরূপে বদলে যাবে: মোস্তাফা জব্বার
আমরা ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ শুরু করেছি: মোস্তাফা জব্বার
মেটার থ্রেডস'র বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুমকি টুইটারের: রিপোর্ট
টেক্সট-ভিত্তিক মেটার নতুন অ্যাপ থ্রেডস -এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছে টুইটার। সেমাফোরের প্রাপ্ত একটি চিঠিতে এই তথ্য পাওয়া যায়।
বুধবার মেটা সিইও মার্ক জাকারবার্গকে সম্বোধন করা একটি চিঠিতে টুইটারের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাটর্নি অ্যালেক্স স্পিরো মেটাকে ‘কপিক্যাট’ অ্যাপ তৈরি করার জন্য প্রাক্তন টুইটার কর্মীদের নিয়োগ দিয়ে টুইটারের বাণিজ্য গোপনীয়তা এবং অন্যান্য বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি বেআইনিভাবে ব্যবহার করার অভিযোগ করেছেন।
থ্রেড চালু করার পর বুধবার রাত পর্যন্ত মেটার নতুন অ্যাপটি লাখ লাখ মানুষ সাইন আপ করেছে। গত বছর প্ল্যাটফর্মটি যখন ৪৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে। মেটা কোম্পানির ইনস্টাগ্রাম টিম ঠিক তখনি অ্যাপটি তৈরি করেছিল যখন অনেকেই এলন মাস্কের প্ল্যাটফর্মের উদ্ভট তদারকি থেকে বাঁচতে টুইটারের বিকল্প খুঁজছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে মেটার মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন থ্রেডে স্পিরোর চিঠির প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, ‘থ্রেডস ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের কেউ একজন প্রাক্তন টুইটার কর্মচারী নয়, এটি কেবল একটি জিনিস নয়।’
আরও পড়ুন: ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কিনে নিচ্ছেন ইলন মাস্ক
সেমাফোর বৃহস্পতিবার চিঠির উদ্বৃতি দিয়ে প্রথম প্রতিবেদনে বলেছিল যে, স্পিরো বলেছিলেন যে টুইটার ‘তার মেধা সম্পত্তি অধিকার কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে চায়’ এবং নাগরিক প্রতিকার বা নিষেধাজ্ঞামূলক ত্রাণ চাওয়ার কোম্পানির অধিকার উল্লেখ করেছে।
তিনি আরও বলেছেন, যে চিঠিটি কোম্পানির মধ্যে সম্ভাব্য বিরোধের জন্য প্রাসঙ্গিক নথি সংরক্ষণ করতে মেটার জন্য একটি ‘আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি’ চিহ্নিত করেছে।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস আরও তথ্যের জন্য বৃহস্পতিবার স্পিরো এবং টুইটারে যোগাযোগ করেছে। টুইটার একটি পোপ ইমোজি সহ মন্তব্য চেয়ে একটি ইমেইলের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, যা সাংবাদিকদের কাছে এটি স্বয়ংক্রিয় প্রতিক্রিয়া বলে মনে হয়েছে।
এলন মাস্ক আইনি পদক্ষেপের সম্ভাবনা সম্পর্কে সরাসরি টুইট করেননি, তবে তিনি থ্রেডস উদ্বোধনের বেশ কয়েকটি চটকদার জবাব দিয়েছেন। টুইটারের মালিক একটি টুইটের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন যে মেটার অ্যাপটি মূলত কপি এবং পেস্ট ফাংশন ব্যবহারের মাধ্যমে একটি হাসির ইমোজি সহ তৈরি করা হয়েছিল।
টুইটারের সিইও লিন্ডা ইয়াকারিনোও বুধবারের চিঠির বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি, তবে বৃহস্পতিবারের টুইটে থ্রেডের উদ্বোধনকে সম্বোধন করতে দেখা গেছে।
ইয়াক্কারিনো লিখেছেন, ‘আমাদের প্রায়ই অনুকরণ করা হয়- কিন্তু টুইটার সম্প্রদায়কে কখনই নকল করা যায় না।’
তবুও, কিছু বিশ্লেষক বলেছেন যে মেটার নতুন অ্যাপটি টুইটারের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য মাথাব্যথা হতে পারে। থ্রেডের উদ্বোধন এবং চিত্তাকর্ষক ডাউনলোড সংখ্যাগুলোকে ঘিরে উত্তেজনার দিকে ইঙ্গিত করে।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তায় অবহেলা, অভিযোগ টুইটারের সাবেক নিরাপত্তা প্রধানের
অবশ্যই অ্যাপটির সাফল্য নিশ্চিত নয়। শিল্প পর্যবেক্ষকরা মেটা-এর স্বতন্ত্র অ্যাপগুলো শুরু করার ট্র্যাক রেকর্ডের দিকে নির্দেশ করে যা পরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, নোট করুন যে থ্রেডগুলো এখনও তার প্রাথমিক পর্যায়ে আছে, তাই সময়ই কথা বলবে।
মেটার নতুন অ্যাপটি ডেটা গোপনীয়তার উদ্বেগও বাড়িয়েছে। যদিও থ্রেডগলো বুধবার ১০০ টিরও বেশি দেশে চালু হয়েছে। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নে উল্লেখযোগ্যভাবে অনুপলব্ধ, যেখানে কঠোর ডেটা গোপনীয়তার নিয়ম রয়েছে৷
আরও পড়ুন: টুইটারের নিয়ন্ত্রণে ইলন মাস্ক, শীর্ষ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত
দারুণ সব অফারসহ শেয়ারট্রিপ এর ৫ লাখ ডাউনলোড উদযাপন!
দেশের শীর্ষস্থানীয় ট্রাভেল টেক প্রতিষ্ঠান শেয়ারট্রিপের অর্জনে যুক্ত হলো আরও একটি মাইলফলক! গুগল প্লে স্টোরে ৫ লাখ বার ডাউনলোড হয়েছে অ্যাপটি, যা দেশের যেকোন ভ্রমণ ভিত্তিক অ্যাপের জন্য এবারই প্রথম। প্লে স্টোরের ট্রাভেল ও লোকাল ক্যাটাগরির মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এই অ্যাপটি। ৪ হাজার দুইশ’রও বেশি রিভিউ থেকে ৪ দশমিক ৪ স্টার অর্জন করা এই অ্যাপটি ওয়ান-স্টপ ট্রাভেল সল্যুশন প্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্বমঞ্চে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
ব্যবহারকারীদের সঙ্গে এ অর্জন উদযাপনে শেয়ারট্রিপ নিয়ে আসছে ৫ দিনব্যাপী দুর্দান্ত সব অফার। এছাড়াও শেয়ারট্রিপের সকল সেবায় থাকছে ৫ শতাংশ ছাড়। শেয়ারট্রিপ থেকে বুক করলেই দেশজুড়ে বিভিন্ন হোটেল ও রিসোর্টে গ্রাহকেরা পাবেন আরও ৭৫ শতাংশ এবং আন্তর্জাতিক হোটেলে থাকছে ৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। তাছাড়াও, ফ্লাইটে থাকছে ১৯ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। এই অফারগুলো চলবে চলতি জুলাইয়ের ৬ তারিখ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত।
স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট, হোটেল ও ট্যুর পরিষেবা প্রদান করে শেয়ারট্রিপ। দেশের প্রথম অটো ভয়েড, অটো রিফান্ড ও তারিখ পরিবর্তনের সুবিধা নিয়ে এসেছে শীর্ষস্থানীয় এ ট্রাভেল টেক প্রতিষ্ঠান। এতে করে ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র কয়েক ট্যাপেই অ্যাপের মাধ্যমে তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে পারবেন, যা তাদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে করে তুলবে আরও সহজ, দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত।
আরও পড়ুন: ‘ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডস’ পুরস্কার অর্জন শেয়ারট্রিপের
তাছাড়াও, ফ্লাইট ট্র্যাকার, কুইজ ও স্পিন টু উইন সহ নানান উদ্ভাবনী ফিচার রয়েছে শেয়ারট্রিপ অ্যাপ ও ওয়েব প্ল্যাটফর্মে। ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে এবং শেয়ারট্রিপকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করে তুলতে অনন্য ভূমিকা রাখছে এসব ফিচার।
ভ্রমণ খাতের সম্প্রসারণ এবং সাধারণ মানুষদের ভ্রমণের দিকে আরও আকৃষ্ট করতে ২০১৯ সাল থেকে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে শেয়ারট্রিপ। দীর্ঘদিনের অসামান্য প্রচেষ্টার ফলস্বরুপ ভ্রমণ খাতে অনন্য এই কীর্তি অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের এই অসাধারণ অর্জন দেশে এবং দেশের বাইরের সকল ভ্রমণপ্রেমীদের মাঝে শেয়ারট্রিপের জনপ্রিয়তারই প্রতিফলন।
শেয়ারট্রিপের প্রধান নির্বাহী ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা সাদিয়া হক বলেন, ‘দেশের পর্যটনখাতে নতুন মাত্রাদানের লক্ষ্য নিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করি। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশে ভ্রমণ খাতে রূপান্তর নিয়ে আসা। এ ব্যাপারে আমাদের মার্কেটিং ও টেক টিম নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মানুষের ভ্রমণ অভিজ্ঞতায় যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসতে আমরা এ অ্যাপ তৈরি করেছি।’
উল্লেখ্য, শেয়ারট্রিপের মাধ্যমে ভ্রমণ খাতে অসামান্য ভূমিকা রাখার জন্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী সাদিয়া হক সম্প্রতি কটলার অ্যাওার্ডস-২০২৩ অর্জন করেন। তার এই ভূমিকা শেয়ারট্রিপের সকল সদস্যদেরকে বাংলাদেশের ভ্রমণ খাতকে নতুন উচ্চতায় এগিয়ে নিয়ে যেতে আরও উৎসাহিত করছে। এই প্রচেষ্টার ফলস্বরুপ শেয়ারট্রিপ মাত্র চার বছরে মার্কেট লিডারে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: উইমেন লিডার অব দ্য ইয়ার-২০২৩ হলেন শেয়ারট্রিপের সাদিয়া হক
হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট হিস্ট্রি আরও নিরাপদে স্থানান্তর যেভাবে করবেন
মেটা প্ল্যাটফর্মস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ শুক্রবার হোয়াটসঅ্যাপে একটি নতুন ফিচারের ঘোষণা দিয়েছেন। যা ব্যবহারকারীদের একই অপারেটিং সিস্টেমের ডিভাইসগুলোর মধ্যে নিরাপদ উপায়ে চ্যাট হিস্ট্রি স্থানান্তর করার সুযোগ দেয়।
জাকারবার্গ নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক প্রোফাইলে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন এবং লিখেছেন, ‘আপনি যদি আপনার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট নতুন একটি মুঠোফোনে স্থানান্তর করতে চান, তাহলে চ্যাট না হারিয়েই আরও গোপনীয়তার সঙ্গে আপনি তা করতে পারবেন।’
হোয়াটসঅ্যাপ টিমের বিবৃতি অনুযায়ী, এই প্রথম একজন ব্যবহারকারী অ্যাপ থেকে বের না হয়েই সম্পূর্ণ চ্যাট ও মিডিয়া হিস্ট্রি সংরক্ষণ করতে পারবেন। হোয়াটসঅ্যাপ দাবি করছে যে তৃতীয় পক্ষের কোনো অ্যাপ বা ক্লাউড সেবা ব্যবহারের চেয়ে এটি হবে আরও নিরাপদ। কারণ, দুইটি ডিভাইসের মধ্যে হিস্ট্রি স্থানান্তরের সময় একটি কিউআর কোড অথেনটিকেটর (এক ধাপ বাড়তি নিরাপত্তা) হিসেবে কাজ করে এবং প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণভাবে এনক্রিপ্টেড। ফলে ডেটা শুধুমাত্র উক্ত দুই ডিভাইসের মধ্যে স্থানান্তরিত হবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাজ্য হিসেবে মন্টানায় ব্যক্তিগত ডিভাইসে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে টিকটক
এর ফলে ব্যবহারকারীরা পূর্বে যেভাবে ‘ব্যাকআপ’ ও ‘রিস্টোর’ এর মাধ্যমে কাজটি করতেন, এখন তার চেয়ে দ্রুত করতে পারবেন। এর মাধ্যমে বড় আকারের ফাইল ও অ্যাটাচমেন্ট স্থানান্তর করা যাবে।
যেভাবে স্থানান্তর করা যাবে
এর জন্য মুঠোফোনে ওয়াইফাই ও লোকেশন অপশন চালু রাখতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংস থেকে চ্যাটস অপশনের অধীনে এই সুবিধা রয়েছে। একটু নিচের দিকে আসলেই ‘ট্রান্সফার চ্যাটস’ অপশনটি পাওয়া যাবে। যে ডিভাইসে স্থানান্তর করতে হবে সেখানে হোয়াটসঅ্যাপ নামিয়ে নিয়ে একটি ফোন নম্বর দিয়ে রেজিস্টার করে নিতে হবে।
এরপর সেখানে দেখানো কিউআর কোডটি পূর্বের ডিভাইসের সাহায্যে স্ক্যান করলেই স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সূত্র: এএনআই
আরও পড়ুন: পুনরায় হোয়াটসঅ্যাপ চালু
বার্তা আদানপ্রদান করতে না পারার অভিযোগ করেছেন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা