%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
পোকেমন গো’র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নিয়ানটিক এক-চতুর্থাংশ কর্মী ছাঁটাই করবে
পোকেমন গো ভিডিও গেমের নির্মাতা কোম্পানি নিয়ান্টিক ইনকরপোরেটেড জানিয়েছে, মহামারি চলাকালীন সময়ে ডাউনলোড বেড়ে যাওয়ার পরবর্তী সময়ে গেমিং শিল্পে চাহিদা কমে যাওয়ায় তারা তাদের এক চতুর্থাংশ কর্মী ছাঁটাই করবে।
কোম্পানিটি লস অ্যাঞ্জেলেসে এর স্টুডিও-ও বন্ধ করবে এবং দুটি গেম বাতিল করবে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নিয়ান্টিকের প্রধান নির্বাহী জন হ্যাঙ্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা আমাদের ব্যয়কে রাজস্বের চেয়ে দ্রুত বাড়তে দিয়েছি।’
পোকেমন গো ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়ার পরে এটি বিশ্বব্যাপী আলোচনা ও আগ্রহের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
সে সময় প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল জানিয়েছিল যে অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) গেমটি এক সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোডে অ্যাপ স্টোরের রেকর্ড ভেঙেছিল।
আরও পড়ুন: গুগল স্ট্রিমিং গেম পরিষেবা বন্ধ করবে আগামী জানুয়ারিতে
হ্যাঙ্ক বলেন, ‘শীর্ষ অগ্রাধিকার হলো পোকেমন গো-কে পরিচ্ছন্ন রাখা এবং চিরদিনের জন্য একটি গেম হিসেবে এগিয়ে নেওয়া।’
তিনি আরও বলেন যে গেমটি চালু করার পর স্মার্টফোন মার্কেটে বেশ ভিড় বেড়েছে, তাছাড়া অ্যাপ স্টোর ও বিজ্ঞাপনের পরিবর্তনের কারণে বড় পরিসরে নতুন গেম ছাড়া এখন অনেকটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই ছাঁটাইয়ের ফলে নিয়ান্টিকের গেম প্ল্যাটটফর্ম টিমসহ মোট ২৩০ জন কর্মী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
কোম্পানিটি এর এনবিএ অল-ওয়ার্ল্ড গেমটিও বাতিল করবে, যা জানুয়ারিতে প্রকাশিত হয়েছিল এবং এর মার্ভেল ওয়ার্ল্ড অব হিরোস শিরোনামের গেমের বাজারজাত বন্ধ করবে।
সূত্র: বিবিসি
আরও পড়ুন: পোকেমনে আর দেখা যাবে না অ্যাশ-পিকাচুর বন্ধুত্ব
ইন্টারেক্টিভ গেমিং প্ল্যাটফর্ম ‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ উদ্বোধন করলেন পলক
প্রবাসীদের জন্য থাকছে ‘ডিজিটাল হাটে’ পশু ক্রয়ের সুবিধা
প্রবাসী ক্রেতাদের কোরবানির পশু ক্রয়ের সুযোগ থাকছে এ বছরের ডিজিটাল হাটে। ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে প্রথমবারের মতো চালু হওয়া ‘ডিজিটাল হাট’ এবারও অনলাইনে পশু বিক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে। শনিবার (২৪ জুন) প্রবাসী ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর ব্যবস্থাপনায় ও সরকারের এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রকল্পের একশপ-এর কারিগরি সহায়তায় ইতোমধ্যে অনলাইনে কোরবানির পশুবিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও স্থানীয় পর্যায়ের হাটগুলো যুক্ত রয়েছে এবারের ডিজিটাল হাট-এ।
সেইসঙ্গে ডিজিটাল হাটে যুক্ত হয়েছে প্রবাসী ক্রেতাদের জন্য অনলাইনে পেমেন্টের মাধ্যমে গরু ক্রয়ের সুবিধা। সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স এসোসিয়েশন। ২০ জুন থেকে শুরু হয়েছে এই প্ল্যাটফর্মে পশু বিক্রয়।
ই-ক্যাবের জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ‘আমরা বিগত তিন বছরে প্রায় ১০ হাজার খামারিকে এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করেছি। বিভিন্নভাবে তারা অনলাইনে পশু বিক্রয় করেছেন এবং অনেকে প্রত্যক্ষভাবেও এর সুফল পেয়েছেন।’
আরও পড়ুন: এবার সাতক্ষীরার কোরবানির হাট কাঁপাবে ‘হিরো সম্রাট’ ও ‘শুভরাজ’
তিনি আরও বলেন, ‘খামারি,অনলাইন উদ্যোক্তা ও কোরবানির পশুর ক্রেতা; সকলের কথা চিন্তা করেই আমরা এই উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছি।’
একশপ-এর দলনেতা ও এটুআই-এর কমার্শিয়াল স্ট্র্যাটেজি বিভাগের প্রধান রেজওয়ানুল হক জামি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি বা চলাচল সংক্রান্ত কোনো সরকারি নিষেধাজ্ঞা বা বিধি-নিষেধ না থাকলেও ক্রেতাদের আগ্রহের কারণে এবারও ডিজিটাল হাট-এর মাধ্যমে কোরবানি পশু বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মূল ওয়েব ঠিকানা digitalhaat.gov.bd ছাড়াও দেশের শীর্ষস্থানীয় পশু বিক্রয়ের প্ল্যাটফর্মগুলো এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। আরও যুক্ত রয়েছে জেলা পর্যায়ের ফেসবুক ও ওয়েবভিত্তিক পশু বিক্রয়ের প্ল্যাটফর্মগুলো।’
২০২০ সালে ডিজিটাল হাটের প্রথম বছরেই ২৭ হাজার পশু বিক্রয় হয়েছিল। পরবর্তী বছরে (২০২১ সাল) ৩ লাখ ৮৭ হাজার কোরবানির পশু বিক্রয়ের মাধ্যমে এক অনন্য রেকর্ড স্থাপন করে প্ল্যাটফর্মটি। যার স্বীকৃতি হিসেবে ২০২১ সালে এটি ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কারে ভূষিত হয়।
ই-ক্যাবের অর্থ সম্পাদক আসিফ আহনাফ বলেন, ‘এবারের ডিজিটাল হাটের বিশেষ সংযোজন হচ্ছে প্রবাসী ক্রেতাদের জন্যেও অনলাইনে পশু ক্রয়ের সুযোগ। তবে সেটা শুধুমাত্র মূল প্ল্যাটফর্ম digitalhaat.gov.bd থেকে ক্রয়ের জন্য প্রযোজ্য হবে এবং ক্রেতা যে জেলার জন্য ক্রয় করবেন সে জেলায় পশুর অবস্থান হতে হবে।’
আরও পড়ুন: গরুর হাটে জাল নোট শনাক্তে ব্যাংকগুলোকে বুথ বসাতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
ডিজিটাল হাট-এর মাঠ পর্যায়ের সমন্বয়ক ই-ক্যাবের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম শোভন বলেন, ডিজিটাল হাটে পেমেন্টের প্রক্রিয়া যেমন হবে- পশু পছন্দ ও দাম নির্ধারণের পরে কতৃপক্ষ ক্রেতা ও বিক্রেতাকে ভেরিফাই করে একটি অনলাইন পেমেন্ট লিংক ক্রেতার জন্য প্রেরণ করবেন। সেই লিংকে ক্রেতা পেমেন্ট প্রদান করবেন। বিক্রেতা তার ঠিকানা অনুযায়ী পশু ডেলিভারি করবেন। পুরো বিষয়টি ডিজিটাল হাট ব্যবস্থাপনা কতৃপক্ষ তদারকি করবেন।
তিনি আরও বলেন, এবারও স্লটারিং সেবার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে এটা সম্ভব হবে স্লটারিং-এর জন্য নির্ধারিত স্থান খালি থাকা সাপেক্ষে এবং আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে। আশা করা যাচ্ছে এবারও আইসিটি প্রতিমন্ত্রীসহ অন্যান্য অনেকে ডিজিটাল হাট থেকে পছন্দের পশু ক্রয় করবেন।
এবার ডিজিটাল হাটের স্পন্সর হিসেবে রয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় মার্কেটপ্লেস দারাজ এবং গেটওয়ে পার্টনার হিসেবে রয়েছে ওয়ালেটমিক্স।
সরকারের নির্ধারিত বিধি মোতাবেক ডিজিটাল হাট পরিচালনা করা হবে। কোরবানি পশু সংক্রান্ত শরিয়তের বিধান ও অন্যান্য বিষয় তদারকির মধ্যে রয়েছে। এছাড়া, এ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ডিজিটাল হাট-এর ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশু কেনাবেচায় ডিজিটাল হাট চালু
অগমেন্টেড রিয়েলিটি প্রযুক্তির ‘ভিশন প্রো’ হেডসেট নিয়ে এলো অ্যাপল
মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল তাদের বার্ষিক ওয়ার্ল্ডওয়াইড ডেভেলপারস কনফারেন্সে (ডব্লিউডব্লিউডিসি) সোমবার অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) প্রযুক্তির ভিশনওএস অপারেটিং সিস্টেমযুক্ত ‘অ্যাপল ভিশন প্রো’ নামের একটি হেডসেট উন্মোচন করেছে।
হেডসেটটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ২৩ মিলিয়ন পিক্সেলের আল্ট্রা-হাই রেজ্যুলেশনের দুইটি ডিসপ্লে। এই প্রযুক্তিতে ডুয়াল-চিপ নকশার অ্যাপলের নিজস্ব সিলিকন ব্যবহার করা হয়েছে।
অন্যান্য যেকোনো ডিসপ্লে থেকে এটি সম্পূর্ণ আলাদা। ব্যবহারকারীকে দেখলে মনে হবে, যেন চোখে চশমা পরেছেন। ব্যবহারকারী যখন হেডসেটটি চোখে পরবে তখন এটি চোখের সঙ্গে এমন বাস্তব হয়ে ধরা দেবে, যেন মনে হবে যেকোনো ডিজিটাল কনটেন্ট বাস্তব দুনিয়াতে ঘটছে।
এটি আসলে আসলে কম্পিউটার এবং বাস্তব দুনিয়াকে সুপারইম্পোজ করে বানানো। যা ব্যবহার করে অ্যাপ্লিকেশনের (অ্যাপ) অভিজ্ঞতায় পাওয়া যাবে অসীম ক্যানভাসের স্বাদ।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাজ্য হিসেবে মন্টানায় ব্যক্তিগত ডিভাইসে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে টিকটক
অ্যাপল জানিয়েছে, চোখ, হাত ও কণ্ঠস্বর দিয়ে একজন ব্যবহারকারী ত্রিমাত্রিক ইন্টারফেসের এই কম্পিউটিং প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবেন।
কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুক বলেন, ‘আজ কম্পিউটিং প্রযুক্তির নতুন এক যুগের সূচনা হলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঠিক যেমন ম্যাক আমাদেরকে পার্সোনাল কম্পিউটিং এবং আইফোন মোবাইল কম্পিউটিংয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে, অ্যাপল ভিশন প্রো আমাদের দূর নিয়ন্ত্রিত কম্পিউটিংয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিবে।’
অ্যাপলের অপারেটিং সিস্টেমের সর্বশেষ হালনাগাদ ও নতুন পণ্যের উন্মোচন নিয়ে চলতি বছরের অনলাইন ফরম্যাটের ডব্লিউডব্লিউডিসি সোমবার থেকে শুরু হয়েছে এবং শেষ হবে শুক্রবার।
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের শহরে চালকবিহীন গাড়ি ভাড়ার সেবা চালু
নিউরালিংক: ইলন মাস্কের ব্রেইন-চিপ কোম্পানির মানবদেহে পরীক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন
জলজ খাদ্য, সম্পদ ও সম্প্রদায়ের কোভিড-১৯ এর প্রভাব নিরূপণে শাবিপ্রবির গবেষণা বিশ্বে মডেল
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) গবেষণায় বাংলাদেশে জলজ খাদ্য ব্যবস্থা, জলজ সম্পদ ও সম্প্রদায়ের কোভিড-১৯ এর প্রভাব নিরূপণ বিষয়টি উঠে এসেছে। গবেষণাটি শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বব্যাপী একটি মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে যা যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ‘মেরিন পলিসি’ জার্নালে প্রকাশিত হয়। প্রকাশনার মাত্র এক বছরেরও কম সময়ে গবেষণাটি ১০০ এর অধিক গবেষণা প্রবন্ধে উদ্বৃত (সাইট) করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক প্রধান ও ড. মো. আশরাফুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে পিএইচডি গবেষক আতিকুর রহমান সানী গবেষণা কার্যক্রমটি পরিচালনা করেন।
গবেষণাপত্র সূত্রে জানা যায়, কোভিড-১৯ একটি বড় বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট, যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে মারাত্মক খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। যদিও বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য প্রভাবকে বিভিন্ন সেক্টরে কিভাবে সমাধান করা যায় তা আলোচনা করেছে, তবে এখানে জলজ সম্পদ ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যা এবং খাদ্য সংকট অনুপস্থিত ছিল।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
এ রকম এক বাস্তবতাকে মাথায় রেখে, এই গবেষণায় জলজ খাদ্য খাত এবং নির্ভরশীল জনসংখ্যার সঙ্গে ছোট আকারের মৎস্য চাষের ওপর এর প্রভাবকে সংযুক্ত করে বিদ্যমান পরিস্থিতি এবং কোভিড-১৯ এর চ্যালেঞ্জগুলো নিরূপণ করে তা সমাধানের ব্যবধান পূরণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
পিএইচডি গবেষক আতিকুর রহমান সানী জানান, কোভিড-১৯ ওভারভিউ; একইসঙ্গে জলজ ইকোসিস্টেম, ক্ষুদ্র আকারের মৎস্য চাষ, জলজ খাদ্য উৎপাদন, চাহিদা ও সরবরাহের সঙ্গে এর সংযোগ বিশ্লেষণ করে গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়।
তিনি জানান, কোভিড-১৯ এর প্রভাব কিভাবে অনুভূত হয়েছিল এবং কিভাবে তারা জলজ খাদ্য ব্যবস্থা এবং ছোট আকারের মৎস্য চাষকে প্রভাবিত করেছে সে বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে জলজ সম্পদের ওপর নির্ভরশীল সম্প্রদায়গুলোর মতামতের ভিত্তিতে বিভিন্ন বিধ্বংসী প্রভাবের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে গবেষণাটিতে।
তিনি জানান, আকস্মিক অসুস্থতা, আয় কমে যাওয়া, উৎপাদন ও ইনপুট সংগ্রহ শুরু করতে জটিলতা, শ্রম সংকট, পরিবহন বিমূর্ততা, খাদ্য সরবরাহে জটিলতা, দুর্বল মূল্য শৃঙ্খল, নিম্ন ভোক্তা চাহিদা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পাওনাদারের চাপকে প্রাথমিকভাবে প্রভাবিতকারী চালক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে অধ্যাপক ড. শামসুল হক প্রধান বলেন, জলজ সম্পদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিরা মনে করেন যে সরকারের গৃহীত ব্যবস্থাগুলো স্বাস্থ্য এবং খাদ্য নিরাপত্তা উভয় সুরক্ষার ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত। বিকল্প আয় সৃষ্টির সুযোগ, রেশনিং ব্যবস্থা, প্রশিক্ষণ ও প্রেরণামূলক কর্মসূচি পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে পারে। তাই, গবেষণাটিতে জলজ খাদ্য খাত এবং ছোট আকারের মৎস্য চাষের ওপর মহামারির প্রভাব প্রশমিত করার জন্য নীতি নির্ধারকদের দ্বারা গৃহীত নীতিগুলোরও অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
শাবিপ্রবির প্রথম নারী কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন
ইংল্যান্ডের শহরে চালকবিহীন গাড়ি ভাড়ার সেবা চালু
ইংল্যান্ডের একটি শহরে এমন এক গাড়ি ভাড়া করার পরিষেবা চালু করা হয়েছে, যেখানে সেবা কাঙ্ক্ষিত গ্রাহককে চালকবিহীন গাড়ি পাঠানো হয়।
মিল্টন কেইনস শহরে ১৮ মাস ধরে ফেচ ভেহিকেল সিস্টেমটি পরীক্ষা করা হয়েছে এবং বর্তমানে তা গ্রাহকের দোরগোড়ায় আনা হয়েছে।
এই পরিষেবার পেছনে রয়েছে ‘ইম্পেরিয়াম ড্রাইভ’ নামের কোম্পানি। অফিসভিত্তিক অপারেটরের মাধ্যমে চালকবিহীন গাড়িগুলো কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছিয়ে দেওয়া হয়। তারা দাবি করছে যে এরকম পরিষেবা ইউরোপে এই প্রথম।
ইম্পেরিয়াম ড্রাইভের প্রধান নির্বাহী কুশা কাভেহ বলেন, ‘এটি (পরিষেবায় ব্যবহৃত গাড়ি) চালকবিহীন বটে, তবে এখনও স্বচালিত নয়।’
একজন অপারেটর গাড়িতে থাকা একাধিক ক্যামেরার মাধ্যমে এর আশেপাশের ৩৬০ ডিগ্রি দৃশ্য দেখতে পারবেন। তাছাড়া এর অপারেটিং সফটওয়্যারে (ওএস) থাকছে অ্যান্টি-ক্র্যাশ সেফটি সিস্টেম।
আরও পড়ুন: দুবাইয়ে চালকবিহীন বৈদ্যুতিক উড়ুক্কু গাড়ি চালাল চীনা প্রতিষ্ঠান
ফরিদপুরে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্বোধন
ফরিদপুর জেলার বিজ্ঞান অনুরাগীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি এবং তরুণদের উদ্ধাবনী শক্তি বিকাশে উৎসাহ সৃষ্টির লক্ষ্যে ৪৪তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় শহরের অম্বিকা মেমোরিয়াল হলে সপ্তাহব্যাপী এই মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় দুইদিন ব্যাপী জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিচালনায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিসিসির চুক্তি
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লিটন আলী, অতিরক্ত জেলা প্রশাসক আশেকুল হক, বিপুল চন্দ্র দাস, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা সহ কর্মকর্তারা।
সাত দিনব্যাপী এই মেলায় মোট ১৮ টি স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করছে।
প্রধান অতিথি বেলুন উড়িয়ে এবং ফিতা কেটে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: উদ্ভাবনে অবদানের জন্য দুইটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করল অপো
চীন ২০৩০ সালের আগে চাঁদে মহাকাশচারী স্থাপনে স্পেস স্টেশনের নতুন ক্রু চালু করেছে
চীন মঙ্গলবার তার প্রদক্ষিণকারী মহাকাশ স্টেশনের জন্য দশকের শেষের আগে চাঁদে নভোচারীদের রাখার লক্ষ্যে তিন জন পরিবহনে সক্ষম নতুন একটি ক্রু চালু করেছে।
শেনজু-১৬ নামের মহাকাশযানটি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার পর একটি লং মার্চ ২-এফ রকেটের সাহায্যে উত্তর-পশ্চিম চীনের গোবি মরুভূমির প্রান্তে অবস্থিত জিউকুয়ান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে যাত্রা করে।
চীনের প্রথম বেসামরিক মহাকাশচারী সহ ক্রুরা, এখন তিনজনের সঙ্গে টিয়ানগং স্টেশনে সংক্ষিপ্তভাবে ওভারল্যাপ করবে, যারা তাদের ছয় মাসের মিশন শেষ করার পরে পৃথিবীতে ফিরে আসবে।
আরও পড়ুন: মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরলেন ৪ নভোচারী
নভেম্বরে স্টেশনে একটি তৃতীয় মডিউল যুক্ত করা হয়েছিল, এবং সোমবার মহাকাশ কর্মসূচির কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে তাদের ২০৩০ সালের আগে চাঁদে একটি ক্রু মিশন চালু করার পাশাপাশি এটিকে প্রসারিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সামরিক শাখা পিপলস লিবারেশন আর্মির সঙ্গে চীনা মহাকাশ কর্মসূচির ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়ে মার্কিন উদ্বেগের কারণে চীন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে বাদ দেওয়ার পরে তার নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন তৈরি করেছিল।
২০০৩ সালে চীনের প্রথম মনুষ্যবাহী মহাকাশ মিশন এটিকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর তৃতীয় দেশ হিসেবে তার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মহাকাশে পাঠায়।
এই সর্বশেষ মিশনে, বেইজিংয়ের শীর্ষ মহাকাশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক পেলোড বিশেষজ্ঞ গুই হাইচাও, মহাকাশে চারবার ভ্রমণকারী মিশন কমান্ডার মেজর জেনারেল জিং হাইপেং, এবং মহাকাশযান প্রকৌশলী ঝু ইয়াংঝু যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: মহাকাশ স্টেশনে ৬ মাস অবস্থানের পর ফিরলেন ৩ চীনা নভোচারী
নিউরালিংক: ইলন মাস্কের ব্রেইন-চিপ কোম্পানির মানবদেহে পরীক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন
ইলন মাস্কের ব্রেইন-চিপ ফার্ম জানিয়েছে, তারা মানুষের ওপর প্রথম পরীক্ষা চালানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে।
নিউরালিংক ইমপ্লান্ট কোম্পানি কম্পিউটারের সঙ্গে মস্তিষ্ককে সংযুক্ত করে মানুষের দৃষ্টি ও গতিশীলতা পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করতে চায়।
এতে বলা হয়, অংশগ্রহণকারীদের নিয়োগ শুরু করার তাৎক্ষণিক কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। পরীক্ষা শুরু করার জন্য ইলন মাস্কের পূর্বের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ব্যর্থ হয়েছিল।
এফডিএ জানিয়েছে, তারা নিউরালিংকের ঘোষণাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটির বিকল্প 'ট্রুথজিপিটি' তৈরির পরিকল্পনা ইলন মাস্কের
গত মার্চে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এফডিএ'র অনুমোদন পাওয়ার জন্য নিউরালিংকের একটি প্রস্তাব নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, নিউরালিংক পক্ষাঘাত ও অন্ধত্বের মতো অবস্থার চিকিৎসার জন্য এবং কিছু প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কম্পিউটার ও মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে সহায়তা করার জন্য মাইক্রো চিপগুলো ব্যবহার করার আশা করে।
বানরের ওপর পরীক্ষা করা চিপগুলো মস্তিষ্কে উৎপাদিত সংকেত ব্যাখ্যা করতে এবং ব্লুটুথের মাধ্যমে ডিভাইসে তথ্য পাঠাতে ডিজাইন করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে নিউরালিংকের মস্তিষ্কের ইমপ্লান্ট ব্যাপকভাবে উপলব্ধ হতে হলে প্রযুক্তিগত ও নৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে ব্যাপক পরীক্ষার প্রয়োজন হবে।
আরও পড়ুন: টেসলার রোবট ‘অপটিমাস’ দেখালেন ইলন মাস্ক
সমুদ্র অর্থনীতিতে সম্পদ ব্যবস্থাপনার ওপর এখনই জোর দেওয়া উচিত
সমুদ্র অর্থনীতিতে সম্পদ ব্যবস্থাপনার ওপর এখনই জোর দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক ড. সুব্রত সরকার।
তিনি জানান, বর্তমান বিশ্বে জনসংখ্যা বাড়ছে। ২০৩৭ সাল নাগাদ বিশ্বে জনসংখ্যা হবে ৯ বিলিয়ন। আর এই বহুল জনসংখ্যার খাদ্য ও কর্মসংস্থানের জন্য আমাদের সমুদ্রের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করতে হবে। আমরা যদি প্রতিনিয়ত এই সমুদ্র সম্পদ নিতেই থাকি। তাহলে একসময় আমাদের এই সম্পদের মজুদ ফুরিয়ে যাবে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সমুদ্র অর্থনীতির গুরুত্ব ও করণীয় নিয়ে বার্তাসংস্থা ইউএনবির সঙ্গে কথা বলেন ড. সুব্রত সরকার।
তিনি বলেন, সমুদ্র সম্পদকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা রাখতে চাই, তাহলে আমাদের ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে হবে। সমুদ্র অর্থনীতিতে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। এই উপমহাদেশে সমুদ্রের গুরুত্ব পেয়েছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সমুদ্র পথে আসার প্রাক্কালে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সমুদ্রের বিষয়টি মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমানা জয়ের পর গুরুত্ব পায়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
বর্তমানে সরকার ব্লু ইকোনোমি এর ওপর জোর দিচ্ছে। বাংলাদেশে ব্লু ইকোনোমির ক্ষেত্রে ফিসারিজ সার্ভে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অতীতে এই ফিসারিজ সার্ভের জটিলতা থাকলেও বর্তমানে সরকার ফিসারিজ সার্ভে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া সরকার এখন সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে মৎস্য চাষে গুরুত্ব আরোপ করেছে। বর্তমানে আমাদের মৎস্য আহরণ উপকূলের ৪০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। ৪০ মিটারের বাইরেও মৎস্য আহরণে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা টুনা মাছ সম্পর্কে অনেকেই জানি। আমাদের সাগর অংশে টুনা মাছ ওইভাবে ধরা পড়েনি। সরকারের পদক্ষেপ অনুযায়ী সরকারিভাবে টুনা মাছ ধরা হবে। আর অন্যরা যাতে টুনা মাছ ধরার জন্য আগ্রহী হয় সরকার সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রাইভেট সেক্টর যেনো সমুদ্র অর্থনীতির অংশ হিসেবে আনা যায় সরকার এজন্য কাজ করছে।
সুব্রত সরকার জানান, সমুদ্র অর্থনীতিতে বর্তমানে সি-উইড বিশাল একটি অংশ। বাংলাদেশে বর্তমানে সি-উইড চাষের সম্ভাবনার ক্ষেত্রে বড় পরিসরে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বাণিজ্যিক আকারে এই সমুদ্রসম্পদ সি-উইড উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি জানান, সমুদ্র সম্পদ সংরক্ষণে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ তিনটি মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া এবং একটি মেরিন রিজার্ভ ঘোষণা করেছে। মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া ছাড়াও সমুদ্র অর্থনীতিতে ট্যুরিজমের চাহিদা দিনে দিনে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এই বৃদ্ধির বিষয়টি লক্ষণীয়। সরকারের এইদিকে বিশেষ নজর দেখা যাচ্ছে।
সমুদ্রসম্পদ ব্যবস্থাপনার কথা জানিয়ে সুব্রত সরকার বলেন, চলতি বছরের ১২ মার্চ থেকে ২৩মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের সমুদ্র বিষয়ক সংস্থা পোগো এবং শাবিপ্রবির সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের যৌথ উদ্যোগে জাপানভিত্তিক সংস্থা নিপ্পন ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায়, জাতিসংঘের সমুদ্র দশক (২০২১-২০৩০) প্রোগ্রাম ও ভারতের জাতীয় সমুদ্র তথ্যসেবা কেন্দ্রের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৭টি দেশ হতে ১৫০টি এর মধ্যে টপ ২২জনকে ট্রেনিং প্রদান করা হয়। যেখানে সমুদ্র অর্থনীতিতে সমুদ্রসম্পদের
ব্যবস্থাপনার দিকগুলোকে মূল বিষয় হিসেবে তুলে ধরা হয়। সমুদ্র সম্পদের সঠিক ব্যবহার, সুনীল অর্থনীতির ক্রমবিকাশ, সমুদ্র ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া এখন জরুরি। সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন সংস্থা এর যেমন জোর দিচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান কর্মতৎপরতায় সমুদ্র অর্থনীতি আরও বেশি এগিয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির প্রথম নারী কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন
ছয় মাসের মধ্যে দেশের ১ লাখ ৯ হাজার প্রতিষ্ঠান অপটিক্যাল ফাইবারে যুক্ত হবে: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে দেশের এক লাখ ৯ হাজার প্রতিষ্ঠান দ্রুত গতির ইন্টারনেট অপটিক্যাল ফাইবারে যুক্ত হবে।
বুধবার দুপুরে নাটোরের সিংড়ায় রাজশাহী বিভাগীয় বিজনেস প্রসেস আউটসোসিং (বিপিও) সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের পোড়া চাদর কিনলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
এসময় পলক বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে এখন কর্মক্ষম লোকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। অথচ আমাদের দেশে ৭০ শতাংশ কর্মক্ষম লোক রয়েছে। এই সংখ্যাকে জনশক্তিতে রুপান্তর করতে পারলে চাকরির পেছনে ছুটতে হবে না।
তিনি বলেন, সে লক্ষ্য নিয়েই তরুণ-তরুণীরা নিজেদেরকে জনশক্তিতে রুপান্তর করে কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে। সেজন্য আগামী ছয় মাসের মধ্যে দেশের এক লাখ ৯ হাজার প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত গতির ইন্টারনেট অপটিক্যাল ফাইবারে যুক্ত করা হবে।
অনুষ্ঠানে নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভুঁইয়া, পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) সভাপতি ওয়াহেদ শরীফ, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন সহ অন্যান্যেরা।
আরও পড়ুন: ফ্রিল্যান্সারদের সরকারিভাবে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে: পলক
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের সঙ্গে জেট্রোর চেয়ারম্যানের বৈঠক