বিজ্ঞান-ও-প্রযুক্তি
যুক্তরাজ্যে শিশুদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন, টিকটককে গুনতে হতে পারে বড় জরিমানা
যুক্তরাজ্যে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক ব্যবহার করার সময় শিশুদের গোপনীয়তা রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ায় যুক্তরাজ্যের ডেটা সুরক্ষা আইনের সম্ভাব্য লঙ্ঘনের জন্য কোম্পানিটি দুই কোটি ৭০ লাখ পাউন্ড জরিমানার সম্মুখীন হতে পারে।
যুক্তরাজ্যের তথ্য কমিশনারের কার্যালয় সোমবার জানিয়েছে, কোম্পানিটির জন্য এক আইনি নথি জারি করা হয়েছে যেখানে সম্ভাব্য জরিমানার কথা উল্লেখ আছে।
নথিতে আরও বলা আছে, ১৩ বছরের কম বয়সীদের টিকটক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোম্পানিটি যথাসম্ভব এর ব্যবহারকারীদের মা-বাবার অনুমতি না নিয়েই তথ্যের প্রক্রিয়াকরণ করেছে। কোনো আইনি ভিত্তি ছাড়াই তারা বিশেষ বিভাগের ডেটার প্রক্রিয়াকরণ করেছে।
কমিশনার বলেন, বিশেষ বিভাগের ডেটার মধ্যে জাতি ও বর্ণগত উৎস, রাজনৈতিক মতামত, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং যৌন অভিমুখিতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হচ্ছে না টিকটক
টিকটক এর ব্যবহারকারীদের স্বচ্ছ, সহজে বোধগম্য তথ্য প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছে। আইনি নথিটি ২০১৮ সালের মে থেকে ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত সময় পর্যবেক্ষণ করেছে।
তথ্য কমিশনার বলেন, মনে হয়েছে যে টিকটক যথাযথ তথ্য গোপনীয়তায় সুরক্ষা দিতে গড়িমসি করেছে।
সংস্থাটি বলেছে যে এর ফলাফলগুলো চূড়ান্ত নয় এবং এটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে টিকটকের পক্ষ থেকে যে কোনো দাখিল বিবেচনা করবে।
আরও পড়ুন: ক্লাস টাইমে মোবাইল গেম ও টিকটক তৈরি, ৯ শিক্ষার্থী আটক
টিকটকে তরুণীর ছবি, চিরকুটে নির্যাতনকারীদের নাম লিখে তরুণের আত্মহত্যা !
অক্টোবর থেকে কলড্রপে টকটাইম ফেরত: বিটিআরসি
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সোমবার চালু করা একটি নির্দেশিকা অনুসারে, মোবাইল ফোন অপারেটরদের অক্টোবর থেকে কলড্রপের জন্য টকটাইম ফেরত দিয়ে গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
মোবাইল ফোন কলড্রপ, কলড্রপ সংক্রান্ত তথ্য ও টকটাইম ফেরত সংক্রান্ত অপারেটরদের জন্য নতুন নির্দেশিকাটি বিটিআরসি কার্যালয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে:
একজন গ্রাহক সকল মোবাইল অপারেটরের জন্য একই ইউএসএসডি কোডের (*১২১*৭৬৫#)মাধ্যমে পূর্ববর্তী দিন বা সপ্তাহ অথবা মাসিক অননেট কলড্রপের পরিমাণ জানতে পারবে যা ১ অক্টোবর কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সব জায়গা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আসবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
মোবাইল অপারেটররা আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি বিবেচনা করে ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিদিন প্রথম ও দ্বিতীয় কলড্রপের ক্ষেত্রে প্রতিটি কলড্রপের জন্য তিনটি পালস (৩০ সেকেন্ড) টকটাইম এবং পরবর্তী ৩য় থেকে ৭ম কলড্রপের ক্ষেত্রে প্রতিটি কলড্রপের জন্য চারটি পালস (৪০ সেকেন্ড) সহ গ্রাহকদের ফেরত দেবে।
কলড্রপের ফলে ফেরত টকটাইম পরের দিনের প্রথম কল (০০:০০ ঘন্টা) থেকেই ব্যবহারযোগ্য হবে। যার অর্থ দাঁড়ায়- ফেরত টকটাইম সর্ম্পণূরূপে ব্যবহার হওয়ার পূর্বে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট হতে কলের জন্য কোনো টাকা কাটা যাবে না।
কলড্রপের ফলে ফেরত পাওয়া টকটাইম সম্পর্কে গ্রাহককে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে জানাতে হবে।
একজন অপারেটর চাইলে কলড্রপ হওয়ার দিন থেকে কল মিনিট ফেরত দিতে পারে।
কলড্রপের ফেরত দেয়া টকটাইম ব্যবহারের জন্য সর্বাধিক ১৫ দিনের সময়কাল প্রযোজ্য হবে।
নতুন গাইডলাইনকে মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, গ্রাহক টাকা দিয়ে সেবা গ্রহণ করেন। তাই অপারেটরকে যথাযথ সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ না দেয়ার চেয়ে অপারেটররা টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোয় বিনিয়োগ করলে কল ড্রপের হার কমে যাবে।’
মন্ত্রী অপারেটরদের প্রতি তাদের গ্রাহক বৃদ্ধির সাথে সাথে সেবার মান বাড়ানোর আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ডাকঘরকে ডিজিটাল করতেই হবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
'নগদ' এর সাফল্যে একটি মহল বরাবরই নাখোশ: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
পৃথিবীর সুরক্ষায় নাসার মহাকাশযান ধ্বংস করেছে গ্রহাণু!
লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও অভিনীত ২০২১ সালের 'ডন্ট লুক আপ' সিনেমাটি দেখেছেন? যেখানে দু'জন জ্যোতির্বিজ্ঞানী পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ধুমকেতুর বিষয়ে রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করার চেষ্টা করে!
সিনেমাটি না দেখে থাকলেও সমস্যা নেই। একটু ভাবুনতো, গ্রহাণু বা ধুমকেতু প্রবল বেগে ধেয়ে এসে পৃথিবীতে আঘাত হেনেছে! ভাবতেই গায়ে কাটা দেয় তাই না! মার্কিন মহাকাশ সংস্থাও (নাসা) বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তাভাবনা করেছে এবং অনেক আগে থেকেই তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
মহাকাশে পৃথিবী থেকে ৭০ লাখ মাইল দূরে বহুকাল ধরে ভেসে বেড়াচ্ছিল একটি গ্রহাণু। এটিকে লক্ষ্য করেই নাসার এক মহাকাশযান প্রতি ঘণ্টায় ১৪ হাজার মাইল বেগে তেড়ে যায়। লক্ষ্যবস্তুর সাথে বাঁধে সংঘর্ষ। বলে রাখা ভালো, এই সংঘর্ষ কিন্তু সুপরিকল্পিত।
নাসার ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট (ডার্ট) মহাকাশযান ও ডিমরফোস নামক ৫২৫ ফুট চওড়া গ্রহাণুর মধ্যে সোমবার পূর্ব সময় (ইটি) সন্ধ্যা ৭টা ১৪ মিনিটে সংঘর্ষ হয়। এর ফলে প্রথমবারের মতো মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে একটি মহাকাশীয় বস্তুর গতিপথ পরিবর্তন করেছে। তাছাড়া এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে পৃথিবীর দিকে যেকোনো মহাকাশীয় বস্তু ধেয়ে আসলে তা এই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলকে কাজে লাগিয়ে ধ্বংস করে সজীব এই গ্রহকে রক্ষা করা যাবে।
তবে বিজ্ঞানীরা মোটামুটি আত্মবিশ্বাসী যে আগামী ১০০ বছরে বড় আকারের কোনো গ্রহাণু পৃথিবীকে আঘাত করছে না। তাছাড়া অনায়াসে অন্যান্য গ্রহ, গ্রহাণু বা মকাশীয় বস্তুর গতিপথ মানুষ পর্যবেক্ষণ করতে পারে বড় ও শক্তিশালী টেলিস্কোপ ব্যবহার করে। তবে এর অর্থ এই নয় যে ছোটখাটো কোনো গ্রহাণু পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: মহাকাশের প্রথম রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে নাসা
ডার্ট মিশনকে পরিচালনাকারী মেরিল্যান্ডের লরেলে অবস্থিত জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিদ্যা পরীক্ষাগারের (এপিএল) একজন হচ্ছেন ন্যান্সি চ্যাবট। তিনি বলেন, ‘গ্রহাণু দ্বারা পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার বিষয়ে আমি সত্যিই ঘুম হারাচ্ছি না, তবে আমি এমন একটি বিশ্বে বাস করার বিষয়ে উত্তেজিত যেখানে আমরা ভবিষ্যতে এটিকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি শুধুমাত্র প্রথম পদক্ষেপ, কিন্তু এটা কি উত্তেজনাপূর্ণ নয় যে আমরা কল্পবিজ্ঞান থেকে বাস্তবতায় যাচ্ছি?’
সেই বাস্তবতাকে রূপ দেয়ার অনুশীলন হিসেবেই নাসা ডার্টকে গ্রহাণুটি ধ্বংস করার উদ্দেশে পাঠিয়েছে। এই প্রথম প্রচেষ্টার মিশনটির জন্য খরচ করতে হয়েছে ৩২ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: দ্বিতীয় প্রচেষ্টাও ব্যর্থ, পরবর্তী চেষ্টা কয়েক সপ্তাহ পর
নাসা: ইঞ্জিন ত্রুটি সাড়ার পর শনিবার নতুন চন্দ্রযান রকেট উৎক্ষেপণের লক্ষ্য নির্ধারণ
‘সরকার ২২ হাজার পর্নসাইট ও ৬ হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করেছে’
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ইতোমধ্যে আমরা ২২ হাজার পর্ন সাইট ও ৬ হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করেছি। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে ক্ষতিকর উপাত্তসমূহ অপসারণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
তিনি বলেন, পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের হাতিয়ার হিসেবে পুরো দেশকে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
শনিবার ঢাকায় এক হোটেলে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট আয়োজিত শান্তি প্রতিষ্ঠা্ ও গণতন্ত্র প্রসারে প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার শীর্ষক ন্যাশনাল পলিসি ডায়ালগ অনুষ্ঠানে ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংযুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পৃথিবী হবে ডাটা নির্ভর: মোস্তাফা জব্বার
তিনি বলেন, আগামী দিনের ডিজিটাল প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শহর-গ্রাম, নারী-পুরুষ প্রভৃতি ক্ষেত্রে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার বিকল্প নেই। এই লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উদ্যোগ অপরিহার্য।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশের প্রতিটি গ্রামে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ আমরা বাস্তবায়ন করছি।
তিনি সামনের দিনকে রোবটিক্স, এআই ও আইওটিসহ ডিজিটাল প্রযুক্তির দিন হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, শিশু থেকে বৃদ্ধ যেই হোক তাদের ডিজিটাল দক্ষতা দিতে হবে। আপনি আপনার সন্তানকে যদি ডিজিটাল যুগ থেকে পিছিয়ে রাখেন তবে সে পৃথিবী থেকে পিছিয়ে থাকবে।
ডিজিটাল যুগের জন্য ইন্টারনেট অপরিহার্য উল্লেখ করে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে অজ্ঞতার কারণে অনেক ক্ষেত্রে অনেকে প্রতারিত হয়ে থাকেন।
তিনি বলেন, একটি ছুরি দিয়ে যেমন মানুষ হত্যা করা যায়, আবার জীবন রক্ষা করাও যায়। ডিজিটাল প্রযুক্তির ভাল খারাপ দুটি দিকই আছে। খারাপটি বর্জন করার পদ্ধতিও আছে, সেটি জানা থাকলে কোন অবস্থাতেই ডিজিটাল প্রযুক্তির বিরূপ দিক রাষ্ট্র ব্যক্তি বা সমাজ জীবনকে প্রভাবিত করবে না। প্যারেন্টাল গাইডেন্স ব্যবহার করে অভিভাবকরা শিশুদের ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের বিরূপ দিকটিও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
এ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতিকর উপাত্ত নিয়ন্ত্রণে গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত।
ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক মোস্তাফা জব্বার শতশত বছর অতীতের পশ্চাদপদতা অপসারণ করে কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতির বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত উদ্যোগও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাড়ে আঠার বছরের শাসনের হাত ধরে বাংলাদেশ বিস্ময়কর সফলতা অর্জন করেছে। এই সময়ের মধ্যে অনেক উন্নত দেশও ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশের সমান্তরালে আসতে পারেনি। তিনি কোভিডকালে শিক্ষা স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জনের চিত্র তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন এবং রাষ্ট্রদূত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন চার্লস হোয়াইটলে প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা ডিজিটাল প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহারে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক স্তর থেকে সকলকে প্রোগ্রামিংয়ে যুক্ত করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
মার্চে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তাফা জব্বার
সময় ও খরচ বাঁচাতে গবেষকরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ওষুধ উদ্ভাবনে কাজ করছে
জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরি করতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ হয় এবং কখনও কখনও এর জন্য কয়েক দশক পর্যন্ত সময় লেগে যায়। আর তাই সময় ও খরচ কমিয়ে আনতে গবেষকরা একটি নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ওষুধ উদ্ভাবনের কৌশল তৈরি করছেন।
প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ (এনএলপি) কৌশলের মাধ্যমে নির্দিষ্ট প্রোটিন ও ওষুধের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া ঘটানোর মাধ্যমে তারা এটি তৈরির চেষ্টা করছে। এ পদ্ধতিটি ব্যবহার করে তারা প্রায় ৯৭ শতাংশ সফলতা পাওয়ার দাবি করেছেন।
সম্প্রতি ব্রিফিংস ইন বায়োইনফরমেটিক্স জার্নালে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
এক্ষেত্রে ওষুধ ও প্রোটিনের মধ্যকার মিথস্ক্রিয়ার ফলে প্রতিটি প্রোটিন মিশ্রনকে ভাষায় প্রকাশ করা হয় এবং উভয়ের মধ্যে হওয়া এই জটিল মিথস্ক্রিয়ার ফলে উদ্ভূত বৈশিষ্ট্যগুলো প্রকাশে ডিপ লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
এএনআই জানিয়েছে, সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্প প্রকৌশল ও ব্যবস্থাপনা সিস্টেম বিভাগের একজন সহকারী অধ্যাপক ও এই গবেষণার একজন সহ-লেখক ওজলেম গারিবে বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) প্রচলন বেড়ে যাওয়ায় এ ধরনের কিছু কাজ এআই এর দ্বারা করা যাবে। আপনি প্রোটিন ও ওষুধের মিথস্ক্রিয়াগুলোর মধ্যকার বৈচিত্র্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্য দেখতে পারেন এবং খুঁজে বের করতে পারেন যে কোনটিকে এক করা সম্ভব আর কোনটি সম্ভব না।’
আরও পড়ুন: ‘স্টেম সেল’ ব্যবহার করে কৃত্রিম ইঁদুর ভ্রূণ তৈরি
তারা যে মডেলটি তৈরি করেছে তা অ্যাটেনশনডিটিআই নামে পরিচিত। প্রোটিন মিশ্রনের ভাষা ব্যবহার করে ব্যাখ্যাযোগ্য হওয়ার ঘটনা এই প্রথম।
এ পদ্ধতিটি ওষুধ গবেষকদের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর মাধ্যমে কার্যকরী বৈশিষ্ট্যসহ জটিল প্রোটিন বন্ধন শনাক্ত করা যায়। যার মাধ্যমে একটি ওষুধ কাজ করবে কি না তা বোঝা যায়।
আরও পড়ুন: মহাকাশের প্রথম রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে নাসা
সাশ্রয়ী দামে করোনা শনাক্তের কিট উদ্ভাবন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের
জাকারবার্গ-চ্যান দম্পতির ঘরে আসছে তৃতীয় সন্তান
মেটার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ তৃতীয় সন্তানের বাবা হতে চলেছেন। জাকারবার্গ ও তার স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানের ঘরে তৃতীয় সন্তানের আগমনী বার্তা বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি।
দু’জনের ছবি দিয়ে জাকারবার্গ লিখেছেন, ‘অনেক ভালোবাসা। শেয়ার করতে পেরে খুশি যে আগামী বছর ম্যাক্স ও অগাস্ট নতুন বোন পেতে যাচ্ছে!’
এনডিটিভি জানিয়েছে, এই দম্পতি ২০১২ সাল থেকে বিবাহিত এবং তাদের ঘরে অগাস্ট ও ম্যাক্সিমা নামে দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এক পার্টিতে দেখা হওয়ার পর ২০০৩ সাল থেকে তাদের প্রণয়ের সম্পর্ক। ২০১২ সালের বিয়ে হয় এবং এ বছর তারা বিয়ের ১০ বছর পূর্তি উদযাপন করেন।
শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় ২০০৪ সালে ফেসবুক দাঁড় করানো জাকারবার্গ বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি। ব্লুমবার্গস বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী ৫৩ দশমিক তিন বিলিয়ন ডলার সম্পরিমাণ সম্পদ নিয়ে বর্তমানে তিনি বিশ্বের ২২তম শীর্ষ ধনী।
আরও পড়ুন: ফেসবুক নিউজফিডে অনাকাঙ্ক্ষিত পোস্টে সয়লাব
ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে ৬টি ভিডিও লিংক অবিলম্বে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
ইনস্টাগ্রাম: আইরিশ সংস্থার কিশোরদের তথ্য অপব্যবহারে বড় আকারের জরিমানা
স্মার্টফোনের পর্দায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে জানা যাবে টিউমারের আকার
জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ও স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রকৌশলীরা একটি প্রসারিত, নমনীয় সেন্সরযুক্ত ছোট, স্বয়ংসম্পূর্ণ যন্ত্র তৈরি করেছেন। যা ত্বকের সাথে লেগে থাকতে পারে এবং ত্বকের নিচের টিউমারের আকার পরিবর্তন পরিমাপ করতে পারে।
ব্যাটারিচালিত যন্ত্রটি মাত্র একটি বোতাম চাপলেই তারহীনভাবে স্মার্টফোনের অ্যাপে টিউমারের আকার পরিবর্তন সংক্রান্ত পাঠ পাঠিয়ে দিতে সক্ষম। আর এটি ত্বকেরও ক্ষতি করবে না। এমনটাই দাবি করেছেন প্রকৌশলীদের দলটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, যন্ত্রটিকে এর উদ্ভাবকদল সংক্ষেপে বলছে 'ফাস্ট'। যার পূর্ণরূপ হচ্ছে 'ফ্লেক্সিবল অটোনোমাস সেন্সর মেজারিং টিউমরস'। সহজভাবে বললে এমন এক নমনীয় যন্ত্র যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেন্সরের সাহায্যে টিউমারের আকার পরিমাপ করতে পারে।
দলটির দাবি, ক্যান্সার চিকিৎসায় যন্ত্রটি নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে। কারণ এ ধরনের চিকিৎসায় ওষুধ কাজে লাগছে কি না তা বুঝা যায় টিউমারের আকারের পরিবর্তন দেখে। সেখানে সহজে, কম খরচে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে, দ্রুত আকার পরিবর্তনের পাঠ স্মার্টফোনের পর্দায় জানিয়ে দিতে পারবে ফাস্ট।
পড়ুন: দেশের প্রথম ‘ক্যাশ লেস’ ক্যাম্পাস হবে হাজী দানেশ: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
প্রতিবছর গবেষকরা ইঁদুরের শরীরে ত্বকের নিচের টিউমারে হাজারো ক্যান্সার ওষুধ পরীক্ষা করে দেখেন। এর খুব কমই মানব শরীরে পরীক্ষা করে দেখা হয়। তাছাড়া বর্তমান যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তা দিয়ে থেরাপি ও ওষুধের কার্যকারিতা পরখ করে দেখতে বেশখানিকটা সময় লেগে যায়।
টিউমারের সহজাত জৈবিক পরিবর্তন, বিদ্যমান পরিমাপ পদ্ধতির ত্রুটি এবং তুলনামূলকভাবে ছোট আকারের নমুনার কারণে ওষুধের যাচাই কঠিন এবং শ্রমসাধ্য হয়ে ওঠে।
এই গবেষণার একজন গবেষক ও গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক অ্যালেক্স আব্রামসন বলেন, 'কিছু ক্ষেত্রে টিউমার হাতের সাহায্যে স্লাইড ক্যালিপার্স নামক পরিমাপক যন্ত্রের সাহায্যে পরিমাপ করা হয়ে থাকে।'
তিনি আরও বলেন, ত্বকের মতো নরম টিস্যুর ক্ষেত্রে স্লাইড ক্যালিপার্সের মতো ধাতব যন্ত্রের ব্যবহার কখনও আদর্শ হতে পারে না। তাছাড়া রেডিওলজিক্যাল পন্থায় তাৎক্ষণিকভাবে পর্যায়ক্রমে পরিমাপ দেখাতে পারে না। সেখানে ফাস্ট মিনিটের মধ্যেই কাজটি করতে সক্ষম
গবেষকদের মতে, যন্ত্রটি নমনীয় ও প্রসারিত পলিমার দিয়ে তৈরি। যাতে যুক্ত করা হয়েছে সোনার তৈরি বর্তনী। ব্যাটারিচালিত এই যন্ত্রটি ত্বকের সাথে যুক্ত করা যায়।
তারা জানিয়েছে, ফাস্ট ব্যবহারযোগ্য করতে ৬০ মার্কিন ডলার বা তার কিছু বেশি খরচ হতে পারে।
পড়ুন: কোন দেশগুলোতে সবচেয়ে কম দামে আইফোন-১৪ পাওয়া যাবে?
ইলন মাস্কের প্রাক্তন বান্ধবী তাদের স্মৃতিচিহ্নগুলো নিলামে তুলেছে!
দেশের প্রথম ‘ক্যাশ লেস’ ক্যাম্পাস হবে হাজী দানেশ: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের প্রথম ক্যাশলেস ক্যাম্পাসে পরিণত করার ঘোষণা দিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এজন্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
রবিবার দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর যুব প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলার ‘ক্যাশলেস ইকোনমি’ লেটস টক শিরোনামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
এতে অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, আমার দেশ, আমার গ্রামের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সাদেকা হাসান সেজুতি, বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারপারসন তানজিবা রহমান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ সাহশ মোস্তাফিজ। এছাড়া নীতিনির্ধারক, উদ্যোক্তা ও তরুণদের এ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫০ জনের বেশি তরুণ শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
পড়ুন-প্রথম অপারেটর হিসেবে ফোরজি স্পেকট্রাম চালু করল বাংলালিংক
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের স্বাগত বক্তব্যের পরে অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।
পরে জুনইদ আহমেদ পলক তার বক্তব্যে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশ হতে চায়। ক্যাশলেস ইকোনমি হল ভিশন বাস্তবায়িত করার হাতিয়ার।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মাননীয় আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের নির্দেশনায়, আমরা একটি আন্তঃপরিচালনাযোগ্য ডিজিটাল লেনদেন প্ল্যাটফর্ম ‘বিনিময়’ তৈরি করছি। এটা দেশে নগদবিহীন অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করবে।
সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, দেশ জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ উপভোগ করছে। এটাকে কাজে লাগাতে তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জনগণই নগদবিহীন অর্থনীতি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির হাতিয়ার।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশে অফশোর ক্যাম্পাস স্থাপনের আহ্বান পলকের
দেশের জনশক্তি সম্পর্কে নিজের উচ্চাকাঙ্খী দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ একটি নগদবিহীন অর্থনীতি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে দেশের উত্তরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। আমরা একটি নতুন সীমান্তের দ্বারপ্রান্তে আছি এবং আমাদের এই নতুন সীমান্তকে আলিঙ্গন করতে হবে।’
উদ্যোক্তা ও ইভেন্টের প্যানেলিস্ট সাদেকা সেজুতি বলেন, ২০০৮/০৯ সালে বাংলাদেশে কোনো পেমেন্ট গেটওয়ে ছিল না ও ই-কমার্সও ছিল না। ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়িত হওয়ার সাথে সাথে, দেশে এখন জাতীয় পেমেন্ট গেটওয়ে সিস্টেম রয়েছে যা বিকাশমান মোবাইল আর্থিক সেবাগুলোকে অনুঘটক করেছে।
তিনি বলেন, নগদবিহীন অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে, আমাদের গ্রামীণ কৃষকদের নগদহীন লেনদেনের সাথে একীভূত করতে হবে যেখানে একজন কৃষক নগদবিহীন উপায়ে উপার্জন করতে, ব্যয় করতে ও সঞ্চয় করতে সক্ষম হবেন।
ফ্রিল্যান্সার ও প্যানেলিস্ট তানজিবা রহমান বলেন, আমরা ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে অনেক সময় ও ঝামেলা বাঁচাতে পারি। বিনিময়ে, সেই সময়ের মধ্যে, আমরা খুব সামান্য পরিমাণ সার্ভিস চার্জ দিতে পারি। যাইহোক, যদি আমরা এখনও চার্জ দিতে না চাই, তাহলে আমাদের ডিজিটাল থেকে ডিজিটাল লেনদেনকে অবলম্বন করতে হবে যাতে, আমাদের মোবাইল ব্যাংকিং-এ ক্যাশ আউট চার্জ দিতে না হয়।
আরও পড়ুন- কোন দেশগুলোতে সবচেয়ে কম দামে আইফোন-১৪ পাওয়া যাবে?
কোন দেশগুলোতে সবচেয়ে কম দামে আইফোন-১৪ পাওয়া যাবে?
বিশ্বজুড়ে ইতোমধ্যে বেশ হৈচৈ-এর পর অবশেষে বাংলাদেশের বাজারে আসতে চলেছে আইফোন-১৪। ফোন রিলিজের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ আর দাম শুরু হতে যাচ্ছে ৯৯,৮০০ থেকে ১ লাখের মধ্যে। গত সপ্তাহে বিশ্ব বাজারে আসে আইফোন-১৪-এর সাথে ডাইনামিক আইল্যান্ড নামের আইফোন-১৪ প্রো এবং আইফোন-১৪ প্রো ম্যাক্স। সাথে ছিলো আইফোন-মিনির জায়গায় স্থলাভিষিক্ত আইফোন-১৪ প্লাস। বাংলাদেশের বাজারে আইফোন-১৪ প্লাসের মূল্য ছাড়াতে পারে ১,২০,০০০-এর উপর, যেখানে আইফোন-১৪ প্রো ম্যাক্স ১,৮০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে আন্তর্জাতিক কেনাকাটার মাধ্যমে এই আকাশচুম্বি মূল্যটি এড়ানো যেতে পারে। তাই সবচেয়ে কম দামে আইফোন-১৪ সরবরাহকারি দেশগুলোর তালিকা নিয়ে আজকের নিবন্ধ। (এখানে মুদ্রা বিনিময় রেট ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখ অনুযায়ী ধরা হয়েছে।)
ইলন মাস্কের প্রাক্তন বান্ধবী তাদের স্মৃতিচিহ্নগুলো নিলামে তুলেছে!
যদি আপনার প্রাক্তন কেউ বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হয়ে ওঠেন, তাহলে তার উপহার সংগ্রহে রাখা ভবিষ্যতে লাভজনক হতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল কেবল নিউজ নেটওয়ার্ক (সিএনএন) এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বোস্টনভিত্তিক নিলাম সংস্থা আরআর অকশনের মাদ্যমে ইলন মাস্কের কলেজের বান্ধবী জেনিফার গুয়েন তাদের সম্পর্কের ছবি ও অন্যান্য স্মৃতিচিহ্নের একটি সংগ্রহ নিলামে তুলেছে।
আরও পড়ুন: ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কিনে নিচ্ছেন ইলন মাস্ক
আরআর এর পক্ষ থেকে সিএনএনকে দেয়া একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৯৪ সালে জেনিফার ও মাস্ক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে চাকরিরত অবস্থায় সম্পর্কে জড়িয়েছিল।
এই সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির ছাত্র থাকাকালে তোলা মাস্ক ও জেনিফারের ১৮টি ব্যক্তিগত ছবি।
এই ছবিগুলোতে দ্রুত খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছানো বিলিয়নিয়ার মাস্ককে অন্য যে কোনও কলেজ ছাত্রের মতোই মনে হচ্ছে। ছবিতে তাকে তার সহকর্মীদের সঙ্গে আড্ডা দিতে, ঘরে বসে মজা করতে বা তার বাগদত্তার সঙ্গে আলিঙ্গন করতে দেখা যায়।
সিএনএনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়,জেনিফারকে তার জন্মদিনে দেয়া একটি নেকলেস হলো বর্তমান নিলামে সর্বোচ্চ দামি আইটেম, যার সঙ্গে একটি স্বাক্ষরিত জন্মদিনের কার্ডও রয়েছে।
কার্ডটিতে লেখা আছে, ‘শুভ জন্মদিন, জেনিফার (ওরফে বো-বো), লাভ, ইলন।’
আরও পড়ুন: টুইটার বোর্ডে থাকছেন না ইলন মাস্ক
আরআর এই কার্ডটি ১০ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যে বিক্রির আশা করছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার একজন সফল প্রকৌশলী ও রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী মাস্কের বাবা ইরোল ওই সোনার নেকলেসের পান্নাটি জাম্বিয়াতে পেয়েছিলেন।
নেকলেসটির সঙ্গে দুটি ফটোগ্রাফও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একটি হলো মা মায়ো মাস্কের সঙ্গে ইলন মাস্ক ও জেনিফারের একটি ছবি এবং ১৯৯৫ সালের শেষ দিকে মাস্ক ও জেনিফারের তোলা আরেকটি ছবি।
বুধবার নিলাম শেষ হওয়া পর্যন্ত টেসলার অনুরাগীরা মাস্কের স্মৃতিচিহ্নগুলোর জন্য দাম হাকতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ইলন মাস্ক সম্পর্কে কিছু বিস্ময়কর তথ্য