বিজ্ঞান-ও-প্রযুক্তি
চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোন খুঁজে পাওয়ার উপায়
স্মার্টফোন চুরি হলে বা হারিয়ে গেলে চরম নিরাশার মধ্যে ডুবে যাওয়াটা খুব অতিরঞ্জিত ব্যাপার নয়। পকেট, ব্যাকপ্যাক, পার্স বা কাউন্টারটপ সহ সম্ভাব্য সব রকম জায়গায় খোঁজার পরও ফোন পাওয়া না গেলে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কের উদ্রেক হয়। তবে আশার ব্যাপার হচ্ছে- বেশ কিছু উপায় আছে, যা ফোন হারিয়ে যাবার বিড়ম্বনা থেকে অচিরেই মুক্তি দিতে পারে। এই নিবন্ধে চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোন খুঁজে পাওয়ার সেই উপায়গুলো নিয়েই আলোচনা করা হবে।
চুরি হওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোন ট্র্যাক করার উপায়
গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গুগল ম্যাপ, জিমেইল এবং গুগল প্লে স্টোর সহ পূর্ব-ইন্সটল করা সব কিছু ব্যবহারকারির গুগল অ্যাকাউন্টে জমা থাকে। তাই ফোন হারালেও কম্পিউটারের ওয়েব ব্রাউজারে গিয়ে গুগল অ্যাকাউন্টে লগ ইন করে অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি ট্র্যাক করা যেতে পারে। গুগলে ফাইন্ড মাই অ্যান্ড্রয়েড টাইপ করলে প্রথম অনুসন্ধান ফলাফল ফোনটির সর্বশেষ পরিচিত অবস্থান সহ একটি মানচিত্র দেখাবে।
গুগল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোন ট্র্যাক করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সেটা যেখানেই থাকুক ফোনটি অবশ্যই চালু থাকতে হবে এবং তার লোকেশন মুড অন থাকতে হবে। ট্র্যাক করা লোকেশনে ফোন না পাওয়া গেলে ফোনের তথ্যের নিরাপত্তার স্বার্থে শেষ অবলম্বন হিসেবে দূর থেকে ফোনের সমস্ত ডাটা মুছে ফেলতে হবে।
এ ক্ষেত্রে একবার ফোনের সব ডাটা মোছা হয়ে গেলে, ডিভাইসটি খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। উপরন্তু, ফোন থেকে ডাটা মুছলেও এসডি কার্ডের ডাটা থেকে যায়।
পড়ুন: অরিজিনাল ফোন চেনার উপায়: ফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
ফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ
প্রতিটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ফাইন্ড মাই মোবাইল নামে একটি সেটিং রয়েছে, যা গুগলের ফাইন্ড মাই ডিভাইসের মতোই কাজ করে। হারিয়ে যাওয়া ফোনটি যদি অফ করা না থাকে, সেক্ষেত্রে ফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অ্যাপের মাধ্যমে বা অনলাইনে তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফোনটি ট্র্যাক করা যেতে পারে। এইভাবে ফোনের সর্বশেষ অবস্থান খুঁজে পাওয়া যায়। ফাইন্ড মাই মোবাইলের মাধ্যমে ফোনের ব্যাক আপ নেয়া, বার্তা এবং ফোন কল পুনরুদ্ধার করা এবং এমনকি ব্যাটারির আয়ু পর্যন্ত বাড়ানো যায়।
ওয়্যারলেস ক্যারিয়ার ব্যবহার
বেশিরভাগ ওয়্যারলেস ক্যারিয়ার হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি সনাক্ত করতে গুগল এর ফাইন্ড মাই ডিভাই-এ যেতে বলবে। যদি ফোন চুরি হয়ে যায় বা এটি ফেরত পাওয়ার কোনো উপায় না থাকে, তাহলে ওয়্যারলেস ক্যারিয়ারের ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে ফোনটি নিখোঁজ বা চুরি হয়েছে বলে রিপোর্ট করা যেতে পারে। এমনকি এর সাহায্যে দূর থেকেই ডিভাইসটির লক বা তথ্য মুছে ফেলা যায়।
থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার
হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়া ডিভাইসগুলোর খোঁজের জন্য গুগল-নির্মিত বেশ কয়েকটি অ্যাপ আছে। এগুলোর মাধ্যমে বাড়ির সদস্যদের অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে, হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটি সহজেই খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। এমনকি ফোনটি বন্ধ থাকলেও জিপিএস লোকেটার ব্যবহার করে এগুলো সহজেই লোকেশন খুঁজে বের করে ফেলতে পারে।
এছাড়া কোনো অনিরাপদ স্থানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিজের অবস্থান পরিবারের সদস্যদের সাথে শেয়ার করা যায়। আর কল ফরওয়ার্ড করা, লক সেট করা, ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করা এই অ্যাপগুলোর স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যের অন্তর্ভূক্ত। অ্যাপগুলোর মধ্যে লাইফ-৩৬০, লস্ট অ্যান্ড্রয়েড, হোয়্যার্স মাই ড্রয়েড এবং অ্যান্টি থেফ্ট অ্যাপগুলো বেশ কার্যকর।
পড়ুন: মোবাইল ফোন পানিতে পড়ে গেলে করণীয়
আইএমইআই সংখ্যা ব্যবহার
আইএমইআই নম্বর দিয়ে হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোনটি ট্র্যাক করতে আইএমইআই ট্র্যাকার-ফাইন্ড মাই ডিভাইস নামে একটি থার্ড পার্টি আইএমইআই ট্র্যাকিং অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।
ফোনের আইএমইআই বা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি নাম্বার হল ১৫-অঙ্কের একটি সংখ্যা যা প্রত্যেকটি ফোনের জন্য অনন্য। এটি স্মার্টফোনের সেটিংস ছাড়াও ডিভাইসের ব্যাটারি সংলগ্ন স্থানে পাওয়া যায়। আইএমইআই নাম্বার দিয়ে আইনত ব্যবস্থা নেয়া যায়। উপরন্তু, আইএমইআই ট্র্যাকার আইএমইআই নাম্বার ধরে ফোনটি ব্লক করে দেয়, যেন ভবিষ্যতে অন্য কেউ ফোনটি ব্যবহার করতে না পারে।
চুরি হওয়া আইফোন ট্র্যাক করার উপায়
ফাইন্ড মাই আইফোন অ্যাপ ব্যবহার
আইফোন হারানো গেলে কম্পিউটারে ওয়েব ব্রাউজারে গিয়ে আইক্লাউড-এ সাইন ইন করতে হবে। সেখানেই পাওয়া যাবে ফাইন্ড মাই আইফোন লিঙ্ক। এরপর মাই আইফোনের ইন্টারফেসে ড্রপ-ডাউন মেনু থেকে সমস্ত ডিভাইস চেক করে হারিয়ে যাওয়া আইফোনটির মডেল নির্বাচন করতে হবে। অতঃপর অ্যাপটি মানচিত্রে আইফোনটির অবস্থান ট্র্যাক করা শুরু করবে।
আইফোন হারানো গেলে লস্ট মোড সক্রিয় করা জরুরি। এটি যে কোন দূরত্বে থেকে ফোন ট্র্যাকিং বন্ধ করা ছাড়াই ডিভাইস লক করে দিবে। তাছাড়া এর লক স্ক্রিনে ডিভাইসের ফোন নম্বর সহ একটি বার্তা প্রদর্শন করবে। ফলে আশেপাশের লোকজনের কেউ ডিভাইসটি কুড়িয়ে পেলে সাথে সাথে আসল ব্যবহারকারিকে ফোন দিতে পারবে। শেষ উপায় হিসেবে এই অ্যাপ দিয়ে দূর থেকেই আইফোনের ডাটা মুছে ফেলা যায়। এতে করে আইফোনটি আর ট্র্যাক করা যাবে না, তবে ডাটা ভুল হাতে চলে যাওয়া থেকে আটকানো যাবে। দূর থেকে আইফোনের ডাটা মুছে ফেলার আগে আইক্লাউড ব্যাকআপে গুরুত্বপূর্ণ ফটো, ভিডিও, গান এবং অন্যান্য ডাটার অনুলিপি করে রাখা উচিত।
পড়ুন: ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করার সঠিক পদ্ধতি
অ্যান্টি-থেফ্ট অ্যাপ ব্যবহার
এই থার্ড পার্টি অ্যাপটি আইফোনসহ আইপ্যাড বা ম্যাকবুক যাই হোক না কেন, যে কোন অনুপস্থিত ডিভাইস খুঁজে পাওয়াটা অত্যন্ত সহজ করে তোলে। এর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে এর একক ইন্টারফেসে সমস্ত ডিভাইস সংযুক্ত করা যেতে পারে। এই অ্যাপ ডিভাইসটি ধরে থাকা ব্যক্তির ছবি তুলতে পারে, ডিভাইসটি কোন এলাকায় প্রবেশ করলে বা ছেড়ে যাওয়ার সময় সতর্ক করতে পারে।
প্রি অ্যান্টি-থেফট চালু রাখার জন্য অ্যাপটি আগে থেকেই আইফোনে ইনস্টল করে রাখতে হবে। ডিভাইস হারানো গেলে বা চুরি হলে যে কোন ওয়েব ব্রাউজারে প্রে-প্রোজেক্ট খুলতে হবে। এরপর ব্যবহারকারির অ্যাকাউন্টের শংসাপত্র ব্যবহার করে অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে হবে। ভেতরে প্রবেশের পর ডিভাইসের তালিকা থেকে ব্যবহারকারি নিজের হারিয়ে যাওয়া ডিভাইসটি সনাক্ত করবেন। ইনবক্সে রিপোর্ট পাওয়ার জন্য অনুপস্থিত নামের বিকল্পটিতে টগল করতে হবে। এখান থেকে অ্যালার্ম ট্রিগার করা, দূর থেকে ডিভাইস লক করা এবং ডাটা মুছে ফেলার মত সুবিধাগুলো পাওয়া যায়।
গুগল টাইমলাইন ব্যবহার
আইফোনের লোকেশন মুড অন থাকলে গুগলের টাইমলাইন ডিভাইসের সমস্ত অবস্থান রেকর্ড করবে। ফলে আইফোনটি হারিয়ে গেলে, মানচিত্রে অবস্থানের তথ্য অ্যাক্সেস করে শেষ অবস্থানটি জানা যাবে। এর জন্য অবশ্যই একটি নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট কানেকশন চালু থাকতে হবে।
পড়ুন: আপনার স্মার্টফোন দিয়ে আয় করার সেরা কিছু উপায়!
এই প্রক্রিয়াটির জন্য প্রথমে যেতে হবে গুগলের টাইমলাইনে। গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করতে হবে। অতঃপর হারিয়ে যাওয়ার দিন-তারিখ নির্বাচন করে দিলে স্ক্রোল করে আইফোনের সর্বশেষ রিপোর্ট করা অবস্থান দেখা যাবে। অবস্থানের সাথে সাথে ফোনটি গুগলের সাথে শেষবার সংযুক্ত হওয়ার সময়টি নোট করতে হবে। এভাবে দূরত্ব ও সময় তথ্য থেকে সূত্র গ্রহণ করে হারিয়ে যাওয়া আইফোনটির খোঁজ পাওয়া যেতে পারে। লোকেশনে গিয়ে ডিভাইসটি সংগ্রহের সময় প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নেয়া যেতে পারে।
অয়্যারলেস ক্যারিয়ারে রিপোর্ট করা
হোক সেটা আইফোন বা সেলুলার সহ একটি আইপ্যাড, হারিয়ে যাওয়া ডিভাইস সম্পর্কে ওয়্যারলেস ক্যারিয়ারে রিপোর্ট করা উচিত। কল, টেক্সট এবং ডাটা ব্যবহার রোধ করতে ক্যারিয়ারকে অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করতে বলতে হবে।
আইহাউন্ড ব্যবহার
হারানো আইফোনটি অন্য কোন কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত হলে এই বিনামূল্যের নিরাপত্তা প্রোগ্রামটি আসল ব্যবহারকারিকে সতর্ক করে। পাশাপাশি ডিভাইসটি কোথায় ব্যবহার করা হচ্ছে তার অবস্থানও ট্র্যাক করে। আইফোনটি কোন কম্পিউটারে প্লাগ ইন করার সাথে সাথেই এর আসল ব্যবহারকারি একটি ইমেল নোটিফিকেশন পাবেন।
অতঃপর আইহাউন্ড-এর ওয়েবসাইটে লগ ইন করে এটি কোথায় ব্যবহার করা হচ্ছে তার একটি বিশদ প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। প্রায় সময়ই চোর আইফোন সুইচ অফ করে মেমরি কার্ড ফরম্যাট দিতে একটি কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত করে। এ ক্ষেত্রে আইহাউন্ড ফোন ট্র্যাক করতে সবচেয়ে বেশি কার্যকরি ভূমিকা রাখে।
পড়ুন: পুরনো স্মার্টফোনের আয়ু বাড়ানোর ৫টি টিপস
শেষাংশ
চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোন খুঁজে পাওয়ার উপায়গুলো শুধু তাৎক্ষণিক ট্র্যাকিং-এই সাহায্য করে না, বরং ফোনটি ব্যবহারে পূর্ব-সতর্কতার প্রতিও গুরুত্বারোপ করে। যে কোন ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় হাঁটা বা ভ্রমণের সময় সর্বদা নিশ্চিত করতে হবে যে, ফোনটি ব্যাগে নিরাপদে সুরক্ষিত আছে। ফোনের লক স্ক্রিন পরিবর্তন করে তার স্ক্রিনশট নিয়ে বন্ধুর ফোনে শেয়ার করে রাখতে হবে। পরামর্শ দিই। এতে হারানো ফোনটি অনুসন্ধানের সময় সুবিধা হবে। চুরি যাওয়া ফোনটির অবস্থান ট্র্যাক করা গেলে নিজে থেকে একাকী এটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করা উচিত নয়। এতে মারাত্মক প্রাণঘাতী হুমকি থাকতে পারে। এধরনের নেতিবাচক পরিস্থিতির ক্ষেত্রে পুলিশী সহায়তা নেয়া উত্তম।
শতভাগ ভাতা বিতরণে সক্ষম নগদ: সমাজসেবা ডিজি
ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ সরকারি ভাতা বিতরণে শতভাগ সক্ষম বলে মন্তব্য করেছেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম। সমাজসেবা অধিদপ্তরের দায়িত্বে থাকা সামাজিক নিরাপত্তা ভাতার ৭৫ শতাংশই বিতরণ হয় ‘নগদ’-এর মাধ্যমে, যা খুবই সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
মঙ্গলবার নগদের জনসংযোগ বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক লিংকন মো. লুৎফরজামান সরকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সমাজসেবা অধিদপ্তর বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভাতা বিতরণ করে থাকে। মূলত সমাজের প্রান্তিক মানুষ এই ভাতা পেয়ে থাকেন। প্রান্তিক এই মানুষদের ডিজিটাল সেবার আওতায় আনায় সন্তুষ্টির কথা জানান সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি জনগোষ্ঠী নিয়ে কাজ করেছি, যারা সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষ, সবচেয়ে অল্প শিক্ষিত মানুষ। এদের একটা বড় অংশ মোবাইলও ঠিকমত ব্যবহার করতে পারেন না; কাজ করতে করতে হাতের আঙুল এতটাই শক্ত হয়ে গেছে যে, মোবাইলের বাটন চাপতেও পারেন না। ওটিপি বা পিন কী, তারা এটা বোঝেন না। এই মানুষদের কাছে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে টাকা পৌঁছানোটা বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা এই কাজ করতে পেরেছি। এই চ্যালেঞ্জ জয় করতে ‘নগদ’ অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে।”
আরও পড়ুন: করোনা চলাকালীন এমএফএস সেক্টর আর্থিক লেনদেনের নেতৃত্ব দিয়েছে: নগদের এমডি
ভাতা বিতরণের ক্ষেত্রে একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানো। ভূপ্রাকৃতিক সেই চ্যালেঞ্জ জয় করতে ‘নগদ’ যে তৎপরতা দেখিয়েছে তা প্রসংশার দাবি রাখে বলে মনে করেন শেখ রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন,“এমন এলাকাগুলোয় ভাতা বিতরণ ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের। পটুয়াখালীর রাঙাবালির কথা বলবো। আমাদের ভাতা বিতরণের একটা অংশ ছিল গ্রীষ্মকালে। সমুদ্র তখন উত্তাল, ভয়ঙ্কর ঢেউ। রাঙাবালি বা কুতুবদিয়ায় ওই সময়ে ‘নগদ’-এর কর্মীরা ওই উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে রাঙাবালির লোকজনকে অ্যাকাউন্ট করিয়েছেন। এটা প্রশংসার দাবি রাখে।”
শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, “এই প্রকল্পের সিংহভাগ (৭৫ শতাংশ) অর্থ নগদ-এর মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। নগদ-এর ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত ডায়নামিক, দূরদর্শী এবং যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যে তারা লোকবল বৃদ্ধি করে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং দ্রুততার সঙ্গে ৬০ লক্ষ অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলেছেন। অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে তারা এটা করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমার নিজেরও বিশ্বাস ছিল না যে, তারা এত অল্প সময়ের মধ্যে ৬০ লাখ মানুষের অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলতে পারবে। এবারের ভাতা বিতরণে আমরা ‘নগদ’ সম্পর্কে কোনো অভিযোগ পাইনি। কোথাও কেউ বলেনি বা কোনো সংবাদপত্রেও রিপোর্ট আসেনি। আমাদের রিপোর্টও বলছে, তারা খুব স্বচ্ছভাবে ভাতা বিতরণ করছে।”
শেখ রফিকুল ইসলাম মনে করেন, দায়িত্ব দিলে ‘নগদ’ সরকারের সব ভাতাই শতভাগ বিতরণের সক্ষমতা রাখে।
তিনি বলেন, ভাতা বিতরণের পর ‘নগদ’ এ বিষয়ে পরিষ্কার একটা রিপোর্ট দেয়। পরে সমাজসেবা অধিদপ্তর সেটি যাচাই বাছাই করে।
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, “আমরা দেখেছি, নগদ-এর ভাতা বিতরণ প্রক্রিয়া খুবই স্বচ্ছ এবং ত্রুটি নেই বললেই চলে। যেটুকু ত্রুটি আছে, তা মূলত টেকনিক্যাল।”
আরও পড়ুন: লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ও ‘নগদ’ এর মধ্যে চুক্তি সই
‘বাংলাদেশকে ক্যাশলেস দেশে পরিণত করছে ‘নগদ’’
২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর ভাতা বিতরণ শুরু করেন। পরে চলতি বছর মার্চে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় চুক্তি আবারো নবায়ণ করে।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর ভাতাসহ অন্যান্য সকল সরকারি ভাতা, উপবৃত্তি, অনুদানসহ নগদ এ পর্যন্ত ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিতরণ করেছে। এর মাধ্যমে সরকারি ভাতা বিতরণ প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ হয়েছে।
মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান বাড়ানোর আহ্বান মোস্তফা জব্বারের
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার মোবাইল অপারেটরদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, সেবার মান ধরে রাখতে না পারলে হঠাৎ করে পরে যাবেন। সেবা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ব্যবসা করেন বা গ্রাহক বাড়ান তাতে কোনো আপত্তি নেই। তবে সেবার মান ধরে রাখাই আপনাদের এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
বৃহস্পতিবার ব্র্যাক সেন্টার ইন মিলনায়তনে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘নেটওয়ার্ক উন্নয়নে অবকাঠামো ভাগাভাগির চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ে গোলটেবিল আলোচনায় ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এসব কথা বলেন।
টিআরএনবির গোলটেবিল আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, মোবাইল ফোন অপারেটরের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, এবার সফল একটি স্প্যাকটাম নিলাম হয়েছে। অনেক মোবাইল অপারেটর ক্রয় করেছেন। কোন অবস্হায় তরঙ্গ ছাড়া সেবার মান বৃদ্ধি করতে পারবেন না। তাই পর্যাপ্ত তরঙ্গ সকল অপারেটরদের কাছে থাকতে হবে।
বাংলাদেশে এখন ভাত কাপড়ের মতো কানেক্টিবিটি মৌলিক অধিকার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ স্পিড নেট চায়। সেজন্য সকল অপারেটরকে স্পিড নেট দিতে আরও উদ্যোগী হতে হবে।
টাওয়ার কোম্পানি শেয়ারিংটা ১০০% হতে হবে। টাওয়ার যেন চারটি কোম্পানি ব্যবহার করতে পারে।
একটিভ শেয়ারিং নীতিমালা খুবই জরুরি বিষয়। আমরা চেষ্টা করছি এই নীতিমালা দ্রুত করবো। যতদিন নীতিমালা চুড়ান্ত না হবে ততদিন বিটিআরসির অনুমতি নিয়ে একটিভ শেয়ারিং করা যায়। বিটিআরসি’র মূল ভুমিকা হচ্ছে, জনগণের স্বার্থরক্ষা।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তফা জব্বার
মোস্তফা জব্বার বলেছেন, এমএনওদের (মোবাইল ফোন অপারেটর) যে টাওয়ার আছে তা টাওয়ার কোম্পানিকে ছেড়ে দেন। এতে বড় ধরনের ইনভেস্টমেন্ট কমে যাবে। সেটা গুণগতমান উন্নত করতে ব্যবহার করতে পারে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, একটিভ শেয়ারিং জরুরি বিষয়। এটাকে প্যাসিভ শেয়ারিংয়ের ভেতরে রাখলে যে সুবিধা তা পাওয়া যাবে না।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, গত ২৫ বছরে মোবাইল অপারেটর টাওয়ার শেয়ারিং মাত্র ১৭ শতাংশে পৌঁছেছে।
টাওয়ার লাইসেন্সিং চালু পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালের মে মাসে। বিটিআরসি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি (মোবাইল অপারেটর-টাওয়ার কোম্পানি- মোবাইল অপারেটর) সম্পাদনের নির্দেশ দিলেও, কিছু মোবাইল অপারেটর অন্য মোবাইল অপারেটরকে নিজস্ব টাওয়ারের শেয়ারিং করতে চাইলেও গত প্রায় চার বছরে কোন শেয়ারিং হয়নি।
টাওয়ার নির্মাণ বাড়ছে যা টাওয়ার শেয়ারিং এর পরিপন্থী। এর কারণে টাওয়ার কোম্পানিগুলোর প্রচুর বিনিয়োগ প্রয়োজন হচ্ছে।
আলোচকরা বলেন, এই অবস্থার মূল্য কারণ প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে মোবাইল অপারেটররা তাদের নিজস্ব টাওয়ার শেয়ারিং এ অনাগ্রহী। মোবাইল অপারেটরদের প্রায় ২০ হাজার টাওয়ার এখনও শেয়ারিং এর বাইরে রয়েছে।
আলোচকরা বলছেন, নেটওয়ার্ক তৈরির প্রতিযোগিতায় অপরিকল্পিতভাবে বিটিএস স্থাপন করেছে সেলফোন অপারেটররা। গত দুই দশকে সারা দেশে অপারেটর নিজস্ব টাওয়ারে বিটিএস বসিয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার।
বর্তমানে অপারেটরগুলোর মধ্যে রবি ৩০%, গ্রামীণফোন ১৮%, বাংলালিংক ১৭% শেয়ার করছে। অপারেটরেদের হাতে থাকা ২৪ হাজার ৪২৫ টাওয়ারের মাত্র ১৭ % টাওয়ার শেয়ার হচ্ছে।
টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সভাপতিত্বে সাগত বক্তব্য দেন টিআরএনবি’র সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন এবং মুল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন টিআইএম নুরুল কবীর।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে দেশের সার্বিক উন্নয়ন: মোস্তফা জব্বার
সিলেট হবে বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল নগরী: মোস্তফা জব্বার
আসলো মিডরেঞ্জের সনি ওআইএস ফ্ল্যাগশিপ ক্যামেরার রিয়েলমি ৯ প্রো প্লাস ৫জি
ফটোগ্রাফি ও প্রযুক্তিপ্রেমী স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারকারীদের জীবনে নতুন মাত্রা যোগ করতে তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি তিনটি নতুন ডিভাইস- রিয়েলমি ৯ প্রো প্লাস ৫জি, ৯ প্রো ৫জি এবং প্যাড মিনি উন্মোচন করেছে। নতুন এই ডিভাইসগুলো ১৯ জুলাই উন্মোচন করা হয়েছে। ৮ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি রম-সহ রিয়েলমি ৯ প্রো প্লাস ৫জি লাইট শিফট ডিজাইনের সানরাইজ ব্লু এবং অরোরা গ্রিন এই দুটি রঙে পাওয়া যাবে। চমৎকার এই ফোনটির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ৩৯,৯৯০ টাকা (ভ্যাট প্রযোজ্য)। এছাড়াও, রিয়েলমি ৯ প্রো এর দাম মাত্র ৩১,৯৯০ টাকা (ভ্যাট প্রযোজ্য)। পাশাপাশি, ২০ জুলাই বেলা ৩টায় দারাজের ফ্ল্যাশ সেল থেকে ৯ প্রো ৫জি সিরিজের এই দুটি ফোনই বিশেষ মূল্যে ক্রয় করা যাবে।
এই প্রথম মিডরেঞ্জে সনি আইএমএক্স৭৬৬ ওআইএস ফ্ল্যাগশিপ ক্যামেরা-সহ আসলো রিয়েলমি ৯ প্রো প্লাস ৫জি। বাজারে থাকা একই দামের অন্যান্য ফোনগুলোর তুলনায় এই ফোনটি স্বল্প আলোতেও অনেক ভালো ছবি তুলতে সক্ষম। একই দামের তালিকায় থাকা ফোনগুলোর মধ্যে রিয়েলমি ৯ প্রো প্লাস দিচ্ছে সবচেয়ে ভালো প্রাইমারি ক্যামেরা। ক্যামেরাটির সেন্সর ৬৮% পর্যন্ত বেশি আলো ধারণ করে ছবি তুলতে সক্ষম, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আগের জেনারেশনের ফোনগুলোর তুলনায় এ স্মার্টফোনটি দিয়ে আরও উজ্জ্বল ছবি তুলতে পারবেন। ফ্ল্যাগশিপ সনি আইএমএক্স৭৬৬ সেন্সরের সঙ্গে প্রোলাইট ইমেজিং প্রযুক্তির সমন্বয়ের কারণে স্মার্ট ডিভাইসটি দারুণ আউটপুট দিবে। ফোনটিতে আরও থাকছে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৯২০ ফাইভজি প্রসেসর, যা ফ্ল্যাগশিপ ৬ ন্যনোমিটারের উন্নত ৫জি প্রসেসর; আনটুটু -তে যার স্কোর ৫০ লাখের ওপর। গেমিং করার ক্ষেত্রে এই প্রসেসর ব্যবহারকারীদের দিবে আগের জেনারেশনের ডাইমেনসিটি চিপের তুলনায় অনেক বেশি স্মুথ ও নিখুঁত পারফরমেন্স। উন্নত মানের এই প্রসেসরের কারণে এই ফোনটির পারফরমেন্স মিড্ রেঞ্জে সেরা । ফটোক্রোমিজম প্রযুক্তি থাকায় লাইট শিফট করতে পারে রিয়েলমি ৯ প্রো ৫জি সিরিজের ফোনের ব্যাকশেল। লাইট শিফট ডিজাইনের প্রথম ফোন হিসেবে এই ফোনটি ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। ফটোক্রোমিজমের কারণে ফোনটির পেছনের অংশ সূর্যের আলোয় বা ইউভি লাইটের সংস্পর্শে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই নীল থেকে লাল রঙ ধারণ করে। মাত্র ৭.৯৯ মিলিমিটার পুরুত্ব ও ১৮২ গ্রাম ওজনের রিয়েলমি ৯ প্রো প্লাস ৫জি ফোনটি নাম্বার সিরিজের ফোনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে স্লিম। একই সেগমেন্টের থাকা ফোনগুলোর মধ্যে রিয়েলমি ৯ প্রো প্লাসের ডিজাইন সবচেয়ে সুন্দর। সেরা ক্যামেরা, প্রসেসর এবং ডিজাইনের সৌন্দর্য্যের পাশাপাশি ফোনটিতে আরও থাকছে ৯০ হার্টজের সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে, ৬০ ওয়াট সুপার ডার্ট চার্জিং, ভ্যাপর চেম্বার কুলিং প্লাস সিস্টেম, ডুয়েল স্টেরিও স্পিকার এবং গরিলা গ্লাস ৫ এর প্রকেটশন। ডিভাইসটি ইতোমধ্যে বাজারে মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। দারাজে ২০ জুলাই ফ্ল্যাশ সেল চলাকালে বিশেষ মূল্যে ফোনটি পাওয়া যাবে মাত্র ৩৬ হাজার ৭৯০ টাকায়। কেনার জন্য ক্লিক: https://click.daraz.com.bd/e/_6iPFO
আরও পড়ুন: সারাদেশে পাওয়া যাচ্ছে রিয়েলমি নারজো ৫০ ও সি৩১
অন্যদিকে, রিয়েলমি ৯ প্রো ৫জি-তে রয়েছে এই সেগমেন্টের মধ্যে প্রথম স্ন্যাপড্রাগন ৬৯৫ ৫জি প্রসেসর, ১২০ হার্টজ আলট্রা স্মুথ ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লে, ৬৪ মেগাপিক্সেল নাইটস্কেপ ক্যামেরা। থাকছে ৫০০০ এমএএইচ বিশাল ব্যাটারি এবং ৩৩ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার। রিয়েলমি ৯ প্রো ৫ জি-তে থাকছে দুর্দান্ত লাইট শিফট ডিজাইন। দারাজে ২০ জুলাই ফ্ল্যাশ সেল চলাকালে বিশেষ মূল্যে ফোনটি পাওয়া যাবে মাত্র ২৯,৪৯০ টাকায়। কেনার জন্য ক্লিক: https://click.daraz.com.bd/e/_72kOW
এদিকে রিয়েলমি প্যাড মিনি-তে থাকছে এই প্রাইজ সেগমেন্টের মধ্যে সর্বপ্রথম ইউনিবডি ডিজাইন। যাতে করে ব্যবহারকারীরা তাদের দৈনন্দিন কাজগুলো করতে স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ অভিজ্ঞতা লাভ করেন। থাকছে ৮.৭ ইঞ্চি ও ৭.৬ মিলিমিটার আল্ট্রা-স্লিম ডিসপ্লে। ডিভাইসটির নিখুঁত আকারের ব্যবহারকারীদের বড় স্ক্রিনের ডিভাইসের চাহিদা পূরণ করবে। ৬৪০০ এমএএইচ শক্তিশালী ব্যাটারির কারণে এর ব্যবহারকারীরা হঠাৎ চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ার চিন্তামুক্ত থাকবেন।
উল্লেখ্য, রিয়েলমি আগামী তিন বছরের মধ্যে তরুণ ব্যবহারকারীদের কাছে ১০ কোটি ৫জি ফোন সরবরাহের লক্ষ্যে ৫জি পণ্যের এক বিস্তৃত পোর্টফোলিও তৈরিতে কাজ করছে। রিয়েলমি তাদের উন্নত ‘১+৫+টি’কৌশলের সঙ্গে এআইওটি ২.০ বিকাশের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এর ফলে সাশ্রয়ী মূল্যের ৫জি ফোন ছাড়াও রিয়েলমি তরুণ প্রজন্মের ক্রেতাদের জন্য আরও অনেক এআইওটি পণ্য বাজারে নিয়ে আসবে।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা’র রিয়েলমি ৯ ফোরজি ও সি৩৫
দেশের বাজারে গেমিং স্মার্টফোন রিয়েলমি নারজো ৫০, দাম মাত্র ১৬,৪৯৯ টাকা
মহাকাশের প্রথম রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে নাসা
প্রথমবারের মতো মহাকাশের রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে মার্কিন মহাশূন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা। সোমবার প্রকাশিত এই ছবিটি নাসার ১০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ থেকে তোলা।
ছবিটিতে গ্যালাক্সিতে ভরপুর মহাবিশ্বের সবচেয়ে গভীরতম চেহারা দেখা যায়। এতে প্রচুর নক্ষত্র, সামনের অংশে বিশাল গ্যালাক্সি এবং অস্পষ্ট ও অত্যন্ত দূরবর্তী ছায়াপথগুলো স্পষ্ট দেখা যায়।
হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক আয়োজনে স্পেস টেলিস্কোপ থেকে তোলা ছবিটি প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই ছবিটি দেখে বিস্মিত হয়ে বলেন, ‘মহাবিশ্বের ইতিহাসে ১৩ বিলিয়নেরও বেশি পুরানো আলো দেখা যায়, আমি আবার বলছি ১৩ বিলিয়ন বছর আগের! এটা বিশ্বাস করা কঠিন।’
নাসার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বিল নেলসন বলেছেন, এটিই এখন পর্যন্ত গ্যালাক্সি ক্লাস্টারের পাওয়া সবচেয়ে স্পষ্ট ও বিস্তারিত ছবি। শত শত দাগ, রেখা, সর্পিল ও সাদা, হলুদ, কমলা এবং লালের ঘূর্ণায়মান চিত্রটি ‘মহাবিশ্বের একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র’।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী দিমিতার সাসেলভ বলেন, ‘আমরা আজকে যা দেখেছি, তা হল প্রাথমিক মহাবিশ্ব।’
বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে শক্তিশালী এই স্পেস টেলিস্কোপটি গত বছরের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আমেরিকার ফ্রেঞ্চ গায়ানা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। জানুয়ারিতে পৃথিবী থেকে ১ মিলিয়ন মাইল (১ দশমিক ৬ মিলিয়ন কিলোমিটার) দূরের তার লুকআউট পয়েন্টে এটা পৌঁছে। তারপরে ক্যামেরার লেন্সগুলো সঠিক জায়গায় বসাতে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শুরু হয়।
প্রজেক্ট বিজ্ঞানী ক্লাউস পন্টোপিডান ব্রিফিংয়ের সময় বলেন, যেহেতু বিজ্ঞানীরা আরও গভীরে যেতে ওয়েব টেলিস্কোপ ব্যবহার করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
২১ ফুট ওয়েবের সোনার ধাতুবেষ্টিত ফুলের আকৃতির আয়নাটি মহাকাশে পাঠানো সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সংবেদনশীল ওয়েব টেলিস্কোপ। এটি ১৮টি সেগমেন্ট নিয়ে গঠিত।
নাসার এই অভিযানে ইউরোপীয় ও কানাডিয়ান মহাকাশ সংস্থাগুলোও সহযোগিতা করছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় চন্দ্রযানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে নাসা
৭ ঘণ্টার স্পেসওয়াক শেষ করলেন নাসার দুই নভোচারী
ঈদে ঢাকা ছেড়েছেন ৬৫ লাখের বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী
ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে স্বজনদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে গত ৮ ও ৯ জুলাই ৬৫ লাখেরও বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ঢাকা ছেড়েছেন।
সোমবার বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পোস্টে তিনি জানান, ঈদের আগের দুই দিনে বিভিন্ন মোবাইল ফোন অপারেটরের মোট ৬৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৬৬ গ্রাহক রাজধানী ছেড়েছেন।
দেশে ডিসেম্বরের মধ্যে ফাইভজি চালু হবে
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই সব মোবাইল অপারেটরে ফাইভজি চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্রডব্যান্ড পলিসি ২০২২ প্রণয়নে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, প্রযুক্তিকেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা, নারী, শারিরীকভাবে অক্ষম জনগোষ্ঠীসহ অনানুষ্ঠানিক খাতকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।মঙ্গলবার এক কর্মশালায় শ্যাম সুন্দর সিকদার এ তথ্য জানান। কর্মশালার শুরুতে মিশ্রিত শিক্ষা (ব্লেন্ডেড এডুকেশন) বাস্তবায়নে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি সর্ম্পকে বিশদ উপস্থাপনা করেন বিটিআরসির সিস্টেমস্ এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে মোবাইলফোন ব্যবহারকারী ১৮ কোটি ৪০ লাখ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সাড়ে ১২ কোটি। প্রায় এক লাখ ৪৭ হাজার ৯৭৫ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ৪,৪৩১টি ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি দেয়া হয়েছে এবং দুর্গম অঞ্চলে আরও ১২৩টি ইউনিয়নকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কানেক্ট করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।উপস্থাপনায় তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের এক লাখের অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৫ ভাগ এবং ২০২৫ সাল নাগাদ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছ। তবে এজন্য প্রায় ১৪ লাখ ইন্টারনেট সংযোগের পাশাপাশি ৯৮ হাজার ৬৩৬টি ডিজিটাল ডিভাইস তথা ল্যাপটপ এবং প্রতিটি ক্লাসরুমের জন্য ২০ থেকে ৩০ এমবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের প্রয়োজন হবে।
আরও পড়ুন: লো-কার্বন ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে সবুজ-বান্ধব ফাইভজি নেটওয়ার্কএছাড়া, এই কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় ন্যাশনাল ম্যানেজম্যান্ট সিস্টেম বা এনএমএস চালু করতে হবে, যার কাজ হবে কানেক্টিভিটি বজায় রাখা এবং কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা।
উপস্থাপনায় মো. নাসিম পারভেজ ডিজিটাল কানেক্টিভিটির স্থাপনের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় সারাদেশে অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক সার্বক্ষণিক সচল রাখতে কারিগরি জনবল ও মনিটরিং ব্যবস্থা, সেবার মান নিশ্চিতকরণ, নির্ধারিত গতিতে ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ, ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা ও সাইবার নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।কর্মশালায় এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে জাতীয় ব্রডব্যান্ড পলিসির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো ডিজিটাল ও গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা মিলে একটি সমন্বিত পদ্ধতিতে প্রবেশ করা, যাতে দেশের প্রান্তিক এলাকাসহ সকল শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকারের সুযোগ পায়।মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ব্রডব্যান্ডের মুল কানেক্টিভিটি সরকারের হাতে রেখে গ্রাহক পর্যায়ের কার্যক্রম বেসরকারি খাতে দিয়ে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হলে তা ফলপ্রসু হবে।কর্মশালার দ্বিতীয় সেশনে অংশগ্রহণকারীরা চারটি দলে বিভক্ত হয়ে ওয়ার্কিং সেশনের কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
গ্রুপগুলো নিম্নোক্ত চারটি বিষয়ে চ্যালেঞ্জ ও সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন: (১) সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ব্রডব্যান্ড সেবা (২) বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্রডব্যান্ড সেবা (৩) কারিগরী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও (৪) জনসাধারণের তথ্যপ্রযুক্তি সচেতনতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মসূচি ।
এফোরএআই- এর জাতীয় সমন্বয়ক শহীদ উদ্দিন আকবরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশন্স বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, লিগ্যাল এন্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসাইন, এফোরএআই এর হেড অব এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্জু মঙ্গলসহ এটুআই, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, টেলিকম সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফাইভজি’র জন্য এ বছর প্রস্তুতি, আগামী বছর চালু: বিটিআরসি
জাপানি স্ট্যান্ডার্ডে ব্যাটারি উৎপাদন করছে ওয়ালটন
নিজস্ব প্রোডাকশন প্ল্যান্টে জাপানি স্ট্যান্ডার্ডের ব্যাটারি উৎপাদন করছে মাল্টিন্যাশনাল বাংলাদেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটন। পণ্য নিয়ে নিয়মিত গবেষণা করছে ওয়ালটন। বর্তমানে মোটরসাইকেলের ব্যাটারি, রিচার্জেবল ফ্যান, অনলাইন ইউপিএস ও এমার্জেন্সি লাইটসহ বিভিন্ন ডিভাইসের স্মল ব্যাটারি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন।
এছাড়া খুব শিগগিরই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অনলাইন ইউপিএস ব্যাটারি এবং সিএনজি, প্রাইভেট কার, বাস ও ট্রাকের জন্য অটোমোটিভ ব্যাটারিসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যাটারি ধীরে ধীরে ওয়ালটনের প্রোডাকশন লাইনে যুক্ত হবে। ওয়ালটনের অন্যান্য পণ্যের মতো স্বল্পমূল্যে বাজারজাত করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ব্যাটারি।
রবিবার যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ালটন ব্যাটারি মিট দ্য টেকনিশিয়ান কনফারেন্স ২০২২’-এ দেয়া শুভেচ্ছা বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) নিশাত তাসনিম শুচি।
আরও পড়ুন: ওয়ালটনের নতুন অল-ইন-ওয়ান পিসি বাজারে
তিনি টেকনিশিয়ানদের ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান এবং ওয়ালটনের পক্ষ থেকে টেকনিশিয়ানদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যাপী ওই কনফারেন্স।
‘এক সাথে, একই স্বপ্নে’ এই গানকে সামনে রেখে ওয়ালটনের স্টেকহোল্ডার ও পার্টনারদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় ও মজবুতের প্রত্যয়ে শেষ হয় কনফারেন্স। অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হন সিইও নিশাত তাসনিম শুচি।
সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (সিএমও) ফিরোজ আলম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কামাল হোসাইন, কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সের সিবিও মাহফুজুর রহমান, ওয়ালটন ব্যাটারির বিজনেস কো-অর্ডিনেটর রেজাউল ইসলাম মিনার, ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার বাবর আলী আপন ও এসএম সেলিমুর রহমান এবং ওয়ালটন ব্যাটারির ব্র্যান্ডিং বিভাগের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর অনিক আহমেদ প্রমুখ।
২ বছরের মধ্যে বিচারিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিটাইজড করা হবে: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী ২ বছরের মধ্যে বিচারিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিটাইজড করা হবে।
তিনি বলেন, সারা দেশের জুডিশিয়াল সিস্টেমকে সম্পুর্ণ প্রযুক্তি নির্ভর, আরও স্বল্পসময় ও খরচে যাতে মানুষের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দেয়া যায় এবং বিচারক ও আইনজীবীরা সহজে বিচারিক কাজ করতে পারে সে লক্ষ্যে ২ হাজার ২শ’ ২৪ কোটি টাকার "ই-জুডিশিয়ারি" নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।
শনিবার আইন ও বিচার বিভাগ এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে অনলাইন কারণ তালিকা, বিচার বিভাগীয় মনিটরিং ড্যাশবোর্ড এবং মাই কোর্ট অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান বিশ্ব প্রতিযোগিতার নয়, সহযোগিতার: পলক
তিনি বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ২ হাজার কোর্টরুম ডিজিটাইজ করা হবে। আদালতে অডিও রেকর্ডিং পুল সিস্টেম থাকবে। পাশাপাশি ভার্চুয়াল টার্মিনাল করা হবে। এছাড়া ১৪টি সেন্ট্রাল জেল ডিজিটাল করা হবে। আসামিরা যেন জেল থেকে শুনানীতে অংশ নিতে পারে এজন্য ৯টি কেন্দ্রীয় কারাগারসহ ৬৪টি জেলা কারাগারে ক্যামেরা ট্রায়াল রুম করা হবে।প্রতিমন্ত্রী বলেন, গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে বৈঠক অ্যাপস ব্যবহার করা হবে। বিচারিক তথ্যের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে জেআরপি’র অধীনে সুপ্রিম কোর্টে একটি ফোর ট্রায়াল ডেটাসেন্টার স্থাপন করা হবে। পলক বলেন, ডিজিটাল বিচারিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বিচারকদের ২ হাজার ল্যাপটপ, অফিস স্ট্যাফদের জন্য ডেস্কটপ এবং ৭৫ হাজার আইনজীবী ও বিচারকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এছাড়াও ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেমসহ প্রত্যেকটি বার অ্যাসেোসিয়েশনে একটি করে সাইবার ক্যাফে প্রতিষ্ঠা করা হবে।প্রতিমন্ত্রী বলেন এটুআই, ইউএনডিপি ও আইসিটি বিভাগ মিলে এই অবকাঠামোগুলো তৈরির পর এই অর্থবছরে বিচার ও স্বাস্থ্য বিভাগে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের মধ্যে শতভাগ মানুষকে ইন্টারনেটের আওতায় আনা হবে: পলক
৩০ শিক্ষার্থী নিয়ে পরবর্তী রাউন্ডে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’
সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২২, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার তৃতীয় রাউন্ডে অংশগ্রহণ করবে ৩০ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের সিজিপিএ, অ্যাকাডেমিক জ্ঞান, সৃজনশীলতা/প্রজেক্ট আইডিয়া ও ইংরেজি বিষয়ে দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে তাদের এ প্রোগ্রামের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
হুয়াওয়ের কর্মকর্তা, প্রজেক্ট ম্যানেজার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারক প্যানেল দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশ নেয়া ২০০ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে থেকে তৃতীয় রাউন্ডের জন্য এই ৩০ শিক্ষার্থীকে নির্বাচন করেন।
প্রাথমিকভাবে এই প্রোগ্রামে এক হাজার একশ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। সেখান থেকে যেই ৩০ জন এখন এখন তৃতীয় রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত হয়েছে এই ধাপে তাদের দক্ষতা, পরীক্ষা, প্রকল্প, ও প্রেজেন্টেশেন স্কিল রপ্ত করার ওপর জোর দেয়া হবে।
‘মিট দ্য মেন্টর’ শীর্ষক প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণও দেয়া হবে। তৃতীয় রাউন্ডের পারফরমেন্সের ভিত্তিতে নয়জন সেরা শিক্ষার্থী থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য রিজিওনাল রাউন্ডে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবেন। এবং রিজিওনাল রাউন্ডের বিজয়ীরা সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিতব্য ‘টেকফরগুড অ্যাকসেলেরেটর ক্যাম্প’ এ অংশ গ্রহণ করবে।
এ নিয়ে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ও কমিউনিকেশন্স বিভাগের প্রধান ইউইং কার্ল বলেন, ‘নয় বছর আগে হুয়াওয়ে বাংলাদেশে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ (এসএফটিএফ) প্রোগ্রামটি চালু করে। প্রতিবারই আমরা অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছি। এই বছর অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সাথে আমাদের অভিজ্ঞতা চমৎকার। আইসিটি খাত রূপান্তরের স্বপ্নপূরণে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। এই স্বপ্নপূরণে তরুণরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মেধাবী এসব তরুণদের মাঝে যে অসীম সম্ভাবনা রয়েছে তা দেখে আমি বেশ আশাবাদী। আমাদের এ প্রোগ্রামটি দেশের চলমান ডিজিটাল রূপান্তরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ প্রোগ্রামটি দেশটির ডিজিটাল রূপান্তরকে ত্বরাণ্বিত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এসএফটিএফ এর পরবর্তী ধাপে শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু শিখবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি।’
পড়ুন: অরিজিনাল ফোন চেনার উপায়: ফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
সেরা ৩০ জন শিক্ষার্থী হলেন-বুয়েট থেকে তাকি ইয়াশির, এলিন রঞ্জন দাস ও গোলাম মাহমুদ সামদানি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাহাদ সারোয়ার, শাদমিন সুলতানা, মো. আশিকুজ্জামান কৌশিক ও নাফিসা আমিন হৃদি, কুয়েট থেকে সুনন্দা দাস ও মো. সাজেদুর রহমান, রুয়েট থেকে মনোয়ারা নাজনীন, ফারহানা আমিন, মাদিহা বিনতে জাকির, মেহেরীন তাবাসসুম ও মো. মাশরুর সাকিব, আইইউটি থেকে ওয়াসিফা রহমান রেশমি, আনিকা রেহনুমা, মো. সুমিত হাসান, ফাইরুজ শাইআরা ও মো. সাজিদ আলতাফ, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে মাফরুজা মাহরিন নেহা, সাদ মাহবুব চৌধুরী ও মারজিয়া তাবাসসুম প্রীতি, এইউএসটি থেকে আব্দুল্লাহ সালেহ ও আবু মো. ফুয়াদ, চুয়েট থেকে সুমাইয়া আবুল কালাম ও মোহাম্মদ ইফতেখার ইবনে জালাল, এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে মো. সায়েম সাদাত হোসাইন, লাজিব শারার শায়ক, মোহসীনা তাজ ও আংকিতা কুন্ড।
বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে সামগ্রিক আইসিটি ইকোসিস্টেম বিকাশে অবদান রাখছে হুয়াওয়ে। বাংলাদেশের মানুষকে ডিজিটাল রূপান্তরের সুফল ভোগ করতে সহায়তা করছে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে।
‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ উদ্যোগটি বৈশ্বিকভাবে ২০০৮ সালে থাইল্যান্ডে শুরু হয়। এখন পর্যন্ত, এ প্রোগ্রামটি বিশ্বব্যাপী ১৩৭টি দেশে চালু হয়েছে। বিশ্বজুড়ে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী ও ৫০০ এরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় এ উদ্যোগের সুবিধাভোগ করেছে। এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত) ও নন-এসটিইএম পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য এসএফটিএফ প্রোগ্রাম অংশগ্রহণকারীদের জন্য শেখার সুযোগ তৈরি করছে।
পড়ুন: দেশের বাজারে ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা’র রিয়েলমি ৯ ফোরজি ও সি৩৫