বিজ্ঞান-ও-প্রযুক্তি
এলিয়েন কি সত্যি পৃথিবীতে এসেছিল?
বইয়ের পাতা থেকে শুরু করে চলচ্চিত্রের পূর্ণদৈর্ঘ্য পর্দায় এলিয়েনের রাজকীয় বিচরণ থাকলেও এলিয়েন কি পৃথিবীতে সত্যি এসেছিলো! দৈহিক গড়ন থেকে আচার-আচরণ; এমনকি এলিয়েনদের আবেগগুলো যেখানে অস্বাভাবিকতার উপকূল অনেক পেছনে ফেলে এসেছে, তবুও এই ২১ শতকে এসে তাদের অস্তিত্বের প্রশ্নটি অবান্তর নয়। চলুন যাচাই করে নেয়া যাক পৃথিবীতে তাদের পদচিহ্নের সত্যতা। এরই নিরিখে আরও একবার নতুন করে উত্তর মিলবে সেই চিরায়ত প্রশ্নের- এলিয়েন বলে আদৌ কোন কিছু আছে কিনা।
এলিয়েন-এর ধারণাটিকে যেভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়
পৃথিবীর চিরচেনা পরিবেশের আওতাধীন খাদ্য শৃঙ্খলের বাইরে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক প্রাণী বোঝানো হয় এলিয়েনকে। এর পরিসরটি আনবিক্ষণিক ব্যাকটেরিয়া থেকে শুরু করে বুদ্ধিমান প্রাণী পর্যন্ত বিস্তৃত।
এমন চিন্তার খোরাকের উদ্ভব ঘটেছিলো বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীগুলো থেকে। সবচেয়ে পুরনো সাহিত্যের মধ্যে ২০০ খ্রিষ্টাব্দের গ্রীক রম্য গল্পকার লুসিয়ানের গল্পে পাওয়া যায় মহাজাগতিক প্রাণীর সন্ধান। ‘ট্রু স্টোরি’ নাম হলেও উপন্যাসটির কাহিনী পুরোটাই ছিলো চন্দ্রাভিযানের কল্পকাহিনী নিয়ে। আর বর্তমান সময়ের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর ভিত্তিটা গড়ে দিয়েছেন জুলভার্ন, এইচ জি ওয়েলস ও আইজাক আসিমভের মত লেখকরা। তাদের সৃষ্ট কাহিনীগুলোতে শতাব্দি ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এলিয়েনের ধারণা। কখনও বেশ বন্ধুভাবাপন্ন আবার কখনও রক্ত হিম করা কোন অনাসৃষ্টি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এই এলিয়েনের ধারণা।
আরও পড়ুন: বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের রহস্য: গল্প নাকি সত্যি?
এলিয়েন কি পৃথিবীতে এসেছিলো?
১৯৪৭ সালের ২৪ জুন শিকাগো সান-এ ফ্লাইং সসার নিয়ে বেশ চমকপ্রদ একটি নিউজ কভার করা হয়। তাতে বলা হয়েছিলো যে, কেনেথ আর্নল্ড নামের একজন পাইলট নয়টি চকচকে অজানা উড়ন্ত বস্তুকে রেইনিয়ার পাহাড়ের উপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখেছেন।
একই বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি এয়ার ফোর্স অফিসাররা রসওয়েল আর্মি এয়ার ফিল্ড থেকে নিউ মেক্সিকোর করোনার কাছে একটি খামার থেকে একটি বেলুনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করে। এর কয়েক দশক পরে ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে দানা বাঁধে কন্সপিরেসি থিওরি, যার দাবি ছিলো, সেই বেলুনটি ছিল মূলত একটি উড়ন্ত সসার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার ব্যাপারটি গোপন রেখেছিলো।
আরও পড়ুন: পুরনো স্মার্টফোনের আয়ু বাড়ানোর ৫টি টিপস
রিয়েলমি ৯ আই: ৩৩ ওয়াট ডার্ট চার্জিং এবং স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ প্রসেসরের সেরা পারফর্মার
হালের স্মার্ট দুনিয়ায়, প্রতি বছরই আসছে নতুন সব ইনোভেশন। ক্যানালিসের প্রতিবেদন অনুসারে দেশের সেরা স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি তরুণদের সেরা পছন্দ। তরুণরা চান নতুনত্ব। ডিজাইন, স্পেসিফিকেশন, ইনোভেশনে সবসময়ই দারুণ সব স্মার্ট ডিভাইস নিয়ে আসছে রিয়েলমি। সম্প্রতি, রিয়েলমি দেশের বাজারে এনেছে এর ৯ সিরিজের প্রথম ফোন রিয়েলমি ৯ আই। ফোনটির ভিন্নধর্মী ডিজাইন নিশ্চিতভাবেই ফ্যাশন সচেতন তরুণদের জীবনধারায় যুক্ত করবে নতুন মাত্রা আর এর দুর্দান্ত প্রসেসর কাজের গতি বাড়াবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিটঃ https://www.realme.com/bd/realme-9i
দেশের প্রথম স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর নিয়ে বাজারে এলো রিয়েলমি ৯ আই
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি বাজারে নিয়ে এসেছে নাইন সিরিজের প্রথম স্মার্টফোন রিয়েলমি ৯ আই। এই স্মার্টফোনে থাকছে বাংলাদেশের প্রথম ৬ ন্যানোমিটারের ৬৮০ স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর।
সোমবার ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে এক ভার্চুয়াল উন্মোচন অনুষ্ঠানে ব্র্যান্ডটির অত্যাধুনিক স্মার্টফোন রিয়েলমি ৯ আই উন্মোচন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
রিয়েলমি ৯ আই স্মার্টফোনের দু’টি সংস্করণ রয়েছে। একটি ডিভাইসে রয়েছে ৬ জিবি র্যাম (যা ১১ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে) ও ১২৮ জিবি রম। এর বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ হাজার ৪৯০ টাকা। চার জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি রমের অন্য ডিভাইসটি ১৭ হাজার ৪৯০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। প্রিজম ব্লু ও প্রিজম ব্ল্যাক এ দু’টি দুর্দান্ত রঙে পাওয়া যাচ্ছে রিয়েলমি ৯ আই।
আরও পড়ুন: আসছে ’অল অল-ইন-ফাইভজি’ রিয়েলমি ৯ প্রো
এ দামের মধ্যে অত্যাধুনিক প্রসেসরের কোন ফোন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। দ্রুতগতি সম্পন্ন প্রসেসরের কারণে, ব্যবহারকারীরা এই ফোনের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্নভাবে স্মার্টফোনের পারফরমেন্স উপভোগ করতে পারবেন, কারণ এই নতুন চিপসেটটি ৬২ শতাংশ কম শক্তি খরচ করে এবং ১২ ন্যানোমিটার প্রসেসরের তুলনায় ৪৬ শতাংশ বেশি কর্মক্ষমতা দেয়।
ব্যবহারকারীদের সুবিধার জন্য রিয়েলমি ৯ আই ডিভাইসটি এ সেগমেন্টে প্রথম ৩৩ ওয়াট ডার্ট চার্জিং সল্যুশন নিয়ে এসেছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের ডিভাইসটি আগের জেনারেশনের চার্জিং সল্যুশন থেকে ৩৬% দ্রুততর চার্জ করতে পারবেন এবং ০-১০০% চার্জ হবে মাত্র ৭০ মিনিটে। ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার বিশাল ব্যাটারি সুবিধা থাকায় এ ফোনটি দিয়ে ৪৮.৪ ঘণ্টা ফোনে কথা বলা যাবে।
অতি-স্বচ্ছ ছবি তোলার জন্য ডিভাইসটিতে ৫০ মেগাপিক্সেল নাইটস্কেপ ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। সঙ্গে ১৬ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরাও রয়েছে দারুণ সব সেলফির জন্য।
আরও পড়ুন: চলতি বছর প্রিমিয়াম সেগমেন্টে আলোড়ন তুলবে রিয়েলমি
গ্যালাক্সি আনপ্যাকড অনুষ্ঠানে গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা ও এস২২+ উন্মোচন করল স্যামসাং
সম্প্রতি গ্যালাক্সি আনপ্যাকড অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্যামসাং এর বহুল প্রতীক্ষিত গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা ও এস২২+ উন্মোচন করেছে। উন্নত ফিচার সমৃদ্ধ এ ডিভাইসগুলোতে রয়েছে অসাধারণ এস-পেন, দ্রুতগতির স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর ও চমৎকার ক্যামেরা। ডিভাইস দুটি খুব শিগগিরই বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাবে; আগ্রহীরা এই সপ্তাহের শেষ থেকে ডিভাইস দুটি প্রি-বুকিং দিতে পারবেন।
গ্যালাক্সি এস সিরিজের নতুন ডিভাইস দুটি চলতি বছরের সবচেয়ে বহুল প্রত্যাশিত ফোন। বিশ্বজুড়ে বিপুল সংখ্যক প্রযুক্তিপ্রেমীর মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ডিভাইস দুটি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর গ্যালাক্সি আনপ্যাকড অনুষ্ঠানে গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা ও এস২২+ উন্মোচন করেছে স্যামসাং। ডিভাইস দুটিতে বৈচিত্র্যপূর্ণ উদ্ভাবন নিয়ে এসেছে স্যামসাং। তাই স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করবে এ ডিভাইসগুলো।
এ প্রসঙ্গে স্যামসাং মোবাইলের হেড অব বিজনেস মো. মূয়ীদুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে দূরবর্তী স্থান থেকে কাজ করা, অনলাইন ক্লাস ও ডিজিটাল লেনদেন নিয়মিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এ কারণে স্মার্টফোন আমাদের অনেকের কাছেই অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। এ পরিস্থিতিতে ক্রেতাদের পর্যবেক্ষণ আমলে নিয়ে তাদের স্মার্টফোন ব্যবহারের উন্নত অভিজ্ঞতা প্রদানের মাধ্যমে সামনে এগিয়ে নিতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমাদের বিশ্বাস, গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা ও এস২২+ ডিভাইস দুটি ব্যবহারকারীদের কাছে সৃজনশীলতা ও দক্ষতা বিকাশের প্রকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং প্রযুক্তিপ্রেমীদের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতায় ভিন্নমাত্রা যোগ করবে।’
আরও পড়ুন: ইন্টারব্র্যান্ডের বেস্ট গ্লোবাল ব্র্যান্ডস তালিকার শীর্ষ পাঁচে স্যামসাং
গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা ও এস২২+ ডিভাইস দুটিতে দ্রুতগতির স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ১ (৪এনএম) প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা ডিভাইসটিতে ছয় দশমিক আট ইঞ্চি কিউএইচডি+ ডায়নামিক অ্যামোলেড ডিসপ্লে রয়েছে। পাশাপাশি ডিভাইসটিতে ১২ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা, ১০৮ মেগাপিক্সেল ওয়াইড ক্যামেরা, দুটি ১০ মেগাপিক্সেল টেলিফটো ক্যামেরা ও একটি ৪০ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। এ লেন্সগুলো ব্যবহার করে যে কোনো পরিবেশ ও পরিস্থিতিতেই যারা ছবি তুলতে ভালোবাসেন তারা পরিষ্কার ও উজ্জ্বল ছবি তুলতে পারবেন। এছাড়া ডিভাইসটিতে রয়েছে পাঁচ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের শক্তিশালী ব্যাটারি যা চোখের পলকেই ব্যবহারকারীদের উন্নত গেমিং অভিজ্ঞতা ও কর্মদক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২২+ ডিভাইসটিতে রয়েছে ছয় দশমিক ছয় ইঞ্চি এফএইচডি+ ডায়নামিক ডিসপ্লে। সাথে রয়েছে ১২ মেগাপিক্সেল আল্ট্রাওয়াইড ক্যামেরা, ৫০ মেগাপিক্সেল ওয়াইড ক্যামেরা, ১০ মেগাপিক্সেল টেলিফটো ক্যামেরা। পাশাপাশি ডিভাইসটিতে রয়েছে ৪৫ ওয়াট দ্রুতগতির চার্জারসহ সাড়ে চার হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি সুবিধা যা ব্যবহারকারীদের সারাদিন চার্জার বহন করার দুশ্চিন্তা ছাড়াই খুব সহজে গেম খেলা ও কনটেন্ট উপভোগ করতে সাহায্য করবে। চমকপ্রদ এসব ফিচারের পাশাপাশি ডিভাইসগুলোতে রয়েছে এস পেন যা তাৎক্ষণিকভাবে খুব সহজে বাস্তবিক ছবি তুলতে সাহায্য করবে!
পরবর্তী প্রজন্মের গ্যালাক্সি এস সিরিজ এখন বাজারে; তাই এখন চমৎকার ডিভাইস দুটি দিয়ে স্যামসাং গ্যালাক্সি ফোন ব্যবহারকারীরা স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারের অসাধারণ অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: স্যামসাং ঈদুল আজহার বিশেষ ক্যাম্পেইন বিজয়ীদের নাম ঘোষণা
২০২৩ সালেই প্রতিটি জনপদে সর্বোচ্চ গতির ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন,২০২৩ সালের মধ্যে দেশের দুর্গম, পার্বত্য অঞ্চল, দ্বীপ, চর, বিল ও হাওরসহ দেশের প্রতিটি জনপদে সর্বোচ্চ গতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ কেবল আগামী দিনের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাই করবে্ না, বাংলাদেশ চতুর্থ-পঞ্চম শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেবে।
বৃহস্পতিবার সাভারে সিটি ইউনিভার্সিটির সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির নবীনবরণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি এসময় দেশে স্থাপিত শক্তিশালী ও সম্প্রসারিত ডিজিটাল অবকাঠামোর সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা প্রদানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বিশেষ ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ফেসবুককে বাংলাদেশের আইন ও বিধি বিধান মানতে হবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল অবকাঠামো তৈরি করে দিয়েছি । এই অবকাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে আমাদের জীবন যাপন ও শিক্ষাব্যবস্থা বদলে যাবে।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা পৃথিবীতে সবার আগে বাংলাদেশ নামের আগে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল শব্দটি যুক্ত করেছিলেন। এরপর ২০০৯ সালে ব্রিটেন, ২০১৪ সালে ভারত, ২০১৫ সালে মালদ্বীপ এবং ২০১৯ সালে পাকিস্তান ডিজিটাল শব্দটি ব্যবহার করে ।
তিনি বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটি পুণর্গঠনের পাশাপাশি কুদরত-ই খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন, কারিগরি শিক্ষা প্রসার, ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, টিএন্ডটি বোর্ড গঠন, আইটিইউ ও ইউপিইউ‘র সদস্য পদ অর্জন এবং বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করে গেছেন।
আরও পড়ুন: চলতি বছরেই সারা দেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীমন্ত্রী নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদেরকে রত্ন আখ্যায়িত করে বলেন, বঙ্গবন্ধু যে সোনার মানুষ চেয়েছিলেন তোমরাই সে সোনার মানুষ। তোমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলবে এবং এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ৫ম শিল্প যুগের প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের ৭০ ভাগ তরুণ জনগোষ্ঠীকে তৈরি করতে হবে।
পুরনো স্মার্টফোনের আয়ু বাড়ানোর ৫টি টিপস
প্রযুক্তির ক্রমাগত অগ্রগতিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উত্তরোত্তর উন্নয়নে দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে স্মার্টফোন। একটি দিন স্মার্টফোন ছাড়া চলার কথা এখন কল্পনাও করা যায় না। তাই নিত্য ব্যবহার্য এই বস্তুটি কোন কারণে নষ্ট হয়ে গেলে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। যতদিন বিকল হয়ে যাওয়া ফোনটি ঠিক না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবনের প্রতিটি কর্মকান্ড প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে। তাই চলুন, জেনে নেয়া যাক বেশ পুরনো স্মার্টফোনটি অকেজো হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এর আয়ু বাড়ানোর উপায়।
পুরনো স্মার্টফোনের আয়ু বাড়ানোর ৫টি টিপস
১। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ এবং ফাইল মুছে ফেলা
স্মার্টফোনটির স্টোরেজ এবং র্যাম ক্ষমতার সর্বাধিক ব্যবহারের ফলে প্রত্যেকেই স্মার্টফোন ব্যবহার করতে যেয়ে রীতিমত হতাশার ভেতর পড়ে যান। কারণ এর ফলে ফোনটির কার্যকারিতা প্রথমে ধীর গতি হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। অ্যাপের আধিক্যের কারণে প্রায়শই আপগ্রেড সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার অবিরাম নোটিফিকেশন ফোনটির সার্বিক প্রতিক্রিয়ার স্বাভাবিক গতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপসহ অন্যান্য অদরকারি ফাইলগুলো মুছে ফেলতে হবে।
ফোনের স্টোরেজ এবং মেমরির কথা মাথায় রেখে অ্যাপের সংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। এখানে অ্যাপের প্রয়োজনীয়তার চেয়ে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে স্মার্টফোনের কারিগরি দিককে। অদরকারি ফাইলগুলো নিয়মিতই স্মার্টফোনকে জমা হতে থাকে, তাই নিয়মিত; কমপক্ষে তিন দিনে একবার করে হলেও সেগুলো মুছে ফেলার নিয়মটি অনুসরণ করা যেতে পারে। এতে ফোনের স্টোরেজ সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকা কাজের পরিমাণ কমে যাবে। ফলশ্রুতিতে ফোনটির কার্যকারিতায় গতি আসবে এবং ফোনের আয়ুও বাড়বে।
পড়ুন: ভ্যালেন্টাইন ডে ২০২২: কয়েকটি সেরা ডিজিটাল উপহার
২। অতিরিক্ত কাজ করে ফোনের ব্যাটারি গরম করা এড়িয়ে চলা
স্মার্টফোনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো ব্যাটারি। সারাদিনে ফোন ব্যবহারের সাথে ওটা-নামা করে এই ব্যাটারির কার্যকারিতা। প্রথমেই যে ব্যাপারটি আসে সেটি হচ্ছে যে কোন অবস্থাতেই ব্যাটারিটিকে দ্রুত চার্জ দেয়া। এই কাজটি ব্যাটারির কোন ক্ষতি করে না কিন্তু ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে ফোনটিকে একদম শূন্যে নামিয়ে তারপর চার্জ দেয়া উচিত।
দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে গরমের দিনে ফোনকে উন্মুক্ত স্থানে যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে সেখানে রাখা ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দিতে পারে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো ছাড়া অতিরিক্ত কাজগুলো যেমন গেম খেলা, শুধু সময় অতিবাহিত করার জন্য ফোন ব্রাউজিং বাদ দেয়া যেতে পারে। প্রচন্ড গরম হলে অবশ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়, তাই কোন ভয়ের কারণ না থাকলেও এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি সামগ্রিক ভাবে ব্যাটারির আয়ু কমাতে পারে।
পড়ুন: অনলাইনে গ্যাস বিল পরিশোধ করার নিয়ম
৩। অ্যাপগুলো আপডেটেড রাখা
স্মার্টফোনের ইন্টারফেসটিকে যতটা সম্ভব দ্রুত এবং সমস্যামুক্ত রাখার জন্য অপারেটিং সিস্টেম এবং থার্ড পার্টি অ্যাপগুলো রিলিজের সাথে সাথেই আপডেট করা উচিত। এর সুবিধাগুলোও অনেক উপকারি। যেমন- পূর্বের ভার্সনে থাকা সমস্যাগুলো সমাধান করা এবং আরো শক্তিশালী সুরক্ষা নিশ্চিত থেকে শুরু করে নতুন কিছু বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসে, যা ফোনের সামগ্রিক কর্মক্ষমতা উন্নত করে।
এক্ষেত্রে কোন আপডেট মুলতুবি আছে কি না তা নিয়মিত চেক করতে হবে। গুগল প্রতি মাসের প্রথম দিকে অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা আপডেট প্রকাশ করে, তাই ফোনের কোন আপডেট আছে কিনা তা দেখতে মাসের মাঝামাঝি সময় চেক করা ভালো।
আইফোনের ক্ষেত্রে আপডেট ডিফল্ট থাকলেও যেকোনো নতুন আপডেট রিলিজ হওয়ার সাথে সাথেই ফোন ডাউনলোড এবং ইনস্টল করবে না। বরঞ্চ ফোনটির সিস্টেম বা সফ্টওয়্যারটির ভার্সন আউটডেট হওয়ার এক বা দুই দিন পরে নতুন আপডেটটি ডাউনলোড করবে এবং তারপরে এটি রাতারাতি চার্জ হওয়ার পরের বার ইনস্টলেশনের সময় নির্ধারণ করবে।
পড়ুন: অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
৪। নির্দিষ্ট নিয়মানুসারে ফোনের পাওয়ার ডাউন রাখা
এটি পুরনো ফোনের ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর। কিছুদিন পরপর স্মার্টফোনটিকে কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা যেতে পারে। আসলে এটি ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ কম্পিউটারের মতই একটি বস্তু, যেটির বিশ্রাম প্রয়োজন হয়। সপ্তাহে অন্তত একবার ফোনকে কয়েক মিনিটের জন্য পাওয়ার ডাউন করার নিয়মটি পরবর্তীতে আরও দক্ষতার সাথে ফোনটিকে ব্যবহার করা যাবে। এমনকি, স্মার্টফোনের আয়ু বাড়াতেও এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে।
পড়ুন: কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
৫। টেম্পারড গ্লাস স্ক্রীন প্রোটেক্টর ব্যবহার করা
একটি ভাঙা স্ক্রীন যে কোন স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য একটা বিরাট বাধা। শুধু তাই নয়; ভাঙা স্ক্রীনে ফোন ব্যবহার করলে এটিকে আরও ক্ষতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই স্ক্রীন বদলে নেয়ার কোন বিকল্প নেই। একটি স্ক্রীন প্রোটেক্টর শুধু স্মার্টফোনকে সুরক্ষাই দেয় না, ফোনের টাচ কার্যকারিতাটিকেও সমুন্নত রাখে। অনেকে পুরনো ফোনটির স্ক্রীন ক্ষতিগ্রস্ত হলে পুরো ফোনটিই বদলে ফেলতে যান। কিন্তু শুধুমাত্র টেম্পারড গ্লাস স্ক্রিন প্রোটেক্টর-এ বিনিয়োগ করা নতুন ফোন কেনা থেকে অপেক্ষাকৃত ভালো। কেননা, স্টোরেজ ও র্যামের ক্ষমতা থেকে যথেষ্ট কম অ্যাপ ও ফাইল স্মার্টফোনে থাকলে আর অতিরিক্ত কাজ করে ফোনটিকে গরম না করলে ফোনটি আরো বহুদিন কাজ করবে। শুধু একটি টেম্পারড গ্লাস স্ক্রিন প্রোটেক্টর লাগিয়ে নিলেই চলবে। সুতরাং একজন সঠিক ব্যবহারকারির নতুন ফোন কেনার পরিবর্তে মেরামতের দিকে নজর দেয়া উচিত৷
পড়ুন: দৌড়ের সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি: কারণ এবং ঝুঁকি কমাতে করণীয়
পরিশেষে
কারিগরি দিক থেকে প্রতিটি ইলেক্ট্রনিক বস্তুর একটি নির্দিষ্ট আয়ুষ্কাল থাকলেও সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে সেগুলোর আয়ু বাড়ানো যায়। উপরোল্লিখিত উপায় শুধু পুরনো নয়, নতুন কেনা স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। পুরনো স্মার্টফোনটির আয়ু বাড়ানোর উপায়গুলো আকস্মিক ভাবে অর্থ ও সময় অপচয়ের সম্মুখীন হওয়া থেকে স্মার্টফোন ব্যবহারকারিদের মুক্তি দিতে পারে।
১৪ ফেব্রুয়ারি দেশের বাজারে আসছে ‘রিয়েলমি ৯ আই’
ভ্যালেন্টাইন দিবসে (১৪ ফেব্রুয়ারি) দেশের বাজারে আসছে প্রথম স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০, ৬ ন্যানোমিটার প্রসেসরের ফোন রিয়েলমি ৯ আই। এটি দেশের বাজারে রিয়েলমি ৯ সিরিজের প্রথম স্মার্টফোন হতে যাচ্ছে।
রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, লিপ ফরোয়ার্ড টেকনোলজি মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত রিয়েলমি ৯ সিরিজের প্রথম স্মার্টফোন রিয়েলমি ৯ আই-তে থাকছে দুর্দান্ত প্রসেসর। এই নতুন চিপসেটটি ৬২ শতাংশ কম শক্তি খরচ করে এবং ১২ ন্যানোমিটারের প্রসেসরের তুলনায় ৪৬ শতাংশ বেশি কার্যক্ষমতা প্রদান করে বলে ব্যবহারকারীরা এই ফোনে চমকপ্রদ পারফরম্যান্স উপভোগ করতে পারবেন।
এতে বলা হয়, স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০’র সিপিইউ পারফরম্যান্স, দ্রুতগতিতে লঞ্চ, ঝামেলাহীন অ্যাপ্লিকেশন এবং নির্বিঘ্নে পেইজ লোডিংয়ের সক্ষমতা ২৫ শতাংশ বেশি। এছাড়াও, জিপিইউ পারফরম্যান্স ১০ শতাংশ বৃদ্ধির সাথে, ডিভাইসটি উন্নত ফ্রেম রেট এবং অনায়াসে গেম খেলার অভিজ্ঞতা প্রদান করে। পাশাপাশি, রিয়েলমি ৯আই এই সেগমেন্টের প্রথম ৩৩ ওয়াট ডার্ট চার্জিং স্পেসিফিকেশনের স্মার্টফোন হতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আসছে ’অল অল-ইন-ফাইভজি’ রিয়েলমি ৯ প্রো
এছাড়াও এতে থাকছে হাই রিফ্রেশ রেটের ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লে এবং এই প্রাইজ সেগমেন্টের মধ্যে ডুয়েল স্টেরিও স্পিকার। রয়েছে নাইটস্কেপ ক্যামেরা৷ নাইট মোড, প্যানোরামিক ভিউ, টাইম-ল্যাপস, পোর্ট্রেট মোড এবং এআই বিউটির মতো ট্রেন্ডি ফটোগ্রাফি ফাংশন প্রতিটি ছবিকে করে তুলবে আরও অসাধারণ।
এর পাশাপাশি রিয়েলমি তাদের উন্নত ‘১+৫+টি’ কৌশলের সাথে এআইওটি ২.০ বিকাশের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এর ফলে দারুণ সব স্মার্টফোনের সাথে রিয়েলমি তরুণ প্রজন্মের ক্রেতাদের জন্য আরও অনেক এআইওটি পণ্য বাজারে নিয়ে আসবে।
আরও পড়ুন: বাস্তবের নায়কদের সম্মানিত করল অপো
আসছে ’অল অল-ইন-ফাইভজি’ রিয়েলমি ৯ প্রো
বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি ৫-জি স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখেছে। রিয়েলমি স্মার্টফোনের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোডাক্ট লাইন রিয়েলমি’র নাম্বার সিরিজ, গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে চার কোটি শিপমেন্টে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এবং এর মধ্য দিয়ে এমন কৃতিত্ব অর্জন করা বিশ্বের অন্যতম দ্রুততম স্মার্টফোন প্রোডাক্ট লাইনে পরিণত হয়েছে।
প্রথম প্রো+ প্রোডাক্ট সহ রিয়েলমি’র নাম্বার সিরিজ শিগগিরই নতুন রিয়েলমি ৯ প্রো সিরিজ বিশ্ববাজারে উন্মোচন করবে। রিয়েলমি আরও ঘোষণা করেছে যে, রিয়েলমি ৯ প্রো সিরিজের সকল পণ্য হবে ৫-জি।
মিডিয়াটেক ডিমেনসিটি ৯২০ ৫জি প্রসেসর যুক্ত বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোনগুলোর একটি রিয়েলমি ৯ প্রো+। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং মানসম্পন্ন ডিজাইনের পণ্য বিশ্বব্যাপী তরুণদের পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রিয়েলমি।
আরও পড়ুন: চলতি বছর প্রিমিয়াম সেগমেন্টে আলোড়ন তুলবে রিয়েলমি
প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সাল থেকে সারা বিশ্বের তরুণদের জন্য বাজারে নিয়ে আসছে চমকপ্রদ ৫-জি স্মার্টফোন। মিডিয়াটেক ডিমেনসিটি ৯২০ ৫জি প্রসেসর যুক্ত প্রথম ফোনগুলোর তালিকায় থাকায় রিয়েলমি ৯ প্রো সিরিজ সকল ফাইভজি নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করবে।
বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, ভারত, চীন এবং ইউরোপে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির সাথে তৃতীয় প্রান্তিকে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ফাইভজি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ছিলো রিয়েলমি। বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার ১২১ শতাংশের তুলনায় বছর প্রতি ৮৩১ শতাংশ ফাইভজি স্মার্টফোন বিক্রির প্রবৃদ্ধির সাথে সংশ্লিষ্ট বাজারের সবাইকে ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয় রিয়েলমি।
রিয়েলমি আগামী ৩ বছরের মধ্যে তরুণ ব্যবহারকারীদের কাছে ১০ কোটি ৫জি ফোন সরবরাহের লক্ষ্যে, ৫জি পণ্যের এক বিস্তৃত পোর্টফলিও তৈরিতে কাজ করছে। এ স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটি তাদের উন্নত ‘১+৫+টি’ কৌশলের সাথে এআইওটি ২.০ বিকাশের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এর ফলে সাশ্রয়ী মূল্যের ৫জি ফোন ছাড়াও রিয়েলমি তরুণ প্রজন্মের ক্রেতাদের জন্য আরও অনেক এআইওটি পণ্য বাজারে নিয়ে আসবে।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক বাজারে জিটি ২ সিরিজ নিয়ে আসছে রিয়েলমি, উন্মোচিত হলো ডিজাইন
বিশ্বের প্রথম তিনটি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন নিয়ে রিয়েলমির জিটি ২ সিরিজে উন্মোচন
বাস্তবের নায়কদের সম্মানিত করল অপো
‘টেকনোলজি ফর ম্যানকাইন্ড’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে চালু হওয়া 'স্টোরিজ অব হিরোইক পিপল’ উদ্যোগের মাধ্যমে বাস্তবের নায়কদের সম্মানিত করল অপো।
বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার (২৬ জানুয়ারি) অপো বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনজনের হাতে চেক হস্তান্তর করে। এর মাধ্যমে অপোর ‘স্টোরিজ অব হিরোইক পিপল’ক্যাম্পেইন সমাপ্ত হলো।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অপো বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যামন ইয়াং, হেড অব ব্র্যান্ড লিউ ফেং, ব্যুরো বাংলাদেশের প্রোগাম কোর্ডিনেটর মোখলেসুর রহমান ও সিনিয়র ম্যানেজার (অপারেশনস) নোশন তারাননুম।
আরও পড়ুন: দেশে অপোর রেনো ৬ বিক্রি শুরু
‘ইন্সপায়ারিং এহেড’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত ১২ ডিসেম্বর চালু করে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অপো। ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে এই তিনজনকে বাছাই করা হয়। অপো জনপ্রিয় মডেল রেনো ৬ দিয়ে ছবি তোলার এ ক্যাম্পেইন চলে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ে অপোর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সংগ্রামী মানুষের গল্পগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে শেয়ার করেন অপো ভক্তরা। অসংখ্য গল্পের মধ্যে অপো সেরা তিনজনকে বেছে নেয়।
বিজয়ী তিনজন হলেন দুলাল স্যার, রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও সাজেদুল ইসলাম। তিন গল্পের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দুলাল স্যারের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে অমানুষিক নির্যাতনের গল্প। সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে বেঁচে গিয়ে তিনি আবার দেশপ্রেমে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। এরপর ৬৫ বছর বয়সী দুলাল স্যার নিজ এলাকায় সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিতকরণে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ নির্মাণ করেন। অনির্বাণ বিদ্যালয়ে তিনি নিজেও শিক্ষার্থীদের পড়ান।
দ্বিতীয় পুরস্কৃত হওয়া গল্পটি হচ্ছে ৭০ বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধা ও গ্রাম্য ডাক্তার রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসের। তার বাড়ি খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায়। তিনি একাত্তরে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দিতেন। সেই থেকে আজ অবদি তিনি মানব চিকিৎসায় আত্মনিয়োগ করে যাচ্ছেন। দরিদ্র অসহায় মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় তার নাম না থাকলেও তিনি হতাশ নন। কারণ স্বীকৃতির চেয়ে তার কাছে মানবকল্যাণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: আসছে অপোর রেনো সিরিজের নতুন ফোন, থাকছে সিনেম্যাটিক বোকেহ ফ্লেয়ার
তৃতীয় ও শেষ সম্মানিত ব্যক্তি হচ্ছেন সাজেদুল ইসলাম। তিনি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিজেকে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত রেখেছেন। তিনি নিজে রক্ত দেন ও অন্যদের রক্ত দিতে উৎসাহিত করেন। করোনাকালীন সময়ে তিনি গোপালগঞ্জ বন্ধু মহলের সঙ্গে একত্রিত হয়ে মুমূর্ষু রোগীদের বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করে সর্বমহলে প্রশংসা কুঁড়ান।
ই-কমার্সে আস্থা ফেরাতে ফেব্রুয়ারিতে চালু হচ্ছে ইউবিআইডি: পলক
ই-কমার্স খাতকে বিশ্বস্ত করতে ফেব্রুয়ারিতে ইউনিক বিজনেস আইডি (ইউবিআইডি) চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ‘ই-কমার্সে আস্থা ফেরাতে এই খাতে স্থিতিশীলতা আনয়ন এবং অনলাইন কেনা-বেচাকে ত্বরান্বিত্ব করার ক্ষেত্রে সমাধানের পথ হিসেবে উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ডেটাবেজ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ইউনিক বিজনেস আইডি’র নিবন্ধন এবং ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এটুআই, ভোক্তা অধিকার ও ই-ক্যাব মিলে তৈরি কেন্দ্রীয় অভিযোগ নিষ্পত্তি সিস্টেম আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে চালু করা হবে।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের কারিগরি সহায়তায় বুধবার আইসিটি টাওয়ারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এই সব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আদিয়ান মার্টের সিইওসহ ৪ গ্রেপ্তার
তিনি বলেন, ‘ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিতেও কেন্দ্রীয় অভিযোগ নিষ্পত্তি সিস্টেম (সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম-সিসিএমএস) এবং ইন্টার-অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্ল্যাটফর্ম ‘বিনিময়’ চালু করা হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে ঘিরে উৎপাদক, বিক্রেতা, ক্রেতা, উদ্যোক্তা সবকিছু মিলে দেশে একটা ইকোসিস্টেম তৈরি হয়েছে। নতুন উদ্ভাবন ও নতুন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করেই ই-কমার্সে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ই-কমার্স খাতে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের বাজার তৈরি হয়েছে। অনলাইনে দেশের আড়াই হাজারের অধিক ই-কমার্স এবং ৫০ হাজারের বেশি এফ-কমার্স প্ল্যাটফর্মে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের বেচা-কেনা হচ্ছে।’
পলক বলেন, ‘ইন্টার-অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্ল্যাটফর্ম ‘বিনিময়’এরই মধ্যে তৈরি হয়ে গেছে। আগামী মার্চে উদ্বোধনের পর বিনিময় প্ল্যাটফর্ম ও অ্যাপের মাধ্যমে ইন্টার-অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ফিজিক্যাল শপকে ডিজিটালে নিয়ে যেতে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোকে আরও বেশি প্রযুক্তি নির্ভর করতে হবে। কেনা-বেচায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য এসব লেনদেনকে ডিজিটাল মাধ্যমে নিয়ে আসতে হবে। সঠিক পলিসি, টেকনোলজি ও স্ট্রাটেজি নেয়ার মাধ্যমে ই-কর্মাসকে আরও স্বচ্ছ ও নিরাপদ করা সম্ভব। যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো ডিজিটাল কোরবানির হাট।’
আরও পড়ুন: ই-কমার্স নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চায় হাইকোর্ট
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যদের মধ্যে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, পিএএ, এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী, এটুআই-এর গ্রামীণ ই-কমার্স ও হেড অব কমার্সিলাইজেশন রেজওয়ানুল হক জামি ও ই-ক্যাব পরিচালক ও চালডালের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জিয়া আশরাফ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা, এটুআই এবং আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকরাসহ, প্ল্যাটফর্মগুলো প্রস্তুতে যুক্ত বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।