%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A6%A8
ন্যানসির জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার চুরির অভিযোগ
দেশের জনপ্রিয় গায়িকা নাজমুন মুনিরা ন্যানসির জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার চুরি হয়েছে। এই তারকার বাসা থেকে এমনটা ঘটে বলে জানা যায়। গণমাধ্যমে ন্যানসি জানায়, গৃহকর্মীকে সন্দেহ করে তিনি গুলশান থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
‘প্রজাপ্রতি’ সিনেমার জন্য পাওয়া এই পুরস্কারটি চুরি যাওয়া প্রসঙ্গে ন্যানসি বলেন, 'আমার বাসায় তাহমিনা নামের মেয়েটির ঈদ পর্যন্ত কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু ৫ এপ্রিল তাহমিনা হঠাৎ জানায়, সে কাজ করতে পারবে না। কারণ হিসেবে তার অসুস্থতার কথা বলে। কিন্তু আমি চিকিৎসার জন্য সাহায্য করব বললেও তাহমিনা বিভিন্ন অযুহাতে কাজ ছেড়ে দেয়।'
আরও পড়ুন: কন্যা সন্তানের মা হলেন ন্যান্সি
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও অন্যান্য জিনিস চুরি যাওয়া প্রসঙ্গে ন্যানসি আরও বলেন, 'ঈদের আগে ঘর গোছাতে গিয়ে দেখি, স্বর্ণপদক ও আমার আরও কিছু জুয়েলারি নেই। পরবর্তীতে বিষয়টি থানায় জানানো হলে তাহমিনার বোনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জানা যায় তাহমিনা চুরি করেছে।'
ন্যানসি জানান, অন্যকিছু না পাওয়া গেলেও তার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারটি তিনি ফিরে পেতে চান।
উল্লেখ্য, এক যুগের বেশি সময় দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে নিয়মিত গান করছেন ন্যানসি। ২০১১ সালে মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত 'প্রজাপতি' গানটির জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
আরও পড়ুন: আসিফ-ন্যান্সির দ্বন্দ্বের অবসান
বান্নাহ’র মিষ্টি প্রেমের গল্পে শ্রাবণ্য-আরশ
মন খারাপ ছিল জনপ্রিয় উপস্থাপিকা ও অভিনেত্রী শ্রাবণ্য তৌহিদার। কেননা ঈদে প্রচারের অপেক্ষায় থাকা বিশেষ নাটক হারিয়ে ফেলেছেন এর নির্মাতা।
শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত হণ্যে হয়ে খুঁজলেও যার আর অস্তিত্ব মেলেনি কোথাও। প্রযোজকের ক্ষতি আর নিজের কষ্টসাধ্য চরিত্রটির জন্য দারুণ মন খারাপ ছিল তার।
সে দুঃখ কিছুটা ভুললেন নতুন একটি নাটকে।
আরও পড়ুন: ঈদে কনার সঙ্গে তৌহিদের গান ‘রোদ্দুরে’
জনপ্রিয় নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহর পরিচালনায় ঈদ নাটক ‘তুমি আমার সব’-এ শ্রাবণ্য জুটি বেঁধেছেন আরশ খানের সঙ্গে।
নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ বলেন, নাটকের গল্পটি মূলত দুই কাজিনের গল্প। মেয়েটি ছেলেটির প্রতি জমিয়ে রাখা দীর্ঘদিনের অব্যক্ত আবেগ ও ভালোবাসার কথা প্রকাশের জন্য তার কাঙ্ক্ষিত সময়ের জন্য অপেক্ষা করছিল।
ছেলেটি তাৎক্ষণিক প্রত্যাখ্যান করলেও ধীরে ধীরে আশৈশব একসঙ্গে বেড়ে ওঠা পাশের মানুষটির মধ্যেই অন্য এক মানুষকে খুঁজে পায়।
কিন্তু পরিণয়ের পথেও নিজের মুখোমুখি দাঁড়াতে বাধ্য হয় ছেলেটা।
নাটকটিতে অভিনয় করে শ্রাবণ্যর অভিজ্ঞতা অম্ল এবং মধুর। কেননা ব্যক্তিজীবনে শ্রাবণ্য যেমন তার ঠিক উল্টো একটি চরিত্রে দেখা যাবে তাকে।
শ্রাবণ্য বলেন, সারাজীবন যেটা হয়েছে, কলেজ বা ভার্সিটিতে ছেলেরাই আমার পেছনে সবসময় ঘুরেছে, আমি পাত্তা দেইনি।
এখানে আমাকেই ছেলেটার প্রেমে কিছুটা বেহায়াপনা করতেই হয়। যেটা খুব ইন্টারেস্টিং লেগেছে।
খুব মিষ্টি প্রেমের গল্প। বান্নাহ ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম কাজ। আমি মুগ্ধ তার নির্মাণ কৌশল দেখে।
তীব্র গরমের মধ্যে মানিকগঞ্জের জমিদার বাড়িতে চিত্রায়িত হয়েছে নাটকটি। বারবার ঘামে ভিজে যাচ্ছিল পোশাক, সে পোশাক শুকিয়ে ফের শুটিং।
এমন কষ্টই করেছেন শ্রাবণ্য।
রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প অবলম্বনে ‘হৈমন্তীর ইতিকথা’ দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক ঐশিকা ঐশির
বাংলা সাহিত্যের অনেক চরিত্র উঠে এসেছে সিনেমার পর্দায়। এবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প ‘হৈমন্তী’ অবলম্বনে ‘হৈমন্তীর ইতিকথা’ নির্মাণ করলেন মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেন।
‘হৈমন্তীর ইতিকথা’ সিনেমার মূখ্য চরিত্রে রয়েছেন নবাগত চিত্রনায়িকা ঐশিকা ঐশি। তিনি একাধারে একজন টেলিভিশন উপস্থাপিকা, মডেল ও নাট্যশিল্পী।
সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে ঐশি বলেন, ‘জীবননির্ভর, সাহিত্যনির্ভর গল্প আমার সব সময়ের পছন্দ। সেই জায়গা থেকে রবীন্দ্রনাথের গল্পে কাজ করতে পারা আমার জন্য ভাগ্যের বিষয়। আর আমার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জেরও।’
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী মুক্তির ৯৯ দিন পর বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে ‘পাঠান’
সিনেমায় ক্যারিয়ার সম্পর্কে ঐশি আরও বলেন, ‘সিনেমার প্রতি ভালোবাসা থেকে এখানে ক্যারিয়ার গড়তে চাই। তবে সেটি ‘হৈমন্তীর ইতিকথা’ মুক্তি পাওয়ার পর। আর নিয়মিত কাজের জন্য আমার আরও প্রস্তুতিরও প্রয়োজন রয়েছে। তাই নিজেকে প্রস্তুত করছি।’
‘হৈমন্তীর ইতিকথা’য় ঐশিকার বিপরীতে অভিনয় করেন চিত্রনায়ক সাইফ খান। অন্যান্য চরিত্রে আছেন ঝুনা চৌধুরী, রাশেদা চৌধুরী, খলিলুর রহমান কাদেরী, মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেন, মোহাম্মদ আবদুল হামিদ, সিনথিয়া লিজা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নির্মাতা সূত্রে জানা যায়, আগামী ঈদ-উল আজহায় সিনেমাটি মুক্তি পেতে পারে।
আরও পড়ুন: ঈদুল ফিতরের সিনেমায় প্রযোজকদের ভরসা শাকিব ও অনন্ত, অন্যরা কতটা টিকবে!
‘ফাইনেস্ট সিরিজ ডিরেক্টর’ আশফাক নিপুণ
শিল্পকর্মে যখন সময়কে আঁকা হয় তখন তা নাকি বহু বছর টিকে যায়। নির্দিষ্ট এক সময়ের সাক্ষী হয়ে থাকে সেই কাজ। আশফাক নিপুণ নির্মিত ‘মহানগর’ সিরিজটিকে ঠিক তেমনই একটি কাজ বললে পাঠকরা হয়তো দ্বিমত করবেন না।
ওটিটির জোয়ারে যখন বাংলাদেশের নির্মাতারা সিরিজ তৈরি করতে শুরু করলেন সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ‘মহানগর’।
২০২১ সালের ৫ জুন ‘হইচই’-তে মুক্তি পায় ‘মহানগর ১’। ঠিক এই সিরিজ দিয়ে যে আশফাক নিপুণকে দর্শক চিনেছে ঠিক তা কিন্তু নয়। এই নির্মাতা তার নাটক ও টেলিফিল্ম দিয়ে এর আগেই তাকে চিনিয়েছেন। তাকে পরিচিত করে তুলেছে তার গল্প বলার এক ভিন্ন ঢং। তার বিভিন্ন সাক্ষাৎকার বা ফেসবুক প্রোফাইল থেকে কিছুটা হলেও বোঝা যায় নিজের দর্শন ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখার অভিজ্ঞতা তার প্রতিটি কাজে তুলে আনার চেষ্টা করেন।
এই চেষ্টা সাহসিক এক জায়গায় তাকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে ‘মহানগর’ সিরিজ। ২০ এপ্রিল একই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেল সিরিজের দ্বিতীয় সিজন। আমাদের মহানগরে রাত-দিনের পার্থক্যটা অনেক না হলেও কিছু সংখ্যক সাধারণ মানুষের জানা আছে। আশফাক নিপুণ তার এক রূপ এঁকেছেন সিরিজের দুই সিজনে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার শিকার সবচেয়ে বেশি হয় নারীরা: আশফাক নিপুণ
‘মহানগর’ সিরিজের মূল চরিত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় সংলাপ, ‘দুইটা কথা মনে রাখবেন, ক্রিমিনাল আর টাকা যদি থাকে নসিবে আপনে আপনে আসিবে’। আশফাক নিপুণ এক রেডিও অনুষ্ঠানে বলছিলেন মূল চরিত্রে তিনি মোশাররফ করিম ছাড়া কাউকে চিন্তা করতে পারেননি। যদি শিডিউল সমস্যা হতো, তাহলে তিনি অপেক্ষা করে হলেও মোশাররফ করিমকে চাইতেন।
সিরিজটি যারা দেখেছেন, তাদেরও হয়তো এমনটা মনে হওয়ার কথা। মোশাররফ করিম এদেশের ঝিনুকের মধ্যে মুক্তা। চরিত্রের মাঝে তিনি যেভাবে মিশে যান সেখান থেকে চোখ ফেরানো যায় না।
পুরো ‘মহানগর’ সিরিজের দুটি সিজনে ঢাকা মহানগরে রাতের ঘটনাগুলো উঠে এসেছে। ঢাকা মহানগরের কোতোয়ালি থানার ওসি হারুণ এই গল্পের নায়ক। যদিও তিনি নায়ক নাকি ভিলেন সেই দ্বিধায় পড়তে হয় কয়েকবার।
‘মহানগর ১’ শেষ হয় ওসি হারুণকে গ্রেপ্তার করার ঘটনায়। এরপরই তাকে নেওয়া হয় অজানা এক জায়গায়। দীর্ঘক্ষণ চলে জিজ্ঞাসাবাদ। যেখান থেকে শুরু ‘মহানগর ২’। এই পর্বে এমন আরও একজন অভিনেতা যোগ হয়েছেন যিনি অভিনয় দিয়ে দর্শক কাঁদাতে পারেন। বলছিলাম ফজলুর রহমান বাবুর কথা।
ওসি হারুণকে জিজ্ঞসাবাদের প্রধান হিসেবে থাকেন তিনি। এরপর সেই অজানা জায়গায় কাটে ওসি’র আরও একটি রাত। এই জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে উঠে আসে পেছনের এক গল্প। সেখানে রয়েছেন দর্শকদের জন্য আরও এক চমক। আর যাকে দেখে চোখ আটকে যাবে তিনি আফসানা মিমি। দ্বিতীয় সিজনে নতুন আরও একটি পরিচিত মুখ রয়েছেন অভিনেত্রী তানজিকা আমিন।
সিরিজের প্রতিটি চরিত্রের যে আশফাক নিপুণ যত্ন নিয়েছেন সেটি দেখলে বোঝা যায়। খুবই অল্প সময়ের জন্য পর্দায় থাকা চরিত্রগুলোকেও তিনি অবহেলা করেননি। এই বিষয়গুলো তার পেশদারিত্বের ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়।
আরও পড়ুন: ঈদ উপলক্ষে হইচই’র পর্দায় ‘মহানগর-২’
এদেশে সিরিজের সিক্যুয়াল দিয়ে বাজিমাত করতে পেরেছে এমন কেউ ‘মহানগর ২’ এর আগে পর্যন্ত ছিল না। কিন্তু এই দ্বিতীয় সিজন যেন প্রথম সিজনকেও ছাড়িয়ে গেছে। গল্পের বুনন, সংলাপ, চরিত্রগুলোর এক্সপ্রেশন সবকিছুই এতটা যত্ন নিয়ে নিপুণ সাজিয়েছেন তাকে এদেশের ‘ফাইনেস্ট সিরিজ ডিরেক্টর’ বললে মনে হয় খুব একটা বেশি বলা হবে না।
একটি সিরিজের প্রথম সিজন যখন ব্যাপক জনপ্রিয় হয়, পরেরটার জন্য প্রেশার আর চ্যালেঞ্জ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। সেই চাপ সামলে নিয়েছেন আশফাক নিপুণ। মাঝে এক বছর চলে গেলেও তিনি ধৈর্য্য ধরেছেন। তার ফলও পেয়েছেন। তাই ঈদের আনন্দটাও বেড়ে গেল কয়েক গুণ।
‘মহানগর ২’ এর বর্তমান গল্পের সঙ্গে দুই বছর আগের এক গল্প নিয়ে পুরো সিরিজ এগিয়ে যায়। একই ফ্রেমে দুই সময়ের গল্প ঠিকঠাক বলতে পারাটাও মুন্সিয়ানার বিষয়। নাহলে অনেক সময় চোখে দর্শক দ্বিধায় পড়ে যায়। সেই কাজটিও ঠিকঠাক করেছেন নিপুণ।
সিরিজের ডিআই কালার ও ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক আলাদা করে প্রশংসার দাবি রাখে। যা সিরিজটি আবহ স্ক্রিনে আরও জীবন্ত করে তুলেছে।
সিরিজের শেষটায় যা হয়েছে সেটিই সবচেয়ে তাক লেগে যাওয়ার অবস্থা তৈরি করেছে। সঙ্গে কলকাতার অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যের প্রবেশ তৃতীয় সিজনের এক ইঙ্গিত রেখে শেষ হয় ‘মহানগর ২’। যেহেতু আশফাক নিপুণ তার অন্য এক সিরিজ ‘সাবরিনা’র সিক্যুয়াল ও অন্য কাজ নিয়ে ব্যস্ততা রয়েছেন, তাই হয়তো ‘মহানগর ৩’ এর জন্য দর্শকের অপেক্ষাটা দীর্ঘ হবে।
তবুও আশফাক নিপুণ সময়ের গল্প বলে যাক।
আরও পড়ুন: প্রথমবার চরকি অরিজিনাল সিনেমায় মোশাররফ করিম
ঈদে কনার সঙ্গে তৌহিদের গান ‘রোদ্দুরে’
দেশের জনপ্রিয় গায়িকা দিলশাদ নাহার কনা। তার সুমিষ্ঠ কণ্ঠে বহু গান এদেশের শ্রোতাদের মন জয় করেছে। অডিও কিংবা ভিডিও (সিনেমা), সবখানেই কনার গানের জয়জয়কার। বিশেষ করে সিনেমায় গেল কয়েক বছর ধরেই তিনি গান করে যাচ্ছেন চাহিদার শীর্ষে থেকে। সেই কনা রোজার ঈদে থাকছেন নতুন গান নিয়ে।
এই গানের শিরোনাম ‘রোদ্দুরে’। তার সঙ্গে গানটিতে যৌথ কণ্ঠ দিয়েছেন তৌহিদ। এটি তৌহিদের গাওয়া দ্বিতীয় গান। এর আগে তিনি গেল বছর গেয়েছিলেন ‘খুব যতনে’ শিরোনামের গান।
এবার তিনি কনার সঙ্গে গাইলেন ‘রোদ্দুরে’। সোমেশ্বর অলির গীতিকবিতায় গানটিতে সুর ও সংগীত করেছেন আকাশ মাহমুদ। গানের মিক্স মাস্টারিংয়ে ছিলেন আশিক মাহমুদ।
আরও পড়ুন: ঈদে জেমসের নতুন গান ‘সবই ভুল’
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ৭টায় টি আর মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে ‘রোদ্দুরে’ গানটি প্রকাশ হবে ভিডিও আকারে। এস আর ফিল্মসের আয়োজনে গানচিত্রটি নির্মাণ করেছেন সৈকত রেজা।
গানটি নিয়ে কনা ইউএনবিকে বলেন, ‘চমৎকার মিষ্টি কথায় সাজানো, অসাধারণ সুর ও সংগীত আয়োজনে আমার এবং তৌহিদ ভাইয়ের কণ্ঠে এই গানটি আশা করছি সবার মন ছুঁয়ে যাবে।’
গায়ক তৌহিদ বলেন, ‘এই গানের গীতিকার ও আমার সহশিল্পী দুজনই এমন মানুষ যাদের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। ঈদের গান হিসেবে ‘রোদ্দুরে’ সবার হৃদয় ছুঁয়ে যাক সেই প্রত্যাশা করছি।’
গানচিত্রটি নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এর সুর ও সংগীত পরিচালক আকাশ মাহমুদও।
আরও পড়ুন: মাইক সিনেমার গান ‘একটা আঙুল’ এর মুক্তি
৩০ ব্যান্ড নিয়ে চট্টগ্রাম মিউজিক্যাল ব্যান্ড এসোসিয়েশনের নতুন যাত্রা
ব্যান্ড মিউজিকের শহর চট্টগ্রামে তারুণ্যের হাত ধরে নতুন নতুন ব্যান্ড তৈরি হচ্ছে। নতুন গানে, নতুন প্রাণের সুরে মুখরিত এসব ব্যান্ড এবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে পথচলার প্লাটফর্ম হিসেবে যুক্ত হল চট্টগ্রাম মিউজিক্যাল ব্যান্ড এসোসিয়েশন (সিএমবিএ)-এর সঙ্গে।
সোমবার চট্টগ্রামের একটি কনভেনশন সেন্টারে সিএমবিএ-এর আনুষ্ঠানিক রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের আয়োজনে যুক্ত হয়েছে নতুন-পুরনো ৩০টি ব্যান্ড।
আরও পড়ুন: গুগলের নতুন এআই টেক্সট থেকে তৈরি করতে পারে মিউজিক
রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের পাশাপাশি আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে মিলিত হন চট্টগ্রামের ব্যান্ডজগতের প্রায় সকলে।
সিএমবিএ জানায়, প্রায় পাঁচ বছর পর সংগঠনে নতুন করে ব্যান্ড অন্তর্ভূক্তি ঘটলো। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জয়বাংলা কনসার্টে চট্টগ্রামের ১৪ টি ব্যান্ড তাদের মৌলিক গান নিয়ে কনসার্টে পারফর্ম করে।
যাকে চট্টগ্রামের ব্যান্ড মিউজিকের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করছে সিএমবিএ।
ওই কনসার্টের সফলতায় উজ্জীবিত হয়ে সিএমবিএ-কে নতুন করে সুসংগঠিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তারা।
প্রায় ৬০টি ব্যান্ড থেকে বাছাই করে ৩০টি ব্যান্ড নিয়ে এ নতুন যাত্রা তাদের। ব্যান্ড মিউজিকের আতুরঘরখ্যাত চট্টগ্রামে ব্যান্ডমিউজিককে গতিশীল, মানসম্পন্ন ও প্রচার-প্রসারে ভূমিকা রাখবে সিএমবিএ।
অনুষ্ঠানে ব্যান্ড ছাড়াও অন্যান্য গুণী মিউজিশিয়ানদের ভেতর উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের ব্যান্ড মিউজিকের পুরোধা ব্যক্তিত্ব জেকব ডায়েস।
আরও উপস্থিত ছিলেন সি এম বি এর সভাপতি সমর বড়ুয়া, সাধারন সম্পাদক রায়হান আল হাসান (ফিডব্যাক) ও কার্যকরী সদস্যরা।
সভায় সি এম বি এ এর কার্যপ্রণালী ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। সংগঠনকে আরও শক্তিশালী ও প্রাণোচ্ছল করে তোলার জন্য সি এম বি এর নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিরা আলোচনার মাঝে তাদের নিজস্ব ভাবনা চিন্তা প্রকাশ করেন।
সিএমবিএ ’-কে আরও বেগবান ও ফলপ্রসু করতে মৌলিক গানের প্রতি আরও যত্মবান হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত শাহেদ।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ‘মিউজিক্যালিটি ইন উড’ প্রদর্শনী শুরু
পারস্পরিক সৌহার্দ্য আর ভ্রাতৃত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে চট্টগ্রামের ব্যান্ড মিউজিকের সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করেছেন সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনের ভূমিকায় ছিলেন সংগঠনের অর্থ সম্পাদক কাজী মাসুদুল হক।
অনুষ্ঠানের মুক্ত আলোচনা পর্যায়ে উপস্থিত সকল ব্যান্ডের প্রত্যেক প্রতিনিধি নিজ নিজ ভাবনা ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
সিএমবিএ’র সহ সাধারণ সম্পাদক কায়সার জাবেদ বলেন, ‘আমরা আসন্ন রকফেস্ট নিয়ে বৃহৎ পরিকল্পনা সাজিয়েছি। রকফেস্ট ছাড়াও আরও কিছু চমক দেবার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে সিএমবিএ-এর নিবেদিত সদস্যরা।
যে সকল ব্যান্ড সি এম বিএ -এর রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে তারা হলেন, স্টোন, সফট টাচ, খুঁটি, ব্যান্ড নং ১৬/৭১, ইতিহাস, ওয়ার্নিং, দ্য লাস্ট মার্ক, লাইনার্স, দ্য ভাইব্রেশান, রক এন ট্রেন, জলরং, আর্তনাদ, ওয়ারিয়র্স,ভায়োলেন্ট মেশিন, অন্তহীন, নেক্সাস, প্রিজম, ওয়াই এস বি, রক-নট, রং পেন্সিল, ছুটি, উষ্ণতা, মেলোডি অব সিক্স স্ট্রিংস, অফ টাচ, বনসাই, বেলিকোজ, দ্য ইমাশান, ফানুশ, বন্দর, অ্যামেচার।
এ ছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সই হয় যাদের ভেতর টেকনো প্রো, সাউন্ড কিং, প্রতিশ্রুতি , ক্যাপচার উইং , মাত্রা, মিল্টন ডেকোরেটর্স অন্যতম। এছাড়াও গীটার হলের স্বত্তাধিকারী মো. ইকা সি এম বি এ -এর রেজিষ্ট্রেশনকৃত ব্যান্ড গুলোর জন্য বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দেন।
পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন প্রাজ্ঞ মিউজিশিয়ান একে একে তাদের ব্যাক্তিগত ভালোলাগা ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ‘মিউজিক্যালিটি ইন উড’ প্রদর্শনী শুরু
ঈদে জেমসের নতুন গান ‘সবই ভুল’
রোজার ঈদে আবারও প্রকাশ হতে যাচ্ছে জেমসের নতুন আরও একটি গান। আর জেমসের গান মানেই তার ভক্তদের জন্য ঈদে বাড়তি আনন্দ। ‘সবই ভুল’ শিরোনামে গানটি চাঁদ রাতে উন্মুক্ত হবে বসুন্ধরা ডিজিটালের ইউটিউব প্লাটফর্মে। জেমস এবং বিশু শিকদারের যৌথভাবে কথায় গানটির সুর করেছেন জেমস নিজেই।
১৭ এপ্রিল (সোমবার) বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেডকোয়ার্টার-২ এর কনফারেন্স রুমে জেমসের আসন্ন নতুন গানটি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যেখানে বসুন্ধরা ডিজিটালের পক্ষ থেকে জেমসের হাতে স্মারক তুলে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে গানটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশের তারিখও ঘোষণা করা হয়।
মাহফুজ আনাম জেমস বলেন, ‘গতবারের গানটি থেকে যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছে সেটি মাথায় রেখে নতুন এই গান করা। কাজের স্বাধীনতা ছিলো বলে সময় নিয়েছি ভালো কিছু উপহার দেয়ার জন্য। এই প্ল্যাটফর্মের ভবিষ্যতে আরও কিছু একক গান তাদের সঙ্গে করব।’
বসুন্ধরা ডিজিটাল চ্যানেলের জন্য বেশ কয়েকটি গানের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন জেমস। তার প্রথম গানটি প্রকাশিত হয়েছিলো গেলো বছরের ঈদ উল ফিতরে। পরবর্তীতে অন্যান্য গানগুলো এই চ্যানেল থেকেই প্রকাশিত হবে।
আরও পড়ুন: প্রয়াত গীতিকার বিশুর দুই মেয়ের দায়িত্ব নিলেন জেমস
আবারও নতুন গান নিয়ে আসছেন জেমস
কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলালিংকের বিরুদ্ধে জেমসের মামলা
শাকিবের সিনেমায় ৯ বছর পর জাহিদের লেখা গান
ঈদের বরাবরই আলোচনায় থাকে শাকিব খানের সিনেমা। এবারের রোজার ঈদেও হিসেবটা তেমনই রয়েছে। মুক্তি পেতে যাচ্ছে শাকিব-বুবলি জুটির ‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’। এর একটি গান এরইমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে।
এই সপ্তাহে ‘সুরমা সুরমা’ শিরোনামে আরও একটি গান প্রকাশ হতে যাচ্ছে। এরমধ্য দিয়ে শাকিব খানের সিনেমায় প্রায় ৯ বছর পর গান লিখলেন জনপ্রিয় গীতিকার জাহিদ আকবর।
নির্মাতা তপু খানের প্রথম এই সিনেমায় জাহিদ আকবরের কথায় গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন ইমরান ও কোনাল। সঙ্গীতায়োজনে রয়েছেন নাভেদ পারভেজ।
জাহিদ আকবর ইউএনবিকে বলেন, ‘শাকিব খানের সিনেমার জন্য দ্বিতীয়বারের মতো গান লিখলাম। তার সিনেমার জন্য গান লেখা তো বরাবারের মতো আনন্দের। এছাড়া ইমরানের সঙ্গে আমার রসায়নটা ভালো। এবার সঙ্গে কোনাল রয়েছেন। এখন অপেক্ষা গানটি প্রকাশ্যে আসার। আশা করি সবার ঈদ আনন্দে গানটি বাড়তি কিছু যোগ করবে।’
এর আগে ২০১৪ সালে শাকিব খানের ‘হিরো দ্য সুপারস্টার’ সিনেমায় ‘যেখানে যাবে আমাকে পাবে’ শিরোনামে গান লিখেছিলেন জাহিদ আকবর।
আরও পড়ুন: আমি অন্যায় করিনি, অন্যায়টা আমার সঙ্গে হয়েছে: শাকিব খান
চলচ্চিত্র প্রযোজকের বিরুদ্ধে 'হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির' অভিযোগ এনে শাকিব খানের মামলা
বিশ্বব্যাপী মুক্তির ৯৯ দিন পর বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে ‘পাঠান’
এরই মধ্যে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কল্যাণে শাহরুখ খান অভিনীত ‘পাঠান’ পৌঁছে গেছে বিশ্বের সবখানেই। আর বলিউডের কিং খানের ভক্তদের এরই মধ্যে এটি দেখাও হয়ে গেছে। এমন সময় বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে ‘পাঠান’ মুক্তির ঘোষণা এলো।
সাফটা চুক্তির আওতায় চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশে আমদানি করছে অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট। এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নির্মাতা অনন্য মামুন গণমাধ্যমে জানান, আগামী ৫ মে বাংলাদেশে পাঠান মুক্তি পাবে।
আরও পড়ুন: ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘পাঠান’
তিনি আরও জানান, ১৬ হলে এরই মধ্যে সার্ভার বসানো হয়েছে। তবে এই সংখ্যাটি ৪০ পর্যন্ত যাবে বলে আশা করা যায়।
অনেকদিন ধরেই এ দেশে ‘পাঠান’ মুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছিল। কিন্তু বিভিন্ন নিয়মে বাঁধা পড়ে চলচ্চিত্রটি। এ নিয়ে একটি টিম গঠন করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আলোচলনা হলেও পরবর্তীতে কিছু জানা যায়নি।
তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে শাহরুখ ভক্তদের যারা বলিউডের কিং খানকে বড়পর্দায় দেখতে চান সেই আশা পূরণ হতে যাচ্ছে।
এ বছর ১০টি হিন্দি চলচ্চিত্র আমদানির অনুমতি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। পাঁচ শর্তে আগামী বছর দেশে আরও আটটি হিন্দি চলচ্চিত্র মুক্তি পাবে।
উল্লেখ্য, ২৫ জানুয়ারি ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশে ‘পাঠান’ মুক্তি পায়।
আরও পড়ুন: ‘পাঠান’ আসবে কী আসবে না!
ঈদে মাহফুজুর রহমানের একক সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘হৃদয় তোমাকেই চায়’
প্রতি বছরের মতো এ বছরের ঈদেও একক সঙ্গীতানুষ্ঠান নিয়ে দর্শকদের মাঝে হাজির হচ্ছেন ড. মাহফুজুর রহমান।
২০১৬ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে এটিএন বাংলায় প্রচার হচ্ছে তার গাওয়া গান নিয়ে একক সঙ্গীতানুষ্ঠান।
এবারের ঈদেও তার গাওয়া একগুচ্ছ গান নিয়ে ঈদের দিন রাত ১০টা ৩০ মিনিটে প্রচার হবে একক সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘হৃদয় তোমাকেই চায়’। এবারের অনুষ্ঠানে রয়েছে মোট ১২টি গান।
অ্যালবামের গানগুলোতে সুরারোপ করেছেন মান্নান মোহাম্মদ, রাজেশ ঘোষ ও এস আই সুমন। গানের কথা লিখেছেন নাজমা মোহাম্মদ, রাজেশ ঘোষ, এস আই সুমন এবং ড. মাহফুজুর রহমান।
আরও পড়ুন: জীবনের গল্প নিয়ে টিভি চ্যানেলে শিগগিরই আসছেন অঞ্জন দত্ত
অ্যালবামে রয়েছে জানো না, ভালোবাসি বলে, আমি তোমার, বেইমান, ঠিকানা, জীবন সাথি, আমার ভালোবাসা অন্যরকম, তুমি সত্যি করে বলো এবং রিমিক্স দাইমা-২ শিরোনামের গান।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে থাকছে জনপ্রিয় তিনটি গজল। এগুলো হলো- গজল সম্রাট মেহেদী হাসানের গাওয়া প্যায়ার ভারে দো শার্মিলে ন্যান ও রাফতা রাফতা এবং চকোরী চলচ্চিত্রের ওহ মেরে সামনে তাসভীর বানে।
এটিএন বাংলার স্টুডিওতে গানগুলো চিত্রায়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪৫তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জয়া ও আতিকের ‘পেয়ারা সুবাস’