%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A6%A8
‘তোদের অসভ্যতার শেষ হোক’: ফারুকী
কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছিল মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ও অভিনীত সিনেমা ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’। যেখানে দেখা যায় তার স্ত্রীর গর্ভে সন্তান থাকা অবস্থায় ফারুকী বাইরের প্রকট শব্দ নিয়ে কতটা আতঙ্কিত ছিলেন। সিনেমাটা যারা দেখেছেন তারা হয়তো বিষয়টি ভালোভাবেই লক্ষ্য করেছেন।
পর্দার সেই ফারুকীকে এবার বাস্তবেও একই ঘটনা নিয়ে আতঙ্কিত দেখা গেল। আর সেটি প্রকাশ পেল ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসের মধ্য দিয়ে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) ফারুকী লিখেছেন, ‘নতুন বছর শুরু করতে হচ্ছে অভিশাপ দিয়ে। ঘুমন্ত সন্তান যখন কেঁপে কেঁপে ওঠে, তখন পিতা কেবল অভিশাপই দিতে পারে। কারো আনন্দের বিনাশ আমি কখনোই চাই না। কিন্তু আজকে বলতে বাধ্য হচ্ছি—তোদের অসভ্যতার শেষ হোক, শেষ হোক, শেষ হোক! সংযুক্তি: এখন বাজে রাত দুইটা।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সনি লিভে মুক্তি পাচ্ছে ফারুকীর 'শনিবার বিকেল'
তবে একটি পোস্ট করেই শেষ করেননি ফারুকী। পরবর্তী পোস্টে তিনি এই সমস্যার সমাধান নিয়ে লেখেন, ‘উৎসব যেহেতু থাকবে, আবার এই শহরে ছোট শিশু-বয়স্ক মানুষ-রোগী-পশু-পাখিদেরও থাকতে হবে, তাহলে একটা উপায় বের করা যায়? পুরো শহরটাকে যুদ্ধক্ষেত্র না বানায়ে শহরের তিনটা জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায়? যেখানে উৎসব করার জন্য মানুষ জড়ো হবে। আমাদের এখানে তো আর সিডনি হারবার ব্রিজের মতো কোনো জায়গা নাই। আমাদের সব জায়গাইতো আবাসিক। সেই জন্য জায়গার পাশাপাশি সময়টাও বেঁধে দেওয়া দরকার! উচ্চশব্দ হয় এমন কোনো কিছু করলে এই বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে করতে হবে। তাতে করে নির্দিষ্ট করে দেওয়া জায়গাগুলার আশপাশের ভবনের মানুষেরা জানবে কোন সময়টাতে এ রকম শব্দ হতে পারে এবং সেই অনুযায়ী একটা প্রস্তুতি রাখতে পারে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমরা যখন কোনো ছাদে দাঁড়াই, আমরা কিন্তু সেখান থেকে একটা আস্ত ইট নিয়ে বাইরের দিকে ছুঁড়ে মারি না! কারণ আমরা চিন্তা করি নিচে দিয়ে হেঁটে যাওয়া কারো না কারো মাথায় এটা পড়তে পারে, একটা অ্যাকসিডেন্ট হতে পারে। এই যে আমরা এটা ভাবি, এটাই মানুষের বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত। আমার কোনো কাজে অন্যের ক্ষতি হতে পারে কি না, এটা ভাবা মানুষের বেসিক জিনিস হওয়া উচিত। সবার নতুন বছর আনন্দের হোক, এমনকি যারা কালকে আমার মেয়েকে আতঙ্কের ওপর রাখছিলেন, তাদেরও!’
আরও পড়ুন: সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি: তিশা-ফারুকীর জীবনের প্রতিচ্ছবি?
মঞ্চ নাটকের আড়ম্বরপূর্ণ বছর ২০২৩
সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সিনেমা, টিভি নাটক বা সংগীত নিয়ে গণমাধ্যমে যতটা মাতামাতি হয়, মঞ্চ নাটক ঘিরে ততটা নজর থাকে না। এটি অনেক বছরের চিত্র। আর মঞ্চ নাটক দেখার দর্শকের সংখ্যাটাও এখন গুটিকয়েক বলা চলে। নাট্যপাড়ায় এই অবস্থা নিয়ে বহুদিন ধরেই আলাপ চলছে।
এক সময় যারা মঞ্চ নাটক নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন তারা এখন টিভি বা সিনেমায় ব্যস্ত। খুবই বাস্তব অভিজ্ঞতা টেনে এমন অনেকেই বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারেও কথা বলেন। আর এসবের মূলে যে বিষয়টি উঠে আসে তা হলো-পৃষ্ঠপোষকতার অভাব। কারণ দিন শেষে একজন নাট্যকর্মীরও তো নিজের আর্থিক সঙ্গতিটা দেখতে হয়। তাই মঞ্চকে একমাত্র অবলম্বন হিসেবে নেওয়া যায়নি কখনও।
আজ অবদি ঢাকায় মঞ্চ নাটকের কেন্দ্রে রয়েছে শিল্পকলা একাডেমি অথবা মহিলা সমিতি মিলনায়তন। এর বাইরে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও নতুন কোনো ভাবনার বাস্তব রূপ দেখা যায়নি এই অঙ্গন ঘিরে।
আরও পড়ুন: বিদেশের মাটিতে মেয়ের সঙ্গে গাইলেন সামিনা চৌধুরী
এসব বিভিন্ন হতাশার মাঝে ২০২৩ সালে যে মঞ্চ পাড়ার খুব একটা খারাপ গিয়েছে তা কিন্তু নয়। শিল্পকলার আঙ্গিনা বেশ রমরমা অবস্থাতেই ছিল বিদায়ী বছরটি। ঠিক যেন তারুণ্য ফিরে এসেছে। আর এরমধ্যেই এ বছর প্রায় ১২০০টি নাটক মঞ্চে উঠেছে। যার মধ্যে নতুনের সংখ্যা ছিল ৩৪টি। আর নতুন দল এসেছে ৫টি।
বিগত কয়েক বছরের সমীকরণের হিসেবে এবার মঞ্চে নতুন আলো এসেছে বলা যায়। ২০২৩ সালে নাট্যাঙ্গনের কয়েকটি বিষয় আলাদা করে আজকের লেখায় তুলে ধরার প্রয়াস মাত্র।
এখন মঞ্চ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের ‘গলা শুকানো’ অবস্থা হলেও এমন চিত্র কিন্তু সবসময় ছিল না। আজ নাট্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে যারা পরিচিত এবং কিংবদন্তীতুল্য তাদের আলোয় এক সময় আলোকিত ছিল দেশের মঞ্চপাড়া। তাদের কয়েকজনের মধ্যে অন্যতম রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসী মজুমদার ও আসাদুজ্জামান নূর।
স্বাধীনতা এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য দুজন অভিনয়শিল্পী রামেন্দু মজুমদার ও ফেরদৌসী মজুমদারকে বহু বছর পর মঞ্চে একসঙ্গে দেখা গেল। মহিলা সমিতির মঞ্চে বিশ্ববিখ্যাত নাট্যকার এ আর গার্নির 'লাভ লেটারস' নাটকে পাঠাভিনয় করেছেন তারা। আবদুস সেলিমের বাংলা রূপান্তর করা নাটকটি প্রযোজনা করেছে নাট্যদল থিয়েটার।
আরও পড়ুন: বড়পর্দায় রবীন্দ্রনাথের ‘হৈমন্তী'
অন্যদিকে মঞ্চ নাটকের আরেকজন মহীরুহ আসাদুজ্জামান নূর। নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় আয়োজিত ‘আলী যাকের নতুনের উৎসব’ এ বছর রেপার্টরি নাট্যদল হৃৎমঞ্চ মঞ্চে আনে ‘রিমান্ড’। শুভাশিস সিনহার লেখা ও নির্দেশিত এ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর্।
‘ঢাকা থিয়েটার’ এদেশের মঞ্চপাড়ার স্বর্ণাক্ষরে লিখে থাকার মতো নাম। যার শুরু হয় ১৯৭৩ সালে। নাট্যদলটির প্রথম আহ্বায়ক ছিলেন সেলিম আল দীন, নাসির উদ্দীন ইউসুফ ও ম হামিদ। ২০২৩ সালে তাদের প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন করেছে। আর সেটি ছিল বেশ আড়ম্বরপূর্ণ। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে ঢাকা থিয়েটার।
এ বছর উৎসবমুখর ছিল নাট্যাঙ্গন। সারাবছর ১২টি উৎসব উদযাপিত হয়েছে। বছরের শুরুতে ‘আলী যাকের নতুনের উৎসব’। এরপর গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব, আরণ্যক ও ঢাকা থিয়েটার আয়োজন করে ৫০ বছর পূর্তি উৎসব উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের মধ্যে বিভিন্ন জটিলতার ঘটনা প্রায় শোনা যায়। যা এবছরে উল্লেখযোগ্য। আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও সাংগঠনিক স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে কামাল বায়েজীদকে অব্যাহতি দেয় গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন। এ ঘটনায় ফেডারেশন থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদে নাট্যদল ‘ঢাকা থিয়েটার’ ফেডারেশন থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহারের আবেদন জানায়।
আরও পড়ুন: ধুম ৪-এ শাহরুখ খান: ঘটনা না কি রটনা?
ধুম ৪-এ শাহরুখ খান: ঘটনা না কি রটনা?
বলিউড ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় মুভি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা মুভি সিরিজটির নাম ‘ধুম’। এরই নতুন কিস্তি তথা ধুম ৪ নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছে হৈচৈ।
প্রধান ভূমিকায় কারা ফিরছেন আর নতুন কারা আসছেন তা নিয়ে হাজারও জল্পনা-কল্পনা ভক্তদের মাঝে। সেগুলোর মধ্যে সম্প্রতি ধুম ৪-এ এসআরকে (শাহরুখ খান) এর অভিনয়ের বিষয়টি বিতর্কের ঝড় তুলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে।
চলুন, খবরটির সত্যতা যাচাই করে নেওয়া যাক।
ধুম: এক সফল ফ্র্যাঞ্চাইজির উপাখ্যান
সহকারী পুলিশ কমিশনার জয় দীক্ষিত এবং তার সহযোগী আলি আকবর ফতেহ খান বিশ্বের সবচেয়ে ধূর্ত চোরকে ধরাশায়ী করতে জড়িয়ে পড়তে থাকে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে। এমনই পটভূমি নিয়ে ধুম চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলিউডের ‘বাডি কপ’ জনরাকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছেন নির্মাতা আদিত্য চোপড়া।
আরও পড়ুন: একইদিনে বাংলাদেশের হলেও ‘ডাঙ্কি’?
বক্স অফিস আয়ের দিক থেকে এটি তৃতীয় বৃহত্তম বলিউড ফিল্ম ফ্র্যাঞ্চাইজি। এখন পর্যন্ত ট্রিলজিটির প্রতিটিতেই খলনায়কের চরিত্রগুলো জনপ্রিয়তায় ছাড়িয়ে গেছে নায়কদেরকে। কখনো ব্যাংক ডাকাতি কখনো বা অমূল্য শিল্পকর্ম চুরি; এমনই অন্ধকার জগতকে জড়িয়ে দেখানো হয়েছে নতুন নতুন গল্প।
সবগুলোতে অভিষেক বচ্চন এবং উদয় চোপড়া যথাক্রমে জয় ও আলি আকবরের ভূমিকায় অপরিবর্তিত ছিলেন। কিন্তু চোরের চরিত্রগুলোতে প্রতিবারই অংশ নিয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন খ্যাতিমান তারকারা।
প্রথম ছবিতে জন আব্রাহামের সঙ্গে সহ-খলনায়িকা হিসেবে ছিলেন এশা দেওল। দ্বিতীয়টিতে ছিলেন ঋত্মিক রোশান ও ঐশ্বরিয়া রাই। আর সর্বশেষটাতে ছিলেন শুধু আমির খান।
প্রথম দুই কিস্তির পরিচালক ছিলেন সঞ্জয় গাধবি, যেগুলো মুক্তি পেয়েছিল ২০০৪ ও ২০০৬-এ। তবে সর্বশেষেরটিতে পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন ধুমের সবগুলো কিস্তির চিত্রনাট্যকার ভিজয় কৃষ্ণ আচার্য। ধুম নিয়ে যশ রাজ ফিল্মসের তৃতীয় প্রজেক্টটি প্রেক্ষাগৃহে এসেছিল ২০১৩ সালে।
আরও পড়ুন: বিনা কর্তনে চলছে ‘অ্যানিমেল’, আটকে আছে ‘কাঠগোলাপ’
বড়পর্দায় রবীন্দ্রনাথের ‘হৈমন্তী'
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প ‘হৈমন্তী’ অবলম্বনে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘হৈমন্তীর ইতিকথা’ নির্মাণ করলেন মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেন।
‘হৈমন্তী’ রবীন্দ্রনাথের একটি বিখ্যাত ছোটগল্প। এতে বিধৃত হয়েছে আবহমান কালের বাঙালি সমাজের নীরব নিষ্ঠুর এক কাহিনী। এক গৃহবধুর আত্মবিসর্জনের গল্প।
তবে গল্পের অঙ্গে অঙ্গে রয়েছে প্রাণবন্ত একজুটির রোমাঞ্চ ও ভালোবাসার স্পর্শ। পরিচালক যা চিত্রিত করেছেন সেল্যুলয়েডের পাতায় কাব্যিক চিত্রায়নে।
এই চলচ্চিত্রের নাম ভূমিকা রূপায়ন করেছেন নবাগত চিত্রনায়িকা ঐশিকা ঐশি।
আরও পড়ুন: বিদেশের মাটিতে মেয়ের সঙ্গে গাইলেন সামিনা চৌধুরী
অন্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন- সাইফ খান, ঝুনা চৌধুরী, রাশেদা চৌধুরী, খলিলুর রহমান কাদেরী, মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেন, মুনা আক্তার, অরূপ কুন্ডু, মো. আব্দুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ আবদুল হামিদ, আনিছুর রহমান, সিনথিয়া লিজা ও শিশুশিল্পী সিমন্তিনী চৌধুরীসহ প্রমুখ।
এই চলচ্চিত্রে চিত্রায়ন করা হয়েছে বেশ কয়েকটি রবীন্দ্রসংগীত।
কণ্ঠ দিয়েছেন প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ড. অণিমা রায়, মামুন জাহিদ, শিমু দে ও জয়ন্ত আচার্য্য। সংগীতায়ন করেছেন দীনবন্ধু দাশ।
‘হৈমন্তীর ইতিকথা’ চলচ্চিত্রটির পোস্ট প্রোডাক্টশনের কাজও সমাপ্ত হয়েছে। এখন আয়োজন চলছে সেন্সরের জন্য জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন: 'প্যারাসাইট' অভিনেতা লি সান-কিউন মারা গেছেন
শেখ মণিকে নিয়ে টেলিছবি ‘বিন্দু থেকে বৃত্তে’
বিদেশের মাটিতে মেয়ের সঙ্গে গাইলেন সামিনা চৌধুরী
কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী মাহমুদুন্নবী তার উত্তরসূরী হিসেবে রেখে গেছেন দুই মেয়ে ফাহমিদা নবী ও সামিনা চৌধুরী আর ছেলে পঞ্চমকে। তারা গানের ভূবনে নিজেদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখেছেন।
এবার সময় এসেছে এই তিন ভাই-বোনের যোগ্য উত্তরসূরী রেখে যাওয়ার। এরইমধ্যে গানের ভূবনে নাম লিখিয়েছেন সামিনা চৌধুরীর একমাত্র মেয়ে ফাবাশশির তেজি খান।
অডিও ও টেলিভিশনের পর এখন স্টেজ শোতেও অল্প বিস্তর গাইছেন তেজি। এমনকি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও গেয়েছেন এই তরুণ শিল্পী।
এ বছরই অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে মায়ের সঙ্গে স্টেজ পারফর্ম করেন তেজি। আর এবার গাইলেন যুক্তরাষ্ট্রের অস্টিন অঙ্গরাজ্যে।
সামিনা চৌধুরী এখন তার পুরো পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। সেখানে বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক স্টেজ শো এবং চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠের গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি।
তারই ধারাবাহিকতায় অস্টিন অঙ্গরাজ্যে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে গাইলেন তিনি। সেই মঞ্চেই তার সঙ্গে মেয়ে তেজি গাইলেন তিনটি গান।
আরও পড়ুন: শেখ মণিকে নিয়ে টেলিছবি ‘বিন্দু থেকে বৃত্তে’
সামিনা চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্র থেকে বলেন, ‘এ জীবনে তো কত দেশে কত স্টেজ শো করলাম, কিন্তু কিছু কিছু শো মনের মধ্যে আলাদা জায়গা করে রাখে। এবারের অস্টিনের শোটি তেমন। আমার মেয়ে আমার সঙ্গে গাইল- কবিতা পড়ার প্রহর, আমায় ডেকো না আর বাঁশি শুনে আর কাজ নেই গান তিনটি। তার গান শুনে অনেক দর্শকই বলেছেন, তেজিকে এরপর থেকে তারা নিয়মিত শিল্পী হিসেবে চায়। এটা মা হিসেবে আমার জন্য অনেক গর্বের ও আনন্দের।’
অস্টিনের শো নিয়ে সামিনা বলেন, ‘আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ, বরাবরই খুব ভালো দর্শক পাই। আমি যে ধরনের গান গাই বা পছন্দ করি, তেমন দর্শকই আমার গান শুনতে আসে। একক কনসার্টে তো দুই আড়াই ঘণ্টার আগে নামতেই পারি না। একের পর এক আমার মৌলিক গানের অনুরোধ আসে। এবারও তাই হয়েছে। তবে এবার গেয়েছি দুই ঘণ্টার একটু কম। আমার পরে মুজা গান করেছে। শোটি খুব ভালো ছিল। দর্শকের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। নিজের শো নিয়ে এর বেশি আর কী বলব? আপনারা বরং দর্শকদের অনুভূতি জানতে পারলে উৎকৃষ্ট হতো।’
২০২০ সালে অনেকটা হুট করেই সংগীতাঙ্গনে পা রাখেন ফাবাশশির তেজি খান। সে বছর তার জন্মদিনেই ওয়ার্ল্ড মিউজিক বাংলা ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পায় তার গাওয়া প্রথম গান ‘সংশয়’-এর ভিডিও। প্রথম গানেই দর্শকের প্রশংসা কুড়ান তিনি।
মেয়েকে নিয়ে সামিনা চৌধুরী বলেন, ‘আমি চাই তেজি নিজের যোগ্যতায় পরিচিতি পাক। তাই তার গান নিয়ে আমি আলাদা কোনো প্রচার করি না। তবে তার গান শুনে মনে হচ্ছে ভালো করবে।’
এদিকে, সামিনা চৌধুরী এবার বেশ লম্বা সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন। অস্টিনে শো’র পর এবার তিনি গাইবেন ফ্লোরিডায়। ১৩ জানুয়ারি সেখানকার ওয়েস্ট পাম বিচে রয়েছে সামিনার শো। এরপর চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠের গ্র্যান্ড ফিনালের বিচার কাজ করবেন।
কাজের ফাঁকে দেশটি ঘুরে দেখবেন বলেও জানান তিনি।
সব ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারিতে দেশে ফিরবেন এই নন্দিত সংগীতশিল্পী।
আরও পড়ুন: ফের আরটিভিতে সিসিমপুর
ওটিটির পর্দায় ফ্রিতে ‘অন্তর্জাল’
২০২৪ সালে ঢালিউডে মুক্তি পাবে যেসব বাংলা সিনেমা
করোনা মহামারির পর অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের সুদিন ফিরেছে ঢালিউড মুভি ইন্ডাস্ট্রিতে। তারই স্পষ্ট প্রমাণ রেখে সমূহ সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে ২০২৩ সাল। সিনেমা হলগুলো যেমন পরিণত হচ্ছে লোকারণে, তেমনি চলচ্চিত্রের দৃশ্যায়নেও ছাপ থাকছে আধুনিকতার। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা বাংলা সিনেমাগুলো আমুল পাল্টে দিতে পারে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ধারা। সেগুলোর মধ্যে বহু প্রত্যাশিত যে ছবিগুলো মুক্তির সম্ভাব্য সময় পেয়েছে, চলুন সেগুলোর সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
যে ঢালিউড সিনেমাগুলো ২০২৪ সালে মুক্তির অপেক্ষায়
শেষ বাজি
মুক্তির তারিখ পাওয়া ছবিগুলোর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে মেহেদী হাসান পরিচালিত এই থ্রিলার ঘরানার সিনেমাটি। মানুষের জীবনে জুয়া খেলার ক্ষতিকর প্রভাবকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ছবির কাহিনী।
শেষ বাজি’তে প্রধান ভূমিকায় আছেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক এবং তার বিপরীতে রয়েছেন শিরিন শিলা। এছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে মাহমুদুল হাসান মিঠু, রাশেদ মামুন অপু, এবং সাবেরী আলমকে।
রিকুয়্যাল রিয়েল এস্টেটের ব্যানারে সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল প্রযোজিত মুভিটি সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর। এরই মধ্যে সাইমনের নতুন লুক নিয়ে একটি পোস্টার প্রকাশ পেয়েছে। চলচ্চিত্রটি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ২০২৪ এর ১৯ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে সাইমনের ‘শেষ বাজি’
দরদ
সুপারস্টার শাকিব খানের নতুন বছরের চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে এটিই এ পর্যন্ত মুক্তির সুস্পষ্ট তারিখ পেয়েছে। ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে বাংলার পাশাপাশি একই সঙ্গে সিনেমাটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে হিন্দি, তামিল, তেলেগু, কন্নড় ও মালায়ালাম ভাষায়। বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ছবি ৬টি ভাষায় প্রকাশ পাচ্ছে।
দরদ নির্মিত হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মুম্বাইয়ের ওয়ান ওয়ার্ল্ড মুভিজ, কলকাতার এসকে মুভিজ, এবং বাংলাদেশের অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট, ও কিবরিয়া ফিল্মস।
অনন্য মামুন পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে শাকিবের প্রধান সহ-অভিনয়শিল্পী হিসেবে রয়েছেন দক্ষিণ ভারতের সোনাল চৌহান। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের পায়েল সরকার, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী ও রাহুল দেব। বাংলাদেশিদের মধ্যে থাকছেন এলিনা শাম্মী, ইমতু রাতিশ, এবং অতিথি শিল্পী হিসেবে মিস বাংলাদেশ জেসিয়া ইসলাম।
দরদের হিন্দি ভার্সনের লিরিকগুলো লিখছেন সিনেমাটির সঙ্গীত পরিচালক আরাফাত মেহমুদ। বাংলা ভার্সনের লিরিকগুলোর দায়িত্বে ছিলেন সোমেশ্বর অলি, এসকে দ্বীপ এবং জাহিদ আকবর।
আরও পড়ুন: শেখ মণিকে নিয়ে টেলিছবি ‘বিন্দু থেকে বৃত্তে’
কাজলরেখা
জীবন ঘনিষ্ঠ এই চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য ও সংলাপ বিন্যাসের পাশাপাশি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছেন প্রখ্যাত নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম।
মুভির পটভূমিতে রয়েছে ময়মনসিংহের প্রাচীন পালাগানের সংকলন 'মৈমনসিংহ গীতিকা'। সে সময় মাত্র ৯ বছর বয়স হলেই সামাজিক প্রথা অনুসারে মেয়েদের বসতে হতো বিয়ের পীড়িতে। এমনি সমাজের মানুষ হয়েও নাটকীয়ভাবে নতুন দিকে মোড় নেয় কাজলরেখার জীবন। আর এভাবেই অগ্রসর হতে থাকে চলচ্চিত্রের কাহিনী।
এই ছবির মাধ্যমে প্রথমবারের মত জুটি বাধছেন শরিফুল রাজ ও মন্দিরা চক্রবর্তী। এছাড়া বিভিন্ন ভূমিকায় অভিনয় করবেন আজাদ আবুল কালাম, ইরেশ যাকের, রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা, খায়রুল বাশার, সাদিয়া আয়মান, ও ঝুনা চৌধুরী।
ছবিটিতে প্রায় ৪০টি গান রয়েছে যেগুলো পরিচালনা করেছেন জনপ্রিয় সুরকার ইমন চৌধুরী। এটি ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারি অনুদানে নির্মিত মুভিটি প্রেক্ষাগৃহে আসবে ২০২৪-এর ৯ ফেব্রুয়ারি।
আরও পড়ুন: সিনেমা ২০২৩: আলাচনায় শুধু ঈদের সিনেমা
অপারেশন জ্যাকপট
৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সফল গেরিলা অভিযানের নাম অপারেশন জ্যাকপট। আর এরই বীরত্বগাঁথা নিয়ে একই শিরোনামে চলচ্চিত্র নির্মিত হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অর্থায়নে। ২১ কোটি টাকা বাজেটের ছবিটি পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন ঢালিউড চলচ্চিত্র নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু এবং কলকাতার ‘পাগলু’ খ্যাত পরিচালক রাজিব কুমার।
তারকা বহুল ছবিটির প্রধান চরিত্রে থাকবেন অনন্ত জলিল। অন্যান গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে থাকবেন রিয়াজ আহমেদ, নিরব হোসেন, সাইমন সাদিক, আব্দুন নূর সজল, মামনুন হাসান ইমন, জিয়াউল রোশান এবং জয় চৌধুরী। নারী শিল্পীদের প্রায় সবাই ওপার বাংলার, যেখানে দেখা যাবে স্বস্তিকা ব্যানার্জি ও সায়ন্তিকা ব্যানার্জির মত অভিনেত্রীদের।
স্বপন চৌধুরী প্রযোজিত মুভিটি এখন পর্যন্ত ২০২৪-এর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি দেয়ার কথা চলছে।
আরও পড়ুন: ওটিটির পর্দায় ফ্রিতে ‘অন্তর্জাল’
সিনেমা ২০২৩: আলাচনায় শুধু ঈদের সিনেমা
ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খানিকটা হলেও বদলে গেছে। যদিও সেটি কেবলই ঈদকে কেন্দ্র করে। তবে ২০২৩ সালে এসে সিনেমার সংখ্যা বেড়েছে। সেই সংখ্যাটা প্রায় ৫০। কিন্তু ঈদ ছাড়া অন্য সময় যেসব সিনেমা মুক্তি পেয়েছে সেগুলো তেমন আলোচিত হয়নি বলা যায়। আর এটিই যেন ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় সংকট।
২০২৩ সালে অর্ধশত সিনেমা মুক্তি পেলেও ব্যবসায়িক সাফল্য ও আলোচনায় থাকা সিনেমার সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকটি। সেই তালিকায় রয়েছে ‘প্রিয়তমা’, ‘সুড়ঙ্গ’, ‘প্রহিলেকা’, ‘১৯৭১: সেই সব দিন’। তবে এর বাইরেও স্বল্প সময়ের জন্য আলোচনায় ছিল ‘এমআরনাইন’, ‘অন্তর্জাল’, ‘কিল হিম’, ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’সহ কয়েকটি সিনেমা।
এ বছর দেশের সিনেমার সঙ্গে আলোচনায় ছিল বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়া হিন্দি সিনেমাগুলো। আর এটি ছিল সিনেমা নিয়ে আলোচনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর আগেও এ দেশে হিন্দি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। তবে সমসাময়িক বা একইদিনে মুক্তির ঘটনা এবারই প্রথম। যার শুরু হয় শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ এর মধ্য দিয়ে। এরপরই বড় ধামাকা নিয়ে আসে ‘জাওয়ান’। পুরো বিশ্বের সঙ্গে একই দিনে মুক্তি দিয়ে নতুন ইতিহাস তৈরি হয় বাংলাদেশে।
হিন্দি সিনেমা নিয়ে শেষ আলোচনা ছিল ‘অ্যানিমেল’ ও ‘ডানকি’। সবগুলো সিনেমা মাল্টিপ্লেক্সে ব্যবসা করতে পারলেও সিঙ্গেল স্ক্রিনে তেমন সুবিধা করতে পারেনি।
এবার আসি ২০২৩ এ আলোচিত সিনেমাগুলো নিয়ে।সিনেমার সঙ্গে ব্যবসা যেহেতু দীর্ঘদিনের বাস্তবতা তাই একে এড়িয়ে চলার সুযোগ বিশ্বের কোনো ইন্ডাস্ট্রিরই নেই। সেই হিসাব কষে ২০২৩ এ সফলতা পেয়েছে ‘প্রিয়তমা’ ও ‘সুড়ঙ্গ’। শুধু দেশে নয় পশ্চিমা দেশগুলোতেও এ দুটি সিনেমার ব্যবসা আশানুরূপ।
‘প্রিয়তাম’ দিয়ে প্রথমবার বড়পর্দায় অভিষেক হলো নির্মাতা হিমেল আশরাফের। একসময় ছোটপর্দায় নিয়মিত নাটক বানালেও পরে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। মাঝে শাকিব খান যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন হিমেল আশরাফের সঙ্গে প্রায়ই ছবি দেখা যেত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেই যোগসূত্রে একসময় হিমেলের প্রথম সিনেমার নায়ক হলেন শাকিব। আর এটিই হয়তো নির্মাতার সফলতা।
কারণ ‘প্রিয়তমা’ সিনেমাটি যে কাঁচা হাতে বানানো কাজ সেটি সাধারণ দর্শকের কাছে সহজেও ধরা পড়ে। গল্পের প্লট অনেক বড় হলেও ঠিক যেন অভিজ্ঞতার কাছে পর্দায় গল্পের মালাটা ঠিকমতো গাঁথতে পারেননি এই পরিচালক। যদিও শাকিব খানের কারণে এই যাত্রায় উতরে গেছেন তিনি। ‘প্রিয়তমা’য় শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন কলকাতার অভিনেত্রী ইধিকা পাল।
তার অভিনয় আর মিষ্টি হাসি নজর কেড়েছে বাংলাদেশের দর্শকদের। আর গুঞ্জন চলছে বাংলাদেশের আরও একটি সিনেমায় দেখা যাবে তাকে।
অন্যদিকে ‘সুড়ঙ্গ’ দিয়ে প্রথমবার বড়পর্দায় এলেন আফরান নিশো। ‘পরান’ এরপর ‘সুড়ঙ্গ’ দিয়ে আবারও আলোচনা তৈরি করেন রায়হান রাফি। সিনেমাটি আলোচনার কারণ মূলত তারা দুজনই। এরসঙ্গে সিনেমাটির প্রচার কৌশল আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে ব্যবসার ক্ষেত্রে।
কারণ শাকিব খানের সিনেমার সঙ্গে সিনেমা মু্ক্তি দিয়ে ব্যবসা করা চারটিখানি কথা নয়। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত ঈদের সিনেমা মানে শাকিব খান। একই ঈদে একাধিক সিনেমা মুক্তি পেত তার। সেই অবস্থার পরিবর্তনটাও ইন্ডাস্ট্রির জন্য ইতিবাচক।
পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী আবারও বড়পর্দায় ফিরলেন ‘প্রহেলিকা’ নিয়ে। আর সঙ্গে অনেকদিন পর নিয়ে এলেন মাহফুজ আহমেদকে। দীর্ঘদিন পর্দার বাইরে থেকে বড়পর্দা দিয়ে এমন কামব্যাক তার ভক্তদের জন্য ছিল নতুন চমক। এখানে জুটি বাঁধেন শবনম বুবলির সঙ্গে। সিনেমাটি ব্যবসায়িক জায়গা থেকে খুব একটা সফলতার মুখ না দেখলেও ছিল প্রশংসিত।
ঈদ ছাড়া যদিও এখন সিনেমা হিট হয় না বলা চলে। এরমধ্যে ‘১৯৭১: সেই সব দিন’ ভিন্ন এক উদাহরণ তৈরি করেছে। তার ওপর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা। সারা বছর সিনেমা নিয়ে নানান আলোচনার ভিড়ে ‘১৯৭১: সেই সব দিন’ নিজ গুণেই এগিয়ে গেছে।
ইনামুল হকের উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মাণ করেছে হৃদি হক। আর এরমধ্য দিয়ে বড়পর্দায় পরিচালক হিসেবে অভিষেক হয় হৃদির। অভিনয়ে ছিলেন তারিন জাহান, ফেরদৌস আহমেদ, সজল নূর, লিটু আনাম, সানজিদা প্রীতি, হৃদি হক, মামুনুর রশীদ, আবুল হায়াত, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
ঢাকাই সিনেমা ইন্ডস্ট্রির বর্তমান অবস্থা নিয়ে সংশ্লিষ্ট অনেকে আশার কথা বললেও অনেকেই বলছে ব্যর্থতার কথা। কারণ একটি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি টিকে থাকতে বছরের বেশ কয়েকটি ব্যবসা সফল সিনেমার প্রয়োজন। তবে এমন অবস্থা সামনে তৈরি হয়ে যাবে বলেও আশা করা যাচ্ছে।
'প্যারাসাইট' অভিনেতা লি সান-কিউন মারা গেছেন
অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র 'প্যারাসাইটের' অভিনেতা লি সান-কিউন মারা গেছেন বলে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার জরুরি বিভাগ।
জরুরি বিভাগ বলেছে, বুধবার সিউলের একটি পার্কে গাড়িতে লিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
সিউলের একটি অজ্ঞাত স্থানে অচেতন অবস্থায় লিকে পাওয়া যায় বলে পুলিশ এর আগে জানায়।।
ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সিসহ দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বুধবার সুইসাইড নোটের অনুরূপ একটি বার্তা লিখে লি বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানোর পর পুলিশ তাকে খুঁজছে।
অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র 'প্যারাসাইটের' অভিনেতা লি সান-কিউনকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিনা কর্তনে চলছে ‘অ্যানিমেল’, আটকে আছে ‘কাঠগোলাপ’
পুলিশ কর্মকর্তারা বুধবার সিউলের একটি অজ্ঞাত স্থানে অচেতন লিকে খুঁজে পান এমনটা জানালেও বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
লি ‘প্যারাসাইট’ সিনেমায় তার ভূমিকার জন্য সর্বাধিক পরিচিত, যেখানে তিনি একটি ধনী পরিবারের প্রধানের চরিত্রে অভিনয় করেন। ২০২১ সালে তিনি সিনেমটিতে তার ভূমিকার জন্য স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরষ্কার পান।
গত বছর সাই-ফাই থ্রিলার 'ডক্টর ব্রেইনে' অভিনয়ের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক এমি অ্যাওয়ার্ডসে সেরা অভিনেতার জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।
তিনি জনপ্রিয় ড্রামা সিরিজ ‘কফি প্রিন্স (২০০৭)’ এ তার ভূমিকার জন্য সুপরিচিত হন এবং মেডিকেল ড্রামা ‘বিহাইন্ড দ্য হোয়াইট টাওয়ার’ এর মাধ্যমে মূলধারার জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এরপর অভিনয় করেন ‘পাস্তা (২০১০)’ ও ‘মাই মিস্টার (২০১৮)’ এ।
আরও পড়ুন: বিনা কর্তনে দেশের ৪৮ প্রেক্ষাগৃহে 'অ্যানিমেল'
ক্ষমা চাইতে হবে না, শুধু ইতিহাসটা জেনে নিন: এ আর রহমানের উদ্দেশে কবীর সুমন
শেখ মণিকে নিয়ে টেলিছবি ‘বিন্দু থেকে বৃত্তে’
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের পরিবারের অন্যতম সদস্য শেখ ফজলুল হক মণি। মুজিব বাহিনীর প্রধান, দৈনিক বাংলার বাণীর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে ঘাতকের বুলেটে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাকেও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
এবারই প্রথম শেখ ফজলুল হক মণিকে নিয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে ৫০ মিনিটের একটি টেলিছবি। এর নাম ‘বিন্দু থেকে বৃত্তে’। কবি ও গীতিকার সহিদ রাহমানের ‘মহামানবের দেশে’ উপন্যাস অবলম্বনে ও ফ্রেম ফ্যাক্টরির প্রযোজনায় নির্মিত এই টেলিছবির কাহিনি,গল্প ও চিত্রনাট্য করেছেন সহিদ রাহমান। এটি নির্মাণ করবেন শাহ নেওয়াজ রিপন।
শেখ ফজলুল হক মণির চরিত্রে অভিনয় করবেন অভিনেতা রওনক হাসান। আরও অভিনয় করবেন তানজিকা আমিন, ডলি জহুর, আরমান পারভেজ মুরাদ, পংকজ মজুমদার, নূর আলম নয়ন প্রমুখ। অচিরেই টেলিছবিটির শুটিং শুরু হবে। আগামী বছর একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে এটি প্রচার হবে বলে জানিয়েছে প্রযোজনা সংস্থা।
চায়ের রাজধানী মৌলভীবাজারে এবারের ‘ইত্যাদি’
আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও শিকড়ের সন্ধানে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইত্যাদি আয়োজনের ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে চায়ের রাজধানী হিসেবে পরিচিত অপূর্ব সুন্দর জেলা মৌলভীবাজারে।
মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে ১৮৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে অবস্থিত কুরমা চা বাগান আবৃত মাঠে।
ইত্যাদির ধারণ উপলক্ষে পুরো মৌলভীবাজার জেলায় ছিল উৎসবের আমেজ। অনুষ্ঠানস্থলকে ঘিরে বসে জমজমাট মেলা। বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে দোকানিরা। দূর থেকে দেখলে মনে হয় চা বাগানের মাঝখানে একখণ্ড জনসমুদ্র।
কমলগঞ্জে ধারণ হলেও দর্শকরা আসেন ৫০ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিভিন্ন উপজেলা থেকেও। স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতায় বিকাল ৩টা থেকেই আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় অনুষ্ঠানস্থল।
আমন্ত্রিত দর্শক ছাড়াও অনেক দর্শক আশেপাশের টিলা, রাস্তা ও লেকের পাড়ে দাঁড়িয়ে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ইত্যাদির শুটিং উপভোগ করেন; যা চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। তীব্র শীত উপেক্ষা করে এই দীর্ঘ সময়ে অবাক বিস্ময়ে উপভোগ করেছেন তাদের প্রিয় অনুষ্ঠানের ভিডিওচিত্র ধারণ।
এবারের অনুষ্ঠানে মৌলভীবাজারের সন্তান কণ্ঠশিল্পী সেলিম চৌধুরী ও সিলেটের সন্তান তসিবা আঞ্চলিক ভাষায় একটি ভিন্নরকম প্রেমের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। গানটির কথা লিখেছেন রামাচরণ, সুর করেছেন আকাশ মাহমুদ।
উল্লেখ্য তসিবার প্রথম টেলিভিশন যাত্রা শুরু হয়েছিল এই ইত্যাদির মাধ্যমেই। এছাড়াও মৌলভীবাজারকে নিয়ে মনিরুজ্জামান পলাশের কথায়, হানিফ সংকেতের সুরে এবং মেহেদির সংগীতায়োজনে একটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন মৌলভীবাজারেরই স্থানীয় শতাধিক নৃত্যশিল্পী।
নাচটির কোরিওগ্রাফি করেছেন খাজা সালাউদ্দিন ঝন্টু, কণ্ঠ দিয়েছেন পুলক, তানজিনা রুমা, মোমিন বিশ্বাস ও নোশিন তাবাসসুম স্মরণ।
আরও পড়ুন: ফের আরটিভিতে সিসিমপুর