বিনোদন
শেষ হলো জয়া আহসানের প্রথম বলিউড সিনেমার শুটিং
বাংলাদেশ ও কলকাতার গণ্ডি পেরিয়ে জয়া আহসান এখন বলিউডে পৌঁছে গেছেন। তার প্রথম হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র ‘করক সিং’-এর কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে।
চলচ্চিত্রটির পরিচালনা করেছেন অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী। এতে জয়া আহসানের সহশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন বলিউড তারকা পঙ্কজ ত্রিপাঠিসহ অনেকে।
গত বছরের ডিসেম্বরের শুরু হয় সিনেমাটির শুটিং। সম্প্রতি শেষ হয়েছে ‘করক সিং’-এর কাজ। এরপরই শুটিংয়ের কয়েকটি ছবি নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন জয়া আহসান।
ছবি শেয়ার করে জয়া আহসান লেখেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী বা যাকে আমরা টনি দা বলে ডাকি, তার নেতৃত্বে এমন অসাধারণ টিমে কাজ করতে পেরেছি। পঙ্কজ ত্রিপাঠি ও অন্য যারা আছেন, তাদের সঙ্গে কাজ করা আমার জন্য অনেক বড় অভিজ্ঞতা। এবং আমি কাজের প্রত্যেকটি মুহূর্ত ভালোবেসেছি।’
আরও পড়ুন: বলিউড সিনেমায় পঙ্কজ ত্রিপাঠীর বিপরীতে জয়া আহসান
ক্যারিয়ারের রোমাঞ্চকর একটি কাজ ‘বিউটি সার্কাস’: জয়া আহসান
সেরা অভিনেত্রী হিসেবে কলকাতায় সম্মাননা পেলেন জয়া আহসান
পর্দা উঠল ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) পর্দা উঠল ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এবারের উৎসব।
শনিবার বিকাল ৪টায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
আন্তর্জাতিক এই চলচ্চিত্র উৎসবের আট দিনে ১০ বিভাগে বিশ্বের ৭১টি দেশের ২৫২টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা লিট ফেস্টে শনিবার সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হবে ‘রিকশা গার্ল’
উৎসবের এবারের ভেন্যু হিসেবে থাকছে- বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মূল ও সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ও স্টার সিনেপ্লেক্স।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে প্রদর্শীত হয় ফাখরুল আরেফীন খান পরিচালিত ‘জেকে ১৯৭১’।
এছাড়া ১৫ জানুয়ারি বিকাল ৫টায় প্রিমিয়ার হবে আশিক মোস্তফা পরিচালিত ‘থার্টিফাইভ’।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে ইরানের সিনেমা-ভেরিটে চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়।
ঢাকা আন্তর্জাতিক উৎসবে বাংলাদেশ প্যানারোমায় বিভিন্ন দৈর্ঘের ৮২টি সিনেমা প্রদর্শিত হবে।
যেই তালিকায় রয়েছে- হাওয়া, বিউটি সার্কাস, দামাল, পাপপুণ্য, সাঁতাও ও দেশান্তরসহ বেশ কিছু আলোচিত সিনেমা।
এছাড়া বিভিন্ন বিভাগে প্রদর্শীত হবে- ‘ওরা ৭ জন’, প্রামাণ্যচিত্র ‘দুর্বার গতি পদ্মা’ কলকাতা থেকে ‘অপরাজিত’, ‘অভিযান’, ‘ব্যোমকেশ হত্যামঞ্চ’, ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’, ‘ঝরা পালক’, সাই পল্লবি অভিনীত ‘গার্গি’ ও ‘মহানন্দা’সহ আরও অনেক চলচ্চিত্র।
আরও পড়ুন: গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড ২০২৩: রেড কার্পেটে ঝড় তুললেন যারা
‘নাসেক নাসেক’ দিয়ে শেষ হলো দশম ঢাকা লিট ফেস্ট
গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড ২০২৩: রেড কার্পেটে ঝড় তুললেন যারা
লস অ্যাঞ্জেলসের বেভারলি হিলটনে বসেছিল এবারের গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড এর আসর। যেখানে বিশ্বের নামীদামী তারকারা এ পুরস্কারের ৮০তম সংস্করণে অংশ নিতে জড়ো হয়েছিলেন।
স্টুডিও ও সেলিব্রিটিদের বয়কটের কারণে এক বছর বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠান তার চিরাচরিত স্টাইলে উদযাপিত হয়।
এ অনুষ্ঠানটি শুধুমাত্র আগামী অস্কার কে জিতবে সেজন্যই নয়, বছরের ফ্যাশন ট্রেন্ড নির্ধারণেও ভূমিকা রাখে।
সেলেনা গোমেজের নাটকীয় ভ্যালেন্টিনো গাউন থেকে শুরু করে জ্যামি লি কার্টিসের স্ট্র্যাপলেস জাম্পসুট, রিহানার কাস্টম কালো মখমল শিয়াপারেলি ক্যুচার গাউন, লিজা কোশি ও অভিনেতা পেইজ বুচারের লেসের পোশাক, ল্যাভার্ন কক্স এর ভিনটেজ জন গ্যালিয়ানো গাউন, জুলিয়া গার্নার হালকা গোলাপী রঙের পোশাক, লিলি জেমস ও মনিকা বারবারোর লাল গাউন সকলের নজর কাড়ে।
এছাড়াও এডি রেডমায়ের টাক্সেডোতে লাগানো বিশাল সিল্ক ফুল থেকে শুরু করে ব্যারি কেওগানের পাউডার ব্লু লুই ভিটন স্যুট এবং রিস ফেল্ডম্যানের প্লিটেড স্কার্ট ও জোশ রিচার্ডস এর পিনস্ট্রাইপ স্যুট নিয়েও কম আলোচনা হয়নি।
তবে খ্রিস্টান সিরিয়ানো টাক্সেডো গাউনে সন্ধ্যার অন্যতম আর্কষণে পরিণত হন বিলি পোর্টার।
এবারের গোল্ডেন গ্লোব সন্ধ্যার সেরা রেড কার্পেট লুক হলো-
শুরু হলো ইশরাত নিশাত নাট্য পুরস্কার
দ্রোহকন্যা খ্যাত মঞ্চ নাটকের অন্তপ্রাণ ইশরাত নিশাত। ২০২০ সালে তার হঠাৎ চলে যাওয়া নাট্যঙ্গনে বিষাদ বয়ে আনে। তার স্মরণে এবছর থেকে শুরু হলো নাট্য পুরস্কার।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ইশরাত নিশাত নাট্য পুরস্কার-২০২২ এর জন্য নমিনেশন ঘোষণা করা হয়েছে। থিয়েটারের আটটি শাখায় প্রতিবছর এই পুরস্কার দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই নাট্য পুরস্কার প্রবর্তনে দেশের বরেণ্য নাট্যব্যক্তিত্ব ও গুণীজনদের নিয়ে একটি জাতীয় কমিটি এবং একটি নিরপেক্ষ বোর্ড গঠিত হয়েছে। যারা পুরস্কারের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জুরি বোর্ড ইতোমধ্যেই ২০২১ ও ২০২২ সালে মঞ্চায়িত নতুন ১৭টি নাটক দেখে মূল্যায়ন সম্পন্ন করেছেন।
আগামী ১৯ জানুয়ারি পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
সংবাদ সম্মেলনে ইশরাত নিশাত নাট্য পুরস্কার বাস্তবায়ন-২০২২ এর সমন্বয়ক সেলিনা শেলী বলেন, ‘এই পুরস্কারের উদ্দেশ্য দেশের মঞ্চে নতুন নতুন নাটককে অনুপ্রাণিত করা। এই পুরস্কারের প্রতিটি আর্থিক সম্মাননার পরিমাণ সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা।’
আরও পড়ুন: ২৭ বিভাগে ৩৪ জন পাচ্ছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
দেশের প্রথিতযশা নাট্যকার মাসুম রেজা বলেন, ‘আমরা যারা থিয়েটার করি, তাদের সমগ্র জীবনের থিয়েটার কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ অনেক ধরনের পদক চালু আছে। কিন্তু প্রতিবছর কাজের শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি হিসেবে কোনো পুরস্কার নেই। এই পুরস্কার একটা নবদিগন্তের সূচনা। পুরস্কারটা সরকারিভাবেও দেয়া যেতে পারে। এতে দেশের থিয়েটার অঙ্গণ আরও প্রাণবন্ত হবে। নতুন উদ্যোমে কাজ করতে পারবেন তরুণ নাট্যকর্মীরা।’
এই পুরস্কার প্রবর্তন দেশ নাটকের উদ্যোগ হলেও দেশের বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্বদের সমন্বয়ে ইশরাত নিশাত নাট্য পুরস্কার বাস্তবায়ন কমিটি ও জুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারপারসন ফেরদৌসী মজুমদার, কো-চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন ইউসুফ, সদস্য রামেন্দ মজুমদার, আতাউর রহমান, আসাদুজ্জামান নূর, ম. হামিদ, মামুনুর রশীদ, সারা যাকের, লাকী ইনাম, লিয়াকত আলী লাকী, গোলাম কুদ্দুস, তারিক আনাম খান, রোকেয়া রফিক বেবী, কামাল বায়েজীদ, মাসুম রেজা ও কামাল আহমেদ।
অন্যদিকে পুরস্কারের জুরিবোর্ড প্রধান প্রফেসর আবদুস সেলিম, সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক ওয়াহিদা মল্লিক জলি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক ড. কামালউদ্দিন কবির, ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউটে সাধারণ সম্পাদক দেবপ্রসাদ দেবনাথ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. ইউসুফ হাসান অর্ক, বটতলা থিয়েটার স্পেসের মোহাম্মদ আলী হায়দার ও শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা বিভাগের সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর ড. আইরিন পারভীন লোপা।
এ বছর শ্রেষ্ঠ নাট্যকার হিসেবে নমিনেশন পেয়েছেন পুণ্যাহ নাটকের রচয়িতা বদরুজ্জামান আলমগীর, পারাপার নাটকের রচয়িতা মাসুম রেজা এবং রাইজ এন্ড সাইনের রচয়িতা আবদুস সেলিম।
আরও পড়ুন: টেলিভিশন শিল্পীদের জন্য জাতীয় পুরস্কারের কথা ভাবা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
শ্রেষ্ঠ অভিনেতার হিসেবে নমিনেশন পেয়েছেন প্রশান্ত হালদার (রায়মঙ্গল), খালিদ হাসান রুমি (মাংকি ট্রায়াল) ও সুকর্ণ হাসান (রাজদ্রোহী)। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী-সঙ্গীতা চৌধুরী (পুণ্যাহ), মনামী ইসলাম কনক (পুণ্যাহ) ও কাজী রোকসানা রুমা (রাইজ এন্ড সাইন)।
শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিকল্পনা জন্য নমিনেশন পেয়েছেন- শিশির রহমান ও অন্যান্য (মলুয়া), সেলিম মাহবুব (মাধব মালঞ্চি) ও ইউসুফ হাসান অর্ক (পুণ্যাহ)।
শ্রেষ্ঠ আলোক পরিকল্পনার জন্য নমিনেশন পেয়েছেন-অম্লান বিশ্বাস (পুণ্যাহ) ও (রায়মঙ্গল) এবং মোহাম্মদ আলী হায়দার (রাইজ এন্ড সাইন)।
শ্রেষ্ঠ নির্দেশক হিসেবে নমিনেশন পেয়েছেন- মুক্তনীল (মাংকি ট্রায়াল), ইউসুফ হাসান অর্ক (পুণ্যাহ) ও ফাহিম মালিক ইভান (পারাপার)।
শ্রেষ্ঠ মঞ্চ পরিকল্পনাকারীর তালিকায় রয়েছেন- ফজলে রাব্বি সুকর্ণ (সে এক), ইউসুফ হাসান অর্ক (পুণ্যাহ) ও মুজিবুল হক (মলুয়া)।
প্রসঙ্গত, মঞ্চের মানুষ ইশরাত নিশাত বাচিক শিল্পী হিসেবেও দর্শক নন্দিত ছিলেন।
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সুদূর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও পার্শ্ববর্তী ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নাট্যপ্রেমীদের আমন্ত্রণেও নিশাত কাজ করেছিলেন। থিয়েটারের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা একটা জীবন ইশরাত নিশাত।
আরও পড়ুন: সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন ফরাসি লেখিকা অ্যানি আর্নাক্স
‘নাসেক নাসেক’ দিয়ে শেষ হলো দশম ঢাকা লিট ফেস্ট
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় লেখক, চলচ্চিত্র নির্মাতা, গায়ক এবং শিল্পীদের বিস্তৃত পরিসর নিয়ে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ঢাকা লিট ফেস্ট-্এর দশম আসর রবিবার বাংলা একাডেমিতে শেষ হয়েছে। বাংলাদেশি সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং শিল্পকলার প্রচারে এটি উৎসর্গিত।
কোক স্টুডিও বাংলার শিল্পী অ্যানিমেস রায়, ঋতু রাজ, পান্থ কানাই, বগা তালেব, মমোতাজ, রুবায়ত রেহমান এবং কোক স্টুডিওর অন্যান্য শিল্পীদের পরিবেশনায় একটি মুগ্ধকর সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উৎসবটি শেষ হয়। বাংলাদেশে কোক স্টুডিওর প্রথম ট্র্যাক ‘নাসেক নাসেক’-এর সঙ্গে, সাহিত্য উৎসবের ১০তম আসর বিদায় নিল।
এর আগে আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ (একেএসবি) মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিক সমাপনী হয়েছিল, যা নারীমুক্তি নিয়ে যাত্রিকের ‘নারী উত্থান’ নামক একটি গতিশীল নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: এপিসোডস অব হার গেজ: ঢাকা লিট ফেস্টে মাকসুদা ইকবাল নিপার প্রাণবন্ত চিত্রকর্মের মোড়ক উন্মোচন
আধুনিক নৃত্যের পরিবেশনার মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশে নারীদের বিরুদ্ধে প্রতিকূলতা চিত্রিত করা হয়েছিল এবং নায়লা আজাদ নূপুরের কোরিওগ্রাফি প্রদর্শন করেন ডিএলএফ পরিচালক-প্রযোজক সাদাফ সাজ এবং নূপুর নিজেই।
আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার বিজয়ী ভারতীয় লেখক গীতাঞ্জলি শ্রী, বিশিষ্ট সোমালিয়ান ঔপন্যাসিক নুরুদ্দিন ফারাহ, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাশরুর আরেফিন এবং ঢাকা লিট ফেস্টের পরিচালক ও প্রযোজক সাদাফ সাজ সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। সকলকে অভিবাদন জানান এবং প্রত্যেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ডিএলএফ সাহিত্যের একটি বৈশ্বিক উদযাপনে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে গীতাঞ্জলি শ্রী বলেন, ‘আমার জন্য পাঁচটি আশ্চর্যজনক দিন কেটেছে এবং এটি একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা। আমি এখানে বিদেশি বলে মনে করি না, এবং ঢাকা লিট ফেস্ট শুধু নয়। আমাদের চারপাশে আরও একটি উৎসব ছড়িয়ে পড়ে।’
নুরুদ্দিন ফারাহ বলেন, ‘আমার আবাসভূমি কেপটাউনে যখন আমি ফিরে যাব, তখন আমার বন্ধুরা আমাকে জিজ্ঞেস করবে কেমন ছিল এবং এটি বিশ্বের অন্যান্য উৎসব থেকে আলাদা কিনা? আমি সারা বিশ্বের অনেক উৎসবে অংশ নিয়েছি, এবং আমি ঢাকা লিট ফেস্ট আয়োজকদের এবং এখানকার লোকজনের কাছ থেকে কীভাবে আমি প্রচুর উষ্ণতা অনুভব করেছি সে সম্পর্কে আমার বন্ধুদের বলব।’
আরও পড়ুন: ঢাকা লিট ফেস্টে শনিবার সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হবে ‘রিকশা গার্ল’
লেখক এবং সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক-সিইও মাশরুর আরেফিন বলেন, ‘আমি একজন সিরিয়াস লেখক, এবং যখন বিদেশি লেখকরা আমাদের সঙ্গে দেখা করে এবং আমাদের লেখকদের সঙ্গে আদান-প্রদান করে তখন আমি তার প্রশংসা করি।
অনেকেই এই বছরের ডিএলএফ-এ টিকিট প্রবর্তনের ধারণাটিকে অপছন্দ করে বলেছেন যে এটি অভিজাতদের জন্য একটি উৎসব হয়ে উঠেছে। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই ভিড় এই ধারণা বদলে দিয়েছে।’
সিটি ব্যাংক এই ইভেন্টের প্লাটিনাম স্পন্সর ছিল। আরেফিন বলেন যে ফেস্টটি সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটি টাইটেল স্পন্সর হবে। ভবিষ্যতে সম্ভব হলে একটি অনুবাদ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্যও ব্যাংক স্পনসর করবে।
সমাপনী বক্তব্যে ডিএলএফ পরিচালক-প্রযোজক সাদাফ সাজ শ্রোতা এবং পৃষ্ঠপোষকদের তাদের ওপর বিশ্বাস করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমরা সাহিত্য, বিজ্ঞান এবং জ্ঞানের প্রতি ভালবাসা দেখে খুশি এবং আমরা যখন সত্যই বিশ্বাস করি তখন আমরা বিতর্কে ভীত নই। আমরা এই উৎসবকে টেকসই করতে চেয়েছিলাম, আমরা বিস্ময়কর শিল্পী-সাহিত্যিক ও সৃজনশীল ব্যক্তিত্বদের মূল্য দিতে চেয়েছিলাম-এবং ঢাকা, প্রমাণ করেছে যে আমরা সঠিক।
৫-৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৭০ টিরও বেশি সেশন, ঢাকা লিট ফেস্ট-এর ১০তম সংস্করণে প্রায় ৫০০ লেখক, কবি, অভিনয়শিল্পী, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, ক্রীড়াবিদ, সমাজকর্মী এবং বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে তথ্যপূর্ণ এবং আকর্ষক কথোপকথন এবং একাডেমি পুরস্কারের বিজয়ীরা, পুলিৎজার, ইন্টারন্যাশনাল বুকার, নিউস্ট্যাড ইন্টারন্যাশনাল এবং পেন/পিন্টার পুরস্কার, প্রিক্স মেডিসিস, উইন্ডহাম-ক্যাম্পবেল পুরস্কার, অ্যালবার্ট মেডেল, ওয়াটারস্টোনস চিলড্রেনস বুক পুরস্কার এবং আগা খান পুরস্কার সহ সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যযুক্ত অংশগুলো প্রদর্শন করে।
আরও পড়ুন: দশম ঢাকা লিট ফেস্টের পর্দা উঠল
ঢাকা লিট ফেস্টে শনিবার সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হবে ‘রিকশা গার্ল’
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৫ জানুয়ারি শুরু হয়েছে ঢাকা লিট ফেস্ট। এবারের আয়োজনে সাহিত্য, বিজ্ঞান, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ছাড়াও থাকছে চলচ্চিত্র, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, ওয়েব শো ও প্রামাণ্যচিত্রের প্রদর্শনী। এর অংশ হিসেবে শনিবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে প্রদর্শিত হবে ‘রিকশা গার্ল’।
আরও পড়ুন: চরিত্রটি আমি আড়াই বছর বহন করেছি: ‘গুটি’-তে অভিনয় প্রসঙ্গে বাঁধন
অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত সিনেমাটি এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। তবে এবারই প্রথম বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য দেখানো হবে ‘রিকশা গার্ল’। আর দেশের প্রেক্ষাগৃহেও শিগগিরই সিনেমাটি মুক্তি পাবে বলেও ইউএনবিকে জানান অমিতাভ রেজা চৌধুরী।
‘রিকশা গার্ল’ নির্মিত হয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের লেখক মিতালি পারকিন্সের কিশোর সাহিত্য অবলম্বনে। নাইমা নামের এক কিশোরীর জীবনযুদ্ধ ঘিরে আবর্তিত হয়েছে এ ছবির গল্প।
শিল্পী নভেরা রহমান সিনেমাটিতে নাইমা চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আরও অভিনয় করেছেন চম্পা, মোমেনা চৌধুরী, নরেশ ভূঁইয়া, অ্যালেন শুভ্র প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ২৭ বিভাগে ৩৪ জন পাচ্ছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
২৭ বিভাগে ৩৪ জন পাচ্ছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
বড়পর্দার তারকাদের জন্য কাজের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০২১ সালের সেই তালিকা এরইমধ্যে প্রকাশ পেল। এবারের আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন অভিনেত্রী ডলি জহুর, যৌথভাবে এই তালিকায় রয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
প্রতি বছর ২৮টি ক্যাটাগরিতে দেয়া হয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তবে এ বছর ‘শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক’ ক্যাটাগরিতে কোনো প্রার্থী যোগ্য বিবেচিত না হওয়ায় ২৭ ক্যাটাগরিতে ৩৪টি পুরস্কার দেয়া হবে বলে জানানো হয়।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য ২০২১ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত ২১টি পূর্ণদৈর্ঘ্য, ১৭টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও ৭টি প্রামাণ্য চলচ্চিত্রসহ মোট ৪৫টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল। যার মধ্য থেকে জয়ীদের নির্বাচিত করা হয়।
এবারের তালিকায় শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে যৌথভাবে পুরস্কার পাচ্ছেন- সিয়াম আহমেদ (মৃধা বনাম মৃধা) ও মীর সাব্বির মাহমুদ (রাতজাগা ফুল)।
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে যৌথভাবে- আজমেরী হক বাঁধন (রেহানা মরিয়ম নূর) ও তাসনোভা তামান্না (নোনাজলের কাব্য) পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: দশম ঢাকা লিট ফেস্টেরে পর্দা উঠল
এবার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র যৌথভাবে- মাতিয়া বানু শুকু (লাল মোরগের ঝুঁটি) ও রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য)।
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক-রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে-এম ফজলুর রহমান বাবু (নোনাজলের কাব্য), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে- শম্পা রেজা (পদ্মপুরাণ), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা খল চরিত্রে- মো. আবদুল মান্নান জয়রাজ (লাল মোরগের ঝুঁটি)।
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা কৌতুক চরিত্রে- প্রভাষ কুমার ভট্টাচার্য্য মিলন (মৃধা বনাম মৃধা), শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী- আফিয়া তাবাসসুম (রেহানা মরিয়ম নূর), শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার- জান্নাতুল মাওয়া ঝিলিক (যা হারিয়ে যায়)।
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক- সুজেয় শ্যাম (যৈবতী কন্যার মন), শ্রেষ্ঠ গায়ক- কে এম আবদুল্লাহ-আল-মুর্তজা মুহিন (শোনাতে এসেছি আজ-পদ্মপুরাণ), শ্রেষ্ঠ গায়িকা- চন্দনা মজুমদার (দেখলে ছবি পাগল হবি-পদ্মপুরাণ), শ্রেষ্ঠ গীতিকার- প্রয়াত গাজী মাজহারুল আনোয়ার (অন্তরে অন্তর জ্বালা-যৈবতী কন্যার মন), শ্রেষ্ঠ সুরকার-সুজেয় শ্যাম (অন্তরে অন্তর জ্বালা-যৈবতী কন্যার মন)।
শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার-রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য), শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার- নূরুল আলম আতিক (লাল মোরগের ঝুঁটি), শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা- তৌকীর আহমেদ (স্ফুলিঙ্গ)।
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক-সামির আহমেদ (লাল মোরগের ঝুঁটি), শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক-শিহাব নূরুন নবী (নোনাজলের কাব্য), শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক দলগত-সৈয়দ কাশেফ শাহবাজি, সুমন কুমার সরকার, মাজহারুল ইসলাম রাজু (লাল মোরগের ঝুঁটি), শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক- শৈব তালুকদার (রেহানা মরিয়ম নূর), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা- ইদিলা কাছরিন ফরিদ (নোনাজলের কাব্য)। শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান দলগত-মো. ফারুখ, মো. ফরহাদ রেজা মিলন (লাল মোরগের ঝুঁটি)।
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র-আকা রেজা গালিব (ধর), শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রকার- কাওসার চৌধুরী (বধ্যভূমিতে একদিন)।
আরও পড়ুন: বছর শেষে শহর মাতালো ৩২ ব্যান্ড
‘সেরা রাঁধুনী ১৪২৯’ উপস্থাপনায় শ্রাবণ্য
চরিত্রটি আমি আড়াই বছর বহন করেছি: ‘গুটি’-তে অভিনয় প্রসঙ্গে বাঁধন
ঘোষণার পর থেকে আলোচনায় রয়েছে অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘গুটি’। ৫ জানুয়ারি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘চরকি’তে মুক্তি পায় শঙ্খ দাশগুপ্ত পরিচালিত এই সিরিজ।
ওয়েব সিরিজটি প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, ‘আমি নারী প্রধান চরিত্রে কাজ করতে চাই। কিন্তু তেমন কাজ নিয়ে খুব একটা কেউ আসছিলেন না। পরবর্তীতে আমি সুলতানা চরিত্রটি পাই। চরিত্রটি আমি আড়াই বছর বহন করেছি। কাজটি আমার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জের ছিল।’
বাঁধন আরও বলেন, ‘ভেবেই আনন্দ লাগছে আমাদের এতোদিনের কষ্ট এখন সবাই দেখবে। আমরা সবাই মিলে অনেক কষ্ট করে কাজটা করেছি। আপনারা সিরিজটা দেখেন তারপর অবশ্যই আমাদের জানাবেন কেমন লেগেছে।’
আরও পড়ুন: নেটফ্লিক্সের পর্দায় বলিউডে বাঁধনের প্রথম ঝলক
‘গুটি’ ওয়েব সিরিজে আরও অভিনয় করেছেন শাহরিয়ার নাজিম জয়, শরীফ সিরাজ, মৌসুমী হামিদ, নাসির উদ্দিন খান, আরিয়া আরিত্রা, টুনটুনি সোবহান, আরফান মৃধা শিবলু, মাহমুদুল আলমসহ আরও অনেকে।
বাঁধন ‘গুটি’তে সুলতানা নামের একজন মাদক পাচারকারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সুলতানা কয়েকবছর ধরে স্থানীয় মাদক চোরাচালানকারী নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত। এই সময়ের মধ্যে সে প্রচুর অর্থ ও সম্পদ করেছে কিন্তু বিনিময়ে হারাতে হয়েছে কাছের মানুষ, সম্পর্ক, বিশ্বাস ও আশা।
এই কাজে পালানোর কোনো পথ নেই। তবে সুলতানা তার মেয়ের জন্য সুন্দর এক পৃথিবীর স্বপ্ন দেখে। টান টান উত্তেজনা নিয়ে চলতে থাকে পুরোটা সিরিজ।
আরও পড়ুন: বড় পর্দায় তাহসান-বাঁধন জুটির ‘অ্যা ব্লেসড ম্যান’
‘রেহানা মরিয়ম নূর’: এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড পেলেন সাদ ও বাঁধন
দশম ঢাকা লিট ফেস্টের পর্দা উঠল
বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারির কারণে তিন বছর বিরতির পর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো দশম ঢাকা লিট ফেস্ট।
প্রায় ৫০০ লেখক, কবি, অভিনয়শিল্পী, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত পুরস্কার বিজয়ী বক্তাদের অংশগ্রহণে বিশ্বসাহিত্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট হিসেবে ২০২৩ সালের চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ১৭০টি সেশন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ (একেএসবি) মিলনায়তনে নোবেলজয়ী সাহিত্যিক আবদুলরাজ্জাক গুরনাহ এবং ভারতীয় লেখক-সাহিত্যিক সমালোচক অমিতাভ ঘোষের সঙ্গে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএলএফ ডিরেক্টর সাদাফ সাজ সিদ্দিকী, কাজী আনিস আহমেদ এবং আহসান আকবর।
কেএম খালিদ বলেন, ‘মহামারির কারণে দীর্ঘ বিরতির পর অবশেষে বিশিষ্ট বিশ্ব সাহিত্যিকদের উপস্থিতিতে ঢাকা লিট ফেস্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবরের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে গর্বিত। আমি অনুষ্ঠানটির সফলতা কামনা করছি।’
ভারতীয় লেখক ও সাহিত্য সমালোচক অমিতাভ ঘোষ বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ সম্পর্কে গল্প শুনে বড় হয়েছি কারণ আমার দাদী মাদারীপুর জেলার ছিলেন এবং সারাজীবন তার মাদারীপুরি উচ্চারণ ছিল। এই বিস্ময়কর উপভাষা, এই চমৎকার ভাষাটি শুনে বড় হওয়া আমার জন্য আশ্চর্যজনক ছিল। যাইহোক, আমি ভারতে থাকার কারণে বাংলাদেশ আমার জীবনে এক ধরনের অনুপস্থিতি ছিল এবং আমি মনে করি শুধুমাত্র আমাদের মধ্যে যারা সেই বিচ্ছেদের অভিজ্ঞতা আছে তারাই বুঝতে পারবে এই অনুপস্থিতির অর্থ কী।’
আরও পড়ুন: কে-পপ আইডল ভি’র জন্মদিন: ঢাকা থেকে নিউইয়র্কের আর্মিরা কিভাবে তার জন্মদিন উদযাপন করছে
নোবেল বিজয়ী লেখক আবদুলরাজ্জাক গুরনাহ বলেছেন, ‘অমিতাভ ঘোষের পাশে আমি কীভাবে এখানে শুরু করেছি এবং কীভাবে আমি এখানে এসেছি সেই গল্প বলতে পারি না। কারণ, আমার জন্য ঢাকা এবং বাংলাদেশে এই প্রথম আসা। প্রকৃতপক্ষে, এই উপমহাদেশের পুরো দিকটি।’
তিনি বলেন, ‘আমি সব ধরণের প্রকাশের আশা করছি, এমন ঘটনা ঘটবে যা আমি আগে দেখিনি। এবং আমি এর আগে পারফরম্যান্স থেকে কিছুটা স্বাদ পেয়েছি, নাচ-খুব সুন্দর নাচ-সুন্দর পোশাক, সঙ্গীত এবং তারপরে ড্রামারদের সেই অবিশ্বাস্যভাবে উদ্যমী পারফরম্যান্স।’
এর আগে সকালে বাংলা একাডেমির লনে আধ্যাত্মিক সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে অনুষ্ঠানটি তিন বছরের জন্য স্থগিত ছিল।সবশেষ ২০১৯ সাল নবম ডিলএফ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আয়োজকরা বলছেন, দুই নোবেল পুরস্কার বিজয়ী লেখক- ওরহান পামুক ও আবদুলরাজ্জাকসহ পাঁচটি মহাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।
ইভেন্ট পুলিৎজার, ইন্টারন্যাশনাল বুকার, নিউস্ট্যাড ইন্টারন্যাশনাল, পেন/পিন্টার, প্রিক্স মেডিসিস, একাডেমি অ্যাওয়ার্ড, উইন্ডহাম-ক্যাম্পবেল পুরস্কার, অ্যালবার্ট মেডেল, ওয়াটারস্টোনস চিলড্রেনস বুক প্রাইজ এবং আগা খান অ্যাওয়ার্ড-এ বিজয়ীদের উপস্থিত করা হবে।
এই ইভেন্টে কথোপকথন, সংলাপ, চলচ্চিত্র প্রদর্শন, শিল্প প্রদর্শনী, সঙ্গীত, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আরও অনেক কিছু রয়েছে।
আয়োজকদের মতে, শুধুমাত্র ১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য প্রবেশের কোনও টিকিট লাগবে না।
দর্শকরা ইভেন্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের নাম, বয়স, লিঙ্গ, পেশা, মোবাইল নম্বর এবং ইমেল প্রবেশ করে তাদের নিবন্ধন সম্পূর্ণ করতে পারে। সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে প্রবেশ করার পরে, তারা তাদের টিকিটের বিভাগ নির্বাচন করতে পারে।
আরও পড়ুন: বছর শেষে শহর মাতালো ৩২ ব্যান্ড
‘সেরা রাঁধুনী ১৪২৯’ উপস্থাপনায় শ্রাবণ্য
নিজেদের জন্য আমরা আর এক হবো না: শরিফুল রাজ
গত বছরের শেষে বিয়ে বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনায় ছিলেন শরিফুল রাজ ও পরীমণি।
ঘটনার সূত্রপাত পরীর এক ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে। সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েন এই তারকা দম্পতি।
তবে সম্প্রতি নায়িকা শিরীন শিলা ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে জানান রাজ-পরী একসঙ্গেই আছে।
আরও পড়ুন: পরীমণির বিছানা ও বালিশে রক্তের দাগ
রাজ ও পরীকে অভিনন্দন জানিয়ে লেখেন, ‘যারা পরীমণির সংসারে ভাঙন দেখে খুশি হয়েছিলেন তারা বিষ খেয়ে মরে যাও। কারণ যারা মানুষের সুখ দেখতে পারে না তাদের বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। পরী-রাজ, রাজ্যের জয় হোক।’
তবে শিরীন শিলার এই তথ্যকে ভুল বলে গণমাধ্যমে দাবি করলেন রাজ ও পরীমণি দু’জনই।
রাজ বলেন, ‘বিষয়টি গতকাল থেকে দেখছি। তথ্যটি পুরো ভুল। নিজেদের জন্য আমরা আর এক হবো না।’
আরও পড়ুন: রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম: পরীমণি
শ্লীলতাহানির মামলায় ৩ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন পরীমণি