বিনোদন
ওয়েব সিরিজ-২০২২: কনটেন্টের ‘নায়ক’ নির্মাতা
ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয়তা আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে গেছে ২০২২ সালে।
করোনাকালীন এই মাধ্যমের চাহিদা বিশ্বব্যাপী যেভাবে ছড়িয়ে গেছে সেই যাত্রায় কাঁধ মিলিয়েছিল বাংলাদেশের কনটেন্টও।
এর সঙ্গে এদেশেও ওটিটি প্ল্যাটফর্মের বাজারের পরিধি আরও প্রসারিত শুরু করল।
২০২০-২০২১ সালে ওয়েব সিরিজ নির্মাণের যেই মোড় ঘুরতে শুরু করেছিল তা আরও পরিণত হয়েছে ২০২২ সালে। এই সালে এমন কয়েকটি ওয়েব সিরিজ তাক লাগিয়েছে যেগুলোর নির্মাতারা এর আগের বছরগুলোতেও নিজেদের মুন্সিয়ানার প্রমাণ দিয়েছেন।
আর সেই হাল তারা ধরে রেখেছেন।
এই সূত্র ধরেই আজকের লেখায় জানাব ২০২২ সালে সবচেয়ে আলোচিত ওয়েব সিরিজগুলো নিয়ে।
আরও পড়ুন: 'কাবিলা' খ্যাত পলাশের ব্যাচেলর জীবনের সমাপ্তি
‘শাটিকাপ’:
রাজশাহীতে বসে ৮ পর্বের ওয়েব সিরিজ
এ দেশে ফিকশনের বাজার মূলত ঢাকাকে ঘিরে। রাজশাহীতে বসে একদল তরুণ একটি সিরিজ বানিয়ে কাঁপিয়ে দেবে, সেটি হয়তো ভাবাই যায় না। কিন্তু এই ফর্মুলা থেকে বের হয় ওটিটি যাত্রার শুরুতে আট পর্বের ওয়েব সিরিজ ‘শাটিকাপ’ দিয়ে এক বাজি ধরে ‘চরকি’। সিরিজটির অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলী সবাই রাজশাহীর স্থানীয়।
সেই সঙ্গে গল্পের প্রেক্ষাপট, ভাষা, দৃশ্যধারণ সবই হয়েছে রাজশাহীতেই।
আর এটি নির্মাণ করেছেন রাজশাহীর ছেলে তরুণ নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম।
নির্মাতার মতোই পরিচিতির বাইরে রয়েছেন ‘শাটিকাপ’-এ অভিনয় করা সকলে।
প্রায় ১৩৭ জন অভিনয়শিল্পী দেখা গেছে এই সিরিজে।
আশফাক নিপুণ বললেন ‘সাবরিনা’র গল্প
২০২১ সালে ‘হইচই’ প্ল্যাটফর্মে ‘মহানগর’ দিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন আশফাক নিপুণ। দর্শকের তাই অপেক্ষা ছিল এ বছর ‘মহানগর ২’ নিয়ে হাজির হবেন এই নির্মাতা।
কিন্তু সেই আশায় শেষ পর্যন্ত জল পড়ল।
তাই বলে কিন্তু একদম নিরাশ করেননি নিপুণ। ওয়েব সিরিজ ‘সাবরিনা’ দিয়ে আবারও আলোচনায় আসেন তিনি।
যার মধ্য দিয়ে ওয়েব সিরিজে অভিষেক হয় মেহজাবিন চৌধুরীর।
টেলিভিশন নাটকের মতো ওয়েব সিরিজেও অভিনয়ের মুন্সিয়ানার প্রমাণ দিয়েছেন মেহজাবিন। আর আশফাক নিপুণ যেন আরও পরিণত হচ্ছেন তার গল্প বলার ভঙ্গিতে।
‘সিন্ডিকেট’:
ক্রাইম থ্রিলার দিয়ে ভিন্ন এক প্রেম দেখালেন শিহাব শাহীন
টেলিভিশনে হিট পরিচালকদের একজন শিহাব শাহীন। মূলত তার রোমান্টিক ঘরানার গল্প দর্শকদের কাছে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ওয়েব সিরিজেও তিনি প্রেম দেখালেন।
কিন্তু সেটি ক্রাইম থ্রিলারের মধ্য দিয়ে।
‘চরকি’তে এ বছর মুক্তি পায় ওয়েব সিরিজ ‘সিন্ডিকেট’। যেখানে দেখা যায়, এক ব্যাংকের ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে নিহত হয় ব্যাংক কর্মকর্তা জিশা। শুরুতে একে আত্মহত্যা ধরা হলেও জিশার প্রেমিক ও সহকর্মী আদনানের ধারণা খুন করা হয়েছে তার প্রেমিকাকে।
আরও পড়ুন: ওটা সত্যি অভিনয় ছিল না, ছিল মায়ের জন্য আবেগ: ‘কারাগার-২’ প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী
এই সিরিজের মাধ্যমে প্রথমবার একসঙ্গে দেখা যায় আফরান নিশো, তুষি ও ফারিণকে।
ওটিটিতে এ বছর দ্যুতি ছড়ালেন নুহাশ হুমায়ূন
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের কাজ নিয়ে এরইমধ্যে পৌঁছে গেছেন পরিচালক নুহাশ হুমায়ূন। সেই সঙ্গে দেশেও এখন জনপ্রিয় নির্মাতাদের একজন।
যার নির্মাণের মুন্সিয়ানা বরাবরই মুগ্ধ করেছে দর্শককে। তার গল্প বলার ধরন তার উজ্জ্বল সম্ভাবনাকে বরারবরই ইঙ্গিত দেয়।
এ বছর চরকির পর্দায় ভৌতিক ঘরানার চারটি ভিন্ন গল্প নির্মিত হয়েছে নুহাশ হুমায়ূনের প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘ষ’।
প্রচলিত বিভিন্ন কুসংস্কার, লোককথার প্রেক্ষাপটে বর্তমান আবহে তৈরি এটি।
সিরিজটি দেশের দর্শকের কাছে ব্যাপক সফলতার পর পাড়ি দিয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।
২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব রটারডাম’-এর ৫২তম আসরে বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত হয়েছে নুহাশ হুমায়ূনের ‘পেট কাটা ষ’।
‘কাইজার’ –এ পরিণত হয়েছেন তানিম নূর
২০২১ সালে তানিম নূরের পরিচালনায় ‘কন্ট্রাক্ট’ ওয়েব সিরিজটি বেশ আলোচনায় আসে। যার অন্যতম কারণ ছিল একই পর্দায় চঞ্চল চৌধুরী ও আরিফিন শুভর উপস্থিতি। কিন্তু মুক্তির পর কিছুটা হতাশ হতে হয়েছিল। বিগ কাস্টিং দিয়ে তিনি যেই আলোচনা তৈরি করেছিলেন সিরিজটি নির্মাণে তার ততটা চেষ্টার ত্রুটি ছিল বলে মনে হয়।
কিন্তু ২০২২ সালে ‘কাইজার’ দিয়ে পরিণত হলেন তিনি।
যদিও এখানে আফরান নিশো তার অভিনয় দিয়ে অধিকাংশ আকর্ষণ কেড়ে নিয়েছেন, তবুও গল্পটি নির্মাণে যত্নশীল ছিলেন তানিম নূর।
ভারতীয় প্লাটফর্ম হইচইতে মুক্তি পাওয়া এই গোয়েন্দা সিরিজে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, রিকিতা নন্দিনি শিমু, ইমতিয়াজ বর্ষণ, শতাব্দী ওয়াদুদ, সুমন আনোয়ার প্রমুখ।
অমিতাভ রেজা ‘বোধ’ কতটা জনপ্রিয় হলো?
‘আয়নাবাজি’র পর অমিতাভ রেজার প্রতি প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গেছে দর্শকের। তার নতুন নির্মাণ মানে ভক্তদের কৌতুহলের শেষ নেই। তেমনটাই হয়েছিল এ বছরের শেষে ‘হইচই’ প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়া ‘বোধ’ দিয়ে।
সিরিজটির মূল ভূমিকায় নতুন দুই মুখকে দেখা যায়।
আর গুরুত্বপূর্ণ এক চরিত্রে অভিনয় করেন আফজাল হোসেন। অমিতাভ তার সিরিজে বলতে চেয়েছেন দেশের ভুমিদস্যুদের গল্প।
তবে ঘটনার শেষ জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে সিরিজে দ্বিতীয় সিজন পর্যন্ত।
দুই বাংলায় ‘কারাগার’-এর বাজিমাত
নির্মাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকি এখন ওটিটি প্ল্যাটফর্মের তুরুপে তাশ। বাংলাদেশের ওয়েব সিরিজে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে আলোচিত ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার’।
যার দুটি সিজন এরইমধ্যে মুক্তি পেয়েছে।
প্রথম সিজন মুক্তির পর মূল চরিত্রে রহস্যময় চরিত্রে থাকা চঞ্চল চৌধুরীকে নিয়ে এক ধাঁধাঁ তৈরি করেন শাওকি।
দ্বিতীয় সিজন মুক্তির আগ পর্যন্ত সেটিই ছিল প্রধাণ আকর্ষন।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ‘কারাগার ২’ দিয়ে সকল রহেস্যে জট খুললো।
চঞ্চল চৌধুরী ছাড়াও ‘কারাগার’ দিয়ে দর্শকের আকৃষ্ট করেছেন ইন্তেখাব দিনার। দীর্ঘ বিরতির পর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম দিয়ে পুরোদমে ফিরে আসেন এই অভিনেতা।
আরও পড়ুন: কবে অনুষ্ঠিত হবে ব্যাচেলর পয়েন্ট চতুর্থ সিজনের শেষ পর্ব?
চঞ্চল চৌধুরীর বাবা মারা গেছেন
জনপ্রিয় অভিনেতা-গায়ক চঞ্চল চৌধুরীর বাবা রাধা গোবিন্দ চৌধুরী মঙ্গলবার রাতে শহরের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৯০ বছর।
রাজধানীর গ্রীন লাইফ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই অভিনেতার বাবা। মঙ্গলবার রাতে অভিনেত্রী ও চঞ্চল চৌধুরীর বন্ধু শাহনাজ খুশি তার ফেসবুক প্রোফাইলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক আবদুর রহমান খান আর নেই
বুধবার পাবনার সুজানগর উপজেলার কামারহাটস্থ চঞ্চল চৌধুরীর নিজ গ্রামে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।
রাধা গোবিন্দ চৌধুরীকে বার্ধক্যজনিত জটিলতায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।
বাবার অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে চঞ্চল চৌধুরী ২৫ ডিসেম্বর তার ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, ‘১৩ দিন ধরে আমার বাবা লাইফ সাপোর্টে আইসিইউতে আছেন। আমরা এখন শুধু দিন গুনছি।’
আরও পড়ুন: সুইডেন আ. লীগ নেতা ওবায়দুল হকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার এমদাদ হক আর নেই
৫৭ বছরে সালমান খান: ‘ভাইজান’ এর জন্মদিনের শুভেচ্ছায় সোশ্যাল মিডিয়া মুখরিত
বলিউডের মেগাস্টার সালমান খানের জন্মদিন উপলক্ষে বলিউডের অনেক সেলিব্রিটি তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় 'সুলতান' এই অভিনেতার প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
টুইটারে আরেক মেগাস্টার অজয় দেবগন একটি ছবি শেয়ার করেছেন। যার ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘জন্মদিন মোবারক হো @বিয়িংসালমানখান! অলওয়েজ উইশ অনলি দ্য বেস্ট ফর ইউ ফ্রেন্ড। সি ইউ সুন।’
ওটা সত্যি অভিনয় ছিল না, ছিল মায়ের জন্য আবেগ: ‘কারাগার-২’ প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী
দর্শকদের আগ্রহের জায়গা থেকে বলা যায় এ বছরের সবচেয়ে আলোচিত ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার’। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-এ ১৯ আগস্ট মুক্তি পেয়েছিল সিরিজটির প্রথম সিজন। এরপর থেকেই দ্বিতীয় সিজন কবে আসবে সেই অপেক্ষা দিন গুনছিলেন দর্শকরা।
শুধু বাংলাদেশেই নয়, ‘কারাগার’ দিয়ে পুরো পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সিরিজটি পরিচালক সৈয়দ আহমেদ শাওকি; অভিনয়ে থাকা চঞ্চল চৌধুরী, ইন্তেখাব দিনার, তাসনিয়া ফারিণসহ সকলেই।
আরও পড়ুন: ১৫ ডিসেম্বর আসছে ‘কারাগার ২’
শেষ হয়েছে অপেক্ষার পালা, সিরিজটির দ্বিতীয় সিজন মুক্তি পায় ২২ ডিসেম্বর। আবারও দর্শকরা বুদ হলেন দারুণ এক নির্মাণ দেখতে। আর এই পুরো সিরিজ ঘিরে যাকে নিয়ে এতো আলোচনা তিনি চঞ্চল চৌধুরী।
‘কারাগার ২’ মুক্তি উপলক্ষে হইচই-এ একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ হয়। যেখানে উপস্থাপকের আসনে রয়েছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য। সেখানে অনির্বাণের মন্তব্য ধরেই বলতে হয়, চঞ্চল চৌধুরী চোখের অভিব্যক্তি দিয়ে চরিত্রের যে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করেন সেটিই যেন তার অভিনয়ের মুন্সিয়ানাকে প্রমাণ করে।
দ্বিতীয় সিজনে দেখানো হয়েছে সিরিজটিতে চঞ্চল চৌধুরীর চরিত্রের তরুণ বয়স। এতে অভিনয় করেন দিব্য জ্যোতি। যিনি কিনা লেখক ও অভিনেতা বৃন্দাবন দাস ও অভিনেত্রী শাহানাজ খুশি দম্পতির সন্তান।
সিরিজটির শেষাংশ মুক্তির পর দিব্য জ্যোতির একটি কবিতা ফেসবুকে শেয়ার করে চঞ্চল চৌধুরী। এরসঙ্গে তিনি লেখেন, ‘অভিনয় আর জীবন কখন যে মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে, বুঝতে পারিনি, কারাগার ২ চলে এসেছে হইচই’তে। যারা দেখেছেন, তারা ভেবেছেন আমি হয়তো অভিনয় করেছি, ওটা সত্যি অভিনয় ছিল না। আমার মায়ের জন্য আমার যতটা আবেগ, যতটা কষ্ট, যতটা ভালোবাসা, কারাগার ২ তে আপনারা সেটাই দেখেছেন।’
দিব্য জ্যোতির কবিতার প্রসঙ্গে টেনে চঞ্চল আরও লেখেন, ‘দিব্য’র অভিনয়ও আমার কাছে অভিনয় মনে হয়নি। আমার চোখের জলের সঙ্গে দিব্য’র চোখের জল মিশে গিয়ে অন্য এক আবেগের জন্ম দিয়েছে কারাগার-২ তে। দিব্য’র সঙ্গে আমি এক ফ্রেমে দাঁড়াইওনি। তাহলে একই আবেগে কীভাবে দুজন ভাসলাম চোখের জলে, দর্শকদের চোখও কীভাবে ভিজে গেল?- এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নেই। ঠিক আরেকটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে ফিরছি সন্ধ্যা থেকে।’
চঞ্চল তার বাবা অসুস্থততার কথা উল্লেখ করে লেখেন, ‘অনেকেই জানেন আমার বাবা প্রচন্ড অসুস্থ। তেরো দিন বাবা আই সি ইউ’তে লাইফ সাপোর্টে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। শেষ সময়ে অপেক্ষারত আমরা সবাই। আমার অচেতন বাবার মনের কথা গুলো দিব্য কীভাবে লিখে ফেললো?’
আরও পড়ুন: ২৫০ বছর ধরে ‘কারাগার’-এ চঞ্চল চৌধুরী
‘সেরা রাঁধুনী ১৪২৯’ উপস্থাপনায় শ্রাবণ্য
খেলার মাঠ থেকে মঞ্চ কিংবা টিভি পর্দায় বৈচিত্রময় বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় জনপ্রিয় মুখ শ্রাবণ্য তৌহিদা। এবার তিনি যুক্ত হলেন রান্না বিষয়ক দেশের সবচেয়ে বড় রিয়েলিটি শো ‘সেরা রাঁধুনী ১৪২৯’ উপস্থাপনায়।
‘রান্নার জগতে হয়ে উঠুন উজ্জ্বল তারকা’-এই স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে এবারের আসর।
সেরা রাঁধুনী বাছাইয়ের জন্য বাংলাদেশকে আটটি আলাদা অঞ্চলে ভাগ করে অনুষ্ঠিত হয়েছে অডিশন রাউন্ড।
অডিশন রাউন্ড থেকে গ্র্যান্ড ফিনালে প্রতিটি পর্বেই উপস্থাপনায় থাকছেন শ্রাবণ্য।
গাজীপুরে চলছে এর শুটিং।
আরও পড়ুন: ১৪ বছর পর একই মঞ্চে বেইজ বাবা,ফুয়াদ ও আনিলা
শ্রাবণ্য তার নতুন মঞ্চ প্রসঙ্গে বলেন, “রান্না যে একটা শিল্প এটা আমরা ভুলে যাই। প্রতিটি রাঁধুনী যে এক একজন শিল্পী, এটা আমাদের সমাজের মানুষের মনে রাখা উচিত। তাহলে নারীদের প্রতি সম্মানটা আরও প্রতিষ্ঠিত হবে সমাজে। তাই রাঁধুনীদের নিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় কুকিং রিয়েলিটি শোতে এমন একটা আয়োজনে সঞ্চালনা করতে পারাটা আমার জন্য অনেক আনন্দের এবং গর্বের।”
এবারের প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে মঞ্চে শ্রাবণ্য পেয়েছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা, শেফ শুভব্রত মৈত্র ও রন্ধন বিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা রীতাকে।
মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রতি শুক্র ও শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে প্রচার হচ্ছে অনুষ্ঠানটি।
রাঁধুনী অন্বেষণ ছাড়াও শ্রাবণ্যকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে চ্যানেল নাইনে ট্রাভেলার স্টোরি, মাই টিভির ‘ফোনোলাইভ স্টুডিও কনসার্ট’, মাছরাঙার ‘স্বাস্থ্য কথা’, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের ‘আমার স্বপ্ন আমার ঘর’, এনটিভির ‘কঙ্কা সেরা পরিবার’ উপস্থাপনায়।
শুধু তাই নয় শ্রাবণ্য জানান, আসন্ন বিপিএল এর মাঠে দেখা যাবে তাকে ক্রীড়া উপস্থাপনায়।
এছাড়াও নতুন বছরে অন্তর্জালকেন্দ্রিক বড় একটি চমক নিয়ে আসছেন তিনি।
ভক্তদের উদ্দেশ্যে এমনটাই জানিয়েছেন এ তারকা।
উপস্থাপনার পাশাপাশি ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকা রক ফেস্ট ৩.০ মাতাবে ৩২ ব্যান্ড
অণিমা রায়ের কণ্ঠে প্রকাশ পেল ‘তুমি রবে নীরবে’
ঢাকা রক ফেস্ট ৩.০ মাতাবে ৩২ ব্যান্ড
২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর পারফর্ম করবে বাংলালিংক ঢাকা রক ফেস্ট ৩.০। এই ইভেন্টে পরিবেশনায় দেখা যাবে ৩২ ব্যান্ডকে।
এই নিয়ে ২৪ ডিসেম্বর বাংলালিংকয়ের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেড এর ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিরেক্টর কাজী উরফী আহমদ, স্কাই ট্র্যাকার লিমিটেড এর ডিরেক্টর সাজিদ ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ব্যান্ডগুলো হচ্ছে- ওয়ারফেজ, অর্থহীন, আর্টসেল এভোয়েড রাফা, মেকানিক্স, সাবকনসাশ, কার্নিভাল, আফটারম্যাথ ক্যালিপ্সোসহ বাকি ব্যান্ডের সদস্যবৃন্দ।
আরও পড়ুন: কবে অনুষ্ঠিত হবে ব্যাচেলর পয়েন্ট চতুর্থ সিজনের শেষ পর্ব?
বক্তব্য রাখেন, ওয়ারফেজের শেখ মনিরুল আলম টিপু, অর্থহীনের শিশির আহমেদ, আর্টসেলের কাজী ফয়সাল আহমেদসহ আরও অনেক তারকা।
এবারের ঢাকা রক ফেস্ট ৩.০ এর গেইট ওপেন হবে প্রতিদিন সকাল ১০ টায়। দুই দিনের এই ইভেন্টে মোট পারফর্ম করবে ৩২টি ব্যান্ড।
এ বছরের শো সম্পর্কে স্কাই ট্র্যাকারের ডিরেক্টর সাজিদ ইসলাম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে রক মিউজিক অসম্ভব জনপ্রিয়। কনসার্টপ্রেমী তরুণ গোষ্ঠীকে প্রতিবারের মত এবারও আমরা আনন্দে ভাসাতে চাই। তরুণদের চাহিদা মাথায় রেখেই এই কনসার্টটি নিয়মিত আয়োজন করি আমরা।’
কাজী উরফী আহমদ বলেন, ‘বাংলালিংক দেশের তরুণদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে নিয়মিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন ও পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে। ঢাকা রক ফেস্ট আমাদের সেই প্রচেষ্টারই বহিঃপ্রকাশ। রক ঘরানার শো-এর পাশাপাশি এবছর বাংলালিংক দেশব্যাপী বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে ২০ টির মতো কনসার্ট আয়োজন করেছে। ব্যান্ড সংগীতের অন্যতম জনপ্রিয় ধারা এই রক কনসার্টে যুক্ত থাকার পাশাপাশি বাংলালিংক সামনে রক মিউজিক কে আরও জনপ্রিয় করার জন্য কাজ করে যাবে।’
২৭ ডিসেম্বরের লাইনআপ- আপেক্ষিক, আরেকটা রক ব্যান্ড, আর্টসেল, বাংলা ফাইভ, বাংগু বিবি, বহ্মপুত্র, ক্রিপটিক ফেইট, ফ্যান্টাসি রেল্ম, কার্নিভাল, নেমেসিস, ওউন্ড, পাওয়ার সার্জ, সোনার বাংলা সারকাস, টর্চার গোরগ্রাইন্ডার, ট্রেইনরেক এবং উন্মাদ।
২৮ ডিসেম্বরের লাইনআপ- আফটার ম্যাথ, আরবোভাইরাস, অর্থহীন, এভোয়েড রাফা, বে অব বেঙ্গল, ক্যালিপ্সো, কনক্লুশন, ড্যাডস ইন দ্য পার্ক, মেকানিক্স, মেঘদল, সিভিয়ার ডিমেনশিয়া, শেফার্ডস, শুভযাত্রা, সিন, সাবকনসাশ, ওয়ারফেজ।
আরও পড়ুন: অণিমা রায়ের কণ্ঠে প্রকাশ পেল ‘তুমি রবে নীরবে’
১৪ বছর পর একই মঞ্চে বেইজ বাবা,ফুয়াদ ও আনিলা
অণিমা রায়ের কণ্ঠে প্রকাশ পেল ‘তুমি রবে নীরবে’
বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী অণিমা রায়ের কণ্ঠে প্রকাশ পেয়েছে ‘তুমি রবে নীরবে’ গানটি। রবীন্দ্রনাথের ভীষণ জনশ্রুত এই গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন প্রত্যুষ বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: নতুন সিনেমার লুক প্রকাশ করলেন অনন্ত জলিল
গানটি প্রসঙ্গে অণিমা রায় বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের অনেক গান করা হলেও এই জনপ্রিয় গানটির আলাদা করে রেকর্ড করা হয়ে ওঠেনি আগে। অথচ আমার প্রায় অধিকাংশ স্টেজ শোতেই এই গানটির দাবি থাকে শ্রোতাদের। গানটি মিষ্টি প্রেমের। তাই বড়দিন বা নতুন বছরকেই উপলক্ষ করা হলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘শ্রোতা-দর্শকদের একজন শিল্পী হিসেবে আজীবন ভালো ভালো গান উপহার দিতে চাই। এই অস্থির সময়ে রবীন্দ্রনাথের যে কোনো গানই আসলে শান্তির বার্তা বয়ে আনে। সবাই গানটি শুনবেন, সেটিই প্রত্যাশা।’
মানিকগঞ্জের জমিদার বাড়িতে গানটির ভিডিও ধারণ করা হয়। এটি পরিচালনা করেছেন ইয়ামিন ইলান। শিল্পী অণিমা রায়ের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ‘তুমি রবে নীরবে’ মুক্তি দেয়া হয়েছে। গানটি প্রযোজনা করেছে কোলাহল কমিউনিকেশন।
আরও পড়ুন: ১৪ বছর পর একই মঞ্চে বেইজ বাবা,ফুয়াদ ও আনিলা
নুহাশের ‘পেট কাটা ষ’ এবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে
১৪ বছর পর একই মঞ্চে বেইজ বাবা,ফুয়াদ ও আনিলা
দীর্ঘ বিরতির পর উত্তেজনা, পারফরম্যান্স ও চমক নিয়ে ফের ঢাকায় ফিরছে ফুয়াদ লাইভ! বৃহস্পতিবার আয়োজক সংস্থা স্কাই ট্র্যাকার ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
২০০৮ এর পর প্রায় ১৪ বছর পর আবার এক মঞ্চে একত্রিত হতে যাচ্ছেন ফুয়াদ, বেইজ বাবা সুমন ও আনিলা। এই ডিসেম্বর জমজমাট হতে যাচ্ছে আইসিসিবি এর মঞ্চ।
২৫ ডিসেম্বর (রবিবার) আইসিসিবি'র এক্সপো জোনে হবে এই কনসার্ট। এতে দেশের জনপ্রিয় আরও ৩০ তারকা শিল্পী অংশগ্রহণ করবেন। কনসার্টের লাইনআপ বেইজ বাবা সুমন, স্টোইক ব্লিস, পান্থ কানাই, আনিলা, এলিটা, রাফা, জোহাদ, ফাইরুজ, তাশফি, জেফার, তাসনিম আনিকা, ব্ল্যাক জ্যাং সহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: কবে অনুষ্ঠিত হবে ব্যাচেলর পয়েন্ট চতুর্থ সিজনের শেষ পর্ব?
শোনা যাচ্ছে, স্কুল জীবনের জনপ্রিয় মিউজিশিয়ান এবং প্রিয় গান 'আবার জিগায়' তারকা স্টোইক ব্লিস এবার ফুয়াদ লাইভে হাজির হবেন দীর্ঘদিন পর। দর্শকদের জন্য এক্সপো জোনের গেট ওপেন হচ্ছে ২৫ তারিখ বিকাল ৪ টায়।
বেইজ বাবা সুমন এই কনসার্ট নিয়ে তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘ফুয়াদ এর সঙ্গে শেষ বার স্টেজে উঠেছিলাম ২০১৮ সালে জয় বাংলা কনসার্টে। আমার শরীরের অবস্থা তখন ভয়ংকর খারাপ ছিল। হাতে ওয়াকিং স্টিক নিয়ে অনেক সাবধানে স্টেজে উঠি সেদিন। ঠিকমত গান গাইতে পারিনি অসুস্থতার কারণে। আমার শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে সেদিন বলেছিলাম আবার কবে স্টেজে উঠবো অথবা আদৌ উঠবো কিনা আমি জানিনা। যাই হোক, ২০২২ সালের শেষে এসে আজ এই স্ট্যাটাস লিখছি একটি বিশেষ কারণে। আগামী ২৫ তারিখ স্টেজে উঠছি আবার ফুয়াদের সঙ্গে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘গতবছর চট্টগ্রামে দীর্ঘ চার বছর পর অর্থহীনের ফেরত আসার কনসার্টটা আমার জন্য অনেক ইমোশনাল একটা ব্যাপার ছিল। আগামী ২৫ তারিখটাও আমার জন্য একটা বিশেষ দিন হয়ে থাকবে। ইনশাআল্লাহ সেদিন কোন প্রকার ক্রাচের সাহায্য ছাড়াই সুস্থ অবস্থাতেই স্টেজে উঠবো। স্টেজে আমাকে, ফুয়াদকে এবং আনিলাকে একই সঙ্গে দেখতে পাবেন। সবাই ভাল থাকবেন।’
স্কাই ট্র্যাকার লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দোজা এলান বলেন, ‘আমরা ফুয়াদ লাইভকে ২০১৯ সাল এর পর আবারও মঞ্চে নিয়ে আসছি, একটি দীর্ঘ বিরতির পর। ফুয়াদ লাইভে বেইজ-বাবা সুমন, ফুয়াদ এবং আনিলার একই মঞ্চে উপস্থিতি অনেক উত্তেজনা তৈরি করবে বলে আশা করা যাচ্ছে কারণ এটি ভক্তদের জন্য একটি অনন্য চমক হবে।’
আরও পড়ুন: শেষ হতে চলেছে ব্যাচেলর পয়েন্টের চতুর্থ সিজন
নুহাশের ‘পেট কাটা ষ’ এবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে
কবে অনুষ্ঠিত হবে ব্যাচেলর পয়েন্ট চতুর্থ সিজনের শেষ পর্ব?
শুক্র, শনি, রবি- এই তিনটি দিন রাত ৮টা ২৫ মিনিট মানেই ‘ব্যাচেলর পার্টি’ গান দিয়ে শুরু হওয়া কমেডি ধারাবাহিক নাটক ব্যাচেলর পয়েন্ট। এ সময়ের স্বনামধন্য নাট্যকার কাজল আরেফিন অমির পক্ষ থেকে বর্তমান প্রজন্মের প্রতি এক অসামান্য উপহার।
মোশনরক এন্টারটেইনমেন্ট-এর ব্যানারে ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট চ্যানেল নাইনে সম্প্রচারের মাধ্যমে পথ চলা শুরু হয় ব্যাচেলর পয়েন্টের। সেই থেকে একে একে তিনটি সিজন শেষ করে এখন চতুর্থ সিজনে উপনীত হয়েছে ধারাবাহিকটি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সিজনের সূত্র ধরে চতুর্থ সিজনটিও এখন সম্প্রচার হচ্ছে বাংলা ভিশনে। পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে ধ্রুব টিভির ইউটিউব চ্যানেলেও। এবার চার নম্বর সিজনটিরও সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে। কবে অনুষ্ঠিত হবে শেষ পর্ব, আর এরপর ব্যাচেলর পয়েন্ট আদৌ আসবে কি না, চলুন সে ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
ব্যাচেলর পয়েন্ট ৪-এর জনপ্রিয়তা
ব্যস্ত রাজধানীর চিরায়ত ব্যাচেলর জীবনের নানা চড়াই-উৎড়াইয়ের এক সামষ্টিক পরিবেশনা ব্যাচেলর পয়েন্ট। রম্য গল্পের বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষের আঞ্চলিক সংলাপ। মোশনরক এন্টারটেইনমেন্ট-এর ব্যানারে নির্মিত ধারাবাহিকটি প্রথম থেকেই দর্শকদের কাছ থেকে অবিশ্বাস্য সাড়া পেয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: 'কাবিলা' খ্যাত পলাশের ব্যাচেলর জীবনের সমাপ্তি
অমির গল্প, পরিচালনা ও চিত্রনাট্যের চমকপ্রদ প্রকাশে দারুণ ভাবে ফলপ্রসূ হয়ে ওঠে প্রথম দুটি সিজন। চিত্রনাট্যে অমির সঙ্গে ছিলেন প্রযোজক তৌহিদ তালুকদার। সেই দুটি সিজনের জনপ্রিয়তার রেশ ধরেই ব্যাচেলর পয়েন্ট টিম বাধ্য হয় তৃতীয় সিজন তৈরির। সিজনটি সফলভাবে শেষ করার পরেও বিশ্রাম মেলেনি তাদের। এ বছরেও সেই আকর্ষণের ধাক্কাটা যেন আরও বহুগুণে বেড়ে ওঠে।
ক্যামেরার পেছনে শুরু থেকে ছিলেন বিকাশ সাহা ও মং চেন। সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন আরিফিন সরকার। ভক্তদের তুমুল চাহিদায় আরও দারুণ কিছু উপহার দেয়ার জন্য আবারও মস্তিষ্কে ঝড় তোলেন ব্যাচেলর পয়েন্ট কারিগর অমি। একই টিম নিয়ে পুরোদমে কাজ শুরু হয়ে যায়।
অতঃপর ২০২২ সালের ১১ মার্চ যাত্রা করে সিজন-৪ এর প্রথম পর্ব। বাংলা ভিশনের প্রচারের পরই ধ্রুব টিভি ইউটিউব চ্যানেলে রাত ৯টায় আপলোড করে পর্বটি। প্রচারের সাত ঘণ্টার মধ্যেই কন্টেন্টটির ৩০ লাখ ভিউ ছাড়িয়ে যায়। পরের পর্বগুলোতেও হৈচৈ মোতেই মুষড়ে পড়েনি। এমনকি আগের বছরগুলোতে ব্যাচেলর কোয়ারেন্টাইন ও ব্যাচেলর ঈদের জনপ্রিয়তার রেশ ধরে এবারেও আলাদাভাবে আয়োজন করা হয়েছে ব্যাচেলর রমজান, ব্যাচেলর কোরবানি এবং সর্বশেষ ব্যাচেলর ফুটবলের।
আরও পড়ুন: নিলয় ও সারিকার ‘এক টিকেটে দুই ছবি
শুধু আলোচনাতেই নয়, বেশ সমালোচনাতেও ছিল এবারের সংস্করণটি। গত সেপ্টেম্বরে সম্প্রচারিত পর্বগুলোতে বেশ কিছু সংলাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। আপত্তিকর সংলাপগুলোর কারণে ইউটিউব থেকে ধারাবাহিকটির কয়েকটি পর্ব সরিয়ে নেয়া হয়।
ব্যাচেলর পয়েন্টের সিজন-৫ কি আসবে?
২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ধারাবাহিকটির প্রধান অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম জিয়াউল হক পলাশ তার নিজের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে একটি কেকের ছবি শেয়ার করেন। এখানে মূল ফোকাস ছিল কেকটির লেখা- ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন-৪ দ্য জার্নি ইজ ওভার’। এর মাধ্যমেই ঘোষণা করা হয় সিজন-৪ এর শেষ হওয়ার কথা। অন্তিম পর্বটি হবে আগামী ২৪ ডিসেম্বর। এ নিয়ে হাস্যকৌতুকে ভরা ধারাবাহিকটির সর্বমোট ১১৭টি পর্ব হতে যাচ্ছে।
এটিই শেষ সিজন কি না সে ব্যাপারে ব্যাচেলর পয়েন্ট টিমের কারও পক্ষে সরাসরি কোনো স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে দলের ক্যাপ্টেন কাজল আরেফিন অমি যতদিন পারবেন এমন করে দর্শকদেরকে আনন্দ দিয়ে যাবার অভিমত ব্যক্ত করেছেন। কাবিলা ও শুভদের জীবনের আরও চমকপ্রদ কিছু দেখানোর জন্য তার এই আশাবাদ এখন ভক্তদেরকে আরও একটি সিজনের স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
আরও পড়ুন: নুহাশের ‘পেট কাটা ষ’ এবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে
ব্যাচেলর পয়েন্টের তারকাখ্যাতি
তারকাবহুল ব্যাচেলর পয়েন্টকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যম শুরু থেকেই ছিল উৎসবমুখর। প্রতি সিজনেই নতুন নতুন চমক নিয়ে যুক্ত হয়েছেন জনপ্রিয় সব তারকা ও নতুন নতুন মুখ। মিশু সাব্বির, জিয়াউল হক পলাশ, চাষী আলম, মুসাফির সৈয়দ বাচ্চু, সাবিলা নূর, মুকিত জাকারিয়া, মনিরা মিঠু, আব্দুল্লাহ রানা, শিমুল শর্মা শুরু থেকেই ছিলেন ব্যাচেলর পয়েন্ট পরিবারের সঙ্গে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় সিজন থেকে যোগ দেন মারজুক রাসেল, তামিম মৃধা, সানজানা সরকার রিয়া ও নাঈম খান তুর্য।
সুমন পাটোয়ারি, ফারিয়া শেহরীন, শারাফ আহমেদ জীবন, সাইদুর রহমান পাভেল আছেন তৃতীয় সিজন থেকে। এরই মাঝে শুধু প্রথম সিজনে দর্শক মাতিয়েছেন তানজিন তিশা ও ইরফান সাজ্জাদের মত তারকারা। রম্য ধারাবাহিকটির নিয়মিত দর্শকরা তৌসিফ মাহবুব, শামীম হাসান সরকার ও নাদিয়া আফরিন মিমকে পেয়েছেন প্রথম দুইটি সিজনে। আর ৪ নম্বর সিজনে যুক্ত হয়েছেন পরসা ইভানা ও আশুতোষ সুজন।
শেষাংশ
যে সময়টি টিভি নাটক থেকে দর্শক মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিল, ঠিক সে সময়টিতে দর্শকদেরকে আবার টিভি স্ক্রিনের সামনে ফিরিয়ে আনে ব্যাচেলর পয়েন্ট। সিজনগুলো ক্রমাগত বাড়তে থাকা জনপ্রিয়তা নিয়েই সামনে অগ্রসর হয়েছে। সেদিক থেকে সিজন-৪ বিগত সবগুলো সিজনকে ছাড়িয়ে গেছে। ব্যাচেলর পয়েন্ট বিশেষ করে কাবিলা চরিত্রে জিয়াউল হক পলাশের জন্য এক বিশাল সাফল্য। এছাড়াও নতুন মুখ শিমুল শর্মা ও লামিয়া চরিত্রের লামিমা লামও বেশ খ্যাতি পেয়েছেন। আর মিশু সাব্বির, মারজুক রাসেল ও চাষী আলম যথাক্রমে শুভ, পাশা ও হাবু চরিত্রের জন্য দর্শকদের নিকট চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
আরও পড়ুন: বান্নাহর নতুন ধারাবাহিক ‘ব্রাজিল ভার্সেস আর্জেন্টিনা রিলোডেড’
শেষ হতে চলেছে ব্যাচেলর পয়েন্টের চতুর্থ সিজন
জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ এর চতুর্থ সিজন সমাপ্তির ইঙ্গিত দিলেন পরিচালক কাজল আরেফিন অমি। তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) একটি কেকের ছবি পোস্ট করেন। যেখানে লেখা ছিল- ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন-৪, দ্য জার্নি ইজ ওভার’।
একই পোস্ট করেন ধারাবাহিকটির সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র ‘কাবিলা’ খ্যাত জিয়াউল হক পলাশ। এমন ঘোষণার পর তাদের পোস্টের কমেন্টে দর্শকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সবার একটাই চাওয়া যেন নাটকটির সিজন-৫ প্রচারিত হয়।
তবে এখন পর্যন্ত শেষ পর্ব প্রচার হয়নি। ১৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয় চতুর্থ সিজনের ১১৪তম পর্ব।
২০১৮ সালে চ্যানেল নাইন-এ শুরু হয় ‘ব্যাচেলরস পয়েন্ট’। দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিকটি। পরবর্তী সিজনগুলো একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়। এতে অভিনয় করেন মিশু সাব্বির, জিয়াউল হক পলাশ, মারজুক রাসেল, চাষী আলম, সাবিলা নূর, মনিরা মিঠু, ফারিয়া শাহরিন, এফএস নাঈম, শরাফ আহমেদ জীবন, সুমন পাটোয়ারী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: 'কাবিলা' খ্যাত পলাশের ব্যাচেলর জীবনের সমাপ্তি
বান্নাহর নতুন ধারাবাহিক ‘ব্রাজিল ভার্সেস আর্জেন্টিনা রিলোডেড’