������������������
পাতালঘর: চরকিতে আসছে নুসরাত ফারিয়ার ওয়েব ফিল্ম
মডেলিং থেকে শুরু করে টিভি শো ও বড় পর্দা, বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সমানভাবে পরিচিত মুখ নুসরাত ফারিয়া। ভারত ও বাংলাদেশে সমানভাবে নিজের স্বাক্ষর রাখা এই তারকা এবার পদার্পণ করতে চলেছেন ওটিটি জগতে। বাংলাদেশের স্বনামধন্য ওটিটি চরকিতে আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘পাতালঘর’। বাণিজ্যিক ঘরানার চলচ্চিত্রের বাইরে ভিন্ন বেশে দেখা যাবে নুসরাত ফারিয়াকে। চলুন, তারকাবহুল এই চলচ্চিত্রটির ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
পাতালঘরের গল্প
বহুদিন পর ঘরে ফিরে আপন মানুষগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে ভীষণ অস্বস্তিতে পড়ে যায় মেয়েটি। যেমনটা অস্বস্তির সৃষ্টি হয় কোনো অপরিচিত মানুষের সান্নিধ্যে। মায়ের সঙ্গেই যেখানে স্বাভাবিক হওয়া দায় হয়ে পড়ছে, সেখানে অন্যান্য মানুষগুলোকে রীতিমতো অচেনা ঠেকে মেয়েটির কাছে।
ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনকে সমৃদ্ধ করতে পেশাগত জীবনে সর্বোচ্চ শিখরে জায়গা করে নেওয়া অপরিহার্য। কিন্তু কর্মজীবনের সেই খ্যাতি যখন চিরচেনা সম্পর্কগুলোতে জটিলতা সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তখন পুরো জীবনটা যেন বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: এমআর-৯ ডু অর ডাই: মাসুদ রানা আসছেন রূপালি পর্দায়
এমনি সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে আবর্তিত হয়েছে পাতালঘরের কাহিনী। পরিণত সংলাপের মাধ্যমে নানা ধরনের চরিত্রের মাঝে সবচেয়ে বেশি আলোকিত হয়েছে মা ও মেয়ের গল্প।
দীর্ঘদিনের জীবনধারার দৌরাত্ম্য ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতাকে ছাড়িয়ে চির সত্য এই সম্পর্কটি তার গন্তব্য খুঁজে পাবে কি না- তারই জবাব মিলবে এই পাতালঘরে।
পাতালঘর ওয়েব ফিল্মের নেপথ্যে রয়েছেন যারা
পাতালঘরের পরিচালনা করেছেন ‘কমলা রকেট’ খ্যাত নূর ইমরান মিঠু। ২০১৮ সালের কমলা রকেট ছিল তার প্রথম চলচ্চিত্র, যেটি দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিল।
পাতালঘরের প্রযোজনা কমিটিতে আছেন আবু শাহেদ ইমন, মীর মোকাররম হোসেন, ফরিদুর রেজা সাগর ও তাহরিমা খান। চলচ্চিত্র নির্মাণ সংস্থাগুলো হলো- বক্স অফিস, গল্প রাজ্য ফিল্মস, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড, বাতায়ন প্রোডাকশনস এবং জয়া স্যানিটারি ন্যাপকিন।
চলচ্চিত্রটির শুটিং হয়েছিল কোভিড মহামারির সময় ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে রাজবাড়ীর পাংশা এলাকায়।
আরও পড়ুন: দর্শক আগ্রহে এগিয়ে ‘সুড়ঙ্গ’, ‘প্রিয়তমা’ ও ‘প্রহেলিকা’
পাতালঘর ওয়েব ফিল্মের অভিনয়শিল্পীরা
তারকাবহুল ওয়েব ফিল্মটিতে নুসরাত ফারিয়ার সঙ্গে কেন্দ্রীয় ভূমিকায় রয়েছেন ৯০ দশকের জনপ্রিয় নাট্যাভিনেত্রী আফসানা মিমি। এ পর্যন্ত মাত্র চারটি চলচ্চিত্রে কাজ করলেও অভিনয় দক্ষতার ক্ষেত্রে নাটকের তুলনায় কোনো অংশে যে কম হবে না তা অনুমেয়। ফারিয়ার মতো তারও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে এটা প্রথম কাজ। এই প্রথমবারের মতো তারা একসঙ্গে কাজ করছেন।
ওয়েব ফিল্মটিতে সেই তারকা খ্যাতি পাওয়া মেয়েটির ভূমিকায় থাকবেন নুসরাত ফারিয়া। আর তার মায়ের ভূমিকায় দেখা যাবে আফসানা মিমিকে।
অন্যান্য তারকারা হলেন- রওনক হাসান, নাজিয়া হক অর্ষা, নাসির উদ্দিন খান, ফজলুর রহমান বাবু, সালাউদ্দিন লাভলু, এবং মামুনুর রশীদ। এছাড়াও রয়েছেন দীপান্বিতা মার্টিন, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, মামুন-উল-হক, আরফান মৃধা শিবলু, চন্দনা বিশ্বাস, হাসনাত রিপন, মৌটুসী বিশ্বাস এবং শাদাত রাসেল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সিনেমার বড় বাজার তৈরি হবে: নিরব
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাতালঘর
ওয়েব চলচ্চিত্রটি ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রে উৎসবে সম্মানিত হয়েছে। ২০২২ সালে ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত ৫৩-তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে (আইএফএফআই) চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয়েছিল। বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এশিয়ার অন্যান্য প্রতিযোগী চলচ্চিত্রগুলোর সঙ্গে একই সারিতে শামিল ছিল পাতালঘর।
এ বছর মার্চে নেপালের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ৩৫টি দেশের ৯৫টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। সেগুলোর মধ্যে থেকে বাংলাদেশের পাতালঘর সেরা ফিচার চলচ্চিত্র হিসেবে ‘দন কিহোতে পুরস্কার’ জিতে নেয়।
শেষাংশ
চরকি অরিজিনাল ওয়েব ফিল্ম পাতালঘর তারকা নুসরাত ফারিয়ার জন্য হতে পারে এক বিশাল অর্জনের ক্ষেত্র। গ্ল্যামার জগতের বিচিত্র অঙ্গনে ইতোমধ্যে নিজের একটি সপ্রতিভ জায়গা বানিয়ে নিয়েছেন ফারিয়া। সেই সূত্রে, এই মেধাবী তারকা ওটিটি চলচ্চিত্রের অভিনয় ধারায় কতটুকু উতড়ে যেতে পারছেন- এখন সেটাই দেখার বিষয়। এই ওয়েব ফিল্মের সম্ভাব্য সফলতায় নিজের পোর্টফোলিও ভারি হওয়ার বিষয়তো থাকছেই। পাশাপাশি একজন পূর্ণাঙ্গ ও দক্ষ অভিনেত্রী হিসেবেও দর্শকদের নিকট এক নতুন পরিচয় সৃষ্টি করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: সাড়ে ষোলো: হইচই ওটিটিতে আফরান নিশোর নতুন ওয়েব সিরিজ
সাড়ে ষোলো: হইচই ওটিটিতে আফরান নিশোর নতুন ওয়েব সিরিজ
ভক্ত থেকে শুরু করে নাট্যপাড়া; সর্বত্র আফরান নিশো মানেই এক বৈচিত্র্যপূর্ণ অভিনেতার নাম। আর বর্তমান সময়ের ওটিটি (ওভার-দ্য-টপ)ঘরানার কন্টেন্টগুলো সেই বিচিত্রতায় যেন জোয়ার এনেছে। সেই দক্ষতারই আরও এক ঝলক ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-এর ওয়েব সিরিজ ‘সাড়ে ষোলো’। দর্শক ইতোমধ্যে নিশোর অভিনয়ের ষোলকলায় মশগুল হয়ে আছে। তাদের সম্বিত ফেরার আগেই আগামী ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘সাড়ে ষোলো’। নতুন এই হইচই অরিজিনাল সিরিজটি নিয়েই আজকের বিনোদন কড়চা।
ওয়েব সিরিজ সাড়ে ষোলোর গল্প
ধূর্ত শব্দটি একজন ব্যক্তি রেজার জন্য নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য হিসেবে জাহির করা যাবে না। কেননা ভালো-খারাপ নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ মানুষ। তবে এতটুকু নিশ্চিত করে বলা যায়, পরিবারের প্রতি নিবেদিত রেজা বেশ বুদ্ধিমান।
অন্যদিকে পেশাগত জীবনে তিনি বেশ প্রতিভাবান ও সফল একজন আইনজীবী। তাই মামলার জটিলতা, শুনানির চাপ, বাদি-বিবাদি নিয়ে চিন্তা তার কাছে কোন নতুন ব্যাপার নয়। কিন্তু হঠাৎ এক মামলার শুনানির দিনের আগের রাতে রহস্যময় কিছু ঘটনা আমূল বদলে দেয় তার জীবনকে।
এমনি গল্প নিয়ে এগিয়েছে ৬ পর্বের মিনি থ্রিলার সিরিজ ‘সাড়ে ষোলো’। পুরো সিরিজের কাহিনী একটি হোটেল আর রেজার শুনানিতে যাবার আগের সেই রাতের মধ্যেই আবদ্ধ থাকবে। আর সাড়ে ষোলো হচ্ছে ফ্লোরের সংখ্যা। এখানে ১৬ ও ১৭-তম ফ্লোরের মাঝামাঝি কোনো জায়গা বা ফ্লোরের রহস্য লুকিয়ে আছে কিনা তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: সে খুবই চতুর কিন্তু একজন ফ্যামিলি ম্যান: নতুন চরিত্র সম্পর্কে আফরান নিশো
সাড়ে ষোলোর নেপথ্যের মানুষ
মিনি থ্রিলার সিরিজটির পরিচালকের নাম ইয়াসির আল হক। আর এই সিরিজটির মাধ্যমেই ওটিটি জগতে তার অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে। এছাড়া এটি তার নির্মিত প্রথম ওয়েব সিরিজও। মূল পরিচালনায় নব্য হলেও এই তরুণ নির্মাতা বেশ প্রতিশ্রুতিশীল এবং কাজের ব্যাপারে নিবেদিতপ্রাণ। তিনি ৭৪-তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘আন সার্তেন রিগার্দ’ পুরষ্কার প্রাপ্ত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’-এর কাস্টিং ডিরেক্টর ও সহকারি পরিচালক ছিলেন।
সাড়ে ষোলোর আফরান নিশো
জীবনের প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘কাইজার’ দিয়েই বাজিমাত করে দিয়েছিলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় তারকা আফরান নিশো। তারপর সবেমাত্র এক বছর পেরিয়েছে। কাইজার জ্বর এখনো কাটেনি নিশো ভক্তদের। এর মধ্যে আবার গত ঈদুল আযহায় মুক্তি পেলো তার অভিনীত সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’।
জীবনের প্রথম সিনেমাতেই বুঝিয়ে দিলেন, তিনি শুধু ছোট পর্দায় আরামপ্রিয় নন। এছাড়া ভিকি জাহেদের পূনর্জন্ম ফ্র্যাঞ্চাইজিতে তার অভিনয়ের রেশ এখনো কাটেনি দর্শকদের মন থেকে।
চরিত্রের কর্মকান্ডকে আলাদা করে শুধুমাত্র তার আচরণ বা দৃষ্টিভঙ্গিকে বিবেচনা করলে, পুনর্জন্মের রাফসান ও সুড়ঙ্গের মাসুদ বেশ থ্রিলিং ও সাসপেন্সে ভরপুর ছিলো।
এবার সাড়ে ষোলোতেও কি ভক্তরা সেই রাফসান বা মাসুদকে দেখতে যাচ্ছেন কিনা তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে হৈচৈ অরিজিনাল সিরিজটির স্ট্রিমিং পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্ক মাতাচ্ছে 'সুড়ঙ্গ'
সাড়ে ষোলোর নির্মাণ ও হইচই যাত্রা
সিরিজটি মহা সমারোহে এর নির্মাণ যাত্রার সূচনা ঘটায় চলতি বছরের ১২ জুন ঢাকাতে শুটিং-এর মাধ্যমে। ১৪ দিন পর চিত্রগ্রহণের শেষ দিনটি ছিলো ২৬ জুন। এরপর গত ১৬ জুলাই রবিবার হইচই সিরিজটির ফার্স্ট লুক প্রকাশ করে। সেই সাথে ঘোষণা করা হয় আগামী ১৭ আগষ্টে এর মুক্তির দিনক্ষণও।
নির্মাতাগণ এখনো সিরিজটির বাকি কলাকুশলী ও অভিনয় শিল্পীদের কথা গোপন রেখেছেন। শিগগিরই প্রচারণার সময় তা প্রকাশ করা হবে, আর সেই সঙ্গে থাকবে সাড়ে ষোলো সংখ্যাটিকে ঘিরে আরও কিছু রহস্যের খোরাক।
শেষাংশ
ওটিটির কাজগুলো আফরান নিশোর অভিনয় ক্যারিয়ারের জন্য এক বিশাল মাইলফলক। সেই যাত্রায় হইচই ওটিটি প্লাটফর্মে আসন্ন ওয়েব সিরিজ ‘সাড়ে ষোলো’ এক অভাবনীয় পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে। এ কথা বলা বাহুল্য, বাংলাদেশের নাটক এমনকি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্যও এ ধরনের কন্টেন্ট বিপুল প্রভাব বিস্তার করছে। ইতিবাচক এই পরিবর্তনে আশা করা যায়, বাংলাদেশ শিগগিরই বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সিরিজ নির্মাণের তালিকায় শামিল হতে পারবে।
আরও পড়ুন: এমআর-৯ ডু অর ডাই: মাসুদ রানা আসছেন রূপালি পর্দায়
নিউইয়র্ক মাতাচ্ছে 'সুড়ঙ্গ'
ঈদুল আযহায় মুক্তি পাওয়া আলোচিত সিনেমা 'সুড়ঙ্গ'। রায়হান রাফির পরিচালনায় এর মধ্য দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক হয় আফরান নিশোর। সঙ্গে জুটি বাঁধেন তমা মির্জা।
বাংলাদেশে ব্যাপক সফলতার পর আমেরিকাতেও বাঙালিদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে 'সুড়ঙ্গ'।
সুখবরটি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করে রাফি জানান, যুক্তরাষ্ট্রে সিনেমা প্রেমীদের প্রশংসার জোয়ারে ভাসছে 'সুড়ঙ্গ'।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘সুড়ঙ্গ’
নিউইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রিমিয়ার শো শেষে সিনেমাটি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন দর্শকরা।
দেশের বাইরে বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে একযোগে চলার পাশাপাশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ৩১টি হলে মুক্তি পায় রায়হান রাফি নির্মিত সিনেমা 'সুড়ঙ্গ'। আগামী ২৮শে জুলাই যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার আরও মোট ১০৮টি হলে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।২১ তারিখ জামাইকা মাল্টিপ্লক্সে মুক্তি পায় 'সুড়ঙ্গ'।সেখানে ২৫ তারিখের শো পর্যন্ত হাউজফুল যায়। রাফি তার আরেক পোস্টে এই তথ্যও তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: দর্শক আগ্রহে এগিয়ে ‘সুড়ঙ্গ’, ‘প্রিয়তমা’ ও ‘প্রহেলিকা’
৩০ হলে দেখা যাবে ‘সুড়ঙ্গ’
এমআর-৯ ডু অর ডাই: মাসুদ রানা আসছেন রূপালি পর্দায়
১৭ জুলাই ‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’ এর পোস্টারের দর্শনটা মাসুদ রানার ভক্তদের হৈচৈটাকে যেন দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। কেননা পোস্টার প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে চলচ্চিত্র মুক্তির চূড়ান্ত দিনক্ষণ। শুধু বাংলাদেশেই নয়, ২৫ আগস্ট শুক্রবার বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেতে চলেছে মাসুদ রানা চরিত্রের চিত্রায়ন চলচ্চিত্র এমআর-৯। একদিকে হাজারও অপেক্ষার অবসান ঘটলেও, অন্যদিকে শুরু হয়ে গেছে চলচ্চিত্র মুক্তির দিন গণনা। চলুন, বহু প্রতীক্ষিত এই চলচ্চিত্রটির বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
মাসুদ রানা কে?
চলচ্চিত্রের শুটিং-এর ঘন্টা বাজার আগ থেকেই মাসুদ রানা হিসেবে এবিএম সুমনের নামটা ছড়িয়ে পড়ে সবার মুখে মুখে। অবশ্য দুর্ধর্ষ গুপ্তচরের চরিত্রটিকে দৃশ্যায়নের জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নেমেছিল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া। ‘ধ্বংস পাহাড়’ বইয়ের স্বত্বও তারা কিনে ফেলে কাজী আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্র বাছাইয়ের ভার পরে স্বয়ং লেখকের ওপর। আগে থেকে বাছাই কয়েকজন মডেল ও অভিনেতার ছবি দেখে চূড়ান্তভাবে সুমনকে নির্বাচন করেন মাসুদ রানার স্রষ্টা।
গ্ল্যামার জগতে সুমনের শুরুটা ছিল মডেলিং-এর মাধ্যমে। অভিনয় জগতে তার অভিষেক ঘটে ২০১৩ সালে ‘মেঘের কোলে রোদ’ টেলিফিল্ম দিয়ে। তার অভিনীত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি ২০১৫ সালের শফিকুল ইসলাম খান পরিচালিত ‘অচেনা হৃদয়’।
তবে তিনি আলোচনায় আসেন ২০১৭ সালের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর মাধ্যমে। সেখানে তার সোয়াট নেতা আশফাক চরিত্রটি দর্শক ও সমালোচক মহলে বেশ সাড়া ফেলেছিলো।
আরও পড়ুন: সে খুবই চতুর কিন্তু একজন ফ্যামিলি ম্যান: নতুন চরিত্র সম্পর্কে আফরান নিশো
পর্দার পেছনের মানুষেরা
এমআর-৯ চলচ্চিত্রের নির্মাতা আসিফ আকবর
এককভাবে পরিচালনা ছাড়াও এমআর-৯-এর চিত্রনাট্য, সম্পাদনা এবং প্রযোজনা - প্রতিটি গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রেখেছেন যে মানুষটি তার নাম আসিফ আকবর। বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত (খুলনা) হলেও তার বেড়ে ওঠা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়ো রাজ্যের ক্লিভল্যান্ড শহরে।
তিনি তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র তৈরি করেন ২০০৭ সালে। ‘মাই ফরেন দেশ’ শিরোনামের ছবিটি ২০০৮-এর ডিসেম্বরে নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র ও ভিডিও উৎসবে প্রদর্শিত হয়। ছবিটির নির্মাণকালে তিনি তার হাইস্কুল শেষ করে হলিউডের স্বনামধন্য চলচ্চিত্র প্রতিষ্ঠান কলাম্বিয়া কলেজে স্নাতক শুরু করেন। অতঃপর ২০১১ সালে সেখান থেকে চারুকলায় সিনেমা এবং টেলিভিশন নিয়ে স্নাতক শেষ করেন।
বিগত ১২ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি অনেকগুলো ফিচার ফিল্ম, মূলধারার মিউজিক ভিডিও, বিজ্ঞাপন, শর্ট ফিল্ম, তথ্যচিত্র, এবং টিভি শো নিয়ে কাজ করেছেন। তন্মধ্যে তথ্যচিত্র ‘টপ প্রায়োরিটি: দ্য টেরর উইদিন’ ২০১২ সালের অস্কার মনোনয়নের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল।
বাবা এনায়েত আকবর মিলনের সঙ্গে তার প্রথম প্রযোজিত বাংলাদেশি বাণিজ্যিক ছবি ‘অচেনা হৃদয়’। ২০১৫ সালে এটি বাংলাদেশ সহ আমেরিকার মূলধারার প্রেক্ষাগৃহগুলোতে মুক্তি পায়। একই বছরে ইতালির মিলানে বিশ্ব সিনেমার আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র নির্মাতা উৎসবে তার পরিচালিত ছবি ‘স্মোক ফিল্ড লাঙ্স’ সেরা পুরস্কার জিতে নেয়। বর্তমানে তিনি তার নতুন প্রজেক্ট ‘বোনইয়ার্ড’ নিয়ে কাজ করছেন। মুভিটিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন হলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা মেল গিবসন।
আরও পড়ুন: চলচ্চিত্রে এবার যারা সরকারি অনুদান পেলেন
এমআর-৯ ছবির অন্যান্য নির্মাণ শিল্পীরা
কাজী আনোয়ার হোসেনের ‘ধ্বংস পাহাড়’-এর ওপর ভিত্তি করে রচিত এমআর-৯-এর চিত্রনাট্যে আসিফের সহ-লেখকরা ছিলেন আবদুল আজিজ ও নাজিম উদ দৌলা। সঙ্গীত ও স্কোরের দায়িত্বে ছিলেন ভারতীয় সঙ্গীতজ্ঞ রিকি কেজ, যিনি সঙ্গীতের জন্য তিনবার গ্র্যামি পুরস্কার জিতেছেন। চিত্রগ্রহণে ছিলেন আমেরিকান পরিচালক ও চিত্রগ্রাহক মার্ক ডেভিড। সার্বিক সম্পাদনার কাজ আসিফ নিজেই করেছেন।
৮৩ কোটি টাকা বাজেটের ছবিটি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ ও আমেরিকার যৌথ প্রযোজনায়। প্রযোজনা গ্রুপে আসিফের পাশাপাশি ছিলেন আল ব্রাভো, হেমডি কিওয়ানুকা, কলিন বেট্স, ফিলিপ ট্যান, এবং আব্দুল আজিজ। নির্বাহী প্রযোজনায় ছিলেন পিটার নগুয়েন, নিকো ফস্টার, ফিলিপ বি গোল্ডফাইন, এবং এডুয়ার্ড ওসিপভ।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে যে চলচ্চিত্র নির্মাণ সংস্থাগুলো যৌথভাবে কাজ করেছে সেগুলো হলো- আল ব্রাভো ফিল্মস, ফিল্ম পোস্ট, চেসিং বাটারফ্লাই পিকচার, এবং এমআর-৯ ফিল্মস। জাজের পাশাপাশি পরিবেশনায় ছিলো অ্যাভেইল ইন্টারটেইনমেন্ট ও স্বপ্না স্কেয়ারক্রো। কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পোস্টার প্রদর্শনের পর থেকে প্রচারনায় যোগ দেয় প্রিমিয়ার ইন্টারটেইনমেন্ট।
আরও পড়ুন: ব্যান্ডের বাইরে কখনও নিজেকে নিয়ে চিন্তা করিনি: পার্থ বড়ুয়া
সৃজিতের ‘দশম অবতার’-এ জয়া, সঙ্গে একঝাঁক তারকা
কয়েক মাস আগেই গুঞ্জন উঠেছিল আবারও কলকাতার পরিচালক সৃজিত মুখার্জির সিনেমায় দেখা যাবে জয়া আহসানকে। সেই গুঞ্জন সত্যি হতে চলেছে। সৃজিতের ‘দশম অবতার’-এ অভিনয় করবেন জয়া।
সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করবেন কলকাতার একঝাঁক তারকা। সেই তালিকায় রয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, রূপম ইসলাম, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, অনুপম রায়, যিশু সেনগুপ্ত, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তসহ অনেকে।
আরও পড়ুন: লন্ডনে গানে গানে মাতালো 'সোলস'
জয়া আহসান তার ফেসবুকে সিনেমার নামের লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানের ছবি প্রকাশ করে খবরটি আরও পাকাপোক্ত করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে ওপার বাংলার সব নামজাদা তারকাদের সঙ্গে বাংলাদেশের জয়া আহসানকে।
অন্যদিকে কলকাতার সংবাদমাধ্যমে সৃজিত বলেন, জয়াকে কাস্ট করার অনেক কারণ রয়েছে। প্রথম তিনি সময় দিতে পারছেন। এ ছাড়া তার অভিনয় দক্ষতা ও শেষ কয়েক বছরের পারফর্মেন্স।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সিনেমার বড় বাজার তৈরি হবে: নিরব
সে খুবই চতুর কিন্তু একজন ফ্যামিলি ম্যান: নতুন চরিত্র সম্পর্কে আফরান নিশো
১৭ আগস্ট থেকে হইচই-এর পর্দায় দেখা যাবে ইয়াসির আল হক পরিচালিত প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘সাড়ে ষোল’। এতে ‘রেজা’ চরিত্রে অভিনয় করবেন আফরান নিশো।
হইচই তাদের আসন্ন অরিজিনাল সিরিজে সুপারস্টার আফরান নিশোর নতুন লুক প্রকাশ করেছে।
তারপর থেকেই দর্শকদের মধ্যে বিপুল কৌতূহল আর রোমাঞ্চের জন্ম দিয়েছে। আফরান নিশো’র সাবলীল এবং বহুমুখী অভিনয়ের দক্ষতা তাকে স্ট্রিমিং জগতে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে, যা বিনোদন জগতে একটি সম্পূর্ণ নতুন মাত্রা যোগ করবে।
আফরান নিশো তার প্রতিটি চরিত্রকে সম্পূর্ণরূপে নিজের মধ্যে ধারণ করে, তার এই অভিনয়ের দক্ষতাই তাকে বাকি সবার থেকে আলাদা স্থান করে দিয়েছে। নতুন সিরিজে আফরান নিশো স্বনামধন্য একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির পক্ষে একটি হাই-প্রোফাইল মামলা পরিচালনাকারী একজন আইনজীবীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আইনজীবীর মতো জটিল চরিত্রটি নিজেকে খুব সুন্দরভাবে আবর্তিত করেছে নিশো।
আরও পড়ুন: এবারের ঈদে আসিফ ইকবালের বাজিমাত
পরিচালক ইয়াসির আল হকের প্রথম ওয়েব সিরিজ 'সাড়ে ষোল’ –তে আইনজীবী রেজার গল্প বলা হয়েছে। তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেসটির শুনানিতে যাবার আগের রাতে তার জীবন একটি জটিল মোড় নেয়। আফরান নিশোকে কাইজার চরিত্রে অভিনয়ের পর আবারও এই সিরিজের মাধ্যমে দেখা যাবে হইচই-এর পর্দায়।
এই সিরিজে অভিনয় প্রসঙ্গে প্রতিভাবান অভিনেতা আফরান নিশো বলেন, ‘রেজা একজন অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং সফল আইনজীবী, পাশাপাশি সে খুবই চতুর কিন্তু একজন ফ্যামিলি ম্যান। এটি এমন একটি চরিত্র যা আমাকে খুব আকর্ষণ করেছে এবং আমাকে রেজা হিসেবে দেখার পর দর্শকদের কি প্রতিক্রিয়া হয় তা জানার জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’
নিশো আরও বলেন, ‘ইয়াসির খুব তরুণ, প্রতিভাবান এবং প্রতিশ্রুতিবান একজন পরিচালক। প্রচুর সম্ভাবনা নিয়ে তার সে পরিচালনার ক্যারিয়ার শুরু করছে। ইয়াসির খুবই দক্ষ এবং কাজের প্রতি খুবই নিবেদিত প্রাণ। আসলে, পুরো ‘সাড়ে ষোল’ টিমের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত এবং এই কাজের জন্য তাদেরকে আমি শুভকামনা জানাই।’
ওয়েব সিরিজটির পরিচালক বলেন, ‘এটি আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ এবং আমি ওটিটি-তে অভিষেকের জন্য হইচই-য়ের সঙ্গে কাজ করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। আসলে কোনো শব্দই আমার এই উত্তেজনা সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘‘সাড়ে ষোল’ সিরিজটি একেবারে আমার কমফোর্ট জোনের বাইরে ছিল এবং এ কারণেই আমি এই সিরিজটি দিয়ে আমার ওটিটি যাত্রা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হইচইকে ধন্যবাদ আমার ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য।’
আরও পড়ুন: তারকাদের স্মৃতিচারণে ‘বাবা’
বাংলাদেশে সিনেমার বড় বাজার তৈরি হবে: নিরব
সিনেমাকে জীবনের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছেন নিরব হোসেন। ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খারাপ অথবা ভালো, সবসময়ই ক্যামেরার সামনে ব্যস্ত এই চিত্রনায়ক। প্রায় ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে বড়পর্দায় নিজেকে নিয়মিত রেখেছেন এই তারকা।
চলতি বছর এরইমধ্যে দুটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে নিরবের। এরমধ্যে ঈদুল আজহায় মুক্তি 'ক্যাসিনো' দিয়ে নতুন এক নিরবকে দেখলো দর্শক। এরসঙ্গে প্রশাংসও কুড়ালেন। এই খবরের রেশ না কাটতেই নতুন এক সিনেমার শুটিং শুরু করলেন এই চিত্রনায়ক।
শফিকুল আলম পরিচালিত ‘সুস্বাগতম’ শিরোনামে সিনেমাটির শুটিংয়ে চলতি সময় রাজবাড়িতে ব্যস্ত রয়েছেন নিরব। এরমধ্য দিয়ে আবারো স্পশির্য়ার সঙ্গে জুটি বাঁধলেন তিনি।
নতুন সিনেমাটি প্রসঙ্গে নিরব ইউএনবিকে বলেন, 'গ্রামের প্রেক্ষাপট নিয়ে সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে। যেখানে এক মেয়ের পাইলট হওয়ার স্বপ্নকে তুলে আনা হয়েছে। দুটি সময়ের চরিত্রে আমাকে দেখা যাবে।'
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘সুড়ঙ্গ’
চলতি সময়ে সিনেমার যে জোয়ার চলছে তা অনেকদিন দেখেনি এ দেশের দর্শক। ঈদে সিনেমা মুক্তির সংখ্যা যেমন বাড়ছে পাশাপাশি তেমন আলোচনার কেন্দ্রেও এখন এটি।
বর্তমান এই সময় নিয়ে নিরব বলেন, 'এটি বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আমাদের সিনেমায় যে এখন ফাঁকা আওয়াজ কমেছে। এখন সিনেমা নিয়ে যে আলোচনা চলছে সেটি শুধু ইন্ডাস্ট্রির ভেতরে নয়। সাধারণ দর্শক এখন বাংলা সিনেমা নিয়ে আগ্রহী। তারা খারাপ-ভালো যা রিভিউ দিক, কিন্তু সিনেমা দেখছেন। এই আলোচনাটা খুব দরকার ছিল।'
নিরব আরও বলেন, 'ইন্ডাস্ট্রির আরও একটি সম্ভাবনাময় দিক প্রযোজকরা মুনাফার দেখা পাচ্ছেন। সেটি প্রকাশও হচ্ছে। এতে সামনে বাজেট আরও বাড়বে। বাংলাদেশে সিনেমার বড় বাজার তৈরি হবে।'
আরও পড়ুন: দর্শক আগ্রহে এগিয়ে ‘সুড়ঙ্গ’, ‘প্রিয়তমা’ ও ‘প্রহেলিকা’
ঈদ সিনেমা: আলোচনা বড় শক্তি
লন্ডনে গানে গানে মাতালো 'সোলস'
লন্ডনের মাইল অ্যান্ড স্টেডিয়ামে হাজার হাজার দর্শক-শ্রোতাদের গানে গানে মাতালো দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডদল সোলস।
রবিবার (৯ জুলাই) লন্ডনে ঈদ আনন্দমেলা আয়োজনে অংশ নেয় সোলস। প্রায় ২০ হাজার দর্শক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীতে উপস্থিত ছিলেন লন্ডনে বাংলাদেশের নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিম। এ সময় তিনি সোলসের সদস্যদের হাতে ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ সম্মাননা তুলে দেন।
‘এ এমন পরিচয়’ গানটি দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করে ব্যান্ডটি। এরপর একে একে ‘বৃষ্টি দেখে অনেক কেঁদেছি, কেন এই নিঃসঙ্গতা, ব্যস্ততা দেয় না অবসরসহ জনপ্রিয় গানগুলো পরিবেশন করেন। এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েই সোলসের ৫০ বছর পূর্তির আয়োজন শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে লন্ডনবাসীদের সিলেটি ভাষার ‘কিতা ভাইসাব’ গানটি উপহার দেয় ব্যান্ডটি। এ সময় হাজারো কণ্ঠে গানটি স্টেডিয়াম জুড়ে অন্যরকম উন্মাদনা সৃষ্টি করে। এই আয়োজনে প্রয়াত ব্যান্ড লিজেন্ড আইয়ূব বাচ্চুকে উৎসর্গ করে ‘একদিন ঘুম ভাঙা শহরে’ গানটি পরিবেশন করেন সোলস সদস্যরা।
আরও পড়ুন: এবারের ঈদে আসিফ ইকবালের বাজিমাত
এক মঞ্চে ৩০ ব্যান্ডের কনসার্ট
আগামী ১৩, ১৪ ও ১৫ জুলাই ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) এর হল ৩ এবং হল ৪ এ তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় পপ কালচার ফেস্টিভ্যাল ‘ঢাকা সামার কন ২০২৩’।
ঢাকা সামার কনের এক মঞ্চেই পারফর্ম করবে ৩০টি ব্যান্ড। তিন দিনব্যাপী এই কনসার্টে প্রথম দিন পারফর্ম করবে আটটি ব্যান্ড।
আরও পড়ুন: দর্শক আগ্রহে এগিয়ে ‘সুড়ঙ্গ’, ‘প্রিয়তমা’ ও ‘প্রহেলিকা’
এগুলো হলো- ‘ওল্ড ঢাকা ডায়েরিস’, ‘ফিরোজ জং’, ‘ইন্দালো’, ‘বাংলা ফাইভ’, ‘লেভেল ফাইভ’, ‘ওউনড’, ‘অড সিগনেচার’, ‘ড্যাডস ইন দ্য পার্ক’।
এছাড়া পরিবেশনায় থাকছে হাতিরপুল সেশনস, কে-পপ পারফরম্যান্স, রায়হান ইসলাম শুভ প্রমুখ।
দ্বিতীয় দিন পারফর্ম করবে ‘মেসিয়ানিক এরা’, ‘নেইভ’, ‘এনকোর’, ‘সাবকনশাস’, ‘আফটারম্যাথ’, ‘সোনার বাংলা সার্কাস’, ‘অ্যাশেজ’, ‘ব্রহ্মপুত্র’, ‘ক্রিপটিক ফেইট’ ও ‘আর্টসেল’।
এছাড়া এদিন কে-পপ পরিবেশনা ও র্যাপ ব্যাটেলও থাকছে আকর্ষণ হিসেবে।
শেষ দিনের পরিবেশনায় থাকছে ‘আপেক্ষিক’, ‘মেকানিক্স’, ‘কার্নিভাল’, ‘ব্ল্যাক’, ‘আরবোভাইরাস’, ‘অ্যাভয়েড রাফা’ ও ‘ওয়ারফেইজ’ ব্যান্ডগুলো।
পাশাপাশি পারফর্ম করবেন এ কে রাহুল, ব্ল্যাক জ্যাং ও শাফায়েত।
‘ঢাকা সামার কন’ শুধু কনসার্ট নয়, বরং পপ কালচারের উৎসব। এখানে গান পরিবেশনার পাশাপাশি আরও অনেক আয়োজন থাকছে।
যেমন- কসপ্লে প্রতিযোগিতা, কমিক বই, এক্সপেরিয়েন্স জোন, কিডস জোন, হিপ পপ, কে-পপ, গেমিং, ফুড জোন, প্যানেল আলোচনা ইত্যাদি।
ঢাকা সামার কন ২০২৩’র কনভেনর এবং মিডিয়াকোয়েস্ট বাংলাদেশ-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা তারিকুল সুমন ইউএনবিকে বলেন, ‘দেশের জনপ্রিয় সকল সঙ্গীত ব্যান্ডগুলোর মিলন মেলা হয়ে উঠবে ঢাকা সামার কনের মঞ্চ। শুধু কনসার্ট নয়, দেশের সবচেয়ে বড় পপ কালচার উৎসব হতে যাচ্ছে এটি’।
আরও পড়ুন: এবারের ঈদে আসিফ ইকবালের বাজিমাত
সৌদি আরবের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘সুড়ঙ্গ’
এবারের ঈদে আসিফ ইকবালের বাজিমাত
এবারের ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দীর্ঘদিন পরে দৃশ্যপট যেন বদলে যেতে শুরু করেছে। ঈদে একাধিক ছবির প্রতি কৌতুহলী হয়েছে দর্শকেরা। সিনেমাহলমুখী হয়েছেন বাংলাদেশি দর্শকেরা।
তবে বরাবরই বাংলা চলচ্চিত্রের সাফল্যের পেছনে বা সঙ্গে হেঁটেছে গান। এমনকি অনেক সময় বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য প্রধান ইএসপি হয়ে দাঁড়িয়েছে এর গানগুলো।
আরও পড়ুন: ঈদ সিনেমা: আলোচনা বড় শক্তি
তবে এবারের ঈদে চলচ্চিত্রের গানে বাজিমাত করেছেন গীতিকবি আসিফ ইকবাল।
এবারের ঈদে আলোচিত দুইটি চলচ্চিত্রে তার গান রয়েছে। হিমেল আশরাফের পরিচালনায় শাকিব খান ও ইধিকা পাল অভিনীত চলচ্চিত্র ‘প্রিয়তমা’র টাইটেল গানটি লিখেছেন তিনি। যেটিতে কন্ঠ দিয়েছেন বালাম ও কোনাল।
এছাড়া চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত ‘প্রহেলিকা’র সবকটি গান লিখেছেন আসিফ ইকবাল। এরই ভেতরে এই ছবিটির ‘মেঘের নৌকা’ সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত গান হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছে। গানটি গেয়েছে ইমরান ও কোনাল।
অন্যদিকে ভিউএর দৌড়েও রেকর্ড গড়ছে প্রতিনিয়ত প্রিয়তমা’র টাইটেল ট্র্যাকটি।
আসিফ ইকবালের লেখা একাধিক গান এদেশের রকস্টারসহ একাধিক আধুনিক শিল্পীদের কন্ঠে কালজয় করেছে। এমনকি এদেশের সবচেয়ে বড় ও আলোচিত রিয়েলিটি শো ‘ক্লোজআপ ওয়ান বাংলাদেশ’- এর টাইটেল ট্র্যাকটিও তার লেখা।
তবে চলচ্চিত্রের গানে দেরিতে হলেও তার পদচারণার মুগ্ধতা নিলেন দর্শক-শ্রোতারা।
এ প্রসঙ্গে আসিফ ইকবাল ইউএনবিকে বলেন, ‘গান লিখতে আমার ভালো লাগে। জীবনের সবটুকু আনন্দ নিয়ে আমি গান লিখি। এবারের ঈদে আলোচিত দুটি ছবির গান লেখার দায়িত্ব যখন দিলেন চয়নিকা চৌধুরী ও হিমের আশরাফ’।
তিনি আরও বলেন, ‘সত্যিই এক নতুন অভিজ্ঞতা হলো। আমার লেখনীর মধ্য দিয়ে ছবির গল্প ধরার চেষ্টা করেছি। শিল্পীরাও চমৎকার গেয়েছেন, নির্মাতারাও দারুণ দৃশ্যায়ন করেছেন। সবকিছু ছাপিয়ে গানগুলো যে দর্শকদের মন কেড়েছে সেটিই সবচেয়ে বড় আনন্দের।’
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘সুড়ঙ্গ’
দর্শক আগ্রহে এগিয়ে ‘সুড়ঙ্গ’, ‘প্রিয়তমা’ ও ‘প্রহেলিকা’