������������������
নিউরো আইসিইউতে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সোমবার সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফারুকীর স্ত্রী জনপ্রিয় অভিনেতা নুসরাত ইমরোজ তিশা নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি উল্লেখ করেন।
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আজ (সোমবার) সন্ধ্যা থেকে মোস্তফা একটু অসুস্থ। ডাক্তারের কাছে নিতেই ডাক্তার বলল এনজিওগ্রাম করতে। করা হলো। ছোট একটা ব্রেন স্ট্রোক হয়ছে ওর।’
তিশা আরও বলেন, ‘নিউরো আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) অবজারভেশনে আছে এখন (মোস্তফা)।’
তিনি ফারুকীর জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফারুকী রাজধানীর পান্থপথের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছেন। বর্তমানে চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখলেও এখন শঙ্কামুক্ত।
আরও পড়ুন: ‘তোদের অসভ্যতার শেষ হোক’: ফারুকী
ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সনি লিভে মুক্তি পাচ্ছে ফারুকীর 'শনিবার বিকেল'
সব সময় আমাকে সংগ্রাম করতে হয়েছে: স্বস্তিকা মুখার্জি
ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের এবারের আসরে জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মিলনায়তনে দেখা যাবে কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জির ‘বিজয়ার পরে’ সিনেমা। এটির পরিচালক অভিজিৎ শ্রী দাস। সিনেমাটির প্রদর্শনের সময় ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা।
এই উপলক্ষে এরইমধ্যে ঢাকায় পা রেখেছেন স্বস্তিকা মুখার্জি। রবিবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকা ক্লাবের স্যামসন লাউঞ্জে আয়োজিত ‘উইমেন ইন সিনেমা’ বিষয়ক কনফারেন্সে যোগ দেন এই তারকা। যেখানে গণমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের কাজ নিয়মিত দেখেন স্বস্তিকা। মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী ও আফরান নিশোর বেশ ভক্ত তিনি। বিশেষ করে আফরান নিশোর অভিনয় এই তারকার বেশি পছন্দ বলেও জানান।
আরও পড়ুন: ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আসছে ৭৪ দেশের ২৫২ সিনেমা
স্বস্তিকা বলেন, ‘বিমানবন্দর থেকে আসার সময় এক বিজ্ঞাপনে আফরান নিশোর ছবি দেখে লাফিয়ে উঠি। তার সুড়ঙ্গ সিনেমাটি আমি দুইবার দেখেছি। এছাড়াও তার ওয়েব সিরিজগুলোও দেখা হয়েছে।’
সিনেমায় নিজের চরিত্র বেশ চিন্তা করেই বাছাই করেন স্বস্তিকা। তার কাজগুলোকে অন্য ১০ জনের থেকে আলাদাও করা যায়। নিজের এই চরিত্র নির্বাচন প্রসঙ্গে স্বস্তিকা বলেন, ‘বিভিন্ন সিনেমায় আমি এমন চরিত্রগুলো করেছি, যারা নিজেদের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে জানে। যে চরিত্ররা গতানুগতিক নয়। এমন একটা সময়ও এসেছিল, যখন আমার কোনো সিনেমা সেন্সর বোর্ডে গেলে, সেটা না দেখেই রিভিশন বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। সব সময় আমাকে সংগ্রাম করতে হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিল্পীদেরও একটা দায়িত্ব থাকে, শিল্পী হিসেবে তারা কী ধরনের ন্যারেটিভের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছে অথবা চাইছে না। অসংখ্য তরুণ দর্শক আমার সিনেমা দেখে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলো করে, অনুসরণ করতে চায়। সুতরাং মাথায় সব সময় থাকে, এমন চরিত্র আমার বেছে নেওয়া উচিত, যা সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে। যদিও অভিনয়ই আমার রুটি-রোজগার। তবে, শুধু রোজগারের জন্য আমাদের সিনেমা করা উচিত নয়।’
আরও পড়ুন: নাম্বার ওয়ান কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হলাম: শাকিব খান
রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের পরিবেশনায় মঞ্চে আসছে ‘ক্রীতদাসের হাসি’
নাম্বার ওয়ান কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হলাম: শাকিব খান
এদেশে সিনেমা নিয়ে যত আলোচনা তার বেশিরভাগ শাকিব খানকে ঘিরে। একের পর এক তিনটি সিনেমার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সেগুলো নিয়ে চলছে তুমুল ব্যস্ততা। আর এরমধ্যেই ঢালিউড কিংকে নিয়ে এলো নতুন খবর। এবার কর্পোরেট ব্যবসায় নাম লেখাচ্ছেন তিনি।
একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে যুক্ত হলেন শাকিব খান। যেখানে বিশ্বমানের স্কিনকেয়ার, কসমেটিকস, টয়লেট্রিজ, হোম কেয়ার, পারফিউমসহ নানা পণ্য পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ ছাড়াও শাকিব খানের এই কোম্পানির পণ্য পাওয়া যাবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে।
এ উপলক্ষে শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল ওয়েস্টিনে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন শাকিব খান।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির আর দুই পরিচালক শাহরিয়ার আলম ও আবুল বাশার হাওলাদার এবং প্রধান নির্বাহী এমদাদুল হক সরকার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে নিজের ব্যবসা প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, ‘আমি ভীষণ আনন্দিত। কারণ, যে স্বপ্ন আমি দেখেছিলাম কয়েক বছর আগে, সে স্বপ্নের বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। আমি যখন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শপিং মলে মেড ইন বাংলাদেশ লেখা কাপড় দেখতাম, খুব গর্বিত হতাম। সেই সঙ্গে ভাবতাম, এই কাপড়ের মতো বাকি সব পণ্য, যেমন কসমেটিকস, টয়লেট্রিজ, ইলেকট্রনিকসও যদি আমার দেশে তৈরি হতো, কতই–না অসাধারণ হতো। তখন আমার বন্ধুদের সঙ্গে আমি কথা বলেছিলাম এমন একটা কসমেটিকস, টয়লেট্রিজ, স্কিনকেয়ার ইন্ডাস্ট্রির স্বপ্ন আমি দেখি, যা হবে বিশ্বমানের কিন্তু উৎপাদন হবে আমার দেশে তা হবে সব শ্রেণির মানুষের হাতের নাগালে ও সহজলভ্য আর মানে ও গুণে হবে সেরা।’
শাকিব আরও বলেন, ‘যেহেতু আমি সিনেমার মানুষ। প্রযোজনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আমার রয়েছে। তবে এবার ভিন্ন এক জায়গায়। গণ্ডির বাইরে এসে ব্যবসায়ী হয়ে ওঠা, এটা সত্যিই আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং বিষয়। আপনারা যেমন ভালোবেসে আমাকে নাম্বার ওয়ান বলে ডাকেন, আমিও কিন্তু নাম্বার ওয়ান কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হলাম।’
রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের পরিবেশনায় মঞ্চে আসছে ‘ক্রীতদাসের হাসি’
রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের পরিবেশনায় মঞ্চে আসছে শওকত ওসমান রচিত কালজয়ী উপন্যাস অবলম্বনে নাটক ‘ক্রীতদাসের হাসি’।
আগামী ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হবে নাটকটি।
এর নির্দেশনায় রয়েছেন রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের প্রধান ড. সাইদুর রহমান লিপন।
ক্রীতদাসের হাসি উপন্যাসের প্রেক্ষাপট গড়ে উঠেছে জেনারেল আইয়ুব খানের সামরিক শাসন ও বর্বর স্বৈরশাসন নিয়ে। আইয়ুব খানের অপশাসনের যে গল্পটি খলিফা হারুন অর রশিদের চরিত্রের মাধ্যমে চিত্রায়ণ করা হয়েছে, তা যেন আজও ভাস্বর। সেই গল্পে হাসল না ক্রীতদাস। আইয়ুবি অপশাসনের ইতিহাস উঠে এসেছে নাটকের ভাঁজে ভাঁজে।
আরও পড়ুন: পর্দায় ফিরে বিয়ের খবর দিলেন পল্লব
ক্রীতদাসের হাসি মঞ্চায়ন নিয়ে নাটকটির নির্দেশক ড. সাইদুর রহমান লিপন বলেন, ‘দাস প্রথা বিলুপ্ত হলেও নিউ লিবারেল যুগের বর্তমান আর্থ-সামাজিক বিশ্বব্যবস্থায় দাসত্বের বহুস্তরায়িত রূপান্তর ঘটেছে। ক্ষমতার নিরঙ্কুশ আধিপত্য মানুষের সহজাত চিন্তা ও কর্মের স্বাধীনতাকে সংকুচিত করে নিয়ত পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দি করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু সংখ্যক মানুষ আজ বিশ্বায়নের যুগে শাসনক্ষমতার কৌশলী ব্যবস্থাপনায় সুবোধ শান্ত আজ্ঞাবহ গোষ্ঠীতে পরিণত হচ্ছে। এরূপ এক নতুন বাস্তবতায় শওকত ওসমানের ‘ক্রীতদাসের হাসি’ যুগস্পর্শী ও সমকালীন।’
নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছে রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঞ্চ ও পোশাক পরিকল্পনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের প্রভাষক মহসিনা আক্তার, আলোক পরিকল্পনায় ও অভিনয় তত্ত্বাবধানে ধীমান চন্দ্র বর্মণ, সহকারী নির্দেশক আব্দুর রাজ্জাক।
দর্শকরা ১০০০, ৫০০, ৩০০ ও ২০০ টাকা মূল্যের টিকিটের মাধ্যমে নাটকটি উপভোগ করতে পারবেন। অনলাইন মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহের জন্য https://www.tuca.edu.bd/ticketskritodasherhashi লিংকে ক্লিক করুন অথবা রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যর্থনা শাখায় সরাসরি যোগাযোগ করুন ০১৩২২৮৪৪০৩২ নম্বরে। নাটকটির পৃষ্ঠপোষকতা করছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
আরও পড়ুন: যেভাবে ‘ওস্তাদ’ হয়ে ওঠেন রশিদ খান
ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আসছে ৭৪ দেশের ২৫২ সিনেমা
‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’- এই স্লোগানে শনিবার (২০ জানুয়ারি) পর্দা উঠবে ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ আয়োজিত এই উৎসব চলবে আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
বাংলাদেশসহ ৭৪টি দেশের ২৫২টি সিনেমা নিয়ে শুরু হচ্ছে ৯ দিনব্যাপী এই উৎসব।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে আগামী শনিবার বিকাল ৪টায় জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং উপমহাদেশের প্রখ্যাত অভিনেত্রী শ্রীমতি শর্মিলা ঠাকুর বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
২০২৪ সালের এই উৎসবে ১০টি বিভাগে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, ট্রিবিউট, বাংলাদেশ প্যানারোমা, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, চিল্ড্রেন্স ফিল্ম, স্পিরিচ্যুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম এবং উইমেন্স ফিল্ম বিভাগ।
উৎসবকালে দেশি-বিদেশি চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হবে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ, বাংলাদেশে শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর অডিটরিয়াম ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাডেমির মিলনায়তনে। এসব মিলনায়তনের সব প্রদর্শনী সবাই বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবেন। আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় ‘আগে এলে আগে দেখবেন’ ভিত্তিতে আসন বণ্টন করা হবে। তবে উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানটি উপভোগ করবেন কেবল আমন্ত্রিত অতিথিরা।
উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল জানান, এবারের চলচ্চিত্র উৎসবে উপস্থিত থাকবেন ইরানের খ্যাতিমান নির্মাতা মাজিদ মাজিদি, ভারতের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মীলা ঠাকুর, স্বস্তিকা মুখার্জি, অঞ্জন দত্তসহ বিভিন্ন দেশের নামকরা সব তারকা।
সংবাদ সম্মেলন আরও জানানো হয়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর প্রদর্শন করা হবে- ইরানি পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজম নির্মিত ও জয়া আহসান অভিনীত ‘ফেরেশতে’ এবং বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজিত ও শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত সিনেমা ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’।
২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সবার আকর্ষণ এবার ‘মাস্টার ক্লাস’-এ! কারণ মাস্টার ক্লাস নিতে যাচ্ছেন ইরানি সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ‘চিলড্রেন অব হেভেন’, ‘বারান’ ও ‘সং অব স্প্যারো’র মতো বিশ্বনন্দিত সিনেমার পরিচালক মাজিদ মাজিদি। এছাড়া মাস্টার ক্লাসের দু’টি ভিন্ন সেশনে কথা বলবেন চীনের সাংহাই ফিল্ম অ্যাসোসিয়েশনের ডেপুটি চেয়ার শি চুয়ান এবং ভারতের নির্মাতা, অভিনেতা ও গায়ক অঞ্জন দত্ত। ২৭ জানুয়ারি দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে মাস্টার ক্লাসটি।
মাস্টারক্লাসের সেশনগুলো পরিচালনা করবেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সমালোচক বিধান রিবেরু। মাস্টারক্লাস শেষে পরিবেশিত হবে অঞ্জন দত্তের সংগীত। এই চারটি সেশনের জন্যই অগ্রিম নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন লিংক উৎসবের ফেসবুক পেইজে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন মুজতবা জামাল।
এছাড়া আগামী ২২ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৪টায় জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে ‘ওয়াইড অ্যাঙ্গেল’ সেকশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি থাকবেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং সাংহাই ফিল্ম অ্যাসোসিয়েশনের ডেপুটি চেয়ার শি চুয়ান।
আরও পড়ুন: ‘হুব্বা’ দুই বাংলার দর্শককে আকৃষ্ট করবে: মোশাররফ করিম
২১ থেকে ২২ জানুয়ারি উৎসবের অংশ হিসেবে চলচ্চিত্রে নারীর ভূমিকা বিষয়ক ‘দশম আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্ম মেকারস্ কনফারেন্স’ ঢাকা ক্লাবের স্যামসন লাউঞ্জের তৃতীয় তলায় অনুষ্ঠিত হবে। কনফারেন্সে দেশি-বিদেশি নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা ও ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে মত বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী নির্মাতারা অভিজ্ঞতা অর্জনের একটি সুযোগ পাবেন।
এখানে নারী নির্মাতারা তাদের কাজ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাসমূহ এবং উত্তরণের উপায় নিয়ে বিশ্বের খ্যাতিমান নারী নির্মাতাদের সঙ্গে মত বিনিময় করবেন। বিশ্ব পরিবর্তনে নারীর নেতিবাচক ও ইতিবাচক ভূমিকা এবং প্রতিবন্ধকতা থেকে সমাধানের উপায়সমূহ উঠে আসবে এই কনফারেন্সে।
২১ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টায় ‘দশম আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্ম মেকারস্ কনফারেন্সের’ উদ্বোধনী দিনে কিশওয়ার কামালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থাকবেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি। মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে এ পর্বটি উদ্বোধন করবেন অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর সাদেকা হালিম।
উৎসবের অংশ হিসেবে আগামী ২৩-২৬ জানুয়ারি আঁলিয়স ফ্রঁসেজ গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হবে নির্মাতাদের মিথস্ক্রিয়ামূলক চার দিনব্যাপী সেমিনার ও কর্মশালা ‘ওয়েস্ট মিট ইস্ট: চিত্রনাট্য প্রতিযোগিতা’। এই আয়োজনে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য পাবে ৫ হাজার মার্কিন ডলার, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী চিত্রনাট্য পাবে ৩ হাজার মার্কিন ডলার এবং তৃতীয় স্থান জয়ী চিত্রনাট্য পাবে ২ হাজার মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: সিনেমাটি নতুন বছরের অনন্য পাওয়া: বুবলি
উৎসবের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, ইরানি চলচ্চিত্র পরিচালক মাজিদ মাজিদি এবং ভারতীয় অভিনয়শিল্পী শর্মিলা ঠাকুর। ২৮ জানুয়ারি এ উৎসবের পর্দা নামবে।
উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল বলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশের সর্বাধিক মর্যাদাসম্পন্ন ও চলচ্চিত্র উৎসব। এটি দেশে রুচিসম্পন্ন ও ইতিবাচক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে ব্যাপক অবদান রাখছে বলে আমরা মনে করি। রেইনবো’র এই উৎসব তরুণ ও প্রতিশ্রুতিশীল চলচ্চিত্র নির্মাতাদের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র ধারার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি প্লাটফর্ম তৈরি করতে যেমন সফল হয়েছে, তেমনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অনুরূপ ধারাকে বলিষ্ঠ করেছে। সারা বিশ্বের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নতুন নতুন চলচ্চিত্র সিনেমাপ্রেমীদের উপহার দেওয়াই উৎসবের মূল লক্ষ্য।
উৎসবে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস ও সামিট গ্রুপ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উৎসব কমিটির চেয়ারপারসন কিশওয়ার কামাল, গবেষক মফিদুল হক, নাট্যজন ম হামিদ, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, নির্মাতা আকা রেজা গালিব, ফাখরুল আরেফিন খান, আরিফুর রহমান ও চলচ্চিত্র সমালোচক বিধান রিবেরুসহ অনেকে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সাল থেকে নিয়মিত এই চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করে আসছে রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি। এই সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৭৭ সালে।
আরও পড়ুন: 'টপ গান থ্রি' নির্মাণ হচ্ছে কি?
‘হুব্বা’ দুই বাংলার দর্শককে আকৃষ্ট করবে: মোশাররফ করিম
আগামী ১৯ জানুয়ারি কলকাতার সঙ্গে বাংলাদেশেও মুক্তি পাচ্ছে মোশাররফ করিম অভিনীত সিনেমা ‘হুব্বা’। কলকাতার প্রযোজনার এই সিনেমা নির্মাণ করেছেন ব্রাত্য বসু।
হুব্বা শ্যামল পশ্চিমবঙ্গের ‘হুগলির দাউদ ইব্রাহিম’ হিসেবে পরিচিত। আর এই চরিত্রেই দেখা যাবে মোশাররফ করিমকে।
সিনেমাটি প্রসঙ্গে কলকাতার এক সংবাদমাধ্যমে নির্মাতা ব্রাত্য বসু জানান, সুপ্রতিম সরকারের একটি বই পড়ে তার এই চরিত্রটা ভালো লেগেছিল। তখনই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এখানে সিনেমা তৈরির অনেকগুলো উপাদান আছে।
আরও পড়ুন: 'টপ গান থ্রি' নির্মাণ হচ্ছে কি?
সিনেমাটিতে পুলিশের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। এছাড়াও অভিনয় করেছেন পৌলমী বসু, শ্রাবণী দাস, সৌমিক হালদার প্রমুখ।
‘হুব্বা’ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে মোশাররফ করিম বলেন, ‘দর্শকের প্রত্যাশা আরও বাড়বে। পূর্ণতা না পাওয়ার কারণই নেই। কারণ চরিত্রটিই অসাধারণ। এই চরিত্রের অনেক স্তর, তারপর মানসিক দিকগুলোতে অভিনয়, পরিশেষে সেই চরিত্রটি হয়ে ওঠা এবং গল্পটি যেভাবে বলা হয়েছে এসব কারণেই মনে হচ্ছে দর্শক নিরাশ হবেন না। গল্পটা যেভাবে বলা হয়েছে সেটা পূর্ণতা পাবেই।’
মোশাররফ আরও বলেন, ‘হুব্বা দুই বাংলার দর্শককে আকৃষ্ট করবে। তারা সিনেমাটি দেখে মজা পাবেন। আর নিজের কাজ নিয়ে আমি সব সময়ই আত্মবিশ্বাসী। কারণ ওই কাজটির সঙ্গে আমার সততা, শ্রম ও প্রত্যাশা মিশে থাকে।’
উল্লেখ্য, সাফটা চুক্তির অধীনে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে একই দিনে বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে ‘হুব্বা’। এটি আমদানি করেছে জাজ মাল্টিমিডিয়া।
আরও পড়ুন: সিনেমাটি নতুন বছরের অনন্য পাওয়া: বুবলি
ভিকির সিরিজে ভিন্ন লুকে সিয়াম-সাফা-মনোজ
শিগগিরই চরকির প্ল্যাটফর্মে আসতে যাচ্ছে মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের গল্প অবলম্বনে ভিকি জাহেদের পরিচালনায় চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘টিকিট’। সিয়াম, সাফা, মনোজসহ এই সিরিজে আছেন আবদুল্লাহ আল সেন্টু, জয়রাজ, এ কে আজাদ সেতু, মাহমুদ আলম, বাদল শহীদ, মার্শিয়া শাওন, রেজান শোভন, জান্নাতুল ফেরদৌস রাইসা, কে এস এম আরাবি মওদুদ প্রমুখ।
একদম ভিন্ন লুকে দেখা মিলবে সিয়াম আহমেদকে।
আরও পড়ুন: তাসনিয়া রহমানের জীবনের কেন এই করুণ পরিণতি?
সিয়াম গণমাধ্যমে বলেন, ‘এই সিরিজে আমার চরিত্রের নাম সালেক। এই চরিত্রটা আমি ঠিক কতখানি করতে পারব সেটা নিয়ে আমার মাঝে বেশ সংশয় ছিল। তবে ভিকি ভাই সবচেয়ে বেশি কনফিডেন্ট ছিলেন। সাহস দিয়েছেন। উনার কারণেই আমি সালেক চরিত্রটা করতে পেরেছি। চরিত্রের দুইটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। একটা হচ্ছে, সালেকের চরিত্র একেবারেই আলাদা হতে হবে। যাকে আলাদাভাবে ভাগ ভাগ করে ডিটারমাইন্ড করা যায়। আর দ্বিতীয়টা হচ্ছে সালেক হ্যাজ টু লুক ডিফারেন্ট ফ্রম এভরিওয়ান। তার কিছু আন্ডারটোনড পার্ফমেন্স, তার কিছু কনফিডেন্সের অভাব। এই জিনিসগুলোর সঙ্গে আসলে তার লুকস, তার এপিয়ারেন্স অনেকটা রিলেটেড। সালেকের জন্য ওয়েট গেইন করতে হয়েছে।’
এই সিরিজে বেশ সাহসী চরিত্র ও ভিন্ন লুকে অভিনয় করে চমক দেখিয়েছেন সাফা কবির।
সাফা বলেন, ‘এই কাজটা বেশ কিছু কারণে আমার জন্য বিশেষ। আমি আগে কখনও এমন চরিত্রে অভিনয় করিনি। সেই সঙ্গে গল্পটা আসলে ডার্ক কমেডি, থ্রিলার ও স্যাটায়ার মিলিয়ে। আর চরিত্র করতে গিয়ে ভালোই কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। কারণ আমার বেড়ে উঠার সঙ্গে সিরিজের চরিত্রের আকাশ-পাতাল তফাৎ ছিল।’
আরও পড়ুন: পর্দায় ফিরে বিয়ের খবর দিলেন পল্লব
পরিচালক ও সহ-শিল্পীদের নিয়ে সাফা বলেন, ‘ভিকি ভাইয়ের গল্পসহ কাজের ভক্ত আমি। আমরা এক সঙ্গে বেশ কিছু কাজ করেছি। সহশিল্পী হিসেবে সিয়াম খুবই একনিষ্ঠ একজন অভিনেতা। তার মতো কঠোর পরিশ্রমী অভিনেতা খুব কমই। আর মনোজ দা টিচারের মতো। উনার থেকে চরিত্র পোর্টেট করতে সাহায্য পাই। সব শিল্পী কাজের জন্য সর্বোচ্চ পরিশ্রম করেছে।’
মনোজ প্রামাণিক আরেকটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়েছেন। নিজের চরিত্র নিয়ে মনোজ বলেন, ‘সিরিজে আমার চরিত্র আর বাস্তবে আমি দুইটা দুই মেরুর চরিত্র। এই চরিত্রটা করতে আমার কাছে খুব মজা লেগেছে। আর এই চরিত্রটা করতে গিয়ে আমার এক ছাত্রকে কিছুটা অনুকরণ করার চেষ্টা করেছি। কেননা ওর চরিত্রটা এরকম। আর সব চরিত্রই পোট্রেট করা অভিনেতাদের জন্য চ্যালেঞ্জের। সিরিজটা টান টান উত্তেজনার একটা গল্প। আশা করি, দর্শক কাজটা পছন্দ করবে।’
আরও পড়ুন: সিনেমাটি নতুন বছরের অনন্য পাওয়া: বুবলি
পর্দায় ফিরে বিয়ের খবর দিলেন পল্লব
নব্বই দশকের পরিচিত মুখ মডেল-অভিনেতা পল্লব। দীর্ঘদিন পর বিরতি ভেঙে ফের পর্দায় এসে নিজের বিয়ের খবর দিলেন তিনি।
১১ বছরের প্রেমের পর গত বছরের ১৩ জুলাই বিয়ে করেন ওয়াহিদা রাহিকে।
পল্লব গণমাধ্যমে বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি ও মার্চে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ের খবরটি প্রকাশ্যে আনতে চেয়েছিলাম। এখন খবরটি প্রকাশ্যে এলেও কোনো সমস্যা নেই। আমরা তো বিয়ে করেছি। সবাই আমাদের তাদের প্রার্থনায় রাখবেন এটুকু প্রত্যাশা করছি।’
পল্লব বলেন, ‘ছেলের বউ পেয়ে মা এখন খুব খুশি। মায়ের খুশিতেও আমিও খুশি।’
রাহি বলেন, ‘আমি টুকটাক ফটোশুটের কাজ করতাম। পল্লবের সঙ্গেও একটা কাজ করেছি, নির্মাতা আশরাফুল আলম রিপন ভাইয়ের একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে। এরপর ফোনে কথা বলতাম। আমাদের দেখাও হতো। ঘুরতে বের হতাম। একজন আরেকজনকে পছন্দ করতাম। যখন দেখলাম, পল্লব খুবই ভালো মানুষ, ভাবলাম আমার আগামী জীবনের মানুষ হিসেবে তাকেই চাই। ঠিক দুই বছর আগে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরপর দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে গত বছর বিয়েটা করে ফেললাম।’
উল্লেখ্য, ‘অপারেশন জ্যাকপট’ দিয়ে ফের বড়পর্দায় আসছেন পল্লব। মুক্তিযুদ্ধের কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত এই সিনেমায় তাকে এসএম গুপ্তা চরিত্রে দেখা যাবে।কানিজ
সিনেমাটি নতুন বছরের অনন্য পাওয়া: বুবলি
একসময় শাকিব খান ছাড়া বড়পর্দায় দেখা যেত না শবনম বুবলিকে। আর সেই চিত্রনায়িকা এখন ঢালিউডের অন্যতম ব্যস্ত তারকা।
ব্যক্তিগত বিভিন্ন চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যেও ক্যারিয়ারে অটল রয়েছেন তিনি। ২০২৩ সালে আরও ভালোভাবে তার প্রমাণ দেন বুবলি।
বুবলির নতুন বছরটা শুরু হলো নতুন এক খবর দিয়ে। কলকাতার সিনেমায় দেখা যাবে তাকে। নাম ‘ফ্ল্যাশব্যাক’।
আরও পড়ুন: শুটিংয়ে হবু বরের সঙ্গে পরিচয় মৌসুমীর
টলিউডের সিনেমা হলেও এর পরিচালক বাংলাদেশের রাশেদ রাহা ও গল্প লিখেছেন বাংলাদেশের খাইরুল বাশার নির্ঝর।
আর এতে আরও অভিনয় করবেন কৌশিক গাঙ্গুলি, সৌরভ দাস।
‘ফ্ল্যাশব্যাক’ সিনেমার কলকাতার অংশের কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। বাকি শুটিং হবে ডুয়ার্সে।
প্রথমবার টালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ নিয়ে বুবলি গণমাধ্যমে বলেন, ‘টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে এটা আমার প্রথম ছবি। এতে সহশিল্পী হিসেবে আছেন কৌশিক গাঙ্গুলি স্যার ও সৌরভ দাস দাদার মতো অভিনেতা। এমন একটি ছবিতে কাজের মাধ্যমে বছর শুরু হওয়া সৌভাগ্যের। সবকিছু মিলে মনে হচ্ছে বিশেষ কিছুই হতে যাচ্ছে। সিনেমাটি নতুন বছরের অনন্য পাওয়া।’
আরও পড়ুন: গাঁটছড়া বাঁধলেন অর্ষা-নূর
বুবলি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও এখানকার মধ্যে বড় মিল হলো ভাষাগত। যদিও আমাদের একই ভাষা কিন্তু দুই বাংলাতেই মিষ্টি-দুষ্টু একটা ভাব আছে। আর ভালোবাসাটা ভাগাভাগি হয়ে গেছে। বাংলাদেশ-কলকাতায় আমরা মিলেমিশে একাকার। ঢাকা থেকে কলকাতা আসতে ৩০-৪০ মিনিট লাগে। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যে ব্যারিকেড, নিয়ম-কানুন, ভিসা- এতো কিছু না থেকে যদি অবাধ যাতায়াত হতো তাহলে মনে হয় আরও বেশি ভালো হতো। অবশ্য এটাতে কিছু করার নেই। কারণ, দেশের জায়গা থেকে মেইনটেইন করতে হয়। তবে দুই ইন্ডাস্ট্রির আবেগ ভালোবাসা শেয়ার হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ‘দেয়ালের দেশ’, ‘মায়া: দ্য লাভ’, ‘তুমি যেখানে আমি সেখানে’সহ এ বছরে মুক্তির অপেক্ষায় বুবলির বেশ কয়েকটি সিনেমা।
আরও পড়ুন: 'টপ গান থ্রি' নির্মাণ হচ্ছে কি?
গাঁটছড়া বাঁধলেন অর্ষা-নূর
শোবিজে চলছে বিয়ের হিড়িক। এবার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন অভিনেত্রী নাজিয়া হক অর্ষা ও অভিনেতা মোস্তাফিজুর নূর ইমরান।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি প্রকাশ করে খবরটি নিশ্চিত করেছেন অর্ষা।
আরও পড়ুন: যেভাবে ‘ওস্তাদ’ হয়ে ওঠেন রশিদ খান
ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘প্রকৃতি আর পরিবার নিয়ে এখন আমি থেকে আমরা। আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা বিবাহিত।’
জানা যায়, দুই থেকে তিন মাস আগে দুই পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে ঘরোয়া আয়োজনে বিয়েটা সেরেছেন তারা।
আরও পড়ুন: 'টপ গান থ্রি' নির্মাণ হচ্ছে কি?