%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE
গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে ৬ খাবার
গরমে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা। আর তাই গরমে ক্লান্তি ও ডিহাইড্রেটেশন কমাতে আমাদের এমন খাবার খাওয়া উচিত, যেগুলো শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করে এবং সারাদিন কর্মশক্তি ধরে রাখে। তাই গরমে এই খাবারগুলো হতে পারে আপনার পানিস্বল্পতা দূর করার হাতিয়ার।
বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী শুক্রবার
দেশে আগামীকাল শুক্রবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।
এ উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটির দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও পালিত হবে।
বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
কারাগারে থেকে এবং কারাগারের বাইরেও বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি যখন ভাষা আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়, তখন বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন পালন করছিলেন।
ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির সব বড় আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন শেখ মুজিব।
বঙ্গবন্ধু তার গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে সংগঠিত করেছিলেন। ১৯৭১ সালে ৯মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
বঙ্গবন্ধু যখন সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন পরাজিত ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চক্র তাকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করে।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তা বাড়ানো হয়েছে।
দিবসটি পালনে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
সকাল ৭টায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এ সময় তিনি গার্ড অব অনার প্রদান করবেন এবং দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার পালিত হবে বঙ্গবন্ধুর ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’
সারাদেশে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্মরণীয় দিন হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় মঙ্গলবার দেশজুড়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হচ্ছে।
২০১৭ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেসকো) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রের সামনে যে যুগান্তকারী ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন।
লক্ষাধিক স্বাধীনতাকামী জনতার সামনে বঙ্গবন্ধু তার ১৯ মিনিটের অসামান্য ভাষণে শোষক পাকিস্তান সরকারের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
বিশাল জনসভা থেকে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা’।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ মঙ্গলবার
তার এই ভাষণকে প্রায়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের ঐতিহাসিক গেটিসবার্গের ভাষণের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন, যেহেতু আমরা রক্ত দিতে শিখেছি, আমরা আরও রক্ত দেব। ইনশাআল্লাহ, এদেশের মানুষকে মুক্ত করেই ছাড়ব…ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলব। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে (শত্রু) মোকাবিলা কর।
সেদিন বঙ্গবন্ধুর দেয়া সেই ভাষণ জাদুমন্ত্রের মতো কাজ করেছিল, যা সমগ্র জাতিকে তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক জান্তার স্বৈরাচারী ও দমনমূলক শাসন থেকে স্বাধীনতার সংগ্রামে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের পাশাপাশি দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, রেডিও স্টেশন ও জাতীয় দৈনিকগুলোতে দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের স্মরণে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালনের লক্ষ্যে মন্ত্রিসভা ২০২০ সালের ৭ই অক্টোবর ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’-এর পরিবর্তে ‘ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু আমাদের জন্য নয়, সারা বিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে। একটি ভাষণ কীভাবে সমগ্র জাতিকে জাগিয়ে তুলতে পারে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে পারে, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের বিশ্ব স্বীকৃতি আজ বাঙালি জাতির জন্য সম্মান ও গৌরবের স্মারক। আমি বিশ্বাস করি 'জয় বাংলা' স্লোগান এবং জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে অনুপ্রাণিত করবে।
আরও পড়ুন: সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা ৭ মার্চের ভাষণে শতাধিক ভুল: তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে
ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
১৬০ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়লেন নাজমুন নাহার
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ১৬০ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়েছেন নাজমুন নাহার। ভ্রমণে বাংলাদেশের পতাকাবাহী নাজমুন নাহার বিশ্ব মানচিত্রে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সকল বাধা-বিঘ্নকে অতিক্রম করে নারীর অগ্রযাত্রায় আজও যারা অবদান রাখছেন, তাদেরই একজন আমাদের গর্বিত নারী নাজমুন নাহার।
বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা হাতে যিনি পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশ একাকী সড়ক পথে ভ্রমণ করেছেন। ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি নাজমুন নাহার ১৬০ তম দেশ হিসেবে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর পূণ্যভূমি সৌদি আরবের মাটিতে পা রাখেন।
এরই মধ্যে তিনি দেশটির বিভিন্ন শহর যেমন- রিয়াদ, জেদ্দা ও মক্কা সফর করেন এবং ওমরাহ পালন করেন। তারপর নিজ দেশের মাটিতে ফিরে আসেন। তিনি বিশ্ব শান্তির বার্তা ও পরিবেশ সচেতনতায় তরুণ ও শিশুদেরকে উৎসাহিত করেন।
দেশে ফিরেই ২৪ শে ফেব্রুয়ারি রোটার্যাক্ট দক্ষিণ এশিয়া সম্মেলনে নাজমুন নাহার দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ৪৫০ জন প্রতিনিধির সামনে তার বিশ্ব ভ্রমণের সাহসিকতার গল্প তুলে ধরেন।
নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য, বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকাকে বহন করার জন্য এবং বিশ্বব্যাপী তরুণদেরকে উৎসাহিত করার জন্য এই সম্মেলনে সকল প্রতিনিধিদের সামনে রোটেশিয়ার পক্ষ থেকে নাজমুন নাহারকে বিশেষ সম্মাননা ‘রোটেশিয়া লেজেন্ডস অ্যাওয়ার্ড’- দেয়া হয়।
বন- জঙ্গল, পর্বতমালা, মহাসমুদ্র, মরুভূমির লাখ লাখ মাইল একাকী পাড়ি দিয়ে আসা তার বিশ্বভ্রমণের এই অভিযাত্রাকে অভিনন্দিত করেন এশিয়া থেকে আসা সকল প্রতিনিধিরা।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন আয়োজিত 'মিট দ্য সেলিব্রেটি’- সেশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সারাদেশ থেকে আসা তরুণ ডিবেটারদেরকে উৎসাহিত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘সাকসেস অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ পেলেন বিশ্বজয়ী নাজমুন নাহার
রাজধানীতে পুষ্টিবিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন
বাংলাদেশের মা, কিশোর ও শিশুদের পুষ্টির অবস্থার উন্নয়নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে পুষ্টি শাসন এবং অপুষ্টির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা প্রকল্প। এই প্রকল্পকে দৃশ্যমানভাবে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড আয়োজিত একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
রাজধানীর কলা কেন্দ্রে ‘পুষ্টি চিত্র: সমন্বিত অংশগ্রহণেই পরিবর্তন’ শীর্ষক এই প্রদর্শনী শুরু হয় ২ মার্চ। যা চলবে ৬ মার্চ পর্যন্ত। প্রদর্শিত হবে প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
প্রদর্শনীতে উপকূলীয় বাংলাদেশের বাগেরহাটের কমিউনিটির পরিবর্তনের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। ছবিগুলো স্থানীয় জনগণের অভিজ্ঞতাকে প্রতিফলিত করে যারা তাদের পুষ্টি এবং খাদ্য সুরক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে। শ্রোতারা তাদের পরিবর্তনের যাত্রা সম্পর্কে জানতে এবং তাদের নিজস্ব খাদ্য পছন্দ ও সম্পর্কিত আচরণের জন্য অনুপ্রেরণা পেতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: আলোকচিত্র প্রদর্শনী 'প্রত্যাশা: অভিবাসীদের আশা' শুরু মঙ্গলবার
ছবি ও গল্পগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থনের প্রভাব উপস্থাপন করে ও স্থানীয় পুষ্টি প্রকল্পের প্রভাবকে তুলে ধরে এবং প্রাসঙ্গিক অভিনেতাদের সঙ্গে জাতীয় পর্যায়ে নীতি রক্ষণাবেক্ষণে অবদান রাখে।
রাজধানীতে পুষ্টিবিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে পদ্মা সেতুর আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর
কবি সম্পদ বড়ুয়ার কাব্যগ্রন্থ ‘মৌনতার কোলাহল’ প্রকাশ
রোমান্টিক কবি সম্পদ বড়ুয়ার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘মৌনতার কোলাহল' । জীবনের সকল অভিজ্ঞতা কবি পরম মমতায় নিজের ঝুলিতে তুলে নিয়ে নাটাই সুতোর মতো একটু একটু করে ছেড়ে দেন কল্পনার সীমাহীন আকাশে যেখানে ডানা মেলে উড়ছে কবিতার বাঁধনছেড়া ঘুড়ি। উপমা-উৎপ্রেক্ষা, অনুপ্রাস আর শব্দের দ্যোতনায় এ কাব্যগ্রন্থে ফুটে উঠেছে কবিতার শত শত ফুল ।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়ার কবিতার বই 'মৌনতার কোলাহল' প্রকাশিত হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি । বইটি প্রকাশ করেছে প্রকাশনী সংস্থা অন্যপ্রকাশ। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন।
বইটিতে বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা, প্রেম বিরহ, করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন বিষয়ে ৭০টি কবিতা রয়েছে।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বইটির লেখক সম্পদ বড়ুয়া, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, অন্যপ্রকাশ এর প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম এবং পরিচালক আব্দুল্লাহ নাসের উপস্থিত ছিলেন।
সম্পদ বড়ুয়া কবি, অনুবাদক, গল্পকার। জন্ম চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার হাইদচকিয়া গ্রামে। পেশায় সরকারি কর্মজীবী। বর্তমানে সরকারের সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন । চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ সরকারের বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক ফিন্যান্সে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন । কলেজজীবনে ছড়া, গল্প, কবিতা লেখার মাধ্যমে লেখালেখি শুরু। সেই সময় থেকে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তার প্রচুর ছড়া, গল্প, কবিতা, অনুবাদকর্ম । মূলত কবিতাই তার প্রধান আরাধ্য।
প্রকাশিত গ্রন্থ : আলবার্তো মোরাভিয়ার গল্প (জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ, ২০০৩), বার্ট্রান্ড রাসেল-আত্মকথা-১ম খণ্ড (সাহিত্যিকা, ২০০৪) আফ্রিকার প্রাণীদের গল্প (বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, ২০১৫, পুনর্মুদ্রণ ২০২২), গল্প দেশে দেশে (হাক্কানী পাবলিশার্স, ২০১৫), কত দেশ কত গল্প (বেঙ্গল পাবলিশার্স, ২০১৮), কাজুও ইশিগুরোর গল্প (অন্যপ্রকাশ, ২০২০)।
নতুন ৩০টি বই প্রকাশ করল স্পর্শ ব্রেইল ফাউন্ডেশন
‘মানুষ দৃষ্টিহীন বলেই অন্ধ নয়, মানুষ মূলত প্রজ্ঞাহীন বলেই অন্ধ’-এই স্লোগানে ১৫ বছর আগে স্পর্শ ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয়। আর প্রায় এক যুগ ধরে একুশে বইমেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এই ফাউন্ডেশনের স্টল রয়েছে। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে দৃষ্টিজয়ীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের গল্প ও উপন্যাসের বই।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) স্পর্শ ব্রেইল ফাউন্ডেশন থেকে নতুন ৩০টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউসের তথ্যকেন্দ্রের সামনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, লেখক ও অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম, লেখক ফরিদ আহমেদ দুলাল, সিসিমপুরের মহাব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম, স্পর্শ ফাউন্ডেশনের প্রধান উদ্যোক্তা নাজিয়া জেবিন।
এছাড়া এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন দেশের নানা প্রান্ত থেকে বিভিন্ন বয়স ও পেশার দৃষ্টিহীন মানুষ। আনুষ্ঠানিকভাবে বিকালে তাদের হাতে বই তুলে দিয়েছে স্পর্শ ফাউন্ডেশন।
আরও পড়ুন: ৫০টি ভাষায় বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের বই প্রকাশ করল বেলারুশ
পবিত্র শবে মেরাজ আজ
যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে দেশে পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হবে।
সারা পৃথিবীর মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানরা পরম করুণাময় আল্লাহর রহমত কামনা করেন এবং সারাদেশের মসজিদ ও বাড়িতে বাড়িতে প্রার্থনা করবেন।
নবী মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সে দিনের সম্মানে প্রতি বছর ২৬ রজব রাতে মুসলমানরা শবে মেরাজ উদযাপন করেন।
ইসলাম ধর্ম অনুসারে, ‘বুরাক’ নামক এক বিশেষ বাহনে করে মহানবী (সা.) মসজিদ আল-হারাম থেকে মসজিদ আল-আকসায় ভ্রমণ করেন। সেখান থেকে তিনি বেহেশত ও দোযখ পরিদর্শন করেন। সে রাতে আল্লাহ নবীকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: পবিত্র শবে মেরাজ ১৮ ফেব্রুয়ারি
পবিত্র শবে কদর পালিত
সারাদেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে কদর
ইয়ুথ গ্লোবালের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে শিল্প-সংস্কৃতির ১৪ প্লাটফর্ম
শিল্প-সংস্কৃতির ১৪ প্লাটফর্মকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশের অন্যতম বড় যুব সংগঠন ইয়ুথ গ্লোবাল ফাউন্ডেশন।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মাদানি এভিনিউ সংলগ্ন ‘ইচ্ছে বাড়ি’তে শিল্পী-কলাকুশলীদের নিয়ে আয়োজিত ‘আসুন আলাপ করিয়ে দেই’ শিরোনামে এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন ইয়ুথ গ্লোবালের চেয়ারম্যান ড. সীমা হামিদ।
গুরুকুল অনলাইন লার্নিং নেটওয়ার্কের তত্ত্বাবধানে গড়ে ওঠা শিল্প-সংস্কৃতিবিষয়ক ১৪টি প্লাটফর্ম হচ্ছে- সেতার গুরুকুল, বেহালা গুরুকুল, বাঁশি গুরুকুল, আমার রবীন্দ্রনাথ, আমার নজরুল, অভিনয় গুরুকুল, চলচ্চিত্র গুরুকুল, ফাইন আর্টস গুরুকুল, বাচিকশিল্প গুরুকুল, নৃত্য গুরুকুল, তবলা গুরুকুল, শাস্ত্রীয় সঙ্গীত গুরুকুল, লোকগান গুরুকুল, সঙ্গীত গুরুকুল।
প্লাটফর্মগুলো বর্তমানে শিল্প-সংস্কৃতির ১৪টি বিশেষায়িত শাখা নিয়ে কাজ করছে।
আয়োজকরা জানান, ইয়ুথ গ্লোবাল ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিটি প্লাটফরম থেকে বছরে একজন শিক্ষার্থী বা গবেষককে এগিয়ে দিতে বৃত্তি দেয়া হবে। এছাড়া ইয়ুথ গ্লোবালের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতি বছর ওই ১৪টি প্লাটফর্ম থেকে প্রতিটি খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেয়া হবে।
ড. সীমা হামিদ জানান, এই প্লাটফর্মগুলো জন্য তার ফাউন্ডেশন এক্সেলেটর হিসেবে কাজ করবে। এগুলো এতদিন এসব বিষয়ের শিক্ষা নিয়ে কাজ করছিল। তার ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় শিক্ষার পাশাপাশি তারা শিল্পগুলোর ভিত্তি মজবুত করা ও সম্প্রসারণের কাজ করবে।
তিনি বলেন, ‘এসব প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে যারা যথাযথ মেধা ও আগ্রহের পরিচয় দিতে পারবেন, তাদের মধ্য থেকে একজনকে প্রতি বছর আমরা স্কলারশিপের আওতায় নিয়ে আসব। অর্থাৎ মোট ১৪টি স্কলারশিপ আমরা দেব। স্কলারশিপ হতে পারে দেশে-বিদেশে অধিকতর তালিমের জন্য, হতে পারে নিবেদিত হয়ে রেয়াজ করার জন্য। আবার ওই বিষয়ে গবেষণার জন্যও হতে পারে।’
ড. সীমা হামিদ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, গুণী মানুষদের সম্মান জানানোর মাধ্যমে আরও গুণী মানুষ তৈরিতে উৎসাহ দেয়া যায়। ফলে আমরা তাদের সম্মাননাও দেব।’
চট্টগ্রামে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলা শুরু আজ
চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে ৩০তম মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। আজ (১৬ ফেব্রুয়ারি) নগরীর রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে এ মেলার উদ্বোধন করা হবে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ মেলার উদ্বোধন করবেন।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রতি বছরের মতো এবারও মেলায় ভারত, থাইল্যান্ড, ইরানসহ বিভিন্ন দেশ তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা
মেলায় ২০টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ৫৬টি প্রিমিয়ার স্টল, ৯৪টি স্বর্ণের স্টল, ৪৮টি মেগা স্টল ও ১১টি ফুড স্টল থাকবে। মেলায় তিনটি পৃথক জোনে ৪০০টি স্টলে ৩০০টি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে।
মেলা প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিন শিফটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
এছাড়া বাণিজ্য মেলায় ১২ হাজার ৩২০ বর্গফুটের একটি উন্মুক্ত প্লাজা রয়েছে।
মেলায় প্রবেশের জন্য দর্শনার্থীদের ২০ টাকা দিতে হবে। তবে প্লে গ্রুপ থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৩ এর উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর