%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE
মধু দিয়ে মজাদার পাঁচ পদ
মধু এক প্রকারের মিষ্টি-ঘন তরল, যা একাধারে খাদ্য ও ওষুধ। মৌমাছি ও অন্যান্য পতঙ্গ ফুলের নির্যাস থেকে মধু তৈরি করে মৌচাকে সংরক্ষণ করে। বিভিন্ন খাদ্য প্রস্তুতিতে এর ব্যবহার চিনির চেয়েও বেশি স্বাস্থ্যকর।
মধুর গুণাগুণ ও উপকারিতা
মৌমাছি ফুল থেকে ফুলের রেণু ও মিষ্টি নির্যাস সংগ্রহ করে নিজেদের পাকস্থলীতে রাখে। তারপর তাতে মৌমাছির মুখ নিঃসৃত লালা মিশ্রিত হয়ে রাসায়নিক জটিল বিক্রিয়ায় মধু তৈরি হয়। এরপর মুখ থেকে মৌচাকে মধু জমা করে। ঠাণ্ডা কমাতে মধুর বিকল্প নেই।
মধুর পুষ্টিগুণ
মধুতে রয়েছে ৪৫টিরও বেশি খাদ্যগুণ। এরমধ্যে কয়েকটি হলো-গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ, মন্টোজ, অ্যামাইনো অ্যাসিড, খনিজ লবণ, এনকাইম, ক্যালরি, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন বি৬, আয়োডিন, জিংক, কপার, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান।
আসুন জেনে নেয়া যাক খাদ্য ও ঔষধি গুণসম্পন্ন মধু দিয়ে তৈরি কয়েকটি খাবারের পদ সম্পর্কে-
বিশ্ব ইজতেমার প্রথমপর্ব শুরু
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হয়েছে তাবলীগ জামাতের ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথমপর্ব। শুক্রবার বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হকের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে কোন ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই এ ইজতেমা শুরু হয়।
দুপুরে ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণকালের বৃহত্তম জুমার নামাজ। জুমার নামাজ পড়াবেন বাংলাদেশের তাবলীগের মুরব্বি মাওলানা হাফেজ জোবায়ের আহমদ। আগামী রবিবার দুপুরের আগে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রথমপর্ব।
জানা গেছে, বার্ধক্যজনিত কারণে ইজতেমা ময়দানে আরও একজন মুসল্লী মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: আগামীকাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা শুরু
মাশরুমের পাঁচ পদের সহজ রেসিপি
মাশরুম এক ধরনের ছত্রাক। আমাদের দেশে এটি ব্যাঙের ছাতা নামে বহুল পরিচিত। অ্যাগারিকাস ছত্রাকের মাংসল কোমল ও ভঙ্গুর বীজাধারই হলো মাশরুম। এদের অধিকাংশই ব্যাসিডিওমাইকোটা, তবে কিছু অ্যাসকোমাইকোটার অন্তর্ভুক্ত।
চীন, কোরিয়া, জাপানসহ ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশে কয়েক ধরনের মাশরুম খাবার হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বাংলাদেশেও আধুনিক খাবার হিসেবে মাশরুমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটছে।
পুষ্টি উপাদান
কাঁচা অথবা রান্নাকৃত মাশরুম স্বল্প-ক্যালরিযুক্ত খাদ্য হিসেবে স্বীকৃত। কাঁচা অবস্থায় এতে ভিটামিন বি থাকে। যাতে রিবোফ্লোবিন নায়াসিন ও প্যান্টোথেনিক এসিড এবং প্রয়োজনীয় বিভিন্ন খনিজ উপাদান থাকে।
এছাড়াও অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে মাশরুমে ভিটামিন ডি২ তৈরি হয়।
আসুন পুষ্টিগুণসম্পন্ন ও মুখরোচক এই খাবারটির পাঁচটি পদ রান্না সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
আগামীকাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা শুরু
মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা আগামীকাল শুক্রবার ফযরের নামাজের পর শুরু হচ্ছে। ইজতেমায় অংশ নিতে তাবলীগের মুসুল্লীদের আগমনে এরই মাঝে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরের ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।
এবারও ইজতেমাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীর হাজার হাজার কর্মী তৎপর রয়েছেন। তবে ইজতোমার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্টি রয়েছে তাদের। শীতে ঠাণ্ডাজনিত রোগবালাই বেড়ে যেতে পারে, তাই স্বাস্থ্যক্যাম্প বসানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্যাম উদ্বোধন করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
জানা গেছে, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় বার্ধক্যজনিত কারণে এরই মধ্যে দুই মুসল্লি মারা গেছেন।
ইসলাম ও ইজতেমার দাওয়াতের কাজে তাবলীগ জামাতের যারা মসজিদে মসজিদে বিভিন্ন মেয়াদের চিল্লায় ছিলেন তারা এরই মধ্যে প্যান্ডেলে ঠাঁই নিয়েছেন।লাখ লাখ মুসুল্লীর অবস্থানের জন্য বিশাল প্যান্ডেলকে খিত্তায় খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। জেলা অনুযায়ি খিত্তায় খিত্তায় ঠাঁই না পেয়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন মাঠের পাশে খোলা আকাশের নিচে।
তবে মুসুল্লিদের আগমন এবার বেড়েছে এবং আগের চেয়ে নানা সুযোগ-সুবিধা বাড়লেও আরও বাড়ানোর দাবি রয়েছে তাদের।
এদিকে ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, ইজতেমার ময়দানে এবং বিমানবন্দর থেকে আসা-যাওয়ার পথে বিদেশি মুসল্লিদের জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। দেশীয় মুসল্লীদের জন্য ময়দান ও ময়দানের আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম।
প্রতিবারের মতো এবারও ওয়াচ টাওয়ার, সিসি ক্যামারায় মনিটরিং, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা তৎপরতাসহ নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে ইজতেমা মাঠকে ঘিরে। ইজতেমার দেশী-বিদেশী শীর্ষ পর্যায়ের মুরৃব্বীরা তাবলীগের ৬ ওসুলের ওপর বয়ান করবেন।
গত কয়েক বছর থেকে তাবলীগের দুই গ্রুপ আলাদা করে একই জায়গায় ইজতেমা করছেন। প্রথম পর্যায়ে মাওলানা হাফেজ জোবায়ের পন্থি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ভারতের মাওলানা সাদ পন্থি তাবলীগ জামায়াত সদস্যরা ইজতেমা করবেন। দুই গ্রুপের ইজতেমায় দেশীয় মুসুল্লিদের সঙ্গে বিদেশি মুসল্লীগণ এই ময়দানে সমবেত হবেন এবাদত-বন্দেগী ও আল্লাহকে রাজি খুশি করার মাধ্যমে পরকালের চির শান্তির আশায়।
করোনা মহামারি পরিস্থিতির কারণে গত দু'বছর বিশ্ব ইজতেমা হয়নি। দু'বছর পর এবার দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি এবং মাঝখানে চারদিন বিরতি দিয়ে ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
রেওয়াজ অনুযায়ী আখেরী মোনাজাত হবে প্রতি পর্বের ইজতেমার শেষদিনে। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে: আইজিপি
বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শীতের ছয়টি মজাদার পিঠার রেসিপি
পিঠা আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার। বাংলাদেশে সারা বছর বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি হয়। তবে পিঠা তৈরি ও খাওয়ার জন্য শীতকাল সবচেয়ে ভালো মৌসুম। শীতের সকাল পিঠা খাওয়ার উপযুক্ত সময়। পিঠা বাঙালির জীবন ও সংস্কৃতির একটি অংশ। বেশিরভাগ পিঠাই মৌসুমী। বিশেষ করে শীতের মৌসুমেই ঘরে ঘরে পিঠা তৈরি করা হয়। কারণ কিছু উপাদান শুধুমাত্র এই সময়েই পাওয়া যায়। কিছু পিঠা নবান্ন এবং পৌষ পার্বণের মতো ফসল কাটার উৎসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
পিঠা তৈরির জন্য চালের গুড়ো, নারকেল, গুড়, দুধ, তেল ইত্যাদির প্রয়োজন হয়। এটা নির্ভর করে পিঠার ধরনের ওপর। কিছু পিঠা মিষ্টি আবার কিছু নোনতা, কিছু নরম আবার কিছু শক্ত।
শীতকালের ছয়টি মজাদার পিঠার রেসিপি তুলে ধরা হল-
১. পাটিসাপটা
পাটিসাপটা হল একটি পাতলা সুইডিশ প্যানকেক বা ক্রেপ ধরনের পিঠা, খুব বিশেষ এবং বাঙালিদের কাছে খুব পছন্দের। এটি ছাড়া কোন বিশেষ অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হয় না। অনেক বৈচিত্র্য থাকতে পারে, কখনও কখনও গুড়ের সঙ্গে প্রস্তুতকৃত নারকেলের মিশ্রণে ব্যবহার করা হয় এবং কখনও কখনও ক্ষীর বা ক্ষীরশা ব্যবহার করা হয়। অনেকে জাফরান, শুকনো বাদাম এবং কিশমিশ ব্যবহার করে থাকে।
পাটিসাপটা পিঠা করতে যা লাগবে-
উপকরণ:
দুধ ২ লিটার,
চিনি ৫০০ গ্রাম,
সুজি দুই টেবিল চামচ,
মিহি নারিকেল কোরা আধা কাপ,
চালের গুঁড়া ১ কেজি,
ময়দা আধা কাপ,
ভাজার জন্য তেল,
পানি পরিমাণ মতো
চিনি স্বাদমতো
প্রস্তুত প্রণালী:
প্রথমে অর্ধেক চিনি আর দুধ ঘন করে জ্বাল দিতে হবে। এবার তার ভেতর সুজি আর নারিকেল কোরা ছেড়ে ক্ষীর তৈরি করে নিতে হবে। ক্ষীর ঘন হলে নামিয়ে রাখুন। চালের গুঁড়া, বাকি চিনি, পানি আর লবণ দিয়ে পাতলা গোলা করে নিন। ফ্রাই প্যানে সামান্য তেল নিয়ে গরম করে নিতে হবে। এবার আধা কাপ গোলা দিয়ে একটা পাতলা রুটির মতো বানিয়ে নিন। রুটির ওপরের দিকে শুকিয়ে এলে এক টেবিল চামচ পরিমাণ ক্ষীর দিয়ে মুড়িয়ে পাটিসাপটার আকার দিয়ে আরেকবার ভেজে নিন। এভাবে একটি একটি করে পিঠা বানিয়ে নামিয়ে আনুন। ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন মজার পাটিসাপটা পিঠা।
এপিসোডস অব হার গেজ: ঢাকা লিট ফেস্টে মাকসুদা ইকবাল নিপার প্রাণবন্ত চিত্রকর্মের মোড়ক উন্মোচন
বিখ্যাত চিত্রশিল্পী মাকসুদা ইকবাল নিপার প্রাণবন্তভাবে তৈরি করা বিমূর্ত চিত্রকর্মগুলোর ক্যালিডোস্কোপিক জগৎ ব্যক্ত করে কসমস বুকস দশম ঢাকা সাহিত্য উৎসব বা ঢাকা লিট ফেস্টে (ডিএলএফ) 'এপিসোডস অব হার গেজ'-এর মোড়ক উন্মোচন করেছে।
কসমস বুকস থেকে প্রকাশিত নিপার জাঁকজমকপূর্ণ শিল্পকর্মের এটি প্রথম প্রকাশনা। শুক্রবার রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে ডিএলএফ-এর কসমস বুকস স্টলে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন ইউএনবি’র ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন স্ট্র্যাটেজিস্ট নাবিলা রহমান।
কসমস বুকসকে তার প্রথম চিত্রকর্মের সমষ্টিগত প্রকাশনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মাকসুদা ইকবাল নিপা বলেন যে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে তিন বছরের বিরতিতে এই বছরের ডিএলএফে ফিরে আসতে পেরে তিনি সম্মানিত হয়েছেন।
নিপা ইউএনবিকে বলেন, ‘বইটির ধারণাটি আমার সমসাময়িক শিল্পকর্মগুলো থেকে প্রতিফলিত হয়েছে, যা আমি জাপানে আমার স্নাতকোত্তর অধ্যয়নের সময় শুরু করেছিলাম। এই বইটিতে আমার বেশ কয়েকটি প্রদর্শনীর ২০০টির মতো শিল্পকর্ম রয়েছে এবং এটি শিল্পী ও শিল্প লেখক জাভেদ জলিলের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদিও এই প্রকাশনাটি এর আগে জাতীয় জাদুঘরে আমার একক প্রদর্শনীর সময় ও পরে ঢাকা আর্ট সামিট-এ প্রকাশ করা হয়েছিল। এই প্রকাশনার মাধ্যমে এই প্রথম আমার চিত্রকর্মের সমষ্টি ডিএলএফে প্রদর্শিত হচ্ছে।’
বইটি সম্পাদনা করেছেন ক্যাথরিন গ্রেস গার্ডেনার ও মুবিন শাদমান খান এবং লেআউট ও ডিজাইন তৈরি করেছেন এআরকে রিপন। বইটির জন্য তার শিল্পকর্মের ছবি তুলেছেন নিপার স্বামী; স্বনামধন্য শিল্পী মোহাম্মদ ইকবাল, এআরকে রিপন, হোসেন শহীদ ইকো, মিজানুর রহমান খোকা, রেজাউল হক, রাসেল চৌধুরী ও সৌরভ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: কসমস ফাউন্ডেশনের প্রদর্শনীতে আলেকজান্দ্রু পোটেকা ও নিপার শিল্পকর্ম
বইটিতে প্রয়াত অস্ট্রেলিয়ার চিত্রগ্রাহক ডক্টর জিম ফ্রেজিয়ারের একটি মুখবন্ধও রয়েছে, যিনি ক্যামেরার পেছনে একজন পথপ্রদর্শক এবং স্যার ডেভিড অ্যাটেনবোরোর সঙ্গে কাজ করেছেন। একাধিক পুরস্কার বিজয়ী এই প্রকৃতিবিদ ২০১৫-২০১৬ সালে যখন বাংলাদেশে ছিলেন তখন নিপার কাজের প্রেমে পড়ে যান।
বিমূর্ত চিত্রকলার উজ্জ্বল জ্ঞানের সঙ্গে একজন দক্ষ চিত্রশিল্পী ও প্রাণবন্ত বিমূর্ততার জন্য পরিচিত মাকসুদা ইকবাল নিপা ১৯৯৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে তার বিএফএ (ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং) ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০২ সালে তিনি জাপানের আইচি ইউনিভার্সিটি অব এডুকেশনে পোস্ট-গ্রাজুয়েট রিসার্চ কোর্সে (অয়েল পেইন্টিং) ভর্তি হন। নিপা ২০০৪ সালে আইচি ইউনিভার্সিটি অব এডুকেশন থেকে ফাইন আর্টস (পেইন্টিং) বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। জাপানে থাকাকালীন নিপার শৈল্পিক শৈলীটি প্রতিনিধিত্বমূলক থেকে তার নিজস্ব ধাঁচের বিমূর্ততায় ব্যাপকভাবে বিকশিত হয়।
ফরাসিতে একটি বচন রয়েছে যে ‘আর্ট ফর আর্ট’স সেক’ বা শিল্পের জন্য শিল্প – এর একজন প্রবক্তা হিসেবে নিপার যাত্রা সর্বদাই স্বাধীন এবং কোনো নির্দিষ্ট শিক্ষামূলক, নৈতিক, উপযোগী বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণ না করার জন্য অবিচল। নিপার শিল্পকর্মগুলো বিমূর্ত, আবেগপ্রবণ, একজন নারী ও একজন ব্যক্তি হিসেবে তিনি প্রতিদিন যে কষ্ট সহ্য করেন তার ভিজুয়াল ডায়েরি।
তিনি সম্প্রীতির আকাঙ্ক্ষা ও যে নিপীড়নের মুখোমুখি হন তা থেকে পালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা থেকেই শিল্পকর্মগুলো তৈরি করতে অনুপ্রাণিত হন। নিপীড়ন থেকে মুক্তি বলতে কী বোঝায় তা আবিষ্কার করার সময় তিনি বড় ক্যানভাসে তৈলচিত্র তৈরি করেন ও পরীক্ষা করেন।
একজন নারী ও শিল্পী হিসেবে নিপার যাত্রা হল জন্মের স্থান, দীর্ঘকাল ধরে চিন্তাভাবনা ও নীরব কল্পনার অস্পষ্ট উড্ডয়ন নিয়ে পরিশ্রম করা। তার সচিত্র পরামিতি হল দেখা, অদেখার ক্ষেত্র ও চোখ দিয়ে নেয়া তথ্যের মুহূর্তগুলোর গ্রহণ। কিন্তু তার যোগসূত্র হল পরিবেশের সংবেদনশীল অচেতন মিলনের সঙ্গে যেখানে সে পালিয়ে বেড়ায়, সেখানে সুখের সন্ধান করা।
কৌতূহল ও সন্দেহের আবরণের আড়ালে লুকিয়ে থাকা শব্দগুলো তার কল্পনাপ্রসূত চিন্তার ক্ষেত্র।
আরও পড়ুন: ‘ধারণার চেয়েও বেশি’: মধ্যযুগে বাংলায় হাবশি শাসন এবং আফ্রিকা-ভারত সংযোগ সম্পর্কে ড. কেনেথ রবিন্স
একজন শিল্পী হিসেবে নিপার অভ্যন্তরীণ মেজাজ ও লুকানো আত্মার স্মৃতিচারণ হছে- একটি অন্বেষণ, যা তিনি অস্থির তাগিদ ও মেজাজের নীরব আভাস দিয়ে ধ্যান করেন। যা ক্যানভাসের বিদ্যমান স্ব-দৃষ্টিতে থাকা ডায়েরির সঙ্গে ধীরে ধীরে বেঁচে থাকে।
নিপা তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর, ফ্রান্সের প্যারিসে ইউনেস্কোর সদর দপ্তর, জাপানের টয়োটা মিউনিসিপ্যাল আর্ট মিউজিয়াম, যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাস আর্ট মিউজিয়াম, কোরিয়ার সিউলের ইয়ংওন কর্পোরেশনসহ দেশ-বিদেশে অসংখ্য একক ও দলীয় শো করেছেন। তিনি তার নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কর্তৃক সম্মানিত হয়েছেন। নিপা জাপান, চীন ও বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য পুরস্কার ও অনুদান পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'আফ্রো-দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায়ের মধ্যকার ঐতিহাসিক ও অনাবিষ্কৃত সম্পর্কের বিষয়ে মনোযোগ বাড়ানো প্রয়োজন'
বাংলাদেশে পয়েন্ট অব কেয়ার টেস্টিংয়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে: শাবি অধ্যাপক
বর্তমানে বাংলাদেশে পয়েন্ট অফ কেয়ার টেস্টিং বা ডায়াগনসিসের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়েছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. গোকুল চন্দ্র বিশ্বাস।
শনিবার বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এতথ্য জানান।
তিনি জানান, পয়েন্ট অব কেয়ার টেস্টিং বা ডায়াগনসিস হলো এমন একটা প্রক্রিয়া, যেখানে মাইক্রো অথবা ন্যানো স্কেলের ডিভাইস বা চিপ ব্যবহার করে কোন ব্যক্তি নিজ বাসভবন বা কর্মক্ষেত্রে বসে অথবা নিকটবর্তী ক্লিনিকে দ্রুত সময়ে স্বল্প খরচে রোগ নির্ণয় করতে পারেন।
এছাড়াও বর্তমানে তার তত্ত্বাবধানে মাইক্রোফ্লুইডিক ভিত্তিক পয়েন্ট অব কেয়ার টেস্টিং নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চালু হয়েছে। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যানবেইজ কর্তৃক গবেষণা অনুদানের মাধ্যমে ক্যান্সার এবং সংক্রামক ব্যাধির জন্য পয়েন্ট অব কেয়ার টেস্টিং বা ডায়গনোসিস সিস্টেম ডেভেলপ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অধ্যাপক ড. গোকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, যেমন দু’টি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে-আমাদের দেশে প্রতিনিয়তই ডায়াবেটিস টেস্ট করার জন্য গ্লুকোমিটার ও চিপ ব্যবহার করা হয়; অপরদিকে প্রেগনেন্সি টেস্ট স্ট্রিট ব্যবহার করে গর্ভধারণের পজেটিভ অথবা নেগেটিভ রেজাল্ট নির্ণয় করা হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ১০দিনব্যাপী 'কিনে'র বইমেলা
এ দুক্ষেত্রেই ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না বরং মানুষ ঘরে বসেই তাদের প্রয়োজন সম্পাদন করতে পারেন। উন্নত বিশ্বে সংক্রামক ও অসংক্রামক ব্যাধিকে লক্ষ্য করে প্রচুর পরিমাণে পয়েন্ট অব কেয়ার টেস্টিং এর গবেষণা চলছে। এই টেস্টগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলো অনেক বেশি লাভবান হতে পারে কারণ রোগীকে ডাক্তারের শরণাপন্ন কম হতে হয়, এবং ক্লিনিক বা হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
এতে করে অর্থ ও সময় দু’দিক থেকেই লাভবান হওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তকরণকে ধরা যাক। যখন সারা বিশ্ব ঝুঁকেছে করোনাভাইরাসের জেনোম সিকুয়েন্সিং করার জন্য যাতে করে সুনির্দিষ্ট ভাবে করোনা শনাক্ত করা যায় তখন ল্যাটেরাল ফ্লো স্ট্রিপ ভিত্তিক এন্টিবডি টেস্ট বাজারে চলে এসেছে; যদিও এটা কনফার্মেটরি টেস্ট নয় তারপরও এ ধরনের টেস্ট অনেক উপকারী, কারণ ঘরে বসেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
অপরদিকে কিছু দিন পর, এই ল্যাটেরাল ফ্লো স্ট্রিপ বা বিভিন্ন চিপ ভিত্তিক নিউক্লিক এসিড টেস্ট বা কনফার্মেটরি টেস্টও বাজারে এসেছে।
গতানুগতিক আরটি-পিসিআর ল্যাবের প্রয়োজন ছাড়াই পয়েন্ট অফ কেয়ার টেস্টিং মানুষের কর্মস্থলে রোগ শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া পৌঁছে দিতে পারে।
এই ধরনের ডিভাইস বা রোগ নির্ণয় পদ্ধতি মূলত নির্ভর করে মাইক্রোফ্লুইডিক টেকনোলজি এর ওপর জানিয়ে অধ্যাপক গোকুল চন্দ্র বলেন, মাইক্রোফ্লুইডিক টেকনোলজি হল মাইক্রো লিটার আয়তনের সলিউশন বা রিএজেন্ট নিয়ে চিপের মধ্যে অল্প পরিমাণ বস্তু যেমন প্রোটিন বা ডিএনএ/আরএনএ বা অন্য কোন রাসায়নিক দ্রব্য নির্ণয় করা হয়।
আমাদের দেশে এ ধরনের রিসার্চ বা গবেষণার তেমন প্রচলন নেই। উন্নত বিশ্বে অনেকেই উচ্চ শিক্ষার সময় এই টেকনোলজি নিয়ে কাজ করেন কিন্তু বাংলাদেশে এসে গবেষণা অর্থের অভাবে তেমন সুবিধা করে উঠতে পারেন না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের তেমন কোন গ্রুপ এখনো এ ধরনের টেকনোলজি নিয়ে কাজ করে তেমন সুফল পাননি। এর কারণ এই গবেষণার জন্য চিপ তৈরি বা প্রাথমিক দ্রব্যাদি প্রচুর অর্থনৈতিক সাহায্য দরকার। প্রচন্ড আগ্রহের কারণে তিনি স্বল্প বাজেটের প্রজেক্ট এর মাধ্যমে এই গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেছেন।
রাসায়নিক দ্রব্যাদির প্রতূলতা সাপেক্ষে এবং নিরলস কাজ করে যেতে পারলে আগামী বছরের মধ্যে ঘরে বসে মাইক্রোফ্লুইডিক ডিভাইস বা চিপ এবং ল্যাটারাল ফ্লো স্ট্রিপ এর মাধ্যমে ক্যান্সার অথবা সংক্রামক ব্যাধি শনাক্ত করনের গবেষণা সম্পন্ন হবে।
এছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় একই সঙ্গে চার ধরনের ক্যান্সারের প্রাথমিক শনাক্তকরণ সম্ভব হতে পারে। তার ওপরে চেষ্টা করা হবে যাতে করে একই টেস্টের মাধ্যমে ক্যান্সারের স্টেজ বলা যায় কিনা অর্থাৎ কোন পেজের ক্যান্সার সেটা নির্ণয় করা সম্ভব হবে। প্রথমে খালি চোখে ক্যান্সার শনাক্তকরণের চেষ্টা করা হবে অর্থাৎ কলোরিমেট্রিক বা ফ্লুরোসেন্স ভিত্তিক বায়োসেন্সিং সিস্টেম ডেভলপ করা হবে।
পরবর্তীতে ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল ডিটেকশন সিস্টেম তৈরি করার চেষ্টা করা হবে যাতে করে নিখুঁতভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রোগ নির্ণয় সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ম্যাথ চ্যালেঞ্জে শাবিপ্রবির ৯ শিক্ষার্থীর সিলভার ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন
‘ধারণার চেয়েও বেশি’: মধ্যযুগে বাংলায় হাবশি শাসন এবং আফ্রিকা-ভারত সংযোগ সম্পর্কে ডা. কেনেথ রবিন্স
বাংলায় হাবশী রাজবংশের চমকপ্রদ ইতিহাস (১৪৮৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৪৯৩ খ্রিস্টাব্দ) তুলে ধরে বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক গবেষক, আর্কাইভিস্ট ও কিউরেটর ডা. কেনেথ এক্স রবিন্স বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার বিশেষ সময়ের ইতিহাস যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘বাংলায় ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য জায়গায় আফ্রো-দক্ষিণ এশীয় রাজবংশের উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রয়েছে। ধর্ম, বর্ণবাদ, সঙ্গীত ইত্যাদি সম্পর্কিত আকর্ষণীয় গল্প রয়েছে। ইতিহাসবিদদের এই সমস্ত ইতিহাস এক করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ-এ দেয়া জাতীয় অধ্যাপক আতোয়ার হোসেন মেমোরিয়াল লেকচার-২০২৩ এ দেয়া বক্তৃতায় ডা. রবিন্স এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘হাবশী শাসক ও তাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে বিবিন্ন গল্প প্রচলিত আছে, যেমন- মালিক আন্দিল (সুলতান সাইফুদ্দিন ফিরুজ শাহ) । (আমরা শুধু জানি) তিনি জনগণের প্রতি খুব উদার ছিলেন কিন্তু আসলে তিনি কী করেছিলেন তা আমরা জানি না। তার ছেলে শামসুদ্দিন মোজাফফর শাহ তার স্থলাভিষিক্ত হন এবং তিনি এই বংশের শেষ শাসক। তিনিও একজন দানশীল ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
আফ্রিকানদের বাংলায় মসজিদ নির্মাণ ও তাদের সংস্কৃতিকে এঅঞ্চলে বিস্তারের বিভিন্ন গল্পও আমরা জানি। এই সবই খুব চমকপ্রদ …এগুলো বাংলার ইতিহাসের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি এসময় ভারত মহাসাগরের পাড়ের বাঙালি ও আফ্রিকানদের বিষয়ে লেখা একটি বইয়ের কথা উল্লেখ করেন। যে বইটি তিনি নিজে, কসমস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাহার খান এবং লখনৌ ও এর সংস্কৃতি বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্রিটিশ স্কলার ড. রোজি লেভেলিন-জোনস এমবিই মিলে সম্পাদনা করেছেন।
বইটিতে বাংলার আফ্রিকান অভিজাত,বাংলার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র, বিদেশে বাঙালি এবং বাঙালি মুসলমান বংশোদ্ভূত আমেরিকান সঙ্গীতশিল্পী বরদু আলীর মতো সঙ্গীতঙ্গের নামে কয়েকটি অধ্যায় রয়েছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় অধ্যাপক আতোয়ার হোসেন ট্রাস্ট ফান্ড ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক।
আরও পড়ুন: 'ব্রেভহার্ট': বঙ্গবন্ধুকে গ্যালারি কসমসের শৈল্পিক শ্রদ্ধা নিবেদন
দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে টোটাল ফিটনেস ডে
শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্মিক সব দিক থেকে ফিটনেস অর্জনের আহ্বান নিয়ে দেশব্যাপী প্রথমবারের মতো পালিত হতে যাচ্ছে ‘টোটাল ফিটনেস ডে’। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) ‘সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন’-প্রতিপাদ্য নিয়ে সারা দেশে দিবসটি উদযাপন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।
২০২৩ সাল থেকে প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের প্রথম শুক্রবার দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সকাল ৭টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে সচেতনতামূলক বিশেষ সেশনের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: স্তন ক্যান্সার সচেতনতায় গোলাপি সড়ক শোভাযাত্রা ও সেমিনার
ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠানে ছিল- যোগ ব্যায়াম, শারীরিক ভারসাম্য পরীক্ষা বা বডি ব্যালান্স টেস্ট, সচেতনতামূলক বুলেটিন-ব্রোশিউর বিতরণসহ রয়েছে আলোচনা, প্রাণায়াম ও মেডিটেশন। শরীর চর্চাকারী ও স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি করা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও দিবসটি উদযাপন করে। সারাদেশের বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে এ ধরনের শতাধিক সেশন আয়োজিত হয়।
দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য টোটাল ফিটনেস নিয়ে মানুষের ভেতর যথাযথ সচেতনতা তৈরি করা। একজন মানুষের ভালো থাকা মানে সব দিক থেকেই ভালো থাকা। সব দিক মানে শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্মিক এই চারটি দিকেই ভালো থাকা। সব দিক থেকে ফিট থাকলেই সার্বিকভাবে ভালো থাকা সম্ভব। তাই চার ক্ষেত্রের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ফিটনেস দরকার। দরকার টোটাল ফিটনেস।
আরও পড়ুন: আত্মহত্যার প্রবণতা: কারণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ
চোখ উঠা রোগের লক্ষণ, কারণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
প্রথমবারের মতো পালিত হবে টোটাল ফিটনেস ডে
শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্মিক সব দিক থেকে ফিটনেস অর্জনের আহ্বান নিয়ে দেশব্যাপী প্রথমবারের মতো পালিত হতে যাচ্ছে ‘টোটাল ফিটনেস ডে’। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) ‘সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন’-প্রতিপাদ্য নিয়ে সারা দেশে দিবসটি উদযাপন করবে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।
২০২৩ সাল থেকে প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের প্রথম শুক্রবার দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এদিন সকাল ৭টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে সচেতনতামূলক বিশেষ সেশনের আয়োজন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্ট্রোক চিকিৎসা সেবায় রুপান্তর নিয়ে আন্তর্জাতিক সায়েন্টেফিক সেমিনার
ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠানে থাকবে- যোগ ব্যায়াম, শারীরিক ভারসাম্য পরীক্ষা বা বডি ব্যালান্স টেস্ট, সচেতনতামূলক বুলেটিন-ব্রোশিউর বিতরণসহ রয়েছে আলোচনা, প্রাণায়াম ও মেডিটেশন। শরীর চর্চাকারী ও স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি করা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও দিবসটি উদযাপন করবে। সারাদেশের বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে এ ধরনের শতাধিক সেশন আয়োজিত হবে।
দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য টোটাল ফিটনেস নিয়ে মানুষের ভেতর যথাযথ সচেতনতা তৈরি করা। একজন মানুষের ভালো থাকা মানে সব দিক থেকেই ভালো থাকা। সব দিক মানে শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্মিক এই চারটি দিকেই ভালো থাকা। সব দিক থেকে ফিট থাকলেই সার্বিকভাবে ভালো থাকা সম্ভব। তাই চার ক্ষেত্রের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ফিটনেস দরকার। দরকার টোটাল ফিটনেস।
আরও পড়ুন: স্তন ক্যান্সার সচেতনতায় গোলাপি সড়ক শোভাযাত্রা ও সেমিনার
আত্মহত্যার প্রবণতা: কারণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ