জীবনধারা
শিশুকে ডেঙ্গু থেকে রক্ষার উপায়
ডেঙ্গু মশাবাহিত ভাইরাল রোগ। সাধারণত বর্ষাকালে এর প্রকোপ বেড়ে যায়। তবে কয়েক বছর ধরে শুধু বর্ষাকালের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই এডিস মশার আক্রমণ। বছরের অনেকটা সময় জুড়েই থাকছে ডেঙ্গুজ্বর। সবচেয়ে বড় আশঙ্কার কথা হলো, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা অনেক বেশি।
শিশুদের ডেঙ্গু সুরক্ষা মূলত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার উপর নির্ভরশীল।
তাই আপনার শিশুকে প্রাণঘাতী এই রোগ থেকে রক্ষা করতে হলে মেনে চলতে হবে কিছু বিষয়।
মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা
মূলত এডিস মশার কামড় এড়িয়ে চলাই ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রধান উপায়।
এডিস মশা সাধারণত আবদ্ধ পানিতে বংশবৃদ্ধি করে। তাই মশার আবাসস্থল ধ্বংস করে মশার বংশবিস্তার প্রতিরোধ করতে হবে।
আপনার বাড়ির কাছাকাছি কোথাও এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী পানি জমে আছে কি না তা খেয়াল রাখুন।
তিন দিন পরপর পানির খালি বোতল, ফুলের টব, ভাঙা বালতি-মগ, পুরোনো টায়ার ও ডাবের খোলা প্রভৃতিতে জমে থাকা পানি ফেলে দিন।
মশা বর্জ্য ও ময়লায় আকৃষ্ট হয়। তাই আপনার বাড়ি ও বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখুন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে কাতর রাজধানী, হাসপাতালে সিট সংকট
মশা নিরোধক ব্যবহার করুন
শরীরের উন্মুক্ত স্থানে মশা ও অন্যান্য পোকামাকড় প্রতিরোধক ক্রিম বা স্প্রে ব্যবহার করুন। তবে এগুলো ব্যবহারের সময় শিশুর বয়স ও শিশুর ত্বকের জন্য ক্ষতিকর কি না সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখুন। প্রতিরোধক কেনার সময় প্যাকেটের গায়ে থাকা নির্দেশনা ভালোভাবে পড়ুন।
মশারি
মশার কামড় থেকে বাঁচতে ঘুমানোর সময় শিশুর বিছানায় মশারি ব্যবহার করুন। বিশেষ করে ভোর ও রাতে ডেঙ্গু মশা সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে, এই সময় যাতে আপনার বাড়িতে মশা ঢুকতে না পারে তা নিশ্চিত করতে এসময়গুলোতে অবশ্যই জানালা-দরজা বন্ধ রাখুন।
সুরক্ষার জন্য পোশাক
শিশু ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় তাদের যথাসম্ভব গা ঢাকা পোশাক পরান। এক্ষেত্রে ফুলহাতা শার্ট ও টি-শার্ট, ফুল প্যান্ট, লম্বা ঝুলের ফ্রক, মোজা ও জুতা পরান।
ডেঙ্গু সচেতনতা
প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনকে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতন করুন। তাদের বাড়ি-ঘর ও আশেপাশের এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে উদ্বুদ্ধ করুন।
স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন এবং শিশুর জ্বর হলে দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব ডেঙ্গু পরীক্ষা করুন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু প্রতিরোধ: বাড়িকে মশামুক্ত রাখার প্রাকৃতিক উপায়
জিমে অনুশীলনের সময় সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়ানোর উপায়
বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
হেনলি পাসপোর্ট সূচকের ২০২৩ সালের তৃতীয় কোয়ার্টারে গবেষণায় বাংলাদেশের পাসপোর্ট ১৯৯ টি দেশের পাসপোর্টের মধ্যে ৯৭তম অবস্থানে। বছরের শুরুতে সূচকের প্রথম সংস্করণে বাংলাদেশ ১০১তম স্থানে ছিল। অর্থাৎ পূর্ববর্তী র্যাঙ্কিং থেকে ৪টি অবস্থান পেরিয়ে উপরে উঠে এসেছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট। হেনলি পাসপোর্ট সূচক মূলত ভিসা ছাড়াই দেশগুলো কতগুলো দেশে যেতে পারে তার উপর ভিত্তি করে পাসপোর্টের মূল্যায়ন করে থাকে। চলুন, এবারের র্যাঙ্কিং অনুসারে, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই কতগুলো দেশে যেতে পারছেন তা দেখে নেয়া যাক।
২০২৩-এ যে দেশগুলোতে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা
ভিসা ফ্রি
এটি বিদেশ ভ্রমণের জন্য এমন এক অনুমতি, যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট দেশের নাগরিক আগে থেকে কোন রকম ভিসা-প্রাপ্তির প্রয়োজন ছাড়াই বিদেশে প্রবেশ করতে পারেন। ভিসা-মুক্ত (Visa Free) এন্ট্রি নামে পরিচিত এই নিয়মের মধ্যে ভ্রমণকারিদের কোনরূপ ভিসা ফি প্রদান করে আনুষ্ঠানিক ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় না। অথচ পর্যটন, ব্যবসা বা পারিবারিক নানা উদ্দেশ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গন্তব্যের দেশটিতে প্রবেশ করতে পারেন। এই সময়কালটি বিভিন্ন দেশের জন্য বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সাধারণত এক সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত হতে পারে।
২০২৩ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া ১৮টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। এই দেশগুলো বাংলাদেশি নাগরিকদের বিভিন্ন সময়সীমার জন্য ভিসা-মুক্ত প্রবেশের অনুমতি দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ভ্রমণকারীদের ভ্রমণের আগে বা সেই দেশে প্রবেশকালে কোনরূপ ভিসার নেয়ার ঝামেলায় যেতে হয় না।
আরও পড়ুন: প্রবাসী বাংলাদেশিরা কিভাবে ই-পাসপোর্ট করবেন: দেশের বাইরে থেকে পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়া যেসব দেশে প্রবেশ করা যাবে সেগুলো হলো-
ওশেনিয়া
১. কুক দ্বীপপুঞ্জ
২. ফিজি
৩. মাইক্রোনেশিয়া
৪. নিউ
ক্যারিবিয়ান
১. বাহামাস
২. বার্বাডোজ
৩. ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ
৪. ডমিনিকা
৫. গ্রেনাডা
৬. হাইতি
৭. জ্যামাইকা
৮. মন্টসেরাট
৯. সেন্ট কিট্স এবং নেভিস
১০. সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইন্স
১১. ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
আরও পড়ুন: অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনে ভুল হলে সংশোধনের নিয়ম
এশিয়া
১. ভুটান
আফ্রিকা
১. লেসোথো
২. গাম্বিয়া
২০২৩-এ যে দেশগুলো বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের আগমনী ভিসা সরবরাহ করবে
অন-অ্যারাইভাল ভিসা
এই অনুমতিপত্রটি অন-অ্যারাইভাল ভিসা (On Arrival Visa) বা ভিসা অন অ্যারাইভাল (Visa on Arrival) নামে পরিচিত। এটি এমন এক ধরনের ছাড়পত্র, যেটি যোগ্য ভ্রমণকারীদের গন্তব্যের দেশে প্রবেশের আগ মুহুর্তে প্রদান করা হয়। গন্তব্যের দেশে যাওয়ার মুহুর্তে প্রবেশস্থল তথা বিমানবন্দর, স্থল চেকপয়েন্ট বা সমুদ্র বন্দরে এই ভিসা ইস্যূ করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ভ্রমণকারীদের ভ্রমণের আগে নিজেদের দেশে থাকা অবস্থায় আগমনী ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় না।
অন-অ্যারাইভাল ভিসার জন্য ভ্রমণকারীদের তাদের গন্তব্যের দেশ কর্তৃক নির্ধারিত কিছু শর্তাবলি পূরণ করতে হয়। এই শর্তাবলি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থান
যেসব দেশ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের আগমনী ভিসা সরবরাহ করে থাকে, সেগুলো হলোঃ
ওশেনিয়া
১. সামোয়া
২. টুভালু
৩. ভানুয়াতু
এশিয়া
১. কম্বোডিয়া
২. মালদ্বীপ
৩. নেপাল
৪. তিমুর-লেস্তে
আমেরিকা
১. বলিভিয়া
আরও পড়ুন: পুরাতন পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
আফ্রিকা
১. বুরুন্ডি
২. কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জ
৩. কোমোরো দ্বীপপুঞ্জ
৪. জিবুতি
৫. গিনি-বিসাউ
৬. মাদাগাস্কার
৭. মৌরিতানিয়া
৮. মোজাম্বিক
৯. রুয়ান্ডা
১০. সেশেল্স
১১. সিয়েরা লিওন
১২. সোমালিয়া
১৩. টোগো
২০২৩-এ কোন দেশগুলোতে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের ইটিএ ভিসা করতে হবে |
আরও পড়ুন: শিশুদের ই-পাসপোর্টের নিয়ম: কীভাবে আপনার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের পাসপোর্ট করবেন
ইটিএ ভিসা
ইটিএ (ETA) মানে ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন, যেটি মূলত ভিসা ছাড়া বিদেশ ভ্রমণকারীদের জন্য একটি ডিজিটাল এন্ট্রি পারমিট। এই দ্রুত অনলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাধারণত স্বল্প মেয়াদে দেশান্তরের অনুমতি লাভ করা যায়।
এই সুবিধাটি বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য প্রদান করছেন শ্রীলঙ্কার সরকার। এর আবেদন প্রক্রিয়াটি শ্রীলঙ্কার অভিবাসন বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন করা যায়। এর জন্য আবেদনকারীদের সশরীরে অভিবাসন সেন্টারে উপস্থিত থাকার কোনও প্রয়োজন নেই।
ইটিএর সময়সীমা প্রাথমিকভাবে শ্রীলঙ্কায় আগমনের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে এটি সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত বাড়ানো যায়। প্রতি ভিজিটে ইটিএ যোগ্য নাগরিকদের দেশে ৩০ দিন পর্যন্ত ভ্রমণের সুযোগ দেয়।
শ্রীলঙ্কা ইটিএ ডাবল এন্ট্রিরও অনুমতি দিয়ে থাকে। এর মানে হচ্ছে- বাংলাদেশি নাগরিকরা ইস্যু করার তারিখ থেকে ১৮০ দিন সময়সীমার মধ্যে দু’বার শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ করতে পারবেন।
এই ডিজিটাল ছাড়পত্রটি ইলেকট্রনিকভাবে ভ্রমণকারীর পাসপোর্টের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। একবার অনুমোদিত হয়ে যাওয়ার পর ভিসাধারী ব্যক্তি শ্রীলঙ্কায় আগমনের সময় যে কোন চেকপয়েন্ট অনায়াসেই পেরুতে পারবেন।
২০২৩-এ কোন দেশগুলোতে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের ই-ভিসা করতে হবে|
আরও পড়ুন: আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
ই-ভিসা
ই-ভিসা (E-Visa) বা ইলেকট্রনিক ভিসা (Electronic Visa) হলো ভিসা যুক্ত দেশগুলোতে প্রবেশের জন্য ভিসার বিকল্প হিসেবে কাজ করা একটি ডিজিটাল ছাড়পত্র। ই-ভিসার আবেদন অনলাইনে সম্পন্ন করার পর আবেদনকারীর ই-মেইলে ভিসা পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ই-ভিসা এবং ইটিএ ভিসার মধ্যে সুক্ষ্ম কিছু পার্থক্য আছে। ই-ভিসা মূলত সেই সমস্ত দেশগুলোর জন্য, যেখানে প্রবেশের জন্য ভিসার প্রয়োজন হয়। আর ইটিএ ভিসা হলো সেই দেশগুলোর জন্য যেখানে ভিসার দরকার নেই। ইটিএ মূলত স্বল্পকালীন থাকার জন্য সেই দেশগুলোতে প্রবেশের অনুমতি পাওয়ার একটি দ্রুত এবং সহজতর উপায়।
ই-ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া সাধারণ ভিসার আবেদন করার মতোই। এই ক্ষেত্রে, ইটিএর আবেদনের মতোই আবেদনকারীকে ভিসা আবেদন কেন্দ্রে যেতে হয় না। ভিসার অর্থ প্রদানসহ আবেদনের যাবতীয় কাজ অনলাইনেই সম্পন্ন করা যায়।
আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর একটি ই-মেইলের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত ভিসা আবেদনকারীকে পাঠিয়ে দেয়া হয়। অতঃপর সেটি প্রিন্ট করে সঙ্গে নিয়ে দেশত্যাগ করতে হয়। ভিসা যাচাইয়ের কাজ অনলাইনেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হয়। কিন্তু অতিরিক্ত নিরাপত্তার স্বার্থে ভ্রমণকারীর নিকট ভিসার কাগজ চাওয়া হয়ে থাকে। তাই ভ্রমণের সময় মেইলকৃত নথির প্রিন্ট কপি সঙ্গে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: যেভাবে পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন করবেন
মোট ২৭টি দেশ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ই-ভিসা ইস্যু করে।
১. অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা
২. আজারবাইজান
৩. বেনিন
৪. কম্বোডিয়া
৫. কলম্বিয়া
৬. জিবুতি
৭. ইথিওপিয়া
৮. গ্যাবন
৯. জর্জিয়া
১০. গিনি
১১. কেনিয়া
১২. কুয়েত
১৩. কিরগিজস্তান
১৪. মালয়েশিয়া
১৫. মলদোভা
১৬. মায়ানমার
১৭. ওমান
১৮. পাকিস্তান
১৯. কাতার
২০. সাও টোমে এবং প্রিনসিপে
২১. সুরিনাম
২২. তাজিকিস্তান
২৩. তুর্কি
২৪. উগান্ডা
২৫. উজবেকিস্তান
২৬. জাম্বিয়া
২৭. জিম্বাবুয়ে
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
শেষ কথা
হেনলি পাসপোর্ট সূচকের ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশি পাসপোর্টের অবস্থান ইতিবাচক ধরা যেতে পারে। বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই ১৮টি দেশ ভ্রমণ উপভোগ্য বটে। তবে যে বিষয়টি খেয়াল রাখা জরুরি তা হলো- এই ভিসা-মুক্ত দেশগুলো ভ্রমণের জন্য পাসপোর্টে কমপক্ষে ছয় মাসের বৈধতা থাকা বাঞ্ছনীয়। সর্বসাকূল্যে, এই র্যাঙ্কিং বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য নিঃসন্দেহে একটি বৃহত্তর ভ্রমণের সুবিধা। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতায় পর্যুদস্ত দেশগুলো এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
‘রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি’ নিয়ে দৃক গ্যালারিতে চলছে প্রদর্শনী
রাজধানীর দৃক গ্যালারিতে চলছে ‘রানা প্লাজার দশ বছর পর’ শীর্ষক ৯ দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
রানা প্লাজা ভবন ধসে যারা বেঁচে গেছেন এবং তাদের পরিবারের ছবি নিয়ে ২১ জুলাই এই প্রদর্শনী শুরু হয় চলবে ২৯ জুলাই পর্যন্ত।
ফটোসাংবাদিক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা ইসমাইল ফেরদৌস মর্মান্তিক ঘটনার স্মরণে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন।
একবিংশ শতাব্দীর আন্তর্জাতিক মহিলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন হেরিটেজ ফান্ড এবং বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটি সহযোগিতায় প্রদর্শনীটি আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা শুরু
ছবি, ভিডিও, আখ্যান এবং পোস্টারের মাধ্যমে প্রদর্শনীটি রানা প্লাজা দুর্ঘটনার স্মৃতি মানুষের স্মরণে রেখে বাংলাদেশি গার্মেন্টস শ্রমিকদের শ্রম অধিকার রক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চায়।
ইসমাইল তার ‘আফটার রানা প্লাজা’ শিরোনামের ছবিতে এবং ‘দ্য কস্ট অফ ফ্যাশন’ ডকুমেন্টারি ফিল্মটিতে বেঁচে থাকা এবং নিহতদের পরিবারের অকথিত গল্পগুলো ধারণ করেছেন।
প্রদর্শনীটি প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে গরু ও মহিষের ১০ গাড়িতে করে বরযাত্রা!
জিমে অনুশীলনের সময় সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়ানোর উপায়
শরীরচর্চার সঠিক কৌশলের মাধ্যমে সুঠাম দেহ গঠনের ক্ষেত্রে জিমে যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। আর স্বাভাবিকভাবেই থাকে কিছু সতর্কতার প্রশ্ন। কেননা শরীর গঠনের ষোলকলার পাশাপাশি জিমে যেসব উপকরণ থাকে সেগুলোর সঠিক ব্যবহার না জানলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
তাই, জিম করার সময় কোন ধরনের বিপদ হতে পারে এবং সেগুলো এড়িয়ে চলার উপায় জানা জরুরি। চলুন, জিম করার সময়কে আশঙ্কামুক্ত করতে আগেভাগেই এই প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
জিমে ১০টি বিপদ ও সেগুলো থেকে পরিত্রাণের উপায়
জিমের উপকরণে ত্রুটি
জিমে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকে, যেগুলোর প্রত্যেকটির কাজ ভিন্ন ভিন্ন। জিমের নতুন সদস্যদের ক্ষেত্রে প্রথম প্রথম এগুলো ব্যবহার করতে যেয়ে মুশকিলে পড়া মোটেই অস্বাভাবিক নয়। বিশেষ করে আকারে বড় ও ভারি ওজনের সরঞ্জামগুলো নতুনদের জন্য বেশ বিপদজ্জনক। অসাবধানতাবশত এগুলোর যে কোনোটির ভুল ব্যবহার শুধু উপকরণটির ক্ষতি নয়, ব্যবহারকারীর জন্যও গুরুতর দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
পরিত্রাণের উপায়
প্রতিবার জিমে প্রবেশের পর প্রথমেই পুরো জিম ঘুরে উপকরণগুলো একবার পরিদর্শন করুন। কোনোটিতে কোনোও অসঙ্গতি চোখে পড়লে অবিলম্বে তা জিম কর্তৃপক্ষকে জানান।
সঠিক ব্যবহারের নির্দেশিকা নিয়মিত অনুসরণ করতে করতে এক সময় অভ্যস্ততা চলে আসবে। এছাড়াও ব্যবহার জানার জন্য জিম কর্তপক্ষের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন: আত্মহত্যার প্রবণতা: কারণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ
অনুপযুক্ত শরীরচর্চা ও কৌশল
জিমে ভর্তি হওয়ার মুল কারণ সুষ্ঠু ও সঠিক অনুশীলন, যেটা বাসায় একা একা শরীরচর্চার ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না। এই পরিমিতির মধ্যে একদম অল্পও ঠিক নয়, আবার সাধ্যের বাইরে অতিরিক্তও ঠিক নয়। আগ্রহ জাহির করতে যেয়ে সাধ্যাতীত অনুশীলন বা বিস্তারিত না জেনে বা না শিখে ভুলভাবে শরীরচর্চা বিপদের কারণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে এমনকি হাল্কা নড়াচড়াও পেশিতে দীর্ঘমেয়াদি আঘাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
পরিত্রাণের উপায়
এর জন্য ফিটনেস সেন্টার এবং তার প্রশিক্ষকদের ব্যাপারে আগেই ভালোভাবে গবেষণা করে নিতে হবে। ভালো একটি জিমের সঙ্গে একবার সংযুক্ত হতে পারলে শরীরচর্চার পুরো প্রক্রিয়াতে দ্বিধাহীন থাকা যায়। প্রশিক্ষকের নির্দেশনা বিস্তারিত মনযোগ দিয়ে শুনুন ও বোঝার চেষ্টা করুন।
পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারলে তবেই নিজে নিজে চেষ্টা শুরু করুন। একজন দক্ষ প্রশিক্ষক কখনোই প্রথমে ভারি ও শক্ত অনুশীলনগুলো করার পরামর্শ দিবেন না। বরং হাল্কা ও সহজ কাজগুলো সুচারুরূপে করার দিকে অধিক গুরুত্ব দিতে বলবেন।
আরও পড়ুন: স্তন ক্যান্সার সচেতনতায় গোলাপি সড়ক শোভাযাত্রা ও সেমিনার
২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিলাসবহুল গাড়ি
শুধুমাত্র দূরবর্তী কোনো স্থানে ভ্রমণ নয়, প্রযুক্তির সঙ্গে যুগপৎ বিকশিত উন্নত মানের গাড়িগুলো জীবনধারায় যোগ করছে নতুন নতুন সুবিধা। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সুপার ফাস্ট কার ও হাইপারকারের মতো শ্বাসরুদ্ধকর বিলাসবহুল গাড়িগুলো সামাজিক অবস্থানকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করে। আরও একটু আরামদায়ক, ডিজাইনে আরও একটু নতুনত্ব এবং আরও একধাপ উচ্চতর কর্মক্ষমতা দিতে রীতিমত প্রতিযোগিতা করে চলে অটোমোবাইল নির্মাতারা। সেই অর্থে ২০২৩ সালে পৃথিবীর সেরা ১০টি বিলাসবহুল গাড়ি অটোমোবাইল ভক্তদের একদমই নিরাশ করেনি। চলুন, বিস্ময়কর ব্যয়বহুল সেই গাড়িগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
২০২৩ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে বিলাসবহুল ১০ গাড়ি
রোলস-রয়েস বোট টেল
এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে বিলাসবহুল গাড়ি রোলস-রয়েসের বোট টেল, যার মূল্য ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার; বাংলাদেশি টাকায় ৩০৩ দশমিক ৮ কোটি টাকা (১ মার্কিন ডলারকে ১০৮ দশমিক ৫ বাংলাদেশি টাকা হিসাবে)। চোখ ধাঁধানো গাড়িটির ডিজাইন করেছে জনপ্রিয় অটোমোবাইল ব্র্যান্ড রোলস-রয়েস-এর কোচবিল্ড বিভাগ।
২০২১ সালে উৎপাদিত গাড়িটি সপ্রতিভ এবং স্বতন্ত্র অভিব্যক্তির সমন্বয়ে এক অনন্য সৃষ্টি। এর চেসিস এবং ইঞ্জিনটি রোলস-রয়েস ফ্যান্টমের। অর্থাৎ ফ্যান্টমের মত বোট টেলের ৫৬৩ হর্সপাওয়ার শক্তি সম্পন্ন ৬ দশমিক ৭৫ লিটারের টুইন-টার্বোচার্জকৃত ভি১২ ইঞ্জিনের ক্ষমতা আছে। ফ্যান্টম ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার (১৫৫ মাইল/ঘন্টা) বেগে ছুটতে পারে।
বোট টেলের পেছনের ডেকের পাঁচটি ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল ইউনিটসহ ১ হাজার ৮১৩টি যন্ত্রাংশ বেসপোকের। এই অত্যাশ্চর্য বাহনটির ডিজাইনের অনুপ্রেরণা এসেছে ক্লাসিক ইয়ট থেকে। এর পেছনের কাঠের ডেকটি খোলা হলে শ্যাম্পেন কুলার ও একটি হোস্টিং স্যুটের মতো দারুণ এক বেসপোক হস্তশিল্পের সেট উন্মুক্ত হয়। ব্র্যান্ডের বিলাসিতা ও বিশেষত্বকে জাহির করার মাধ্যমে এই ভার্সনটি রোলস-রয়েস কাস্টমাইজেশনের এক সীমাহীন সম্ভাবনা প্রদর্শন করেছে।
বুগাটি লা ভয়চার নোয়ার
ফ্রান্সের বুগাটি অটোমোবাইলস এস.এ.এস এই অসাধারণ হাইপারকারটি বানিয়েছিল কিংবদন্তির বুগাটি টাইপ ৫৭ এসসি আটলান্টিককে উৎসর্গ করে। ২০১৯ সালে জেনেভা মোটর শো-এর মাধ্যমে উন্মোচিত এই মাস্টারপিসটি আধুনিক প্রযুক্তি ও ক্লাসিক ডিজাইনের এক অভাবনীয় সংমিশ্রণ। এর ১৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যকে বাংলাদেশি মুদ্রায় পরিবর্তন করলে দাড়ায় ২০২ দশমিক ৯ কোটি টাকা।
এর হাতে বানানো রাজকীয় চেসিসটি মসৃণ কালো কার্বন ফাইবারে মোড়া। পেছনের ৬টি নিষ্কাশন পাইপ-এর আগের সময়ের কাইরনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়। ৮ লিটার কোয়াড-টার্বোচার্জ করা ডব্লিউ১৬ ইঞ্জিন যানটিকে ১ হাজার ৪৭৯ হর্সপাওয়ার শক্তি দিতে পারে। কাইরন বুগাটির যৌথ উৎপাদিত গাড়িগুলোর সবচেয়ে কম সময়ে শূন্য থেকে ৪০০ কিলোমিটার/ঘন্টা(২৪৯ মাইল/ঘন্টা) গতিতে উঠার রেকর্ড আছে। এর অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক কারুকাজ কারিগরের সূক্ষ্ম ও যত্নশীল কাজের কথা জানান দেয়। এই একচেটিয়া যানবাহন নিমেষেই বিলাসিতা, কর্মক্ষমতা এবং স্বপ্রতিভ শিল্পকলার প্রতীক হিসেবে কাজ করে।
পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে পর্যটক ও ভ্রমণকারীদের করণীয়
পৃথিবীর চার ভাগের তিন ভাগই পানি হওয়ায় প্রাণোচ্ছ্বল গ্রহটির সৌন্দর্য্যের পরিমাণও যেন পানিতেই বেশি। আর তার টানেই বিশ্বব্যাপী ভ্রমণপিপাসুরা ছুটে যান খাল-বিল, নদী-নালা ও সাগর সৈকতে। কিন্তু এই মায়ার ভেতরেও লুকিয়ে আছে ভয়ঙ্কর ঝুঁকি। মনোরম জলীয় সৌন্দর্য্যে অবগাহনের সময় এমনকি ছোট সুইমিং পুলটিও আশঙ্কাজনক বিপদগুলোকে ছাপিয়ে যেতে পারে। তবে এটা দুঃখজনক যে পর্যটক ও ভ্রমণকারীদের পানিতে ডুবে মৃত্যু উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।এরকম দুর্ঘটনা পরিবার তো বটেই, গোটা দেশবাসীর জন্য আশঙ্কাজনক।তাই প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য প্রতিটি দুর্ঘটনার পিছনের সুষ্পষ্ট কারণগুলো যাচাই করা আবশ্যক। যে বিষয়গুলোর ওপর মানুষের হাত নেই, সেগুলোকে তাৎক্ষণিকভাবে নির্মূল করা সম্ভব নয়। এর জন্য ক্ষতি যথাসম্ভব কমিয়ে আনার জন্য প্রয়োজন পূর্ব সচেতনতা। আর যে কারণগুলোর ওপর মানুষের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সেগুলোর ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার ওপর জোর আরোপ করা। আর এই লক্ষ্যেই এই নিবন্ধে পানিতে ডুবে মৃত্যু এড়াতে ভ্রমণকারীদের প্রয়োজনীয় সতর্কতা সম্পর্কিত নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে। চলুন, সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলোর বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রতিরোধে পর্যটক ও ভ্রমণকারীদের জন্য ১৫টি টিপ্স
নির্ধারিত নিরাপদ অঞ্চলে সাঁতার কাটা
নিরাপত্তা ও উপভোগের জন্য বিশেষভাবে নির্ধারিত এলাকায় সাঁতার কাটুন। সৈকত এবং নদীর তীরবর্তী স্থানে প্রায়ই বিভিন্ন সংকেতের পতাকা দেখা যায়। এগুলো সেই স্থানের দুর্ঘটনা প্রবণতা চিহ্নিত করে।
এ সংকেতগুলো মেনে নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে সাঁতার কাটা উচিত। এই সীমানাগুলো সাঁতারের জন্য শুধু নিরাপদই নয়; এগুলোর মাঝে থাকলে বিশেষত একজন যোগ্য লাইফগার্ডের সজাগ দৃষ্টি সীমার মধ্যে থাকা যায়।
সহসা কোনো অনিশ্চিয়তায় সঙ্গে সঙ্গেই ডাঙায় ফিরে আসা
সাঁতার কাটার সময় চারপাশে অথবা নিজের শরীরে হঠাৎ কোনো অসঙ্গতি অনুভূত হলে তাৎক্ষণিকভাবে ডাঙায় ফিরে আসুন। এটা হতে পারে স্রোত তীব্র হওয়া, প্রচণ্ড বেগে বৃষ্টিপাত শুরু হওয়া কিংবা শরীরে হঠাৎ মাত্রাতিরিক্ত ক্লান্তি ভাব হওয়া।
কখনও কখনও আসন্ন কোনো বিপদের ব্যাপারে মন আগে থেকেই জানান দিতে শুরু করে। মনে রাখবেন, যে কোন সমস্যায় নিজের সহজাত প্রবৃত্তির ওপর বিশ্বাস রাখাটা বুদ্ধিমান সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থান
বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থান
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে সাংস্কৃতিক প্রাচুর্য ও সমৃদ্ধ ইতিহাসের পরিণত মেলবন্ধনের মায়ায় কিংবদন্তিতে রূপ নেয় ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো। আক্ষরিক অর্থে না হলেও সুদূর অতীতকে অনুভব করার এক চমৎকার উপায় এই ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানসমূহ। বাংলাদেশ তেমনি প্রাচীন বিস্ময়ে পরিপূর্ণ গর্বিত এক দেশ। নিছক পরিব্রাজক, ইতিহাস-ঐতিহ্যের পৃষ্ঠপোষক, নির্বিশেষে সবাইকে আকর্ষণ করে এই সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের আশ্রয়স্থলটি। তাই বাংলাদেশের ১৫টি বিশ্ব সেরা ঐতিহ্যবাহী স্থান নিয়ে করা আজকের আয়োজনটি যে কোনো ভ্রমণপিপাসুর ভ্রমণের রসদ যোগাবে।
ঐতিহাসিক গুণসম্পন্ন বাংলাদেশের ১৫টি বিখ্যাত ঐতিহ্যবাহী স্থান
সোমপুর মহাবিহার
নওগাঁর পাহাড়পুরের এই বৌদ্ধ বিহারটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অষ্টম শতাব্দীতে পাল সাম্রাজ্যের শাসনামলে এবং ১৯৮৫ সাল থেকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত।
ঢাকা-ব্যাংকক রুটে থাই এয়ারওয়েজের ডাবল ফ্লাইট শুরু ১৬ জুলাই
চলতি মাসের ১৬ জুলাই থেকে ঢাকা টু ব্যাংকক রুটে প্রতিদিন ডাবল ফ্লাইট পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে থাই এয়ারওয়েজ। এ ছাড়া প্রতি সপ্তাহে ঢাকা টু ব্যাংকক রুটে দিনে ও রাতে বিরতিহীনভাবে ১৪টি ফ্লাইট চলানোর পরিকল্পনা জানিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে অনুষ্ঠানিকভাবে এসব তথ্য জানান থাই এয়ারওয়েজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ।
আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ বলেন, ঢাকা টু ব্যাংকক রুটে আগে প্রতিদিন একটি ফ্লাইট ছিল। এখন থেকে ডাবল ফ্লাইট সুবিধা পেতে যাচ্ছেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে গঙ্গাপূজা ও দশহরা মেলা অনুষ্ঠিত
তিনি বলেন, প্রতিদিন ব্যাংকক থেকে রওনা হয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে এবং ঢাকা থেকে ব্যাংককে রওনা হবে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে।
তিনি আরও বলেন, দিনে ডাবল ফ্লাইটগুলো চলবে এয়ারক্রাফট বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনার অথবা বোয়িং ৭৭২ দিয়ে। যাতে থাকবে ৩০টি বিজনেস ও ২৬২টি ইকোনোমি ক্লাসের সিট।
তিনি জানান, ব্যাংকক থেকে রওনা হয়ে রাত ১টা ৩৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। একই রাতে আবারও ঢাকা থেকে ব্যাংককের ফ্লাইটে যাওয়া যাবে। যা ব্যাংককে পৌঁছাবে রাত ২টা ৪৫ মিনিটে। রাতের ফ্লাইটগুলো মডার্ন এয়ারবাস এ৩২০-২০০ তে পরিচালনা করা হবে। যাতে থাকবে ১৬৮টি ইকোনমি ক্লাসের সিট।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা টু ব্যাংকক রুটে ডাবল ফ্লাইট চালু উপলক্ষে ‘হ্যাপি জুলাই' নামে বিশেষ ছাড় রয়েছে। এতে দুজন এক সাথে ভ্রমণ করলে ৩০ কেজি লাগেজ ফ্রিতে বহনের সুবিধা পাবেন। এশিয়া, উত্তর এশিয়া, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়া রুটে ভ্রমণকারীরাই শুধু এই সুবিধা পাবেন। থাই এয়ারওয়েজে হালাল খাবারের ব্যবস্থা আছে। এ ছাড়া যেকোনো যাত্রী আগে থেকে কী খাবার খেতে চান তাও তিনি নির্বাচন করে রাখতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, থাই এয়ারওয়েজ বর্তমানে ঢাকা থেকে ব্যাংকক ছাড়াও সেখান থেকে দেশটির বিভিন্ন এয়ারপোর্টে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম অফিসে থাই এয়ারওয়েজের সেলস ও বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এয়ার গ্যালাক্সির আয়োজনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: ১৬০ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়লেন নাজমুন নাহার
বাংলাদেশের প্রথম পর্যটন মহাপরিকল্পনা এখনও প্রণয়ন হয়নি, শেষ হওয়ার কথা ছিল ডিসেম্বরে
ডেঙ্গু প্রতিরোধ: বাড়িকে মশামুক্ত রাখার প্রাকৃতিক উপায়
সাম্প্রতিক ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের মধ্যে গ্রাম ও শহর সব পরিবেশেই জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাসায়নিক প্রতিরোধে দ্রুত সমাধান মিললেও অনেকেই খুঁজছেন তার নিজ বাড়িকে মশা মুক্ত রাখার প্রাকৃতিক উপায়। এই নির্দেশিকাটিতে রোগ-জীবাণু বহনকারী মশা থেকে পরিত্রাণ পেতে কিছু ব্যবহারিক কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হবে। চলুন, আপনার আশ্রয়টিকে মশামুক্ত রাখার জন্য এমন কিছু উপায় জেনে নেওয়া যাক, যেখানে আপনার স্বাস্থ্য ও চারপাশের পরিবেশ দুই-ই ভালো থাকবে।
বাড়িকে মশামুক্ত রাখার ১০টি প্রাকৃতিক উপায়
জমে থাকা পানি ফেলে দেওয়া
মশা যে কোনো স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় জমে থাকা স্থির পানিতে বংশবিস্তার করে। তাই আপনার বাড়ির চারপাশে উন্মুক্তভাবে জমে থাকা পানির উৎসগুলো নির্মূল করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য ফুলের পাত্র, পোষ্য প্রাণির ঘরে থাকা পাত্রের মতো যাবতীয় পানির পাত্রগুলো নিয়মিত খালি ও পরিষ্কার করতে হবে।
এখানে বিশেষ নজর দিতে হবে নর্দমার দিকে, যেন মশা ডিম পাড়তে না পারে। পুকুর বা ফেলে দেওয়া জিনিসগুলোতে জমে থাকা খুব অল্প পরিমাণ পানিও মশার প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করতে পারে।
প্রয়োজনীয় সতর্কতা
- মশার ডিম বা ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শ রোধ করার জন্য জমে থাকা পানি অপসারণের সময় প্রতিরক্ষামূলক পোশাক ও গ্লাভস পরুন।
- স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় পা পিছলে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সম্ভাব্য মশার প্রজনন স্থান, বিশেষ করে নর্দমার মতো জায়গাগুলো থেকে পানি সরানোর সময় সতর্ক থাকুন।
মশা প্রতিরোধকারী ফ্যান ও আলোর ব্যবহার
মশা তাড়ানোর এক্সস্ট ফ্যানের শক্তিশালী বাতাস মশা ও অন্যান্য পোকামাকড়কে বাড়ির কাছাকাছি উড়তে দেয় না। বায়ু প্রবাহের এই প্রতিরক্ষামূলক বেষ্টনীটি বাড়ির বাইরে কাছাকাছি এলাকায় কৌশলে স্থাপন করুন।
পাশাপাশি বাড়ির আঙ্গিনায় ব্যবহৃত আলোতে হলুদ বা এলইডি লাইট ব্যবহার করা মশা তাড়ানোর কার্যকারিতা আরও বাড়িয়ে দিবে। এ ধরনের আলো মশার কাছে কম আকর্ষণীয়। বাড়ির আশেপাশে যে জায়গায় মশা বেশি জড়ো হয় সে স্থানগুলোতে এই আলো স্থাপন করুন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬৭৮
প্রয়োজনীয় সতর্কতা
- ফ্যানগুলো এমন জায়গায় স্থাপন করুন যেন তা আপনার ও পরিবারের মানুষদের জন্য দুর্ঘটনার ঝুঁকির কারণ না হয়।
- লাইটগুলো মশা তাড়ানোর পাশাপাশি বাড়ির বাইরের নির্দিষ্ট এলাকায় আলো দিতেও কাজে লাগে। তাই এগুলোর ভালো মানের হওয়া উচিত। তাছাড়া কোনো ত্রুটি দেখা দিলে মেরামতের জন্য আপনার সহজসাধ্য হয় তা নিশ্চিত করুন। এ ধরনের ফ্যান ও লাইট উভয়ের ক্ষেত্রে দক্ষ টেকনিশিয়ানের সাহায্য নেওয়া উত্তম।
জানালায় পর্দা টাঙানো
মশাকে বাড়ির বাইরে রাখার জন্য জানালার পর্দা টাঙানো যেতে পারে। জানালা ও দরজাতে যেন কোনো রকম গর্ত বা ফাঁক না থাকে। মশা এবং অন্যান্য পোকামাকড়কে বাইরে রাখার জন্য নেট সবচেয়ে কার্যকর হতে পারে। কেননা এটি ঘরের ভেতর তাজা বাতাস চলাচল করতে দেয়। সন্ধ্যায় এবং ভোরবেলা যখন মশার উপদ্রব সবচেয়ে বেশি থাকে, তখন জানালাগুলোর পর্দা টেনে দিলে ভালো কাজ দিতে পারে।
প্রয়োজনীয় সতর্কতা
- নিয়মিত জানালার পর্দাগুলোর যত্ন নিন। অল্প ছেঁড়া বা গর্ত থাকলেও তা দ্রুত ঠিক করুন।
- বাতাস চলাচলে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন ধুলো অপসারণ করতে নিয়মিত পর্দা পরিষ্কার করুন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় বছরের সর্বোচ্চ ৫০০ জন হাসপাতালে ভর্তি
জানালা ও দরজায় মশা প্রতিরোধী নেট ব্যবহার
এটি আপনার ঘর থেকে মশা দূরে রাখার একটি কার্যকর প্রাকৃতিক পদ্ধতি। নেটের সূক্ষ্ম ছিদ্রগুলো শুধু মশার জন্য প্রতিবন্ধকতাই তৈরি করে না, ঘরের ভেতর তাজা হাওয়াও ঢুকতে বাধার কারণ হয় না। টেকসই নেটটি সঠিকভাবে স্থাপন করা হলে এর কার্যকারিতা থেকে সর্বোচ্চ উপকারিতা পাওয়া যাবে।
জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে: বাংলাদেশে ২৯ জুন ঈদুল আজহা
বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্য ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আগামী ২৯ জুন দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
সোমবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চলতি বছরের ২৮ জুন সৌদি আরবে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি একদিন বাড়িয়ে মোট ৪ দিন
ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৪ জুন
ঈদে স্বস্তির ট্রেন যাত্রায় মন্ত্রীর সন্তুষ্টি