জীবনধারা
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকা শনিবার উদযাপন করতে যাচ্ছে ‘ফেত দো লা মিউজিক ২০২৩’
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকা শনিবার উদযাপন করতে যাচ্ছে ‘ফেত দো লা মিউজিক ২০২৩’।
এই উপলক্ষ্যে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার লা গ্যলারিতে ১৭ জুন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আয়োজন করা হবে বিশেষ সঙ্গীত উৎসবের।
বাংলা, ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায় পরিবেশিত একক ও দলীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি পিয়ানো, গিটার আর বাঁশির মূর্ছনায় সংগীতানুষ্ঠানটি সবার কাছে দারুণ উপভোগ্য ও আনন্দময় হয়ে উঠবে বলে আশা করা যায়।
নানারকম সঙ্গীত সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া, সংগীতের মাধ্যমে মানববন্ধন সুদৃঢ়ভাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে উন্মুক্ত পরিবেশে একের পর এক সঙ্গীত পরিবেশনই হচ্ছে ফেত দো লা মিউজিকের মূল ধারণা।
আরও পড়ুন: 'এসো হে বৈশাখ': বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ স্বাগত জানাচ্ছে বাংলাদেশ
এ দিনের অনুষ্ঠানগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে বলে অর্কেস্ট্রা, অপেরা, কয়্যারের মতো সঙ্গীত ইনস্টিটিউটগুলো রাস্তা, পার্কসহ জাদুঘর, রেল স্টেশন ও ঐতিহাসিক দুর্গের সামনে খোলা জায়গায় সঙ্গীত পরিবেশন করে থাকে।
এভাবেই সঙ্গীত ছড়িয়ে পড়ে শহর আর আশেপাশের এলাকাগুলোতে, বন্ধুত্বের বন্ধন গড়ে ওঠে নতুন আর দক্ষ শিল্পীদের মধ্যে।
১৯৮২ সালে ফ্রান্সে ফেত দো লা মিউজিক প্রথম উদযাপন শুরু হয়। ১৯৮১ সালে তৎকালীন ফরাসি সংস্কৃতি মন্ত্রী দিনটি পালনের উদ্যোগ নেন।
পরবর্তী সময়ে প্রতি বছর ২১ জুন বিশ্বের শতাধিক দেশে বিশ্ব সঙ্গীত দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। এ উপলক্ষ্যে আলিয়াঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকা আগামী ১৭ জুন উদযাপন করতে যাচ্ছে বিশেষ সংগীত উৎসব ফেত দো লা মিউজিক।
আরও পড়ুন: ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের ডি-ফ্যাক্টো স্বাধীনতা হয়ে গিয়েছিলো’
জনপ্রিয় কে-পপ ব্যান্ড বিটিএস নিয়ে চলচ্চিত্রকার অনার্য মুর্শিদের বই
টাঙ্গাইলে ১০ টাকায় গাছ বিক্রি
৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইলে ১০ টাকায় গাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন ও যুবদের জন্য ফাউন্ডেশন।
রবিবার (৪মে) সকালে শহরের নিরালা মোড়ে অবস্থিত শহীদ মিনার চত্বরে শতাধিক বৃক্ষপ্রেমী ১০ টাকায় গাছ বিক্রি শুরু করা হয়।
পরিবেশ রক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতেই এমন উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।
সেগুন, আকাশমনি, আমলকি, হরতকি, বহেরা, বাসক, শতমূলী, কাঁঠাল, পেয়ারা, জলপাই, কদবেল, আতা, চালতা, লটকন, ড্রাগন ফলসহ ২৪ প্রজাতির দেড় শতাধিক গাছ ১০ টাকা করে বিক্রি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে অনুমতি ছাড়াই বিদ্যালয়ের ৩০ গাছ বিক্রি
১০ টাকায় গাছ কিনতে পেরে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থী জান্নাতুর রহমান বলেন, ‘আমি পেয়ারা গাছ কিনেছি, এত কম দামে গাছ পাবো ভাবিনি।’
গৃহিনী রোকেয়া সুলতানা বলেন,‘মাত্র একটি গাছ কিনতে পেরেছি, আরও কেনার ইচ্ছা ছিল কিন্তু আয়োজকরা জানিয়েছেন একজন একটির বেশি গাছ কিনতে পারবেন না।’
শিক্ষার্থী রাইয়ান সম্রাট বলেন, ‘ড্রাগন ফল গাছ মাত্র ১০ টাকায় কিনতে পেরেছি, এমন আয়োজন নিয়মিত হওয়া উচিত।’
সংগঠনের উপদেষ্টা সংস্কৃতিকর্মী সাম্য রহমান বলেন, ‘আমরা যে পরিমাণ গাছ কাটছি তার অর্ধেক গাছও রোপণ হচ্ছে না। মানুষের মাঝে পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে আমাদের এ আয়োজন। পরবর্তীতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বল্পমূল্যে গাছ বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
১০ টাকায় গাছ কর্মসূচির উদ্যোক্তা মুঈদ হাসান তড়িৎ জানান,‘এ আয়োজনে দেড় শতাধিক ফলজ,বনজ ও ঔষধি গাছ স্বল্পমূল্যে বিক্রি করা হয়েছে। প্লাস্টিক দূষণ রোধ ও পরিবেশ রক্ষায় বেশি বেশি গাছ রোপণে জনগণ ও শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করতেই আমাদের এ উদ্যোগ।’
তিনি আরও জানান,‘অন্তত মাসে একবার আমরা ১০ টাকায় গাছ বিক্রি করবো। বিত্তবানেরা এগিয়ে এলে আরও বড় পরিসরে এই আয়োজন করতে চাই আমরা।’
এ সময় কর্মসূচিতে সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ মির্জা তৌহিদুল ইসলাম সুলভ, সমন্বয়কারী রাদিত আহমেদ, সামি খান, আহসান খান মিলন, রকিবুল রায়হান ও সামিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাছ কাটার প্রতিবাদ: পুলিশের বাধায় পণ্ড হলো নগর ভবন ঘেরাও কর্মসূচি
কুড়িগ্রামে গঙ্গাপূজা ও দশহরা মেলা অনুষ্ঠিত
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে দেড়শো’ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী গঙ্গাপূজা ও দশহরা মেলা উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গণে শতশত পূণ্যার্থীর ঢল নেমেছিল। প্রখর রোদকে উপেক্ষা করে দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা মেলায় আসেন।
মঙ্গলবার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্বধনীরাম ও শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের সোনাইকাজী এলাকার শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর দক্ষিণ তীরে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, দেড়শো বছর আগে মেলার নামে মৃত শরৎ চন্দ্র রায় এক একর জমি দান করেন। শুরুতে নিজস্ব জমিতে পূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হতো। পরে ধরলা নদীর ভাঙ্গন ও গতিপথ বারবার পরিবর্তন হওয়ায় বিক্ষিপ্তভাবে উপজেলার দুই স্থানে প্রতিবছরই গঙ্গাপূজা ও দশহরা মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মেলায় এসে ধরলা নদীতে স্নান অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ছিল- দা, বটি, কাঠারি ও সব ধরনের হাতিয়ারসহ গৃহকর্মে ব্যবহৃত জিনিসপত্র। এছাড়াও উড়ুন, গাইন, লাঙ্গল, জোয়াল, ঝাপি, ডালি, কুলা, ডুলি, ঝাড়ু, হাতপাখাসহ সস্তায় কৃষি কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি ও মৃৎপাত্রের বিভিন্ন বাহারি তৈজষপত্র, বর্ষার বিভিন্ন ফল, বড়মাছের শুঁটকিসহ বিভিন্ন জাতের বড় মাছ, বাতাসা, মুড়ি, মিষ্টি-জিলাপি, বেলুনসহ শিশুদের বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার সামগ্রী।
মেলায় আগত পুরোহিত বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, প্রতি বছর মহা দশমীতে এখানে গঙ্গা স্নান সেরে পূণ্যার্থীরা পাপ মুক্ত হন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে ৩ দিনব্যাপী শিবচতুর্দশী মেলা শুরু আজ
ঠাকুরগাঁওয়ে গরু ও মহিষের ১০ গাড়িতে করে বরযাত্রা!
মোটরগাড়ি কিংবা হেলিকপ্টারে নয়, এবার বাবার ইচ্ছা পূরণ করতে গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া গরু ও মহিষের ১০ টি গাড়িতে করে বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে গেলেন নিরব নামে এক যুবক। আর এ বিয়ে দেখতে ভিড় জমান শত শত নারী-পুরুষ।
শুক্রবার (২৭ মে) বিকালে এমনই এক ব্যতিক্রম বিয়ের আয়োজন করা হয় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে।
স্থানীয়রা জানান, ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার খামার নারায়ণপুর গ্রামের কুদ্দুস আলীর ছেলে নিরব হোসেন সাব্বিরের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় পাশের দুর্গাপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামে মেয়ে ইসরাত জাহান এশা আকতারের।
নিরবের বাবার ইচ্ছা ছিল ছেলে বরবেশে গরুর গাড়িতে করে বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে বিয়ে করতে যাবে। ছেলের বউও আসবে গরু গাড়িতেই।
বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করতে গরু ও মহিষের ১০ গাড়ি সংগ্রহ করে নিরবের বাবা। আর এই গরু-মহিষের গাড়িতে করে বরযাত্রী নিয়ে বরবেশে কনের বাড়িতে বিয়ে করতে যান নিরব।
গ্রাম বাংলার হরিয়ে যাওয়া টাপুর যুক্ত গরু-মহিষের গাড়ি দেখতে শত শত নারী-পুরুষ ভিড় জমান বর ও কনের বাড়িতে। রাস্তায় অসংখ্য মানুষ দাঁড়িয়ে গরু-মহিষের গাড়িতে বরযাত্রার দৃশ্য অবলোকন করেন। ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন অনেকেই।
এমন আয়োজনে খুশি বর-কনের পরিবারসহ এলাকাবাসী। গ্রাম বাংলার এ পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে আগ্রহ প্রকাশ করেন অনেকে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ৯ লাখ টাকা মোহরানায় ব্যাঙের বিয়ে!
এই গরমে ট্যানিং এড়াতে কিছু টিপস
গ্রীষ্ম; দীর্ঘ ছুটি, উদ্বেল সৈকত আর সোনালি রোদ গায়ে মাখার সময়। দারুণ এই সময়টার জন্য আমরা সকলেই অপেক্ষায় থাকি, তবে গ্রীষ্মের সবচেয়ে বড় ভীতি হলো সানট্যান।
চমৎকার এই ঋতুর পর দীর্ঘদিন পর্যন্ত আমাদের রোদেপোড়া ত্বক নিয়ে ভুগতে হয়। সেজন্য সূর্যের রশ্মি থেকে সুরক্ষা অপরিহার্য।
আর চিন্তা করবেন না, আমাদের কাছে সেরা কিছু টিপস আছে, যা দিয়ে আপনি এই গ্রীষ্মে ট্যানিং এড়াতে পারবেন:
পিক আওয়ারে সূর্য এড়িয়ে চলুন:
গ্রীষ্মে বাইরে যাওয়ার সেরা সময় হল সন্ধ্যা। সাধারণত সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে সূর্য যখন সর্বোচ্চে তাপ ছড়ায়, তখন বাইরে না যাওয়ার চেষ্টা করুন। যদি যেতেই হয় যথাসম্ভব রোদ এড়িয়ে চলুন। এই সময়ে শরীরে ট্যানড হওয়ার এবং রোদে পোড়া হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। জ্বলন্ত সূর্যের তাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ছায়ায় থাকুন।
সানস্ক্রিন আবশ্যক:
বাইরে যাওয়ার সময় সবচেয়ে ভালো ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হলো সানস্ক্রিন লাগানো। মেঘলা আবহাওয়া থাকলেও এসপিএফ ৫০+ সানস্ক্রিন লাগানোর চেষ্টা করুন এবং প্রতি দুই ঘন্টা পর পর পুনরায় লাগান।
যদি ৫০+ নাও হয়, তাহলে অন্তত এসপিএফ ৩০+ সানস্ক্রিন বেছে নিন। দিনের বেলা নিজেকে রক্ষা করার জন্য এসপিএফযুক্ত লোশন, লিপবাম ও আইক্রিম লাগাতে পারেন।
আরও পড়ুন: শীতে বাড়তি যত্ন: ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর উপায়
হাইড্রেটেড থাকুন:
হাইড্রেটেড থাকা ট্যানিংয়ের প্রভাব কমাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতি। বাইরে চলাফেরা করার সময় আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখুন।
প্রতিদিন ১৫-২০ গ্লাস পানি পান করা ট্যানিং প্রতিরোধে সহায়তা করে। পানি আপনার ত্বককে শুষ্ক হতে বাধা দেয় এবং এটিকে স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল করে তোলে।
পারফিউম এড়িয়ে চলুন:
বাইরে থাকার সময় রোদে কড়া গন্ধের পারফিউম ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। পারফিউম ত্বকে লাগালে এটি সূর্যের তাপে আরও কড়া হয় এবং ত্বক আরও ট্যান হয়ে যায়। এর বদলে প্রাকৃতিক বিকল্প যেমন- গোলাপ জল বা একটি ভাল রিফ্রেশিং ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
ছাতা, সানগ্লাস ও আচ্ছাদিত পোশাক:
সূর্যের আলোতে বের হওয়ার সময় ছাতা ও সানগ্লাস আবশ্যক।
হাতে ছাতা নিয়ে ইউভি -সুরক্ষিত সানগ্লাস দিয়ে চোখ ঢেকে রোদে বের হোন।
এছাড়াও, গা ঢেকে রাখে এমন পোশাক পড়ুন। হালকা রঙের পোশাক বেছে নিন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার:
স্বাস্থ্যকর ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার উজ্জ্বল ও সতেজ ত্বকের জন্য সহায়ক।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার ত্বকের ভিতরে কোলাজেনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, যা আপনার ট্যানিং কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে সুস্থ ও পুষ্ট রাখার সমৃদ্ধ উৎস, যা আপনাকে সুস্থ ত্বক অর্জনে সহায়তা করে।
টমেটো, বেরি, ব্রকলি ও অলিভ অয়েল ইত্যাদি সূর্যের ক্ষতি থেকে ত্বককে দারুণ সুরক্ষা দেয়।
আরও পড়ুন: ঘরোয়া উপায়ে ব্ল্যাকহেডস দূর করার উপায়
চুলের যত্নে তেলের বিকল্প নেই
গরমে শরীর সতেজ রাখতে আইস-টি
চায়ের কোনো ঋতু নেই! তবে এই গ্রীষ্মে প্রাত্যহিক পানের গরম চায়ের পরিবর্তে শীতল, সতেজ ও সুস্বাদু আইস-টি খেতে পারেন। আইসড-টি আপনার শরীর ও মনকে চাঙ্গা ও রিফ্রেশড রাখতেও সহায়তা করে।
বর্তমানের সর্বাধিক জনপ্রিয় কয়েকটি আইস-টি হলো-
ব্ল্যাকবেরি আইসড চা
ফ্রেশ বা ফ্রোজেন ব্ল্যাকবেরি দিয়ে এই চা বানাতে পারেন। প্রথমে মিষ্টি ব্ল্যাকবেরিগুলো ব্লেন্ড করে নিন, তারপরে পুদিনা ও বেকিং সোডার সঙ্গে মেশান। এরপর পাত্রে পানি গরম করে তাতে চা পাতা দিয়ে ২/৩ ফুটিয়ে নিন। এরপর ছেঁকে নিয়ে তাতে ব্ল্যাকবেরির মিশ্রণ মেশান। স্বাদ অনুযায়ী চিনি বা মধু মিশিয়ে ১ ঘন্টার জন্য ফ্রিজে রাখুন। পরিবেশন করার আগে প্রয়োজনে পানি মিশিয়ে ঠাণ্ডা কমান।
আইসড পুদিনা চা
চায়ে পুদিনা পাতা দিলে সত্যিই দারুণ স্বাদ পাওয়া যায়। পাত্রে পানির মধ্যে পুদিনা পাতা দিয়ে ১৫ মিনিট ফোটান, এরপর চা পাতা দিয়ে ২/৩ ফোটান। এবা চা ছেঁকে নিয়ে তাতে স্বাদমতো চিনি বা মধু মেশান। কিছুটা ঠান্ডা হলে ১ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখলেই আইসড পুদিনা চা তৈরি।
তবে আপনি যদি হালকা পুদিনা স্বাদ পছন্দ করেন, তবে পুদিনা পাতা ৫ মিনিট পানিতে দিয়ে ফোটান, এরপর তুলে ফেলুন। এরপর চা পাতা দিয়ে ২/৩ মিনিট পর চা ছেঁকে নিন। এতে স্বাদ অনুযায়ী চিনি বা মধু মিশিয়ে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন: গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে ৬ খাবার
তরমুজ ও তুলসী আইসড চা
গ্রীষ্মে আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে ভুলবেন না। গরম আবহাওয়ায় বিভিন্ন ঠাণ্ডা পানীয় আপনাকে সতেজ রাখবে এবং আপনার তৃষ্ণা নিবারণ করবে। এক্ষেত্রে তরমুজ ও তুলসীর আইসড চা খুবই উপকারী। তরমুজ বিভিন্ন রিফ্রেশিং পানীয় তৈরির উপাদান হিসেবে বহুল সমাদৃত।
এই চা বানানোর জন্য তরমুজের টুকরোগুলোকে ব্লেন্ড করে নিন। পাত্রে পানি ফুটিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিয়ে তাতে গ্রিন টি ব্যাগ ও পুদিনা পাতা দিন ও ৩/৪ মিনিট ঢেকে রাখুন। এরপর টি ব্যাগ ও পুদিনা পাতা ছেঁকে নিয়ে স্বাদমতো চিনি বা মধু মেশান।এরপর চায়ের সঙ্গে তরমুজের পেস্ট মিশিয়ে ঠাণ্ডা না হওয়া পর্যন্ত মিশ্রণটি ফ্রিজে রাখুন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে বীজ সরাতে মিশ্রণটি ছেঁকে নিন। পুদিনা তরমুজ আইসড চা পরিবেশন করুন বরফের কিউব দিয়ে।
হিবিস্কাস (জবা ফুল) আইসড-টি
হিবিস্কাস (জবা ফুল) চা গ্রীষ্মে প্রাকৃতিকভাবে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার একটি দারুণ পানীয়। লাল রঙ ও সতেজ স্বাদের জন্য এই চা বিখ্যাত। এই চা পুষ্টিকর ও রক্তচাপ কমায়।
চায়ের কাপে জবা ফুলের পাঁপড়ি নিন। এর মধ্যে গরম পানি ঢেলে ৫/৭ মিনিট রাখুন। এরপর ছেঁকে নিয়ে স্বাদমতো চিনি বা মধু মিশিয়ে কমপক্ষে এক ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন। আপনার আইসড-টি পরিবেশন করার জন্য প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: চিপসের পরিবর্তে কিছু স্বাস্থ্যকর বিকল্প খাবার
লেবু পানি আইসড চা
এই গরমে আপনাকে সতেজ ও হাইড্রেটেড রাখতে এটি একটি দারুণ পানীয় লেবু পানি আইসড চা। সহজলভ্য উপাদান ব্যবহৃত হওয়ায়, আপনি চাইলে প্রতিদিন এটা পান করতে পারেন।
গরম পানিতে চা পাতা দিয়ে ৫ মিনিট ফোটান। এরপর ছেঁকে নিয়ে কিছুটা ঠাণ্ডা করুন এবং তাতে লেবুর রস ও স্বাদমতো চিনি বা মধু মেশান। তারপর এটি ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে পান করুন।
আরও পড়ুন: মধু দিয়ে মজাদার পাঁচ পদ
শেখ হাসিনার কারণেই সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিত সফলতা দেখাতে পেরেছিলেন: স্মরণসভায় ড. মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম আবুল মাল আবদুল মুহিত দেশের উন্নয়নে বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা নিয়ে সব সময় ভাবতেন। আর শেখ হাসিনা তাকে সুযোগ দিয়েছিলেন বলেই আবুল মাল আবদুল মুহিত সফলতা দেখাতে পেরেছিলেন।’
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে ‘কিংবদন্তি আবুল মাল আবদুল মুহিত’- স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কেমন হওয়া উচিত, কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত; এগুলো নিয়ে আবুল মাল আব্দুল মুহিত অনেক চিন্তা করেছেন ও কাজ করেছেন। তিনি আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে নব্বইয়ের দশকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত সময়ে এসব বিষয়ে একাধিক বই লিখেছিলেন। এসব বইতে মুহিত সাহেব দেশের উন্নয়নের জন্য কী কী করণীয় তা লিখেছেন এবং সেগুলোর বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ সম্পর্কে তার বিভিন্ন বইতে তিনি তুলে ধরেছিলেন।’
আবুল মাল আবদুল মুহিতের মেধা দেশের জন্য কাজে লাগানো সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০০১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে আওয়ামী লীগে গ্রহণ করেন এবং মনোনয়ন দেন। আবুল মাল আব্দুল মুহিত সেই নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি। তবে ২০০১ হতে ২০০৮ এই সময়ে তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যার স কাজ করার সুযোগ পান। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে কীভাবে দেশের উন্নয়ন করবেন সে বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করেন। তাদের সেই পরিকল্পনার সফল প্রতিফলন তিনি অর্থমন্ত্রী হওয়ার পরে আমরা দেখেছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থমন্ত্রী হওয়ার পর দেশের উন্নয়নে তার পূর্বের পরিকল্পনার সফল প্রতিফলন তিনি দেখিয়ে যেতে পেরেছেন এবং সেটা সম্ভব হয়েছিল শেখ হাসিনা তাকে কাজ করার সুযোগ দিয়েছিলেন বলে।’
জনপ্রিয় কে-পপ ব্যান্ড বিটিএস নিয়ে চলচ্চিত্রকার অনার্য মুর্শিদের বই
কোরিয়ার জনপ্রিয় পপ সংগীতের দল বিটিএসের আদ্যোপান্ত নিয়ে ‘বিটিএস: সিউল টু সোল’- শিরোনামে নিবন্ধধর্মী একটি বই লিখেছেন চলচ্চিত্রকার অনার্য মুর্শিদ। শুক্রবার (১৯ মে) থেকে বইটি বাজারে পাওয়া যাবে।
বিটিএসের সাত তারকার জীবনবৃত্তান্ত, বিটিএসের সংকট-সংগ্রাম, শো, অ্যালবাম এবং পুরস্কারেরও একটি তালিকা রয়েছে এই বইতে।
কোরিয়ার ‘কালচারাল ওয়েভ’ এবং সফট পাওয়ার চর্চা বিষয়েও একটি গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধও প্রকাশিত হয়েছে এই বইয়ে।
বইয়ের লেখক অনার্য মুর্শিদ বলেন, আমি একজন বাংলাদেশি বিটিএস ভক্তের সাংস্কৃতিক সংকটকে কেন্দ্র করে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করছি। চলচ্চিত্রটির প্রি-প্রোডাকশন করতে গিয়ে কে-পপ বিষয়ে একটি বইয়ের খুব প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি। এর মধ্যে প্রকাশক একদিন বললেন যে তিনিও এই ধরনের কিছু কালচারল ডিপ্লোমেটিক বই প্রকাশ করতে চান। ইতোপূর্বে তার প্রকাশনী এই ধরনের বই প্রকাশও করেছে। আমি আশা করি দীর্ঘদিন থেকে কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের যে সাংস্কৃতিক সেতু নির্মাণ হচ্ছে সেখানেও বইটি একটি ভূমিকা পালন করবে। বইটির মাধ্যমে প্রবীণরাও এই প্রজন্মকে একটি ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে পাবেন।
প্রায় দেড়শ পৃষ্ঠার পেপার ব্যাকের এই বইটি প্রকাশ করেছে উজান। প্রচ্ছদ করছেন লায়লা ফেরদৌসী। মুদ্রিত মূল্য রাখা হয়েছে ৩৫০ টাকা। ৩০% কমিশনে বইটি বিক্রি করছে বিটিএস আর্মি পেইজ (FB/BTSARMYFILM)।
এছাড়াও উজানের পেইজ, রকমারিসহ বিভিন্ন অনলাইন বুকশপে বইটি পাওয়া যাচ্ছে। পশ্চিবঙ্গের বিটিএস ভক্তরা বইটি ‘তবুও প্রয়াস’, ‘লালন’ ও ‘চন্ডাল বুকস’ থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: প্রথম সোলো অ্যালবাম 'ইন্ডিগো' নিয়ে আসছে বিটিএসের আরএম
কে-পপ আইডল ভি’র জন্মদিন: ঢাকা থেকে নিউইয়র্কের আর্মিরা কিভাবে তার জন্মদিন উদযাপন করছে
স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক মেডিটেশন ছড়িয়ে যাক সর্বত্র
বর্তমান বিশ্বে সংক্রামক ব্যাধির চেয়ে অসংক্রামক ব্যাধির প্রকোপই বেশি।
হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, মেদস্থূলতা, বিষন্নতা, অনিদ্রা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, স্ট্রেস ইত্যাদির ফলে মৃত্যুর হার ক্রমশই বাড়ছে।
এইসব অসুস্থতা থেকে মুক্ত থেকে সুস্থ কর্মক্ষম জীবন পেতে সচেতন মানুষ তাই ঝুঁকছেন এখন লাইফস্টাইল পরিবর্তনের দিকে।
আর লাইফস্টাইল পরিবর্তনের একটি বড় উপাদান হলো দৈনন্দিন জীবনে মেডিটেশন বা ধ্যানচর্চাকে অন্তর্ভুক্ত করা। দিনে ২০-৩০ মিনিট ধ্যানচর্চা হতে পারে প্রশান্ত ও সুস্থ জীবনের পথে একটি উল্লেখযোগ্য অনুঘটক।
সঙ্গে বৈজ্ঞানিক খাদ্যাভ্যাস, যোগব্যায়াম, শারীরিক পরিশ্রম, ভালো ঘুম, ইতিবাচক চিন্তা, হাসি ইত্যাদি যুক্ত হলে তো কথাই নেই। অসংক্রামক ব্যাধির দৌরাত্ম্য কমে যাবে। বেড়ে যাবে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, কর্মক্ষমতা ও প্রাণচাঞ্চল্য। ফলে সংকুচিত হবে চিকিৎসা-ব্যয়। যা ব্যক্তিজীবনের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতেও ফেলবে ইতিবাচক প্রভাব।
আরও পড়ুন: মেডিটেশনকে ভ্যাটমুক্ত করার আহ্বান বিশিষ্টজনদের
আশার কথা, আমাদের দেশে সামগ্রিকভাবে এখন মেডিটেশন ও সায়েন্টিফিক লাইফস্টাইল নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সম্প্রতি যোগ-মেডিটেশনকে স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগে. (অব.) ডা. আব্দুল মালিক, জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুনসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মহল মনে করছেন, পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্যে বিদ্যমান চিকিৎসার পাশাপাশি প্রয়োজন মেডিটেশন।
‘ভালো মানুষ ভালো দেশ স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’- বিশ্ব মেডিটেশন দিবসের এ প্রতিপাদ্যকে বাস্তবে রূপ দিতে সুস্থ সবল কর্মউদ্যোগী মানুষের কোন বিকল্প নেই। তাই মেডিটেশনকেও সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেয়া এখন সময়ের দাবি।
সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই ২০২১ সাল থেকে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন দিবসটিকে উদযাপন করে আসছে। এবছরও ২১ মে রবিবার সকাল ৬টায় সারাদেশে বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে সমবেত হবেন ধ্যানীরা।
মেডিটেশন চর্চার ভেতর দিয়ে সুস্থতা ও প্রশান্তির বাণীকে ছড়িয়ে দেবেন সবার কাছে।
আরও পড়ুন: দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে টোটাল ফিটনেস ডে
ঠাকুরগাঁওয়ে ৯ লাখ টাকা মোহরানায় ব্যাঙের বিয়ে!
বৃষ্টির দেখা নেই, তাই বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে। বরের নাম মেঘ, আর কনের নাম বৃষ্টি। দুজনে মিলে মেঘবৃষ্টি। বিয়ে উপলক্ষে মেঘবৃষ্টির গায়ে জড়ানো হয় নানা রঙিন কাপড়।
বুধবার (১০ মে) রাতে ছিলো মেঘবৃষ্টির বিয়ে, আর আজ বৃহস্পতিবার ছিলো বৌভাত।
রঙিন কাপড়ে জড়ানো ক্ষুদ্রাকার এ বর কনেকে দেখতে ভিড় জমায় হাজারো উৎসুক মানুষ। তাদের যেন আগ্রহের শেষ নেই। আর হবেই বা না কেন। এ তো ব্যাঙের বিয়ে। তাও আবার বিশাল অংকের মোহরানা।
ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জে ৯ লাখ ৯ হাজার ৯৯৯ টাকা দেনমোহর ধার্য করে ইসলাম ধর্মের রীতিনীতি মেনেই বুধবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে মেঘ-বৃষ্টি নামে দুই ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানো হয়েছে অতিথিদের।
দেশের উত্তরের জেলা এই ঠাকুরগাঁও। তবে এবার এ জেলায় দিন দিন বেড়েই চলেছে তাপমাত্রা, নেই বৃষ্টি। চলছে প্রচণ্ড দাবদাহ। পুড়ছে চারদিক। নাভিশ্বাস উঠেছে জন জীবনে । খরা ও দাবদাহে ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হবে-সেই বিশ্বাস থেকেই এ বিয়ের আয়োজন।
মেঘ নামের বর ব্যাঙের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় পীরগঞ্জ উপজেলার ভাকুড়া খালপাড়ার আনিসুরের বাড়িতে, আর কনে হিসেবে বৃষ্টি ব্যাঙের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান হয় নারায়ণপুর গ্রামের আমজাদ আলীর বাড়িতে। শাড়ি, কাপড় দিয়ে সাজানো হয় বর-কনেকে। টিপ পরানো হয় ও আলতা দিয়েও সাজানো হয় কনে ব্যাঙ বৃষ্টিকে। বিকালে গায়ে হলুদের পর্ব শেষ করে সন্ধ্যায় ভাকুড়া খালপাড়া থেকে অনুষ্ঠানিক ভাবে বরযাত্রী নিয়ে নারায়ণপুরে কনে বৃষ্টির বাড়িতে আসে বর পক্ষ। খাওয়া-দাওয়া শেষে দেনমোহর ধার্য করে বর ও কনেকে ইজাব-কবুল করান কাজল আহাম্মেদ। সম্পন্ন করা হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। ব্যাঙের এ বিয়ে দেখতে ঢল নামে নারী পুরুষের।