জীবনধারা
বাংলাদেশের প্রথম পর্যটন মহাপরিকল্পনা এখনও প্রণয়ন হয়নি, শেষ হওয়ার কথা ছিল ডিসেম্বরে
বাংলাদেশের প্রথম পর্যটন মহাপরিকল্পনা শেষ হওয়ার তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও প্রণয়ন করা হয়নি।
গত বছর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছিলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পর্যটন মহাপরিকল্পনা সম্পন্ন হবে।
২০২২ সালের ৫ অক্টোবর বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, ‘এই বছরের ডিসেম্বরে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন সম্পন্ন হবে এবং এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের পর্যটন খাত একটি নতুন যুগে প্রবেশ করবে।
২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত, পর্যটন মাস্টারপ্ল্যানটি এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মহাপরিকল্পনার খসড়া প্রস্তুত রয়েছে। স্টেকহোল্ডাররা তাদের অনুমোদন দিলেই তা চূড়ান্ত করা হবে।
বাংলাদেশ মনিটরের (একটি ভ্রমণ বাণিজ্য প্রকাশনা) সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম অবিলম্বে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘পর্যটন উন্নয়নের জন্য শুধুমাত্র অবকাঠামো নির্মাণই যথেষ্ট নয়। শিগগিরই একটি মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাবে দেশের পর্যটন শিল্প: প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘ভিসা জটিলতার মতো সমস্যাগুলো মাস্টারপ্ল্যানে সমাধান করা দরকার।’
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশি বলেন, অন্যান্য দেশের মতো সময়োপযোগী পর্যটন উন্নয়ন পরিকল্পনা নেই।
তিনি বলেন, ‘পর্যটন শিল্প আমলাতান্ত্রিক এবং বিশৃঙ্খলভাবে কাজ করে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে কোনো পর্যটন পেশাদার নেই।’
তিনি পর্যটকদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের (পাটা) মহাসচিব তৌফিক রহমান আরও ভালো আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের জন্য বলেছেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ইউএনবিকে বলেন, মহাপরিকল্পনা শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্টেকহোল্ডারদের মতামত নিচ্ছি। আমরা তাদের পরামর্শগুলো সামঞ্জস্য করার পরে এটি চূড়ান্ত করা হবে।’
‘পর্যটন মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত হলে তা জিডিপিতে ১০ শতাংশ অবদান রাখবে ‘ বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা পর্যটন খাতের তত্ত্বাবধানের জন্য প্রতিটি জেলায় পাঁচজন অতিরিক্ত জেলা কমিশনারের মধ্যে একজনকে নিয়োগ করার কথা বিবেচনা করছি।’
তিনি আরও বলেন যে সরকার পর্যটকদের জন্য ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য কাজ করছে।
দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইপিই গ্লোবালের সঙ্গে বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড ৩০ বছরের একটি মাস্টারপ্ল্যান চুক্তি সই করেছে। মাস্টারপ্ল্যানের কার্যক্রম ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল এবং ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
তবে, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এটি সময়মতো সম্পন্ন হয়নি এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছিল। ভ্যাট এবং এআইটি সহ মোট চুক্তির মূল্য প্রায় ২৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে পর্যটন শিল্প বিকাশের অফুরান সম্ভাবনা আছে: আইজিপি
কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরিটেলিং ফেস্টিভ্যাল আগ্রহী গল্পকারদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে
প্রথমবারের মতো কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরিটেলিং ফেস্টিভ্যাল (সিডিএসটিএফ) এর প্রথম পর্বে ‘মানুষের দ্বারা মানুষের বাস্তব গল্প’ স্লোগানকে সামনে রেখে পোর্টেবল ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে গল্প বলার শিল্পকে প্রচার ও উদযাপন করতে সারাদেশের সম্ভাব্য গল্পকারদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) এর সাংবাদিকতা, মিডিয়া এবং যোগাযোগ বিভাগের (জেএমসি) নির্ধারিত একটি ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্ট হতে উৎসবের প্রথম পর্বটি আগামী বছরের ১০-১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
আয়োজকদের মতে, আগ্রহী গল্পকাররা এই উৎসবে সাংবাদিকতার গল্প, ছোট গল্প এবং ডকুমেন্টারি সহ বিভিন্ন ধারার গল্প জমা দিতে পারেন। অংশগ্রহণকারীরা তাদের গল্প পাঠাতে পারবেন এবং বিনামূল্যে অংশ নিতে পারবেন উৎসবে।
ডিজিটাল গল্প বলার উৎসবের মাধ্যমে সমাজে পিছিয়ে পড়া আগ্রহী গল্পকাররা বা আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত এবং মূলধারার মিডিয়ায় যারা গল্প প্রকাশের সুযোগ পান না, তারা তাদের ছোটগল্প তুলে ধরার সুযোগ পাবেন।
আধুনিক প্রযুক্তি বিশেষ করে স্মার্টফোনের মাধ্যমে ডিজিটাল গল্প তৈরিতে তরুণদের উৎসাহিত করাই এই উৎসবের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: ইয়ুথ গ্লোবালের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে শিল্প-সংস্কৃতির ১৪ প্লাটফর্ম
গল্পকাররা চারটি ভিন্ন বিভাগে তাদের গল্প জমা দিতে পারেন: স্বাধীন বিভাগ, ডিআইইউ সেরা কমিউনিটি ডিজিটাল গল্প বিভাগ, এক মিনিটের বিভাগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগ। বাছাই করা গল্পগুলো উৎসবে প্রদর্শিত হবে এবং সেরা গল্পগুলোকে পুরস্কৃত করা হবে।
উৎসব সম্পর্কে ডিআইইউ বিভাগের সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম ও যোগাযোগ বিভাগের প্রধান আফতাব হোসেন বলেন, ‘এই উৎসবের প্রধান লক্ষ্য হলো আমাদের নাগরিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং সকল প্রেক্ষাপটের মানুষের গল্প উপস্থাপন করা যাতে আমরা সম্মিলিতভাবে একটি মহান সমাজ গঠনে অবদান রাখতে পারি।’
জেএমসির সহযোগী অধ্যাপক এবং উৎসবের প্রধান উপদেষ্টা ড. আব্দুল কাবিল খান বলেন, ‘বাংলাদেশে কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরিটেলিং’ ধারণাটি তুলনামূলকভাবে নতুন। আমাদের সম্প্রদায়ের জীবনের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিদের জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত গল্প সম্বলিত সংক্ষিপ্ত চাক্ষুষ গল্পগুলো ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তৈরি করা যেতে পারে। আমরা আশা করি উৎসবের মাধ্যমে অনাবিষ্কৃত গল্পকারদের গল্পগুলোর জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করব।’
উৎসব সংক্রান্ত বিস্তারিত জানা যাবে উৎসবের ফেসবুক পেজে, https://www.facebook.com/CDSTF2023/
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পুষ্টিবিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে নাটোরের কাঁচাগোল্লা
উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও অন্যতম সেরা মিষ্টান্ন নাটোরের কাঁচাগোল্লা এবার জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে।
নাটোরের রাজ দরবার থেকে যাত্রা শুরু হওয়া দুই শতাধিক বছরের প্রাচীন এই মিষ্টান্নকে নিবন্ধনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে নাটোরের জেলা প্রশাসন।
এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ তার কার্যালয়ে নিবন্ধনের এফিডেভিট কপি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেন।
আরও পড়ুন: মধু দিয়ে মজাদার পাঁচ পদ
বাংলাদেশের ৫৩তম স্বাধীনতা দিবস রবিবার
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার শপথ নিয়ে আগামীকাল ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছে জাতি।
১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর দমন-পীড়নের পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
ত্রিশ লাখ শহীদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ ও দুই লাখ নারীর সম্মানে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ অর্জিত হয় তার লালিত স্বাধীনতা।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের নাগরিকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু সব সময় রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। বর্তমান সরকার তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, দারিদ্র্য বিমোচন, গড় আয়ু বৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। দারিদ্র্য হ্রাসের পাশাপাশি মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। কর্ণফুলী টানেল, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজও সুষ্ঠুভাবে চলছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ অর্জিত হবে। বাংলাদেশ একটি উন্নত-ধনী-স্মার্ট দেশে পরিণত হবে, এটাই আমার প্রত্যাশা।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, “আমাদের ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছি। আমরা একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করেছি। শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে। আমরা পদ্মা নির্মাণ করেছি। নিজস্ব অর্থায়নে সেতু ও মেট্রোরেল উদ্বোধন করেছি।এছাড়া জাতির পিতার খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছি। আসুন বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত করে গড়ে তুলি। জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, এটাই হোক স্বাধীনতা দিবসে আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।”
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বন্দুকের স্যালুট ও পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে সরকারি ছুটি শুরু হবে।
সূর্যোদয়ের সময় সকল সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সব ভবন ও স্থাপনা আলোকিত করা হবে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস: মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জাতীয় দৈনিকগুলো, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেসরকারি রেডিও স্টেশন ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং অন্যান্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শিশুদের জন্য সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্রাঙ্কন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।
মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে সম্মাননা দেয়া হবে। বাংলাদেশ ডাকঘর বিভাগ দিবসটি উপলক্ষে একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করবে।
এদিকে দেশের শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া মাহফিল করবে।
হাসপাতাল, জেল, শিশু নিবাস, বৃদ্ধাশ্রম, ডে কেয়ার সেন্টারের মতো প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মানের খাবার বিতরণ করা হবে।
শিশু উদ্যান ও জাদুঘরগুলো সারাদিন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে অনুরূপ কর্মসূচির আয়োজন করা হবে।
রোজায় সুস্থ থাকার ৫টি উপায়
এসে গেছে পবিত্র রমজান মাস। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উপবাস করা হয় এই একটি মাস। তাই শরীর নিয়মিত প্যাটার্নের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার আগে রোজার শুরুর কয়েক দিন কেউ কেউ অসুবিধা অনুভব করতে পারে। খাদ্যাভ্যাস ও ঘুমের ধরণে সব পরিবর্তনের কারণে গ্রীষ্মে রমজান মাসে ফিট থাকা কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
তো, চলুন দেখে নেয়া যাক পবিত্র এই মাসে সুস্থ থাকার কিছু টিপস।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে অ্যাডভান্সড রিসার্চ ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকীতে দেশের গবেষণা ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করল অ্যাডভান্সড রিসার্চ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (এআরএফবি)।
গত শুক্রবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই গবেষণা সংস্থার উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
রাজধানীর আর্মি গলফ ক্লাবে এই অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট গবেষক, চিকিৎসক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও এআরএফবির আত্মপ্রকাশ উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়।
সেদিন জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে নানা বয়সী শিশুরাও অংশ নেয়। পরে আলোচনা সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শন নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে এই মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে এআরএফবির ১৯ সদস্যের নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী শুক্রবার
এআরএফবির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) মো. ফসিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাধীনতা পদকে ভূষিত চিকিৎসক এআরএফবির সহ-সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. নুরুন নাহার ফাতেমা বেগম, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. জহিরুল হক, এআরএফবির সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক-গবেষক ড. জহির বিশ্বাস, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জালাল উদ্দিন, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি ওয়াই এম বেলালুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক ড. লতিফুল বারী, দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ নাদিম, কারিতাস বাংলাদেশের প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বিভাগের প্রধান ড. থিওফিল নকরেক, এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লি. এর সাবেক ডিজিএম সেলিনা বানু, চিত্রশিল্পী দেলোয়ার হোসেন, মেটাডোর গ্রুপের কোম্পানি সেক্রেটারি ইসমাইল হোসেন ও সংগীত গবেষক ড. এবিএম রেজাউল রিপন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা পদক পাওয়ায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নুরুন নাহার ফাতেমা বেগম, পদোন্নতিতে অতিরিক্ত আইজিপি ওয়াই এম বেলালুর রহমান এবং আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষায় সুযোগ পাওয়ায় আনিকা সুবাহ্ আহমেদকে সন্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়।
চিপসের পরিবর্তে কিছু স্বাস্থ্যকর বিকল্প খাবার
ব্যস্ত লাইফস্টাইল, কাজের চাপ এবং মানসিকতার পরিবর্তনের কারণে প্রায়ই আমরা এমন কাজ করি, যা আমাদের শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অফিসে কাজের ফাঁকে বা টিভি দেখতে দেখতে আমরা হালকা কিছু খাবার খেয়ে থাকি। যেগুলো খেলে পেট খুব বেশি না ভরে উঠলেও, শরীরে অস্বাস্থ্যকর পদার্থের পুরু স্তর জমে। আমাদের স্বল্প সময়ের ক্ষুধা মেটানোর জন্য বেশিরভাগই আমরা ভাজা চিপস ও চর্বিযুক্ত বিভিন্ন খাবার বেছে নিই।
এগুলোর বিকল্প হিসেবে আমরা যদি এমন খাবার বেছে নেই যেগুলো সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর; এর চেয়ে ভাল আর কিছুই হতে পারে না।
আসুন বিকল্প কিছু স্ন্যাক্সের কথা জানা যাক, যেগুলো আমাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনে কাজে লাগতে পারে।
পপকর্ন
সাশ্রয়ী ও স্বাস্থ্যকর এমন খাবারের মধ্যে পপকর্ন সেরা বিকল্পগুলোর একটি। এটি আলুর চিপসের মতোই তৃপ্তিদায়ক ও মুড়মুড়ে। তবে এতে আলুর চিপসের তুলনায় অর্ধেক ক্যালোরি এবং অনেক কম চর্বি রয়েছে।
এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে এমন পপকর্ন খেতে হবে যা বেশি তেল বা মাখনে ভাজা হয়নি এবং মুখরোচক বিভিন্ন মশলার বদলে যাতে শুধুমাত্র হালকা লবণ থাকবে।
আরও পড়ুন: গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে ৬ খাবার
গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে ৬ খাবার
গরমে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা। আর তাই গরমে ক্লান্তি ও ডিহাইড্রেটেশন কমাতে আমাদের এমন খাবার খাওয়া উচিত, যেগুলো শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করে এবং সারাদিন কর্মশক্তি ধরে রাখে। তাই গরমে এই খাবারগুলো হতে পারে আপনার পানিস্বল্পতা দূর করার হাতিয়ার।
বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী শুক্রবার
দেশে আগামীকাল শুক্রবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।
এ উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটির দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও পালিত হবে।
বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
কারাগারে থেকে এবং কারাগারের বাইরেও বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি যখন ভাষা আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়, তখন বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন পালন করছিলেন।
ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির সব বড় আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন শেখ মুজিব।
বঙ্গবন্ধু তার গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে সংগঠিত করেছিলেন। ১৯৭১ সালে ৯মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
বঙ্গবন্ধু যখন সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন পরাজিত ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চক্র তাকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করে।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তা বাড়ানো হয়েছে।
দিবসটি পালনে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
সকাল ৭টায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এ সময় তিনি গার্ড অব অনার প্রদান করবেন এবং দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার পালিত হবে বঙ্গবন্ধুর ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’
সারাদেশে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্মরণীয় দিন হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় মঙ্গলবার দেশজুড়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হচ্ছে।
২০১৭ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেসকো) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রের সামনে যে যুগান্তকারী ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন।
লক্ষাধিক স্বাধীনতাকামী জনতার সামনে বঙ্গবন্ধু তার ১৯ মিনিটের অসামান্য ভাষণে শোষক পাকিস্তান সরকারের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
বিশাল জনসভা থেকে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা’।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ মঙ্গলবার
তার এই ভাষণকে প্রায়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের ঐতিহাসিক গেটিসবার্গের ভাষণের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন, যেহেতু আমরা রক্ত দিতে শিখেছি, আমরা আরও রক্ত দেব। ইনশাআল্লাহ, এদেশের মানুষকে মুক্ত করেই ছাড়ব…ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলব। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে (শত্রু) মোকাবিলা কর।
সেদিন বঙ্গবন্ধুর দেয়া সেই ভাষণ জাদুমন্ত্রের মতো কাজ করেছিল, যা সমগ্র জাতিকে তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক জান্তার স্বৈরাচারী ও দমনমূলক শাসন থেকে স্বাধীনতার সংগ্রামে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের পাশাপাশি দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, রেডিও স্টেশন ও জাতীয় দৈনিকগুলোতে দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের স্মরণে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালনের লক্ষ্যে মন্ত্রিসভা ২০২০ সালের ৭ই অক্টোবর ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’-এর পরিবর্তে ‘ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু আমাদের জন্য নয়, সারা বিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে। একটি ভাষণ কীভাবে সমগ্র জাতিকে জাগিয়ে তুলতে পারে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে পারে, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের বিশ্ব স্বীকৃতি আজ বাঙালি জাতির জন্য সম্মান ও গৌরবের স্মারক। আমি বিশ্বাস করি 'জয় বাংলা' স্লোগান এবং জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে অনুপ্রাণিত করবে।
আরও পড়ুন: সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা ৭ মার্চের ভাষণে শতাধিক ভুল: তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে
ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা