জীবনধারা
বাংলাদেশে এডেলউইসের পণ্যের সমাহার নিয়ে এলো দ্য বডি শপ
বিশ্বজুড়ে সমাদৃত ব্রিটিশ কসমেটিক ব্র্যান্ড দ্য বডি শপ বাংলাদেশি ক্রেতাদের জন্য নিয়ে এসেছে এডেলউইসের পণ্যের বিস্তৃত সমাহার। প্রত্যেকদিনের দূষণ ও ধুলা থেকে ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে সুরক্ষিত রাখতে নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডটির বিশাল পণ্য সমাহারে যুক্ত হয়েছে নতুন কিছু পণ্য। অথেনটিক এডেলউইস স্কিনকেয়ারের বিভিন্ন পণ্য এখন থেকে পাওয়া যাবে দ্য বডি শপের তিনটি স্টোরে।
ত্বকের মলিনতা ও শুষ্ক ভাবের মতো সমস্যাগুলোর ৮০ ভাগই দূষণ ও ধুলার মতো পরিবেশগত বিষয়গুলো কারণে সৃষ্টি হয়। এসব প্রাকৃতিক কারণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দ্য বডি শপ নিয়ে এসেছে এডেলউইস ফুল থেকে প্রাপ্ত শক্তিশালী ও প্রাকৃতিক অ্যান্টি-এইজিং উপাদান সমৃদ্ধ পণ্য। এডেলউইস পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে-এডেলউইস ডেইলি সেরাম কনসেনট্রেট, এডেলউইস আই সেরাম কনসেনট্রেট, এডেলউইস লিকুইড পিল, এডেলউইস বাউন্সি স্লিপিং মাস্ক, এডেলউইস বাউন্সি আই মাস্ক, এডেলউইস বাউন্সি জেলি মিস্ট, ইনটেন্স স্মুথিং ক্রিম ও এডেলউইস সেরাম কনসেনট্রেট শিট মাস্ক। এছাড়া, নতুন করে যুক্ত হয়েছে – এডেলউইস কনসেনট্রেট ও দ্য এডেলউইস ইনটেন্স স্মুথিং ক্রিম।
আরও পড়ুন: প্যারিস ফ্যাশন উইক: বেলা হাদিদের শরীরে জাদুকরী 'স্প্রে প্রিন্টেড' পোশাক
সুইস আল্পসের রুক্ষ আবহাওয়ায় বেড়ে ওঠা এডেলউইস আকারে ছোট ফুল হলেও নানান গুণে সমৃদ্ধ। লিওনটোপোডিক অ্যাসিড সহ প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানের কারণে ফুলটি নিজেই নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। রুক্ষ আবহাওয়ায় জন্মানোর কারণে এই ফুলে তৈরি হয় লিওনটোপোডিক অ্যাসিড। এডেলউইস ফুলের প্রাকৃতিক এই উপাদান ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখার পাশাপাশি ত্বকের স্বাস্থ্যসুরক্ষায়ও কাজ করে, যা বয়স নির্বিশেষে সবার জন্য নিখুঁত ও প্রাণবন্ত ত্বক নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। দ্য বডি শপের প্রতিশ্রুতি হচ্ছে প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গাছপালা থেকে প্রাপ্ত নির্যাস মানুষের মাঝে পৌঁছে দেয়া। এই প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শুধুমাত্র বিশ্বস্ত সরবরাহকারীদের কাছ থেকে এডেলউইস ফুল সংগ্রহ করে থাকে দ্য বডি শপ।
এছাড়া, আলপাইন অঞ্চলের জীববৈচিত্র যেন হুমকির মুখে না পড়ে এজন্য কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় সাবধানতার সঙ্গে এ ফুল চাষ এবং সংগ্রহ করা হয়।
যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্স ও গুলশান ইউনিমার্টে দ্য বডি শপের তিনটি ফ্ল্যাগশিপ রিটেইল স্টোর রয়েছে, যেখানে ইতোমধ্যে এই পণ্যগুলো পাওয়া যাচ্ছে। এডেলউইস পণ্যের পাশাপাশি স্টোরগুলোতে রয়েছে স্কিনকেয়ার, বাথ অ্যান্ড বডি, কসমেটিকস, হেয়ার, ফ্রেগরেন্স, গিফট ও এক্সেসরিজ সহ বিস্তৃত পরিসরের পণ্যসামগ্রী।
আরও পড়ুন: হাই হিল কিভাবে পুরুষের পা থেকে নারীর পায়ে এলো?
নিউইয়র্ক সিটি ফ্যাশন উইকে ট্রান্স মডেল হিসেবে বাংলাদেশের তাসনুভা আনান শিশির
২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজক ৭ শহর ভ্রমণ
পুরো একটি বছর পার করে আবারো বসতে যাচ্ছে আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপের আসর। তাও আবার মন্ত্রমুগ্ধ কর দ্বীপ দেশ অস্ট্রেলিয়ার। অস্ট্রেলিয়ার ৭টি সুন্দর শহরে (সিডনি, মেলবোর্ন, অ্যাডিলেড, জীলং, হোবার্ট, পার্থ এবং ব্রিসবেন) আয়োজিত হবে বিশ্বনন্দিত ক্রিকেট উৎসবের ৮ম আসর। শুধু স্টেডিয়াম-ই নয়, ভ্রমণপিপাসু ক্রিকেটপ্রেমিদের জন্য অনেক চমক নিয়ে অপেক্ষা করছে ওশেনিয়া মহাদেশের এই বৃহত্তম দেশটি। সূর্যস্নাত সৈকত এবং মনোরম বন থেকে শুরু করে বিদেশি বন্যপ্রাণী ক্রিকেট ভক্তদের সফরটিকে নিমেষেই পরিপূর্ণ করে তুলতে পারে। শহরগুলোর নান্দনিকতা এবং প্রাণবন্ত সংস্কৃতি প্রতিটি ভ্রমণকারির উপলব্ধ অভিজ্ঞতা চিরস্মরণীয় করে রাখতে পারে। সেই সূত্রে, অস্ট্রেলিয়ামুখী পরিব্রাজকদের উদ্দেশ্যেই ২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজক অস্ট্রেলিয়ার ৭টি শহরের বিস্তারিত নিয়ে এবারের নিবন্ধ।
২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজক ৭টি শহর
অ্যাডিলেড
সংস্কৃতি, খাবার, উৎসব এবং বিনোদনে ভরপুর অ্যাডিলেড মানেই ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন উৎসবের আমেজ আর নতুন নতুন সব মজার অভিজ্ঞতা।
অভ্যন্তরীণ-শহরের মুল দর্শনীয় স্থানগুলো সব পায়ে হাটা দূরত্বে। ঝকঝকে শহরতলি থেকে ২০ মিনিট এগোলেই দৃশ্যমান হতে শুরু করবে সৈকত ও পাহাড়ের প্রাকৃতিক বিস্ময়গুলো। স্টেডিয়াম ওভালের দক্ষিণে হাল্কা ম্যারাথন করলেই পৌছে যাওয়া যাবে অপূর্ব রিভারব্যাঙ্ক ব্রিজ এবং নতুন পুনর্নির্মিত ফেস্টিভাল সেন্টারে। অ্যাডিলেড বোটানিক গার্ডেন এবং ন্যাশনাল ওয়াইন সেন্টার পেরনোর সময় চোখে পড়বে উত্তর টেরেসের সাংস্কৃতিক বুলেভার্ড বরাবর দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার আর্ট গ্যালারি, স্টেট লাইব্রেরি এবং দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ান যাদুঘর।
অ্যাডিলেড সেন্ট্রাল মার্কেট দক্ষিণ গোলার্ধের মধ্যে বৃহত্তম। শহরের রাস্তাগুলো ভোজনশালায় ভরা। ইতালীয়-অনুপ্রাণিত অস্টেরিয়া ওগি এবং ফুগাজি থেকে শুরু করে আফ্রিকোলায় খাবারের পসড়া, শোবোশোর গুঞ্জন এবং ফিশব্যাঙ্কে পরিশ্রুত সামুদ্রিক খাবার। রান্ডেল, হাট, এবং গাউজার রাস্তাগুলো রাতের খাবারের জন্য নির্ধারিত।
অ্যাডিলেড ভিত্তিক দর্শনার্থীদের জন্য ডে-ট্রিপ এবং সাপ্তাহিক ছুটির সুযোগ প্রচুর। ক্যাঙ্গারু দ্বীপের প্রাকৃতিক নৈসর্গে প্রাচীন পৃথিবীর খোঁজে হারিয়ে যেতে সাদরে আমন্ত্রণ জানায় ফ্লিন্ডার রেঞ্জ এবং আউটব্যাক। আর এখানকার নিখুঁত সৈকত এবং ফ্লিন্ডার চেজ ন্যাশনাল পার্কের মধ্যে কোনটা আগে দেখবেন, তা নিয়ে পর্যটকরা প্রায়ই দ্বিধায় পড়ে যান।
পড়ুন: আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: বাংলাদেশ দলের সোয়াট (SWOT) বিশ্লেষণ
ব্রিসবেন
ভূরিভোজন করানোর দিক থেকে এই শহরের রেস্তোরাঁগুলোও পিছিয়ে নেই। তবে তার আগে অবশ্যই আউটডোর কার্যক্রমগুলো শেষ করে নিতে হবে। কারণ সেগুলো নিরতিশয় রোমাঞ্চকর। অ্যাবসেইলিং, স্টোরি ব্রিজে আরোহণ, হেলিকপ্টারে দ্বীপ ভ্রমণ বা নৌকায় করে পিকনিক করতে যেয়ে বেশ হাপিয়ে উঠতে হবে। ব্রিসবেনের ৫-তারকা বিলাসবহুল হোটেল বা আকাশক্ষত তারার নিচে ক্যাম্পিং নিমেষেই ভুলিয়ে দিতে পারে সেই ক্লান্তি।
কক্সবাজারে প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব উদযাপিত
কক্সবাজারে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় কল্প জাহাজ ভাসা উৎসবের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে প্রবারণা পূর্ণিমা। এই উৎসবকে ঘিরে রামুর বাঁকখালী ও সমুদ্রসৈকতে সম্প্রীতির সেতুবন্ধন তৈরি রবিবার শুরু হওয়া উৎসব সোমবার কল্প জাহাজ ভাসানোর মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে।
এদিন বিকালে শহরের বৌদ্ধ মন্দিরস্থ ক্যাংপাড়াবাসী ও বড়বাজার রাখাইন সংঘের উদ্যোগে দৃষ্টিনন্দন কল্প জাহাজ নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: প্রবারণা পূর্ণিমা: পাহাড়ে সম্প্রীতির কল্প জাহাজ ভাসলো
শোভাযাত্রায় রঙ-বেরঙের পোশাক পরিধান করে শতশত রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নেয়। এসময় কল্প জাহাজ নিয়ে ঢাক-ডোল ও বাজনা বাজিয়ে নেচে গেয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে উঠে সবাই। এছাড়া জাহাজভাসা উৎসবের ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজনও আনন্দে শামিল হন। এ যেন এক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।
চোখ উঠা রোগের লক্ষণ, কারণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
চোখ উঠা হলো কনজাংটিভা বা চোখের স্বচ্ছ ঝিল্লির প্রদাহ বা সংক্রমণ, যা চোখের পাতাকে একসাথে করে চোখের সাদা অংশ বা শ্বেতমন্ডলকে ঢেকে রাখে। যখন কনজাংটিভায় ছোট রক্তনালীগুলো স্ফীত হয়, তখন সেগুলো আরও দৃশ্যমান হয়। এই কারণেই চোখের সাদা অংশ লাল বা গোলাপী দেখায়। চোখ উঠা খুব বিরক্তিকর হলেও দৃষ্টিশক্তির উপর তেমন নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না। কিন্তু এক চোখে হলে সেটা আরেক চোখেও সংক্রমিত হতে পারে। সাধারণত এই অস্বস্তিকর অবস্থা এক কিংবা দুই সপ্তাহের মধ্যেই ঠিক হয়ে যায়। তবে এক সপ্তাহের পরেও অবস্থার উন্নতি না হলে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। চলুন, চোখ উঠা রোগের লক্ষণ, কারণ ও প্রতিকারের পাশাপাশি জেনে নেয়া যাক কিভাবে এই রোগ থেকে দূরে থাকবেন।
চোখ উঠা রোগের লক্ষণ
বিভিন্ন কারণের উপর ভিত্তি করে চোখ উঠার লক্ষণগুলোর মধ্যে তারতম্য পরিলক্ষিত হয়। সাধারণত যে লক্ষণগুলো দেখা যায় সেগুলো হলো-
• চোখের সাদা অংশতে গোলাপি বা লাল বর্ণ হওয়া
• চোখের সাদা অংশ এবং চোখের পাতার ভেতরের অংশে রেখাযুক্ত পাতলা স্তর সৃষ্টি হয়
• চোখের পাতা ফুলে যায়
• ঘন ঘন অশ্রু বের হওয়া
• চোখে ঝাপসা দেখা এবং ঘন ঘন চোখ ঘষার উপক্রম হওয়া
• চোখে চুলকানি ও জ্বালা অনুভূত হওয়া
• চোখ থেকে পুঁজ বা শ্লেষ্মা নিঃসৃত হয়ে চোখের পাপড়ি ও চক্ষুলোম ভিজে যেতে পারে বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠার সময়। ফলে চোখ সম্পূর্ণ মেলে তাকাতে কষ্ট হয়।
পড়ুন: মশা কেন আপনাকেই কামড়ায়?
চোখ উঠা রোগের কারণ
ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াজনিত
এ ধরনের রোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অ্যাডিনোভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয়, তবে হার্পিস সিমপ্লেক্স, ভেরিসেলা জোস্টার এবং করোনা ভাইরাস সহ অন্যান্য বিভিন্ন ভাইরাসের কারণেও হতে পারে।
ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াজনিত উভয় ক্ষেত্রে সর্দি বা শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটতে পারে। অপরিষ্কার কন্টাক্ট লেন্স থেকেও হতে পারে এই ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ। এ সময় ব্যাকটেরিয়া সংক্রামিত ব্যক্তির চোখ থেকে নিঃসৃত তরলের সাথে ছড়িয়ে পড়ে। তখন একটি বা উভয় চোখই প্রভাবিত হতে পারে।
অ্যালার্জির কারণে
এটি মূলত পোলেন বা পরাগরেণুর মতো অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী পদার্থের প্রতিক্রিয়া। এর ফলে শরীর ইমিউনোগ্লোবুলিন-ই (আইজিই) নামে একটি অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এই অ্যান্টিবডি চোখের মিউকাস আস্তরণের এবং শ্বাসনালীতে মাস্ট সেল নামে বিশেষ কোষগুলোকে উদ্দীপিত করে, যা হিস্টামিন সহ প্রদাহজনক পদার্থগুলোর কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। শরীর থেকে শুধুমাত্র এই হিস্টামিন নিঃসরণই যথেষ্ট চোখ উঠা রোগের সব রকম লক্ষণ এবং উপসর্গ দৃশ্যমান করতে। এ সময় তীব্র চুলকানি, চোখ ফেটে যাওয়া এবং প্রদাহ অনুভূত হবে। সেইসাথে হাঁচি এবং অবিরাম সর্দি হতে পারে।
পড়ুন: অ্যান্টিবায়োটিক-এর অপপ্রয়োগ: কেন অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করছে না?
চোখ জ্বালা-পোড়া বা প্রদাহ থেকে
চোখ রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে চোখে জ্বালা-পোড়া ভাব সৃষ্টি হতে পারে। কখনও কখনও এই রাসায়নিক বস্তু থেকে মুক্তির জন্য চোখ ঘষার কারণেও লালভাব এবং জ্বালা সৃষ্টি করে। এর ফলে চোখে পানি জমে থাকা এবং শ্লেষ্মা নির্গত হওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। অবশ্য এগুলো সাধারণত প্রায় এক দিনের মধ্যে নিজেই পরিষ্কার হয়ে যায়।
যদি তা না হয় বা রাসায়নিক বস্তুটি যদি চোখের সাথে লেগে থাকে, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তার বা চক্ষু বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করতে হবে। চোখের মধ্যে যে কোন রাসায়নিক বস্তুর উপস্থিতি চোখের স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। ক্রমাগত উপসর্গগুলোর দীর্ঘস্থায়ী হওয়া চোখে রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি প্রমাণ করে। আবার অনেক সময় চোখ জোরে জোরে ঘষার কারণেও কর্নিয়া বা চোখের বলের আবরণে আঁচড় পড়তে পারে।
চোখ উঠা রোগের ঘরোয়া প্রতিকার
ঠান্ডা ভাপ দেয়া
চোখে ঠান্ডা বাপ দেয়া চরম ব্যথা থেকে তাৎক্ষণিক আরাম দিতে পারে। প্রথমে লিনেন কাপড়ের এক বা একাধিক ছোট টুকরা বরফ-ঠান্ডা জলে ডুবিয়ে রাখতে হবে। তারপর কাপড় থেকে বাড়তি পানি ঝরিয়ে চোখে লাগানো যেতে পারে। এটি চোখের মধ্যে প্রবেশ করা রাসায়নিক পদার্থের কারণে চুলকানি এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ মিনিটের ধরে এটি বেশ কয়েকবার করা যেতে পারে। সংক্রমণ এড়াতে উভয় চোখের জন্য ভিন্ন কাপড়ের টুকরো ব্যবহার করা উত্তম।
পড়ুন: তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে করণীয়
লবণ চিকিৎসা
স্যালাইন দ্রবণ দিয়ে চোখ ধোয়া অ্যালার্জির বিরুদ্ধে একটি কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার। এই দ্রবণে থাকে সাধারণ লবণ, যা চোখের জ্বালা কমাতে সক্ষম। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে, গরম স্যালাইন দ্রবণ যেন ব্যবহার করা না হয়। এতে চোখের ভালোর চেয়ে ক্ষতিই হয়ে যেতে পারে।
গোলাপ জলের ফোটা
গোলাপ জলে প্রদাহরোধী এবং প্রশান্তিদায়ক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সংক্রামিত চোখে প্রতিদিন কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল ২ থেকে ৩ দিনের জন্য চোখের অ্যালার্জি নিরাময়ে সহায়তা করতে পারে। গোলাপজলে ডুবিয়ে তুলোর বলও চোখের ওপর রাখা যেতে পারে। এটি চোখের বিরক্তি লাঘব করবে। গোলাপ জল চোখে শীতলতা প্রদানের পাশাপাশি ধূলিকণা থেকে মুক্তি পেতেও সাহায্য করে।
পড়ুন: এয়ার কন্ডিশনার ছাড়াই গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার কার্যকরী উপায়
অ্যালোয়ভেরা জেল ব্যবহার
অ্যালোয়ভেরায় অ্যালোইন এবং ইমোডিনের মতো যৌগ বিদ্যমান, যাতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য। এই কারণে অ্যালোয়ভেরা জেল চোখের অ্যালার্জি বিরুদ্ধে একটি কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার। অ্যালোয়ভেরা প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে এবং ধূলিকণার কারণে সৃষ্ট অ্যালার্জির বিরুদ্ধে নিরাময় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। সংক্রামিত এলাকার চারপাশে অ্যালোয়ভেরা জেল প্রয়োগ করা যেতে পারে।
হলুদ জলের উষ্ণ ভাপ
হলুদের গুঁড়ার অনেক নিরাময় বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি হচ্ছে, চোখের এই অ্যালার্জির বিরুদ্ধে কার্যকারিতা। হলুদ চোখের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা চোখের অন্যান্য যাবতীয় সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। সিদ্ধ হলুদ জলের পাত্রে এক টুকরো তুলা বা কাপড় ভিজিয়ে তার উষ্ণ ভাপ ক্ষতিগ্রস্ত চোখে দিলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপ (হাই প্রেশার) হলে যা এড়িয়ে চলা উচিত: ক্ষতিকর খাবার, পানীয়, অভ্যাস
চোখ উঠা রোগের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
এই রোগ প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায় হলো এর কারণগুলো খুঁজে বের করে তা থেকে দূরে থাকা।
• যে সময়টিতে বাতাসে পরাগরেণুর সংখ্যা বেশি থাকে সে সময়টিতে যথাসম্ভব দরজা-জানালা বন্ধ রেখে ঘরের ভেতরে থাকতে হবে। সাধারণত মধ্য-সকাল এবং সন্ধ্যার প্রথম দিকে বাতাসে পরাগরেণুর সংখ্যা সর্বোচ্চ হয়।
• অনেক ঘাস, ফুল বা গাছ আছে এমন জংলা এলাকা এড়িয়ে চলতে হবে
• বাইরে থেকে ঘরে ফিরেই গোসল করে পোশাক বদলে ফেলতে হবে
• ধূলাবালি, পরাগরেণু, ময়লার প্রতি বেশি অ্যালার্জি থাকলে অন্য কাউকে দিয়ে ঘরের আঙ্গিনা, কার্পেট, আসবাবপত্র ও বাগান পরিষ্কার করিয়ে নিতে হবে। নিজে পরিষ্কার করলে সাবধানে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার অথবা একটি পরিষ্কার স্যাঁতসেঁতে কাপড় ব্যবহার করতে হবে
• পারফিউম বা নির্দিষ্ট কোন গন্ধে অ্যালার্জি থাকলে গন্ধমুক্ত সাবান এবং ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে
• পোলেন গৃহস্থালি বা ঘরের পোষা বিভিন্ন প্রাণী থেকেও ছড়ায়। তাই যাদের বাড়িতে পোষা কুকুর, বিড়াল আছে তাদেরকে সাবধান হতে হবে। পোষা প্রাণীটিকে রাখতে হবে বেডরুমের বাইরে। কাউকে দিয়ে তাদেরকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। পাশাপাশি সেগুলোর থাকার জায়গাও নিয়মিত ধুয়ে ফেলতে হবে।
• চোখ রক্ষা করতে পুরো চোখ ঢাকা সানগ্লাস ব্যবহার করা যেতে পারে|
পড়ুন: টেক্সট নেক সিন্ড্রোম: অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল
শেষাংশ
চোখ উঠা রোগের লক্ষণ, কারণ ও প্রতিকার জানার মাধ্যমে এই রোগ থেকে সাবধান থাকা যায়। যারা কন্টাক্ট লেন্স পরেন তাদেরকে এ রোগের ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হবে। লক্ষণ শুরু হওয়ার সাথে সাথে কন্টাক্ট লেন্স পরিহার করাই উত্তম। চোখ উঠা রোগের উপর ঋতুগত প্রভাব আছে। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে ব্যাকটেরিয়াজনিত, গ্রীষ্মের মাসগুলোতে ভাইরাসজনিত এবং অ্যালার্জিজনিত চোখ উঠা পুরো বসন্ত ও গ্রীষ্ম জুড়ে দেখা যায়। তাই প্রতিরোধমুলক ব্যবস্থাগুলো সারা বছর ধরেই নেয়া উচিত।
বাংলাদেশে ৩০০০ ফুটের অধিক উচ্চতার ১৪ পাহাড়
নিম্নভূমির দেশ বাংলাদেশে পাহাড়ী অঞ্চল বলতে দক্ষিণ-পূর্বে চট্টগ্রাম পাহাড়, উত্তর-পূর্বে সিলেটের নিম্ন পাহাড় আর উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে কিছু উচ্চভূমি। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পাহাড়গুলোর আশ্রয়স্থল দেশের একমাত্র উল্লেখযোগ্য পার্বত্য প্রণালী চট্টগ্রাম, যেখানে অন্তত ৭৫টি পাহাড় রয়েছে। এগুলোর উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২,০০০ থেকে ৩,৩০০ ফুট পর্যন্ত উচু। দেশের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এই পর্বতশ্রেণীটি প্রায় ১৩,১৮৪ বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত, যা বাংলাদেশের মোট ভূমি এলাকার এক দশমাংশ। এই অঞ্চলের মাটি প্রধানত বাদামী দোআঁশ থেকে বেলেপাথরের হয়। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে অম্ল বিদ্যমান। পাহাড় জীববৈচিত্র্যে এক অপরিপেয় ভান্ডার। আসুন জেনে নেই বাংলাদেশের কোন পাহাড়গুলো ৩০০০ ফুটের অধিক উচ্চতার।
বাংলাদেশে অবস্থিত ৩০০০ ফুটের অধিক ১৪টি পাহাড় চূড়া
কেওক্রাডং চূড়া
৪,০৩৫ ফুট উচু এই আকর্ষণীয় পর্যটন স্থানটি দেশের উত্তর-পূর্বের মিয়ানমারের নিকটবর্তী সীমান্তে অবস্থিত। এটি আসলে বান্দরবান জেলার রেমাক্রি মৌজার থাইখং পাড়ার কাছে অবস্থিত। যদিও এটিকে বাংলাদেশের ৪,০৪০ ফুটের সর্বোচ্চ চূড়া বলে ব্যাপকভাবে রিপোর্ট করা হয়, সাম্প্রতিক এসআরটিএম (শাটল রাডার টপোগ্রাফি মিশন) ডেটা, জিপিএস রিডিং এবং রাশিয়ান টপোগ্রাফিক ম্যাপিং-এ এর প্রকৃত উচ্চতা ধরা পড়ে ৩,৩০০ ফুটের কম।
কেওক্রাডং এর চূড়ায় একটি ছোট আশ্রয়কেন্দ্র এবং বাংলাদেশি সামরিক বাহিনী কর্তৃক ১০,৪০৭ ফুট উচ্চতা ঘোষণা করা একটি সাইনবোর্ড রয়েছে। গারমিন জিপিএস এই অবস্থানে ৩,১৯৬ ফুট রেকর্ড করেছে। পাশাপাশি আরো একটি ভিন্ন দল জিপিএস দিয়ে ৩,২৩৫ ফুট পরিমাপ করেছে। পরের এই দুটি পরিমাপগুলো রাশিয়ান টপোগ্রাফিক ম্যাপিং এবং এসআরটিএম ডেটার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
পড়ুন: ভিমরুলি ভাসমান পেয়ারা বাজার: বাংলার ভেনিস বরিশালের সৌন্দর্য্যে সেরা সংযোজন
সাকা হাফং
বাংলাদেশের এই সর্বোচ্চ শৃঙ্গটির নামকরণ হয়েছে মুলত স্থানীয় ত্রিপুরা উপজাতির গোত্রীয় নাম থেকে। চূড়াটি ৮,৪১২ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত, যার জিপিএস(গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) রিডিং সর্বপ্রথম রেকর্ড করা হয়েছিলো ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইংরেজ অভিযাত্রিক জিঞ্জ ফুলেনের মাধ্যমে। তিনি নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন। এটি বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে মৌদক পর্বতশ্রেণীতে অবস্থিত।
এর চারপাশে আছে থানচি, বান্দরবান, বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের চিন রাজ্য। ২০০৭ সালে প্রথম বাংলাদেশি অভিযাত্রিক দল এই পাহাড়ে উঠতে সক্ষম হয়। দলটির নেতৃত্বে ছিলেন ইয়াহিয়া খান এবং পরবর্তীতে এভারেস্ট পর্বতারোহী সজল খালেদ তাদের সঙ্গে যোগ দেন। ২০১১ সালে দুটি প্রবাসী দলের রেকর্ড থেকে সাকা হাফং এর উচ্চতা পাওয়া যায় ৩,৪৮৮ ফুট এবং ৩,৪৬১ ফুট।
শাহবাগ শিশু পার্ক: আধুনিকায়নের নামে ৩ বছরের বেশি সময় বন্ধ
আধুনিকায়নের নামে তিন বছরের বেশি সময় ধরে রাজধানীর শাহবাগ শিশু পার্ক বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এতে বিনোদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশু–কিশোররা।
নগর বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি শিশু পার্ক আধুনিকায়ন বা আধুনিক রাইড স্থাপনের নামে অর্ধযুগ পার করে দেবে, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ সময়ে একটি প্রজন্ম শিশু পার্কের বিনোদন থেকে বঞ্চিত হবে। এতে তাদের শারীরিক-মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
পড়ুন: ‘ইয়াংগেস্ট ট্রাভেলার অব বাংলাদেশ’ স্বীকৃতি পেলেন ঢাবি শিক্ষার্থী শাওন
প্যারিস ফ্যাশন উইক: বেলা হাদিদের শরীরে জাদুকরী 'স্প্রে প্রিন্টেড' পোশাক
‘গোল্ডেন রেশিও অব বিউটিফাই স্ট্যান্ডার্ডস’ অনুযায়ী নিখুঁত মুখমণ্ডলের অধিকারী আমেরিকান মডেল বেলা হাদিদ বর্তমানে নেট দুনিয়াকে মাতিয়ে রেখেছেন। স্প্রে’র মাধ্যমে যে পরিধেয় বস্ত্র তৈরি করা যায় তা প্যারিসের এক ফ্যাশন অনুষ্ঠানে এই সুপারমডেলের শরীরে প্রয়োগ করে দেখানো হয়েছে। আর এর ভিডিও সামাজিকমাধ্যমসহ ইন্টারনেটে শেয়ার হচ্ছে খুব।
প্যারিসে অনুষ্ঠিত কোপার্নি ফ্যাশন শো’র প্যারিস ফ্যাশন সপ্তাহে শুক্রবার বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়।
এনবিসি নিউইয়র্ক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেলা যখন অনুষ্ঠানের মঞ্চে আসেন তখন তিনজন প্রযুক্তিগত সহকারী তার শরীরে সাদা রঙের রাবারের আঠালো পদার্থ (ল্যাটেক্স) স্প্রে করতে শুরু করেন। তিনি শরীর নাচিয়ে উপস্থাপনায় অংশ নেন এবং তিনজন সহকারী স্প্রে করতে থাকেন।
বেলা তার দুই বাহু প্রসারিত করলে শরীরে যখন এক প্রলেপ ল্যাটেক্স স্প্রে করা হয়ে যায় তখন মাঝারি আকারের পোশাক দেখতে পারে দর্শকরা।
আরও পড়ুন: হাই হিল কিভাবে পুরুষের পা থেকে নারীর পায়ে এলো?
ফ্যাব্রিকান হচ্ছে 'স্প্রে প্রিন্টেড' ফ্যাব্রিক, যা ২০০৩ সালে তৈরি করা হয়। যা নানা পোশাক তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। এর উদ্ভাবক ম্যানেল টরেস মনে করেছিলেন এর মাধ্যমে জাদুর মতো শরীরে পোশাক তৈরি হয়ে যাবে এবং শরীরের ‘দ্বিতীয়’ চামড়া হিসেবে লেগে থাকবে।
এনবিসি নিউইয়র্কের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিকটকে ভিডিওটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পুরুষদের পোশাকের সেরা ব্র্যান্ডসমূহ
নিউইয়র্ক সিটি ফ্যাশন উইকে ট্রান্স মডেল হিসেবে বাংলাদেশের তাসনুভা আনান শিশির
খাজানায় চলছে ওপার বাংলার ফুড ফেস্টিভাল
বছর ঘুরে আবার এসছে দুর্গাপূজা। সার্বজনীন এই উৎসবকে ঘিরে বাঙালির উচ্ছ্বাসের সীমা থাকে না। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, এসময় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। আর তাই দুর্গাপূজা মানে আড্ডা, ভুরিভোজ আর মণ্ডপে ঘোরাঘুরি।
পূজাকে স্বাগত জানাতে ও উদযাপন করতে খাজানা তাদের অতিথিদের জন্য ১-৬ অক্টোবর পর্যন্ত দুপুর ও রাতের খাবারের জন্য পূজার বিশেষ মেন্যু প্রস্তুত করেছে।
জাবির নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আফসার আহমদের ৬৩তম জন্মজয়ন্তী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের উদ্যোগে বিভাগের সাবেক অধ্যাপক নাট্যকার আফসার আহমদের ৬৩তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হয়েছে। শুক্রবার নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে আয়োজনে এই জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ‘আঁরা রোহিঙ্গা’ বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ইস্রাফিল আহমেদ বলেন, অধ্যাপক আফসার আহমদের জীবন ও কর্মগুলোকে তুলে ধরার জন্য আমাদের এই আয়োজন। শুধু এখানেই নয়, গ্রামেও তার লেখা নাটক, কবিতা নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে। এ সব আয়োজনের মাধ্যমে দিয়ে আমরা দেশীয় সংস্কৃতিকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে চাই।
আরও পড়ুন: দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি চলছে মাগুরায়
অধ্যাপক ড. আফসার আহমদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৫৯ সালে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার উত্তর জামশা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। প্রথমে তিনি জাবির বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরবর্তীকালে নাট্যকার ড. সেলিম আল দীনের সঙ্গে জাবিতে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন।
আরও পড়ুন: আজ মহালয়া, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবের আমেজ
তিনি একাধারে উক্ত বিভাগের সভাপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন, প্রক্টর, সিনেট-সিন্ডিকেটের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আফসার আহমেদ একাধারে কবি, নাট্যকার, অনুবাদক, গবেষক ও সাহিত্য সমালোচক। তিনি ২০২১ সালের ৯ অক্টোবর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
‘ইয়াংগেস্ট ট্রাভেলার অব বাংলাদেশ’ স্বীকৃতি পেলেন ঢাবি শিক্ষার্থী শাওন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত জাহান শাওন আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ইয়াংগেস্ট ট্রাভেলার অব বাংলাদেশ’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্যুরিস্ট সোসাইটি (ডিইউটিএস) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাকে এ স্বীকৃতি দেয়া হয়।
এ সময় ট্যুরিস্ট সোসাইটির সভাপতি মুসফিকুর রহমান, ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন সুমন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সোসাইটির সাইফুল্লাহ সাদেক কামরুন্নাহার মুন্নি ও মহিউদ্দিন রনিসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা হীরা সরকার।
২০২০ সালের বিজয় দিবসে রিফাত জাহান শাওন ১৯ বছর বয়সে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় ভ্রমণ শেষ করেন। বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতদের সহযোগিতায় শাওন সারাদেশ ঘুরেছেন, ঘুরেছেন দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায়।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে পর্যটন শিল্প বিকাশের অফুরান সম্ভাবনা আছে: আইজিপি
অনুষ্ঠানে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ট্যুরিস্ট সোসাইটির সভাপতি মুসফিকুর রহমান বলেন, ‘পর্যটনের প্রসার ঘটলেই দেশের পর্যটন শিল্প অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’
৬৭টি দেশ ভ্রমণ করা মোফাজ্জল হোসেন সুমন বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বৈশ্বিক পর্যায়ে তুলে ধরতে আমাদের পর্যটন শিল্পকে সংগঠিত করতে হবে। এতে করে একদিকে যেমন আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে বিশ্বের মানুষের সামনে তুলে ধরা সম্ভব হবে, ফলে আমাদের অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতের টুরিস্ট ভিসা কীভাবে পাবেন: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, প্রসেসিং ফি
কুমিল্লায় দৃষ্টিনন্দন ‘সাত গম্বুজ মসজিদ’