জীবনধারা
‘ইয়াংগেস্ট ট্রাভেলার অব বাংলাদেশ’ স্বীকৃতি পেলেন ঢাবি শিক্ষার্থী শাওন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত জাহান শাওন আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ইয়াংগেস্ট ট্রাভেলার অব বাংলাদেশ’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্যুরিস্ট সোসাইটি (ডিইউটিএস) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাকে এ স্বীকৃতি দেয়া হয়।
এ সময় ট্যুরিস্ট সোসাইটির সভাপতি মুসফিকুর রহমান, ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন সুমন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সোসাইটির সাইফুল্লাহ সাদেক কামরুন্নাহার মুন্নি ও মহিউদ্দিন রনিসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা হীরা সরকার।
২০২০ সালের বিজয় দিবসে রিফাত জাহান শাওন ১৯ বছর বয়সে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় ভ্রমণ শেষ করেন। বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতদের সহযোগিতায় শাওন সারাদেশ ঘুরেছেন, ঘুরেছেন দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায়।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে পর্যটন শিল্প বিকাশের অফুরান সম্ভাবনা আছে: আইজিপি
অনুষ্ঠানে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ট্যুরিস্ট সোসাইটির সভাপতি মুসফিকুর রহমান বলেন, ‘পর্যটনের প্রসার ঘটলেই দেশের পর্যটন শিল্প অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’
৬৭টি দেশ ভ্রমণ করা মোফাজ্জল হোসেন সুমন বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বৈশ্বিক পর্যায়ে তুলে ধরতে আমাদের পর্যটন শিল্পকে সংগঠিত করতে হবে। এতে করে একদিকে যেমন আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে বিশ্বের মানুষের সামনে তুলে ধরা সম্ভব হবে, ফলে আমাদের অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতের টুরিস্ট ভিসা কীভাবে পাবেন: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, প্রসেসিং ফি
কুমিল্লায় দৃষ্টিনন্দন ‘সাত গম্বুজ মসজিদ’
মানসিক বিকাশে শিশুর সঙ্গে মা-বাবার টেলিভিশন দেখা হতে পারে উপকারী
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, টেলিভিশন বা স্মার্টফোন দেখার সময় শিশুর সঙ্গে মা-বাবা থাকলে যতক্ষণ স্ক্রিন দেখা হচ্ছে তা শিশুর মানসিক বিকাশে উপকারী হতে পারে।
ফ্রান্সের পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও প্যারিস নান্টেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গত দুই দশকে প্রকাশিত ৪৭৮টি গবেষণাপত্র বিশ্লেষণ করে দেখেছেন। তাদের প্রাপ্ত ফল থেকে জানা যায়, বিশেষ করে অল্পবয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে প্রথম দিকে খেলাধুলা, ভাষার উন্নয়ন ও নির্বাহী কার্যকারিতায় টেলিভিশন ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ইডি’র মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ
ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ড. এজটার সোমোগি বলেন, ‘আমরা শুনতে অভ্যস্ত যে স্ক্রিন একটি শিশুর জন্য খারাপ এবং এক ঘণ্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রাখলে তা তাদের বিকাশে গুরুতর ক্ষতি করতে পারে। যদিও এটি ক্ষতিকর হতে পারে, তবে আমাদের গবেষণা শিশু কতক্ষণ টেলিভিশন দেখছে তার ওপর নয়, বরং কি দেখছে অর্থাৎ মানের ওপর গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দেয়।’
তিনি আরও বলেন, দুর্বল কাহিনী বিন্যাস, দ্রুতগতির সম্পাদনা ও জটিল উদ্দীপনা শিশুর জন্য তথ্য নেয়ার বা বুঝতে পাড়ার বিষয়কে কঠিন করতে পারে। কিন্তু স্ক্রিনের বিষয়বস্তু শিশুর বয়সের জন্য উপযুক্ত হলে তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে শিশুকে মিথস্ক্রিয়ায় উৎসাহিত করে সেভাবে উপস্থাপন করলে।’
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, টেলিভিশন বা স্মার্টফোন দেখার সময় মা-বাবা বা একজন প্রাপ্তবয়স্ক কেউ থাকলে তা শিশুর জন্য আরও উপকারী হতে পারে। কারণ শিশুরা মিথস্ক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে এবং প্রশ্ন করে জেনে নিতে পারে।
ড. সোমোগি জানান, ‘তাদের (শিশু) মনোভাব বা আচরণে ও মিডিয়ার ব্যবহারে পরিবার যথেষ্ট পার্থক্য তৈরি করে।’
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই উল্লেখ করেছে, শিশুর জ্ঞানীয় বিকাশে টেলিভিশন বা স্মার্টফোন দেখার প্রেক্ষাপটের পার্থক্য স্ক্রিন টাইমের শক্তি ও প্রকৃতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিক্ষামূলক কর্মসূচীর সময় তাদের জ্ঞান অর্জনকে শক্তিশালী করা, একটি বিষয় বুঝতে সাহায্য করা এবং শিশুর মনে জাগা প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য শিশুর সাথে মা-বাবার টেলিভিশন দেখা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের নিজস্ব ‘আইডল’ প্রচারিত হবে ডিসেম্বরে
মেরিলিন মনরোর মোহময়তায় দর্শককে ভাসাবে নেটফ্লিক্সের ‘ব্লনডি’!
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘উদ্যমী আমি-ভেনচার মায়েস্ট্রাস’ কর্মসূচি আয়োজিত
গ্রামীণ পর্যায়ে দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গত ৫০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে বেসরকারি উন্নয়নমূলক সংস্থা ব্র্যাক। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রিসার্চ অ্যান্ড প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার’-এ আয়োজিত হয় ‘উদ্যমী আমি-ভেনচার মায়েস্ট্রাস’ কর্মসূচি।
‘উদ্যমী আমি-ভেনচার মাইস্ট্রস’ প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য ‘লিঙ্গ সমতা’। যেটি জাতিসংঘের বৈশ্বিক উন্নয়ন লক্ষ্যের (সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস) ৫ম লক্ষ্য। বাংলাদেশি নারীদের কার্যকরী কর্মদক্ষতা এবং উন্নয়ন অর্জন আরও একধাপ এগিয়ে নেয়াই ছিল ‘উদ্যোমী আমি' কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য।
নারী উদ্যোক্তারা যেন নিজেদের কর্মদক্ষতার সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে নিজের অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তের ক্ষমতা অর্জন করতে পারে- এটিও আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: তিন দিনব্যাপী শিশুদের আন্তজার্তিক শিল্প প্রদর্শিনী শুরু
অনুষ্ঠান শুরু হয় প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী নারী উদ্যোক্তদের ব্যবসায়িক উদ্যোগের ‘পিচিং সেশন’ এবং বিচারকদের প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে। ৩১ জন উদ্যোক্তার মধ্যে ২৪ জন উত্তীর্ণ হওয়া উদ্যোক্তা এই পিচিং সেশনটিতে নিজেদের উদ্যোগকে উপস্থাপন করার সুযোগ পান উদ্যোক্তারা। প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে বেলা ১১টায় শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ব্র্যাক বিজনেস স্কুল (বিবিএস) এর ডিন অধ্যাপক ড. স্যাঙ হুন লি, প্রফেসর অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ মুজিবুল হক, সেন্টার ফর এন্টারপপ্রেনাশিপ ডেভেলপমেন্ট (সিইডি) এর পরিচালক আফসানা চৌধুরী, ড. রাফিউল আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নাসীমা আক্তার নিশা।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা তাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত ৯২ শিশুকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিল কাতার চ্যারিটি
সর্বশেষে বিজয়ী উদ্যোক্তা লাবনী আক্তার নিজের আনন্দ প্রকাশ করে বলেন,‘প্রথম সেশনেই আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি যে এখানে নতুন কিছু পেতে যাচ্ছি। যতগুলো ট্রেনিং প্রোগ্রাম আমি করেছি লোকাল ও ইন্টারন্যাশনাল; উদ্যমী আমি কেন যেন বাকিদের থেকে আলাদা লেগেছে।’
মূল অনুষ্ঠান শেষে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আতিফ হক বলেন, ‘উদ্যমী আমি নারীর ক্ষমতায়নের জন্য যে উদ্যোগটি নিয়েছে তা প্রশংসনীয়। ব্র্যাকের এই উদ্যোগ নারীদের জন্য সময়োপযোগী এবং আমার বিশ্বাস এই অনুষ্ঠান সকল অংশগ্রহণকারীদের জন্য কোনো না কোনোভাবে উন্নতি আনবে।’
বর্ণিল এই আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল সময় টিভি ও ইউএনবি। প্রিন্ট মিডিয়া স্পনসর ছিলো ইত্তেফাক এবং অনুষ্ঠানটির সার্বিক পরিচালনার দায়িত্বে ছিল ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বিজনেস ক্লাব (বিজবি)।
আরও পড়ুন: ‘সাকসেস অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ পেলেন বিশ্বজয়ী নাজমুন নাহার
পাহাড়ে পর্যটন শিল্প বিকাশের অফুরান সম্ভাবনা আছে: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজির আহমেদ বলেছেন, পাহাড়ে পর্যটন শিল্প বিকাশের অফুরান সম্ভাবনা রয়েছে। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্যকে কাজে লাগিয়ে বান্দরবানের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটানো সহজ।
রবিবার দুপুরে বান্দরবানের থানচি উপজেলা সদরে পুলিশের উদ্যোগে হাইজল্যান্ড পার্ক রিসোর্ট উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা বাড়াতে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন করতে প্রয়োজনে ট্যুরিস্ট পুলিশের ইউনিফর্মে পরিবর্তন আসবে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় আমর্ড পুলিশের তিনটি ব্যাটালিয়ান ও পুলিশের একাধিক ক্যাম্প স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ।
আরও পড়ুন: আজ মহালয়া, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবের আমেজ
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রামের ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, পুলিশ হেডকোয়ার্টার -এর ডিআইজি (ফাইন্যান্স) মো. মাহবুবুর রহমান, পুলিশের ডিআইজি মোহাম্মদ রুহুল আমিন, বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাইমুল হক প্রমুখ।
পুলিশে মহাপরিদর্শক হাইজল্যান্ড পার্কটি পরিদর্শন করেন এবং সেখানে একটি বৃক্ষের চারা রোপন করেন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সতেরশ’ ফিট উচ্চতায় বান্দরবানের থানচিতে মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে এই পার্কটি গড়ে তোলা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের অর্থায়নে এই হাইজল্যান্ড পার্কটি বান্দরবানের পর্যটনশিল্পে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: আজ মহালয়া, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবের আমেজ
আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশের ২ প্রকল্প
আজ মহালয়া, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবের আমেজ
সারাদেশ জুড়ে হিন্দুরা আজ মহালয়া উদযাপন করছে। বিভিন্ন মণ্ডপে পূজা ও ভক্তির মাধ্যমে রবিবার ভোরে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের ক্ষণ গণনা।
হিন্দু ধর্মমতে, দুর্গাপূজা শুরুর সাত দিন পূর্বে দুর্গা দেবীর আনুষ্ঠানিক প্রার্থনা হিসেবে মহালয়া বিবেচিত হয়।
আরও পড়ুন: শিকদারবাড়ির দুর্গোৎসব এ বছরও বড় পরিসরে হচ্ছে না
আগামী ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর দিনে দুর্গাপূজা শুরু হবে। এবার দেবী দুর্গা মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে হাতি (গজ) চড়ে পৃথিবীতে (মর্ত্যলোকে) আসবেন।
মহালয়া উপলক্ষে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি ভোর ৬টা থেকে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি চলছে মাগুরায়
এই দিনটিতে হিন্দুরা মৃত পূর্বপুরুষদের পূজা করে এবং তাদের নামে ব্রাহ্মণদের পোশাক, খাবার ও মিষ্টি উপহার দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
এ বছর সারাদেশে মোট ৩২ হাজার ১৬৮টি পূজামণ্ডপ হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, আসন্ন দুর্গাপূজায় দেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেইসঙ্গে পূজা মণ্ডপে স্থায়ীভাবে আনসার সদস্যরা পাহারায় থাকবেন।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে ৪১ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু
তিনি আরও বলেন, আমরা এসব পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পূজামণ্ডপের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আমাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী, এটা পুলিশ হতে পারে, হতে পারে আনসার, যেখানে যেটা প্রয়োজন সেখানে সেইভাবে ব্যবস্থা করা হবে।
আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশের ২ প্রকল্প
বাংলাদেশের দুটি প্রকল্প বিশ্বব্যাপী স্থাপত্যের অন্যতম বৃহৎ পুরস্কার ‘আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার (একেএএ)-২০২২’ জিতেছে। এ বছর বিজয়ী হিসেবে ছয়টি প্রকল্পের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
খন্দকার হাসিবুল কবির ও সুহেলি ফারজানার ঝিনাইদহের ‘আর্বান রিভার স্পেসেস প্রকল্প’ এবং রিজভি হাসান,খাজা ফাতমি ও সাদ বেন মোস্তফার ‘রোহিঙ্গা রিফিউজি রেস্পন্স প্রোগ্রাম’-এর কমিউনিটি স্পেসের নকশা এই পুরস্কার জিতেছে।
উল্লিখিত প্রকল্পগুলো ছাড়াও এবছর ইন্দোনেশিয়া,ইরান, লেবানন ও সেনেগালের চারটি প্রকল্প এই পুরস্কার জয় করেছে। পুরস্কারজয়ী ছয়টি প্রকল্প একেএএ পুরস্কারের ১০ লাখ ডলার ভাগ করে নেবে।
কুমিল্লায় দৃষ্টিনন্দন ‘সাত গম্বুজ মসজিদ’
কুমিল্লার দেবিদ্বারের গুনাইঘর গ্রামের ঐতিহ্যের নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে গুনাইঘর সাত গম্বুজ মসজিদ। স্বতন্ত্র নির্মাণ শৈলী ও নান্দনিকতার জন্য বহু দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমায় মসজিদটি দেখতে আসে।
জানা গেছে, ২০০২ সালে শুরু হওয়া মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০০৫ সালে। এতে রয়েছে চারটি মিনার ও সাতটি গম্বুজ।মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৪৮ ফুট, প্রস্থ ৩৬ ফুট। সাতটি গুম্বুজ ও চার কোনায় রয়েছে চারটি মিনার, প্রতিটি মিনারের উচ্চতা ৮০ ফুট। মসজিদটি নির্মাণের সময় ইট,বালু,সিমেন্ট এর পাশাপাশি চিনামাটি ও স্টাইলস ব্যবহার করা হয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন রংয়ের বৈদ্যুতিক বাতির আলোক সজ্জা।
আর্কষণীয় এই সাত গম্বুজ মসজিদে একসঙ্গে কয়েক শ’ মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন । মসজিদের গায়ে লেখা রয়েছে পবিত্র কুরআনেরা সূরা-আর রাহমান, আয়াতুল কুরসি ও বিভিন্ন দোয়া। নতুন ও পুরাতন পদ্ধতির সংমিশ্রণে অসংখ্য ক্যালিওগ্রাফিতে আঁকা ব্যতিক্রমধর্মী নির্মাণ শৈলী দেখা যায় মসজিদটিতে। মসজিদটিতে বাংলায় আটটি ক্যালিওগ্রাফি রয়েছে। এছাড়া আরবিতে লেখা রয়েছে ইসলাম ধর্মের চার কালেমা।
আরও পড়ুন: ভারতের মেডিকেল ভিসা: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভিসা প্রসেসিং ফি
বাজেটের মধ্যে ঢাকার সেরা ১০টি বুফে রেস্টুরেন্ট
বাঙালি শব্দটির সাথে খাওয়া-দাওয়ার বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর তা যদি হয় বুফে, তাহলে তো কথাই নেই! পশ্চিমা খাবার প্রথা থেকে শুরু হলেও বুফে এখন বাংলাদেশিদের জন্য স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানী জুড়ে পুরনো নামকরা রেস্টুরেন্টগুলোর পাশাপাশি নতুন অনেক ক্যাফে চালু হচ্ছে এই বুফেকে কেন্দ্র করে। শুধু তাই নয়, নানা উপলক্ষ ছাড়াও কম খরচে বুফে খাওয়ার সুবিধা দিচ্ছে রসনা নির্ভর ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানগুলো। এখন বাজেটের মধ্যে ঢাকার সেরা বুফে রেস্টুরেন্টগুলোতে সময় কাটানো মানেই আনলিমিটেড পেটপূর্তি। চলুন, সেই রেস্টুরেন্টগুলোর সেরা বুফে ডিল নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
ঢাকার সেরা ১০টি বাজেট বুফে রেস্টুরেন্ট
বুফে স্টোরিস (ধানমন্ডি, মিরপুর, গুলশান)
খাবারের স্বর্গ ধানমন্ডির বাজেট বুফের মধ্যে এই রেস্টুরেন্টটি অন্যতম। ধানমন্ডি-২ নাম্বার রোড এবং মিরপুর-১১ এর দুই শাখাতেই বেশ সাশ্রয়ী এবং পুষিয়ে নেয়ার মত মূল্যের বুফে পরিবেশন করা হয়। এদের ৬০০ টাকার ৬৫টি আইটেমের প্যাকেজটিতে আলাদা করে ভ্যাটসহ অন্যান্য খরচের কথা ভাবতে হবে না। আর খাবারের কোয়ালিটিতে যে কোন ভোজন রসিক অনুভব করবেন, যে তিনি সঠিক মূল্যের খাবারটিই নির্বাচন করেছেন। সবচেয়ে চমৎকার বিষয়টি হল যে, তারা রেগুলার পানির পাশাপাশি পছন্দনীয় একটি কোমল পানীয় দেয়। দেশি থেকে চাইনিজ পর্যন্ত বিভিন্ন ধরণের খাবারের পাশাপাশি থাকে মিষ্টান্ন আইটেমের দারুণ সমারোহ।
গরুর মাংসের রেজালা এবং লাইভ কাবাব স্টেশন থেকে খাবার মেনুর দুটি প্রধান আকর্ষণ। যে কোন স্পট রিজার্ভ করার জন্য আগে থেকে কল করে যাওয়া উত্তম। কারণ যে কোন দিনেই রেস্তোরাঁটি খুব দ্রুত লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। সমস্যা হিসেবে শুধু এই ভিড়টাকেই বিবেচনা করা যেতে পারে। এছাড়া জায়গা বা খাবার নিয়ে কোনও উল্লেখযোগ্য অসুবিধা নেই। যেকোন ব্যক্তিগত বা কর্পোরেট ইভেন্টের জন্য ভেন্যু বুক করার জন্য উপযুক্ত একটি জায়গা বুফে স্টোরিস।
পড়ুন: গ্রীন কফি: উপকারিতা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও বানানোর নিয়ম
প্রিমিয়াম লাউঞ্জ, মিরপুর
প্রিয়জনদের সাথে একটি সুন্দর বুফে লাঞ্চ বা ডিনারের জন্য যে কেউ মিরপুরে অবস্থিত এই রেস্টুরেন্টটিতে দারুণ একটি স্পট লুফে নিতে চাইবে। লাঞ্চের জন্য ৬৫-এর বেশি আইটেম এবং রাতের খাবারের জন্য ৭৫-এর বেশি আইটেম সহ বুফের সাশ্রয়ী দামগুলো দেখে আশ্চর্য হতে হয়। খাবারের কোয়ালিটি নিয়ে যেখানে কোন আপোস করা হয়নি, এরপরও আরামদায়ক ইন্টেরিয়র; সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে চাহিদা থেকেও বেশি কিছু। লাঞ্চের বুফের জন্য ৫৯০ টাকা এবং ডিনার বুফের জন্য ৬৯০ টাকা; আর যাবতীয় চার্জ এর ভেতরেই।
প্যাকেজে মিলবে ভাজা ভাত, বিরিয়ানি, নান, মুরগি, গরুর মাংস সহ আরো কিছু। তবে তাদের মিষ্টান্নের ভান্ডারটি নজর কাড়ার মত। রেড ভেলভেট কেক, ট্রাইফেল পুডিং, চকোলেট ইক্লেয়ার-এর স্বাদ একবার নেয়ার পর আবার সেখানে ফিরে যেতে মন চাইবে।
রেডরেস, শ্যামলী
শ্যামলীর রিং রোডের এই রেস্টুরেন্টটি যে কোন ছুটির দিনে বন্ধু-বান্ধব বা পরিবার নিয়ে সময় কাটানোর মত দারুণ জায়গা হতে পারে। এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে আশেপাশের অঞ্চলগুলো থেকে যে কেউ অনায়াসেই এখানে নিজের জায়গাটি বেছে নেন। ছুটি বা সপ্তাহান্তের কথা বিশেষ ভাবে বলার কারণ হচ্ছে শুধুমাত্র এই সময়গুলোতেই এখানে ৫০০ টাকায় বুফে পরিবেশন করা হয়।
পড়ুন: লাল চাল: কেন খাবেন এবং কারা এড়িয়ে চলবেন?
এই রেস্তোরাঁয় তাদের মেনুতে আনলিমিটেড চাইনিজ খাবার রয়েছে। আইটেমের মধ্যে আছে স্প্রিং রোলস, বিশেষ ফিরনি, মিষ্টি, টক চিকেন, গ্রিলড চিকেন, এবং ভাত। গরম খাবারগুলোর মধ্যে বিশেষ করে ঘন থাই স্যুপ দুর্দান্ত। অন্যান্য স্ন্যাক্স আইটেমের মধ্যে আনলিমিটেড পিৎজার কোন তুলনা হয় না। প্রচন্ড ভিড় সামলাতে না চাইলে আগে থেকেই কল দিয়ে পছন্দ মত জায়গা রিজার্ভ করে নিতে হবে।
ওয়াটার গার্ডেন রেস্টুরেন্ট, বনশ্রী
দক্ষিণ বনশ্রীর বাগানবাড়িতে এই পার্টি সেন্টারটি প্রবেশমুখেই দর্শনার্থীদের স্বাগত জানায় নয়নাভিরাম কৃত্রিম ঝর্ণার দৃশ্য দেখিয়ে। একদম মুল অংশে দেয়ালে ফ্রেমে বাধা পেইন্টিংগুলো পুরো ইন্টেরিয়রে দিয়েছে নিপুন শৈল্পিকতার ছোয়া। সিড়ি বেয়ে রুফটপে উঠে গেলে একটু ভীড়মি খেতে হবে। মনে হবে অত্যাধুনিক শহর ছেড়ে যেন সবুজ অকৃত্রিম এক জগতে প্রবেশ করা হলো। ছোট ছোট টবের গাছের পাশে বাঁশে গড়া প্রতিটি বসার জায়গা।
খাবারের বিষয়ে বলতে গেলে ৬০-এর বেশি আইটেম নিয়ে এদের বুফে বেশ মান সম্মত। ৬৯৯ টাকার মধ্যে বিশাল প্যাকেজে আছে ফ্রাইড রাইস, চিকেন চিলি অনিয়ন, চাইনিজ সবজি, রোস্টেড তন্দুরি চিকেন, সেদ্ধ মাশরুম, ভাজা সবজি, ডিপ ফ্রাই পেঁয়াজ, ফ্রাইড চিকেন, গরুর মাংস সিজলিং, বিভিন্ন ধরনের কারি এবং মিক্সড সালাদ।
পড়ুন: জবা ফুলের চা: গুণাগুণ, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও বানানোর পদ্ধতি
বাফেট প্যালেস, মিরপুর, মোহাম্মদপুর
প্লাস্টিকের হলেও ফুল-পাতা ও অপূর্ব আলোকসজ্জার মাঝে বসে খেতে কার না ভালো লাগে। বুফের এই প্রাসাদটি সেই ভালো লাগার পুরোটাই পুরন করবে থাই, চাইনীজ, ভারতীয় ও বাঙালী খাবারের পরিমিত মেলবন্ধন দিয়ে। এদের আনলিমিটেড মাটন কাচ্চি সহ ৭৫-এর অধিক আইটেমের বুফের মূল্য ৬৫০/= টাকা। তবে শুধুমাত্র মোহাম্মদপুর শাখায় ৫৯৯ টাকায় পরিবেশ করা হচ্ছে বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবারে। ৩ থেকে ৬ বছরের বাচ্চাদের জন্য অর্ধেক মূল্য।
সাধারণ বুফের আইটেম তো আছেই, তবে এদের বিশেষত্ব হচ্ছে মাটন কাচ্চি, চিকেন দম বিরিয়ানি, রুটি রশমালাই ও দোই ফুসকা। আনলিমিটেড কোমল পানীয়র সাথে থাই ও চাইনিজ আইটেমগুলোও এদের অতিথিদের ভালো লাগাটা ধরে রেখেছে।
জেড কিচেন, বসুন্ধরা
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠা নতুন এই রেস্তোরাঁটি ইতোমধ্যেই স্থানীয়দের কাছে প্রিয় খাবারের জায়গায় পরিণত হয়েছে। বসুন্ধরার মত অভিজাত এলাকাতে এই কিচেনে ৬০-এর বেশি আইটেমের লাঞ্চ বুফের দাম ৬০০ টাকা। রাতে ৭০-এর বেশি আইটেমের জন্য বুফের দাম পড়বে ৭০০ টাকা। সাথে কোমল পানীয় যত খুশি তত নেয়া যাবে। ৭ বছরের ছোট বাচ্চাদের জন্য এখানে ৫০ শতাংশ এবং স্টুডেন্ট আইডি কার্ডধারীদের জন্য ১০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। ছিমছাম এই রেস্টুরেন্টটি ১০০-এর বেশি অতিথিদের বসার জায়গা দিতে সক্ষম।
পড়ুন: কঠোর ডায়েটের স্বাস্থ্য ঝুঁকিসমূহ জেনে নিন
সালাদ লাভার্স, বসুন্ধরা সিটি শপিং মল
জনপ্রিয় শপিং মল বসুন্ধরায় অবস্থিত এই ফুড কোর্টটি খাবার পরিবেশন করে বুফে মাধ্যমে। দাম নির্ধারণের বিষয়টিও অভিনব। বিভিন্ন আইটেম একটি বক্সে একসাথে করার পর বক্সটির ওজন করা হয়। তারপর প্রতি গ্রাম ৯৩ পয়সা ধরে ঠিক করা হয় বুফের আসল মূল্য। অল্প খরচে বেশি আইটেমের জায়গাগুলোতে আসলে অনেকেই পেটপূর্তি করে খেতে পারেন না। অল্প একটু খাওয়ার পরেই খাওয়ার শক্তি একদম ফুরিয়ে যায়। তাদের জন্য এই সালাদ লাভার্সটি সেরা জায়গা হতে পারে।
সালাদ নাম হলেও এখানে যে শুধু সালাদ আইটেম আছে তা নয়। ফ্রাইড রাইস থেকে শুরু করে গার্লিক মাশরুম, ভেজিটেবল, স্ফ্যাগেটি, চিকেন, পাস্তা; বলতে গেলে পূর্নাঙ্গ বুফের প্রায় সবি আছে। আর আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এই বুফেটি নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর।
রয়াল ক্যুসিন, উত্তরা
উত্তরা রাজলক্ষীতে অবস্তিত এই ক্যুসিনটি নামের মতই রাজকীয়। বিভিন্ন উপলক্ষের দিনগুলোতে আলবত পাল্টে যায় পুরো রেস্টুরেন্টের চেহারা। অভিজাত ইন্টেরিয়র ঘুরে বেড়ানোর পর বুফে নেয়ার সময় এর দামটা চমকে দিতে পারে। ৮৫-এর বেশি আইটেমের বুফে লাঞ্চ ৭০০ টাকা এবং ৮৫-এর বেশি আইটেমের বুফে ডিনার ৮০০ টাকা। এমন প্রাসাদতূল্য জায়গার তুলনায় দামটা একটু কমই বলা যায়।
পড়ুন: রন্ধন পাঠশালা: ঢাকায় কোথায় রান্না শেখার কোর্স করতে পারবেন?
তাছাড়া তালিকায় বাহারি আইটেমের বাহুল্যের সাথে খুব বেশি পেটুকরাও পাল্লা দিতে পারবেন না। তবে চেখে দেখার সময় অতিথিরা টের পাবেন যে, মানের দিক থেকে এগুলোতে কোন কার্পণ্য করা হয়নি। অন্য সব ঐতিহ্যবাহী বুফে আইটেমের মধ্যে এখানে চোখে পড়বে দেশ-বিদেশের সালাদ, মাছসহ বিভিন্ন সবজি। রুফটপে খেতে খেতে প্লেনের উঠা নামা উপভোগ করার জন্যও রয়াল ক্যুসিন উপযুক্ত একটি জায়গা।
ফুডল্যান্ড ক্যাফে, ওয়ারী
পরিবারের ছোট-বড় সবাইকে নিয়ে দারুণ কিছু সময় কাটানোর জন্য এই রেস্টুরেন্টটি সেরা একটি নির্বাচন হতে পারে। মনোরম ইন্টেরিয়রের পাশাপাশি প্রতিটি আরামদায়ক বসার জায়গা অতিথিদের অনেকটা নিজের ঘরের মত অনুভূতি দেয়। আর এর সাথে যুক্ত হয় এদের সাশ্রয়ী মূল্যের বুফে। ৪০-এর অধিক আইটেমের জন্য লাঞ্চ বুফের খরচ ৬০০ টাকা, যা রাতের বেলা হয়ে যাবে ৭০০ টাকা।
আইটেমগুলোর মধ্যে ঘন থাই স্যুপটি আলাদাভাবে নজর কাড়বে। এছাড়া ফ্রাইড রাইস, চিকেন, চাইনিজ, সবজির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মিক্সড সালাদে পুরো খরচটা বেশ ভালো ভাবেই উশুল হবে। আর সাথে রঙ-বেরঙের মিষ্টান্ন তো আছেই।
পড়ুন: মধু কি সত্যি অমৃত?
আইরিশ স্কাই লাউঞ্জ, খিলগাঁও
খাবারের থেকে যারা আশেপাশের সৌন্দর্যটাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তাদের জন্য এই রেস্টুরেন্টটি সঠিক জায়গা। রুফটপ রেস্টুরেন্ট হলেও খুব বেশি উপরে যে ঠিক তা নয়। চার তলায় অর্ধেক অংশ রুফটপ করে যথেষ্ট সুন্দর করে সাজানো হয়েছে খাবারের জায়গাটি। খিলগাঁওয়ের কেএফসি বিল্ডিং-এর সামনের এলাকাটি মোটামুটি একটু খোলামেলা হওয়ায় চার তলাতেই বেশ দারুণ স্কাই ভিউ পাওয়া যায়।
৪০-এর বেশি আইটেম সহ এদের বুফে প্যাকেজ ৫৬০ টাকা। সাথের পানীয়গুলোর জন্য অবশ্য আলাদা ভাবে খরচ করতে হয়। ফ্রাইড রাইস থেকে শুরু করে খাবারের শেষে মিষ্টান্ন সহ সবকিছুতেই পরিপূর্ণ বুফে। কিন্তু মানের দিক থেকে খাবারগুলো রেস্টুরেন্টটির সৌন্দর্য্যের সমকক্ষ হতে পারেনি। তাছাড়া এদের ফার্স্ট পেমেন্ট সিস্টেমটি নিয়ে দর্শনার্থীদের মধ্যে বেশ মেলানো-মেশানো প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
শেষাংশ
ভোজন রসিক বাঙালির রেস্টুরেন্টমুখী হওয়ার সাথে সাথে বাড়ছে বাজেটের মধ্যে ঢাকার সেরা বুফে রেস্টুরেন্ট-এর সংখ্যাও। নান্দনিক ডিজাইন ও আরামদায়ক পরিবেশের কারণে কর্মজীবী মানুষদের প্রিয় জায়গায় পরিণত হচ্ছে ক্যাফেগুলো। এছাড়া সময়ের সাথে কর্মব্যস্ততা বৃদ্ধির গতি আরো দ্রুততর হওয়ায় রেস্তোরাগুলোর উপর আরো নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে সাধারণত মানুষ। এরই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রসনা নির্ভর ব্যবসার প্রসার। বর্তমান যুগে রন্ধন শিল্প বেশ সম্মানজনক এবং চাহিদাসম্পন্ন পেশা হয়ে দাড়িয়েছে। তাই এ ধরনের খাবারের ব্যবসার প্রসিদ্ধি দেশ জুড়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির নির্ণায়ক।
পড়ুন: অপরাজিতা ফুলের নীল চা: জাদুকরী স্বাস্থ্যগুণ, বানানোর পদ্ধতি
মার্কিন প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়মিত উদ্বেগ মূল্যায়ন করা উচিত: বিশেষজ্ঞ দল
যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকদের ৬৫ বছরের কম বয়সী সকল প্রাপ্তবয়স্কদের উদ্বেগ বিষয়ে নিয়মিত মূল্যায়ন করা উচিত বলে একটি প্রভাবশালী স্বাস্থ্য নির্দেশিকা দল মঙ্গলবার প্রস্তাব করেছে।
প্রথমবারের মতো ইউনাইটেড স্টেটস প্রিভেন্টিভ সার্ভিসেস টাস্ক ফোর্স উপসর্গ ছাড়াই প্রাপ্তবয়স্কদের প্রাথমিক চিকিৎসার অংশ হিসেবে উদ্বেগ মূল্যায়ন করার সুপারিশ করেছে। প্রস্তাবটি ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত জনসাধারণের মন্তব্যের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। যদিও দলটি খসড়া নির্দেশিকা নিশ্চিত করেছে।
টাস্ক ফোর্স সদস্য ও সহ-লেখক লরি পিবার্ট জানান, কোভিড-১৯ মহামারিরও পূর্বে শুরু হওয়া একটি পর্যালোচনার ভিত্তিতে এই সুপারিশ করা হয়। উক্ত গবেষণা পর্যালোচনাটিতে উদ্বেগ মূল্যায়নের সম্ভাব্য উপকারী ও ঝুঁকির দিক দেখা যায়। যেখানে মহামারির কারণে বিচ্ছিন্নতা ও চাপের সাথে যুক্ত মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার বৃদ্ধির কথা বলা হয়।
আরও পড়ুন: মশা কেন আপনাকেই কামড়ায়?
এই নির্দেশিকাকে লরি সময়োপযোগী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। লরি ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান মেডিকেল স্কুলের একজন মনোবিজ্ঞানী ও গবেষক।
লরি উল্লেখ করেন, উদ্বেগজনিত ব্যাধিগুলো সবচেয়ে সাধারণ মানসিক স্বাস্থ্যের অভিযোগগুলোর মধ্যে একটি, যা প্রায় ৪০ শতাংশ মার্কিন মহিলাকে তাদের জীবনের কোনো না কোনো সময়ে এবং চারজনের মধ্যে একজনের বেশি পুরুষকে প্রভাবিত করে।
উদ্বেগজনিত সমস্যার সাধারণত যারা বেশি সম্মুখীন হয়-দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করে এমন নিগ্রো, যারা তাদের প্রিয় মানুষকে হারিয়েছে এবং যাদের অন্যান্য মানসিক সমস্যা রয়েছে। এই ব্যক্তিগুলোর ক্ষেত্রে আতঙ্ক আক্রমণ, নানা ধরনের ভীতি অথবা অনুভূতিতে নিম্নগামীর মতো লক্ষণ দেখা যায়। এছাড়াও ১০ জনে একজন গর্ভবতী ও প্রসবোত্তর মহিলা উদ্বেগ অনুভব করেন।
আরও পড়ুন: অ্যান্টিবায়োটিক-এর অপপ্রয়োগ: কেন অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করছে না?
প্রতিদিনকার কাজে ব্যাঘাত ঘটায় এমন ভয় ও চিন্তার মতো লক্ষণ মূল্যায়ন করার ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নমালাসহ মূল্যায়ন টুল ব্যবহার করা হয়। টাস্ক ফোর্স জানিয়েছে, প্রাথমিক চিকিৎসা বা যত্ন নেয়ার ক্ষেত্রে এই টুল সহজেই দেয়া সম্ভব। তবে জানানো হয়নি ঠিক কতদিন পর পর মূল্যায়ন করতে হবে।
টাস্ক ফোর্স বলেছে যে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে উদ্বেগ মূল্যায়নের জন্য বা এর বিরুদ্ধে সুপারিশ করার জন্য বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়ে যথেষ্ট কঠিন গবেষণা নেই।
দলটি প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের জন্য বিষণ্নতা মূল্যায়ন করার জন্য সুপারিশ দিয়ে চলেছে। তবে চিন্তা বা উদ্বেগ দেখায় না এমন প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে আত্মহত্যা মূল্যায়নের কোনো সুবিধা বা ঝুঁকির দিক আছে কি না তা সম্পর্কে যথেষ্ট প্রমাণ নেই।
আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত ৯২ শিশুকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিল কাতার চ্যারিটি
মশা কেন আপনাকেই কামড়ায়?
কোথাও ঘুরতে যেয়ে বা আড্ডাতে অন্যান্যরা যখন দীর্ঘ সময় ধরে আনন্দ-উৎসবে ব্যস্ত থাকে, তখন আপনাকে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে হয় মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য। এত মানুষ থাকতে মশা যেন বেছে বেছে আপনাকেই খুঁজে পায়। আপনার রক্ত মিষ্টি-বন্ধুদের কাছে এ কথা শুনতে শুনতে আপনি অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কথাটা যদিও একদম ফেলে দেয়ার মত নয়। মশারা সত্যিই মিষ্টি জিনিসের পেছনে ছুটে। তবে এটি তাদের রক্ত চোষার আসল কারণ নয়। মশা মানুষকে কামড়ায় কারণ মানুষের রক্তে মশার ডিম তৈরির প্রয়োজনীয় পুষ্টি থাকে। আর তার জন্যে রক্ত মিষ্টি হওয়ার প্রয়োজন নেই। মশা কেন আপনাকে কামড়ায় তা যাচাই করার জন্য চলুন, আগে খুঁজে বের করা যাক- ঠিক কিভাবে এত মানুষের ভীড়ে মশা আপনাকেই খুঁজে নেয়।
বেছে বেছে মশা কিভাবে আপনাকেই খুঁজে নেয়
শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় নিঃসৃত কার্বন-ডাই-অক্সাইড
মশা তার ম্যাক্সিলারি প্যাল্প নামক প্রত্যঙ্গের মাধ্যমে কার্বন-ডাই-অক্সাইড শনাক্ত করতে পারে। শ্বাস ছাড়ার সময় মানুষ বায়ুমন্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত করে। আর গ্যাস নির্গত হওয়ার অনুপাত আরো বেড়ে যায় অত্যধিক পরিশ্রম ও ব্যায়ামের সময়। মশা পরিবেশে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের তারতম্য বুঝতে পারে। আর এভাবে সে শনাক্ত করতে পারে বেশি পরিমাণের কার্বন-ডাই-অক্সাইডের নিঃসরণটা ঠিক কোন উৎস থেকে আসছে। এগুলোর মধ্যে অপেক্ষাকৃত কাছাকাছি থাকা হোস্টের দিকে মশা অগ্রসর হয়। একটি মশা ১৬৪ ফুট দূর থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণকারিকে শনাক্ত করতে পারে।
শরীরের গন্ধ
মশা কিছু নির্দিষ্ট যৌগের প্রতি আকৃষ্ট হয় যা মানুষের ত্বক এবং ঘামে থাকে। এগুলোর মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড, অ্যামোনিয়ার, ইউরিক অ্যাসিড এবং কোলেস্টেরলের প্রভাব বেশি। এই কেমিক্যাল গুলোর তারতম্য মানুষের জীনগত বৈশিষ্ট্য এবং ত্বকে থাকা নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়ার উপর নির্ভরশীল। ল্যাকটিক অ্যাসিডের উপস্থিতি মশাদের প্রিয় মানব গন্ধ হিসেবে মনে করা হয়। ব্যায়াম করার সময় প্রচুর পরিমাণে ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি হয়। তাই ব্যায়াম করার পর পরই সাবান দিয়ে গোসল করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়।
মানুষের ত্বক আসলে বেশ কিছু আণুবীক্ষণিক ব্যাকটেরিয়ার আশ্রয়স্থল। এই ব্যাকটেরিয়া ঘামের সাথে মিশে একটি স্বতন্ত্র গন্ধ তৈরি করে। কখনো কখনো ত্বকের জীবাণুর উচ্চ বৈচিত্র্য শরীরে গন্ধের উপর প্রভাব ফেলে, যার ফলে শরীরটির প্রতি মশাদের আকর্ষণ কমে যায়। প্রভাবের এই ভালো-খারাপটি আসলে নির্ভর করে ব্যক্তির ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার ধরনের উপর। কখনো কখনো এই ব্যাকটেরিয়াই মানুষের গোড়ালি এবং পায়ের পাতার প্রতি মশাদের বিশেষ আকর্ষণটা নির্ধারণ করে দেয়।
পড়ুন: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু কম, তবুও আমরা উদ্বিগ্ন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
দেহের তাপ
মশা আপনার যত কাছাকাছি হয়, এটি ততই আপনার শরীরের তাপ অনুভব করতে পারে। মশার পায়ে এক ধরনের সেন্সর আছে, যা ব্যবহার করে সে যে কারো শরীরের অধিক তাপ উৎপাদনকারি অংশ খুঁজে বের করতে পারে। প্রতিটি মানুষের শরীরই নির্দিষ্ট পরিমাণে তাপ উৎপন্ন করে। তাই কোন ভাবে একবার আপনার শরীরের উপর বসতে পারলেই মশা কামড়ানোর জন্য আপনার শরীরের সবচেয়ে সেরা জায়গাটি খুঁজে নিতে পারে। আর পরিশ্রম ও ব্যায়াম তাপ ও জলীয় বাষ্পের উৎপাদনশীলতাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া তাপ উৎসের দিকে ধাবিত হওয়ার প্রতি স্বাভাবিকভাবেই ছোট-উড়ন্ত কীটপতঙ্গগুলোর এক ধরনের বাতিক আছে।
অন্যদের তুলনায় মশা কেন আপনাকেই বেশি কামড়ায়
রক্তের গ্রুপ
আপনার রক্তের গ্রুপ মশা কেন আপনাকেই কামড়ায়-এর ঊত্তর অনেকটাই নিশ্চিত করে দেয়। যাদের রক্তের গ্রুপ এ, তাদের প্রতি মশারা তেমন একটা আকৃষ্ট হয় না। অন্যদিকে ও গ্রুপের রক্ত মশাদের জন্য সুস্বাদু পানীয় হিসেবে দেখা হয়। তবে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, যে মশাটি আপনাকে কামড়ায় সে যদি ম্যালেরিয়া জীবাণু বহনকারী হয়, তবে অন্যান্য রক্তের গ্রুপের লোকদের তুলনায় আপনার ম্যালেরিয়া হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম।
স্ত্রী মশারা ডিম উৎপাদনের জন্য মানুষের রক্তের প্রোটিনের উপর নির্ভর করে। এই রক্তের ধরন নির্ধারিত হয় মানুষের জীনগত বৈশিষ্ট্য দ্বারা। প্রতিটি রক্তের ধরন নির্ভর করে লোহিত রক্তকণিকার পৃষ্ঠে অ্যান্টিজেন নামক প্রোটিনের উপর। তবে রক্তের এই প্রোটিন সংগ্রহের ব্যাপারটা একেক মশার জন্য একেক রকম। যেমন এডিস মশা ও গ্রুপ থেকে প্রোটিন নেয়, যেখানে অ্যানোফিলিস পছন্দ করে এবি গ্রুপকে।
পড়ুন: ডেঙ্গুতে আজও ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৯৯
শরীরের স্থুলতা
মশারা সাধারণত মোটা, লম্বা বা দীর্ঘদেহী লোকদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। কারণ জায়গা যেহেতু বিশাল, সঞ্চালিত রক্ত ও পরিবহনকৃত তাপের পরিমাণও তাই একটু বেশিই হয়। এর সাথে সেই স্থুল শরীরের মানুষটি যত বেশি শ্বাস ছাড়বেন, তত বেশি মশারা তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে উঠবে। যেহেতু নাক ও মুখ দিয়েই সাধারণত কার্বন-ডাই-অক্সাইড ছাড়া হয়, তাই মশা বিশেষ করে মাথাকে টার্গেট করে।
পরিধেয় কাপড়ের রঙ
মশারা কালো রঙের দিকে বেশি অগ্রসর হয়। তাই পরিধেয়ের ক্ষেত্রে যারা কালো বা অন্যান্য গাঢ় রঙ পছন্দ করেন তাদের জন্য দুঃসংবাদ। আসলে রক্ত চোষার জন্য সঠিক দেহ খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে মশারা অত্যন্ত পাকা শিকারী। তাই যারা বেশি উপদ্রবে ভুগছেন, তাদের অবশ্যই গাঢ় রঙের পোশাক যেমন কালো, নেভি এবং লাল এড়িয়ে চলা জরুরি।
গর্ভাবস্থা
সাধারণ মহিলাদের তুলনায় গর্ভবতী মহিলারা বেশি মশার উৎপাতের শিকার হন। এর কারণ গর্ভবতী মহিলাদের শরীরের তাপমাত্রা অন্যান্যদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত বেশি থাকে এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইডও বেশি নিঃসরণ করে। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের রক্তের পরিমাণ এবং বিপাকীয় হার বেশি থাকে। এটি গর্ভবতী মহিলাদেরকে মশার কামড়ের জন্য সংবেদনশীল করে তুলে।
পড়ুন: তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে করণীয়
নানা ধরনের রোগ-জীবাণু
মানুষের দেহে নানান প্রজাতির ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবীর সংক্রমণের সাথে মশার প্রতিক্রিয়ার তারতম্য ঘটে। ডেঙ্গি এবং জিকা ভাইরাস মানবদেহের গন্ধে বেশ পরিবর্তন আনে, যা তাদেরকে মশার কামড়ের জন্য উপযুক্ত করে তোলে। এটি বেশ ফলপ্রসূ পরিস্থিতি, কারণ এটি মশাকে পোষককে কামড় দিতে, সংক্রামিত রক্ত বের করতে এবং তারপর জীবাণুটি অন্য ব্যক্তিতে ছড়াতে সহায়তা করে।
কিছু ভাইরাস আছে যেগুলো অ্যাসিটোফেনন নামের সুগন্ধযুক্ত কিটোনের নির্গমনকে পরিবর্তন করে দেহকে মশার জন্য উপযুক্ত পোষকে পরিণত করে।
মানুষের ত্বক সাধারণত একটি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল পেপটাইড তৈরি করে যা ব্যাকটেরিয়ার বংশবিস্তার করে। ডেঙ্গ বা জিকা দ্বারা সংক্রমিত মানুষের ক্ষেত্রে, এই পেপটাইডের ঘনত্ব কমে যায় এবং কিছু ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে অ্যাসিটোফেনন উৎপাদনকে সহায়তা করে। ডেঙ্গু রোগীদের শরীরের গন্ধে সুস্থ মানুষের তুলনায় বেশি অ্যাসিটোফেনন থাকে।
কিছু জীবাণু মানবদেহকে সংক্রমনযোগ্য করে তোলার পাশাপাশি দেহের গন্ধেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনে। ম্যালেরিয়া সৃষ্টিকারী পরজীবী প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপ্যারাম দ্বারা সংক্রমিত ব্যক্তিরা রোগের বাহক অ্যানোফিলিস মশার জন্য প্রিয় পোষক দেহ।
এই পরজীবিটি মশার রক্ত-সন্ধান, রক্ত চোষা এবং সংক্রমণের সংবেদনশীলতাকে প্রভাবিত করে। বিশেষ করে মানুষের লোহিত রক্ত কণিকাকে সক্রিয় করার মাধ্যমে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, অ্যালডিহাইড এবং মনোটারপিনের নির্গমন বাড়িয়ে তোলে। এতে পুরো শরীরটা মশা কামড়ানোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধে দুর্বল হয়ে পড়ে। ম্যালেরিয়া ছাড়াও এই পরজীবী অ্যানোফিলিস ও এডিস প্রজাতির মশাকে তীব্র ভাবে আকর্ষণ করে।
পড়ুন: হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে করণীয়
শেষাংশ
আপনার দেহের উপর উপরোক্ত কারণগুলোর প্রভাব পৃথকভাবে যাচাই না করে সবগুলো একসাথে মিলিয়ে বা কয়েকটি একসাথে পর্যবেক্ষণ করুন। তবেই মশা কেন কামড়ায়- তার সঠিক উত্তরটি আপনি পেয়ে যাবেন। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে-এমনো কিছু লোক আছেন যারা অস্বাস্থ্যকর জায়গা বা উপদ্রবের সময়ের বাইরে স্বাভাবিক অবস্থায় মশার উৎপাতের বাইরে থাকেন। এদেরকে আসলে মশা কামড়ের প্রতি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা যায় না। ঘন ঘন না চুলকানোর কারণে এদের শরীরে ফোলা ফোলা ভাব বা যখম হয়ে যায় না। এই মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপারটির বাইরেও ভালো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে মশার কামড় সাধারণত এদের উপর তেমন কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে না।