জীবনধারা
কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
কান পেতে রই হচ্ছে দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেল্পলাইন। মানসিক দুর্দশায় জর্জরিত অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এই ব্যক্তিগত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি কাজ করে। উদ্যোগটা অভিনব হলেও এই কাজটি নিতান্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এরকম বিশ্বের প্রায় ৪২টি দেশে নজির রয়েছে। বরং বাংলাদেশে আরও আগেই এরকম কার্যক্রম শুরু হওয়াটা জরুরি ছিল। এবার প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
প্রতিষ্ঠানটির শুরুর গল্প
একবার যুক্তরাজ্যের এক ধর্মযাজকের খুব প্রিয় একজন মানুষ আত্মহত্যা করল। এতে প্রচণ্ড মনোকষ্টে ভুগলেও ধর্মযাজক শোককে শক্তিতে পরিণত করলেন। সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন, মানসিকভাবে পর্যুদস্ত মানুষদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মধ্যে শক্তি-সাহস যোগাবেন এবং বেঁচে থাকার প্রেরণা দেবেন।
১৯৫২ সাল থেকে শুরু করলেন টেলিফোনের মাধ্যমে হতাশাগ্রস্ত লোকদের মানসিক সেবা দেয়া। সেখানে একটি নির্দিষ্ট নাম্বার থেকে একদল স্বেচ্ছাসেবী কর্মকর্তা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও আত্মহত্যাপ্রবণ মানুষদের কথা শুনত। নিজেদের দুঃখের কথা বলতে যেয়ে তারা খেয়াল করত যে তাদের বুকের বোঝাটা কমে আসছে। সে সময়ের জন্য এটি ছিল এক অভিনব উদ্যোগ এবং এটি ব্যাপকভাবে বেশ সফলতাও পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: মধু কি সত্যি অমৃত?
এই কাহিনীটি থেকে শিক্ষা নিয়েই মূলত কান পেতে রই সংগঠনের অভিযাত্রা শুরু।
আমেরিকায় উচ্চ শিক্ষা নেবার সময় বাংলাদেশের ইয়েশিম ইকবালের কাজ করার সুযোগ হয়েছিল বোস্টন শহরের টেলিফোনের মাধ্যমে মানসিক সেবা দেয়া একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। সেখানে প্রায় তিন বছর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তিনি যুক্ত ছিলেন।
সেখান থেকেই ইয়েশিমের পরিকল্পনায় কান পেতে রই’র গোড়াপত্তন হয়েছিল। বাংলাদেশে প্রতিদিনি বাড়তে থাকা আত্মহত্যার সংখ্যাকে কমাতে আত্মহত্যাপ্রবণ লোকদের মানসিক সমর্থন দিতে ২০১২ সালে তিনি শুরু করলেন কান পেতে রই’র প্রাথমিক কার্যক্রম। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় ২০১৩ এর ২৮ এপ্রিল।
প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমসমূহ
কান পেতে রই (http://shuni.org/) এ আছে কিছু নির্দিষ্ট হেল্পলাইন, যেগুলোর মাধ্যমে হতাশাগ্রস্ত মানুষের কল গ্রহণ করে তাদের কথা শুনে তাদের মাঝে থাকা নিঃস্বঙ্গতা, এবং আত্মহত্যার প্রবণতা দূর করতে সহায়তা করা হয়। এই কাউন্সেলিংয়ের প্রতিক্রিয়া বেশ ফলপ্রসূ আর এই সেবার জন্য কোন ধরনের চার্জ নেয়া হয় না।
করোনা মহামারির আগে প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সেবা দেয়া হতো। শুধু বৃহস্পতিবার ভোর ৩টা কথা বলার সুযোগ ছিল।
পরবর্তীতে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সেবা দাতা সাজিদা ফাউন্ডেশনের যৌথ সহযোগে করোনা মহামারির ভেতর নাগরিকদের জন্য কান পেতে রই’র সেবা প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত প্রসারিত করা হয়।
কাউন্সিলিংয়ের সময় বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন, পরীক্ষায় খারাপ করা, পারস্পরিক অভিমান প্রভৃতির কারণে সৃষ্ট জটিলতার সমাধান দেয়ার চেষ্টা করা হয়।
এই পদ্ধতির নাম ‘বিফ্রেন্ডিং’ যেটি মূলত কাউন্সিলিংয়ের আন্তর্জাতিক স্বীকৃত মডেল।
কান পেতে রই গ্রাহকদের কোন তথ্য নিজেদের প্রচারের স্বার্থে ব্যবহার করে না। কর্মরত স্বেচ্ছাসেবীদের স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া থাকে কলকারীদের পরিচয় সম্পর্কিত কোনো তথ্য জিজ্ঞাসা না করার। এমনকি স্বেচ্ছাসেবীদের অত্যন্ত কঠোর গোপনীয়তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হয়।
অনিচ্ছাকৃতভাবে কোন কলকারী ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করে ফেললে তা নোট না করার জন্যও প্রশিক্ষকরা স্পষ্টভাবে বলে দেন। সর্বপরি এখানে মূল ফোকাস ব্যক্তিগত পরিচয় নয়; কলকারীর মানসিক সমস্যা সমাধান।
এতে করে গ্রাহকরা স্বাচ্ছন্দ্যে কোন অস্বস্তি ছাড়াই কান পেতে রই’তে ফোন দিতে পারেন। একই সঙ্গে গ্রাহকদের এক রকম নির্ভরতার জায়গা তৈরি হয়, যেটা এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি বিষয়।
আরও পড়ুন: নিপা ভাইরাস এড়িয়ে খেজুর রস খাওয়ার উপায়
এখন পর্যন্ত কান পেতে রই আট বছর ধরে প্রায় ২০ হাজারের বেশি মানুষকে সেবা দিয়েছে। এদের মধ্যে শতকরা প্রায় ২০ ভাগরেই প্রধান সমস্যা আত্মহত্যার প্রবণতা।
কান পেতে রই দলের সদস্যর
কান পেতে রই’র প্রতিষ্ঠাতা ইয়েশিম ইকবাল কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের স্নাতক। বর্তমানে তিনি নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আছেন।
তিনি ছাড়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন হেল্পলাইন সমন্বয়কারী রোজি হোসেন, জনসংযোগ ও যোগাযোগ সমন্বয়কারী সওগাত মাহমুদ, স্বেচ্ছাসেবক সমন্বয়কারী অরুণ দাস, আউটরিচ কো-অর্ডিনেটর রুবিনা জাহান রুমি ও আউটরিচ এক্সিকিউটিভ আশিক আব্দুল্লাহ শুভ। সঙ্গে রয়েছে প্রশিক্ষিত পরিশ্রমী এক ঝাঁক তরুণ স্বেচ্ছাসেবী, যারা যে কোন কল অবিলম্বে গ্রহণ করে তার জরুরি কাউন্সিলিং নিশ্চিত করে যাচ্ছেন।
স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাউন্সিলিংয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়। প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকে মনযোগ দিয়ে কথা শোনার পদ্ধতি, বিপদের মাত্রা উপলব্ধি করার উপায় ও বন্ধুর মত আচরণ। মানসিকভাবে দুর্দশাগ্রস্ত বিশেষত আত্মহত্যা প্রবণ ব্যাক্তিদের সঙ্গে কথা বলার জন্য পর্যাপ্ত অনুশীলনের মাধ্যমে প্রত্যেককে প্রস্তুত করা হয়
এখানের কাজের পদ্ধতি হলো শিফটিং বা পর্যায়ক্রমে। একজন স্বেচ্ছাসেবক চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রতি সপ্তাহে তিন ঘণ্টা করে কাজ করতে পারে। প্রতিটি কল গ্রহণের সময় হেল্পলাইনের তত্ত্বাবধায়করা পুরো কথোপোকথোনটি মনিটরিং করে থাকেন।
আরও পড়ুন: ওজন কমাতে ১০ কার্যকরী পানীয়
কান পেতে রই’র সময়োপযোগিতা
বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আত্মহত্যার কারণে মৃতের সংখ্যা শতকরা ২.০৬ ভাগ বাংলাদেশি। ২০১৯ সালে বাংলাদেশিদের আত্মহত্যার হার ছিল ৩.৭০, যা ২০১৮ থেকে শতকরা ২.৭৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক অস্থিরতা, জনসংখ্যা সংক্রান্ত জটিলতার পাশাপাশি পরিবেশের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কারণে জীবন ধারণে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি নৈতিক অবক্ষয় ও সামাজিক মূল্যবোধ বিনষ্টের ফলে ভাঙন ধরছে সম্পর্কগুলোতে। ইতোমধ্যেই রীতিমত প্রসার লাভ করা পরস্পর থেকে দূরত্বে থাকার বিষয়টিকে যেন আরও গতিময় করেছে করোনা মহামারি। এই নেতিবাচক উত্তেজক পরিস্থিতিগুলোর কারণে অতিরিক্ত আবেগের তাড়নায় চরম অবস্থায় মানুষ ধাবিত হচ্ছে আত্মঘাতী ঘটনার দিকে।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি ঘটে গেল ২০২২ সালের সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা। একই সঙ্গে দেশব্যাপী ১২টি আত্মহত্যা।
এমতাবস্থায় মন খারাপের লাগাম টেনে ধরার জন্য কিছু শক্ত হাতের প্রয়োজন। প্রয়োজন নিঃস্বার্থভাবে আলো জ্বালানো মানুষের অন্তরের গহীনে অন্ধকূপের মত জেঁকে বসা অন্ধকারে। হোক সেটা কোন বন্ধুর অন্তরঙ্গ আলাপে বা কোন টিভি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অথবা নির্দিষ্ট কোন নাম্বারে ফোন করার মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: জেনে নিন ডালিমের খোসার গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার
সবশেষে বলা যায়, কান পেতে রই বাংলাদেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেল্পলাইন হিসেবে একটি যুগান্তকারি দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছে। বাংলাদেশের চলমান প্রতিকূল প্রেক্ষাপটে তাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার প্রতিক্রিয়াটি খুব ধীর গতির হলেও মানুষের মনে আশা জাগাচ্ছে। নিদেনপক্ষে যে মানুষগুলো তাদের থেকে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পাচ্ছে, তারা সেই অনুভূতি ছড়িয়ে দিচ্ছে আরও কিছু হতাশাগ্রস্ত মানুষের মাঝে। অর্থাৎ আলোকের দিগ্বিদিক ছড়িয়ে পড়া থেমে নেই। আসলে এরকম প্রেরণা ও সাহস যোগানোর চর্চা শুধু কান পেতে রই’রই দায়িত্ব নয়; প্রতিটি মানুষেরই হওয়া উচিত।
২০২২ সালে একুশে পদক পাবেন ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক
বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ২৪ জন বিশিষ্ট নাগরিককে ২০২২ সালের একুশে পদক দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছেন।
২০২২ সালে একুশে পদকের জন্য মনোনীতরা হলেন- ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য মোস্তফা এম.এ.মতিন (মরণোত্তর), মির্জা তোফ্ফাজেল হোসেন (মরণোত্তর)। শিল্পকলায় (নৃত্য) জিনাত বরকতউল্লাহ, নজরুল ইসলাম বাবু (মরণোত্তর) শিল্পকলা (সংগীত), ইকবাল আহমেদ শিল্পকলা (সংগীত), মাহমুদুর রহমান বেণু শিল্পকলা (সংগীত), খালেদ মাহমুদ খান (মরণোত্তর) শিল্পকলা (অভিনয়), আফজাল হোসেন শিল্পকলা (অভিনয়) ও মাসুম আজিজ শিল্পকলা (অভিনয়)।
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্তদের সম্মান জানালো মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়
মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে মনোনীতরা হলেন- মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী (মরণোত্তর), কিউ, এ. বি. এম রহমান ও আমজাদ আলী খন্দকার।
সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য এম এ মালেক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মো.আনোয়ার হোসেন, শিক্ষায় অধ্যাপক ড.গৌতম বুদ্ধ দাশ, সমাজসেবায় এস. এম. আব্রাহাম লিংকন ও সংঘরাজ জ্ঞানশ্রী মহাথের, ভাষা ও সাহিত্যে কবি কামাল চৌধুরী ও ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্থ, গবেষণায় ড.মো. আব্দুস সাত্তার মন্ডল, ড. মো. এনামুল হক (দলগত), (দলনেতা), ড. সাহানাজ্ সুলতানা (দলগত) ও ড. জান্নাতুল ফেরদৌস (দলগত) এই পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: লিটল ম্যাগাজিন প্রদর্শনীর উদ্বোধন
দৌড়ের সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি: কারণ এবং ঝুঁকি কমাতে করণীয়
শারীরিক অনুশীলনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যেটি দেখা যায় সেটি হচ্ছে দৌড়। একদম ছোট থেকে শুরু করে বৃদ্ধ; নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই ব্যায়াম বলতে দৌড়ানোকেই বুঝে থাকেন। প্রতিদিন সকাল এবং সন্ধ্যায় উদ্যানগুলোতে তাই তাদেরক ব্যস্ত-সমস্ত দেখা যায় এই অনুশীলনটিতে। বিশেষজ্ঞরাও এ ব্যাপারে ইতিবাচক পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু এই দৌড়ের সময় দেহের ভেতর যে কার্যকলাপ ঘটে তার উপকারিতার পাশাপাশি রয়েছে ভয়ানক কিছু অপকারীতাও। বিশেষত দৌড়ের সময় তরুণ, মধ্য বয়স্ক ও বার্ধক্য-পীড়িত লোকদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে। আজকের ফিচারটিতে তার কারণের পাশাপাশি জানা যাবে এই ঝুঁকি কমাতে করণীয়গুলো সম্পর্কে।
দৌড়ের সময় দেহের অভ্যন্তরে ঘটিত কার্যকলাপ
দৌড়ের সময় মস্তিষ্ক ও দেহের পেশীগুলোতে অক্সিজেন পাঠানোর উদ্দেশ্যে শরীরের মাধ্যমে রক্ত দ্রুত পাম্প করার সাথে সাথে হৃদস্পন্দনের গতি বাড়তে থাকে।
গতির সর্বোচ্চ অবস্থায় শরীর এন্ডোরফিন নামক এক ধরনের হরমোন নিঃসরণ করে। এন্ডোরফিন দৌড়ের সময় পেশীগুলোতে ব্যথা হতে দেয় না এবং মেজাজ উন্নত রাখে।
দৌড়ানোর সময় শুধু পা নয়; কাজ করে গোটা শরীর। প্রথম পদক্ষেপ ফেলার মুহূর্তে দেহের কোয়াড্রিসেপ অর্থাৎ উরুর সামনের বড় পেশীগুলো সবচেয়ে বেশি কাজ করে। শরীর এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে কোয়াড্রিসেপ থেকে গ্যাস্ট্রোকনেমিয়াস পেশীতে স্থানান্তরিত হয়। পায়ের গোড়ালি থেকে উপরের দিকে এবং হাটুর পেছন থেকে একটু নীচের অংশ যাকে পায়ের গুল বলা হয়। এই গুলের চামড়ার নীচেই থাকে গ্যাস্ট্রোকনেমিয়াস পেশী।
আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাক: করণীয় এবং প্রতিরোধে যে সকল পদক্ষেপ নিতে হবে
দৌড়ের সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির কারণ
দৌড়বাজদের প্রায় ২৫ শতাংশের কার্ডিওমায়োপ্যাথির ঝুঁকিতে থাকতে পারে, যা মূলত হৃৎপিণ্ডের পেশীর একটি রোগ। এর ফলে হৃদপিণ্ডের জন্য শরীরের বাকি অংশে রক্ত পাঠানো কঠিন হয়ে যায় এবং যার চূড়ান্ত ফল হার্টফেল।
এ ধরনের দৌড়বাজদের ক্ষেত্রে ডান অলিন্দ এবং ডান ভেন্ট্রিকল প্রসারিত হয়। হৃদপিণ্ডের ট্রোপোনিন পেশীর সক্রিয়তা এবং হৃদপিণ্ড নিঃসৃত বি-টাইপ নেট্রিউরেটিক পেপটাইড পদার্থের বৃদ্ধি সেই প্রসারিত কুঠুরিতে একটি অস্থায়ী আঘাতের কারণ হয়। টানা ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা দৌড়ে সেই পেপটাইডের পরিমাণ পাতলা কুঠুরির তুলনায় অতিরিক্ত হয়ে যায়। সময়ের সাথে এই ক্ষতির পুনরাবৃত্তি ঘটলে হৃদপিণ্ডের পেশীতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়, যা আকস্মিক মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
এছাড়া রেসিংয়ের উত্তেজনা এবং চাপ হৃদযন্ত্রে সঞ্চালিত হয়। দৌড়বাজ যখন তার সর্বোচ্চ ক্ষমতা অতিক্রম করেন এবং ভারসাম্যপূর্ণ হার্ট-রেট ছাড়িয়ে যান, তক্ষুণি চাপ পড়ে হৃদযন্ত্রে। সাথে সাথে বৃদ্ধি পায় হৃদস্পন্দন, যা ক্রমাগত কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের দিকে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: স্বামী হার্টের রোগী, সাইকেলে ফেরি করে সংসারের হাল ধরেছেন স্ত্রী
দৌড়ের সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে করণীয়
রেসের আগে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ নেয়া
পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ছাড়া দৌড়ানো সবচেয়ে বড় ভুল। প্রথমেই চিকিৎসকের কাছ থেকে দৌড়ের জন্য শারীরিক যোগ্যতার পরীক্ষা করে নিতে হবে। ছাড়পত্র পেলে তবেই একজন যোগ্য প্রশিক্ষকের সাথে দৌড়বাজদের দলে যোগ দেয়া যেতে পারে। শুরুটা হতে হবে অবশ্যই ধীরে ধীরে। দৌড়ের সময় বুকে ব্যথা বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হলে সেখানেই সেদিনের জন্য প্রশিক্ষণ থামিয়ে দিতে হবে। প্রশিক্ষণের শুরু থেকেই প্রশিক্ষণার্থীদের সাথে প্রতিযোগিতা করা যাবে না। প্রশিক্ষণে সহনশীলতা এবং অধ্যাবসায় দীর্ঘমেয়াদে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সামগ্রিক ঝুঁকির মাত্রা কমাতে সাহায্য করবে।
রেসে যাওয়ার আগ মুহূর্তে ওয়ার্ম-আপ ও কিছু টেস্ট
চূড়ান্ত রেসে যাওয়ার আগে, ট্রেডমিলে বা অন্য জায়গায় হাল্কা ওয়ার্ম-আপ করে নেয়া উচিত। স্ট্রেস, কার্ডিওলজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি এবং আল্ট্রাসাউন্ড টেস্টগুলো করে নিতে হবে। এগুলো বিশদ স্বাস্থ্য মূল্যায়ন যেমন রক্তে শর্করার মাত্রা, রক্তচাপ, কার্ডিয়াক চেক-আপ, লিপিড নাম্বার প্রভৃতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নেয়া যাবে। রেসের জন্য আরামদায়ক পোশাক পরা আবশ্যক।
আরও পড়ুন: শিক্ষা সনদপত্র হারিয়ে গেলে করণীয়
ছোট শারীরিক সমস্যাকেও গুরুত্ব সহকারে নেয়া
দৌড়ানোর সময় বুকে অস্বস্তি, মাথা ঘোরা, ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে সাথে সাথে দৌড় বন্ধ করে দিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। প্রাথমিক সতর্কতা যে কোন খারাপ দিকে মোড় নেয়া থেকে রক্ষা করতে পারে। অপরদিকে এই ধরনের উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও রেসে যোগ দেয়াটা জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে।
শরীরকে পানিশূন্যতা থেকে দূরে রাখা
দৌড়বিদকে অতিরিক্ত গরম বা হাইপারথার্মিয়া এড়াতে পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত। মাঝে মাঝে মাথা ও সারা শরীরে পানি ঢালা উত্তম। ডিহাইড্রেশন এবং লবণের ক্ষতি এড়াতে দৌড়ানোর সময় উপযুক্ত তরল এবং লবণ গ্রহণ বাঞ্ছনীয়।
প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর অন্তর কিছু না কিছু খাওয়া উচিত। দৌড়ের আগে অবশ্যই চর্বি ও কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার পরিহার করা উচিত। গলা যেন শুকিয়ে না যায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। শীতকালে পানিশূন্যতার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
দৌড়ের আদর্শ মান
প্রতি সপ্তাহে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক লোকে দৌড়ের জন্য আদর্শ দূরত্ব হচ্ছে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মাইল। আর ধৈর্য্য ধরে পুরোটা পথ এক টানা দৌড়ানোর চেয়ে গতি পরিবর্তন করে করে দৌড়ানো হৃদপিণ্ডের জন্য স্বাস্থ্যকর।
পড়ুন: রাজু ভাস্কর্যের সামনে নৃত্যরত ইরা: সপ্রতিভ উত্থানে এক বাংলাদেশি ব্যালেরিনা
দৌড় পরবর্তী প্রয়োজনীয় চেক-আপ
কার্ডিওমায়োপ্যাথির সাথে দৌড়বাজের বয়স, লিঙ্গ, শারীরিক অবস্থা বা দৌড়ের গতির সাথে সম্পর্কিত নয়। তাই ঝুঁকির মাত্রার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার একমাত্র উপায় কার্ডিয়াক এমআরআই করা এবং দৌড়ের শেষে রক্ত পরীক্ষা করা।
শেষাংশ
ভারসাম্যপূর্ণভাবে পরিমিত পরিমাণে দৌড়ের অনুশীলন দৌড়ের সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে। মূলত এটি প্রতিটি ব্যয়ামের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। পরিমিত পরিমাণে সঠিক সুষম খাদ্য গ্রহণ যেমন দেহের জন্য উপকারী ঠিক তেমনি অতিরিক্ত ও অনিয়মিত দৌড়াদৌড়িতে হীতে বিপরীত হতে পারে। দিন দিন পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে খাদ্যে ভেজাল বৃদ্ধির কারণে স্বাস্থ্যের প্রতি আলাদাভাবে সতর্ক হতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে, তা করতে যেয়ে যেন স্বাস্থ্যের উপর অতিরিক্ত বোধা চাপিয়ে দেয়া না হয়।
পড়ুন: মুকেশ আম্বানিকে হারিয়ে এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি
লিটল ম্যাগাজিন প্রদর্শনীর উদ্বোধন
জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে লিটল ম্যাগাজিন সম্মাননা প্রদান ও সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৮ জন লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদককে সম্মাননা তুলে দেয়া হয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন শহীদ ইকবাল সম্পাদিত ‘চিহ্ন’; আবদুল মান্নান স্বপন সম্পাদিত ‘ধমনি’; এজাজ ইউসুফী সম্পাদিত ‘লিরিক’; মিজানুর রহমান নাসিম সম্পাদিত ‘মননরেখা’ এবং ওবায়েদ আকাশ সম্পাদিত ‘শালুক’।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তিনটি লিটল ম্যাগাজিনকে সম্মাননার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে, জেলা শিল্পকলা একাডেমি রাজশাহী থেকে প্রকাশিত আসাদ সরকার সম্পাদিত ‘মহাকালগড়’; জেলা শিল্পকলা একাডেমি সিলেট থেকে প্রকাশিত অসিত বরণ দাশ গুপ্ত সম্পাদিত ‘সুরমাকপোত’ এবং মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ‘আরণ্যক’।
আরও পড়ুন: রাজু ভাস্কর্যের সামনে নৃত্যরত ইরা: সপ্রতিভ উত্থানে এক বাংলাদেশি ব্যালেরিনা
সম্মাননার জন্য লিটল ম্যাগাজিন নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করেছেন বিশিষ্ট লেখক-গবেষক মফিদুল হক, বিশিষ্ট অনুবাদক ও সাহিত্যিক অধ্যাপক আবদুস সেলিম এবং কবি ও অধ্যাপক খালেদ হোসাইন ।
সম্মাননা হিসেবে কেন্দ্রীয় পাঁচটি লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদককে ৫০ হাজার টাকা, ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচিত তিনটি লিটলম্যাগাজিন সম্পাদককে ২৫ হাজার টাকা, ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হবে।
লিটল ম্যাগাজিনের আট শতাধিক সংখ্যা নিয়ে ১-৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ জাতীয় চিত্রশালার ৬নং গ্যালারিতে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
লিটল ম্যাগাজিন অনুষ্ঠনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
আরও পড়ুন: ফরিদা হোসেন: বাংলা সাহিত্যের এক স্বপ্ন শিল্পী
মুকেশ আম্বানিকে হারিয়ে এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি
গত ২৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার মুকেশ আম্বানিকে টপকে এশিয়ার শীর্ষ ধনকুবের সিংহাসনটি দখল করে নেন গৌতম আদানি। ২০১৫ সাল থেকে টানা ছয় বছর এশিয়ার শীর্ষ ধনীর অবস্থানটি ধরে রেখেছিলেন রিলায়েন্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই-পুত্র মুকেশ আম্বানি। ৪৮ বছরে গড়ে ওঠা এশিয়ার বিখ্যাত আটটি প্রধান কোম্পানির মালিক আম্বানি অন্তর্ভুক্ত আছেন বিশ্বের উল্লেখযোগ্য ধনকুবেরদের সারিতেও। বিগত বছরগুলোতে সম্পদের দৌড়ে আম্বানির পিছু ধাওয়া করে আসছিলেন ৯টি কোম্পানির বহুজাতি ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানি। তবে ২০২২ সালে এসে এশিয়ার এক নাম্বার ধনী হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন তিনি। চলুন সে ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেই।
আদানির এশিয়ার এক নাম্বার ধনী হওয়ার কারণ
২৭ জানুয়ারি শেয়ার বাজার বন্ধের ফলে তারতম্য দেখা দিতে শুরু করে রিলায়েন্স এবং আদানী গ্রুপের শেয়ারগুলোতে। মূলত এই কারণেই আদানির ধনীর তালিকার শীর্ষে উঠে আসা। প্রথম দিকে আম্বানির সম্পদের মূল্য ছিল ৯,১০০ কোটি ডলার যা প্রায় ৭ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকার সমান। অন্যদিকে গৌতম আদানির ক্ষেত্রে সেই অঙ্কটি ছিল ৮,৮৮০ কোটি ডলার বা প্রায় ৭ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা। পরে আম্বানি তাঁর সম্পদে ১,৪৩০ কোটি ডলার বা প্রায় ১ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা যোগ করায় আদানিও নিজের সম্পদে অর্থ যোগ করেন। তবে তাঁর পরিমাণটা ছিলো অনেক বেশি- ৫,৫৫০ কোটি ডলার যা প্রায় ৪ লাখ সাড়ে ৭৬ হাজার কোটি টাকার সমান।
স্বভাবতই এই দুই ভারতীয় শিল্পপতির সম্পদের তফাত প্রথমে প্রায় ২.৪ শতাংশ হলেও সমন্বিত পুঁজি বাজার অনুসারে মুকেশ আম্বানিকে ছাড়িয়ে যান গৌতম আদানি।
একদিকে যেমন আম্বানির রিলায়েন্সের শেয়ারের দাম পড়ে যায় ১.৭২ শতাংশ, অন্যদিকে আদানি গ্রুপের বিভিন্ন শেয়ারের দাম ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
উল্লেখযোগ্য ভাবে আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ার দাম বাড়ে শতকরা ২.৩৪ ভাগ এবং আদানি পোর্ট অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোনের শেয়ারের দাম শতকরা ৪ ভাগ বাড়ে। অপরদিকে রিলায়েন্সের শেয়ারে টানা তৃতীয় দিন ধরে ধ্বস নামলে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার কমে দাড়ায় ১.৪৪ শতাংশতে।
আরও পড়ুন: রাজু ভাস্কর্যের সামনে নৃত্যরত ইরা: সপ্রতিভ উত্থানে এক বাংলাদেশি ব্যালেরিনা
বিগত অর্থ বছরে আদানি ট্রান্সমিশন-এর বৃদ্ধি ছিলো ২৮৮ শতাংশ। একই সময়ে আদানি টোটাল গ্যাস বেড়েছিলো ৩৫১.৪২ শতাংশ। পাশাপাশি আদানি পোর্টস, আদানি পাওয়ার, আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি গ্রিন, আদানি টোটাল গ্যাস প্রতিষ্ঠানগুলো লাভের মুখ দেখেছিল।
এভাবে সমন্বিত পুঁজি বাজারে সংস্থাগুলো মূলধন যোগ করায় শেয়ার বাজার বন্ধের ব্যাপারটি গৌতম আদানির জন্য পোয়াবারো হিসেবে কাজ করেছে।
আম্বানি-আদানির সম্পদের তুলনামূলক অবস্থান
আদানির বর্তমান সম্পদ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮৯ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যে, যা প্রায় ৭৬ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার সমান। আর প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা দূরত্বে আম্বানির সম্পদের মূল্য হয়েছে ৮৯ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৭৬ লাখ সাড়ে ৭১ হাজার কোটি টাকা।
অবশ্য ঘটনাটির পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল ২০২১ এর নভেম্বরে। তখনকার হিসেব অনুসারে বিগত দুই বছরে প্রায় ১,৮০৮ শতাংশ বেড়েছিলো আদানির সম্পদ। ঠিক সে সময়ে আম্বানির সম্পদের বৃদ্ধি ছিলো মাত্র ২৫০ শতাংশ। বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ফোর্বস-এর রিয়েলটাইম ডাটা নেটওয়ার্থ মতে গৌতম আদানি এখন বিশ্বের এগারতম ধনী ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: ক্রেডিট কার্ড কীভাবে করবেন
নতুন বিনিয়োগে আদানি বনাম আম্বানি
সম্পদের প্রতিযোগিতার ফলাফল উপেক্ষা করে সমান উদ্যমে চলছে আদানি ও আম্বানির বিনিয়োগের ধারা। আম্বানির রিলায়্যান্স গুজরাট ভিত্তিক বিশাল বিনিয়োগ করতে চলেছে। ইতোমধ্যে সেখানে মোট ৫ দশমিক ৯৫ লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে জায়ান্ট গ্রুপটি। তারা ৫ লাখ কোটি রুপির নিশ্চয়তা দিয়েছে হাইড্রোজেন শক্তি উৎপাদন এবং ১০০ গিগাওয়াটের অপ্রচলিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থা নির্মাণকল্পে। এজন্য শিঘ্রই শুরু হবে জমি দেখা। তাছাড়া ব্যাটারি স্টোরেজ ও সৌরবিদ্যুৎ সহ আরো চারটি কারখানা স্থাপনের জন্য বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ ঠিক হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার কোটি রুপি। বিনিয়োগের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে আম্বানির অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর আওতাভুক্ত ব্যবসাগুলোতে।
অপরদিকে আম্বানির দেখানো পথে গুজরাট কেন্দ্রিক অর্থ বিনিয়োগ চলছে আদানি গ্রুপেরও। তাদের প্রধান ক্ষেত্র ছিলো বন্দর কেন্দ্রিক শিল্পাঞ্চলগুলো। তবে এবার তারা ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে বৈচিত্র্যপূর্ণ খাতে। পস্কো’র সাথে করা সাম্প্রতিক চুক্তিটি তারই প্রমাণ। দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিটির সাথে রিনিউএবল এনার্জি সহ অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোতে ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য চুক্তিটি সম্পাদন করেছে আদানি ইস্পাত। এই বিনিয়োগকৃত অঙ্কের সম্ভাব্য অর্থ প্রায় ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি রুপি। চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল।
আরও পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
আম্বানি ও আদানির আয়ের প্রধান উৎস
গৌতম আদানির আয়ের সিংগভাগ আসে তাঁর নিজের গড়া শিল্পপ্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপ থেকে। এই বহুজাতি গ্রুপটিতে অন্তর্ভুক্ত আছে বন্দর ব্যবস্থাপনা, নবায়নযোগ্য শক্তি, বৈদ্যুতিক বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সরবরাহ, বিমানবন্দর অপারেশন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, প্রাকৃতিক গ্যাস, এবং অবকাঠামো তৈরির মত ব্যবসায়িক ক্ষেত্রগুলো।
অন্যদিকে মুকেশ আম্বানির আয়ের প্রধান উৎস আম্বানি পরিবারের রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এর অধিভুক্ত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর কেন্দ্রবিন্দু হলো শক্তি, প্রাকৃতিক গ্যাস, পেট্রোকেমিক্যাল, গণমাধ্যম, এয়ারপোর্ট, টেক্সটাইল এবং টেলিযোগাযোগ।
শেষাংশ
মুকেশ আম্বানি ও গৌতম আদানি; দুই বিলিয়নেয়ারই নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল। আম্বানি খুচরো পণ্যজাত এবং টেলিকমের মতো ডাটা-চালিত ভোক্তা ব্যবসার দিকে ঝুঁকেছিলেন, যেখানে অবকাঠামো এবং ইউটিলিটিগুলোতে মনোনিবেশ করেছিলেন আদানি। অবশ্য এনার্জি নিয়ে ব্যবসা ক্ষেত্রতে তাদের দুজনেরই অবদান থাকছে। ৫৫ বছর বয়সী আদানি এখন অধৈর্য্য হয়ে তার সফল বন্দর কেন্দ্রিক গন্ডির বাইরে যেয়ে উপার্জনকে বৈচিত্র্যময় করতে ব্যস্ত। কিন্তু ৬৪ বছর বয়সী আম্বানি এখন তাঁর রাজ্যের উত্তরাধীকারদের দিকেই বেশি নজর দিচ্ছেন।
রাজু ভাস্কর্যের সামনে নৃত্যরত ইরা: সপ্রতিভ উত্থানে এক বাংলাদেশি ব্যালেরিনা
উচ্ছল মুক্ত বিহঙ্গ, বাংলার উড়ন্ত মানবী অথবা আগুন ডানার পাখি! রাজু ভাস্কর্যের সামনে নৃত্যরত মেয়েটিকে এমনি নামে ডাকছেন বাংলাদেশের নেটিজেনরা। ইউরোপের নাচ ব্যালের নৃত্যকলায় তার ভাসমান ভঙ্গিমার আলোকচিত্র যেন নারীমুক্তি স্লোগান দিয়ে চলেছে। প্ল্যাকার্ড-পোস্টার পটভূমিতে রেখে মুক্তির ঐকতানে বেজে চলেছে তার স্বতঃস্ফূর্ত নাচের মুদ্রাগুলো। একই সাথে জানান দিচ্ছে বাঙালি সংস্কৃতির রক্ষণশীল প্রাঙ্গণে নতুন শিল্পকর্মের পদচিহ্নের। জয়িতার আলোকচিত্রকর্মে ইরা নামের মেয়েটির সপ্রতিভ পরিবেশনা এভাবেই জায়গা করে নিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাম্প্রতিক বহুল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে। চলুন, জেনে নেয়া যাক এই ইরা ও জয়িতার ব্যাপারে।
ব্যালে বালিকা ইরা’র পরিচয়
নওগাঁ জেলার জগত্সিংহপুর মহল্লার বটতলা নিবাসী ব্যালে বালিকা মুবাশশিরা কামাল ইরা। বাবা আবু হায়াৎ মোহাম্মদ কামাল একজন ব্যবসায়ী আর মা ফাহমিদা আক্তার একজন গৃহিণী। চার বোনের মধ্যে ইরা তৃতীয়।
মেধাবী ছাত্রী ইরা ২০২০ সালে জিপিএ-৫ পেয়ে শেষ করেন মাধ্যমিকের পাঠ। স্কুল ছিলো নওগাঁ সীমান্ত পাবলিক স্কুল। বর্তমানে তিনি নওগাঁ সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষে বাণিজ্য শাখায় অধ্যয়নরত আছেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষা সনদপত্র হারিয়ে গেলে করণীয়
ইরার ব্যালে নাচের নেপথ্যের কথা
এই খ্যাতির শুরুটা হয় আলোকচিত্রী জয়িতার সাথে ইরার পরিচয়ের মধ্য দিয়ে। গত ২০ থেকে ২২ জানুয়ারিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত নৃত্য উৎসবে যোগ দিতে ঢাকায় আসেন ইরা। তখনই দুজনের মাঝে দেশের ভেতর নতুন ধারার ফটোগ্রাফি নিয়ে আলোচনা হয়। উদ্দেশ্য দেশীয় ঐতিহ্যকে সামনে রেখে ধরাবাধা সংস্কৃতির বাইরে যেয়ে নতুন কিছু করা।
২৩ জানুয়ারির সকালে টিএসসি চত্বর দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় চোখে পড়ে রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন বিভিন্ন আন্দোলনের প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার। সাথে সাথেই সেখানে কিছু ছবি তুলে নেন। ছবিগুলো ফেসবুকে প্রকাশ করেন ২৫ জানুয়ারি বিকাল ৪টায়। আর তারপরেই যাদুর মত ঘটতে শুরু সব ঘটনা। নিমেষেই ফেসবুক জুড়ে ছড়িয়ে যায় ছবিগুলো। রীতিমত তারকা বনে যান মুবাশশিরা কামাল ইরা।
ব্যালে নিয়ে লকডাউনের সময় থেকেই কাজ করছিলেন ইরা। ইতোমধ্যে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ থাকায় ছোট বেলা থেকেই নাচের প্রতি প্রচন্ড ভালো লাগা কাজ করতো তার।
অন্যদিকে জয়িতা একজন নতুন ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার। তাই ২৫ জানুয়ারির তোলা সেই ছবিগুলো ইরা ও জয়িতা দুজনেরই প্রতিভা বিকাশের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার পরিচায়ক।
তাদের এই চেষ্টাকে আরও বহুগুণে ফলপ্রসু করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে সিলেটের শাবিপ্রবি (শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়)-এর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ঘটনাটি।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
ইরা’র ব্যালে নাচের স্বপ্ন
মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই ইরার নাচের হাতে খড়ি হয় শিক্ষক সুলতান মাহমুদের কাছে। সে সময় বেশ পোক্তভাবেই মুদ্রাগুলো শিখে নিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকায় ভরতনাট্যম শিখে ফেলেন। কিন্তু ব্যালে নৃত্যের দিকে তার দৃষ্টি পড়ে ২০২০ সালে, যখন সারা দেশ লকডাউনে জর্জরিত। বরাবর নতুন কিছু শেখার জন্য মরিয়া হয়ে থাকা ইরা তখনো থেমে থাকেননি। দেশে ব্যালের কোন শিক্ষক না থাকায় মায়ের কথায় ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজে নিজেই তালিম নিতে শুরু করেন। পরিবারের অন্যদের পক্ষ থেকে সমর্থন না থাকলেও ইরার মা সবসময় মেয়ের ইচ্ছা ও আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে গেছেন। ব্যালের জন্য বিশেষ ধরনের জুতার প্রয়োজন হয়, যেটা দেশের বাজারে পাওয়া যায় না। তাছাড়া খালি পায়ে পায়ের অগ্রভাগের উপর চাপ দিয়ে ব্যালে অনুশীলন করা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এরপরেও সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সম্ভব তাই দিয়েই কঠোরভাবে চেষ্টা করে যান ব্যালেকে আত্থস্ত করতে।
২০২১ সালে ঢাকায় প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী লুবনা মরিয়ম-এর নাচের প্রতিষ্ঠান 'সাধনা' তে যোগ দেয়ায় তার ব্যালের পারদর্শিতা আরো বহুগুনে বেড়ে যায়। তাছাড়া ছোট থেকে অ্যাথলেট হওয়ার কারণে শারীরিক উপযোগিতার ক্ষেত্রেও তিনি বেশ সুবিধা পেয়েছেন ব্যালে দখল নেওয়ার সময়।
প্রথমেই ব্যালে নাচে নিজের একটা জায়গা তৈরি করতে চান ইরা। নাচ নিয়ে পরবর্তীতে পড়াশোনা করারও ইচ্ছা আছে তার। তারপর দেশীয় নাচ ও ব্যালের সংমিশ্রণে বাংলাদেশের নৃত্যশিল্পে নতুন ধারা সংযুক্ত করতে চান ব্যালে বালিকা ইরা।
আরও পড়ুন: জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
চিত্রগ্রহণে জয়িতা
ইরার এই পরিচিতির পেছনে যে মানুষটির অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি হচ্ছেন আলোকচিত্রী জয়িতা। পুরো নাম জয়িতা আফরিন তৃষা। থাকেন ঢাকার ধানমন্ডিতে। ছবি তোলার জন্য রাজু ভাস্কর্যের জায়গাটি নির্বাচনসহ ফটোশ্যুটের বিভিন্ন আইডিয়াগুলো তারই মস্তিষ্ক প্রসূত। ছবিগুলোর মাধ্যমে তিনি ঢাকার ঐতিহ্যবাহী প্রধান জায়গাগুলোর সাথে ব্যালে নৃত্যের সৌন্দর্য্যকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। ছবি তোলা জয়িতার নেশা আর এটি নিয়েই তিনি তার ক্যারিয়ার সাজাতে চান। আকস্মিক জনপ্রিয়তা অপেক্ষা ভালো কাজ করে যাওয়ার প্রতিই তিনি অগ্রাধিকার দেন। ভালো কাজের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে চান তিনি। পাশাপাশি ইরা ও জয়িতা দুজনেরই চাওয়া যে তাদের কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশে নারীরা যেন বিশ্বমানের কাজে অংশ নিতে উৎসাহিত হয়।
পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
পরিশেষে
ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে উদ্ভুত এই জিমনেশিয়াম ও অভিনয়ের যুগপৎ অঙ্গভঙ্গিমার নাচ ব্যালেকে নিয়ে এখন পর্যন্ত খুব একটা কাজ হয়নি বাংলাদেশে। সামাজিক ভাবে গ্রহণযোগ্যতার দিকটিও এখানে উপলব্ধির ব্যাপার। কিন্তু ইরার মত আরো উদীয়মান তারকাদের বদৌলতে বাংলাদেশের সংস্কৃতি আরও বেশি সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে পারে এই বিদেশি নৃত্যকলাটিতে।
শিক্ষা সনদপত্র হারিয়ে গেলে করণীয়
কোন কিছু হারিয়ে ফেলা বা নষ্ট করার বিষয়টি যদি অদরকারি কোন কিছুর উপর দিয়ে যায়, তবে কোন ক্ষতি নেই। কিন্তু হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হওয়া বস্তুটি যদি হয় অতীব মূল্যবান, তখনই যত ঝামেলা। শিক্ষার সার্টিফিকেট প্রত্যেকের জীবনেই অনেক শ্রমসাধ্য একটি বস্তু। দুর্ঘটনাক্রমে এই মহামূল্যবান কাগজটিও অনেককে হারিয়ে কিংবা নষ্ট করে ফেলতে দেখা যায়। প্রতিটি মানুষই জীবনে ভুল থেকে শিখে। এরপরেও সে ভুল যাতে না হয় বা অসাবধানতা বশত একবার হয়ে গেলে কি করণীয় তা জেনে রাখা উচিত। তাই চলুন জেনে নিই শিক্ষার সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে করণীয়সমূহ।
শিক্ষার সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে করণীয়
থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি)
সর্বপ্রথম কাজ হলো যে স্থানে হারিয়েছে তার নিকটস্থ থানায় গিয়ে রিপোর্ট করা। এ সময় জিডির জন্য কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে হবে। যেমন- হারিয়ে যাওয়া সার্টিফিকেটের প্রদানকৃত তথ্যসমূহ (যতটুকু মনে থাকে), প্রবেশ পত্র ও রেজিস্ট্রেশন নাম্বার।
জিডি লেখা শেষ হলে এর একটি কপি জিডিকারিকে দেয়া হয়। এটি পরে বিভিন্ন জায়গায় দরকার হতে পারে বিধায়, হাতে পাওয়ার সাথে সাথেই এর কয়েকটি ফটোকপি করে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
পত্রিকায় বিজ্ঞাপন
জিডির এক কপি সঙ্গে নিয়ে চলে যেতে হবে দেশের সবচেয়ে প্রচলিত পত্রিকা অফিসে। সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে তাদের পত্রিকায় সার্টিফিকেট হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার জন্য বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। এই তথ্যের ভিত্তিতেই বিজ্ঞপ্তিটি হুবহু প্রকাশিত হবে। তাই এ সময় যে তথ্যগুলো দেয়া উচিত, তা হলো- জিডি নাম্বার, সার্টিফিকেটে উল্লেখিত পরীক্ষার নাম, বোর্ডের নাম, পাশের সাল, যার সার্টিফিকেট হারিয়েছে তার নাম, এবং কীভাবে হারিয়েছে তার বিস্তারিত। বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত হলে পত্রিকা থেকে তা কেটে রাখতে হবে পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য।
শিক্ষাবোর্ড বরাবর সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন
অনলাইনে সার্টিফিকেট তোলার ফি জমা
সার্টিফিকেট আবেদনের জন্য প্রথমেই সার্টিফিকেট ফি জমা দিতে হবে। আর এর জন্য একমাত্র মাধ্যম অনলাইনে সোনালী সেবা। কোন ধরনের নগদ অর্থ, পোস্টাল অর্ডার কিংবা ট্রেজারি চালান এখন আর গৃহীত হয়না।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে সোনালী সেবায় পাওয়া যাবে ফি জমা দেয়ার ফর্ম। সেটি পূরণ করে সেভ করলে ফি জমা দেয়ার ফর্ম পাওয়া যাবে। সেটি প্রিন্ট করে সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখায় জমা দিলে দুটি জমা রশিদ প্রদান করা হবে- একটি ফি প্রদানকারীর অংশ, আরেকটি বোর্ডের জন্য।
আরও পড়ুন: জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
শিক্ষাবোর্ডে আবেদনপত্র জমা
যে শিক্ষাবোর্ডের অধীনে সার্টিফিকেট পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিলো সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে এবার সেখানে যাবার পালা। শিক্ষাবোর্ডের তথ্যসংগ্রহ কেন্দ্রে যোগাযোগ করে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে। অতঃপর সেখানে চাওয়া প্রতিটি তথ্য নির্ভুলভাবে প্রদান পূর্বক পূরন করতে হবে আবেদন পত্রটি।
আবেদন পত্রের সবার উপরে ইআইআইএন নাম্বারটি পাওয়া যাবে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটের হোম পেইজের ইন্সটিটিউট ওয়েবসাইট থেকে। এছাড়া আবেদনকারির পরীক্ষা সংক্রান্ত ও ব্যক্তিগত বৃত্তান্তের পাশাপাশি সোনালি সেবা নাম্বার দিতে হয়, যেটি পাওয়া যাবে সোনালি ব্যাঙ্ক থেকে সরবরাহকৃত আবেদনকারির জমা রশিদে।
আবেদনপত্রটি নিয়মিত ও অনিয়মিত উভয় আবেদনকারীর ক্ষেত্রেই তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে।
আবেদনপত্রটি চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত হয়ে গেলে শিক্ষা বোর্ডে জমা দেয়ার সময় এর সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে। সেগুলো হলো- জিডির কপি, পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটির কর্তন করা অংশ, এবং বোর্ডের জন্য নির্ধারিত টাকা জমা দেয়ার রশিদ।
এখানে উল্লেখ্য যে, সার্টিফিকেট কোন কারণে আংশিক বা সম্পূর্ণ নষ্ট হলে জিডি বা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: ক্রেডিট কার্ড কীভাবে করবেন
শিক্ষা সনদ তুলতে প্রয়োজনীয় খরচ
শিক্ষাবোর্ড থেকে শিক্ষা সনদের দ্বি-নকল তোলার জন্য ফি ৫০০ টাকা। ত্রি এবং চৌ-নকলের জন্য খরচ হবে ৭০০ টাকা।
পরিশিষ্ট
শিক্ষা সনদপত্র বা সার্টিফিকেট হারিয়ে যাওয়া থেকে রেহাই পেতে সর্বোৎকৃষ্ট করণীয় হলো পূর্ব সতর্কতা অবলম্বন। সার্টিফিকেট যখন ইস্যু করা হয় তখনি উচিত অফসেট কাগজে এর বেশ কয়েকটি অনুলিপি করে রাখা। আর শিক্ষা সার্টিফিকেট সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজগুলোর জন্য এমন জায়গা বাছাই করা উচিত যেখানে কাগজগুলোর কোন ভাবে বিনষ্ট হওয়া বা হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। একটি প্রতিষ্ঠানে যেমন তার ফাইলগুলো সংরক্ষণ করার জন্য নির্দিষ্ট পরিষদ থাকে, তেমনি নিজের ঘরেও নিজের কাগজপত্রগুলো সযত্নে রাখার জন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। তবেই কাগজগুলো হারিয়ে যাওয়ার পরিণামে সময় ও অর্থ অপচয় থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুন: মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
দেশের আভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কার্যক্রম থেকে শুরু করে বিদেশে যাওয়া এবং দেশের বাইরেও বিভিন্ন কাজে সবচেয়ে অবধারিত বস্তুটির নাম পাসপোর্ট। বিভিন্ন প্রয়োজনে এই অতি মূল্যবান কাগজটিকে প্রায় ক্ষেত্রেই সাথে নিয়ে চলতে হয়। এই চলাফেরার মাঝেই হঠাৎ ভুলবশত হারিয়ে যেতে পারে পাসপোর্টটি। টাকার ব্যাগের ভেতর পাসপোর্ট বহন করাটা খুব একটা দুর্লভ ব্যাপার নয়। তাই ছিনতাই বা চুরির সময় টাকার সাথে সাথে হারাতে হয় পাসপোর্টটিও। এ সময় নানারকম ঝামেলার পাশাপাশি কখনো কখনো পড়তে হয় আইনি সমস্যাতেও। তাই পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয় সম্পর্কে জানা থাকা আবশ্যক।
পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
দেশে পাসপোর্ট হারালে করণীয়
১। পাসপোর্ট হারানোর সাথে সাথেই খবর দিতে হবে থানাতে। পাসপোর্ট হারানো সময় পাসপোর্টধারী যে এলাকায় অবস্থান করছিলেন সে স্থানটি যে থানার অন্তর্গত সেখানে একটি জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করতে হবে। এ সময় জিডিতে পাসপোর্টে যদি কোনো দেশের ভিসা সংযুক্ত থাকে সে কথাটি অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। সাথে হারিয়ে যাওয়া পাসপোর্টের ফটোকপি দেয়া ভালো।
২। পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে বিশেষ করে চুরি বা ছিনতাই হলে পুলিশ ইমিগ্রেশন ডাটাবেজে পাসপোর্টটিকে কালো তালিকাভুক্ত (ব্ল্যাক লিস্টেড) করা হবে। এর ফলে সেই পাসপোর্ট ব্যবহার করে অন্য কেউ বিদেশে যেতে পারবে না।
৩। হারানো বা চুরি হওয়া পাসপোর্টটি পাওয়া গেলে ইমিগ্রেশন ডাটাবেজের কালো তালিকা থেকে পাসপোর্টটিকে মুক্ত করতে হবে। এর জন্যে সংশ্লিষ্ট থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তার নিকট আবেদন করতে হবে।
৪। আর যদি পাসপোর্টটি পাওয়া না যায় তাহলে জিডির কপিসহ পুনরায় আবেদন করতে হবে। অতঃপর আবেদনটি যাচাই করে পাসপোর্ট অফিস নতুন পাসপোর্ট সরবরাহ করবে।
সাধারণত পুরোনো রেকর্ড কিংবা পুলিশি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পাসপোর্টটি ইস্যু করা হয়ে থাকে। তাই পুরো কার্যক্রমটি সম্পন্ন হয়ে পাসপোর্ট হাতে পেতে বিলম্ব হতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
বিদেশে পাসপোর্ট হারালে করণীয়
১। দেশের বাইরে পাসপোর্ট হারালে সর্বপ্রথম করণীয় হচ্ছে সেই দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস খুঁজে বের করা। ওরা এ ধরনের জটিলতা থেকে উত্তরণের জন্য সম্ভাব্য সব দিক থেকে সহায়তা দিয়ে থাকে।
২। দেশের মত ওখানেও পাসপোর্ট হারানো জায়গার নিকটস্থ থানায় রিপোর্ট করে একটি জিডি করতে হবে।
৩। তারপর সি-ফর্ম পূরণপূর্বক মিনিস্টার কাউন্সিলর বরাবর ট্রাভেল পারমিট ইস্যুর জন্য আবেদন করতে হবে। সি-ফর্মটি সাধারণত দেয়া হয় বিদেশ গমনের পর যে হোটেলে ওঠা হয় সেখান থেকে। আবেদনের সাথে যে কাগজগুলো লাগবে সেগুলো হলো-
→ জিডির কপি
→ হারানো পাসপোর্টের ফটোকপি
→ হারানো পাসপোর্টের ভিসা
→ এরাইভাল ভিসা কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
→ পাসপোর্ট সাইজের ছবি
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা মুক্ত দেশের তালিকা ২০২১
৪। অতঃপর দুই দিনের ভেতরেই ট্রাভেল পারমিট পাওয়া যেতে পারে। আর এটিই সে সময়ের জন্য পাসপোর্টের কাজ করবে।
ভারতে পাসপোর্ট হারালে ভারতের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ট্রাভেল পারমিট এবং ট্রাভেল ইন্সুরেন্স নিয়ে অনলাইনে এক্সিট পারমিটের জন্য আবেদন করতে হবে। এই এক্সিট পারমিটটি এফআরআরও (ফরেন রেজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস) ইস্যু করে থাকে। এ সময় আবেদনের সাথে উপরোক্ত কাগজপত্রগুলোর প্রয়োজন হয়।
কোন ট্রাভেল এজেন্সির সাথে বিদেশ ভ্রমণকালে এজেন্সি থেকেই এই পুরো কার্যকলাপে সহায়তা প্রদান করতে পারে। বিদেশে ভ্রমণকারিদের জন্য বাংলাদেশের পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অফিস ভ্রমণকারির সকল তথ্য যাচাই করে বাংলাদেশ হাই কমিশনকে রিপোর্ট করে একটি বিবৃতিপত্র প্রেরণ করে। আর এই পত্রটিই ভ্রমণকারিদের দেশে ফিরে আসতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
শেষাংশ
পাসপোর্ট চুরি, ছিনতাই বা অসাবধানতা বশত হারানোর হাত থেকে বাঁচতে হলে পূর্ব সতর্কতা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে পাসপোর্টটি প্রথম হাতে পাওয়ার সাথে সাথেই সেটার কয়েকটি রঙিন ফটোকপি এবং স্ক্যান করে গুগল ড্রাইভে রেখে দিতে হবে। অন্ততপক্ষে মোবাইলে ছবি তুলে সেভ করে ভালো। কোন দেশের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রেও একই সতর্কতা প্রযোজ্য। এমনকি অ্যারাইভাল ভিসার বেলায়ও সীল দেয়া পৃষ্ঠাগুলো সহ ফটোকপি করে রাখতে হবে। জীবনে চলতে ফিরতে অপরিহার্য এই পরিচয়পত্রটির জন্য এই বাড়তি সতর্কতাটুকু অনস্বীকার্য।
আরও পড়ুন: ক্রেডিট কার্ড কীভাবে করবেন
মধু কি সত্যি অমৃত?
মৌমাছিরা তাদের এনজাইম ঘটিত ক্রিয়াকলাপ ও তরলের বাষ্পীভবনের মাধ্যমে উদ্ভিদের চিনিজাত নিঃসরণ থেকে মধু তৈরি করে। বিভিন্ন উদ্ভিদ থেকে মধু সংগ্রহ করে মৌমাছিরা মোম ও রজন দিয়ে মৌচাক তৈরি করে তাতে মুধ সঞ্চয় করে। মৌয়ালরা সেই মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে বাজারজাত করে থাকে। এই আঠালো ও মিষ্টি স্বাদের খাবারটি রান্নাবান্নায় ও বাণিজ্যিক পানীয় তৈরিতে মিষ্টিবর্ধক হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। তাছাড়া অসামান্য পুষ্টিগুণের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও এটি ব্যবহার করা হয়। মধুর গুণাগুণ ও উপকারিতা সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
বিভিন্ন ধরনের মধু
বাংলাদেশে হরেক রকমের মধু পাওয়া যায়। এর মধ্যে সুন্দরবন মধুর জন্য শ্রেষ্ঠ জায়গা। এখানকার মধুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সেরা হানিপ্ল্যান্ট গাছের খলিসা ফুলের মধু বা পদ্ম মধু। খলিসা ফুল হয় সাদা আর এর মধুর রং বেশ গাঢ় এবং খুব কড়া ও মিষ্টি স্বাদযুক্ত। ফাল্গুমাস অর্থাৎ মার্চ থেকে এপ্রিলে এই মধু পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: নিপা ভাইরাস এড়িয়ে খেজুর রস খাওয়ার উপায়
এরপরেই চৈত্র মাসে আসে হালকা লালচে রঙের ও মিষ্টি পশুর ফুলের মধু। আষাঢ় মাসের বাইন মধু আবার খলিসা কিংবা পশুর মধুর মতো এতটা কড়া স্বাদের নয়।
সাদা রঙের কেওড়া মধুর মিষ্টি স্বাদের সঙ্গে একটু টক থাকে। এই মধু জ্যৈষ্ঠ মাসে পাওয়া যায়। শীতের সময় বেশি মেলে সরিষা ফুলের মধু। এই সাদাটে ও খুব ঘন মধুটি খুব তাড়াতাড়ি জমে যায়।
জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে শুরু করে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ দেশের অভ্যন্তরে গুরুত্বপূর্ণ কার্যকলাপের জন্য একটি অপরিহার্য নথি জন্ম নিবন্ধন সনদ। জন্মসূত্রে একজন ব্যক্তির নাগরিকত্বের পরিচয় ধারণ করে এই জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রটি। তাই শিশু জন্মের পর পরই অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজের পাশাপাশি বাবা-মায়ের উচিত সরকারি খাতায় শিশুর নামটি লিপিবদ্ধ করানো। পূর্বে জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অফলাইনে হলেও বর্তমানে সরকারি ডাটাবেসে নাগরিকদের তথ্য সংরক্ষণের স্বার্থে অনলাইনের মাধ্যমে তথ্যগুলো নেয়া হচ্ছে। চলুন জেনে নিই, জন্ম নিবন্ধন করার সর্বাধুনিক প্রক্রিয়া।
জন্ম নিবন্ধন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
জন্ম নিবন্ধনের জন্য প্রথমেই কিছু কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে হবে। এর জন্য বিভিন্ন বয়সের লোকদের জন্য কাগজপত্রেও ভিন্নতা রয়েছে।
শিশুদের জন্ম নিবন্ধকরণে জন্মের পর প্রথম ৪৫ দিনের মধ্যে যে কাগজপত্রগুলো প্রয়োজন তা হলো-
১। অনলাইনে আবেদনকৃত ফর্মের প্রিন্ট কপি।
২। শিশুর এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৩। শিশুর ইপিআই (এক্সপান্ডেড প্রোগ্রাম অন ইমিউনাইজেশন) টিকা কার্ড কিংবা ইপিআই কর্মীর নিকট থেকে প্রত্যয়নপত্র
৪। শিশুর জন্মস্থান ও জন্ম তারিখের প্রমাণপত্র হিসেবে হাসপাতাল বা ক্লিনিক থেকে শিশুর জন্ম সনদের সত্যায়িত অনুলিপি বা বার্থ এটেনডেন্ট-এর প্রত্যয়ন পত্র বা শিশুর জন্ম সংক্রান্ত অন্য কোনো প্রমাণ পত্র।
৫। বাংলা-ইংরেজি দুই ভাষাতেই বাবা-মার অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম সনদ।
৬। বাবা-মার জাতীয় পরিচয়পত্র।
৭। শিশুর যে কোন একজন অভিভাবকের কর পরিশোধের প্রমাণ।
আরও পড়ুন: ক্রেডিট কার্ড কীভাবে করবেন
৪৬ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে উপরোক্ত ৪ নং বাদে বাকি সব কাগজপত্রই লাগবে।
৫ বছরের বেশি শিশু অথবা যে কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে-
১। অনলাইনে আবেদনকৃত ফর্মের প্রিন্ট কপি।
২। শিশুর এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৩। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল স্বীকৃত এমবিবিএস বা তদূর্ধ্ব ডিগ্রিধারী চিকিৎসক-এর নিকট থেকে প্রত্যয়ন পত্র।
৪। পিএসসি(প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী), জেএসসি (জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট) বা এসএসসি (মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট)।
৫। বাংলা-ইংরেজি দুই ভাষাতেই বাবা-মায়ের অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম সনদ।
৬। বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র।
৭। জন্মস্থান বা স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণের সাপেক্ষে বাবা/মা/দাদা/দাদীর স্বনামে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে উল্লেখিত জায়গার বিপরীতে নবায়নকৃত কর প্রদানের প্রমানপত্র
অথবা, নদীভাঙন/কোন কারনে স্থায়ী ঠিকানা বিলুপ্ত হলে জমি/বাড়ি ক্রয়ের দলিল, খাজনা ও কর প্রদানের রশিদ।
অথবা, বসবাসের স্থান প্রমাণের সাপেক্ষে পৌরসভার চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র
আরও পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়