লাইফস্টাইল
যমুনা ফিউচার পার্কে ভাইব্রেন্ট
গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে ও সারাদেশে ব্যবসার পরিধি বিস্তারের ধারাবাহিকতায় রাজধানীর ঢাকায় অবস্থিত এবং দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শপিং মল যমুনা ফিউচার পার্কে উদ্বোধন করা হল ভাইব্রেন্টের ২২ তম আউটলেট এবং প্রথম ফ্লাগশিপ স্টোর।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মোল্লাহ এটি উদ্বোধন করেন। ভাইব্রেন্ট ইউএস-বাংলা গ্রুপের অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ও ইউএস-বাংলা গ্রুপের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
আসন্ন ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে ভাইব্রেন্টের শো-রুম গুলোতে রয়েছে পরিবারের ছোট থেকে বড় সকলের জন্যে জুতা সহ বিভিন্ন ডিজাইনের লেদার সামগ্রী, ট্রাভেল ব্যাগ, পুরুষ গ্রাহকদের জন্য পাঞ্জাবী, শার্ট, টি-শার্ট। এছাড়া হাজারেরও বেশি মানসম্মত ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের বিভিন্ন লাইফস্টাইল সামগ্রীর কালেকশন।
আরও পড়ুন: যাত্রী রেখে ফ্লাইট, ইউএস বাংলার বিরুদ্ধে অভিযোগ
আলিয়াঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকায় ‘স্যুর ল্য শঁ’
আলিয়াঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকায় বুধবার (৬ এপ্রিল) বিকালে প্রদর্শিত হলো জো পল সেরমাদিরাসের এবং দিদিয়ার গালাসের ফরাসি ভাষায় ‘স্যুর ল্য শঁ’। এটি প্রাচীন ভারতের একটি গল্প যেখানে একজন রাজপুত্র যুদ্ধে তার পরিবার এবং তার জনগণকে হারান। সে জানে না কী করতে হবে বা কী ভাবতে হবে।
‘স্যুর ল্য শঁ’ হল সুখের সন্ধান সম্পর্কে একটি সংলাপ। দুটি চরিত্র, একজন অর্ধেক দার্শনিক, আরেকজন অর্ধেক ক্লাউন। একটি খালি বালির জায়গায় - তারা জীবনের অর্থ, সুখের বাস্তবতা এবং বর্তমান সময়ে করনীয় এসব নিয়ে কথা বলেন।
জো -পল সেরমাদিরাস প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি 'ব্লস সালো' এর আন্তর্জাতিক কর্মশালায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ১৯৯৫ সালে, তিনি 'কোম্পানি দু পাসাজ' প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বেশ কয়েকবার বিখ্যাত 'ফেস্টিভাল দা অভিনিও' এ পারফর্ম করেছেন।
মঞ্চে তিনি মলিয়ের, শেক্সপিয়ার এবং চেখভের চল্লিশটিরও বেশি নাটকে পুরো ফ্রান্সের পাশাপাশি মরক্কো এবং ভারত সহ অন্যান্য স্থানে পারফর্ম করেছেন ।
ডিডিয়ার গালাস একজন অভিনেতা এবং মঞ্চ পরিচালক। মুখোশের প্রতি তার আগ্রহ অনেক। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তার আবেগ তাকে পশ্চিম থেকে প্রাচ্যে যাত্রা করতে পরিচালিত করেছে। জাপানি এবং চীনা থিয়েটার কৌশল তার শৈল্পিক পরিচয় মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
পড়ুন: ঢাকার কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার
৪ বছর পর ঈদে সালাউদ্দিন লাভলু ও মাসুম রেজার নাটক
ডায়রিয়া বা উদরাময়: কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়
বাংলাদেশের মত ঘনবসতিপূর্ণ দেশে ডায়রিয়া রোগের ভয়াবহ রূপ নতুন নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ডায়রিয়া সংক্রমণ দেশজুড়ে শঙ্কার সৃষ্টি করছে। আইসিডিডিআরবি (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ)-এর তথ্যানুসারে, বিগত নয় দিনে ভর্তি হওয়া ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ১৬১ জন। কর্মকর্তাদের দাবি-প্রতিষ্ঠানটির ৬০ বছরের ইতিহাসে রোগীর এমন চাপ নজিরবিহীন। এমনকি হাসপাতালের বাইরেও তাঁবু টানিয়ে চিকিৎসা চলছে। বিশুদ্ধ পানির যথেষ্ট যোগান না থাকায় এবং অতি ব্যস্ততার ফলে বাসি খাবারের উপর নির্ভরশীলতা ডায়রিয়ার সংক্রমণ বাড়াচ্ছে। এমন সংকটাপন্ন সময়ে সতর্ক থাকতে চলুন, ডায়রিয়া রোগের ব্যাপারে বিশদ জেনে নেয়া যাক।
কী কী কারণে ডায়রিয়া হয়
ভাইরাস
ডায়রিয়া সংক্রমণে শক্তিশালী ভূমিকা রাখা ভাইরাসগুলোর মধ্যে রয়েছে নরোভাইরাস, অ্যাস্ট্রোভাইরাস, এন্টারিক অ্যাডেনোভাইরাস, ভাইরাল হেপাটাইটিস এবং সাইটোমেগালোভাইরাস। রোটাভাইরাস বাচ্চাদের ডায়রিয়ার তীব্রতার জন্য দায়ী। কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসও ডায়রিয়া সংক্রান্ত জটিলতার সৃষ্টির পেছনে কাজ করে।
দূষিত পানি নরোভাইরাস, অ্যাস্ট্রোভাইরাস, হেপাটাইটিস এ ভাইরাস, এবং স্যাপোভাইরাসের একটি বড় উৎস। হিমায়িত সবজি হেপাটাইটিস এ ভাইরাসের বড় উৎস। নোরোভাইরাস থাকে পাতাযুক্ত সবুজ শাকসবজি এবং তাজা ফলের মধ্যে। হেপাটাইটিস এ এবং নোরোভাইরাস সংক্রমণ অনুপযুক্ত খাদ্য পরিচালনার মাধ্যমেও হয়ে থাকে।
ব্যাকটেরিয়া এবং পরজীবী
দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে ই কোলাইয়ের মত প্যাথোজেনিক ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবীর সংস্পর্শে আসার ফলে ডায়রিয়া হয়। দূষিত পানি ছাড়াও ই কোলাই কাঁচা বা কম রান্না করা গরুর মাংস, কাঁচা শাকসবজি এবং পাস্তুরিত দুধে থাকে।
পড়ুন: খুলনায় শিশুরোগ ও ডায়রিয়া বেড়েছে
ওষুধ সেবন
কিছু অ্যান্টিবায়োটিক আছে যেগুলো দেহের খারাপ ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলার পাশাপাশি ভালো ব্যাকটেরিয়াও মেরে ফেলে। ফলে অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার স্বাভাবিক ভারসাম্যে ব্যাঘাত ঘটে, যা পুরো শারীরিক অবস্থাকে ডায়রিয়ার দিকে ধাবিত করে। এছাড়াও অ্যান্টি-ক্যান্সার ওষুধ এবং ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত অ্যান্টাসিড ডায়রিয়া সৃষ্টির জন্য দায়ী।
ল্যাকটোজ সমস্যা
ল্যাকটোজ হল দুধ এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত দ্রব্যে পাওয়া এক ধরনের চিনি। যাদের ল্যাকটোজ হজম করতে অসুবিধা হয় তাদের দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পর ডায়রিয়া হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই সমস্যাটি বাড়তে পারে, কারণ যে এনজাইমটি ল্যাকটোজ হজম করতে সাহায্য করে বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার মাত্রা কমতে থাকে।
ডায়রিয়ার লক্ষণসমূহ
ডায়রিয়ার প্রধান উপসর্গগুলো হল মলত্যাগের জন্য প্রচন্ড চাপ অনুভূত হওয়া, এবং ঘন ঘন পাতলা পায়খানা। এছাড়াও বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা, পেটে চাপ অনুভূত হওয়া, পেট ফোলা থেকে শুরু করে চূড়ান্ত অবস্থায় ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা হয়।
ডায়রিয়ার গুরুতর জটিলতা হল পানিশূন্যতা। ডায়রিয়ার কারণে শরীর থেকে প্রয়োজনী তরলের একটি বিশাল অংশ বেরিয়ে যায়। আর এর ফলেই পানিশূন্যতার ঝুঁকি বাড়ে। পানিশূন্যতার লক্ষণগুলো হলো প্রচন্ড ক্লান্তি, শুকনো শ্লেষ্মা, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, মাথাব্যথা, তৃষ্ণা বৃদ্ধি, প্রস্রাব হ্রাস এবং শুষ্ক মুখ।
বাচ্চারা ডায়রিয়া এবং পানিশূন্যতার ক্ষেত্রে বেশ সংবেদনশীল। এ সময় বাচ্চাদের প্রস্রাব কমে যায়, মুখ শুকিয়ে যায়, মাথাব্যথা হয়, ক্লান্ত দেখায়, কান্নার সময় চোখে পানি থাকে না, চোখ আধবোজা- আধখোলা অবস্থায় থাকে, তন্দ্রাতুর দেখায় এবং সবসময় বিরক্ত থাকে।
পড়ুন: ফরিদপুরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে
ডায়রিয়া হলে করণীয়
সাধারণ অবস্থায় ডায়রিয়া কয়েক দিনের মধ্যে চিকিৎসা ছাড়াই ভালো হয়ে যেতে পারে। শরীর খারাপের সময়টুকু বিশ্রামের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানীয় পান করতে হয় এবং অন্যান্য খাবারের সময় সতর্ক থাকতে হয়।
শরীরকে পানিপূর্ণ রাখার জন্য পরিষ্কার তরল পান ও ফলের রস খেতে হবে। এ সময় দিনে প্রায় ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করা প্রয়োজন। একবারে টান দিয়ে পুরো গলধঃকরণের পরিবর্তে অল্প পরিমাণে চুমুক দিয়ে পান করা যেতে পারে।
ডায়রিয়া হলে দেহকে পানিপূর্ণ রাখতে ডাক্তার লবণ, পটাসিয়াম এবং ক্লোরাইড-এর মত স্পোর্টস পানীয়গুলো পানের পরামর্শ দিতে পারে। ঘন ঘন বমি বমি ভাব হলে ধীরে ধীরে তরলে চুমুক দিয়ে পান করা ভালো। এ সময়ের জন্য উপযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে আলু, চিনাবাদামের মাখন, টার্কির মাংস এবং দই।
যে খাবারগুলো ডায়রিয়া বা শরীরে গ্যাসের অবস্থা আরও খারাপ করে এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এগুলোর মধ্যে আছে চর্বিযুক্ত বা ভাজা খাবার, কাঁচা ফল এবং শাকসবজি, মশলাদার খাবার, মটরশুটি এবং বাঁধাকপি এবং ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়, যেমন কফি ও সোডা।
যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসা ছাড়াই শরীর উন্নতির দিকে যায় এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডায়রিয়া ভালো হয়ে যায়। যদি উপসর্গ ২ দিনের বেশি সময় ধরে চলতে থাকে, তখন ডাক্তারের সরণাপন্ন হওয়া আবশ্যক। এক্ষেত্রে কিছু উপসর্গ গুরুত্বের সাথে নিতে হবে এবং তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি অবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এগুলো হলো- অবিরাম বমি, ক্রমাগত ডায়রিয়া, পানিশূন্যতা, উল্লেখযোগ্য হারে ওজন হ্রাস, মলের মধ্যে পুঁজ ও রক্ত, কালো মল বের হওয়া ইত্যাদি।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যে উপসর্গগুলো অবিলম্বে চিকিৎসার দাবি রাখে সেগুলো হলো- ২৪ ঘন্টা বা তার বেশি সময় ধরে ডায়রিয়া, জ্বর ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি, রক্ত ও পুঁজ মল এবং কালো মল।
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে ডায়রিয়া হলে ডাক্তার অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের কথা বলতে পারেন। অবশ্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার পূর্বে ডাক্তার রোগীর কিছু শারীরিক অবস্থা নিরীক্ষা করবেন। সেগুলো হলো- ডায়রিয়া তীব্রতা, পানিশূন্যতার তীব্রতা, রোগীর স্বাস্থ্যের সামগ্রিক অবস্থা, চিকিৎসা ইতিহাস, বয়স, এবং রোগীর বিভিন্ন পদ্ধতি বা ওষুধ সহ্য করার ক্ষমতা।
পড়ুন: চট্টগ্রামে বেড়েছে ডায়রিয়া: চাপ সামলাতে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
ডায়রিয়া প্রতিরোধের উপায়
নিয়মিত হাত ধোয়া
যে কোন ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচার মোক্ষম উপায় হলো খাবার তৈরি ও খাওয়া আগে এবং পরে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নেয়া। রান্না করা, টয়লেট ব্যবহার, বাচ্চার ডায়াপার পরিবর্তন, হাঁচি, কাশি এবং নাক ফুঁকানোর পরে হাত ধুয়ে নেয়া জরুরি। হাতে সাবান লাগানোর পরে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য দুই হাত একসাথে ঘষতে হবে। হাত ধোয়ার বিকল্প হিসেবে হ্যান্ড স্যানিটাইজারও ব্যবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে অ্যালকোহল-যুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা উচিত। এ সময় হাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এমনভাবে প্রয়োগ করতে হবে যেন তা উভয় হাতের সামনে এবং পিঠে ভালোভাবে লাগে। একটি ভালো হ্যান্ড-স্যানিটাইজারে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ অ্যালকোহল থাকে।
ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতা
ডায়রিয়া বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণের সময় সংক্রমণ হতে পারে। যেখানে ভ্রমণ করা হচ্ছে সেখানকার অপর্যাপ্ত স্যানিটেশন এবং দূষিত খাবার নিমেষেই শরীরকে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে নিয়ে আসে। এ ক্ষেত্রে ঝুঁকি কমাতে করণীয়গুলো হলোঃ
নতুন জায়গায় খাবারের ব্যাপারে সতর্কতা
গরম ও ভালোভাবে রান্না করা খাবার খান। কাঁচা ফল এবং শাকসবজি এড়িয়ে চলতে হবে। অবশ্য সেগুলো রান্নার জন্য প্রস্তুত করা থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ নিজেই করলে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও কাঁচা বা কম রান্না করা মাংস এবং দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি।
পড়ুন: রাজধানীতে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাবে হাসপাতালে ভর্তি শতাধিক
নতুন জায়গার পানীয়র ব্যাপারে সতর্কতা
বোতলজাত পানি বা সোডা বোতল থেকেই পান করা উচিত। কলের পানি এবং বরফের টুকরো এড়িয়ে চলতে হবে। এমনকি দাঁত ব্রাশ করার জন্যও বোতলজাত পানি ব্যবহার করা জরুরি। গোসল করার সময় বোতলের মুখ বন্ধ রাখতে হবে। সিদ্ধ পানি দিয়ে তৈরি কফি এবং চা নিরাপদ। এক্ষেত্রে মনে রাখা উচিত যে অ্যালকোহল এবং ক্যাফেইন ডায়রিয়াকে বাড়িয়ে তোলে যা পানিশূন্যতাকে আরও অবনতির দিকে ঠেলে দেয়।
ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ
দীর্ঘ সময়ের ভ্রমণের জন্য আগে থেকেই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে অ্যান্টিবায়োটিক নেয়া যেতে পারে। এ সময় ডাক্তার শরীরের যাবতীয় অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে এবং রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাচাই করে সঠিক অ্যান্টিবায়োটিকের পরামর্শ দিবেন।
পরিশিষ্ট
কোভিডের চাপটা কমতে না কমতেই শুরু হয়ে গেছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। মুলত এরকম সংক্রমণ আকস্মিক নয়। বরং সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক অবস্থার অস্থিতিশীলতা এ ধরণের রোগবালাইয়ের কারণকে সুসঙ্গত করে। জীবন ও জীবিকা সামলানোর অনিয়ন্ত্রিত দৌড়ে আশেপাশের পরিবেশ ও শরীর-স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে। আর এর সাথে যখন উদাসীনতা যোগ হয় তখনই চাপের ভয়াবহতা বাড়তে থাকে।
পড়ুন: ঢাকার কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার
ঢাকার কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার
বছর ঘুরে প্রতিবার পবিত্র রোজার মাসে জমে ওঠে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজারগুলো। কেবলমাত্র ধর্মীয় দিকটিকে গুরুত্ব দিয়ে ইফতারের জন্যই যে এগুলোতে ভীড় হয় তা নয়। জিবে জল আনা খাবারের দোকানগুলোতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তের ভোজন রসিকদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। কেউ বা নিয়ম মেনে প্রতি বছরই ইফতার কিনতে চলে আসেন, কেউ বা আসেন স্বাদ বদলানোর আশায়। তাছাড়া বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে ইফতারের টেবিলের সুন্দর মুহুর্তগুলোকে যেন দ্বিগুণ বাড়িয়ে তোলে এই জনপ্রিয় খাবারগুলো। ঢাকার কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজারের বিস্তারিত নিয়ে এবারের ফিচার।
ঢাকার কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার
চকবাজার ইফতার পাড়া
ঢাকার সবচেয়ে বড়, বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং জনপ্রিয় ইফতার বাজার হলো পুরান ঢাকার চকবাজার। দুপুরের পর থেকেই শায়েস্তা খা-এর আমলের নির্মিত শাহী মসজিদের সামনের রাস্তাতে বসতে শুরু করে ইফতারের হাট। প্রায় ১০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই ইফাতারিপাড়ার বিশেষ আকর্ষণ হলো বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙায় ভইরা লইয়া যায়। প্রায় ৭৫ বছর ধরে সুখ্যাতি অক্ষুন্ন রেখেছে স্থানীয় রন্ধনশিল্পী মোহাম্মদ কামাল মাহমুদের তৈরি করা এই খাবারটি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে এটি সিক চূড়ায় ভর্তা নামে পরিচিত ছিলো।
চকবাজারের লোকারণ্য রাস্তায় ফুটপাতের উপর গড়ে ওঠা দোকানগুলোতেই এই খাবার পাওয়া যায়। অস্থায়ী হলেও রোদ-বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে যথেষ্ট প্রস্তুতি থাকে এই দোকানিদের। এগুলোতে বিশেষ আকর্ষণের মধ্যে থাকে খাসির গোসতের রানের কাবাব, সুতি কাবাব, মুঠি জালি কাবার, জালি কাবাব, নারগি চাপ, টিকা কাবাব, শাক ফুলুরি, ডিম চপ, দই বড়া, কবুতর ও কোয়েলের রোস্ট, হালিম, নুরানি লাচ্ছি, পেস্তা বাদামের শরবত, পরোটা, পেঁয়াজু, আলুর চপ, ছোলা বুট, ঘুগনি, বেগুনি, বোম্বে ও শাহী জিলাপি।
বেইলি রোড-এর অভিজাত ইফতার
চকের পরেই ইফতারের জন্য নামকরা জায়গাটি হলো বেইলি রোড। রোজার এই একটি মাস পুরো বদলে যায় খাবার পাড়া নামে খ্যাত জায়গাটি। বেইলি রোডের ইফতার ৮০-এর দশক থেকে পরিচিতি লাভ করেছে। এখানকার অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলোর পাশাপাশি স্কুল-কলেজের সামনের রোডে ফুটপাতের উপর অস্থায়ী দোকানগুলোতেও শোভা পায় নানান ইফতারের পসড়া।
রাঙামাটিতে ৫ দিনব্যাপী বৈসাবি মেলা আয়োজন
পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠির প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসুক-সাংগ্রাই-বিজু- বিষু (যা বৈসাবি নামেই বেশি পরিচিত) উপলক্ষে ৫ দিনব্যাপি মেলা ও উৎসব শুরু হয়েছে।
সোমবার বিকালে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তন প্রাঙ্গনে যৌথভাবে বৈসাবি মেলার উদ্বোধন করেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ব্রিগেড কমান্ডার ৩০৫ পদাতিক ব্রিগেড ব্রি, জে, মোহাম্মদ ইমতাজ উদ্দিন, এনডিসি, পিএসসি, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্যসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান এবং সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেলা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক রেমলিয়না পাংখোয়া।
আরও পড়ুন: বড়দিন: রাঙামাটির খ্রিস্টান পল্লীতে উৎসবের আমেজ
‘ক্রিকেট সেলিব্রেটস মুজিব হান্ড্রেড’ কনসার্টে বৃষ্টির বাগড়া
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ‘ক্রিকেট সেলিব্রেটস মুজিব হান্ড্রেড’ কনসার্টে বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছে।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ২৪ এ কনসার্টটি সরাসরি দেখানো হচ্ছে।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে কনসার্ট বন্ধ রাখা হয়। সোয়া ৭টার দিকে এটি পুনরায় শুরু করা যায়নি।
অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন কয়েক হাজার দর্শক। এই ইভেন্টের টিকিটের মূল্য ১ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
গোল্ড এবং প্লাটিনাম টিকিটধারীরা মূল মঞ্চের সামনের মাটিতে জায়গা পেয়েছেন। গোল্ড ও প্লাটিনামের টিকিটধারীদের প্রায় সবাই বৃষ্টিতে ভিজে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। শেরে-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
ভারতীয় একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী এ.আর.রহমানসহ মমতাজ বেগম এবং মিউজিক্যাল গ্রুপ মাইলস অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবেন।
পড়ুন: ‘ক্রিকেট সেলিব্রেটস মুজিব ১০০’: আজ থেকে টিকিট বিক্রি শুরু
‘মেকানিক্যাল হার্ট ইমপ্লান্টের সাফল্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’
সম্প্রতি ইউনাইটেড হসপিটাল লিমিটেড এ ৪২ বছর বয়স্ক এক নারীর হৃদপিণ্ডে সফল মেকানিক্যাল হার্ট ইমপ্লান্ট এর মধ্য দিয়ে দেশের স্বাস্থ্যসেবার ওপর আস্থা সৃষ্টি হচ্ছে নতুনভাবে।
রবিবার (২৭ মার্চ) ‘মেকানিক্যাল হার্ট ইমপ্লান্টের সাফল্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ নামক এক অনুষ্ঠানে এ সর্ম্পকে রোগী ও তাদের আপনজনেরা বক্তব্য রাখেন।
ইউনাইটেড হসপিটালের প্রধান কার্ডিয়াক সার্জন ও কার্ডিয়াক সেন্টারের পরিচালক ডা. জাহাঙ্গীর কবির এবং তার দক্ষ সহকর্মীরা সফলভাবে ৪২ বছর বয়স্ক এক নারীর হৃদপিণ্ডে গত ২ মার্চ, ২০২২ ইউনাইটেড হসপিটালে একটি মেকানিক্যাল হার্ট বা এল্ভ্যাড স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মেকানিক্যাল হার্ট ইমপ্ল্যান্ট সম্পন্ন
প্রেস কনফারেন্সে রোগী ও তার পরিবারের সদস্যরা অস্ত্রোপচারের বিষয়ে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন ।
এসময় সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য তারা ডা. জাহাঙ্গীর কবির এবং তার দক্ষ দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সঙ্গে তারা ইউনাইটেড হাসপাতালের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ আইসিইউ থেকে অস্ত্রোপচার-পরবর্তী পরিচর্যা নিয়েও সন্তুষ্টির কথা জানান।
অনুষ্ঠানে ডা. জাহাঙ্গীর কবির ও তার দক্ষ সহকর্মীদের কৃতিত্বের জন্য সম্মাননা দেয়া হয়। বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় হার্ট সার্জনদের এই দলটি ইউনাইটেড হাসপাতালের সূচনা থেকে দেড় হাজার জনেরও বেশি মানুষের হৃদযন্ত্রের সফল অস্ত্রোপচার করেছেন।
আরও পড়ুন: ইউনাইটেড হাসপাতালে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত
‘ক্রিকেট সেলিব্রেটস মুজিব ১০০’: আজ থেকে টিকিট বিক্রি শুরু
মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে ‘ক্রিকেট সেলিব্রেটস মুজিব ১০০’ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানটি পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এ উপলক্ষে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩ দিনব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসব ‘সেলুলয়েডে বঙ্গবন্ধু’
অনুষ্ঠানে মমতাজ বেগম এবং মিউজিক্যাল গ্রুপ মাইলসসহ বাংলাদেশি তারকাদের সঙ্গে পারফর্ম করবেন ভারতীয় একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী এ.আর.রহমান। তিনি ইতোমধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছেন।
আগামী ২৯ মার্চ মঙ্গলবার শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এই সংগীতানুষ্ঠান। আসন বিন্যাসের ওপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠানের টিকিটের দাম পড়বে এক হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা।
২৮ এবং ২৯ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সেলিং পয়েন্টে টিকিট পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: ৫০ ব্যান্ডের এক গান
৫০ ব্যান্ডের এক গান
প্রতীক্ষার শেষে প্রকাশ হলো বাংলাদেশের শীর্ষ ৫০ ব্যান্ডের অংশগ্রহণে দেশাত্মবোধক গান ‘প্রিয় বাংলাদেশ’। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশনের (বামবা) উদ্যোগে ৫০ ব্যান্ডের দুই শতাধিক সদস্যদের সম্মিলনে তৈরি হয় বহুল আলোচিত এই গান। যা ইউটিউবে উন্মুক্ত হয় ২৭ মার্চ (রবিবার)।
একসঙ্গে ৫০ ব্যান্ডের অংশগ্রহণে এমন উদ্যোগ বিশ্বে বিরল উদাহরণ।
এ বিষয়ে বামবা’র সভাপতি হামিন আহমেদ বলেন, ‘৫০ ব্যান্ডের অংশগ্রহেণ এক গানের ইতিহাস হয়তো বিশ্বের আর কোথাও নেই। এটি মাতৃভূমির প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। এমন উদ্যোগের সঙ্গে থাকতে পেরে অবশ্যই আনন্দিত। এমন মুহূর্তে আমাদের অনেক অগ্রজকে মনে পড়ছে।’
‘প্রিয় বাংলাদেশ’ গানটি প্রকাশ হয়েছে টিএম রেকর্ডসের ব্যানারে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপস জানান, এ গানটির মধ্য দিয়ে সূচিত হল ‘টিএম রেকর্ডস’-এর নতুন আরেকটি গন্তব্য ‘টিএম রকস’।
তিনি বলেন, ‘টিএম রকস’ দেশের ব্যান্ড সংগীতের পাশে দাঁড়িয়ে নতুন ইতিহাস রচনা করতে চায়। আন্তর্জাতিক মানের নতুন গান প্রযোজনা করে দেশের ব্যান্ডসংগীতকে বিশ্বের কাছে নতুন উচ্চতায় তুলে ধরতে চায় টিএম রকস।’
শাহান কবন্ধের কথায় ও নকীব খানের সুরে ‘প্রিয় বাংলাদেশ’ গানটির সংগীতায়োজন করেছেন মানাম আহমেদ। নারায়ণগঞ্জের ওসমানী স্টেডিয়ামে গাজী শুভ্র এর পরিচালনায় গানটির ভিডিও চিত্রায়িত হয়।
পড়ুন: অস্কার ২০২২:সেরা অভিনেত্রী জেসিকা চ্যাস্টেইন
অস্কার ২০২২:সেরা আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম 'ড্রাইভ মাই কার'
৩ দিনব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসব ‘সেলুলয়েডে বঙ্গবন্ধু’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন নিয়ে নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য, প্রামাণ্যচিত্র ও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নিয়ে আগামী ২৭ মার্চ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ মিলনায়তনে শুরু হচ্ছে সেলুলয়েডে বঙ্গবন্ধু শিরোনামে চলচ্চিত্র উৎসব।
তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজনে রয়েছে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম মুভমেন্ট। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সহযোগিতায় সেলুলয়েডে বঙ্গবন্ধু চলচ্চিত্র উৎসবের পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় রয়েছে এস এস কমিউনিকেশন।
শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম মুভমেন্টের সভাপতি চলচ্চিত্র নির্মাতা ও গবেষক দিলদার হোসেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব শুরু
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, স্কুল -কলেজের শিক্ষার্থীরা উৎসবে বিনা টিকেটে শুধুমাত্র আইডি কার্ড দেখিয়ে বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো দেখার সুযোগ পাবেন। আর দর্শনার্থীদের জন্য টিকেটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা। যা দিয়ে একদিনে প্রদর্শিত সবগুলো চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ থাকছে।
২৭ মার্চ সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ দিলাম আর্কাইভ মিলনায়তনে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ২৭ মার্চ উৎসবের উদ্বোধনী দিনে প্রদর্শিত হবে চলচ্চিত্র টুঙ্গি পাড়ার মিয়া ভাই,চিরঞ্জীব মুজিব,বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ ও তোমারই হোক জয়।
উৎসব চলবে প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: ১০০ যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির যাত্রা উৎসব