লাইফস্টাইল
সিলেটে আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব শুরু
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী ১৫তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব (সিলেট বিভাগীয় পর্ব) শুরু হয়েছে। চিলড্রেন্স ফিল্ম সোসাইটির আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) পর্যন্ত দুই দিনব্যাপী এই চলচ্চিত্র উৎসব চলবে।
চলচ্চিত্র উৎসবে প্রতিদিন বেলা ১১টা, দুপুর ২টা, বিকাল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টায় মোট ৪টি প্রদর্শনী হবে। প্রতিটি প্রদর্শনীতে একাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র দেখানো হচ্ছে। উৎসবের সব প্রদর্শনীতে অভিভাবক, শিশু-কিশোরসহ সবার জন্য বিনামূল্যে প্রবেশাধিকার থাকছে।
‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ স্লোগানে গত ৫ মার্চ এ উৎসব শুরু হয়েছে। ৫ থেকে ১১ মার্চ ঢাকা বিভাগের উৎসব চলে। খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের উৎসব ইতোমধ্যে সফলভাবে আয়োজিত হয়েছে। বুধবার থেকে সিলেটের সাথে সাথে একই সময়ে ময়মনসিংহেও বিভাগীয় উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সব শেষে হবে চট্টগ্রাম বিভাগের উৎসব।
‘চিলড্রেন’স ফিল্ম সোসাইটি, বাংলাদেশ’ এবং সরকারের ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রদানকারী নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় এ আয়োজন করেছে। স্থানীয় সংগঠক হিসেবে আয়োজনে সহায়তা করছে শাবিপ্রবির অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘চোখ ফিল্ম সোসাইটি'।
পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচন ৩১ মার্চ
‘অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার ১৪২৮’ পেলেন রঞ্জনা বিশ্বাস
‘অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার ১৪২৮’-এ ভূষিত হলেন প্রাবন্ধিক-গবেষক রঞ্জনা বিশ্বাস। মঙ্গলবার বিকাল ৪.৩০মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক-প্রাবন্ধিক আকিমুন রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন অনন্যা-সম্পাদক তাসমিমা হোসেন।অনুষ্ঠানের শুরুতে রঞ্জনা বিশ্বাসের ওপর লেখক-নির্মাতা ও সাংবাদিক তাপস কুমার দত্ত নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানটি শেষ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতি সংসদের পরিবেশনা দিয়ে। আলোচক আকিমুন রহমান বলেন, বেদেরাও আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। তাদের আত্মত্যাগের কাহিনির শেষ নেই। কিন্তু আমরা সেটা মানি না। রঞ্জনার গবেষণায় আমরা বেদেদের কথা জানতে পারি। মুক্তিযুদ্ধে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অবদান ও আত্মত্যাগের কথা জানতে পারি। বাংলার ঐতিহ্যবাহী পালকিবাহীদের জীবন ও অনালোচিত সেই ইতিহাসও আমাদের সামনে তুলে ধরেন তিনি। তিনি লোকগীতি, লোকসঙ্গীতের কথাগুলোও তুলে ধরেছেন।তিনি আরও বলেন, রঞ্জনা শুধু গবেষক না, সৃজনশীল লেখকও। তিনি একাধারে কবি ও ঔপন্যাসিক। তার কবিতা ও উপন্যাস পড়ার সময় আমি অভিভূত হয়ে যাই। তিনি এক্ষেত্রে আলাদা করে পুরস্কৃত হওয়ার যোগ্য।সভাপ্রধানের ভাষণে তাসমিমা হোসেন জানান, রঞ্জনা বিশ্বাস নতুন প্রজন্মের লেখক। তার দেখার দৃষ্টিও অনন্য। তিনি বাংলাদেশের অবহেলিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে আমাদের পরিচয় ঘটিয়ে দিচ্ছেন। একবিংশ শতকে এসে মানুষ হিসেবে সমাজের এই শ্রেণিভেদ ভেঙে দিতে চাই আমরা। রঞ্জনা লোকধর্ম ও লোকায়াত জীবন নিয়ে কাজ করে সেই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন আমাদের কাছে। অনন্যা কখনো বয়স দিয়ে মানুষের যোগ্যতা বিচার করে না। রঞ্জনাকে তাই পুরস্কৃত করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছে অনন্যা।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে দু’দিনব্যাপী শাহ আব্দুল করিম লোক উৎসব শুরু
সুনামগঞ্জে দু’দিনব্যাপী শাহ আব্দুল করিম লোক উৎসব শুরু
মানুষ যদি হতে চাও কর মানুষের ভজন, স্বাধীন বাংলা স্বাধীন হবে, সুখে রবে বাংলা মায়ের সন্তান, কোন মেস্তোরি নাও বানাইল কেমন দেখা যায়, কেন পিরিতি বাড়াইলা রে বন্ধু ছেড়ে যাইবা যদি, জ্ঞানী-গুণী সবাই বলেন মুক্তি আসে মানবতায়-এমন অসংখ্য কালজয়ী গানের রচয়িতা বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম।
হাওরের জেলা সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের কালনী নদী ঘেষা উজান ধল গ্রামে বাউল সম্রাটের ১০৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুরু হয়েছে দু’দিনব্যাপী লোক উৎসব।
মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে শুরু হয়ে বুধবার সারারাত পর্যন্ত চলবে এই লোক উৎসব। দেশ-বিদেশের বাউল প্রেমী শাহ আব্দুল করিমের ভক্তদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে উজান ধল গ্রামটি। গ্রামের মাঠের চতুর্দিকে শতাধিক দোকানী বিভিন্ন ধরনের পণ্যসামগ্রী নিয়ে বসেছে মেলা। শিশুদের বিনোদনের জন্য রাখা হয়েছে দোলনা ও হরেক রকমের পণ্যসামগ্রী। রাতে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বাউল শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।
মেলার নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
শাহ আব্দুল করিম পরিষদ ও ধল গ্রামবাসীর উদ্যোগে দু’দিন ব্যাপী গ্রামের মাঠে প্রতিবছরের মতো এবারও লোক উৎসব উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শাহ আব্দুল করিম পরিষদের সভাপতি ও আব্দুল করিমের ছেলে শাহ নূর জালালের সভাপতিত্বে এবং আপেল মাহমুদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় এই দু’দিনব্যাপী লোক উৎসবের উদ্বোধন করেন দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুর রহমান মামুন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল আহমদ, দিরাই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহন চৌধুরী,তাড়ল ইউপি চেয়ারম্যান মো.আলী আহমদ, কুলজ্ঞ ইউপি চেয়ারম্যান একরার হোসেন, বিশ্বনাথ উপজেলা আব্দুল করিম পরিষদের সভাপতি মো.আব্দুল হাই, বাউল শিল্পী আব্দুর রহমান, বাউল সিরাজ উদ্দিন প্রমুখ।
১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দিরাইয়ের উজান ধল গ্রামের এক গরীব বাবার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন করিম। তিনি তার জীবদ্দশায় দুই হাজারের মতো গান রচনা করেন। প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা না থাকলেও তিনি রাখাল রাজা হয়ে তার দূরদর্শিতা, প্রজ্ঞা আর মেধা দিয়ে তিনি অজোপাড়া গায়ের গোচারণ ভূমিতে বসে বসে অসংখ্য কালজয়ী গান রচনা করেছেন। ক্রমান্বয়ে তার গান বর্হিবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।পরবর্তীতে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন। ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন এই বাউল সম্রাট।
এ ব্যাপারে শাহ আব্দুল করিমের ছেলে নূর জালাল জানান, অন্য বছরগুলোতে কোনো কোনো প্রতিস্ঠান পৃষ্ঠপোষকতা করলেও এবার কেউ এগিয়ে আসেনি। ফলে আমার বাবার স্মৃতি ধরে রাখতে আমাদের গ্রামবাসীর সহযোগিতায় সাধ্যমতো এবারো লোক উৎসব করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি পৃষ্টপোষকতা পেলে আমার বাবার গানগুলো বর্হিবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে এখানে একটি সঙ্গীতালয় স্থাপন করা জরুরি। সঙ্গীত বিদ্যালয় স্থাপন করা গেলে নতুন প্রজন্মের অনেক নতুন শিল্পী তৈরি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ ব্যাপারে তাড়ল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলী আহমদ বলেন, এই হাওরপাড়ের মানুষ শাহ আব্দুল করিমের মাধ্যমেই আমাদের সুনামগঞ্জ তথা দিরাইবাসীকে লোকজন চিনেন। দেশের বিভিন্ন জায়গাতে গেলে দিরাই পরিচয় দিলেই বলেন ও তাহলে আপনারা তো করিমের এলাকার লোকজন। আব্দুল করিম আমাদের অনুপ্রেরণা। তাই করিমের গান সংরক্ষণ করা গেলে যেমন নতুন অনেক শিল্পী তৈরি হবে, তেমনি করিম আমাদের মাঝে আজীবন বেঁচে থাকবেন।
চেয়ারম্যান মো. আলী আহমদ ধলবাজার থেকে শাহ আব্দুল করিমের গ্রামের বাড়ি উজান ধল পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানান সরকারের কাছে।
এ ব্যাপারে দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী জানান, সঙ্গীত বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুর রহমান মামুন বলেন, বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম একজন রাখাল রাজা ছিলেন। তিনি অসাম্প্রদায়িকতার চেতনাকে বুকে ধারণ করে বাউল গানে উৎসাহিত হন। বিশ্বমণ্ডলে একজন খ্যাতিমান গায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমেই তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন।
আগামীতে শাহ আব্দুল করিমের এই জন্মবার্ষিকীতে সরকারের পৃষ্টপোষকতায় একটি সঙ্গীতালয় স্থাপনে সহযোগিতার দাবি তার ভক্তদের।
শেষ হলো দশম লিবারেশন ডকফেস্ট
পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে দশম লিবারেশন ডকফেস্ট আয়োজন শেষ হলো। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও চলচ্চিত্র নির্মাতারা অনলাইন ও অফলাইন উভয় মাধ্যম উপস্থিত ছিলেন।
এবারের উৎসবে ১৯৬টি দেশ থেকে প্রায় ২২০০টি প্রামাণ্যচিত্র সংগ্রহ করা হয়, যার মধ্য থেকে ৪০টি দেশের ১৪০টি প্রামাণ্যচিত্র এই উৎসবে প্রদর্শিত হয়। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের পাশাপাশি চলচ্চিত্রপ্রেমিরা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের মিলনায়তনে সশরীরে চলচ্চিত্র উপভোগ করতে পেরেছেন।
চলচ্চিত্র নির্মাতা ছাড়াও উৎসবে ঢাকার স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানানোর মূল উদ্দেশ্যই ছিল তরুণ প্রজন্মের কাছে এই মুক্তি ও মানবাধিকার বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্রগুলো তুলে ধরা।
এবারের প্রামাণ্যচিত্র উৎসবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনূর্ধ্ব একঘন্টার প্রামাণ্যচিত্রের প্রতিযোগিতা হয় যা তিনটি বিভাগে নির্মাতাদের পুরস্কৃত করা হয়। আন্তর্জাতিক বিভাগে সেরা প্রামাণ্যচিত্র হচ্ছে 'রুম উইদাউট ভিউ' পরিচালক রোজার কোরেলা। এ বিভাগে বিজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতাকে ১০০০ ডলার পুরস্কার দেয়া হয়।
এরপর জাতীয় পর্যায়ের দুটি বিভাগে পুরস্কার দেয়া হয়। এ পুরস্কার বিজয়ী নির্মাতাদের হাতে তুলে দেন লিবারেশন ডকফেস্টের এবছরের বিচারক অভিনয় শিল্পী বন্যা মির্জা এবং শিল্প সমালোচক মোস্তফা জামান। জাতীয় পর্যায়ের সেরা প্রামণ্যচিত্র 'বিচ্ছেদ'। এটির পরিচালক জগন্ময় পাল।
গত দুবছর অনলাইনে এই উৎসব পালনের পর এবারই অফলাইনে ডকফেস্টের আয়োজন করা হয়।
পড়ুন: ৪০ দেশের অংশগ্রহণে পাঁচ দিনব্যাপী ‘লিবারেশন ডকফেস্ট’ শুরু
কুষ্টিয়ায় ৩ দিনব্যাপী লালন উৎসব শুরু
করোনা মহামারির কারণে প্রায় দুবছর বিরতির পর কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বাউল সাধক ফকির লালন শাহের স্মরণে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে তিন দিনব্যাপী উৎসব শুরু হচ্ছে। উৎসব চলবে বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) পর্যন্ত।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তিন দিনের অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করে লালন একাডেমি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় উৎসবের উদ্বোধন করবেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন খান।
উত্সবে অংশ নিতে ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশ থেকে কয়েকশ ভক্ত আখড়ায় ভিড় করেছেন। অনুষ্ঠান মালার মধ্যে রয়েছে লালনের কর্মময় জীবন ও দর্শন নিয়ে আলোচনা সভা, সংগীতানুষ্ঠান ও গ্রামীণ মেলা।
আরও পড়ুন: ১০০ যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির যাত্রা উৎসব
নারীদের এগিয়ে চলা নিয়ে বইমেলায় আইরিশের ‘অপরাজিতা’
৪০ দেশের অংশগ্রহণে পাঁচ দিনব্যাপী ‘লিবারেশন ডকফেস্ট’ শুরু
শুরু হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত মুক্তি ও মানবাধিকার বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব ‘লিবারেশন ডকফেস্ট’-এর দশম আয়োজন। শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে এ বছর আয়োজনটি আংশিক সরাসরি আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বছর বিশ্বের ১৯৬টি দেশ থেকে জমা হয়েছিল ২১ শতাধিক প্রামাণ্যচিত্র, যার মধ্য থেকে ৪০ দেশের ১৪০টি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে। আগারগাঁওস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে প্রতিদিন চারটি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি অনলাইনেও নির্বাচিত ছবিসমূহ প্রতিদিন স্ট্রিমিং করা হবে। গেল দু’বছরের মতো এবারও ‘কসমস ফাউন্ডেশন’ এক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদান করেছে।
আরও পড়ুন: ১০০ যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির যাত্রা উৎসব
ইউনাইটেড হাসপাতালে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত
প্রতি বছরের মতো এবারও ইউনাইটেড হাসপাতালে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক,নার্স ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হাসপাতালে আগত রোগীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালের লবীতে একটি হেলথ চেক বুথ উদ্ধোধনের মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করেন। দিনব্যাপী এই ফ্রি হেলথ চেক বুথে প্রায় পাঁচ শতাধিক রোগী ও তাদের স্বজনেরা স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুবিধা গ্রহণ করে। এছাড়াও দুপুরে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের উপস্থিতিতে সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এই উপলক্ষে হাসপাতালের ডিরেক্টর মেডিকেল সার্ভিসেস (ডিএমএস) ডা. শান্তি বানসাল বলেন, এ বছর কিডনি দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘সুস্থ কিডনি সবার জন্য- জ্ঞানের সেতুবন্ধনে সাফল্য’।
বিশ্ব কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তিনি বলেন, কিডনির যত্নে, জ্ঞানের শূন্যতা দূর করে, আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। মানুষকে জানাতে হবে, সচেতন করতে হবে। কিডনি ও এর জটিলতার সৃষ্ট সকল রোগের চিকিৎসায়,ইউনাইটেড হাসপাতালের প্রচেষ্টা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মেকানিক্যাল হার্ট ইমপ্ল্যান্ট সম্পন্ন
এ সময় ইউনাইটেড হাসপাতালের চিফ কনসালটেন্ট, নেফ্রোলজি এবং পরিচালক, রেনাল সেন্টার, প্রফেসর ডা. মো. নুরুল ইসলাম বলেন,ইউনাইটেড হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৩৯টি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এখন তা সাময়িক বন্ধ আছে। আশা করছি খুব অল্প সময়ের মধ্যে আবার ইউনাইটেড হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন শুরু হবে।
নেফ্রোলজি কনসালটেন্ট ডা.তানভীর বিন লতিফ বলেন, এ দেশে বেশ কিছু ডায়ালাইসিস সেন্টার গড়ে উঠেছে, যেখানে প্রধানত হেমোডায়ালাইসিসই দেয়া হয়ে থাকে। হেমোডায়ালাইসিস শুধুমাত্র একটি মেশিন নয়, এর সঙ্গে জড়িত আছে চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং কারিগরী দক্ষতা। যা ইউনাইটেড হসপিটালে অত্যন্ত মনোযোগ ও যত্ন সহকারে পরিচালনা করা হয়।
নেফ্রোলজি কনসালটেন্ট ডা. তানিয়া মাহবুব জানান, ডায়ালাইসিস চলাকালীন সময়ে মাসে ২-৩ বার নিয়মিত ফলোআপ করা জরুরি। এছাড়া নারী রোগীদের ঝুঁকি বেশী বিধায় তাদের ইউনাইটেড হসপিটালে বিশেষ স্ক্রীনিং এর আওতায় জরুরি রোগ নির্ণয় সুবিধা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পিংক সল্ট বা হিমালয় লবণের উপকারিতা
নারী দিবসে ৩ সম্মাননা পেলেন বিশ্বজয়ী বাংলাদেশি পর্যটক নাজমুন নাহার
বাংলাদেশের পতাকাবাহী সর্বাধিক রাষ্ট্র ভ্রমণকারী প্রথম বাংলাদেশি নাজমুন নাহার এবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দেশে-বিদেশে তিনটি সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
তিনি লন্ডনে স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশে উইমেন ওয়ারিয়র অ্যাওয়ার্ড ও ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।
৬ মার্চ লন্ডনে রয়েল রিজেন্সি কনভেনশন হলে নোয়াখালী উৎসবের এক আয়োজনে বিলেতে প্রবাসী নোয়াখালী বাসীর পক্ষ থেকে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র জন বিগস ও বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতে নাজমুন নাহারকে দেয়া হয় 'স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড।
আরও পড়ুন: ‘পিস রানার অ্যাওয়ার্ড' পেলেন বিশ্বজয়ী বাংলাদেশি পর্যটক নাজমুন নাহার
৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বাংলাদেশে রিয়াল হিরোস এক্সপো এন্ড কমিউনিকেশন আয়োজিত আইসিসিবি কনভেনশন হলে মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের কাছ থেকে বাংলাদেশ উইমেন ওয়ারিয়র অ্যাওয়ার্ডটি গ্রহণ করেন নাজমুন নাহারের বড় বোন কামরুন নাহার।
একই দিনে ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড পান নাজমুন নাহার। ই- ক্লাব(অন্ট্রাপ্রেনিওরস ক্লাব অব বাংলাদেশ) আয়োজিত গ্রীন হাউজ কনভেনশন হলে নেপালের রাষ্ট্রদূত কুমার রাজ এর হাত থেকে ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ডটি গ্রহণ করেন তাঁর বড় বোন জোবায়দাতুন নাহার।
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নাজমুন নাহার বিশ্বের ১৫২টি দেশ ভ্রমণের মাধ্যমে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক সৃষ্টি করেছেন।
ইতোপূর্বে তিনি 'পিস টর্চ বিয়ারার অ্যাওয়ার্ড' অনন্যা শীর্ষ দশ সম্মাননা,পিস রানার অ্যাওয়ার্ড, বিদ্রোহী নারী সম্মাননা, মিস আর্থ কুইন অ্যাওয়ার্ড, গেম চেঞ্জার অব বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড, মোস্ট ইনফ্লুয়েন্সিয়াল উইমেন অব বাংলাদেশ, গ্লোব অ্যাওয়ার্ড, অতীশ দীপঙ্কর গোল্ড মেডেল সম্মাননা, জনটা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড, তিন বাংলা সম্মাননা ও রেড ক্রিসেন্ট মোটিভেশনাল অ্যাওয়ার্ডসহ দেশে-বিদেশে মোট ৫০টির মতো সম্মাননা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বভ্রমণে ৫ দেশের জন্য বেঙ্গল এয়ারলিফট গ্রুপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নাজমুন নাহার
১০০ যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির যাত্রা উৎসব
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে দেশব্যাপী ১০০টি যাত্রাপালা মঞ্চায়ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় আগামী ১২-৩০ মার্চ দেশব্যাপী ১০০টি নতুন যাত্রাপালা নিয়ে ‘বাংলাদেশ যাত্রা উৎসব ২০২২’ এর আয়োজন করছে প্রতিষ্ঠানটি।
উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আগামি ১২ মার্চ (শনিবার) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুরের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিয়ে বাড়িতে হলো ‘গুণিন’ সিনেমার প্রিমিয়ার!
আলোচক হিসেবে থাকবেন যাত্রা ব্যক্তিত্ব জ্যোৎস্না বিশ্বাস, যাত্রা গবেষক ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মার্জিয়া আক্তার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এবং স্বাগত বক্তব্য রাখবেন একাডেমির সচিব মো. আছাদুজ্জামান।
১২-১৬ মার্চ প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭ টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে যাত্রামঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগরের যাত্রাদলের যাত্রাপালা মঞ্চায়িত হবে।
আরও পড়ুন: রুদ্র দ্য এইজ অব ডার্কনেস: ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সুপারস্টার অজয় দেবগন
নারীদের এগিয়ে চলা নিয়ে বইমেলায় আইরিশের ‘অপরাজিতা’
সময়ের সঙ্গে নারীরা এখন অনেক এগিয়ে। সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রায় সবক্ষেত্রে নারীরা নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ রাখছেন। মানুষের দুটি সত্তা নারী ও পুরুষ হলেও অধিকারের প্রশ্নে সবাই সমান। সেই কথাগুলো উঠে এসেছে বিশ্বের অনেক লেখদের বইতে। এই জায়গায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও।
দেশের তরুণ অনেক লেখকদের বইতে উঠে আসছে নারীদের নিয়ে আলোচনা। তেমনই একটি বই ‘অপরাজিতা’ এ বছরের একুশে বইমেলায় প্রকাশ হয়েছে। এটির লেখক আইরিশ পারভীন।
অনন্যা প্রকাশনী থেকে ‘অপরাজিতা’ উপন্যাসটি আইরিশ পারভীনের দ্বিতীয় প্রকাশিত বই।
বইটি সম্পর্কে আইরিশ বলেন, ‘নারী শব্দটি খুব দৃঢ় এবং শক্তিশালী এক শব্দ। শব্দের মতোই দৃঢ় এবং শক্তিশালী হয় নারী মানুষ হিসেবেও। নারী সুন্দর, নারী শাশ্বত। তবে আমাদের সমাজে নারী অসহায়, অবহেলিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত। এখানে নারীদের চালে বাঁধা, চলনে বাঁধা। সেসব বাঁধাকে তোয়াক্কা না করে যেসব নারীরা এগিয়ে চলে মনুষত্বের পথে স্বাধীনতার পথে মুক্তির পথে সেসব নারীদেরকে সম্মান ও সালাম জানিয়ে তাদের প্রতিনিধিত্বে এনেছি আমার গল্পের অপরাজিতা চরিত্রটি।’
তিনি আরও জানান, অপরাজিতা এমন একটি চরিত্র যে মনুষত্বের পথে ভালোবাসা বিলিয়ে চলে। যে তার নামের অর্থকে তার জীবনের মাহাত্ম বানাতে চেয়েছে।
পড়ুন: একুশে বইমেলা চলবে ১৭ মার্চ পর্যন্ত: প্রতিমন্ত্রী