স্বাগতিকদের কাছে ২৪২ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে অজিরা। রানের দিক দিয়ে এটা সবচেয়ে বড় পরাজয়।
ইংল্যান্ডের দেয়া ৪৮২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১৩ ওভার বাকি থাকতেই ২৩৯ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া।
ওয়ানডেতে আগের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটাও ছিল ইংলিশদের। ২০১৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৪৪ রান করেছিল ইংল্যান্ড।
তবে মঙ্গলবার সেই রেকর্ডটাকে নিয়ে গেল আরো শক্ত অবস্থানে। এবার তাদের সংগ্রহ ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৮১ রান।
এই জয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজ দুই ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করলো স্বাগতিকরা।
ইংল্যান্ডের হয়ে তিন নম্বরে খেলতে নামা অ্যালেক্স হেলস ১৬টি চার এবং ৫টি বিশাল ছক্কায় ৯২ বলে ১৪৭ এবং ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ৯২ বলে ১৩৯ রান করেন। শেষ ছয় ম্যাচে বেয়ারস্টোর এটি চতুর্থ সেঞ্চুরি। আরেক ওপেনার জেসন রয় করেন ৮২ রান।
ইংলিশ অধিনায়ক মর্গান ছিলেন আরো বিস্ফোরক। তিনি মাত্র ২১ বলে অর্ধশতক এবং ৩০ বলে ৬৭ রান করেন। ইংলিশদের হয়ে দ্রুততম অর্ধশতক করার রেকর্ড গড়েন মর্গান।
১৮০টি ওয়ানডে খেলা মর্গান ওয়ানডে ফরম্যাটে ইংলিশদের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক (৫৪৪৩)। তার আগে সাবেক ব্যাটসম্যান ইয়ান বেল (৫৪১৬) দীর্ঘদিন এই রেকর্ড নিজের করে রেখেছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ার পেসার রিচার্ডসন ৯২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সফল বোলার।
টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়া স্বাগতিকদের স্পিনারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। আদিল রশিদ (৪৭-৪) এবং মঈন আলী (২৮-৩) দুজনে মিলে ৭ উইকেট তুলে নেন।
অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ত্রাভিস হেড ৩৯ বলে ৫১ রান করেন। যা ছিল সফরকারী দলের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর।
৩২ বছর আগে ১৯৮৬ সালে অ্যাডিলেডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০৬ রানের ব্যবধানে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। যা ছিল অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের লজ্জার রেকর্ড।