মঙ্গলবার ডাবলিনের ক্লনটার্ফের মাঠে সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক আইরিশদের বড় ব্যবধানে হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে মাশরাফিরা।
বিশ্বকাপের আগে শুধু একটা জয়ই নয়, যেন অনেক কিছু পাওয়ার একটা ম্যাচ ছিল টাইগারদের জন্য। ব্যাটিং-বোলিংয়ে দাপটের পাশাপাশি ছিল শরীরি ভাষার দাপটও। ক্যারিবিয়ানদের ২৬১ রানে আটকে রেখে ৩০ বল হাতে রেখে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরুটা যদিও ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ওপেনার সেই হোপ উপহার দেন টানা দ্বিতীয় ও বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক সেঞ্চুরি। তারপরও ক্যারিবীয়দের বেশিদূর এগুতে দেয়নি বাংলাদেশ।
একমাত্র মুস্তাফিজ ছাড়া অধিনায়ক মাশরাফি- সাকিব, সাইফউদ্দিন ও মিরাজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রতিপক্ষ উইন্ডিজকে ২৬১ রানে আটকে রেখে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।
রান তাড়া করতে নেমে স্বপ্নের শুরু এনে দিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। শুরুতে দেখে শুনে খেললেও পরে ক্যারিবীয় বোলারদের উপর তাণ্ডব চালিয়ে দুজনেই তুলে নেন অর্ধশতক। তবে ৭৩ রানে আউট হওয়া সৌম্য ও ৮০ রানে আউট হওয়া তামিমের নিশ্চয়ই সেঞ্চুরির আক্ষেপ থেকেই গেল!
তামিম-সৌম্যের ১৪৪ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গার পর ক্রিজে আসেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর এ ম্যাচে অপরাজিত অর্ধশতক রানের ইনিংস খেলে যেন নিজের বিরুদ্ধে ওঠা বিতর্কের আগুনে জল ঢেলে দেন।
সাকিবের ৬১ বলে ৬১ রানের অপরাজিত ইনিংসে দারুন সঙ্গ দিয়েছেন তামিম আউট হওয়ার পরে ক্রিজে আসা মুশফিকুর রহিম। ২৫ বলে ৩২ রানের হার না মানা ইনিংস উপহার দেন তিনি।
বিদেশের মাটিতে ক্যারিবিয়দের মতো একটি শক্তিশালী দলের বিপক্ষে বিশাল এক জয়ের পরেও তেমন কোনো উচ্ছ্বাস-উল্লাসে ভাঁসতে দেখা যায়নি মাশরাফিদের, যেন বড় কিছু অর্জনের লক্ষ্য ভর করেছে তাদের মনে!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ২৬১/৯ (হোপ ১০৯, আমব্রিস ৩৮, ব্রাভো ১, চেইস ৫১, কার্টার ১১, হোল্ডার ৪, ডাওরিচ ৬, নার্স ১৯, রোচ ১, কটরেল ৪*, গ্যাব্রিয়েল ০; সাইফউদ্দিন ১০-০১-৪৭-২, মাশরাফি ১০-০০-৪৯-০৩, মুস্তাফিজ ১০-০০-৮৪-০২, সাকিব ১০-০০-৩৩-০১, মিরাজ ১০-০০-৩৮-০১)।
বাংলাদেশ: ৪৫ ওভারে ২৬৪/২ (তামিম ৮০, সৌম্য ৭৩, সাকিব ৬১*, মুশফিক ৩২*; কটরেল ০৭-০০-৪৭-০০, রোচ ০৭-০০-৩০-০০, গ্যাব্রিয়েল ১০-০০-৫৮-০১, হোল্ডার ০৪-০০-২৭-০, নার্স ০৭-০০-৪৬-০০, চেইস ১০-০০-৫১-০১) ।