আমির টেস্ট ক্যারিয়ারে ৩০.৪৭ গড়ে ১১৯টি উইকেট শিকার করেছেন। তার টেস্ট ক্যারিয়ার দুই অংশে বিভক্ত। ২০০৯ সালের জুলাইয়ে ১৭ বছর বয়সে টেস্টে অভিষেক হয় তার। ১৪ টেস্টে ২৯.০৯ গড়ে ৫১ উইকেট শিকার করেন তিনি।
পরে লর্ডসে স্পট ফিক্সিংয়ের কারণে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ হন আমির। নিষেধাজ্ঞা থেকে ২০১৬ সালের জুলাইয়ে আবারও ক্রিকেটে ফেরেন এই পাকিস্তানি পেসার। এরপর ২২ টেস্টে ৩১.৫১ গড়ে শিকার করেন ৬৮ উইকেট।
ক্যারিয়ারের দারুণ সময় পার করার সময় হঠাৎ করেই সাদা পোশাকের খেলা ছাড়ার ঘোষণা আসলো আমিরের কাছ থেকে। ২০১৮ সাল থেকে ৬ টেস্টে ২১ গড়ে ২৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। এছাড়া সদ্য সমাপ্ত ক্রিকেট বিশ্বকাপেও বল হাতে ছিলেন দুর্দান্ত। ২১.০৫ গড়ে শিকার করেন ১৭ উইকেট।
ক্যারিয়ারে খুব বেশি ইনজুরির ধকলে পড়েননি এই বামহাতি পেসার। তবে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে তার ওপর যে চাপ পড়ছে সেটিই সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।
অধিক সময় ধরে বল করতে হয় বলে এর আগেও টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আমির। তবে পাকিস্তান কোচ মিকি আর্থার চাপ কমিয়ে আমিরের ক্যারিয়ার দীর্ঘ করবেন বলে সমঝোতা করলে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন এই পেসার।
ইএসপিএনক্রিকইনফোকে আমির বলেন, ‘২০১০ সাল থেকে ক্রিকেট ভিন্ন এবং আপনি যদি পেছন ফিরে তাকান তাহলে দেখবেন যে আমি আমার ক্যারিয়ারের পাঁচ বছর হারিয়েছি। চিন্তা করুন, যদি আমি ওই বছরগুলো খেলতে পারতাম তাহলে আমার ক্যারিয়ারে ৭০-৮০ টেস্ট হতে পারতো।’
‘আমি হারিয়ে যাওয়া সময় ফিরে পাবো না তবে চাপ কমিয়ে আমার ক্যারিয়ার দীর্ঘ করতে পারবো। প্রতিদিনই আমার বয়স বাড়ছে এবং আমি জানি আমার ভক্তরা চায় যেন আমি খেলা চালিয়ে যাই। কিন্তু যৌক্তিকভাবে যদি আপনি বিচার করেন তাহলে আমি একজন মানুষ এবং আয়রন ম্যান নই। আমি ভক্তদের জন্য এবং দেশের জন্য দীর্ঘ সময় খেলতে চাই।’
এক বিবৃতিতে আমির বলেন, ‘পাকিস্তানের হয়ে প্রথাগত ফরম্যাটে প্রতিনিধিত্ব করা সম্মানের। দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে চাই যেন আমি সাদা বলের ক্রিকেটে অধিক মনোযোগ দিতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘এটা আমার জন্য সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না। বেশ কিছুদিন ধরেই অবসরের বিষয়ে ভাবছিলাম। খুব শিগগিরই আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হবে। পাকিস্তান দলের পাইপ লাইনে বেশ কয়েকজন তরুণ পেসার রয়েছে। অবসর নেয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। এতে করে নির্বাচকরা যথাযথ পরিকল্পনায় এগিয়ে যেতে পারবে।’