বিশ্বকাপের স্ট্যান্ডবাই তালিকার ছয়জনের মধ্যে ইয়াসির আলী রয়েছেন। বাকি পাঁচজন হলেন- ইমরুল কায়েস, ফরহাদ রেজা, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও নাঈম হাসান।
আয়ারল্যান্ডে সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সিরিজেও বাংলাদেশের স্কোয়াডে ছিলেন ইয়াসির আলী। তবে এই ব্যাটসম্যান কোনো ম্যাচেই খেলার সুযোগ পাননি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের অপেক্ষায় রয়েছেন এ মারকুটে ব্যাটসম্যান।
ইয়াসির আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘চলমান এইচপি (হাই পারফরম্যান্স) ক্যাম্পে আমি নিজেকে প্রস্তুত করছি। জাতীয় দলের জন্য যেকোনো প্রয়োজনে এটা আমাকে সাহায্য করবে বলে আমি আশাকরি। যেহেতু আমি স্ট্যান্ডবাই হিসেবে আছি, যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আমি দলে যোগ দিতে প্রস্তুত রয়েছি।’
আয়ারল্যান্ড সফরে বাংলাদেশের আরও চারজন অতিরিক্ত ক্রিকেটার ছিলেন। তারা হলেন- তাসকিন আহমেদ, ইয়াসির আলী, নাঈম হাসান ও ফরহাদ রেজা। তাদের কেউই মূল একাদশে খেলার সুযোগ পাননি।
তবে ইয়াসির বললেন, এটা নিয়ে তিনি মোটেও উদ্বিগ্ন নন।
‘জাতীয় দলের অংশ হওয়াটাও ভালো অভিজ্ঞতা। এর আগে জাতীয় দলের সাথে আমি ছিলাম না। দেশের সেরা ক্রিকেটারদের সাথে থাকাটা আমার জন্য বিশেষ কিছু। আমি তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি যা অবশ্যই ভবিষ্যতে আমাকে সাহায্য করবে,’ যোগ করেন তিনি।
ইয়াসির আরও বলেন, ‘দলের চাহিদাই প্রথম। জাতীয় দলে খেলা আর ফ্রাঞ্চাইজি লিগে খেলা এক নয়। দলের জন্য যেটা ভালো টিম ম্যানেজমেন্ট সেটাই করেছে। যদি টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে ডাকে তাহলে দলের অংশ হতে আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি।’
২৩ বছর বয়সী ইয়াসির আলী বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সর্বশেষ আসরে সবার নজরে আসেন। চট্টগ্রাম ভাইকিংসের হয়ে ১১ ম্যাচে করেন ৩০৭ রান। তিনটি অর্ধশত রয়েছ। বিপিএলের পর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগেও দারুণ খেলেন ইয়াসির। ১৩ ম্যাচে ৪৪১ করেন তিনি। একটি সেঞ্চুরি ও দুটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তার।