চলতি বিশ্বকাপে সবচেয়ে ফেভারিটের তকমা জুটেছে ইংলিশদের। তবে তাদের বিপক্ষে কালকের ম্যাচে দুটি সুখস্মৃতি নিয়ে মাঠে নামতে পারবে বাংলাদেশ। প্রথমত, কার্ডিফে আগে খেলা দুটি ম্যাচেই জয় পেয়েছে বাংলারদশ। আর দ্বিতীয়ত, সর্বশেষ দুই বিশ্বকাপে টাইগারদের হারাতে পারেননি ইংলিশরা।
পয়া ভেন্যু কার্ডিফে ঐতিহাসিক দুই জয়:
কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনের মাঠটি বড় পয়া বাংলাদেশের জন্য। এ মাঠে আছে বাংলাদেশের দারুণ দুটি জয়ের স্মৃতি। প্রথমটি ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই ঐতিহাসিক জয়। মোহাম্মদ আশরাফুলের অসাধারণ শতকে ৫ উইকেটে জয় পেয়েছিল হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বাধীন দল। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এসেছিল দ্বিতীয় জয়টি। মাত্র ৩৩ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সাকিব-মাহমুদুল্লাহর রেকর্ড ২৪৪ রানের জুটিতে কিউইদের হারায় বাংলাদেশ।
ইংলিশদের বিপক্ষে বিশ্বকাপে দুই জয়:
বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ২০১১ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে ২২৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১৬৯ রান তুলতেই ৮ উইকেট পড়ে যাওয়া বাংলাদেশ জিতেছিল বোলার শফিউলের দারুণ ব্যাটিংয়ে। আর ২০১৫ সালে ইংলিশদের তো বিশ্বকাপ থেকেই বিদায় করে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে রুবেল হোসেনের অসাধারণ সব ইয়র্কারের কথা নিশ্চয়ই ভুলে যায়নি কেউ।
দুদলের চাওয়া যেখানে এক:
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশ পরের ম্যাচেই হেরেছে নিউজিল্যান্ডের কাছে। অপরদিকে বিশ্বকাপ ও নিজেদের প্রথম ম্যাচে সেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে পরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে পরাজয় মেনে নিতে হয় স্বাগতিকদের। তাই লীগ ভিত্তিক এবারের প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বকাপে পরের ম্যাচে জয় পাওয়াটা দুদলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে শেষ হাসিটা মাশরাফি বিন মুর্তজা নাকি এউইন মরগান হাসবেন তার জন্য কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসী মাশরাফি:
বাংলাদেশ অধিনায়ক বলছেন, ইংলিশদের বিপক্ষে বিশ্বকাপের মঞ্চে আরও একটি জয়ের ব্যাপারে তারা আত্মবিশ্বাসী।
গণমাধ্যমকে মাশরাফি বলেন, ‘আমার মনে হয় এ টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় দল তারা। এটা (তাদের হারোনো) আমাদের জন্য মোটেও সহজ হবে না। যদি সর্বোচ্চটা দিয়ে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, তাদের জন্য কঠিন (আমাদের বিপক্ষে জয় পাওয়া) হবে।’
একাদশ নিয়ে বিপাকে পড়তে পারে দল:
ইংলিশদের বিপক্ষে মাঠে নামতে একাদশ নিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়তে পারে বাংলাদেশ। গত ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একজন বোলারের অভাব ব্যাপকভাবে নজরে এসেছে। সে ক্ষেত্রে রুবেল হোসেনকে একাদশে নেয়া হলে কাকে বাইরে যেতে হবে সেটা নিয়ে ভাবনায় পড়বে টিম ম্যানেজম্যান্ট।