বৃহস্পতিবার নটিংহামের ট্রেন্ট ব্রিজে টসে জিতে ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্তের স্বার্থকতা প্রমাণ করেছেন অজিরা।
নিয়মিত বোলারদের ব্যর্থতার দিনে ৫৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন সৌম্য সরকার। আর ৬৯ রানে ১ উইকেট পেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। সবচেয়ে খরুচে ছিলেন রুবেল হোসেন ও সাকিব আল হাসান।
অজিদের উদ্বোধনী জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ১২১ রানের জুটি গড়েন অ্যারন ফিঞ্চ। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা তাদের এ জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। তারপরও থেমে ছিল না রানের চাকা। বাংলাদেশের বোলারদের বল বারবার সীমানা ছাড়া হতে থাকে।
সাকিব থেকে মুস্তাফিজ, কারও বলেই যখন কিছু হচ্ছিল না তখন আবারও ত্রাতা হয়ে ওয়ার্নারের উইকেট নেন সৌম্য। কিন্তু তার আগেই ১৪৭ বলে ১৬৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি।
সৌম্যের তৃতীয় শিকার হন তিন নম্বরে নামা উসমান খাজা। ৪৭তম ওভারে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১০টি চারের সাহায্যে ৭২ বলে ৮৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনিও।
খাজার আউটের পর ব্যাটিং অর্ডারে পদোন্নতি পেয়ে ক্রিজে এসেই ঝড় তোলেন ম্যাক্সওয়েল। ১০ বলে ৩২ রান করা এ স্পিন অলরাউন্ডারকে ফেরাতেও ভূমিকা রাখেন সৌম্য। তার ওভারেই রান আউটের শিকার হন তিনি।
পরবর্তীতে সৌম্য ও মুস্তাফিজ রকেটের গতিতে ছুটতে থাকা অস্ট্রেলিয়ার রানের চাকাকে কিছুটা আটকাতে সক্ষম হন। ম্যাক্সওয়েলের পর উইকেটে আসা স্টিভেন স্মিথকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে দ্রুতই ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজ।
এবারের বিশ্বকাপে গত ম্যাচে তিন শতাধিক রান তাড়া করে জয়লাভ করা বাংলাদেশ আজ রানের পাহাড়ের নিচে চাপা পড়বে নাকি বেরিয়ে আসবে তা সময়ই বলে দেবে।
১৭ জুন টন্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়া ৩২২ রানের লক্ষ্য অর্জনে সাত উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ, তাও আবার সাত ওভার হাতে রেখে। ওই ম্যাচে ৪০ ওভারেই আগেই ৩০০ রান পূর্ণ করেছিল টাইগাররা। যাতে চতুর্থ উইকেটে সাকিব ও লিটনের অবিচ্ছিন্ন ১৮৯ রানের জুটি বড় ভূমিকা রেখেছিল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩৮১/৫ (ফিঞ্চ ৫৩, ওয়ার্নার ১৬৬, খাজা ৮৯, ম্যাক্সওয়েল ৩২, স্টয়নিস ১৭*, স্মিথ ১, কেয়ারি ১১*; মাশরাফি ৮-০-৫৬-০, মুস্তাফিজ ৯-০-৬৯-১, সাকিব ৬-০-৫০-০, রুবেল ৯-০-৮৩-০, মিরাজ ১০-০-৫৯-০, সৌম্য ৮-০-৫৮-৩)।