বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবাদ জানায় তারা।
সংগঠনটি অভিযোগ করে, লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়িয়ে গৌরবের ভাগিদার হয়ে খেলা দেখার প্রত্যাশিত সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জার্সি চলে গেছে একটি সিন্ডিকেটের কব্জায়। যার কারণে দেশের সাধারণ মানুষকে এখন ৩০০ টাকায় তৈরি করা জার্সি কিনতে হবে সিন্ডিকেটের নির্ধারিত এক হাজার ১৫০ টাকায়। কোনো প্রকার টেন্ডার আহ্বান ছাড়া একটি সিন্ডিকেটের চার প্রতিষ্ঠান ‘অঞ্জনস’, ‘জেন্টল পার্ক’, ‘স্পোর্টস এন্ড স্পোর্টস’ এবং ‘রবিন স্পোর্টস’কে জার্সি তৈরি ও বিক্রয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এই চার সিন্ডিকেট ছাড়া অন্য কোন ক্রীড়া পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এই জার্সি তৈরি বা বিক্রয় করতে পারবে না বলে সকল ক্রীড়া ব্যবসায়ীকে সতর্ক করা হয়েছে।
এর ফলে সাধারণ ক্রীড়ানুরাগীদের পক্ষে এত উচ্চ মূল্যে এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের গৌরবময় বাংলাদেশের লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়ানো সম্ভব হয়ে উঠবে না বলে মন্তব্য করে সংগঠনটির নেতারা।
তারা বলেন, ‘আমরা এই অনিয়ম এবং ৩০০ টাকার জার্সি ৪০০ টাকা না হয়ে এক হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রয়ের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এতে করে দেশের সাধারণ মানুষ জার্সি কিনতে গিয়ে চরমভাবে প্রতারিত হবেন।’
প্রধানমন্ত্রী এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি জানিয়ে এই সিদ্ধান্ত বাতিল এবং জার্সি তৈরি ও বিক্রয়ের সিন্ডিকেট চক্র ভেঙে দিয়ে এই অনিয়ম বন্ধের দাবি জানায় ক্রীড়া সামগ্রী ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি।