শনিবার সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে বাজে ব্যাটিংয়ের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৫০ রানের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
১৯১ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হলেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি টাইগাররা। ওপেনার লিটন দাস, বোলার আবু হায়দার রনি ও মেহেদী হাসান মিরাজ ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেননি।
শেষ পর্যন্ত ১৮ বল বাকি থাকতেই ১৪০ রানে অলআউট হয়েছে টাইগাররা। লিটন ২৫ বলে ৩টি ছক্কা ও সমান চারে ৪৩, রনি ১৭ বলে ১টি ছক্কা ও ৩টি চারে ২২* এবং মিরাজ ১৯ বলে ১ চার ও সমান ছক্কায় ১৯ রান করেন।
ক্যারিবীয়দের পক্ষে কেমো পল ৪ ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে একাই ধস নামান। এলেন ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ২টি এবং কটরেল ও ব্রাথওয়েট ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে তিন ম্যাচ টি২০ সিরিজের শেষ ম্যাচে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সাকিব আল হাসান।
ব্যাট হাতে নেমেই ঝড় তোলেন ক্যারিবীয় ওপেনার এভিন লুইস। লুইস ঝড় থামান সহ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে তার আগেই ৩৬ বলে ৮৯ রানের দানবীয় ইনিংস উপহার দেন লুইস। ৮টি বিশাল ছক্কা ও ৬টি চারে সাজান তার ইনিংসটি।
প্রথম ৫ ওভারেই শাই হোপকে সাথে নিয়ে ৭৬ রান সংগ্রহ করেন লুইস। হোপকে (২৩) ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন সাকিব। দ্রুতই ফিরে যান কেমো পল। তাকে ফেরান মুস্তাফিজ। এরপর ৯ দশমিক ২ ওভারে দলীয় ১২২ রানে লুইসকে ফেরান রিয়াদ। পরের বলেই শিমরন হেটমেয়ারকে ফিরিয়ে দেন সাইল্যান্ট কিলারখ্যাত রিয়াদ।
রভমন পাওয়েলকে (১৯) ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দেন এ ডানহাতি স্পিনার। এরপর নিকোলাস পুরানকে (২৯) আউট করে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান মুস্তাফিজ।
বাংলাদেশের পক্ষে রিয়াদ ৩ ওভার ২ বলে ১৮ রান দিয়ে ৩টি, সাকিব ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৩টি এবং মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ৩৩ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, প্রথম ম্যাচে সিলেটে বাজেভাবে হারার পর ঢাকায় দ্বিতীয় ম্যাচে জিতেছিল বাংলাদেশ।