বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ ও এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতারের কাছে ২-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয় বাংলাদেশ।
ফরোয়ার্ড ইউসুফ আব্দুরিসাগ এবং মিডফিল্ডার করিম বাউদিয়াফ কাতারের পক্ষে গোল দুটি করেন।
বৃষ্টির দিনে ঘরের মাঠে খেলার প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে বাংলাদেশ। তবে ভালো ফিনিশারের অভাবে বল প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে পায়নি।
ম্যাচের ৮ম মিনিটে অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া খুব কাছ থেকে গোল করার সুযোগ পান। কিন্তু তার শট বাম পাশের পোস্ট ঘেঁষে চলে যায়।
২৭তম মিনিটে কাতারের পক্ষে প্রথম গোলটি করেন ফরোয়ার্ড ইউসুফ। ডান প্রান্ত থেকে সতীর্থ আল মইজ আলীর বাড়ানো বল জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করতে কোনো ভুল করেননি তিনি।
বাংলাদেশ প্রতি আক্রমণে খেলায় সমতা ফেরাতে পারতো। কিন্তু সব চেষ্টা বৃথা যায়। ৪২তম মিনিটে ফের গোলের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। তবে দুর্ভাগ্যবশত মিডফিল্ডার বিপলু আহমেদ এবং ডিফেন্ডার রহমত মিয়া কাতারের ডিফেন্সের কাছে গোল করতে ব্যর্থ হন।
দ্বিতীয়ার্ধেও বাংলাদেশ আক্রমণাত্মক খেলা অব্যাহত রাখে এবং বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করে। কিন্তু গোল করতে পারেননি লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। উল্টো অতিরিক্ত সময়ে (৯২তম মিনিট) গোল খেয়ে বসে বাংলাদেশ। গোল করেন করিম।
এর আগের তিনবারের দেখায় বাংলাদেশ কাতারের বিপক্ষে দুইবার পরাজিত হয়। ২০০৬ সালে এএফসি এশিয়ান কাপে ১-৪ এবং ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। ১৯৭৯ সালে এশিয়ান কাপের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়।
আগামী ১৫ অক্টোবর কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ অ্যাওয়ে ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে।
বাংলাদেশ তাদের প্রথম ম্যাচে গত ১০ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১-০ গোলে হারে। এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশের সাথে ‘ই’ গ্রুপে রয়েছে কাতার, ওমান, ভারত ও আফগানিস্তান।
বাংলাদেশ তাদের পরবর্তী ম্যাচে আগামী ১৪ নভেম্বর ওমানে স্বাগতিকদের বিপক্ষে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগামী বছরের ২৬ মার্চ ঘরের মাঠে, কাতারের বিপক্ষে তাদের মাঠে ৩১ মার্চ, ৪ জুন নিজেদের মাঠে ভারতের বিপক্ষে এবং ৯ জুন ওমানের বিপক্ষে খেলবে।