কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি। ৯ ম্যাচের মধ্যে ৩টিতে জয় এবং ১টি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়ায় পয়েন্ট টেবিলে ৮ম স্থানে থেকেই শেষ হয় বিশ্বকাপ মিশন।
রবিবার দেশে ফিরেছেন ক্রিকেটাররা। দেশে ফিরেই ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারার দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়েছেন টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে আমি দায় নিচ্ছি। বিশ্বকাপের প্রত্যাশা পূরণে আমি ব্যর্থ হয়েছি।’
বিকাল ৫টা ১৮ মিনিটে টাইগারদের বহনকারী ইমিরেটস ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করে। সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং লিটন দাস ব্যক্তিগত কারণে দলের সাথে দেশে ফেরেননি।
বিশ্বকাপে টাইগারদের হয়ে ধারাবাহিক পারফর্ম করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। রেকর্ড ৭টি পঞ্চাশোর্ধ রান করে শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ড স্পর্শ করেন তিনি। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে এই রেকর্ড গড়েছিলেন ভারতের লিটল মাস্টার।
একই সাথে শচীন এবং অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু হেইডেনের পর তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এক বিশ্বকাপে ৬০০ এর বেশি রান করেন সাকিব।
পাশাপাশি ১১টি উইকেটও শিকার করেন এ বামহাতি অলরাউন্ডার। ইতিহাসের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ৫০০ এর বেশি রান এবং ১০টিরও বেশি উইকেট শিকারের গৌরব অর্জন করেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি২০ অধিনায়ক সাকিব।
মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মাদ সাঈফউদ্দিন ও মুস্তাফিজুর রহমান ভালো করলেও তা এই বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
মুস্তাফিজ ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে ৫টি করে উইকেট শিকার করেন। বিশ্বকাপে তার মোট উইকেট ২০টি। এক বিশ্বকাপে ২০ উইকেট শিকারি তিনিই একমাত্র বাংলাদেশি বোলার।
বাংলাদেশের হয়ে তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার এবং মাশরাফির পারফরম্যান্স ছিল খুবই বাজে। মাশরাফি ৫৬ ওভারে ৩৬১ রান খরচায় শিকার করেছেন মাত্র ১টি উইকেট। বিশ্বকাপের ইতিহাসে যা খুবই বাজে। তামিম ২৯.৩৭ গড়ে করেছেন মাত্র ২৩৫ রান। ১টি অর্ধশতক রয়েছে।
অন্যদিকে সৌম্য সরকার ৮ ম্যাচে একটি অর্ধশতকও করতে পারেননি। তিনি করেছেন ১৬৬ রান। ইনজুরির সাথে লড়াই করা আরেক সিনিয়র ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পারফরম্যান্সও সন্তোষজনক ছিল না।