লন্ডনের কেনিংটন ওভালে ইংল্যান্ডের দেয়া ৩১২ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৩৯.৫ ওভারে ২০৭ রানেই গুটিয়ে যায় প্রোটিয়ারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে কুইনটন ডিকক সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন। এছাড়া ভ্যান ডার ডুসেন করেন ৫০ রান।
ইংল্যান্ডের হয়ে জোফরা আর্চার ৩, স্টোকস ও লিয়াম প্লাঙ্কেট ২টি করে এবং মঈন আলী ও আদিল রশিদ ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
৩১২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে প্রোটিয়ারা। হাশিম আমলা আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন।
তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলার চেষ্টা করেন ডিকক। দলীয় ১২৯ রানে তাকে ফিরিয়ে উল্লাসে মাতে স্বাগতিকরা।
ডিকক ফিরে গেলে স্কোরবোর্ডে সম্মানজনক রান যোগ করার চেষ্টা করেন ডুসেন। তুলে নেন অর্ধশতক। তবে তার রান কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে।
ডুসেন ফিরে গেলে মাঠে নামেন আমলা। তবে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তিনি। মাত্র ১৩ রান করে ফিরে যান আমলা।
এর আগে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩১১ রান করে স্বাগতিকরা।
দলের পক্ষে অলরাউন্ডার বেন স্টোকস সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন। এছাড়া অধিনায়ক মর্গান ৫৭, ওপেনার জেসন রয় ৫৪ এবং জো রুট ৫১ রান করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে লুঙ্গি এনগিদি ৩টি, ইমরান তাহির ও কাঙ্গিসো রাবাদা ২টি করে এবং ফেলুকাও ১টি উইকেট লাভ করেন।
এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। ব্যক্তিগত রানের খাতা খোলার আগেই দলীয় ১ রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার জনি বেয়ারস্টো। ইমরান তাহিরের শিকার হন তিনি।
শুরুর এ ধাক্কা সামাল দিয়ে স্কোরবোর্ডে দ্রুত রান তুলতে থাকেন জেসন রয় ও জো রুট। তাদের জুটিতে আসে ১৮.২ ওভারে ১০৬ রান। ফেলুকাও ভয়ংকর হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙেন রয়কে ফিরিয়ে। রয়ের পর দ্রুতই সাজঘরের পথ ধরেন রুট। রাবাদার বলে ডুমিনির হাতে ধরা পড়েন তিনি।
দ্রুত দুই উইকেট হারানো ইংল্যান্ডকে আবারও খেলায় ফেরান অধিনায়ক মর্গান ও বেন স্টোকস। তাদের জুটিতে আসে ১০৬ রান। মর্গানকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন ইমরান তাহির। এরপর বাটলার, মঈন আলী ও ক্রিস ওকসকে সাথে নিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩০০ রান জমা করেন স্টোকস।
অলরাউন্ড নৈপুণ্যের কারণে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান স্টোকস।