মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনের খেলায় আগের দিনের ২৬ রানের সাথে ১৪৩ রান যোগ করতেই ১০ ইউকেট হারিয়ে ১৬৯ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
এর আগে তৃতীয় দিনের শেষ বিকালে ব্যাটিংয়ে নেমে অপরাজিত থাকা লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভালোই করেছিল। কিন্তু লিটনের আউটের পর আর কেউ থিতু হতে না পারায় ১৫১ রানের বড় ব্যবধানে হারের লজ্জা পেতে হয় তাদের।
আজ দিনের প্রথম সেশনেই টাইগাররা হারায় পাঁচ উইকেট। লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার পূর্বে লিটন, মুমিনুল, ইমরুল, মাহমুদুল্লাহ ও নাজমুল হোসেনের মতো টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। পরে সেই বিপর্যয় আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা।
লিটন দাসকে এলবিডব্লিউ করে বাংলাদেশ শিবিরে প্রথম আঘাত হানে জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা। তার অফ স্পিন বলের লেংথ বুঝতে ভুল করলে লাইন মিস করে প্যাডে লাগে লিটনের। শুরুতে অ্যাম্পায়ার আউট না দিলেও জিম্বাবুয়ের রিভিউয়ে ২৩ রানেই ফিরতে হয় লিটনকে।
লিটনের পর ক্রিজে নামা মুমিনুল ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়ে আবারো দলকে হতাশায় ডুবিয়ে ৯ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরে। কাইল জার্ভিসের বলে বাজেশট খেলতে গিয়ে আউট হন তিনি।
এদিকে পরপর দুই উইকেট হারালেও আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েস ভালোই খেলছিলেন। কিন্তু ৪৩ রান করা এই ব্যাটসম্যান হঠাৎ সিকান্দার রাজার করা বল সুইপ খেলতে যেয়ে বোল্ড হয়ে যান।
ক্রিজে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী তখন তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু দলের অন্যতম ধৈর্য্যশীল ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ভালো করতে পারলেন না। ৪৫ বলে ১৬ রান করে সেই রাজার বলেই কুপোকাত হলেন তিনি।
১১১ রানে লাঞ্চ বিরতি যাওয়ার পূর্বে জিম্বাবুয়ে সর্বশেষ আঘাত আনে নাজমুল হোসেন শান্তর ওপর। নির্বাচকরা যে আস্থা নিয়ে তাকে বার বার দলে সুযোগ দিচ্ছেন সে আস্থার যোগ্য প্রতিদান দিতে আবারও ব্যর্থ হলেন প্রতিভাবান এই ব্যাটসম্যান।
লাঞ্চ বিরতি শেষে মাঠে ফিরে আবারো সেই বিপর্যয়। একে একে আউট হন মুশফিকুর রহিম (১৩), মেহেদী হাসান মিরাজ (৭), তাইজুল ইসলাম (০), নাজমুল ইসলাম অপু (০) ও আরিফুল হক (৩৮) । ফলে পাঁচদিনের ম্যাচটা শেষ হয় চারদিনেই।
জিম্বাবুয়ের হয়ে মাভুটা চারটি এবং সিকান্দা রাজা তিনটি উইকেট নেন। এছাড়াও ওয়েলিংটন দুটি এবং জার্ভিস একটি উইকেটন লাভ করেন। ম্যান অব দ্যা ম্যাস হয়েছেন জিম্বাবুয়ের শন উইলিয়ামস।