টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার রোহিত শর্মার দুর্দান্ত সেঞ্চুরি এবং অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের অর্ধশতকে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৬ রান করে ভারত।
শর্মা ১১৩ বলে ৩টি ছক্কা ও ১৪টি চারের সাহায্যে ১৪০, কোহলি ৬৫ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৭৭ এবং রাহুল ৭৮ বলে ২টি ছক্কা ও ৩টি চারে ৫৭ রান করেন।
পাকিস্তানের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে মিতব্যায়ী ছিলেন মোহাম্মদ আমির। তিনি ১০ ওভারে ৪৭ রান খরচায় ৩টি উইকেট শিকার করেন। ১টি করে উইকেট লাভ করেন হাসান আলী ও ওয়াহাব রিয়াজ।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই যেন টান টান উত্তেজনা। দুদলের কেউ ভালো ফর্মে থাকুক বা না থাকুক, তাদের মধ্যকার ম্যাচের আগেই অনলাইন আর অফলাইনে ছড়িয়ে যায় উত্তেজনা।
আজকের ম্যাচটির আগে তিন ম্যাচ খেলা ভারত দুটিতে জয় পেয়েছে এবং অপর ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছে। তাই বলতে গেলে অপরাজিত থেকেই পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে তারা।
অপরদিকে, চার ম্যাচের মাত্র একটিতে জয় নিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান। তাদের দুই হারের পাশাপাশি একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেছে।
অতীতের ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিশ্বকাপে ভারতকে কখনো হারাতে পারেনি পাকিস্তান। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এ আসরে ছয়বারের মুখোমুখিতে প্রতিবার জয় পেয়েছে ভারত। তাই এবার জয় পেতে মরিয়া থাকবে সরফরাজ আহমেদের দল।
ওল্ড ট্রাফোর্ডের যে ভেন্যুতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১৯৯৯ সালের ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে এ ভেন্যুতেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৭ রানের জয় পেয়েছিল ভারত। তবে অতীত ফলাফল বা পরিসংখ্যান যাই থাকুক না কেন পাকিস্তান আত্মবিশ্বাস পেতে পারে সর্বশেষ অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল থেকে। কারণ সে ফাইনালেই ফখর জামানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান।
প্রসঙ্গত, একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে এ পর্যন্ত ১৩১ বার দুদল মুখোমুখি হয়েছে। এতে পাকিস্তান ৭৩টি এবং ভারত ৫৪টি জয় পায়। বাকি চার ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।