২০১৮ সালে অভিষেকের পর থেকে টেস্টে ভালো সময় পার করছেন ডানহাতি এ পেসার।
মহামারির ফলে রাহি এখন সিলেটে নিজ বাসায় সময় পার করছেন। যেহেতু এখন দলীয়ভাবে প্রশিক্ষণের কোনো সুযোগ নেই, তাই বাড়িতেই নিজেকে প্রশিক্ষণে ব্যস্ত রাখছেন তিনি।
রাহি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমি বাড়িতে নিজেকে প্রশিক্ষণে ব্যস্ত রাখছি এবং পরিবারের সাথে সময় কাটাচ্ছি। তবে একজন পেস বোলার হিসেবে আমার আরও ফিটনেস অর্জন করা দরকার, যা বাড়িতে বসে সম্ভব নয়। কিন্তু ফিটনেস ভালো রাখার জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’
‘পেশাদার ক্রিকেট খেলতে যাওয়ার আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো নেটে দীর্ঘ সময় ব্যয় করা। এটি সত্য যে আমরা যেকোনো সময় খেলার জন্য ফিট থাকতে কঠোর পরিশ্রম করছি, তবে বোলিংয়ে ফিটনেসের বিষয়টি ভিন্ন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, স্পট বোলিং অনুশীলন একজন পেসারের জন্য দীর্ঘ বিরতির পর মাঠে নামার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়,’ যোগ করেন ২৬ বছর বয়সী এ পেসার।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বলছে, তারা শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম এবং সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অনুশীলন সুবিধা প্রস্তুত করার কথা ভাবছে। সিলেটে নেট বোলিংয়ের সুযোগ পেলে নিজের পক্ষে ভালো হবে বলে জানান রাহি।
এ পেসার ইউএনবিকে বলেন, ‘ঈদের পর আমি সিলেট স্টেডিয়ামে যেতে চেয়েছিলাম, তবে বিভাগীয় কোচ আমাকে আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন। বিসিবি ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার জন্য উদ্যোগ নিতে পারে। বিসিবি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও আমিও জেনেছি। আমি মনে করি, বোলিংয়ের জন্য নেট পেলে এটি আমাকে অনেক সাহায্য করবে। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া থেকে নিরাপদ থাকতে আমাদের যোগাযোগকে সীমিত করতে হবে- সেটিও বুঝি।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বল চকচক করতে লালা বা ঘাম ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছে আইসিসি। রাহি বলেন, এটি বোলারদের জন্য কঠিন হবে। তবে তিনি পরিবর্তনটি মেনে নিয়েছেন।
এ পেসার এখন পর্যন্ত নয়টি টেস্টে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং ৩২.৪৫ গড় নিয়ে ২৪ উইকেট সংগ্রহ করেছেন। তিনি দুটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টিও খেলেছেন এবং যথাক্রমে পাঁচ ও চারটি করে উইকেট শিকার করেছেন। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে নিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পাঁচটি উইকেট পেয়েছিলেন রাহি।