ইংল্যান্ডের দেয়া ২৪২ রানের পাহাড়সম টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৯ বল বাকি থাকতেই ১৬৫ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
শুক্রবার নেপিয়ারে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। সিরিজ বাঁচাতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না সফরকারীদের সামনে। শুরুটা ধীর গতির হলেও ধীরে ধীরে বিস্ফোরক ব্যাটিং উপহার দিতে থাকেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের ওপর রীতিমতো স্টিম রোলার চালিয়েছেন ইংল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যান ডেভিড মালান এবং এয়ন মর্গান।
এই দুই ব্যাটসম্যানের অতি দানবীয় ব্যাটিং তাণ্ডবে নিউজিল্যান্ডের সামনে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান দাঁড় করায় সফরকারীরা।
ডেভিড মালান ৫১ বলে ৬টি ছক্কা ও ৯টি চারের সাহায্যে ১০৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। মর্গান ছিলেন আরও ভয়ংকর। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৯ রান দূরে থাকতে সাজঘরে ফেরেন ইংলিশ অধিনায়ক।
মাত্র ৪১ বলে ৭টি বিশাল ছক্কা ও সমান চারে খেলেন ৯১ রানের ইনিংস। এছাড়া ওপেনার বেন্টন ২০ বলে ১টি ছক্কা ও ৪টি চারে ৩১ রানের ইনিংস উপহার দেন।
কিউইদের পক্ষে মিচেল স্যান্টনার ২টি এবং টিম সাউদি ১টি উইকেট লাভ করেন।
জবাব দিতে নেমে নিউজিল্যান্ডের শুরুটাও ছিল দুর্দান্ত। মাত্র ৪.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫৪ রান জমা করে স্বাগতিকরা। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলে রানের পাহাড়ে চাপা পড়তে হয় তাদের।
শেষ পর্যন্ত ১৬৫ রানেই গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। অধিনায়ক সাউদি মাত্র ১৫ বলে ৪টি ছক্কা ও ২টি চারে সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন। তবে তার ইনিংসটি পরাজয়ের ব্যবধানই শুধু কমিয়েছে। এছাড়া কলিন মানরো ২১ বলে ৩০, মার্টিন গাপটিল ১৪ বলে ২৭ রান করেন।
ইংলিশদের পক্ষে ম্যাট পারকিনসন ৪ ওভারে ৪৭ রান খরচায় ৪টি উইকেট লাভ করেন। এছাড়া ক্রিস জর্ডান ২টি এবং স্যাম কারেন, টম কারেন ও পেট ব্রাউন প্রত্যেকেই ১টি করে উইকেট শিকার করেন।