মঙ্গলবার রাতে শক্তিশালী পোল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ১৬ বছর পর বিশ্বকাপ খেলতে আসা সেনেগাল আবারো চমক দেখালো।
এর আগে ২০০২ সালের আসরে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পায় আফ্রিকার এই দেশটি। ওই টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচেই শক্তিশালী ফ্রান্সকে হারিয়ে এবং ডেনমার্ক ও উরুগুয়ের সাথে ড্র করে নক আউট পর্বে জায়গা করে নেয় সেনেগাল।
নক আউট পর্বে সুইডেনকে হারিয়ে প্রথমবারেই কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পায় দেশটি। তবে সেখানে তুরস্কের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয় সেনেগালকে।
১৬ বছর পর রাশিয়া বিশ্বকাপে আবারো চমক দেখালো আফ্রিকার এই দেশটি। ওই অঞ্চল থেকে খেলতে আসা অন্য দল মিশর, মরক্কো, নাইজেরিয়া ও তিউনিশিয়া প্রথম রাউন্ডে প্রথম ম্যাচে হারলেও পোল্যান্ডকে হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে সেনেগাল।
এদিকে সেনেগালের জয়ের রাতে আরেক ম্যাচে স্বাগতিক রাশিয়ার কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে মিশর।
১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপে আফ্রিকার একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেয় জায়ার। ওই বিশ্বকাপে তিন ম্যাচেই হারা জায়ার ১৪টি গোল হজম করে।
সেসময় থেকেই আফ্রিকার কোনো দল নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে জয় বা ড্রয়ের মুখ দেখেনি।
১৯৯৮ সালে টুর্নামেন্ট ৩২ দলের আয়োজনে করা হয়। প্রথম রাউন্ডে আফ্রিকার সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স ছিল ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ। ওই টুর্নামেন্টে আইভরি কোস্ট, টোগো, ঘানা এবং অ্যাঙ্গলা তাদের প্রথম ম্যাচে হার দিয়ে শুরু করে। তবে তিউনিশিয়া সৌদি আরবের সাথে ২-২ গোলে ড্র করেছিল।
এবারের বিশ্বকাপে আফ্রিকা মহাদেশের ৫টি দেশের মধ্যে সেনেগাল ছাড়া আর কোনো দলই প্রথম ম্যাচে নিজেদের দলের যোগ্যতায় গোল পায়নি। তিউনিশিয়া যে ম্যাচে ইংল্যান্ডের সাথে ২-১ গোলে হারে সেই গোলটি এসেছিল পেনাল্টি থেকে।
এছাড়া মোহাম্মদ সালাহ রাশিয়ার বিপক্ষে ফিরলেও তাকে স্বরূপে দেখা যায়নি। তিনিও স্পট কিক থেকে গোল করেন।
এবারের আসরে একমাত্র আফ্রিকান যিনি প্রথম ম্যাচে গোল করেছেন তিনি হলেন সেনেগালের এম’বায়ে নিয়াং। অন্য একটি গোল হয় আত্মঘাতী।
এদিকে সেনেগাল তাদের পরবর্তী ম্যাচগুলোতে জাপান এবং বেলজিয়ামের মুখোমুখি হবে।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আফ্রিকার মান বাঁচানো নিয়াং বলেন, ‘আমরা জানি আফ্রিকা আমাদের সমর্থন করে। যদি আমরা অন্যান্য সমস্ত আফ্রিকান রাষ্ট্রকে গর্বিত করে তুলতে পারি, তাহলে সেটা হবে গৌরবজ্জ্বল।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আমাদের যাত্রা সম্পর্কে চিন্তা করছি, আমাদের নিজেদের গল্প লিখতে চেষ্টা করছি কিন্তু আমরা যদি অন্যদের অনুপ্রাণিত করতে পারি সেটা হবে আমাদের জন্য এক মহান সম্মান।’