এর অংশ হিসেবে মেলার সবচেয়ে বড় আয়োজন আন্তর্জাতিক চারুকলা প্রদর্শনী এবং আন্তর্জাতিক আর্ট ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সুলতান ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক মুন্সী হাফিজুর রহমান শনিবার এর উদ্বোধন করেন।
এই চিত্র প্রদর্শনী আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এতে বাংলাদেশ, ইউএসএ, জিম্বাবুয়ে, ভারতসহ মোট ১১টি দেশের ১৫০টি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে জিম্বাবুয়ে, ভারত ও বাংলাদেশি মোট ২০ জন নবীন-প্রবীণ শিল্পীদের উপস্থিতিতে সুলতান মঞ্চ মুখর হয়ে ওঠে।
এ সময় আন্তর্জাতিক চারুকলা প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে সাতজন শিল্পীকে পুরস্কার দেয়া হয়। তারা হলেন- বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চিত্র শিল্পী মাহফুজা বিউটি, ইলিয়াস হোসেন, নবরাজ রায়, শারমিলা কাদের এবং ভারতের শিল্পী শ্যামলী কর্মকার, সুপ্তি রায় ও রুপালি রায়। এছাড়া জিম্বাবুয়ে থেকে আগত চিত্রশিল্পী হাজভিনাই ব্রিজেট মুতাসাকে বিশেষ সুলতান সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সুলতান মঞ্চের পাশে ভিক্টোরিয়া কলেজের দর্শন বিভাগের হলরুমে চলছে এই প্রদর্শনী। গ্যালারিতে স্থান পেয়েছে সদ্য আমেরিকা থেকে একক চিত্র প্রদর্শনী শেষ করে আসা শিল্পী মাহফুজা বিউটির আঁকা ‘ইম্পিডিমেন্ট’ ছবির রেপ্লিকা।
তিনি বলেন,‘বিশ্ব বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের নাম আজ বিশ্ববুকে বহুল প্রচারিত ও প্রতিষ্ঠিত। আমি এমন মহান চিত্রশিল্পীর জন্মভূমিতে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। সুলতানকে নড়াইলের মানুষ দেবতাতুল্য মনে করে বলে এখানে এসে আমার বিশ্বাস হয়েছে ।’
ভারত থেকে আসা চিত্রশিল্পী রাজশ্রী চট্টপাধ্যায় ও রুপালি রায় বলেন, ‘এস এম সুলতানের জন্মভূমিতে আসতে পেরে আমরা ধন্য হলাম। শিল্পীর নামে এত বড় উৎসবে ছবি প্রদর্শনী করতে পারাটা ভাগ্যের ব্যাপার। তার শিল্পকর্ম আমাদের উজ্জ্বীবিত করে মানুষ ও তার কঠিন বাস্তবতা নিয়ে ভাবতে শেখায়।’
সুলতান মেলার আন্তর্জাতিক চারুকলা প্রদর্শনী ও আর্ট ক্যাম্পের সদস্য সচীব চিত্রশিল্পী সমির কুমার বৈরাগী বলেন, ‘এতগুলো দেশি-বিদেশি চিত্রকরের অংশগ্রহণে ঢাকার বাইরে বড় পরিসরে আন্তর্জাতিক চারুকলা প্রদর্শনী বিস্ময়কর। এটা আমাদের তথা নড়াইলবাসীকে গর্বিত করেছে।’
সব মিলিয়ে গোটা সুলতান মঞ্চ প্রাঙ্গণে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।