বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রদর্শনীর প্রতিটি ছবির মধ্যে রয়েছে শত শত গল্প। আলোকচিত্রের পাশাপাশি আমাদের চলচ্চিত্র নির্মাতাদেরকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের অনুরোধ জানাই।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, এটা মানবতা, সভ্যতা ও সুন্দর পৃথিবী সকলের সমস্যা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ড্রামা থেরাপি আয়োজন করেছে যেখানে ট্রমাটাইজ শিশুদের সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।’
আলোকচিত্রী কেএম আসাদ, মোহাম্মদ হোসেইন অপু, সুমন পাল ও সালাউদ্দিন আহমেদের ২০১২ সাল থেকে তোলা ৫৭টি এবং বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গা বিষয়ক মোট ১২০টি ছবি নিয়ে প্রদর্শনীটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
২ থেকে ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ভবনের ১নং গ্যালারিতে ভোরের কাগজ, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সাত দিনব্যাপী ‘ফ্ল্যাশ অন রোহিঙ্গা জেনোসাইট’ আলোকচিত্র প্রদর্শনীটি চলবে।