কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে- গ্রীক থিয়েটারের আদলে একটি দৃষ্টিনন্দন মঞ্চ, এমফি থিয়েটার, দ্বিতল ভবন বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন ক্যাফেটয়িা, লাইব্রেরি কাম ডকুমেন্টেশন সেন্টার, দ্বিতল ভবন বিশিষ্ট অত্যাধুনিক গেস্টহাউজ, টয়লেট, আনছার শেড ও গ্যারেজ।
এছাড়াও প্রবেশ মুখে থাকছে কুঠিবাড়ির আদলে অত্যাধুনিক গেইট এবং টিকেট কাউন্টার।
‘ইতিমধ্যে ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে’ জানিয়ে কুঠিবাড়ির কাস্টোডিয়ান মুখলেছুর রহমান বলেন, ‘আশা করা হচ্ছে ২০২০ সালে ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে।’
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, আমি কয়েকবার কাজ পরিদর্শন করেছি। আশপাশের মানুষের সাথে কথা বলেছি। সবাই বলেছে খুব সুন্দর কাজ হচ্ছে এবং কাজের গুণাগত মানও অনেক ভাল।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের মার্চে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি শিলাইদহ সফরে এসে কুঠিবাড়ির নানা সমস্যা অনুধাবন করে কমপ্লেক্স নির্মানে অর্থায়ন করার ইচ্ছে পোষণ করেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০১৫ সালের ৭ জুন প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দু’বছর পর ২০১৭ সালের ৬ মে কুঠিবাড়ির বকুল তলায় দু’দেশের মধ্যে এ বিষয়ক একটি আর্থিক চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশে নিযুক্ত তৎকালীন ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ভারত সরকারের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
কুঠিবাড়ির প্রধান ফটকের সামনে দীর্ঘদিন অন্যের দখলে থাকা ৬ একর জমি উদ্ধার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সেখানেই নির্মিত হচ্ছে এই কমপ্লেক্স ভবন। কমপ্লেক্সের ডিজাইন করেছেন দেশের খ্যাতনামা স্থপতি রবিউল হুসাইন।