পোল্যান্ডে চলমান ২৪তম জলবায়ু সম্মেলনের (কপ-২৪) উচ্চস্তরের বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী বলেন, ‘প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য বাংলদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো উন্নত দেশগুলোকে চাপের মুখে রেখেছে। সম্মেলনের শেষ তিন দিন মূলত উচ্চস্তরের বৈঠকে আমরা আলোচনা চালিয়ে যাবো।’
তিনি বলেন, প্যারিস চুক্তিতে ১৯৬টি দেশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে এবং অনুস্বাক্ষর করেছে ১৬৮টি দেশ। এটি কিভাবে কার্যকর হবে সেজন্য নির্দেশনা ও নিয়ম তৈরিই মূলত এবারের সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য। এছাড়াও বৈঠকে আলোচিত অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে ভবিষ্যতে জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদানের (এনডিসি) রূপরেখা, অভিযোজন, ক্ষয়ক্ষতি, জলবায়ুর কারণে স্থানচ্যুতি, অর্থ, প্রযুক্তি কাঠামো, স্বচ্ছতা কাঠামো বিষয় অন্যতম।
মোহসিন আশা করেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করার জন্য বিশ্ব-জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা ও ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য কপ ২৪ সম্মেলনে কিছু নিয়ম বা নির্দেশিকা তৈরি করা হবে।
সোমবারের কপ-২৪ এর বৈঠকে বক্তারা গুরুত্বারোপ করে বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি আগামীতে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে হলে ধনী দেশগুলোকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের অসহায়ত্ব ও বাঁচার কৌশল কার্যকর করতে হলে ‘প্যারিস রুল বুক’ (প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে প্রস্তাবিত শর্তসমূহ)-তে অবশ্যই সর্বাধিক বিপদাপন্ন দেশগুলোর স্বার্থ উল্লিখিত থাকতে হবে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে ধনী দেশগুলোকেই নেতৃত্ব দিতে হবে।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে ঝুঁকি প্রশমনে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয় এ সম্মেলনে।
১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান কপ-২৪ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও সচিবসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন।