তিনি বলেন, ‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, সিভিল সোসাইটি, নগর পরিকল্পনাবিদ, পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধি নিয়ে একটি কমিটি করা হবে। সে কমিটির সুপারিশে এই রেয়াত দেয়া হবে।’
মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুরে ডিএনসিসির ওয়ার্ডগুলোতে এক লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে মেয়র এ কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরকে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই। প্রত্যেক পাড়া-মহল্লা, ক্লাব, স্কুল কলেজের আশেপাশে যেসব গাছ লাগানো হবে, আমরা প্রত্যেকে ৫টি করে গাছের রক্ষণাবেক্ষণ করলে ‘বিপ্লব’ ঘটে যাবে।
মেয়র বলেন, ‘সবুজায়নের জন্য আমরা একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছি। এই প্রকল্পে সবুজায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ও সামাজিক সংগঠনসমূহকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই কমিটি নির্ধারণ করবে কোথায় কী পরিমাণ ও কোন কোন গাছ আছে, আর কী পরিমাণ ও কোন কোন গাছ লাগাতে হবে।’
রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১ সেপ্টেম্বর থেকে অনুষ্ঠেয় চিরুনি অভিযান সম্পর্কে মেয়র বলেন, ‘চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে যেভাবে ডেঙ্গু প্রতিহত করেছি, একইভাবে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য চিরুনি অভিযান শুরু হবে। যারা হোল্ডিং ট্যাক্স দেন না তাদেরকে অবশ্যই ট্যাক্সের আওতায় আসতে হবে। তবে কারো ট্যাক্স বাড়ানো হবে না, কেবল ট্যাক্সের পরিধি বাড়ানো হবে।’
নগরবাসীকে সুনাগরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘কালশী খাল থেকে বিপুল পরিমান ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত আসবাবপত্র ইত্যাদি পাওয়া যায়। এটা হতে দেয়া যায় না। ঢাকা শহরকে সুন্দর করে সাজাতে হবে। এজন্য সকলকে কাজ করতে হবে।’
অনুষ্ঠান শেষে মেয়র মুকুল ফৌজ মাঠে কয়েকটি গাছের চারা রোপন করেন।
ডিএনসিসির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিকের সভাপতিত্বে সভায় ডিএনসিসির পরিবেশ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমায়ুন রশীদ জনি, ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুরাদ হোসেন, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম মোল্লা, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাসুম গণি তাপস, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শরিফ জামাল, নাগরিক ঢাকা নামক সংগঠনের সভাপতি এম নাঈম হোসেন প্রমখ উপস্থিত ছিলেন। এ
এছাড়া কৃষি বিষয়ক গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ অনলাইনে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।