তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির অবদান অনস্বীকার্য। খালেদা-নিজামী সরকারের সময়ে সারের জন্য এ দেশে কৃষককে প্রাণ দিতে হয়েছিল। সেখানে আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি নির্ভর দেশে কৃষি বিপ্লব ঘটিয়েছেন। কৃষি ও কৃষকবান্ধব বর্তমান সরকার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিকে গুরুত্ব দিয়ে কৃষি উপকরণ কৃষকদের নিকট সহজলভ্য করেছে।’
বৃহস্পতিবার পঞ্চগড়ে সারের বাফার গুদাম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, জনবান্ধব, কৃষিবান্ধব বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে ইউরিয়া সার সরবরাহ ও নিরাপদ মজুদ নিশ্চিতকরণে করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) ১৩টি নতুন সারের বাফার গোডাউন নির্মাণ করছে। এর মধ্যে পঞ্চগড়ে একটি।
নূরুল মজিদ বলেন, চিনিকলগুলো বন্ধ কিংবা শ্রমিক ছাঁটাই করা হবে না। বরং চিনিকলগুলোকে আধুনিকায়ন ও বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করে এগুলোকে লাভজনক করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। নতুন নতুন কৃষিভিত্তিক কলকারখানা স্থাপন করা হবে। এতে কেউ কর্মহীন হবে না। এতে কর্মসংস্থান বাড়বে।
তিনি বলেন, ‘খালেদা-নিজামীসহ মিলিটারি সরকারগুলো শিল্প-কলকারখানাগুলোতে লুটপাট করে গেছে। কলকারখানাগুলোকে পথে বসিয়েছে। চিনিকলগুলোকেও অকেজো করে লোকসানে ফেলেছে। তারা শুধু নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছে, জনগণের কোনো পরিবর্তন করেনি। আমাদের সরকার চিনিকলগুলোকে অ্যাগ্রোবেজড কারখানায় গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আধুনিকীকরণ করছে। নতুন নতুন শিল্পকলকারখানা গড়ে তুলছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার জনবান্ধব সরকার। আমরা সব মানুষের চিন্তা করি, তৃণমূলের চিন্তা করি, কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের চিন্তা করি, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাদের দিকে লক্ষ্য করেই কাজ করে যাচ্ছি। এসব সেক্টরকে কীভাবে আরও উন্নত করা যায়, আয় বাড়ানো যায় এ জন্য আমরা দেশে বিদেশে যোগাযোগ করছি।’
‘আমাদের জাতির কাছে যে অঙ্গিকার ছিল, আমাদের নির্বাচনী যে অঙ্গিকার ছিল তা পূরণ করে চলেছি। আমাদের সরকার প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে- কৃষি, বিদ্যুৎ, সার, রাস্তা-ঘাট, শিল্পে সমান গতিতে উন্নয়ন করে যাচ্ছে,’ বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন জানান, আগামী ১৫ অক্টোবর পঞ্চগড়-রাজশাহী রুটে নতুন ট্রেন চালু হবে। এটা এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল।
নতুন নতুন শিল্প গড়ে তোলার বিকল্প নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কৃষিকে টেকসই করতে হলে কৃষি শিল্পকে সমৃদ্ধ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মজাহারুল হক প্রধান, বিসিআইসি চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বিসিআইসির তত্ত্বাবধানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেনা কল্যাণ সংস্থা গুদামটি নির্মাণ করেছে। প্রায় চার একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত গুদামটি নির্মাণে ২৭ কোটি ৪৯ লাখ ৫৩ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।