সকাল ৮টা ৪৭ মিনিটে ১২২ স্কোর নিয়ে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ঢাকার অবস্থান ছিল ৩৬তম। তবে অবস্থার উন্নতি হলেও, বাতাসের মান এখনও ‘অস্বাস্থ্যকর’।
এদিন একিউআই সূচকে ৩৭৬ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি। আর ৩১৪ স্কোর নিয়ে মঙ্গোলিয়ার উলানবাটর এবং ২৭২ স্কোর নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা ছিল যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে।
একিউআই মান ২০১ থেকে ৩০০ হলে, স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসাবে বিবেচিত হয়। যার কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে নগরবাসী।
এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ্য রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
একিউআই সূচকে ৫০ এর নিচে স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান ভালো। সূচকে ৫১ থেকে ১০০ স্কোরের মধ্যে থাকলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেয়া হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর পাওয়ার অর্থ হচ্ছে বাতাসের মান দূষিত। আর মান ২০১ থেকে ৩০০ হলে মানুষ লক্ষণীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এ সময় মানুষকে বাড়ির ভেতরে থাকতে ও তাদের কার্যক্রম সীমিত রাখার পরামর্শ দেয়া হয়।
মাত্রাতিরিক্ত মানুষের বসবাসের নগরী ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বাতাসে দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। বর্ষাকালে কিছুটা উন্নতি হতে দেখা গেলেও গ্রীষ্ম ও শীকতালে শহরটিতে বায়ু দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়।
প্রসঙ্গত, একটি নির্দিষ্ট শহরের প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে একিউআই সূচক তৈরি করা হয়। যার মাধ্যমে একটি শহরের বাতাস কতটুকু বিশুদ্ধ বা দূষিত এবং সেই সাথে ওই পরিস্থিতিতে কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে সেই তথ্য দেয়া হয়।