বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বন ভবনে বাঘ গণনা নিয়ে ‘সেকেন্ড ফেইজ- স্ট্যাটাস অব টাইগারস ইন বাংলাদেশ সুন্দরবন ২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইউএসএআইডির আর্থিক সহযোগিতায় বেঙ্গল টাইগার কনজারভেশন অ্যাক্টিভিটি (বাঘ) প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ গণনার কার্যক্রম শুরু করা হয় ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর। ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলা এ কার্যক্রমে চার ধাপে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা, খুলনা ও শরণখোলা রেঞ্জের তিনটি ব্লকের ১ হাজার ৬৫৬ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বিশেষ এক ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার করে জরিপ চালানো হয়।
মোট ২৪৯ দিনব্যাপী পরিচালিত এ জরিপ কার্যক্রমে ৬৩টি পূর্ণবয়স্ক, চারটি কিশোর ও পাঁচটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক বাঘের সর্বমোট ২ হাজার ৪৬৬টি ছবি পাওয়া যায়।
এসইসিআর মডেলে তথ্য বিশ্লেষণ করে সুন্দরবনের প্রতি ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বাঘের আপেক্ষিক ঘনত্ব পাওয়া যায় ২.৫৫+০.৩২। সুন্দরবনে বাঘের বিচরণক্ষেত্র ৪ হাজার ৪৬৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে আপেক্ষিক ঘনত্ব দিয়ে গুণ করে বাঘের সংখ্যা হিসাব করা হয়েছে ১১৪টি। এ হিসাব অনুযায়ী ২০১৮ সালের জরিপে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা শতকরা ৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্লক অনুযায়ী বাঘের ঘনত্ব বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শরণখোলা রেঞ্জে বাঘের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি (প্রতি ১০০ বর্গকিলোমিটারে ৩.৩৩ বাঘ) এবং খুলনা রেঞ্জে সবচেয়ে কম (প্রতি ১০০ বর্গকিলোমিটারে ১.২১ বাঘ)।
২০১৫ সালে সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বাঘ গণনার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছিল। তখন হিসাব অনুযায়ী বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি।
ওয়াইল্ডটিম ও যুক্তরাষ্ট্রের স্মিথ সোনিয়ান কনজারভেশন ইনস্টিটিউটের সাথে বন অধিদপ্তর যৌথভাবে এবারের জরিপ পরিচালনা করে। আর জরিপের তথ্য বিশ্লেষণ ও চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশে সাহায্য করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্য বিভাগ।